Deewana (A crazy lover)Part:42

0
4151

Deewana (A crazy lover)Part:42

Writer: urme prema (sajiana monir)

Part:42

আমি পেকিং করছি মুন আমাকে সাহায্য করছে ।হঠাৎ রুমে আরসালকে প্রবেশ করতে দেখে মুন বাহিরে চলে যায়।আরসাল রুমে ডুকে দরজা লক করে দেয়।আমি কাবার্ড থেকে কাপড় বের করে তা বেডের দিকে নিয়ে যাচ্ছি এই মুহূর্তে আরসালের দিকে তাকানোর ক্ষমতা আমার নেই কারন তার দিকে তাকালে এখন যেতে পারবো না তার চোখের মায়া ছাড়াটা আমার পক্ষে সম্ভব না ।আমি পেকিং করছি উনি সূক্ষ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।হঠাৎ করে উনি আমাকে টান দিয়ে তার দিকে ঘুরায় হঠাৎ হেচকা টান দেওয়ায় আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই আমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছি উনি নিচু স্বরে বললো

আরসাল:আমার দিকে তাকাও

আমি আস্তে আস্তে মাথা তুলে তার দিকে তাকালাম দেখি তার চোখ টলটল করছে কেমন যেন চেহারা হয়ে আছে আগের মত সেই চমকটা নেই ।মন মরা হয়ে আছে তার চোখে অসিম মায়া আর টান দেখতে পাচ্ছি যা চিৎকার করে বলছে যে আমাকে সে যেতে দিবেনা ।তিনি নিচু স্বরে বলতে লাগে

আরসাল:না গেলে হয় না?আমার তোমাকে যেতে দিতে ইচ্ছে করছেনা

আমি:এখন যাওয়াটা জরুরী ।আমাদের জন্য এমনি সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছে নতুন করে আবার কোন কষ্ট দিতে চাইনা ।আমি এখন তাদের সাথে না গেলে সারাজিবনের জন্য তারা আমার থেকে দূরে চলে যাবে ।সমাজে রিসার ফেমিলির কাছে আমার জন্য তাদের ছোট হতে হয়েছে আমি চাইনা আবার তারা ছোট হোক ।(নিচের দিকে তাকিয়ে)

উনি বেশ কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে উনার শান্ত রূপের আরালে যে তার রাগি রূপটা রয়েছে আমি তা বেশ ভালো ভাবেই টের পাচ্ছি ।উনি কিছুক্ষন পর বড় একটা শ্বাস ছেড়ে বলতে লাগেন

আরসাল:ওকে তুমি যাচ্ছো ঠি ক আছে কিন্তু আমার কিছু শর্ত আছে

আমি তার দিকে তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে চোখে তাকালাম না জানি আবার কি শর্ত দিবে ।আমি তার দিকে তাকিয়ে ভিতু গলায় বলতে লাগলাম

আমি:ক….কি শর্ত ?

উনি আমার বেশ কাছে এসে আমার গালে তার একহাত রেখে বলতে লাগে

আরসাল:ভয় পাবার কোন কারন নেই জান তোমাকে এমন কোন শর্ত দিবো না যা তুমি মানতে পারবে না ।

তিনি আবার বলতে লাগলেন

আরসাল:আমার প্রথম শর্ত হলো তুমি নিজের খেয়াল রাখবে ।দ্বিতীয়ত তুমি আমার কাছ থেকে কোন কথা লুকাবে না সেখানে যা হবে তা আমাকে জানাবে ।তৃতীয়ত আমি ফোন দিলে সাথে সাথে তা রিসিভ করবে দেরি যাতে না হয়।চতুর্থ সব সময় হাসি খুশি থাকবে ।

উনার শর্ত গুলো শুনে পুরো স্থব্দ হয়ে রইলাম উনি এইসব শর্ত দিবে তা আমার কল্পনার বাহিরে ছিল ।আমি শুধু ভয় পাচ্ছিলাম ।উনার ভালোবাসা যত গভীরে যাচ্ছি ঠি ক ততটা ভালো করে তার সাথে পরিচীত হচ্ছি তার ভালোবাসার সাথে পরিচীত হচ্ছি ।সত্যি তার ভালোবাসার কোন তুলনা নেই অতুলনীয় তার ভালোবাসা তার প্রমিক রূপ যে আমাকে মুগ্ধ করে সে কি তা বুঝে ?আমি তাকে জরিয়ে ধরে তার বুকে মাথা রেখে মুচকি হেসে বলতে লাগলাম

আমি:আমি আপনার সব শর্ত শুনবো সব শর্ত মানবো ।আপনিও নিজের খেয়াল রাখবেন কোন রাগারাগি পাগলামি করবেন না ।খুব তারাতারি আপনার কাছে সারাজিবনের জন্য চলে আসবো তখন আপনার কাছ থেকে দূরে যাবোনা ।

আরসাল আমাকে তার সাথে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে

আরসাল:হুম যখন তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো তোমাকে আর নিজের থেকে দূরে যেতে দেবনা সারাজিবন এভাবেই নিজের বুকের মাঝে আগলে রাখবো এভাবেই জরিয়ে ধরে রাখবো ।লাভ ইউ জান

আমি:লাভ ইউ টু (জরিয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে )

বেশ কিছুক্ষন তার বুকের মাঝে এভাবেই মাথা রেখে ছিলাম এক অন্য রকম শান্তি লাগছে ।তার থেকে দূরে যেতে ইচ্ছে করছেনা কিন্তু এখন তো যেতেই হবে ।হঠাৎ দরজা নকের শব্দে হুস ফিরে তার থেকে দূরে সরে দাড়াই ।উনি দূরে সরে দরজার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:হুম ভিতরে আসো

মুন রুমে প্রবেশ করে মিট মিট করে হেসে বলতে লাগে

মুন:জিজু এখন যেতে দেন কিছুদিন পর তো সারাজিবনের জন্য আপনার কাছেই আসছে ।এখন যেতে দেন নাহলে তারাতারি কি করে আপনার কাছে আসবে ।নিচে সবাই সায়রুর অপেক্ষা করছে ।

আরসাল আমার দিকে তাকিয়ে মুনকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগে

আরসাল:এখন যেতে দিচ্ছি খুব তারাতারি সারাজিবনের জন্য নিজের কাছে নিয়ে আসবো তখন কাউকে আমার কাছ থেকে নিতে দিবো না ।সারাজিবনের জন্য আমার কাছে রেখে দিবো

উনি আবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগে

আরসাল:রেডি হয়ে নিচে আসো

আমি হ্যা বোধক মাথা নাড়ালাম ।উনি নিচে চলে গেল আমি পেকিং করে নিচে চলে গেলাম ।নিচে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে আমি সিড়ি দিয়ে নামতেই বড়মা আমাকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে

বড়মা:নিজের খেয়াল রেখো মা ।আর খুব তারাতারি তোমাকে একেবারের জন্য নিয়ে আসবো ।

আমি:হুম মা আপনিও নিজের খেয়াল রাখবেন ।

বড়মা আমার কপালে চুমু দিয়ে বলতে লাগে

বড়মা:হুম মা ।

বড়আব্বু বড়মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিলাম ।আসার সময় তাকে এক কনায় দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম ।‌অসহায় তার চাহনি আমি তার দিকে একবার তাকিয়ে বাড়িয়ে পড়লাম গাড়ি উঠতেই উনাকে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম ।আমার চোখ থেকে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো হয়তো তার থেকে দূরে যাওয়ার বিরহে তার আরালেই চোখের পানি মুছে ফেললাম ।যতক্ষন উনাকে দেখা যাচ্ছে ততক্ষন তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম গাড়ি গেট থেকে বের হয়ে যায় উনি চোখের আরাল হতেই চোখ ঘুরিয়ে সামনের দিকে তাকালাম।

বাড়িতে…..

বাড়িতে এসে গাড়ি থামে গাড়ি থেকে নামতেই সামনে দাদীমাকে দেখলাম দাদীমা আমি দাদীমাকে জরিয়ে ধরতে গেলে দাদীমা মুখ ফিরিয়ে রুমে চলে যায় আম্মু আব্বু দাদাজী সবাই যার যার রুমে চলে যায়।আজ নিজের বাড়িতে এসে খুবই অসহায় মনে হচ্ছে একা মনে হচ্ছে। কেউ আমার সাথে কোন কথা বলছেনা ।সবার এমন ব্যবহারে খুব খারাপ লাগছে খুব কান্না আসছে ।নিজের বাড়িতেই আজ পর পর মনে হচ্ছে সব কিছু অচেনা মনে হচ্ছে ।হঠাৎ করে পাখি পিয়াস দিয়া মুন জরিয়ে ধরে ।
দিয়া বলতে লাগে

দিয়া:আমি তোর জন্য খুব খুশি তুই বাড়িতে ফিরে এসেছিস ।সামনে তোর বিয়ে সবাই সব কিছু মেনে নিয়েছে

পাখি:সায়রু দি আমি কিন্তু তোমার বিয়েতে আমি তোমার সাথে সাজতে যাবো

পিয়াস:দি তুমি বাসায় এসেছো খুব ভালোলাগছে তোমাকে খুব মিস করছিলাম দি

ওদের এতো এতো ভালোবাসায় মন ‌অটোমেটিক ভালো হয়ে গেছে ।আমি জানি সবাই আমাকে ছেড়ে দিলেও আমার ভাই বোন গুলো কখনো আমাকে ছাড়বে না সব সময় আমার পাশে থাকবে ।আমাকে সব কাজে সাপোর্ট করবে ।ওদের সাথে বেশ কিছুক্ষন কথা বললাম মন ভালো হয়ে গেল ।রাতে নিচে সবাই বিয়ের প্লানিং করছে আমার সাথে কথা না বললেও সবাই সব কাজ ঠি কই করছে ।দাদাজী সবাইকে আগেই বলে দিয়েছে বিয়ের আয়োজনে যেন কোন কমতি না থাকে এলাকার মধ্যে এই পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিয়ের অনুষ্টান যেন হয় wedding planners,photographers,decoration, সবকিছুর বুক করা শেষ ।কার্ড ছাপাতে দিয়ে দিয়েছে লিস্ট করা শেষ ।যেখানে যা প্রয়োজন সব কিছু হচ্ছে কোন কিছুর কমতি রাখছেনা ।শুধু আমার সাথেই কোন কথা বলছেনা হয়তো তাদের খুব বেশি আঘাত করে ফেলেছি তাই হয়তো রেগে আছে কিন্তু আমি এসব কিছু করতে বাদ্ধ ছিলাম আমি যদি বিয়েটা না করতাম তাহলে হয়তো আরসালকে সারা জিবনের জন্য হারিয়ে ফেলতাম ।

রাতে…..

নিজের রুমে বসে আছি হঠাৎ ফোন বাজতে থাকলো ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি যে উনি ফোন দিয়েছেন ।মুখে নিজের ‌অজান্তেই হাসি ফুটে উঠে ফোন রিসিভ করে কানে দেই আমি কিছু বলার আগেই উনি উত্তেজীত হয়ে বলতে লাগে

আরসাল:কখন থেকে ফোন দিচ্ছি কোথায় ছিলে?সব ঠি ক আছে তো ?বাসায় কি কোন প্রবলেম হয়েছে ?

আমি :আস্তে আস্তে এত প্রশ্ন একসাথে করলে আগে কোন টা রেখে কোনটার উওর দিবো ??(হেসে)

আরসাল:(কিছুটা রেগে)আমার সাথে মজা করা হচ্ছে?জানো কত টেনশনে ছিলাম ?কোথায় ছিলে ফোন ধরছিলেনা কেন?

আমি:আমি নিচে ছিলাম বিয়ের প্লেনিং করছিল তাই ফোন রুমে ছিল তাই ধরতে পারিনি ।সরি

আরসাল:ইটস ওকে ।সব ঠি ক আছে তো ?দেখো আমার সাথে মিথ্যা বলার চেষ্টা করবেনা

আমি:হুম সব ঠি ক আছে কোন টেনশন করবেন না ।

আরসাল:সত্যি?

আমি:হুম সত্যি

আরসাল:পাক্কা

আমি :পাক্কা (মুচকি হেসে)এসব ছাড়েন এখন বলেন কি করছেন ?

আরসাল:আমার বউকে দেখছি

আমি:ও আচ্ছা ?তাই

আরসাল:হুম তাই ।বায় দ্যা ওয়ে অফ সোল্ডার টপস আর থ্রি কর্টারে তোমাকে হট লাগছে (মজা করে)

আমি:মানে আপনি আপনি আমাকে সিসি camera রায় দেখছেন তাই তো (অবাক হয়ে)

আরসাল:হুম জান

আমি:আপনি একটা অসভ্য শয়তানননননননন

আরসাল:তোমার বরই হুম ?। আচ্ছা শুন কাল শপিং এ যাবো ছোট আম্মু তুমি দিয়া মুন রেডি থেকো আমি আর আম্মু সকালে আসবো নিতে ।আম্মু ছোট মায়ের সাথে কথা বলেছে ।

আমি:ওকে

আরসাল:এখন তাহলে ঘুমাও জান অনেক রাত হয়েছে ।কাল দেখা হবে জান ।কাল আসছি বায়

আমি :বায় ।গুডনাইট

আরসাল:গুড নাইট ।লাভ ইউ

আমি:লাভ ইউ টু

আরসাল ফোন কেটে দিলো আমি ও ফোন সাইডে রেখে ঘুমের প্রস্তুতি নিলাম তার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম…..

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

সবাই একটু অপেক্ষা করুন গল্পে নতুন twist আসবে রিসার ও শাস্তি হবে ???আর সায়রার ফেমিলি রেগে আছে কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সায়রা আর আরসালকে আলাদা করা না ❤️❤️❤️

সরি কাল গল্প দিতে পারবোনা ???শনিবার বড় করে একটা পার্ট দিবো insaallah ❤️❤️❤️আর সবার আগের মত response পাচ্ছিনা গল্প কি ভালো লাগছে না আপনাদের ??????

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here