Deewana (A crazy lover)Part:38
Writer: urme prema (sajiana monir)
রিসাকে থাপ্পর দেওয়ায় পুরো কেনটিনের সবাই স্থব্দ হয়ে আছে রিসাও ভাবতে পারেনি যে তার সাথে এমন কিছু হবে রিসা আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।রিসাকে থাপ্পর মেরে রেগে চিৎকার বলতে লাগলাম
আমি:তুমি অনেক গেম প্লান করেছো আমি তোমাকে প্রত্যেকবারই warning দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু এবার তুমি যা করেছো তা সত্যি ক্ষমার যগ্য না তুমি আমার ফেমিলির কাছে আরসালকে ছোট করে দিয়েছো তোমার জন্য আমার পরিবার আরসালকে মেনে নিচ্ছেনা তুমি আমাদের কেন প্রবলেম তৈরী করছো ?আরসালকে পাবার আশায় ?তুমি তো তাকে কখনোই পাবেনা। কারন আরসাল শুধু আমার উনার সাথে আরো ৬ বছর আগেই সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে গেছি ।তুমি কেন আমাদের মাঝে থার্ড পার্সোন হয়ে ডুকার চেষ্ট করছো ।তুমি কি ভেবেছিলে তোমার ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে দিলেই তুমি আরসালকে পেয়ে যাবে ?আরসাল তোমার হয়ে যাবে?আরসাল সব সময়ই আমার ছিল আর আমারই থাকবে ।তুমি ভাবলে কি করে আমাকে আরসাল অন্য কারো হতে দিবে ?থেংক ইউ তোমার এই গেমের জন্য আমি আমার আরসালের হয়ে গিয়েছি হ্যা কাল আমাদের বিয়ে হয়েছে আমি এখন আরসালের ওয়াইফ আর আরসাল আমার হাসবেন্ড ।তোমার এই গেমের কারনেই আরসাল রেগে হারানোর ভয়ে আমাকে কাল বিয়ে করেছে ।তুমি আমার ক্ষতি করতে গিয়ে উপরকার করে দিলে থেংক ইউ সো মাচ ।
রিসা আমার দিকে অভাক চোখে তাকিয়ে পাগলের মত নিজের চুল নিজে শক্ত করে ধরে বলতে লাগে
রিসা:কি তোমাদের বিয়ে হয়েছে মানে ?তোমার দাদাজী আমাকে কথা দিয়েছিলো তোমাকে আর আরসালের হতে দেবে না তোমাদের বিয়ে হতে দেবেনা তাহলে বিয়ে কি করে হলো ?না না এটা হতে পারে না আরসাল আমার আমি ওকে অন্যকারো হতে দেবনা ।আরসাল আমার বুজেছো শুধু আমার
আমি:ও রিয়েলি আরসাল তোমার? আরসাল আমাকে ভালোবাসে আমি ওর বিয়ে করা বউ সেই ছোট থেকে আমাকে ভালোবেসে আসছে আমাদের এত দিনের সম্পর্ক মাঝে তুমি কোথা থেকে আসলে ?সেই প্রথম থেকে আরসাল আমার ছিল আমার আছে আর আমার ই থাকবে আমাদের মাঝে তৃতীয় কোন ব্যক্তি আসতে পারবে না আমার আরসাল তা হতেই দিবে না ।আরসাল আমাকে সেই প্রথম থেকে পাগলের মত ভালোবেসে এসেছে আমি তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি আর তুমি কি ভেবেছো তোমার সেই ফেইক ইডিট করা ছবি গুলো দেখে আমি আরসালকে ভুল বুঝবো ?কখনই না আমি কখনই এমন কিছু করবো না আর আমাদের সম্পর্ক এত দূর্বল না যে কিছু ফেইক ছবি দেখে তা ভেঙ্গে যাবে ।সবাই বিশ্বাস করলেও আমি কখনই করবো না ।আমি আমার আমার আরসালকে খুব ভালো করেই চিনি ও কখনই এমন কিছু করবেনা ।উনি রাগি হতে পারে কিন্তু উনার চরিত্র কখনোই এমন না যে সে অন্যকোন মেয়ের সাথে রিলেশন করবে আমাকে ধোকা দিবে আর তোমার সাথে কখনো ও না উনি তোমাকে শুধু ঘৃনা করে ।তুমি তো আরসালকে ভালোবাসো তাইনা ? তাহলে তুমি কি করে পারলে তার সম্পর্কে এমন মিথ্যা বলার উনাকে সবার সামনে ছোট করতে ? তার নামে মিথ্যা অপবাদ দিতে ? এই ছিল তোমার ভালোবাসা তার প্রতি? তুমি তো তাকে ভালোবাসতে তাহলে কখনো তাকে সবার সামনে ছোট করতে পারতে না ।তুমি তো ভালোবাসা মানেই বুঝো না ।আমি বা এইসব কথা তোমাকে বলছি যে নিজের স্বার্থের জন্য নিজের ভাইকেও ছাড় দেয় না সে কি বুজবে আমার কথার মর্ম ।তুমি তো নিজের ভাইকেই ছাড় দেওনি নিজের চিপ প্লানের হাতিয়ার বানিয়েছো যদি কোন ভাবে রিসাদের সাথে বিয়েটা হয়েই যেত তাহলে কি রিসাদ কখনো সুখি হতে পারতো? কখনোই পারতো না কারন আমি কখনোই আরসালকে ভুলতে পারতাম না ,না রিসাদকে অপন করতে পারতাম ।তুমি এসব কেন করছো ?কি লাভ এসব কিছু করে তোমার ?আরসাল তো কখনোই তোমার হবেনা । আমাদের জিবন থেকে দূরে সরে যাও এতে তোমারই ভালো ।
রিসা আমার কাছে আসে তার চোখে মুখে স্পষ্ট পাগলামো দেখা যাচ্ছে কেমন জানো ভয়ংকর লাগছে আমাকে ঝাকাতে ঝাকাতে বলতে লাগে
রিসা:তোমাকে বলতে হবে না আমি ভালোবাসি কিনা আমি আরসালকে ভালেবাসি বুজেছো অনেক ভালোবাসি তুমি আরসালকে আমার চাই ই চাই ।আমি তোমার কাছে হারতে পারবো না আমি আরসালকে নিজের করেই ছাড়বো বুজেছো তুমি ।তার জন্য যদি তোমাকে শেষ করে দিতে হয় তাই করবো ।
হঠাৎ রিসা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আমি টেবিলের উপর পড়ি মাওয়া আমাকে ধরে ।রিসা আমার কাছে আসতে নেয় তখনি হঠাৎ আরসাল সামনে এসে পরে ওর চোখে মুখে ভয়ংকর রূপ নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে হাত শক্ত করে মুঠ করে আছে আমি আরসালকে দেখে কিছুটা আতকে গেলাম না জানি উনি আবার কি করে ।কিন্তু উনি আমার হাত ধরে সুন্দর মত কেনটিন থেকে বের হয়ে যায় কোন শব্দ ও করে না সেখানে আমাকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে শান্ত ভাবে আমার পাশে বসে গাড়ি চালাতে থাকে আমি তার এমন ব্যবহারে অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি কারন উনি রিসার সব কিছু জানার পর ও এত শান্ত কি করে ? গাড়ি বাড়ির সামনে থামলো তিনি গাড়ি থামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে শান্ত ভাবে মুচকি হেসে বললো
আরসাল:জান বাড়িতে এসে পরেছি নামো
আমি তার এমন ব্যবহারে সত্যি খুব অবাক হচ্ছি তিনি এত শান্ত কি করে ?তিনি রিসার সব কুকর্ম জানার পর কোন রিয়েক্ট করেনি তার এমন ব্যবহার খুব আজব লাগছে ।
বাড়িতে …..
বাড়িতে ভিতর প্রবেশ করে দেখি বড়মা ড্রইং রুমে বসে আছে বড়মা আমাদের এত তারাতারি বাড়িতে ফিরতে দেখে বলতে লাগে
বড়মা:এত তারাতারি বাড়ি ফিরলে যে তোমার ক্লাস তো আরো দেরিতে শেষ হবার কথা
আমি:বড়মা আসলে আজ তেমন কোন important ক্লাস নেই তাই চলে এসেছি ।
বড়মা:ও আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে নেও
আমি :ওকে বড়মা
উনি আমার আগেই উপরে রুমে চলে গিয়েছে আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলাম এসে দেখি বড়মা লান্চ রেডি করে তা টেবিলে সাজাচ্ছে আমি ও বড়মায়ের সাথে হেল্প করতে লাগলাম কিন্তু মনের মাঝে তার এমন পরিবর্তনে বেশ সন্দেহ হচ্ছে ।কিছুসময় পর বড়আব্বু আর আরসাল নিচে আসলো এসে চেয়ার টেনে বসলো আমি আরসালের দিকে তাকিয়ে আছি তিনি আমাকে তার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে চোখ দিয়ে ইশারা করে জিগাসা কি হয়েছে আমি তাকে ইশারা দিয়ে বললাম যে কিছু না ।বড় আব্বু তাদের সাথে বসে লান্চ করতে বলে আমি না করলে জোর করে উনার সাথে বসিয়ে প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছে আমি সত্যি উনাদের যত দেখি ততই অবাক হই বড়আব্বু বড়মা আমাকে নিজের মেয়ের মত আদর করে কতটা ভালোবাসে ।তাদের কাছে থাকলে মনে হয় বাবা মায়ের কাছেই আছি ছেলের বউয়ে মত না নিজের মেয়ের মত করে রাখে ।বড়মা যিনি আমার মুখ দেখেই সব কিছু বুঝে যায় আমাকে কতটা সাপোর্ট করে সবসময় সব কাজে সাপোর্ট করে কতটা ভালোবাসে আর বড়আব্বুর ফোনে তো ওয়ালপেপার আমার ছবি দেওয়া সবার কাছে সব সময় আমাকে মা বলে পরিচয় করিয়ে দেয় সবার কাছে বলে আমি নাকি উনার মা ।সত্যি নিজেকে খুব ভাগ্যবাতি মনে হয় ।লান্চ শেষ করে নিজের রুমে চলে গেলাম ।
রুমে …..
রুমে বেডে বসে বসে আজকের কথা গুলো ভাবতে লাগলাম উনার এমন পরিবর্তনই আমি চাচ্ছিলাম কিন্তু আজকের তার ব্যবহার গুলোর মধ্যে কেমন যেন একটা রহস্য লুকিয়ে আছে ।ভয়ংকর কিছু হবে না তো আবার ?হঠাৎ উনি এসে আমার কোলে মাথা রেখে বেডে শুয়ে পরে তার এমন ভাবে আসায় ভয় পেয়ে যাই আমার কোলে মাথা রেখে মুচকি হেসে বলতে লাগে
আরসাল:জান কি ভাবছো তুমি ?কতসময় ধরে দরজার সামনে দাড়িয়ে তোমাকে দেখছিলাম আর তোমার কোন খেয়ালই নেই।
আমি:(মুখে হাসির রেখা টেনে)কিছুনা তো
আরসাল :সত্যি ?(ভ্রু কুচকিয়ে)
আমি:(মুচকি হেসে)হুম
পেটের কাছে শাড়ি কিছুটা সরে গেছে তিনি সেখানে মুখ গুজে চুমু দিতে লাগে আর স্পর্শতে কেপেঁ উঠছি শরিরে এক অন্যরকম শিহরন হচ্ছে তার প্রত্যেকটা চুমুতে কেপেঁ উঠছি বেশ কিছুক্ষন এভাবে চলার পর উনি আমার দিকে মুখ তুলে তাকায় তার চোখে গভির নেশা দেখা যাচ্ছ যা আমাকে পাগল করার জন্য যথেষ্ট ।তাকে মন দিয়ে দেখছি ছোট ছোট খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো তার ফরসা মুখে বেশ মানিয়েছে সামনের ছোট ছোট চুলগুলো উড়ছে ঠোঁট গুলো রক্তের মত লাল আর ঠোটেরঁ নিচের তিলটা যা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যা সবসময় আমাকে টানে ।জানিনা কি হয়েছে হঠাৎ করে তার ঠোটেরঁ নিচে তিলে আলতো করে চুমু দিয়ে বসি ।চুমু দিয়ে মাথা উঠাতে নেই তিনি আমাকে হেচকা টান দিয়ে আমার ঘাড়ের পিছনে হাত দিয়ে আমার ঠোঁট্ পাগলের মত চুমু দিতে লাগে বেশ কিছুক্ষন পর ছেড়ে দেয় উনি বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে সাথে তার সাথে আমিও বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছি ।তিনি আমার কোলে মাথা রেখে আমার গালে নিজের বড় আঙুল রেখে স্লাইড করে মাতাল কন্ঠ বলতে লাগে
আরসাল:খুব ভালোবাসি তোমাকে বুজেছো ?কখনো ছেড়ে যাবে না জান পরিস্থিতী যাই হোক না কেন প্রমিজ করো
আমি :প্রমিজ
আরসাল:আমাকে বিশ্বাস করতো জান ?
আমি:নিজের থেকে অনেক বেশি করি ।
আরসাল:সবসময় এই বিশ্বাসটাই রেখো জান ।
চলবে…
❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
সরি কাল গল্প দেইনি আর আজ এত লেটে দেওয়ার জন্য actually দুদিন ধরে খুব busy লেট হয়েছে ।সরি এগেইন ????
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️❤️