Deewana (A crazy lover)Part:37

0
4723

Deewana (A crazy lover)Part:37

Writer: urme prema (sajiana monir)

আমি রুমের দেয়ালের চারদিকে তাকিয়ে পুরো অবাক হয়ে আছি পুরো দেয়াল জুড়ে আমার ছবি কিছু ছবি ঘুমন্ত অবস্থার আবার কিছু ছবি আমার আরালে তোলা সব ছবিগুলোর মাঝে আমার আর তার ছবি যা রিদ্ধিদির বিয়ের দিন বিকালে ফটোশুটে তোলা ছবিটা কেনডিড আমি তার থেকে দূরে যেতে নিয়েছিলাম হঠাৎ উনি আমার কমোড় জরিয়ে ধরে তার দিকে ফিরায় আমার হাত তার গলায় চলে যায় উনি আমার দিকে তাকিয়ে থাকে আর আমি উনার তখনি ফটোগ্রাফার মোমেন্টা কেমেরায় কেপচার করে ।আর কিছু ছবি রিদ্ধিদির মেহিদীর ও আছে কিন্তু উনি তো সেদিন আমার সাথে রাগ করে ছিল তাহলে এই ছবি কখন তুললো? উনিতো একবারের জন্য ও সেদিন পুরো অনুষ্টানে আমার দিকে তাকায়নি তাহলে ছবি কখন তুললো ?আর বেডের সাথে দেয়ালে বড় ছবিটা এটা তো সেদিনের ছবি যেদিন উনি দেশে এসেছে সেদিনের আমি ফুসকার দোকানের সামনে মাওয়াদের সাথে ফুসকা খাচ্ছিলাম আর হাসাহাসি করছিলাম সেই ছবি তার মানে আমার সন্দেহ ঠি ক ছিল আমার অনুভূতি গুলো ঠি ক ছিল তখন উনি আমার আসে পাশেই ছিলো ।তার কাছে গেলাম বেডে বাচ্চাদের মত শুয়ে আছে খালি গায়ে শরিরের ‌অর্ধেকটা কম্বলে ভিতর ।জানালার সামনে পর্দা দিয়ে ডাকা তাই পর্দা ভেদ করে আবছা আলোয় রুম কিছুটা আলোকিত হয়ে আছে কফিটা বেডের পাশে বক্সে রেখে তার পাশে বসলাম তার চেহারার মায়াটা আমাকে তার দিকে টানছে তার সামনের চুল গুলো কপাল থেকে সরিয়ে দিলাম হাত গুলো তার গালে স্পর্শ করলাম হাতের বড় আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে স্লাইড তার গালে তিনি ভ্রু কুচঁকিয়ে নিলো তার পর আবার আগের মত শুয়ে পড়লো ।এবার তাকে জ্বালানোর জন্য ভেজা চুল গুলো তার মুখের উপর ছড়িয়ে দিলাম চুল থেকে টপ টপ করে তার মুখে পানি ঝোড়ছে হঠাৎ করে তিনি হেচকা টান দিয়ে আমাকে বেডে শুয়িয়ে আমার উপরে উঠে হালকা ঝুকেঁ চুল গুলো কানের পিছনে গুজেঁ দিয়ে কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে তার সেই মাতাল করা কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:গুড মর্নিং জানননননন

আমি :(চোখ বন্ধ করে বড় বড় শ্বাস নিয়ে)গুড মর্নিং

আরসাল:চোখ বন্ধ করে আছো কেন?চোখ খুলো জান আমার দিকে তাকাও (কপালে চুমু দিয়ে)

আমি তার কথায় আস্তে আস্তে চোখ খুলে তার দিকে তাকাই তার চোখে সেই নেশা যেই নেশাটায় আমি সবসময় আসক্ত হয়ে যাই তিনি আবার সেই আমাকে পাগল করা মাতাল কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:তুমি জানো জান এই দিনটার জন্য কত অপেক্ষা করেছি এমন একটা সকালের জন্য কতটা অপেক্ষা করেছি যেই সকালটা তোমাকে দেখে শুরু হবে যেদিন তোমার এই চুলের শিশির ভেজা শিতল ছোয়াঁয় ঘুম ভাংবে ফাইনালি আজ সেই দিন এসে গেছে তুমি আমার এত কাছে আছো এখন তোমাকে নিজের বলতে কোন বাধাঁ থাকবেনা কোন দ্বিদ্ধা থাকবেনা হ্যা এখন বলতে পারবো তুমি সম্পূর্ন আমার সায়রা শুধু আরসালের ।

হঠাৎ তিনি আমার ঘাড়ে মুখ গুজঁলো ঘাড়েঁ তার ঠোঁটের স্পর্শ দিতে লাগলো তার প্রত্যেকটা স্পর্শে শরির কেপেঁ উঠছে আমি তার প্রত্যেকটা স্পর্শ চোখ বুজে ‌অনুভব করছি ।তার স্পর্শ গুলো পাগল করা ছিলো ।ঘাড়ঁ থেকে মুখ সরিয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো

আরসাল:জানননন জানো তোমাকে লাল শাড়িতে কতটা মানিয়ে ?হাতে চুড়ি ,রিং ,চোখে গাড় কাজল ,ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক ,নাকে ডাইমন্ড নোসপিন সব মিলিয়ে ‌অসাধারন লাগছে আমাকে পাগল করার জন্য যথেষ্ট তোমার এই লুক ।উফফফফ পাগল করে দিবে নাকি জান পাগল হয়ে যাচ্ছিতো জান ।সত্যি সকালটা দারুন ছিল এমন সকালের জন্য কতইনা অপেক্ষা করেছি ফাইনালি আজ আমার ইচ্ছা পূরন হল ।

এসব বলে উনি আমার পাশে আমার শুয়ে পড়লো আমার হাত তার বুকের সাথে জরিয়ে ধরে হাতে কিস করতে লাগে একের পর এক আমি বুঝি না তার আমার এই হাতের প্রতি এত নেশা কেন ?আমি তার দিকে ফিরে বলতে লাগলাম

আমি:আচ্ছা আপনি এত ছবি কোথায় পেয়েছেন ?আর এসব ছবি আপনার রুমে কেন ?এগুলো তো আমার অনেক আগের ছবি আপনি কোথায় পেয়েছেন ?আগের বার যখন এসেছিলাম তখন তো এই ছবি ছিল না এগুলো কবে করলেন?আর রুম ও আমার মন মত ডেকোরেট করা ঠি ক যেমন টা আমার বাসায় ছিল।

মুচকি হেসে আমাকে তার বুকের সাথে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে

আরসাল:সত্যি জানতে চাও নাকি মিথ্যা ?

আমি তার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম

আমি:অবশ্যই সত্যি

উনি আমাকে তার বুকে আবার জরিয়ে বলতে লাগলেন

আরসাল:তোমার এমন হাজার হাজার ছবি আমার কাছে আছে আমি যখন লন্ডনে ছিলাম তখন তোমার ছবিগুলো রিদ্ধিকে দিয়ে কালেক্ট করেছি আর বাকিগুলো তোমার আড়ালে তুলেছি ।তুমি যখন আমার থেকে দূরে ছিলে রিং ফিরত দিয়ে ছিলে তখন তোমাকে দেখার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলে তখন আমি এইসব ছবি দেখে বেচেঁ ছিলাম তোমার এতটা কাছে এসে তোমার থেকে দূরে যাওয়াটা মানতে পারছিলাম তাই সারা রুমে তোমার ছবি রেখেছি যাতে সবসময় তোমাকে দেখতে পারি ।আর তোমার ইচ্ছেমত তোমার রুমের মত সাজিয়েছি যাতে এখানে এসে কনফরটেবল ফিল কর তাই তোমার মানিয়ে নিতে যাতে কোন প্রবলেম। না হয় ।

আমি তার দিকে ঘুরে তার বুকের মধ্যে চুমু দিয়ে বলতে লাগি

আমি :আপনি একটা সত্যি পাগল

আরসাল:হুম তোমার জন্যই তো পাগল হয়েছি জান

উনি আমার মুখের কাছে নিজের ঠোঁট আগাতে লাগলো আমি তাকে মুচকি হেসে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেই উনি বেডে বসে বলতে লাগে

আরসাল:জান তুমি এমন আনরোমান্টিক কেন(বাচ্চা দের মত ফেস করে )

আমি:আমি এমনই

আমি এসি অফ করে উচুঁ হয়ে জানালার পর্দাটা সরিয়ে দেই জানালার থ্রাইটা খুলে দেই পিছনে তাকিয়ে দেখি উনি আমার কমোড়ের দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে কামোড় দিয়ে মিটমিট করে হাসছে আমি কমোড়ের দিকে তাকিয়ে দেখি কমোড়ের শাড়ি সরে গেছে আর উনি তা দেখে হাসছে আমি সোফা থেকে কুশন নিয়ে তার দিকে ছুড়েঁ মেরে মুচকি হেসে বলতে লাগি

আমি :অসভ্য লোক

আরসাল:হায়য়য় মার ডালোগী কা (বুকে হাত দিয়ে ব্যথা করার অভিনয় করে )

আমি:হয়েছে অভিনয় বায়

আমি যাতে নিলে উনি আবার বলতে লাগে

আরসাল:দাড়াও দাড়াও অসভ্যের উপাদি যেহেতু দিয়েছোই তো একটু অসভ্যতামি দেখাই জান

উনি বেড থেকে উঠে আমার দিকে আসছে আমি ভয়ে দৌড় দিয়ে নিচে চলে গেলাম ।নিচে গিয়ে বড়মার কাছে কিচেনে গেলাম বড়মা নাস্তা রেডি করছে পাশে‌ই রহিমা সবজি কাটছে হঠাৎ বড়মা বলতে লাগলেন

বড়মা:এতদিনে আমার বাড়িতে আগের মত শান্তি ফিরে এসেছে আমি আমার আগের পরিবার ফিরে পেয়েছি আমার আগের আরসালকে ফিরে পেয়েছি

আমি বড়মায়ের দিকে জিগাসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি বড়মা আবার বলতে লাগে

বড়মা:সেদিন তুমি হসপিটাল থেকে রিং ফিরিয়ে দেবার পর বাসায় আসার সময় শুনি আরসালের একসিডেন্ট হয়েছে আমার যেন পুরো দুনিয়া ঘুরতে লাগে তারাতারি করে হসপিটালে ফিরে যাই যেয়ে দেখি আরসাল বেডে শুয়ে আছে ওর অজ্ঞান অবস্থায় ওকে ঐ ভাবে দেখে আমার আত্না কেপেঁ উঠে কান্না করতে থাকি ওকে ঐ অবস্থায় দেখে রাতে জ্ঞান ফিরার পর চোখ খুলে তোমাকে খুজঁতে থাকে পাগলামো শুরু করে ওকে বাদ্ধ হয়ে তোমার কেবিনে নিয়ে যাই বেশ কিছুক্ষন পর তোমার পাশে বসে থাকে তার পর হসপিটাল থেকে রিলিজ দিলে বাড়িতে নিয়ে আসি ও সারাদিন নিজের রুমে বসে থাকতো পাগলামো করতো আমি আমার ছেলেকে কখনো কান্না করতে দেখিনি কিন্তু সে সময় প্রায়ই দেখতাম চোখ ভেজা পুরো ঘর তোমার ছবি দিয়ে দেয়ালে তোমার ছবি দিয়ে ভরে ফেলে সারাদিন এই ছবির সাথে কথা বলতো পাগলামি করতো তোমার ফোনে ফোন দিতো ফোন অফ পেয়ে আবার পাগলামি করতো ২ দিন পর কিছুটা সুস্থ হলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় কখন আসতো কখন চলে যেত তা জানতামই না তোমার সাথে অন্যায় করায় ওকে ক্ষমাও করতে পারছিলাম না আবার নিজের ছেলের এমন অবস্থা দেখতেও পারছিলাম না ।তখন ওর চেহারার দিকে তাকানো যেত না কিন্তু এখন আল্লাহর রহমতে সব ঠি ক আছে তুমি আমার আরসালের জিবনে ফিরে এসেছো আমি আমার আগের আরসালকে ফিরে পেয়েছি ।কখনো আমার ছেলেকে কষ্ট দিওনা ও খুব ভালোবাসে তোমাকে ।

আমার মায়ের কথায় খুব কষ্ট লাগছিল এতটা কষ্ট দিয়ে ফেলেছি তাকে নিজের রাগ জিদ আর অভিমানের বসে ?আমার জন্য সবাই কত কষ্ট পেয়েছে ।বড়মার হাতে হাত রেখে বলতে লাগলাম

আমি :বড়মা সরি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন আমার জন্য সবাই কত কষ্ট পেয়েছে কত কষ্ট দিয়ে ফেলেছি সবাইকে।কিন্তু এখন প্রমিজ করছি কখনো আর এমন কিছু করবোনা যেটায় আরসাল কষ্ট পাবে আপনারা কষ্ট পাবেন ।সব পরিস্থতীতে উনার পাশে থাকবো ।কখনো উনাকে ছেড়ে যাবো না

বড়মা :(মুচকি হেসে )তা ঠিক আছে আগে আমাকে বড়মা বলা ছাড়ো মা বলার অভ্যাস কর ।

আমি:ওকে বড়মা

নাস্তা রেডি হলে আমি আর মা টেবিলে সার্ভ করা শুরু করি কিছুক্ষন পর উনি এসে চেয়ার টেনে বসতে বসতে আমাকে চোখ মারে আমি ও উওরে ভেংচি দিয়ে দেই ।উনি মুচকি হেসে নাস্তা করতে লাগে বড়মা আমাকে জোর করে তার পাশে বসিয়ে নাস্তা করতে বলে আর উনার কাছে বসা মানে তার অত্যাচার তো সয্য করতেই হবে কখন হাত ধরছে কখন চোখ মারছে কখনো কিস দেখাচ্ছে আর প্রতি উওরে সবসময়ের মত তাকে বড় বড় চোখ দেখিয়ে ইশারা করছি এসব বন্ধ করতে কিন্তু কে শোনে কার কথা তিনি তার এই লাভ টর্চার আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে ।নাস্তা শেষ করে দুজন university উদ্দেশ্য চলে গেলাম ।তাকে অনেক বার না করেছি আসতে কিন্তু কে শুনে কার কথা উনি নাকি আমাকে একা যেতে দেবেনা তাই সাথে এসেছে।

University তে…..

উনি গাড়ি পার্কিং করে প্রিন্সিপালের রুমে চলে যায় আমি কেনটিনে চলে যাই কেনটিনে গিয়ে দেখি কেনটিনে মাওয়া রশ্নি দিয়া মুন বসে আছে আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে আমি তাদের পাশে বসতেই মাওয়া বলতে লাগে

মুন :তোকে তো পুরো নতুন বউ লাগছে ওয়াও

আমি:(মুচকি হেসে বসতে বসতে )নতুন বউ তো বউ বউ লাগবেনা

মাওয়া :তো বালিকা বধূ বাসর রাত কেমন ছিল ?

রশ্নি:কি কি হয়েছে ভাইয়ার সাথে (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

আমি:ছি ছি তোরা কত অসভ্য কত পেকে গেছিস এগুলো কি বলছিস ?

মাওয়া:তুমি করতে পারো আমি বললেই দোষ তাই না ?

আমি :সার্ট আপ ইয়ার এমন কিছু হয়নি ওকে বিয়ের ফাংশন নেক্সট উইক হবে আবার বিয়ে হবে ওকে

মাওয়া:কত বার বিয়ে করিস ইয়ার ‌অলরেডি ২ বার হয়েছে ।আর আমরা একবারই করতে পারছিনা

আমি:না করেছে কে করে ফেল ।

হঠাৎ মুনের দিকে ফিরে ভয়ে ভয়ে মন খারাপ করে বলতে লাগলাম

আমি :বাসার কি অবস্থা ?সবাই কেমন আছে ?দাদাজী কি এখন ও রেগে আছে ?

মুন:সবাই ভালো আছে খালি একটু রেগে আছে ।দাদাজী তোর নামও শুনতে চায় না সবাইকে বলে দিয়েছে যাতে তোর নাম মুখে না নেয় ।কিন্তু টেনশন করিসনা সব ঠি ক হয়ে যাবে দাদাজী সব মেনে নিবে সময়ের সাথে সাথে ।

আমি:তাই যেন হয়।(মন খারাপ করে)

হঠাৎ দরজার কাছে রিসাকে দেখে রাগ্য উঠে গেল ওর জন্য সব হয়েছে ওর ঐ সব ফেক ছবির জন্য দাদাজী আরসালকে ভুল বুজছে নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল না করতে পেরে উঠে সামনে থাকা কফির মগটা নিয়ে গেয়ে ওর মুখে কফি ছুড়ে মারলাম ও রেগে হাত উঠিয়ে থাপ্পার দেওয়ার জন্য কট কট করে বলতে লাগলো -ইউ বেহেনজি তোর সাহস হয়..আর কিছু বলার আগেই ওর দুগালে থাপ্পার বসিয়ে দেই পুরো কেনটিন স্থব্দ হয়ে যায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে …..

চলবে……
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here