Devil_love part-25+26

0
1671

Devil_love part-25+26
#writer_kabbo_Mahmud

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
বাবাঃ কীরে মা কি করিস??(তানিশার বাবা তানিশার রুমে এসে)
,
তানিশাঃ এইতো বাবা রুমটা পরিষ্কার করছি, দেখনা কেমন হয়ে আছে
,
বাবাঃ হুম কর(বিছানায় বসে)
,
তানিশাঃ কিছু বলবে???
,
বাবাঃ হুম একটা কথা ছিল!!
,
তানিশাঃ বল!
,
বাবাঃ বলছি তোর সেই কাব্যকে কী খুজে পেয়েছিস???
,
তানিশাঃ (তানিশা তো বেচারি শেষ) (বাবা কীভাবে জানল এটা??নিশ্চয় ওই বেটা ডেভিল এর কাজ এবার কী হবে?
,মনে মনে)
,
বাবাঃ কী হলো কথা বলছ না কেন?
,
তানিশাঃ না মানে বাবা (থতমত খেয়ে)
,
বাবাঃ আমি কোন না মানে না শুনতে চাইছি না, যা সত্য তাই বল
,
তানিশাঃ হ্যা বাবা আমি সেই কাব্যকে পছন্দ করি,আর তার কোন খবর ও পাই নি(মাথা নিচু করে)
,
বাবাঃ খবর পাসনি তাহলে কী সারাজীবন এভাবে খুজে জাবি?আর সে ওইদিকে বিয়ে করে সংসার করবে??
,
তানিশাঃ মানে??
,
বাবাঃ মানে হলো -ও কী সারাজীবন তোর জন্য অপেক্ষা করবে? আর ও কী জানে যে তুই ও কে ভালোবাসিস?
,
তানিশাঃ না বাবা জানেনা আমি ও কে অনেক ম্যাসেজ দিয়েছি কিন্ত বেটা বজ্জাত একটার ও রিপ্লাই দেই না চামচিকা, খচ্চর কোথাকার (রেগে গিয়ে)
,
বাবাঃ (হুম কিন্ত আজ তো রিপ্লাই দেবে মামনিই ,,মনে মনে) হুম বুঝলাম, এবার তাহলে কাজে লেগে যাও
,
তানিশাঃ মানে???(অবাক হয়ে)
,
বাবাঃ মানে আবার কী! তারসাথে যোগাযোগ কর, আর যদি পার তাহলে আমরা ওর সাথে তোমার বিয়ে দেব।
,
তানিশাঃ সত্যি??????(আনন্দে চোখ ছলছল)
,
বাবাঃ হ্যা সত্যি(মুচকি হেসে)
,
তানিশাঃ (বাবার কাছে এসে) আমার লক্ষী বাবা,উম্মম্মমায়া,,,গালে কিস দিয়ে
)
,
বাবাঃ হয়েছে হয়েছে, এবার নাও নিজের রুম নিজের মতো গুছিয়ে নাও ২দিন রুমে নেই আমার মেয়েটা কী অবস্থা হয়েছে
,
তানিশাঃ হুম বাবা তুমিই বোঝ আমার কষ্ট গুলি
,
বাবাঃ থাক এই ঠান্ডায় পাম দিয়ে আর কাঁপিয়ে দিস না
,
তানিশাঃ বাবা(আহ্লাদ করে)(পেছনে তাকিয়ে)
,
বাবাঃ ওরে বাবা মেয়ে রাগ করেছে নাকি?? রাগ করেনা, আচ্ছা তুমি যদি ওই ছেলেকে আমার সামনে নিয়ে এসে দিতে পারো তাহলে বিয়ে পাক্কা+++
,
তানিশাঃ (সামনে তাকিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে) আমার লক্ষী বাবা
,
বাবাঃ হুম অনেক হয়েছে, আমি আসি একটু কাজ আছে”
,
তানিশাঃ কী কাজ??
,
বাবাঃ ওটা সিক্রেট (হাসতে হাসতে চলে গেল)
,
–আর তানিশা দুদিন রুমে নেই তো মনে হচ্ছে ২বৎসর রুম পড়েছিল,তাই সব কিছু পরিষ্কার করছে
,
—কাব্য কিছুক্ষণ পর বাসাই চলে আসল ,
,
–কলিংবেল চেঁপে
,
নীলাঃ আরে ভাইয়া তুই(অবাক হয়ে)
,
কাব্যঃ কেন সমস্যা??
,
নীলাঃ সমস্যা হবে কেন?ভিতরে আই
,
–ভিতরে যেয়ে
,
কাব্যঃ আচ্ছা মা+বাবা কই??(দাঁড়িয়ে)
,
নীলাঃ মা বাবা তো রুমে আবির ভাইয়া অফিসের সব কিছু ঠিক করছে আর বাবাকে বিশ্রাম নিতে দিয়েছে বাবা যেতে চাইছিল কিন্ত আবির শুনল না বল্ল আর আপনাকে যাওয়ার দরকার নেই, এখন বেশী কাজের চাঁপ ও নেই,(সোফাই বসে টিভি দেখতে দেখতে)
,
কাব্যঃ ও আচ্ছা, (বলেই রুমে চলে গেলল)
,
–কাব্য রুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই,তারপর রুমে আসে আর আবিরকে ফোন দেই”
,
কাব্যঃ হ্যালো±
,
আবিরঃ হ্যালো কে বলছেন??(না চেনার ভান করে)
,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ এমন ভাব করছিস মনে হচ্ছে কোনদিন কোথাই বলিসনি
,
আবিরঃ আসলে অনেকদিন পরে শুনছি তো তাই একটু নতুন লাগছে,
,
কাব্যঃ হুম, তা কেমন কাটছে দিন?
,
আবিরঃ সেটা তো আমার জানা দরকার তুই বল কেমন কাটছে দিন?
,
কাব্যঃ হুম আমার ভালোই লাগছে,সব কিছুই ঠিক আছে
,
আবিরঃ তা ভাবি কেমন আছে?
,
কাব্যঃ হুম ভালো, তুই বাসাই আই।তারপর সব কথা বলব
,
আবিরঃ হ্যা আসব
,
কাব্যঃ আচ্ছা অফিসে কী খুব চাপ?
,
আবিরঃ একা একা যা হয় আর কী? আর তুই তো এখন মুক্ত স্বাধীন
,
কাব্যঃ হুম,আমি একটু বিশ্রাম নিই তারপর তোর বেলাই তুই নিস ok
,
আবিরঃ হুম আমার আবার হচ্ছে
,
কাব্যঃ কে বল্ল হবে না আমার বেস্টুর যা চেহারা যেকোন মেয়ে দেখলেই পাগল হয়ে যাবে, আর তাতে যদি না হয় তাহলে সেই মেয়েকে টাকা দিয়ে কিনে নেব কী বলিস??
,
আবিরঃ হু এখন আর ভার্সিটি নেই যে সব টাকা দিয়ে কিনে নিবি,,আর টাকা দিয়ে মেয়েকে কিনে নেওয়া যাবে কিন্ত সেই মেয়ে ভালবাসার মূল্য দেবে না
,
কাব্যঃ তোর তো বেশ বুদ্ধি হয়েছে
,
আবিরঃ কেন? এর আগে বুদ্ধি ছিল না??
,
কাব্যঃ হুম ছিল,আচ্ছা সমস্যা নেই আমারটা হয়ে গেলে তোরটাও হয়ে যাবে আর নাহয় আমার বিয়ের দিনেই একটা খুজে নিশ আমাদের বন্ধুদের বিয়েতে যেমন আমি পেলাম
,
আবিরঃ সবার সব হয় না,আচ্ছা এখন একটু কাজ আছে সেরেই বাসাই আসব ওকে
,
কাব্যঃ হুম,, আর হ্যা চাঞ্জ নিস একটা
,
আবিরঃ আচ্ছা(হেসে)
,
কাব্যঃ ok by,,,(ফোন কেটে দিয়ে)
–কাব্য ফোন কেটে দিয়ে বিছানায় এসে সুয়ে পড়ল, তারপর কোন কাজ না পেয়ে ল্যাপটপ নিয়ে ফেসবুকে ঢুকল সকল নোটিফিকেশন চেক করে আর কী দেখবে যা থাকে আর কী,হাজারো পাঠিকের রিকুয়েস্ট
গল্প চাই
তা না হলে
কাব্যর আজ
নিস্তার নাই
তারপর কোন কিছু না দেখে একটা গল্প লিখতে শুরু করল,যার নায়ক কাব্য আর নায়িকা তানিশা,
ল্যাপটপ টাইপিং মাস্টার তো তাই সময় লাগে না,,গল্প লিখতে লিখতে যে রাত হয়ে গিয়েছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই,,
–সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর, লাস্টে আর কিছু না করে
,
কাব্যঃ সবই তো হলো এবার বউকে একটা এসএমএস দিয়ে রাখি,দেখলে মনে হয় ১০৪টা আগে গালি দেবে
—তারপর তানিশার massage অপশন এ যেয়ে hlw miss Tanisha লিখে একটি এসএমএস দিল,
,
–এসএমএস দেওয়ার পর ল্যাপটপ বন্ধ করবে আর তখনিই কাব্যর বাবা+মা রুমে আসে
,
বাবাঃ কীরে বাসাই এসেছিস একবার ও কিছু বললি না দেখাও করলি না
,
কাব্যঃ আসলে আমি মনে করছিলাম তোমারা রেস্ট এ আছো তাই আর কিছু বললাম না
,
মাঃ হুম আচ্ছা ঠিক আছে, শরীরের কী করেছিস আর হাতে এমন কাটাঁর দাগ কেন?(হাতটি ধরে)
,
কাব্যঃ ও কিছু না মা আসলে একটি ছোট এক্সিডেন্ট হয়েছিল
,
মাঃ এটা ছোট এক্সিডেন্ট (রেগে গিয়ে)
,
কাব্যঃ আচ্ছা এটা বড় এক্সিডেন্ট, কিন্ত এখন তো ভালো হয়ে গিয়েছে আর চিন্তা করতে হবে না,
,
বাবাঃ হুম,আচ্ছা ওই দিকের কী অবস্থা?? মানে তানিশা মা এর বাসাই??
,
কাব্যঃ বাবা আমি বিয়ে করছি না
,
বাবাঃ কীহহ্ কিন্ত কেন?
,
মাঃ কী সমস্যা বাবা? কিছু হয়েছে?
,
কাব্যঃ না মা কোন সমস্যা না আসলে তানিশা একজনকে ভালবাসে
,
বাবাঃ ওহ, তা সেটা প্রথমে বলে দিলেই পারত
,
কাব্যঃ হুম,আচ্ছা নীলাকে ডাক তো!!
,
মাঃ কেন?
,
কাব্যঃ তোমাদের সবার সাথে আমার কিছু প্রয়োজনীয় কথা আছে
,
বাবাঃ (রুমে থেকে বের হয়ে) এই নীলা একটু রুমে আই তো (নিচে নীলা টিভি দেখছে)
,
নীলাঃ আসছি বাবা,
,
–নীলা রুমে আসার পর সবাই একসাথে বসল
,
বাবাঃ বল কী কথা??
,
কাব্যঃ কথা হলো – তানিশাঃ যাকে ভালবাসে সেটা আমিই
,
বাবাঃ কীহহহ্ এসব কী হচ্ছে একটু বুঝিয়ে বলবি,??
,
কাব্যঃ শোন তাহলে(তারপর কী বলা লাগবে সব বুঝে নেন)
এইসব হয়েছে আর এখন আমি সেই লেখক কাব্য হিসেবে তাকে বিয়ে করতে চাই,কিন্ত এটা তানিশাকে বলা যাবে না এটা আমরা সবাই লুকিয়ে করব
,
–সবাই তক শুনে অবাক
,
বাবাঃ হুম সেটা করা যাবে, কিন্ত তাদের পরিবার??
,
কাব্যঃ সেটা আমি ম্যানেজ করেই রেখেছি, তার সবাই রাজী,
,
মাঃ তলে তলে এতো কিছু করে বেরাস আর আমরা কিছুই জানিনা??
,
কাব্যঃ কী আর করব মা? যখন ভালো লাগে না তখন এটি করি কিন্ত আমার লিখা দেখে যে এই মেয়ে এসব করে বসবে সেটা ভাবা ছিল না,
,
মাঃ হুম,সব কিছু হবে সেটা নিয়ে চিন্তা কর না,,,আর চেহারার কী অবস্থা করেছ, মনে হচ্ছে ঠিক মতো খাওয়াই হয় নি,,নিচে আই এখনিই
,
কাব্যঃ এইতো আসলে এখনিই চলে যাবে??
,
মাঃ আমি কোন কথা শুনতে চাই না আই, আর কথা বলার অনেক সময় আছে,
,
—তারপর সবাই নিচে যেয়ে রাতের dinner করে কাব্য রুমে চলে আসে,
,
–আর ওইদিকে তানিশাও রুম গুছিয়ে শাওয়ার নিয়ে ফ্রেস হয়ে পরিবারের সাথে বিভিন্নরকম কথা বলে তার মাঝে আনন্দ মজা ইত্যাদি,তারপর dinner করে রুমে এসে বসে,,
–তানিশা আজ অনেকদিন পর ফেসবুকে ঢুকছে তাও আবার অনেক এক্সাইটেড হয়ে জানেনা আজ কী হবে তার,
,
–আর এদিকে কাব্যও রুমে মোবাইল নিয়ে বসে আছে যে কখন তানিশা অনলাইনে আসবে কিন্ত massage option এর দিকে তাকিয়ে দেখতেই দেখে তানিশা অনলাইনে
চলবে
#Devil_love
#writer_kabbo_Mahmud
part-26
–কাব্য তানিশার massage option এর দিকে তাকিয়ে দেখতেই দেখে তানিশা অনলাইনে চলে এসেছে
,
–আর ওইদিকে তানিশা অনলাইনে আসতেই চারিদিকের massage এর sound or fb notification আসতে আসতেই ২মিনিট,,, আসলে মেয়ের আইডি পেলে যা হয় আর কী,,তার উপরে আবার তানিশা কাব্যর মতো কাব্যকে নিয়ে গল্প লিখে যেটা সবাই পছন্দ করে,
,
–তানিশা জানে যে কাব্য তাকে এসএমএস দেবে না কিন্ত সে কাব্যর এসএমএস অপশনে যেয়ে চোখ পুরো কপালে
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

,
তানিশাঃ
dddeviiiiiilll আমাক্কেএএ এসএমএস দিয়েচ্চচ্ছে(অবাক হয়ে)
,
–কাব্য ফোন নিয়ে তানিশার কাছে একটি এসএমএস দেই
,
কাব্যঃ hello miss tanisha islam tuli,are you busy now???
,
তানিশা কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না, সে তো অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা, যাকে সারাদিন-রাত এসএমএস দিলেও রিপ্লাই দিতো না সে আজ তাকে এসএমএস দিয়েছে
,
–তানিশার তো হাত কাঁপছে সে মোবাইল হাতে ধরতেও পারছে না,
,
তানিশাঃ না ব্যাস্ত না, কিছু বলবেন???(কাঁপা কাঁপা হাতে)
,
কাব্যঃ(কাব্য তো তানিশার উত্তর দেওয়া দেখে খুশিতে একটি মুচকি হাসি দিল
,,কিন্ত তানিশার উত্তর দেখে রেগে গেল))) এটা কী হলো,এই মেয়েকে এখন কী বলব,নিজেই তো সারাদিন এসএমএস দিতো,আর এখন আমি দিয়েছি আর বলে কী না কিছু বলবেন ভাব আছে তো,,,,,
,
কাব্যঃ না কিছু না,আসলে আপনার এই পাগলামি দেখে খুব ভালো লাগছে
,
তানিশাঃ কোন পাগলামি????? (আনন্দে তো বেচারি শেষ,,, ঝটপট করে উত্তর দিল)
,
কাব্যঃ এইযে এতো এসএমএস দিয়েছেন,এমন এসএমএস আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ করেনি,
,
তানিশাঃ (ইইহ্ ঢং কত, এমন লেখক এর জন্য তো মনে হয় সারাদিন আমার মতো হাজারো পাঠিকা এসএমএস লিস্টে পড়ে আছে,,মনে মনে) কেন??আমি কী বেশি ডিস্টার্ব করে ফেলেছি??আচ্ছা আর দেব না
,
কাব্যঃ আমি কী বলেছি নাকি,যে আমি ডিস্টার্ব হচ্ছি??আপনার সকল এসএমএস দেখে ভালই লাগত কিন্ত কিছুদিন ধরে দেখছি তোমার কোন এসএমএস আসেনি,,কোন সমস্যা ছিল??
,
তানিশাঃ (যাক তাহলে বেটার মায়া আছে
) না মানে,,একটু ছিল,,,আচ্ছা আমার এসএমএস দেখে আপনার ভালো লাগত কেন?
,
কাব্যঃ কেন? ভালো লাগতে পারে না বুঝি???
,
তানিশাঃ হুম পারে,,আচ্ছা আপনি আমার এসএমএস দেখেও রিপ্লাই দেন নাই কেন?
,
কাব্যঃ আসলে আমি সেভাবে কারোর সাথে এসএমএস করি না
,
তানিশাঃ তাই,তা আজ কী মনে করে দিয়েছেন??(হাসি দিয়ে)
,
কাব্যঃ বারে, আমার পাঠকের কী হয়েছে খবর নেব না, তার এসএমএস গুলো যে ভালো লাগত (পাম দিয়ে)
,
তানিশাঃ (বেচারি তো নাগিনীর মতো ডান্স দিতে বাকী) তা শুধুই কী ভালো লাগত??
,
কাব্যঃ কেন? আরও কিছু লাগার বাকী আছে নাকি??
,
তানিশাঃ না সেটা না,, অবশ্য লাগতেও পারে
,
কাব্যঃ হুম এভাবে চলতে থাকলেই হয়ে যাবে,
,
তানিশাঃ কি হবে???
,
কাব্যঃ যেটা বললে সেটা হবে।
,
তানিশাঃ কী বলুননা!””
,
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

কাব্যঃ ওইযে ভালো লাগা,,এভাবে যদি কথা বলা যাই তাহলে একসময় হয় যাবে।
,
তানিশাঃ কিন্ত আমার তো অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে
,
কাব্যঃ তাই,,তারমানে এবার আমারটা বাকী আছে??
,
তানিশাঃ (এ তুনে কিয়া বলদিয়া তানিশা–মনে মনে) হুম আপনারটা বাকী আছে(দেখাযাক বেটা খচ্চর কী করে)
,
কাব্যঃ আমারটাও তো হয়ে গিয়েছে(মিস তানিশা আমি তোমাকে আজই আমার হাতের মুঠোয় করব,মনে মনে)
,
তানিশাঃ কী হয়েছে??
,
কাব্যঃ ওইযে ভাললাগা,
,
তানিশাঃ শুধু কী ওইটাই আমার তো আরও কিছু হয়েছে
,
কাব্যঃ কী হয়েছে??
,
তানিশাঃ না সেটা বলা যাবে না
,
কাব্যঃ আমি কিন্ত জানি
,
তানিশাঃ এই বেটা তো মনে হচ্ছে পাকা লুচু এভাবে আমার কথা বুঝতাছে কেমন করে?? ,(মনে মনে)
কী জানেন??
,
কাব্যঃ জানো, তোমার এই এসএমএস আমি প্রথমে দেখতাম,,প্রতিদিন শুভ সকাল বলা,, খেয়েছেন কীনা খবর নেওয়া, কী করেন সবসময়, বেশি অনলাইনে থাকবে না,প্রেমটেম করবেন না,মেয়েদের সাথে বেশি এসএমএস করা বা কথা বলবেন না, রাতে গুড নাইট বলে ঘুমানো, আর প্রতিটি গল্পে মন ভালো করার মতো কমেন্ট, যেগুলো দেখে আমার খুব ভালো লাগত আর আমার ও এখন তোমার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছে তোমার এই এসএমএস না দেওয়াটা খুব মিস করছি,
,
–কাব্য তানিশার সকল এসএমএস পড়ত ঠিকিই কিন্ত সেগুলো পড়ে আরও বিরক্তিবোধ হতো, কিন্ত আজ সেই কথা গুলো কাজে লাগাচ্ছে,
,
তানিশাঃ কেমন মিস করছেন??
,
কাব্যঃ জানিনা,তবে তোমার এসএমএস গুলো এই কইদিন খুব মিস করেছি
,
তানিশাঃ সেটাই তো বলছি, কেন? মিস করেছেন??
,
কাব্যঃ বুঝেন না নাকি??
,
তানিশাঃ না বুঝি না বুঝিয়ে দেন??
,
কাব্যঃ ভালবাসি(কাব্য ডেভিলের মতো হাসি দিয়ে,,মিস তানিশা এবার দেখি আপনার উত্তরটা কী হয়,মনে মনে)
,
তানিশাঃ কাকে???(আহারে আহারে আহারে এখন যদি রাত না হতো আমি তো………..)

–তানিশা আনন্দে বিছানায় উরাধুরা ডান্স দিতে লেগে গেছে–
,
তানিশাঃ (কিছুক্ষণ পর)না আর না,এতো আনন্দ করলে বেটা অফলাইনে চলে যেতে পারে(তানিশা আর কিছু না করে মোবাইল হাতে নিল)
,
কাব্যঃ বুঝেন না নাকি?কি বলছি??
,
তানিশাঃ না বুঝি না বুঝিয়ে বলেন
,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ আমি তোমার এই এসএমএস এর মাইয়াই পড়ে গিয়েছি, i love you তানিশা,
,
–তানিশা বেচারি তো লজ্জাই লাল,এটা যে আজকে হবে তার জানা ছিল না,কী করতে কী করে ফেল্ল সে নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না,
,
-আর এদিকে কাব্য তো হেসে এদিকসেদিক হাটাচলা করছে,কারণ এভাবে সে কোন মেয়ের সাথে কোনদিন এসএমএস করে নি, আজ তানিশার সাথে এমন আচরণে এসএমএস করে যেনো তার খুব হাসি পাচ্ছে আর ভাল লাগা কাজ করছে।
,
–কিছুক্ষন নিরবতার পর
,
কাব্যঃ কী হলো কিছু বলবে না???
,
তানিশাঃ এটা কীভাবে হলো আপনার???
,
কাব্যঃ কেন???তোমার ওই devil teacher,devil queen,এসব গল্পে আমাকে যেভাবে টরচার করেছ আর আমাকে নিয়ে যে রোমান্টিকতা করেছ এসব দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম তুমি আমাকে ভালবাসে ফেলেছ,তারপর আমিও তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি,,
,
–হ্যা কাব্য তানিশার এই এসএমএস দেখে বিরক্তি হয়ে যাই তাই সে তাকে ব্লক করার জন্য প্রোফাইলে যাই আর প্রোফাইল চেক করেই কাব্য থমকে যাই,
কাব্য দেখে তানিশা তাকে নিয়ে অনেক গল্প লিখেছে যেগুলোতে কাব্যকে সে অনেক ভালো করে ফুটিয়ে তুলেছে আর সে একটি বজ্জাত মেয়ের অভিনয় ফুটিয়ে তুলেছে,এসব কাব্য দেখে আরও হেসে উঠে তারপর আর কিছু বলে না,,
,
তানিশাঃ আপনি আমার গল্প পড়েছেন??
,
কাব্যঃ হুম,(ডাহা মিথ্যা কথা, শুধু মাত্র গল্প দেখেছে পড়েনি)
,
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

তানিশাঃ জানেন আমি আপনার গল্প পড়তে পড়তেই আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি আর আপনাকে ভালবেসেও ফেলি,,কিন্ত হঠাৎ করেই এক বজ্জাত ডেভিল নাইজেরিয়ার এন্যাকন্ডার সাথে আমার বাবা বিয়ে ঠিক করে ফেলে, আমি অনেক কষ্টে এটা ম্যানেজ করেছি, শুধু মাত্র আপনার জন্য,আর জানেন যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছিল ওই বেটা আমার উপর অনেকভাবে অত্যাচার করেছে,আর আমি চুপচাপ থেকেছি,কিন্ত আপনার কথা ভুলতে না পেরে আমি উনাকে সব কিছু বলে দি তারপর আমার বাবার পায়ে ধরে কান্নাকাটি করার পর তিনি এই বিয়ে বন্ধ করে
,
–কাব্য রেগে গিয়ে তানিশাকে কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না, সে এখন কিছু বলতেও পারছে না,,
,
কাব্যঃ whatever অত্যাচার তো আমি তোমার উপর করবই মিসেস হবু তানিশা মাহমুদ,, তুমি যখন মিথ্যা বলেছ তাহলে সেটা আমি সত্য করব,,(দাঁতে দাঁত চেপে)
,
তানিশাঃ কী হলো?? আমি আপনাকে এতো কথা বললাম আর আপনি কোন উত্তর দিচ্ছেন না কেন???
,
কাব্যঃ (নিজেকে কন্ট্রোল করে) থাকনা ওসব অতীত, যা হয়েছে সব ভুলে যাও
,
তানিশাঃ হুম,ভুলে গেলাম
,
কাব্যঃ আচ্ছা তুমি এখন কী কর???
,
–কাব্য সব কিছু জানার পরেও জিজ্ঞেস করল তানিশাকে,
–তানিশা তার পরিবার তার দুষ্টুমি, পড়াশোনা, ইত্যাদি সকল বিষয়ে বল্ল,
,
আর কাব্য একটাও পড়ল না,কারণ সে জানে তানিশা তাকে কী বলবে,,সব তো জানেই,,
,
কাব্যঃ বাহ্ খুব সুন্দর তো,
,
তানিশাঃ হুম,আমাদের family একটি happy family
,
,
কাব্যঃ হুম বুঝলাম, কিন্ত এবার কী করব??
,
তানিশাঃ কী??
,
কাব্যঃ বোঝ না?আমরা যখন একে উপরকে ভালবাসি তাহলে তো আমাদের বিয়ে করতে হবে,,
,
তানিশাঃ বাহ্ একে তো তারছেড়া ভেবেছিলাম, কিন্ত এ বেটাও তো চালু আছে,(মনে মনে)
,
কাব্যঃ কী হলো??
,
তানিশাঃ না মানে আমরা আগে দেখা শোনা, পরিবার সম্পর্কে সব কিছু মতামত নিয়েই নাহয় সিদ্ধান্ত নিই??

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
,
কাব্যঃ আমার পরিবার রাজী আর তোমার??
,
তানিশাঃ আমারও তো হ্যা বলেছে,, তাহলে এখন কী করব?
,
কাব্যঃ আমি আগামীকাল তোমাকে আমার বাবা-মা নিয়ে দেখতে আসব -রাজী??
,
–তানিশা তো আনন্দে আত্নহারা, সব জেনো তার কাছে সপ্নের মতো লাগছে
,
তানিশাঃ আচ্ছা এটা আমার সাথে সপ্ন হচ্ছে না তো??? চিমটি কেঁটে দেখি তো,,,, আউউউউউচ্চচ্চচ (চিমটি কেটে). তারমানে এটা ,,
,
কাব্যঃ কী হলো বলো??আমি আগামীকাল আসছি তোমাকে দেখতে
,
তানিশাঃ আমি কিছু জানিনা,,
,
কাব্যঃ ইস্ লজ্জা পেয়েছে আচ্ছা তোমার বাসা কোথাই??(জেনেও জিজ্ঞেস করছে)
,
তানিশাঃ আমার বাসা তো মেহেরপুর বড় বাজারের কাছে যে মসজিদ আছে সেই মসজিদ এর বাম পাশে যেই বাসা সেটা আমাদের ,
,
কাব্যঃ মেহেরপুর মানে মুজিবনগর???
,
তানিশাঃ হুম,,,,
,
কাব্যঃ আচ্ছা dear good night আমরা তাহলে আগামীকাল দেখা করছি একেবারে engaged complete, করব
,
তানিশাঃ আপনিই সত্যিই আসছেন??
,
কাব্যঃ কেন? কোন সন্দেহ??
,
তানিশাঃ না
,
কাব্যঃ হুম good night,, ঘুমাও
,
তানিশাঃ ok good night
,
-দুজনেই অফলাইন হলো, আর দুজনেই হাসিমুখে আজ আনন্দের ঘুম ঘুমালো,,
,
>আমি আর এই গল্পটা বেশি বড় করতে চাইছি না,, তাড়াতাড়িই শেষ করে দেব,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here