Deewana (A crazy lover)Part:48

0
5158

Deewana (A crazy lover)Part:48

Writer: urme prema (sajiana monir)

সায়রা আরসালের খালি বুকে মাথা রেখে বাচ্চাদের মত ঘুমিয়ে আছে আরসালের চোখে ঘুম নেই সায়রাকে দেখছে গভির ভাবে আর ভাবছে

আরসালের দৃষ্টিকোন থেকে…..

আরসাল:সায়রাকে আমি কতটা ভালোবাসি তা সবার অজানা নয় সায়রা আমার কাছে কি তা হয়তো নিজের ও জানা নেই আমার শুরুটা ও সায়রা থেকে আর সায়রাতেই শেষ ।আমার প্রথম আর শেষ ভালোবাসা সায়রা ।পাগলের মত ওকে ভালোবাসি ওকে পাবার জন্য কিনা করেছি ।কিন্তু এত ভালোবাসার পর ও ওর থেকে শুধু কষ্ট সন্দেহ অবিশ্বাস পেয়েছি আমি মানছি ও যা দেখেছে তার জন্য এমন রিএক্ট করা স্বাভাবীক কিন্তু আমাকে একবার জিগাসা করতো !যাচাই করতো !ওর কি মনে হয় ওর আরসাল কি এতটাই চরিত্রহীন ?এই সে নিজের আরসালকে চিনলো ?আমাকে সরাসরি সব জিগাসা করতো কিন্তু ও তা না করে নিজের ক্ষতি করেছে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছে ।ওকে কাল সেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার শ্বাস আটকিয়ে গিয়েছিলো নিজের পুরো দুনিয়া স্থব্দ হয়ে গিয়েছিলো মনে হয়েছে আমি ওকে সারাজিবনের জন্য হারিয়ে ফেলেছি ।ও কি বুঝেনা যে ওর জিবন আর ওর নেই এখন ওর নিজের উপর ওর কোন অধিকার নেই ও আমার ওর উপর সব অধিকার শুধু আমারই !ও কি করে পারলো নিজের ক্ষতি করতে ?সব সময় কেন ও আমাকে ভুল বোঝে কেন আমাকেই নিজের ভালোবাসার পরিক্ষা দিতে হয়?এবার ওকে বুজতে হবে আমার ভালোবাসাকে ওর ইগনোরটা কতটা কষ্ট দেয় আমাকে তা বুঝতে হবে ।এবার আমি ওকে ইগনোর করবো !তাইতো কাল থেকে আজ পর্যন্ত ওকে ইগনোর করে আসছি নিজের মন মানছে না নিজের মনের উপর জোর খাটিয়ে ওকে ইগনোর করছি আজ ওকে বউ সাজে দেখে ওর থেকে চোখ ফেরানো দায় হয়ে গিয়েছিলো একদম আমার মনের মত করে সেজেছে ঠি ক আমি যেমন সাজে ওকে বিয়ের দিন দেখতে চেয়েছিলাম ।অনেক কষ্টে নিজের চোখ ওর থেকে সরিয়েছি ।বিদায়ের সময় ওর কান্না দেখে খুব খারাপ লাগছিলো নিজেকে অপরাধি মনে হচ্ছিলো গাড়িতে ওকে কান্না করতে দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না তাই ওর হাতে হাত রেখে ওরদিকে টি স্যুটা এগিয়ে দিলাম ।রাতে ইচ্ছা করে দেরিতে রুমের মধ্যে ডুকেছি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু এসে দেখি আমার জন্য অপেক্ষা করছে ওর দিকে না তাকিয়ে ওয়াশরুমে যেতে নিলাম কারন আমি জানি ওর ঐ চোখের দিকে তাকালে আমি ওর মায়াজালে আটকিয়ে যাবো কিন্তু যার ভয় ছিল তা ই হলো ও আমাকে আটকালো আমার সামনে কান্না করতে লাগলো যা আমি সয্য করতে পারিনা তাই ওকে উলটা পালটা কথা বলে ওয়াশরুমে চলে যাই বেশ কিছু সময় পর বেড়িয়ে এসে দেখি ও সেভাবে ঘুমিয়ে গেছে তাই ওকে কলে করে নিয়ে বালিশে ঠি ক ভাবে শুয়িয়ে দেই ওর শরির থেকে গহনা গুলো খুলে দেই যাতে ওর ঘুমাতে কোন অস্বস্থি না লাগে লেহেঙ্গার ওরনা থেকে পিন গুলো খুলে দেই ওরনা পাশে রাখি যেই ওর থেকে সরে আসতে নেই ও আমার আর জরিয়ে ধরে আমি ওর দিকে ঝুঁকে পড়ি ওর উকে গভীর ভাবে দেখতে লাগি কাছের থেকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে কপালে টি প ঠোঁটে ড্রার্ক লিপস্টিক লেহেঙ্গার টপস ছোট হওয়ায় আর উরনা না থাকায় নাভির কাছে তিলটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ।সায়রা বির বির করে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলতে লাগে -স..সরি !প্লিজ আ…আমার থেকে দূ..দূরে যাবেন না আ….আই ল..লাভ ইউ ! ওর এমন কথা শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনা উপেক্ষা করতে পারিনা পাগলের মত করে ওর কপালে গালে ঠোঁটে হাতে গলায় চুমু দিতে লাগলাম আর বার বার লাভ ইউ টু বলতে লাগলাম নিজের মধ্যে ছিলাম না বার বার ওর নেশা ধরে যাচ্ছে মাতাল হয়ে যাচ্ছি ওর নেশায় ।ওর মায়াবি চেহেরাটাকে উপেক্ষা করার মত ক্ষমতা আমার মাঝে নেই ।ও এর মাঝে নিভু নিভু চোখে আমার দিকে তাকায় আমি ওকে নিজের বুকের মধ্যে জরিয়ে ধরি ও মুচকি হেসে আমাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে আমার বুকের মাঝে আবার ঘুমিয়ে যায়।

সকালে……

সায়রার দৃষ্টিকোন থেকে……

ঘুম ভেঙ্গে যায় নিভু নিভু চোখে তাকাই দেখি আমি তার বুকের মাঝে আছি উনি আমাকে এখনো শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে নোড়তে পারছিনা ।পুরো রুম অন্ধকার হয়ে আছে পর্দার আড়ালে আবছা আলো আসছে ।তার খালি বুকে চুমু দিয়ে মাথা উচুঁ করে তার দিকে তাকালাম। দেখলাম উনার সামনের চুল গুলো উড়ছে উনার কপালে চুমু দিয়ে নিজেকে তার থেকে ছাড়িয়ে বেড থেকে উঠলাম দেখি পাশে বেড বক্সে আমার গহনা গুলো রাখা লেহেঙ্গার ওরনাটা ও সাথে ।মুখে হাসি ফুটে উঠে আমি জানি উনি আমার উপর যতই রেগে থাকুক না কেন উনার ভালোবাসা আমার প্রতি কখনো কমবেনা আমার প্রতি যতই রেগে থাকুক না কেন কখনো আমার কেয়ার করা ছাড়বেনা ।আমি কাবার্ড থেকে জামদানি লাল শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম ।ফ্রেশ হয়ে বের হলাম উনি এখন ও ঘুমে আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল জাড়তে লাগলাম শাড়ি পড়ার চেষ্টা করছি কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছি বুঝতেই পারছিনা কোন সাইডে গুজঁবো ।আয়নাতে দেখি উনি এক চোখ বন্ধ করে অন্য চোখ খুলে আমাকে চুরি করে দেখছে আমি পিছনে তাকাতেই চোখ বন্ধ করে ঘুমের অভিনয় করছে ।উনার এমন কাজে আমার বেশ হাসি আসছে ।আমি আয়নাতে উনার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম

আমি:আপনার আমাকে দেখতে হলে চুরি করে দেখতে হবে না সরাসরি দেখতে পারেন আমি আপনার বিয়ে করা বউ

উনি আমার এমন কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠে বশে চেচিঁয়ে আমাকে রাগ দেখিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:কে তোমাকে দেখছে হুম ?আমি ঘুমাচ্ছিলাম

আমি:ও রিয়েলি??আপনি ঘুমাচ্ছিলেন?তাইলে আমি কি বলছিলাম তা আপনি কি করে শুনলেন ???(উনার দিকে ভ্রু নাচিঁয়ে)

আরসাল:আ…আমার মা..মাত্রই ঘুম ভেঙ্গেছে আর তার পর শুনেছি

আমি:অযুক্তিক কথা বলা অফ করেন ওকে

আমি আবার শাড়ি পড়তে শুরু করলাম শাড়ি বাম দিকে গুজঁলাম হঠাৎ উনি ফিক হেসে বলতে লাগলেন

আরসাল: বাম দিকে না ডান দিকে গুঁজো

আমি অবাক চোখে উনার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম

আমি :আপনি শাড়ি পড়াতে পারেন ?

আরসাল:না (মুখ ঘুরিয়ে)

আমি:দেখেন আমি জানি আপনি শাড়ি পড়াতে পারেন সো মিথ্যা বলবেন না ।প্লিজ শাড়িটা পড়িয়ে দিন না

আরসাল:আমি পারবোনা ।আম্মুকে বল

আমি :মা এখন বেস্ত কিছুসময় পর মহিলারা আসবে নতুন বউ দেখতে আর অন্য কাউকে বললে অন্য কেউ শুনে হাসবে প্লিজ আপনি না আমার ভালো বর আমাকে শাড়িটা পড়িয়ে দেন ।(বাচ্চাদের মত ফেস করে)

আরসাল কিছুসময় আমার দিকে তাকিয়ে কি জানো ভাবতে লাগলো তার পর শাড়ি পড়িয়ে দিতে লাগলো শাড়ি পড়ানোর সময় উনার হাতের স্পর্শ লাগছে আমার পেটে আমি বার বার কেপেঁ উঠছি ।উনি আমার দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে ।শাড়ি পড়ানো শেষ হলে আমি আয়নায় দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখতে লাগলাম -বাহ্ বেশ সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়েছে তো । আমি উনার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম

আমি:আচ্ছা আপনি শাড়ি পড়াতে পারেন আগে তো জানতাম না

আরসাল:হুম শিখতে হয়েছে আমি তো জানি আমার বউ কিছু পারে না শাড়িটা ও পড়তে পারে না তাই ভাবলাম আমিই শিখে নেই (মজা করে)

আমি উনার কাছে যেয়ে উনার দু কাধেঁ নিজের দু হাত রেখে বলতে লাগলাম

আমি:ও আচ্ছা তাই ?

উনি আমার কমোড় জরিয়ে ধরতে গিয়ে ও আবার হাত সরিয়ে দূরে যেতে নেয় আমি উনার হাত জোর করে আমার কমোড়ে রেখে উনার দিকে ছল ছল চোখে তাকিয়ে বলতে লাগলাম

আমি:এমন করছো কেন তুমি ?আমি পারছি না তো তোমার এই ইগনোর টা মেনে নিতে ।তুমি কি বুঝছোনা

উনি আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন হয়তো আমার মুখে তুমি শুনে ।তারপর তিনি আমার থেকে দূরে সরে কাবার্ড থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে ।আমি বেশ কিছুসময় উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম ।তারপর আমার রেডি হতে শুরু করলাম চোখে কাজল ঠোটেঁ হালকা লিপস্টিক কপালে কালে াটি প সিমপাল গোল্ড জুইলারি চুলগুলো ছেড়ে দিলাম।হাতের বেন্ডেজটা চেন্জ করা দরকার তাই চেন্জ করছিলাম হঠাৎ উনি ওয়াশরুম থেকে বের হলেন আমি উনার দিকে তাকালাম শরিরে বিন্দু বিন্দু পানি চুল গুলো হাত দিয়ে জাড়ছে সব মিলিয়ে তার উপর ক্রাশ খেয়ে ফেলেছি ।বেশ কিছু তাকিয়ে ছিলাম হঠাৎ উনার চোখে চোখ পড়তেই চোখ ফিরিয়ে নিলাম উনি শার্ট পড়ে নিলেন আমি বেন্ডেজ চেন্জ করায় মন দিলাম কিন্তু হচ্ছেনা পারছিনা ।আজ কিছুই হচ্ছেনা খুব রাগ লাগছে ।হঠাৎ উনি আমার সামনে বসে আমার হাত ধরে বেন্ডেস চেন্জ করতে নেয় আমি উনার কাছ থেকে হাত সরিয়ে বলতে লাগলাম -লাগবেনা আমি পাড়বো ।উনি আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবার আমার হাত তার কাছে নিয়ে চেন্জ করতে লাগে এবার আর সড়ানোর সাহস পেলাম না ।উনি যত্নে আমার হাতে বেন্ডজ চেন্জ করে দেয় ।তার পর হাতের উপর চুমু দিয়ে উঠে নিচে চলে যায় ।আমি উনার এমন ব্যবহারে হা হয়ে থাকি এই লোক কখন কি করে বোঝা বড় দায়।আমিও নিচে চলে গেলাম।

নিচে…..

আসে পাশের মহিলারা এসেছে নতুন বউ দেখতে আমাকে উনাদের সামনে বসানো হলো উনারা দেখে গিফ্ট দিতে লাগলো আরো না না কথা বলতে লাগলো ।বিভিন্ন প্রশ্ন করতে লাগলো সবার সাথে বেশ হেসে হেসে কথা বললাম ।উনি দূর থেকে আড় চোখে আমাকে দেখছে।আমি তা বেশ ভালো করেই বুজতে পারছি ।মহিলারা চলে গেলে সবাই একসাথে বসে ব্রেকফাস্ট করি ।ব্রেকফাস্ট করা শেষ হলে মা আমাকে রুমে পাঠিয়ে দেয় রেস্ট নিতে বলে সন্ধ্যায় ফাংশন তাই আমি উপরে রুমে এসে বেডে বসি হালকা মাথা ব্যথা করছে ।কিছুসময় পর দরজার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি….

চলবে….

❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here