Deewana (A crazy lover)Part:4
Writer: urme prema (sajiana monir )
বাড়িতে………..
বাড়িতে এসে সায়রা সরাসরি নিজের রুমে চলে গেল ।রুমে যেয়ে দরজা লক করে দিলো ।গিফ্টের পেকেটা খুলে দেখে ভিতরে dairy milk এর rich dry fruits চকলেট বক্স ।ফ্লাওয়ার বুকেতে বিভিন্ন রকম গোলাপ ফুল ।সব সায়রার favorite
সায়রা:এসব তো আমার ফেবারেট যা আরসাল খুব ভালো করে জানে তাহলে কি এই সব কিছু আরসাল করেছে? যদি উনি করে থাকে তাহলে কেন আমার সামনে আসছে না ? কেন এই লুকোচুরি করছে ? (মনে মনে)
হঠাৎ দরজায় কে যেন নক করলো সায়রার ধ্যান ভেঙ্গে যায়।সায়রা দরজা খুলে দেখে রিদ্ধি আর সায়রার মা দাড়িয়ে আছে রিদ্ধির হাতে শপিং ব্যাগ আর সায়রার মার হাতে জুইলারী বক্স ।সায়রা দরজা খুলতেই তারা ঘরে প্রবেশ করে ।রিদ্ধি সায়রার কাছে এসেই শপিং ব্যাগটা সায়রার হাতে দিয়ে বলতে লাগলো
রিদ্ধি:সায়রু যা তো শাড়িটা পড়ে নে
সায়রা:কিন্তু কেন দি ?শাড়ী পড়বো কেন ?আর তুমি হঠাৎ এসময় বাসায় আসলে আবার আমাকেও ইমারজেন্সি বাসায় আসতে বললে কেন দি?
রিদ্ধি:এতো প্রশ্ন এক সাথে করলে জবাব কি ভাবে দিবো ?
সায়রা:একটা একটা করে জবাব দেও নো প্রবলেম(মজা করে)
রিদ্ধি:ওয়েল আজ আফনাফ আংকেলদের বাড়িতে পার্টি আছে আর সবাইকে ইনভাইট করেছে ।আর তাই তোকে ইমার্জেন্সি আসতে বলেছি ।
সায়রা :হঠাৎ কিসের পার্টি দি?বড় আব্বু ,বড় মার anniversary তো নেক্সট মান্থ ,আর দুজনের বার্থডে তো চলে গেছে তাহলে এখন কিসের পার্টি দি?
রিদ্ধি:এমনি ফেমিলি গেট টুগেদার (আমতা আমতা করে )
সায়রা:ও আচ্ছা ।কিন্তু আমি কেন শাড়ি পড়বো। ( রিদ্ধির দিকে তাকিয়ে)
মা:কারন তুমি ঐ বাড়ির একমাত্র ছেলের হবু বউ ।আরসালের ফুপি খালামনি আরো আনেক গেস্ট আসবে সেখানে আসবে তারা তোমাকে দেখতে চাইবে তাই তোমাকে শাড়ি পড়তেই হবে।
সায়রা:মা আমি এংগেস্টমেন্ট এর পর এই ৬ বছরে শত বার সেখানে গিয়েছি বিভিন্ন ফাংশনে তখন তো শাড়ি পড়নি তাহলে আজ কেন?(অসহায় ফেস করে)
মা:কারন আমি বলেছি তাই।আর এই নিয়ে আর কোনো কথা শুনতে চাই না ।(রেগে )
সায়রা:ওকে মা আমি শাড়ি পরবো ।কিন্তু আমি তো শাড়ি পড়তে পারিনা (মন খারাপ করে)
রিদ্ধি:আমি রেডি করে দিচ্ছি (সায়রার কাছে এসে )
সায়রা :ওকে দি
রিদ্ধি সায়রাকে exclusive ডিজাইনার রয়েল ব্লু কালারের উপর হোয়াইট স্টোনের কাজ করা শাড়ী পড়িয়ে দিলো সাথে গোল্ডেন ব্লাউজ ।হালকা এয়ারব্রাশ মেকআপ ।সিম্পল ডিজাইনের গোল্ড জুইলারী পরিয়ে দিলো ।সায়রাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।পুরো পুতুল মনে হচ্ছে।হঠাৎ রুমে দিয়া আর পাখি আসে ।এসে বলতে লাগে
দিয়া :ওয়াও বালিকা বধূ আজ তো তোকে পুরো বউ বউ লাগছে
পাখি :সায়রাদি তোমাকে সত্যি আজ খুব সুন্দর লাগছে
সায়রা :থেংক ইউ (মুচকি হেসে)
পাখি:কিন্তু আমি তোমার থেকে বেশি সুন্দর (ভাব নিয়ে)
সায়রা:(হাসতে হাসতে )হুম বুজেছি ।
হঠাৎ রিদ্ধির মোবাইলে ফোন আসে ।রিদ্ধি বারান্ধায় চলে যায়।গিয়ে ফোন রিসিভ করে ।
রিদ্ধি:hello বল
……………..
রিদ্ধি :হে কাজ হয়েছে ।অনেক কষ্টের পর শাড়ি পড়তে রাজি হয়েছে তোর বউ।
……………….
রিদ্ধি:না সন্দেহ করেনি ।কিন্তু গয়েন্দাগিরি করছিল পরে আন্টি সব সামলিয়েছে।
……………..
রিদ্ধি:হুম সেখানে সব রেডি তো ? হে আমরা সবাই কিছুক্ষোনের মধ্যেই বের হব।
………………
রিদ্ধি :ওকে বায় ।
সবাই রেডি হয়ে আফনাফ খানের বাড়িতে চলে যায়।
খানঁ মেনশনে…….
সায়রা বাড়ির সামনে আসতেই এক অন্যরকম অনূভূতি হয়।অন্যরকম টান অনূভব করে।তার মনের ভিতর থেকে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে।যেন কোন ভালো কিছু আজ তার সাথে ঘটবে ।মনে হচ্ছে ভিতরে তার জন্য কেউ অধির অপেক্ষা করছে ।সায়রা আস্তে আস্তে গাড়ি থেকে নামে ।ভিতরের দিকে যেতে থাকে ।বাড়ির দরজার সামনে আসতেই মুমতাহা খানঁ (আরসালের মা)এসে সায়রাকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
মুমতাহা খানঁ :এসে পরেছে আমার বাড়ির আলো।কেমন আছো মা?
সায়রা:ভালো। তুমি কেমন আছো বড়মা ?
মুমতাহা খাঁন :ভালো না (মন খারাপ করে মুখ ঘুরিয়ে)
সায়রা :কেন বড় মা ?
মুমতাহা খানঁ :তুমি তো আমাকে ভুলেই গিয়েছো ?এখন আর আগের মত আসো না ।আমার সাথে গল্প কর না ।তোমাকে খুব মিস করি (অভিমানী কন্ঠে)
সায়রা:(কান ধরে) সরি বড় মা university র জামেলার কারনে আগের মত আসতে পারিনা ।কিন্তু প্রমিজ করছি এখন থেকে আবার আগের মত আসবো পাক্কা (মুচকি হেসে)
মুমতাহা খানঁ :কিছুদিনের ভিতরে একেবারেই নিয়ে আসবো এই বাড়ির বউ করে এ বাড়িতে
সায়রা কিছুটা লজ্জা পায়।মাথা নিচু করে ফেলে।মুমতাহা খানঁ আবার বলতে শুরু করে
মুমতাহা খানঁ:আজ আমার মেয়েকে দারুন লাগছে।পুরো পুতুলদের মত।(চোখ থেকে কাজল নিয়ে সায়রার কানের পিছনে লাগিয়ে বলতে লাগে)নজর না লাগে যেন আমার মেয়ের ।সুখি হও মা।সব সময়ে এমন হাসি খুশি থাকো(মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)
তার পর সবার কুশল বিনিময় করে ভিতরে গেলো। ভিতরে অনেক গেস্ট ।কিছুসময় পর রিদ্ধির পরিবার ও আসলো ।সবাই যার যার মত কথা বলছে।সায়রা রশ্নি মুন দিয়া এক সাথে কথা বলছিলো ।হঠাৎ হলের সব লাইট অফ হয় যায়।হঠাৎ গিটারে শব্দ পায় সবাই সিড়ির দিকে ।সায়রা ও তাকায় আবছা আলোতে দেখে একটা ছেলে পিছন ফিরে দাড়িয়ে আছে।ছেলেটা সামনে ফিরতেই লাইট অন হয়ে যায়।সায়রা ছেলেটারকে দেখেই বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।ঠোটেঁ হাসির রেখা ফুটে উঠে চোখে মুখে আনন্দ খুশি ফুটে উঠে ।মুখে দিয়ে আনমনেই বলে
সায়রা:আ …আরসাল
আরসাল রয়েল blue স্যুট পড়েছে পুরো কিলার লুক সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে ।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে গিটার বাজিয়ে গান গাইতে শুরু করে
Tum kyu chale aate ho
Har roz in khwabo mein
Chupke se aa bhi jao
Ek din meri bahoo mein
Tere he sapne andhero
Mein ujaalo mein
Koi naasha hain tere aankho
Ke pyalo mein
Tu mere khwabo mein
Jwabo mein sawaalo mein
Har din churaa tumhe
Laata hoon khayalo mein
Kya mujhe pyaar hai ya………..
Kaisa khumar hai ya……………
Kya mujhe pyaar hai ya………..
Kaisa khumar hai ya……..
গানের প্রত্যেকটা কথা যেন সায়রা কে বলছে ।সায়রা শুধু মন ভরে আরসালকে দেখছে।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে পুরোটা গান নিজের মনের অনুভূতি দিয়ে গাইলো ।গান শেষ হতে আফনাফ খানঁ আরসালের কাছে গিয়ে সবার উদ্দেশ্য বলতে লাগলো
আফনাফ খানঁ :মিট মাই সোন আফরাজ খানঁ আরসাল ।আজ ৬ বছর পর দেশে ফিরেছে।নিজের স্টাডি কমপ্লিট করে সেখানে আমার বিজনেস দেখাশোনা করতো।এখন থেকে দেশে আমাদের বিজনেস দেখাশোনা করবে।খানঁ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্টির নিউ এম.ডি ।
সবাই হাতে তালি দিলো ।আফনাফ খানঁ সবার সাথে আরসালের পরিচয় করে দিচ্ছে।সায়রার পরিবার রিদ্ধির পরিবার সবার সাথে কথা বলছে।আর সায়রাকে আরাল থেকে আর চোখে শুধু দেখছে ।
অন্যদিকে
মুন সায়রাকে বলতে লাগে
মুন:দেখ সায়রু আরসাল ভাইয়া আগের চেয়ে ও বেশি হেন্ডসাম হয়ে গেছে।
দিয়া:সায়রু আমি তো পুরো ক্রাশ খাইছি (আরসালের দিকে তাকিয়ে)
সায়রা:তো আমি কি করতে পারি?(রেগে ফুসতে ফুসতে)
মুন:বলছিলাম কি তুই যদি আরসাল ভাইয়াকে বিয়ে না করিস তাহলে আমি ও একটা চান্জ নিতাম আর কি
দিয়া:আমিও চান্জ নিতাম(আমতা আমতা করে)
সায়রা:কখনো কি তেলাপোকার স্যুপ, ইদুরেঁর ফ্রাই ,কড়লার জুস খেয়েছিস? (দাতঁ কট কট করে)
দুজনে ভয়ে ভয়ে না বোধক মাথা নাড়লো
সায়রা :নেক্সট টাইম এসব কথা বললে উনার দিকে নজর দিলে তোদের দুজনকে এসব খাওয়াবো (রাগে দাতেঁ দাতঁ চেপে)
মুন:তাহলে ওদের কি করবি যারা অলরেডি তোর উনার দিকে নজর দিয়ে রেখেছে(শয়তানি হাসি দিয়ে সামনে দিকে ইশারা করে)
সায়রা সামনে তাকিয়ে দেখে মেয়েরা আরসালকে ঘিরে আছে ।আরসালের সাথে কথা বলছে ।আরসালের সাথে সেলফি তুলছে।সায়রা এসব দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।সেখান থেকে চলে যায়।আরসাল এত সময় ধরে সব কিছুই দেখছিল আরচোখে ।সায়রা একা একা রেগে ফুসতে ফুসতে বলতে লাগে
সায়রা:এই তার ভালোবাসা ?সবার সাথে কথা বলছে শুধু আমার সাথে ছাড়া।একবার আমার দিকে তাকালো ও না।আবার আমার সামনে ঐ মেয়েদের সাথে হেসে কথা বলছে ।ইচ্ছে তো করছে ভেম্পায়ারের মত তার ঘাড়ে কামড় দিয়ে সব রক্ত খেয়েনি।সে যেহেতু নিজে থেকে আমার সাথে কথা বলবে না আমি কেন তার সাথে কথা বলতে যাবো?আমি ও তাকে ইগনোর করব হুহ(রেগে রেগে)
হঠাৎ সায়রা শাড়ির কুচিতে টান লেগে পড়ে যেতে নেয় ।সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলে ।কিন্তু হঠাৎ কেউ কমোড় জরিয়ে ধরে।সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে ।সামনে তাকিয়ে দেখে ।আরসাল ওর কমোড় জরিয়ে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে ওর দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে।আস্তে আস্তে সায়রার কানের কাছে এসে ফিস ফিস করে বলতে লাগে
আরসাল :এখনো আগের মত বাচ্চা রয়ে গেছো ।নিজের খেয়ালও রাখতে পারো না।তোমাকে অলয়েজ এর মতই আমাকেই সামলাতে হবে ।তোমাকে সামলানোর জন্য আমি এসে গেছি।
সায়রা আরসাল দুজন দুজনের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ কারো কথায় দুজনের ধ্যান ভাঙ্গে ।দুজন ঠি ক হয়ে দাড়ায় পিছনে তাকিয়ে দেখে সায়ন আর রিদ্ধি।সায়রা লজ্জা পেয়ে চলে গেল।
রিদ্ধি:আরসাল পাবলিক প্লেসেই romance শুরু করে দিয়েছিস ।আসে পাশে সবাই দেখছে সেদিকে খেয়াল আছে?সবাই ফ্রি তে রোমান্টিক সিন দেখছিলো(দুষ্টু হাসি দিয়ে মজা করে)
সায়ন:ওয়াও কি সিন ছিল ইয়ার (হাসতে হাসতে)
আরসাল:তোদের জন্য আর রোমেন্স করতে পারলাম কই ।এমন কিছুই না ওকে ।ও পরে যাচ্ছিল আমি শুধু হেল্প করছিলাম।
রিদ্ধি:হ্যা তা দেখতেই পাচ্ছিলাম ।আফসোস করিস না ও কিছু দিন এখানেই থাকবে তখন মন ভরে রোমেন্স করিস
আরসাল :সত্যি ছোট মা(সায়রার মা) রাজি হয়ে গেছে ?(খুশি হয়ে)
রিদ্ধি:হুম। আন্টি (আরসালের মা)বলেছে তাই উনি না করে নি ।
আরসাল:ওয়াও আম্মু গ্রেট সব কিছু বলার আগেই বুজে যায়।যাক কিছুদিন সায়রা এখানে থাকলে ওর অভিমান ভাঙ্গাতে পারবো ।আর নিজের কাছে রাখতে পারবো।ট্যরেসে সবকিছু এরেন্জমেন্ট কমপ্লিট হয়েছে।
রিদ্ধি:yea সব কমপ্লিট
পার্টি শেষ সব গেস্ট এক এক করে চলে গেল।সায়রার পরিবার ও চলে গেল ।মুমতাহা খানঁ সায়রাকে যেতে দেয়না।কিছুদিনের জন্য নিজের কাছে রেখে দেয় সায়রা অনেক অজুহাত দেখালেও কোন কাজ হয় নি।সায়রা মা গাড়ির ড্রাইবারকে দিয়ে সায়রার ড্রেস পাঠিয়ে দেয়।সায়রা রুমে যায় হঠাৎ সায়রার ফোনে রিদ্ধি ফোন দেয়।সায়রা রিসিভ করে
সায়রা:hello দি
রিদ্ধি:hello সায়রু তুই একটু ট্যরেসে আয়
সায়রা:এই সময়ে ?কেন দি?
রিদ্ধি:তুই আয় কাজ আছে।গয়েন্দাগিরি পরে করিস ।
সায়রা:ওকে দি আসছি।
ফোন কেটে সায়রা ট্যরেসে চলে গেল ।ট্যরেসে গিয়ে দেখে পুরো অন্ধকার কেউ নেই।ফিরে আসতে নেয় হঠাৎ করে সব লাইট জ্বলে উঠে ।চারদিকে বিভিন্ন লাইট দিয়ে ডেকোরেশন করা ।সামনে বিভিন্ন ফুল আর সাদা নেট দিয়ে ডেকোরেশন করা ।সামনে বড় করে লিখা 6th anniversary jan ।হঠাৎ সায়রাকে পিছন থেকে আরসাল কমোড় জরিয়ে ধরে সায়রার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে কানের কাছে নেশা ভরা কন্ঠে লো ভয়েসে বলতে লাগে
আরসাল:happy anniversary jan .আজ আমাদের Engagement এর ৬ বছর পূর্ন হল।তোমাকে আজ একদম বউ বউ লাগছে আমার পিচ্ছি বউ ।আমার কল্পনার চেয়ে বেশি সুন্দর লাগছে।ইচ্ছে করছে তোমাকে আজই নিজের করে নেই ।শাড়িটা দেখার পর তােমাকে যেই ভাবে কল্পনা করেছি বাস্তবে তার চেয়ে বেশি সুন্দর লাগছে।পুরো হুর শুধু আমার হুর । জানি তুমি খুব রেগে আছো অনেক অভিমান জমে আছে আমার উপর ।আজ তোমাকে সব বলবো তোমার সব অভিমান ভাংবো ।ছয় বছর আগে সেদিন ঐ ছেলেকে যখন দেখেছি তোমার হাত ধরে প্রপোজ করছে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি।কি ভাবে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করবো বল ?তুমি তো সেই ছোট থেকে আমার তাই না ?তোমার উপর সব সময়ে শুধু আমার অধিকার তো তোমাকে অন্য কেউ স্পর্শ করবে তা আমি কি করে সয্য করতাম ।কেউ খারাপ চোখে তাকালে তার চোখ উঠিয়ে দেই সেখানে ঐ ছেলে তোমাকে স্পর্শ করার সাহস করেছে।তোমার হাত ধরেছে তাকে কি আমি ছেড়ে দিতাম বলো?তাই তাকে মেরেছিলাম সেদিন আর তুমি তাকে মারতে বাঁধা দিচ্ছিলে তাই রাগটা আরো বেড়ে যায়।তার উপর তুমি বলেছিলে আমাকে দেখতে চাও না ,ঘৃনা কর তাই তোমার তোমার উপর হাত তুলে ফেলেছি থাপ্পর দিয়ে ফেলেছি।তার জন্য সরি জান।সেদিন তোমাকে হারানোর ভয়টা বেড়ে গিয়েছিলো তাই সেদিন বাসায় ফিরে বাবা মায়ের কাছে তোমাকে বিয়ের কথা বলি ।তারা প্রথমে কিছুতেই রাজি হয়নি তুমি তখন ছোট তাই।পরে তাদের অনেক কষ্টে রাজি করি।তারা রাজি হয় কিন্তু শর্ত ছিল তোমার সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারবো না university তে admission এর আগে ।আমার কারনে যাতে তোমার স্টাডির কোন ক্ষতি না হয় তাই এ শর্ত দিয়েছিল।প্রথমে মানতে না চাইলে ও পরে তোমাকে পাবার জন্য সব শর্তে রাজি হয়ে যাই ।তাদের প্রমিজ করি আমি তাদের সব শর্ত মানবো।সেদিন বিকেলে তোমাদের বাড়িতে আব্বু আম্মু আমি যাই ।প্রথমে ছোট আব্বু ছোট আম্মু কে বললে রাজি হয় না পরে অনেক কষ্টে রাজি করাই সেদিন রাতে Engagement করে পরের দিন লন্ডনে চলে যাই ।জানি তোমার এই Engagement এ মত ছিল না, খুব রেগে ছিলে আমার উপর কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না তোমাকে হারানোর ভয়টা খুব বেশি ছিল ।তাই এসব করেছি।তুমি আমার পাগলামো ভালোবাসা তোমাকে যে আমার চাই চাই (ঘাড়ে চুমু দিয়ে)তুমি কি ভেবেছো আমি এই ছয় বছর তোমাকে না দেখে থেকেছি? তোমাকে না দেখে তো আমি এক মূহূর্ত বাচঁবো না ৬ বছর তো অনেক দূরের কথা।তাই যাওয়ার আগে রিদ্ধিকে দিয়ে তোমার বারান্ধায় রুমে ক্যমেরা সেট করেছি যাতে ২৪ ঘন্টা তোমাকে দেখতে পারি।
সায়রা অভাক হয়ে আরসালের দিকে তাকায়।আরসাল মুচকি হেসে আবার বলতে শুরু করে…..
চলবে…..
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
Thanks for supporting me ❤️❤️❤️