Deewana (A crazy lover)Part:51

0
7428

Deewana (A crazy lover)Part:51

Writer: urme prema (sajiana monir)

উনার রাগ মিশ্রিত ভালোবাসা আর আমাদের খুনশুঁটির মাঝে দিনগুলো বেশ ভালোই যাচ্ছিলো ।উনার রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা চালিয়ে যাই ।হঠাৎ একদিন রাতে উনি লেট করে বাসায় ফিরে । রুমে উনার জন্য কফি নিয়ে যেতেই দেখি উনি অফিস থেকে ফিরে ড্রেস চেন্জ না করেই সোফায় বসে কাজ করছে উনার এমন কাজে রাগ হল মাত্রই তো ফিরেছে আর এখনই আবার কাজ ! তাই উনাকে জ্বালানোর জন্য মাথায় শয়তানি আইডিয়া আসলো উনার পাশে বসি উনার মনযোগ পুরো লেপটপের দিকে ।উনার পাশে বসে উনাকে বিরক্ত করতে লাগলাম কখনো উনার চুল নিয়ে আবার কখনো উনার গালে নিজের আঙ্গুল দিয়ে দুষ্টামি করতে লাগলাম ।উনি বেশ বিরক্ত ফিল করছে তা উনার চেহারা দেখে বোঝাই যাচ্ছে ।উনি বেশ বিরক্ত নিয়ে বলতে লাগে- উফ সায়রা ডিস্টার্ভ করনা আমাকে কাজ করতে দেও ।কিন্তু কে শুনে কার কথা উনাকে আরো বিরক্ত করার জন্য আমি সোফা থেকে উঠে উনার কলে বসে উনার খোচাঁ খোচাঁ দাড়িতে হাত বুলাতে লাগলাম উনি আবার বলল- সায়রা আমি একটা important কাজ করছি ডিস্টার্ভ করনা ।আমি তার পর ও উনার সাথে নিজের মত করে দুষ্টামি করতে লাগলাম আর উনি বার বার আমাকে warning দিচ্ছে হঠাৎ করে উনার সাথে দুষ্টামি করতে গিয়ে লেপটপটা নিচে পড়ে গেল ।উনি আমার দিকে রাগি চোখে তাকায় আমি ভয়ে তারাতারি করে উনার কোল থেকে উঠে দাড়িয়ে পড়ি ।উনি সাথে সাথে দাড়িয়ে আমার দু বাহু চেপে ধরে রেগে চিৎকার করে বলতে লাগে

আরসাল:এই মেয়ে এটা তুমি কি করলে ? সব সময় বাচ্চামি কর কেন ?কত বার বলবো যে আমি একটা important কাজ করছি ডিস্টার্ভ কর না তার পর ও তুমি বার বার একই কাজ করছো !তোমার কি কোন কমন সেন্স নেই ?একটা কথা এবার বললে বুঝ না ?মাথায় প্রবলেম আছে?দিলে তো আমার সারাদিনের কষ্টের উপর পানি ডেলে !(দাতেঁ দাতঁ চেপে )তুমি আসলে একটা…

উনি আর কিছু না বলে রেগে ওয়াশরমে চলে গেল ।আমি নিচের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলছি আজ উনার কাজে এমন ব্যবহারে আশা করি নি মানছি আমি ভুল করেছি কিন্তু যা হয়েছে আমি তা ইচ্ছে করে করিনি এটা জাস্ট একটা দুর্ঘটনা ছিলো ।তাই বলে উনি আমার সাথে এমন ব্যবহার করবে ! আমি এতটাই উনার কাছে দূরে চলে গেছি ? আমি এখন উনার বিরক্তের কারন হয়ে গেছি?উনার আজকের ব্যবহারে কথা কখনো আমি কল্পনাও করতে পারিনি ।ঠিক আছে উনি নিজের কাছ থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে তো ? আমি ও আর উনার কাছে যাবো না ।আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু এখন আর কোন চেষ্টা করবো না ,উনি আমার থেকে দূরে চলে যেতে চাইলে তা ই হবে ।নিজের চোখের জল মুছে পাশের রুমে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিলাম বেডে গাঁ এলিয়ে দিলাম ।বার বার উনার সেই রাগি চেহারার কথা মনে পড়ছে আর উনার কথা গুলোও ।বার বার কান্না আসছে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।

আরসালের দৃষ্টিকোন থেকে…….

আরসাল:ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দেখি সায়রা নেই হয়তো মায়ের কাছে চলে গেছে ।ওর সাথে এমন আচরন করা মোটেও ঠি ক হয়নি নিজের অন্যসব ঝামেলার চাপে মেজাজ খিটখিটে হবার কারনে ওর উপর শুধু শুধুই রাগ ঝেড়েছি ।আমার ওর সাথে এমন করা একদম উচিত হয়নি এটা দুর্ঘটনা ছিলো তা আমার বোঝার দরকার ছিল ।কিন্তু তা না করে ওকে উলটা পালটা কথা বলে দিয়েছি অফিসের সব রাগ ওর উপর ঝেরেছি ।ওকে আমার বুঝিয়ে বলার দরকার ছিলো কিন্তু তা না করে আমি কি করলাম ওকে বকে দিলাম ।ও আসলে ওকে সরি বলে দিবো ।আবার নিজের কাজে মনযোগ দিলাম কাজ শেষ হতে হতে বেশ রাত হয়ে গেল কখন এত সময় চলে গেল তা বুঝলামনা ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ২:৪৮ বাজতে চলেছে আর সায়রা এখনো রুমে আসে নি এতো সময় মার রুমে থাকার কথা না তাহলে কোথায় গেল? তা দেখতে রুমের বাহিরে খুঁজতে লাগলাম কোথাও নেই ।গেস্ট রুমের দিকে যেতেই দেখি দরজা লক করা তাই চাবি এনে দরজা খুলে দেখি বেডের মাঝে সায়রা হাত পা গুঁজে ঘুমিয়ে আছে ।হয়তো বেশ অভিমান করেছে আমার সাথে তাই এখানে ঘুমিয়ে গেছে ।রুমে ডুকে কোলে করে নিজেদের রুমে নিয়ে আসি বেডে শুয়িয়ে দেই তারপর নিজে ওর পাশে শুয়ে ওকে দেখতে লাগি ।ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আর না অনেক দূরত্ব হয়েছে আর না কালই সব ঠি ক করে নিবো ।আর ওকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখবো না ।ওকে পুরোপুরি ভাবে নিজের করে নিবো ।ওর যা বোঝার যা শাস্তি পাবার তা ও পেয়েছে তার না ।সায়রাকে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই ।

সকালে……

সায়রার দৃষ্টিকোন থেকে…….

ঘুম ভাংতেই মনে হলো কেউ আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে নড়ার শক্তি টুকু নেই তাকিয়ে দেখি উনি ।আমি তো রাতে একা গেস্ট রুমে ঘুমিয়েছিলাম তাহলে উনি আসলো কথা থেকে ? চারপাশে তাকিয়ে দেখি এটা গেস্ট রুম না এটা আমাদের রুম আমি এখানে কখন আসলাম ? আমি এসেছি নাকি উনি নিয়ে এসেছে ?উনি কেন আনবে ?উনি তো আমাকে এখন আর সয্যই করতে পারে না ।হয়তো আমিই রাতে ঘুমের ঘোড়ে এখানে এসে পড়েছি ।উনার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে আজ আর শাড়ি পড়লাম না কারন প্রতি দিন উনার থেকে শাড়ি পড়াটা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে আর আমি পারিও না শাড়ি পড়তে আজ আমি উনার কাছে যাবোনা কারন কাল রাতেই মনে মনে সিদান্ত নিয়ে ফেলেছি উনার থেকে দূরে থাকবো ।তাই গ্রাউন পড়লাম বের হতেই দেখি উনি ঘুম থেকে উঠেছে আমি উনার দিকে একবার তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিজের মত রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম ।

আরসালের দৃষ্টিকোন থেকে….

আরসাল:সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সায়রা পাশে নেই ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ আসছে তারমানে ও ওয়াশরুমে আছে শাওয়ার নিচ্ছে ।কিছুসময় পর দেখি ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে কিন্তু গ্রাউন পড়া হয়তো আমার থেকে দূরে থাকার জন্য কালকে রাতের ঐ ব্যবহার নিয়ে হয়তো খুব বেশি রেগে আছে তাই হয়তো এমন করছে ।আমি ওকে সরি বলতে যাবো আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ও নিচে চলে গেল ।আমি ও যাওয়ার দিকে বেশ কিছুসময় তাকিয়ে থাকলাম তার পর ওয়াশরুমে শাওয়ার নিতে চলে গেলাম বের হয়ে দেখি বেডের পাশে টেবিলে কফি রাখা রুমে কেউ নেই রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম ।নিচে গিয়ে দেখি সায়রা আম্মুর সাথে ব্রেকফাস্ট রেডি করছে ।ব্রকফাস্ট করার সময় ও আমার থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে বসেছে ।ব্রেকফাস্ট করে রুমে বসে আছি ওর জন্য প্রতিদিন জোর করে ও আমার টাই বেধেঁ দেয় আর ফলে আমার থেকে জোর করে কপালে চুমু নেয় ওর সামনে বিরক্ত হবার অভিনয় করলেও আমার বেশ ভালো লাগে যখন ও আমার উপর জোর খাটায় ওর এই ছোট ছোট পাগলামি গুলো এখন আমার অভ্যাস হয়ে গেছে ।ওর জন্য অপেক্ষা করছি কিন্তু ওর আসার নামই নেই তাই বাধ্য হয়ে ওকে ডেকে পাঠালাম কিছুসময়ের মধ্যে ও রুমে পৌছালো আমার দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে জিগাসা করলো

সায়রা :কিছু দরকার ?

আরসাল:হুম ।(ওর দিকে টাই এগিয়ে দিয়ে)টাই বেধেঁ দেও

আরসাল:ও কোন শব্দ না করে আমার দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে টাই বাধঁতে লাগলো আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি টাই বেধেঁ আমাকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে আবার নিচে চলে গেল প্রতিদিন কপালে চুমুর জন্য বেশ জোর করে কিন্তু আজ না নিয়েই চলে গেল হয়তো খুব বেশি রেগে আছে ।আমি অফিসে চলে গেলাম ।এভাবে বেশ কিছুদিন চলতে লাগে অফিসের কাজের চাপে সায়রাকে ঠি ক মত সময় দিতে পারছিনা ।অফিসে একাউন্ডে বেশ কিছু ঝামেলা আছে তাছাড়া কম্পানি নতুন ডিল পেয়েছে প্রজেক্টাটা অনেক বড় তাই অফিসে বেশি সময় দিতে হচ্ছে।বাসায় ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায় এসে দেখি সায়রা ঘুমিয়ে গেছে আর সকালে আমি ঘুম থেকে উঠার আগেই ও উঠে পড়ে কথা বলার কোন সুযোগই পাই না ।বরাবর আমাকে ইগনোর করে আমি বাড়িতে যতক্ষন থাকি আমার থেকে পালিয়ে বেড়ায় ।একমাত্র রাতেই ওকে নিজের কাছে পাই তাও ঘুমন্ত অবস্থায় ওর এই ঘুমন্ত চেহারা দেখেই নিজের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করি ওরে ঘুমন্ত অবস্থায় ওর অজান্তেই আদর করে নিজের মনের তৃষনা মিটাই ।এভাবে আরো ১ সাপ্তাহ কেটে যায় ।

সায়রার দৃষ্টিকোন থেকে…..

উনার থেকে নিজেকে দূরে রাখছি ইচ্ছে করে ইগনোর করছি এক ছাদের নিচে দুজন থাকার পর ও একে অপরের কাছে থেকে দূরে থাকছি ।উনার থেকে ইচ্ছে করে দূরে পালাচ্ছি কারন আমি চাইনা উনার মুখমুখি হতে ।উনার মুখোমুখি হলেই উনার সেদিনের ঐ ব্যবহারের কথা মনে পড়ে যায় যা আমাকে কষ্ট দেয় এভাবে বেশ কয়েকদিন চলে যায় আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাই সিদান্ত নেই বাড়িতে চলে যাবো এভাবে থাকা যায় না ।

আরসালের দৃষ্টিকোন থেকে ……..

আরসাল:আজ প্রজেক্টের সব কাজ প্রায় শেষ তাই আজ বিকেলেই বাড়িতে ফিরলাম আজ সায়রার সাথে সব দূরত্ব শেষ করবো নিজেদের নতুন সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হবো তাই সব কিছু প্লান করে বাড়িতে ফিরি আজ আমি আমার সায়রাকে আপন করে নেবো ।কিন্তু রুমে এসে পুরো থ হয়ে রইলাম ।সায়রা কাবার্ড থেকে নিজের কাপড় বের করে পেকিং করছে ।আমি ওর দিকে সুক্ষ নজরে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করলাম ও কি করছে তার পর ওর দিকে গিয়ে জিগাসা করলাম

আরসাল:কি করছো ?এসব পেকিং কেন করছো ?

আরসাল:সায়রা আমার দিকে না তাকিয়ে পেকিং করতে করতে নিচু স্বরে বলতে লাগে

সায়রা :আমি একেবারে জন্য বাড়িতে চলে যাচ্ছি ।

আরসাল:ওর কথায় শক থাই তার পর আবার ওকে জিগাসা করি

আরসাল:হোয়ার্টটটট!!!!!(বেশ জোরে শব্দ করে)একেবারের জন্য বাড়িতে যাচ্ছি মানে কি ??

সায়রা :আমি বাড়িতে যাচ্ছি আর ফিরবোনা এ বাড়িতে ।আপনার লাইফ থেকে সারাজিবনের জন্য চলে যাচ্ছি আর বিরক্ত করবোনা আপনাকে ।এখন কাউকে কিছু জানানোর দরকার নেই সঠিক সময়ে সবাইকে আমি নিজে সব জানাবো ।

আরসাল:ওর এসব কথায় আমার রাগ উঠে গেলো ও আমার থেকে দূরে যাবার চিন্তা করছে কি করে ? ও ভাবলো কি করে যে আমি ওকে আমার থেকে দূরে যেতে দেবো ?

সায়রার দৃষ্টিকোন থেকে……

উনি আমার দিকে বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে দরজার কাছে গিয়ে দরজা লক করে দেয় হাতের ঘড়ি খুলে সাইডে রাখে তার পর শার্টের বোতাম এক এক করে খুলতে খুলতে আমার দিকে এগোতে থাকে আর আমি ভয়ে পিছাচ্ছি উনি আমার দিকে এগোতে এগোতে বলতে লাগে

আরসাল:আমার থেকে দূরে যাবে ? তাই তো ? আচ্ছা দেখছি কি করে আমার থেকে দূরে যাও তুমি ?যাওয়াচ্ছি আমার থেকে দূরে (রেগে দাতঁ কট কট করে)

এবার আমার খুব ভয় লাগছে আমি যে কেন বার বার নিজের পায়ে কুড়াল মারি ।এখন না জানি আমার কি করে ।আমি পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে আটকিয়ে যায় উনাকে আমার দিকে এগোতে দেখে চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলি ।হঠাৎ উনার গরম নিশ্বাস আমার মুখের উপর অনুভব করি ।উনি আমার কমোড় জরিয়ে ধরে আমি এখন কাপঁছি থর থর করে ।কিন্তা তা তার ভয়ে না তার স্পর্শে ……..

চলবে…..
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ???

দিওয়ানা গল্পটা আমার মনের খুব কাছের আমি আগেই বলেছি গল্পটা কাল্পনিক কিন্তু গল্পের থ্রিম আর আরসালের কেরেক্টারটা বাস্তব জিবন থেকে নেওয়া ।আর গল্পের মেইন থ্রিম হলো আরসালের পাগলামো ,ভালোবাসা,রাগ ,জিদ আর ওর অপেক্ষা ।এই সিজন শেষ হলে আমি অবশ্যই দিওয়ানা সিজন টু দিবো কিন্তু তা এখন না এক -দেড় মাস পর দিবো কারন আমি দিওয়ানা সিজন টু গল্পটা নিজের মনের মত করে সাজাতে চাই তাই সময় লাগবে একটু প্লিজ রিডার্স সবাই বোঝার চেষ্টা করেন আমি এই মূহুর্তে খুব চাপে আছি তাই আমার দিওয়ানা সিজন টু দিতে সময় লাগবে কারন নিউ সিজনের থ্রিম এখনো ভাবিনি তাই এখন দিওয়ানা শেষ হলে ❤️বিষাক্ত প্রেম ❤️ সাইকো টাইপ গল্প দিতে চাচ্ছি কারন এটার থ্রিম আমি অনেক আগেই ভেবে রেখেছিলাম কিন্তু সময়ের জন্য দেওয়া হয়নি ।আশা করি সবার ভালো লাগবে ???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here