Deewana (A crazy lover)Part:39
Writer: urme prema (sajiana monir)
আমি:খুব বিশ্বাস করি আপনাকে নিজের থেকেও বেশি প্লিজ কখনো আমার বিশ্বাস ভাংবেন না
আরসাল:হুম জান কখনো তোমার বিশ্বাস ভাংবো না।
আমি তার চুলের মধ্যে হাত ডুবিয়ে চুল গুলো বুলাতে থাকি তিনি চোখ বন্ধ করে আছে পেটের মাঝে মুখ ডুবিয়ে আরো শক্ত করে কমোড় জরিয়ে ধরে ।আমি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম উনি চোখ বন্ধ করে তা অনুভব করছে ।মনের মধ্যে সকালের ব্যপারটা নিয়ে বেশ সন্দেহ হচ্ছে উনাকে জিগাসা করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু জিগাসা করার সাহস পাচ্ছিনা যদি উনি রেগে যায় তাই আবার চুপ ও থাকতে পারছিনা ।অনেকক্ষন মনের সাথে যুদ্ধ করে বেশ খানিকটা সাহস জুটিয়ে তাকে জিগাসা করলাম
আমি:আচ্ছা একটা কথা জিগাসা করি (নিচু স্বরে )
উনি এখনো চোখ বন্ধ করে উওর দিলো
আরসাল:হুম জান কর পার্মিশন নেওয়ার কি আছে ?
আমি:রাগ করবেন না তো?
আরসাল :রাগ করার কি আছে বল জান
আমি :আচ্ছা আজ কেনটিনে আপনি রিসাকে কিছু বললেন না কেন ?
উনি আগের মত চোখ বন্ধ করে ঠোঁটে তার রহস্যময় হাসি উনি বলতে লাগে
আরসাল:জান তুমি ই তো চেয়েছিলে যে আমি রাগা রাগি না করি তাই নিজেকে শুধরানোর চোষ্টা করছি ।আমি চাইনা আমার কোন ভুলের জন্য তুমি আবার আমার থেকে দূরে চলে যাও আমাকে ঘৃনা কর তাই তোমার কথা মত নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করছি ।আর রইলো রিসার কথা যে যেমন কর্ম করে সে তার ঠি কই ফল পায় রিসাও এর ফল পাবে হয়তো তা ভয়ানক হতে পারে ।তাই আমি ওকে কিছু করবোনা ।
আমার তার কথা গুলো শুনে বেশ ভালো লাগছে যে সে আমার জন্য পরিবর্তন হচ্ছে ।নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে ।কিন্তু তার চেহারার সেই হাসিটা কেন যান রসহ্যময় লাগছে মনে হচ্ছে এই হাসির পেছনে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য ।কিন্তু তার পরিবর্তনটা বেশ ভালো লাগছে তাই আর কথা বাড়ালাম না ।আজ নিজের মনের মধ্যেও শান্তি লাগছে সে আমার জন্য পরিবর্তন হচ্ছে ।হঠাৎ তিনি ঠোঁটে দুষ্টু হাসির রেখা ফুটিয়ে আমাকে বলতে লাগলো
আরসাল:জান আজ নাকি কেনটিনে তুমি আমার বেশ প্রশংসা করছিলে ?তো জান কি কি বলছিলে আর একবার বলো না তোমার মুখ থেকে আমার প্রসংশা শুনতে খুব ইচ্ছা করছে প্লিজ বলো না জান কি কি বলছিলে
তার এমন বাচ্চাদের মত ফেস দেখে বেশ হাসি আসছে উনাকে রাগানোর জন্য বলতে লাগলাম
আমি :হুম আমি বলছিলাম যে মেয়েরা তাদের স্বামী নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে কত আশা থাকে তাদের মনে তাদের স্বামী তাদের কত ভালোবাসবে কত খেয়াল রাখবে আল্লাহর কাছে পার্থনা করে যাতে সভ্য ভালো স্বামী পায় আর আমি পেয়েছি একটা অসভ্য লোক যে শুধু আমাকে বকে একটুও ভালোবাসেনা হায় আমার কি কপাল !
উনি আমার কথা শুনে জট করে চোখ খুলে ফেলে আমার চেহারায় দুষ্টু হাসি দেখে উনি বেশ বুজতে পারে আমি তার সাথে মজা করছি আমার কোল থেকে মাথা উঠিয়ে আমাকে দপ করে বেডে ফেলে আমার উপর উঠে আর দু হাতের আঙুলের ভাজে নিজের আঙ্গুল ডুকিয়ে চাপ দিয়ে ধরে তার চোখে ভয়ংকর নেশা আর ঠোঁটে শয়তানি হাসি তার এই রূপ দেখে বেশ ভয় লাগছে না জানি আবার কি করে ?আমি বড় ঢোক গিলে বলতে লাগলাম
আমি:ই..য়ে মা…নে আপ…নি কি করছেন?
আরসাল:ইয়ে মানে আমি তো আসভ্য তাই না? তো একটু অসভ্য গিরী দেখাই আর কিজানো হ্যা আমি তো একটু ও ভালোবাসিনা শুধু বোকি তাই একটু ভালোবাসি তোমাকে তাহলে আর কোন অভিযোগ থাকবে না ।
উনি যেন এমন একটা সুযোগের অপেক্ষাই করছিলো আর এই সুযোগটা আমি তাকে দিয়ে দিলাম এখন নিজের উপর রাগ হচ্ছে কেন উনাকে রাগাতে গেলাম এখন তার এই লাভ টর্চার সয্য করতে ।কাজ এমন হলো যে আমি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল, হাতুরি, বটি ,দা সব মারলাম ।উনি আস্তে আস্তে আমার ঘাড়ের কাছে মুখ ডুবালো একের পর এর চুমু দিতে লাগলো ঘাড়ে প্রত্যেকটা শব্দ করে ।তার এমন স্পর্শে আমার মধ্যে ঝড় তোলছে পাগল করে দিচ্ছে তার স্পর্শতে কেপেঁ কেপেঁ উঠছি ।মনের মাঝে এক অজানা শিহরন তেরী করছে ।উনি আমার এক হাতে বাধঁন ছেড়ে আমার কমোড়ে স্লাইড করতে করতে আমার দিকে তাকিয়ে মাতাল কন্ঠে বলতে লাগলো
আরসাল:শাড়ি পড়ে এভাবে শুধু আমার সামনে আসবে বুজেছো জান তোমার এই ভাবে দেখার অধিকার শুধু আমার ।সকাল থেকে তোমারেসএভাবে দেখে বেশ লোভ হচ্ছিলো এমন একটা সুযোগ অপেক্ষা করছিলাম ফাইনালি তুমি তা করে দিলে (ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে)থেংক ইউ জান ।
তারপর আমার গাড়ের কাছে কামোড় দেয় আমি ব্যথায় আহ্ করে উঠি উনি সেখানে আবার কিস করে দুষ্টু হেসে বলতে লাগে
আরসাল:এটা ছিলো আমাকে অসভ্য বলার আর আমি তোমাকে ভালোবাসিনা তা বলার শাস্তি জান ।বলেছিলাম না যে বিয়ের পর তুমি কোন ভুল করলে তার শাস্তি স্বরূপ এমন কামোড় দিবো ।এখন থেকে এটাই তোমার শাস্তি ।
আমি রেগে তার হাতে কামোড় বসিয়ে দেই তিনি মুচকি হেসে কামোড় দেওয়া জায়গায় চুমু দিয়ে বলতে লাগে
আরসাল:উফফ জান এটাই তো চাচ্ছিলাম আমার শরিরে তোমার দেওয়া কোন চিহ্ন থাকুক যাক ফাইনালি তা হলো
আমি তাকে রেগে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তার দিকে অগ্নিদৃষ্ট্ নিক্ষেপ করে শাড়ি ঠিক করে নিচে চলে যেতে লাগলাম উনি পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলতে লাগে -জাননননন এটা জাস্ট ট্রেলার ছিলো পিকচার এর চেয়ে ভয়ানক হবে ।আমি তাকে মুখ ভেংচি দিয়ে বলতে লাগলাম – আমি ও আপনাকে ছেড়ে দেবনা ।উনি আবার দুষ্টু হেসে বলতে লাগে -জান তোমাকে ছাড়তে কে বলেছে আমি চাই তুমি আমাকে এমন আরো কামোড় দেও ।আমি তাকে কিছু না বলে তার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে নিচে চলে আসলাম উনি বেডে বসে শব্দ করে হাসতে লাগে ।আমি নিচের সিড়ি দিয়ে নামতেই দেখি বড়মা বিয়ের কার্ড সিলেক্ট করছে সামলে দুজন লোক বসে আছে তারা এক এক করে কার্ড দেখাচ্ছে ।আমাকে সিড়ি দিয়ে নামতে দেখেই বড়মা বলতে লাগে
বড়মা:আমি এখনি রহিমাকে উপরে পাঠাতাম তোমাকে ডাকতে যাক ভালোই হয়েছে তুমি নিজে এসে পড়েছো ।আরসাল কই ?
আমি কিছু বলতে নিবো তার আগেই পিছন থেকে উনি বলতে লাগে
আরসাল:আম্মু আমি এখানে
পিছনে তাকিয়ে দেখি উনি তার বিশ্ববিখ্যাত শয়তানি হাসি নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমিও তার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে বড়মায়ের দিকে তাকালাম বড়মা বলতে লাগে
বড়মা:সায়রা আরসাল তোমরা কার্ড সিলেক্ট করো ।দেখো কোনটা চয়েজ হয় আমি তো চয়েজ করতে পারছিনা ।
আমি কার্ড দেখতে লাগলাম সবসময়ের মত সিম্পাল জিনিসই আমার পছন্দ হলো আমি অফহোয়াইটের মধ্যে স্টোনের কাজ করা কার্ড পছন্দ করলাম যা দেখতে খুব সিম্পাল কিন্তু বেশ elegante আনকমন আমি বড়মা কে দেখালাম বড়মায়ের ও বেশ পছন্দ করলো ।আর আমার পছন্দ করা কার্ড আরসাল পছন্দ করলো ।তার পর বড়মাকে পাশে বসা লোকটি গহনার ডিজাইন দেখাতে লাগলো প্রত্যেকটা ডিজাইনই বেশ আনকমন বাহিরের ডিজাইন সব গুলো গোল্ডের মধ্যে বেশ চমৎকার কাজ করা মুগ্ধ করার মত ।আমাকে পছন্দ করতে বলে কিন্তু আমার তো নিজের কোন পছন্দই নেই কারন সবসময় আম্মু জুইলারি সিলেক্ট করে দিয়েছে আর আমি এমনেতেও গোল্ডের গহনা পড়তে খুব একটা পছন্দ করিনা কিন্তু মাঝে মাঝে আগে আম্মুর ঝাড়ির কারনে পড়তে হতো যেহেতু আমার কোন পছন্দ নেই তার পর ও একটা সিম্পাল গোল্ড সেট পছন্দ করলাম ।বড়মাকে তা দেখালাম বড়মা তা দেখে বলতে লাগে
বড়মা :তুমি আমার একমাত্র ছেলের বউ তোমার জন্য আমি আনকমন কিছু চাচ্ছি যা সবচেয়ে অন্যরকম নজর কাড়া থাকবে ঠি ক তোমার মত ।ভারি কিছু পছন্দ করো যা পড়লে পুরো অনুষ্টানে সবাই তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে ।
আমি:actually বড়মা আমার জুইলারি সম্পর্কে তোমন ধারনা নেই আপনি চয়েজ করেন
বড়মা:ওকে আমি চয়েজ করে দিচ্ছি
বড়মা heavy গোল্ড সেট পছন্দ করলো পুরো সেটটা সত্যি অসাধারন আর আনকমন বড়মার চয়েজ সত্যি খুব সুন্দর ।লোক দুজন চলে গেল বিয়ের ডেট ১ সাপ্তাহ পরে অনেক কাজ এত বড় অনুষ্টান এত লোক আলবে বড়মা বেশ চিন্তা করতে লাগলো wedding planners,make up artist,সবকিছু বুক করে রেখেছে সবাই বেশ ব্যস্থ হয়ে পড়েছে এখন থেকেই কাজে ।আগামী কাল শপিং করতে যাবে বড়মা আমাকে জানিয়ে দিলো ।কাল থেকেই বাড়িতে গেস্ট আসা শুরু হবে সবাই উনার নানু দাদু বাড়ির আত্বিয় স্বজন ।সব লিস্ট করা কমপ্লিট ।রাতে ডিনার করে নিজের রুমে চলে গেলাম রুমে গিয়ে ফেসবুকে লগইন করলাম ফেসবুকে লগইন করে দেখি অনেক নটিফিকেশনে ভরা আর ইনবক্সে ২০+ মেসেজ আমি পুরো হা করে আছি ।প্রত্যেক মেসেজ প্রায় একই যে কবে বিয়ে করলাম ,কাউকে না জানিয়ে কেন বিয়ে করলাম আরো ব্লা ব্লা … ।আমার বিয়ের কথা সবাই জানলো কি করে তাই সন্দেহের বসে প্রফাইল চেক করলাম প্রফাইল চেক করে পুরো হা হয়ে আছি রিলেশন স্টেটাস মেরিড দেওয়া উনার অইডির সাথে আর নিক নেক মিসেস খাঁন দেওয়া ।আমার আর বুজতে বাকি রইলো না এটা কার কাজ ।আমি উনার রুমে চলে গেলাম
রুমে….
রুমে প্রবেশ করে দেখি উনি কারো সাথে ফোনে কথা বলছে
আরসাল:হুম ও যেন কোন কিছু টের না পায় সবকিছু যে প্লান অনুযায়ী হয় ও যেন সব বিশ্বাস করে কোন সন্দেহ যেন না হয় …
হঠাৎ আমার দিকে চোখ পড়তেই তিনি থতমত খেয়ে যায় উনি হাসির রেখা টেনে বলতে লাগে
আরসাল:ক..কখন আ..আসলে ?
আমি:মাত্রই এসেছি ।আমি এটা কি করে করতে পারেন আমার সাথে (রেগে)
আরসাল:(ভয়ে ভয়ে )ক…কোন ..,টা
চলবে….
❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
আরসালেরই থাকবে সায়রা আলাদা হবেনা ওরা বাট গল্পে নতুন কিছু হবে ।আর রিসার শাস্তিও রিসা পাবে কঠিন শাস্তি হবে ???
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️