Deewana (A crazy lover)Part:33
Writer: urme prema (sajiana monir)
সকালে….
সায়রার দৃষ্টিকোন থেকে…………
জানলা ভেদ করে সকালের মিষ্টি রোদের আলো মুখে পোড়তেই ঘুম ভেঙ্গে যায় আস্তে আস্তে চোখ খুলি মাথাটা খুব জিম জিম করছে ।দুহাত দিয়ে চুল গুলো মুঠ করে মাথা শক্ত করে ধোরলাম ।চারদিকে তাকাতেই দেখি কোন রুমের মধ্যে আছি রুমটা আমার অপরিচীত না এই রুমে কিছুদিন আগেও আরসালের সাথে ছিলাম ,হ্যা এটা আরসালদের সেই ফার্ম হাউজ বাহিরে তাকিয়ে দেখি সকাল হয়ে গেছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি বেলা ১২ টা কাল রাতে যখন বাড়ি থেকে বের হয়েছি তখন সময় ছিল ১১টা প্রায় ১৩ ঘন্টা বাড়ির বাহিরে হয়তো বাড়িতে সবাই চিন্তা করছে কিন্তু তার চেয়ে বড় প্রশ্ন আমি এখানে কি করে আসলাম তাহলে কি কালকে রাতে ঝগড়ার পর আরসাল আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে কিডনাপ করে?শরিরের দিকে তাকাতেই দেখি শরিরে শাড়িটা সুন্দর ভাবে আছে কিন্তু কাল রাতে যখন বাড়ি থেকে বের হয়েছি তখন এলোমেলো ছিল ,কাটা হাতে বেন্ডেজ করা তাহলে কি এসব আরসাল করেছে ?আয়নার দিকে চোখ যেতেই দেখি গলায় কালকের তার কামোড়ের দাগটা এখনও ফুটে রয়েছে দাতঁ বসিয়ে দিয়েছে কেটে গেছে মনে হচ্ছে ,তার আশে পাশে আরো কিছু জায়গা লাল হয়ে আছে কামড়ের কথা মনে পড়তেই কাল রাতে তার সেই রাগি ভয়ংকর রুপের কথা মনে পড়ে যায়
রাতে….
আরসাল সাথে সাথে ফোন কেটে দেয় আমি যেভাবে ছিলাম সেভাবেই দৌড় দিয়ে নিচে চলে গেলাম নিচে গিয়ে আস্তে আস্তে দরজা খুলে বাহিরে চলে যাই ।বাহিরে গিয়ে দেখি বাড়ির বাম পাশের গলিতে আরসাল দাড়িয়ে আছে গাড়িতে হেলান দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াচ্ছে চুল গুলো এলো মেলো চোখ গুলো ভয়ংকর লাল হয়ে আছে ।আমি আরসালকে কখনো সিগারেট খেতে দেখি নি আজ তাকে এভাবে দেখে বেশ ভয় লাগছে কেমন যেন অপরিচীত লাগছে আরসালকে ।দুদিনে নিজের কি হাল করেছে আমি ভয়ে ভয়ে আরসালের দিকে এগিয়ে যাই আরসাল আমাকে দেখে আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকায় হাতের মুঠটা আরো শক্ত করে ধরে কপালের রগ গুলো ফুলে উঠে ।আমি আরসালের এমন রুপ দেখে ভয়ে রিতীমত কাপঁতে কাপতেঁ আরসালের কাছে যাই আরসাল সিটারেটা ফেলে আমার কাছে এসে শান্ত ভাবে জিগাসা করে
আরসাল:দুদিন ধরে ফোন ধোরছো না কেন??
আমি:(ভয়ে ভয়ে নিচের দিক তাকিয়ে)এ….এমনই আ…আমার ইচ্ছে হ..হয়নি তা..ই
উনি আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলতে লাগে
আরসাল:আচ্ছা তোমার ইচ্ছে হয়নি তাই তো! কিন্তু কেন তা শুনি ?
সায়রা:ঐ…ঐ টা আ…মার মনের উ..উপর ডিপেন্ড করে
উনি আমার একদম কাছে আসে আমার হাতের দু বাহু শক্ত করে ধরে আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি উনি আগের চেয়ে আরো বেশি শক্ত করে ধরে রেগে বলতে লাগে
আরসাল:ও তোমার মনের ইচ্ছা তাই না ? সব সময় সবকিছু তোমার মন মত হবে তাই না ?আমার মনের আমার ফিলিংসের কোন মূল্য নেই তাই তো? এই মেয়ে আমার ভালোবাসা তোমার কি মনে হয় হুম ? সঙ মনে হয়?
আমি চুপ করে আছি উনি আবার ধমক দিয়ে ঝাকি দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:বলো কি মনে হয়?
আমি:আ…আমাদের ম..মধ্যে যা ছিল তা স..সব শেষ হয়ে গেছে(নিচের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে করতে)
উনি রাগ কন্ট্রোল করে আমার মুখটা চেপে উচুঁ করে ধরে তাছিল্যর হাসি দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল: আচ্ছা তাই ?আমাদের মধ্যে সত্যি কিছু নেই?তাহলে ঐদিন রাতে কেন আমার এত কাছাকাছি এসে ছিলে ?কেন নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ছিলে?
আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি চোখ থেকে টপটপ করে পানি ঝোরছে হঠাৎ তার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দু হাত দিয়ে চোখ মুছে দূরে গিয়ে বলতে লাগি
আমি :সেদিন যা হয়েছে সব কিছু আবেগের বসে হয়েছে আর কিছুই না আপনার জন্য আমার মনে কোন জায়গা নেই ।
উনি কিছুটা হেসে বলতে লাগে
আরসাল:আচ্ছা আচ্ছা সেদিন সবকিছু আবেগের বসে ছিল তাই তো?এটা তুমি আমাকে মানতে বলছো ?তুমি কোনো teenager না যে আবেগের বসে এসব কিছু করবে তাছাড়া আমি তোমাকে খুব ভালো করে চিনি তুমি এমন একটা মেয়ে যে নিজের আবেগকে কখনো নিজের উপর কাবু করতে দেও না আর এখন তুমি বললে যে আবেগের বসে সব করছো আর আমি তাই বিশ্বাস করবো ?রিয়েলি সায়রা ?
তার থেকে দূরে গিয়ে বড় শ্বাস নিয়ে নিজের চোখের পানি মুছে বলতে লাগলাম
আমি :আপনি বিশ্বাস করলে করেন না করলে নেই এটা সম্পূর্ন আপনার ব্যপার সত্যি তো এটাই ।
উনি ভ্রু কুচঁকিয়ে বলতে লাগে
আরসাল :আচ্ছা আমি না হয় মানবো তাহলে তুমি বলো এসব কথা বলতে তোমার কেন এত খারাপ লাগছে ?তুমি তোমাকে ভালোবাসোনা তাই না? তুমি কেন কান্না করছো ?তোমার চোখের থেকে কেন অনবরত পানি ঝোরছে ?তোমার তো কান্না করার কথা না তাই না?
আমি :ক…কই আ…আমি আপনার জন্য কান্না করছি ?আমি কান্না করছি ভ….ভয়ে
উনি শব্দ করে হেসে আমার দিকে চোখ মুখ শক্ত করে তাকিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:সত্যি?? তুমি আজ ও ঠিক ভাবে মিথ্যা বলতে পারো না জান
তার মুখে ‘’জান ‘’ ডাকটা শুনে বুকেটা ধকধক করছে আজ দুদিন পর তার মুখে সেই ডাক শুনলাম বুকে মাঝে এক অজানা শান্তি বিরাজ করছে ।তার দিকে পলকহিন ভাবে তাকিয়ে আছি কিছুসময়ের মধ্যে তার থেকে চোখ ফিরিয়ে তার প্রতি নিজের ভালোবাসাকে আরাল করে এক দমে বলতে লাগলাম
আমি :আমার কিছুদিন পর রিশাদের সাথে বিয়ে আশাকরি আপনি আমাদের নতুন জিবনের বাধাঁ হতে আসবেন না ।আমার থেকে দূরে থাকবেন ।আমাকে ভূলে যাবার চেষ্টা করবেন আর আমাকে বার বার ফোন দিয়ে ডিস্টার্ভ করবেন না ।
এসব কথা বলে সামনে তাকালাম সামনে তাকিয়ে দেখি সে চোখ মুখ শক্ত করে আছে হাত গুলো মুঠি বদ্ধ করে আছেন কপালের রগ গুলো ফুলে আছে মনে হচ্ছে এই মনে হয়ে আমার গালে থাপ্পর বসিয়ে দিবে।কিন্তু উনি এর পর যা করলো তা আমার কল্পনার বাহিরে ছিল তিনি রেগে আমাকে টান দিয়ে তার কাছে নিয়ে গেলো গলায় জোরে কামড় বসিয়ে দিলো ।আমি ব্যথায় শব্দ করে ‘’আহ্ ‘’ করে উঠি হয়তো কেটে গেছে উনি হয়তো বুজতে পেরেছে আমি ব্যথা পাচ্ছি কিছুক্ষন পর আমাকে হালকা ছেড়ে আগের মত জরিয়ে ধরে কামড় দেওয়া জায়গায় কিস করতে লাগে একের পর পর আর মাতাল করা কন্ঠে বলতে লাগে
আরসাল:এই মেয়ে তুমি শুধু আমার বুজেছো শুধু আমার আমার জান প্রান আমার সব ।তোমার থেকে দূরে যাবার কোন প্রশ্নই উঠেনা কখনোই তোমার থেকে দূরে যাবোনা না তোমাকে দূরে যেতে দিবো ।আমার কল্পনা বাস্তব সব কিছু তে যেমন তুমি জুড়ে আছো তেমনি তোমার কল্পনা বাস্তব সব কিছু জুড়ে শুধু আমি থাকতে চাই ।তোমাকে কল্পনায় ও অন্য কারো সাথে সয্য করতে পারবো তুমি শুধু আমার ।আমার সায়রা আর আমাদের মধ্যে কেউ আসার চেষ্টা করলে তাকে খুন করে ফেলবো ।
উনার প্রত্যেকটা কথা আমার মনে গিয়ে বিধছে তার স্পর্শগুলো আমাকে পাগল করে দিচ্ছে আর কিছুক্ষন তার সাথে এভাবে থাকলে হয়তো নিজে আবার তার সামনে দূর্বল হয়ে পরবো দাদাজীকে দেওয়া নিজের ওয়াদা রাখতে পারবো না যা আমি চাচ্ছিনা ।নিজেকে শক্ত করে তার থেকে ছাড়ানোর জন্য তাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে বলতে লাগি
আমি :আমার থেকে দূরে থাকেন আমি আপনার কখনো হবো না বুজেছেন ?আমাকে আর ডিস্টার্ভ করবেন না ।
আরসাল:জান তুমি কি জানো তুমি তোমার শাস্তির পাল্লা ভারি করছো ? প্রথমত তুমি রিসাদকে বিয়ে করার জন্য হ্যা বলেছো দ্বিতীয়ত তাদের সামনে গিয়েছো যা তোমার একদম উচিত হয়নি কারন তোমাকে দেখার অধিকার কেবল মাত্র আমার আছে ।তৃতীয়ত তুমি আমার থেকে দূরে যাবার চেষ্টা করছো ।এর শাস্তি কি হতে পারে তার কোন ধারনা আছে তোমার একটু আগে যে যে লাভ বাইটা দিয়েছি যে দাগ হয়েছে ঠি ক এমনি পুরো শরিরে হবে বুজেছো জান পরে তোমারি কষ্ট হবে তো আমার রাগ বাড়িওনা জান তাহলে তা তোমার জন্য ভালো হবে না
আমি তার কথায় থতমত খেয়ে গেলাম দু কদম পিছালাম ।তাকে বলতে লাগলাম
আমি :আমাকে এসব ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না আমি বাসায় যাচ্ছি তো আমাকে আর ফোন দিয়ে ডিস্টার্ভ করবেন না প্লিজজজ কিছুদিন পর আমার বিয়ে
আরসাল:ওকে বুজলাম ।ভেবেছিলাম কোন জোর করবো না তুমি যেহেতু ভেবেই রেখেছো যে এসব করবে তাহলে তো আমাকে ও নিজের আসল রূপ দেখাতে হবে তাই না ?সরি এর পর যা হবে তার জন্য তুমি দায়ি থাকবে কারন তুমি আমাকে এসব করতে বাদ্ধ করছো ।(ডেবিল হাসি দিয়ে)
আমি ভয়ে পিছিয়ে গেলাম গলা শুকিয়ে গেছে এখন আবার উনি কি করবে হঠাৎ উনি আমার কাছে এসে বলতে লাগলো -“আমার ভালোবাসা পাবার জন্য আমি সব পারি ‘’ বলেই পকেট থেকে একটি রুমাল বের করে আমার মুখে চেপে ধরে আমি তার বুকে ডোলে পারি ।তার পর আর কিছু মনে নেই ।
হঠাৎ কারো দরজা খুলার শব্দে ধ্যান ভাঙ্গে পিছনে তাকিয়ে দেখি আরসাল রুমে প্রবেশ করছে আমি তাকে দেখে পিছাতে থাকি আর উনি আমার দিকে এগিয়ে আসছে আমি বেডের সাথে একদম লেগে যাই উনি আমার একদম কাছে আসে আমি তার শ্বাস গুনতে পারছি ঠি ক এতটা কাছে হঠাৎ উনি আমার গলায় কালকের সেই কামড় দেওয়া জায়গায় হাত বুলাতে থাকে তার চখে কেমন যেন এক অদ্ভুত নেশা + অনুতাপ স্পষ্ট দেখতে পারছি ।সে গলায় কামড়ের জায়গায় তার আঙ্গুল বুলাতে বুলাতে মাতাল কন্ঠে বলতে লাগে
আরসাল:অনেক বেশি লেগেছে জান
আমি :(রেগে)লাগবেই তো রাক্ষস কামোড় দিয়েছে না
উনি বাকাঁ হেসে বলতে লাগে
আরসাল:অভ্যাস কর জান আজকের পর থেকে এমন প্রায়ই খেতে হবে যখন ভুল কিছু করবে তখন এই শাস্তি পাবে ।
আমি:আপনি আমাকে কই পাবেন আমি ত এখনি বাসায় চলে যাব
আরসাল:তা আর হচ্ছেনা আমি তোমাকে কোথাও যেতে দেব না আমি আর কোন রিস্ক নিতে চাই না আমি আজ এখনি তোমাকে বিয়ে করবো সারাজিবনের জন্য আমি তোমাকে আমার কাছে রেখে দেব ।এখন এই জন্যেই এসেছিলাম যে কাজি এসেছে নিচে আসো
তার কথা শুনে শক খাচ্ছি উনি এসব কি বলছে বিয়ে মানে ?আমি উনাকে বিয়ে করতে পারবো না হ্যা তাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু আমি যে দাদাজীকে ওয়াদা করেছি আমি রিসাদকে বিয়ে করবো তার কথা রাখবো।না না এটা হতে পারে না আমি তাকে বিয়ে করতে পারবো না ।আমাকে তাকে বুজাতে হবে
আমি:শুনেন আমি এই বিয়ে করতে পারবো না প্লিজ বোঝার চেষ্টা করেন আমাকে যেতে দেন প্লিজজজজ (কান্না করতে করতে )
আরসাল:সরি জান বিয়ে তো তোমাকে করতেই হবে তা ছাড়া তোমার কাছে আর কোন অপশন নেই ।
আমি:(রেগে)আমি বাসায় যাবো আপনি আমাকে আটকাতে পারবেন না
দরজার দিকে দু কদম পা বাড়াতেই তার কথায় থেমে গেলাম
আরসাল:তুমি বাড়িতে যাবে তো ?যাও পাখি বাড়িতে যাবে না আর (ডেবিল হাসি দিয়ে)
আমি:মা…নে
আরসাল আমার সামনে একটা ভিডিও ধরলো যেখানে পাখির মাথায় পিস্তল ধরে এক লোক দাড়িয়ে আছে পাখি কান্না করছে ।আমি দেখে স্তব্দ হয়ে গেলাম তার কাছে দৌড় দিয়ে এসে তার কলার চেপে ধরে বলতে লাগলাম
আমি:আপনি এমন কিছু করতে পারেন না ।আপনি এত নিচে কি করে নামতে পারেন ?
আরসাল:আমি তোমার জন্য সব পারি ।তোমাকে পাবার জন্য যত নিচে নামতে হয় নামবো ।এখন বল তুমি কি করবে আমার একটা কলই পিস্তলের বুলেট বের হতে সময় লাগবেনা ।
আমি:আপনি এমন করতে পারেন না
আরসাল:আমি তোমার জন্য সব পারি বললাম তো এখন বল কি করবে
আমার কাছে আর কোন উপায় নেই তাই বাদ্ধ হয়ে তাকে হ্যা বলতে হলো তার উপর খুব ঘৃনা হচ্ছে সে একবার কোন কিছু ভাবলোনা ? উনি মাথায় ঘুমটা দিয়ে নিচে নিয়ে আসলো সামনে কাজি বসে আছে কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করলো নিজের অনইচ্ছাতে বিয়েটা করতে হল কবুল বলার সময় বুক ফেটে কান্না আসছিল ।বিয়ে শেষ হলে উপরে রুমে এসে বেডে শুয়ে কান্না করতে লাগলাম কান্না করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি খেয়ালই নেই।
বিকালে….
পাশের রুমে জোরে জোরে হাসির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে রুম থেকে বের হয়ে পাশের রুমে কে আছে দেখার জন্য যাই গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে চোখ কপালে উঠে গেল মাওয়া সিফাত ভাইয়া দিয়া রিয়া পাখি রিদ্ধি দি সায়ন ভাইয়া আর আরসাল বসে হাসাহাসি করছে ।পাখি পাশে বসে চকলেট খাচ্ছে আর বলছে
পাখি:(হেসে)জিজু কেমন একটিং করলাম বলতো ?সায়রু দি ধোরতেই পারেনি যে সব একটিং ছিল দি কত বোকা তাই না ।ভালো হয়েছে তুমি দিকে বিয়ে করছো আমার জিজু হয়েছো ঐ রিসাদ ভাইয়াকে আমার ভালোলাগে না পচাঁ লোক
দিয়া:যা শিখিয়েছি তার চেয়ে একদাপ উপরে একটিং করেছিস পাখি আমি তো পুরোই অভাক
মাওয়া :তোকে তো একটিং ক্লাসে ভর্তি হওয়ার উচিত ছিল ।কে বলবে এই মেয়ে ক্লাস ৩ তে পড়ে ? সায়রু যদি জানে না এগুলো একটিং ছিল আমাদের সবার প্লান ছিল তাহলে সবার চুল একটা একটা করে ছিড়বে
পাখি :আমি ও কি কম নাকি আমি ও তা….সায়রু দি……
সবাই পাখির কথায় দরজার দিকে তাকায় দেখে সায়রা রাগে ফুসছে পাখির দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করছে পাখি সাথে সাথে আরসালের পিছনে লুকিয়ে পড়ে আরসাল সায়রার রাগি রূপ দেখে বড় ঢোক গিলে ।মাওয়া বির বির করে বলতে লাগে
মাওয়া:যেখানেই বাগের ভয় সেখানেই সন্ধে হয় ?
চলবে….
❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️