Devil_love part_17+18

0
2016

#Devil_love part_17+18
#writer_কাব্য_মাহমুদ

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
আফরোজাঃ বউমা মুখটি উঁচু করো তো
–তানিশা মাথা নিচু থেকে মাথা উচু করতে যেয়ে সামনের দিকে তাকাতেই, একদম বড় ধরনের ধাক্কা খাই,,প্রথমত তার বান্ধবী নীলা,ও দ্বিতীয় কাব্য যে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই তার শত্রু।

তানিশাঃ তুই এখানে(জোরে চেচিয়ে, নীলাকে উদ্দেশ্য করে)
–নীলা বেচারি তো চমকে উঠেছে,,,আর অন্য দিকে,,,তানিশার কথা শুনে তো পরিবার এর সবাই ভয় পেয়ে গেছে,

নীলাঃ না ম্মান্নে(থতমত খেয়ে)

তৌহিদঃ সে কীরে মা তোরা কী একে উপরকে চিনিস(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)

তানিশাঃ (মাথা নিচু করে)না মামানেএ হ্যা ও আমার বান্ধবী, আমরা একসাথেই পড়াশোনা করি(সবার সামনে এভাবে রিয়েক্ট করে লজ্জা পেয়ে যাই)

পারভেজঃ তারমানে তোমরা সবাই একসাথে বাহ শুনে খুব ভালো লাগল,,তাহলে তো বিয়ের পর দুজনে একসাথেই থাকা-সব কিছু করতে পারবে।

নীলাঃ (কোন শাকচুন্নিকে ঘরের বউ করছ বাবা তোমার মেয়েকে তো ও কুপিয়ে কিমা বানিয়ে লুচির সাথে খাবে,,মনে মনে)

কাব্যঃ (বসা থেকে উঠে) বাবা আপনারা অনুমতি দিলে আমি একা তানিশার সাথে কিছু কথা বলতে চাই,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

তানিশাঃ (তুই হলি আমার জন্মের শত্রু আর তুই এসেছিস আমার সাথে বিয়ে করতে,, এই বিয়ে তো আমি কিছুতেই হতে দেব না এই তানিশা বলে রাখল)

কাব্যঃ কী হলো চলো,,,

—তারপর তারা সোজা ছাদের এক পাশে চলে যাই, দুজনে একসাথে দাড়িয়ে ঝিরিঝিরি বাতাস একটা রোম্যান্টিক সময়,

কাব্যঃ আমাকে বিয়ে করতে কী তোমার কোন আপত্তি আছে(একপাশে দুজন দাঁড়িয়ে)

তানিশাঃ(রেগে গিয়ে) আপনার মতো, অকর্মা, ক্যাবলাকান্ত,অকর্মার হাড্ডি,,অপদার্থর সাথে আমি বিয়ে করব impossible কোনদিন ও না,,(ঝাড়ি মেরে) আপনি আমার সব শেষ করে দিয়েছেন,,আমার devil এর সাথে বিয়ে করা বন্ধ করে দিয়েছেন,কতো শখ ছিলা আমার devil কে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে থাকব, কিন্ত আপনি নাইজেরিয়ার এনাকন্ডা, আফ্রিকান গন্ডার,আমার সপ্নগুলো ভেঙে দিলেন(রেগে গিয়ে, একদমে বলে দিল)

–তানিশা কথা গুলো বলার সময় কাব্যর দিকে সেভাবে খেয়াল করে নি,কিন্ত সে কাব্যর দিকে তাকানোর পর দেখে কাব্য রেগে পুরো জ্বয়ালামুখির মতো আগুন বের হচ্ছে তার চোখমুখ দিয়ে

কাব্যঃ তারমানে তুমি বিয়েতে রাজি তাইতো(এমনভাবে রেগে আছে যেন অন্য কেউ হলে তাকে সেখানেই মেরে ফেলতে কাব্য দুইবার ভাবত না)

তানিশাঃ ক্কী বোঝাতে চাচ্ছেন আপনি(ভয় পেয়ে)

কাব্যঃ (কোন কথা না বলে সোজা তানিশাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে, এমন ভাবে চেপে ধরেছে যেন একবিন্দু পরিমাণ বাতাস প্রবেশ করতে পারবে না)তানিশাকে চেপে ধরে

তানিশাঃ ক্কী কররছেন আপ্পনি(তুঁতলিয়ে) ভালো হ

কাব্যঃ বাকিটা কাব্য তানিশাকে বলতে না দিয়ে একদম তানিশার মুখ এর সাথে নিজের মুখ এক করে নেই,,, যাকে বলে jam kiss
–দীর্ঘ ৫মিনিট পর ও কাব্য তানিশাকে ছাড়ার কোন নাম নেই,এলোপাথাড়ি চুমু খেয়েই চলেছে,কিন্ত তানিশা অযথা চেষ্টা করেই যাচ্ছে,আস্তে আস্তে তানিশার শ্বাসকষ্ট হতে চলেছে,যখন আর পারছে না, এক ধাক্কায় কাব্যকে দূরে সরিয়ে দেই,তারপর তানিশা একটু সরে যেয়ে হাঁপাতে থাকে,

কাব্যঃ (তানিশার কাছে এসে তাকে আবার বাহুডোরে জড়িয়ে ধরে) যদি শুনেছি আমাকে বিয়ে করবে না, তাহলে কিন্ত এর পরিনাম এরকমই হবে(এখনও রেগে আছে) আর সেদিন এর জন্য স্যরি আসলে আমার আন্দাজ ছিল যে তোমার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে,তাই আমি নিজের বউকেই কিস করেছি কোন ভুল তো করিনি(আদর করে)
।।
তানিশাঃ ছাড়ুন আমাকে(ঝাকুনি দিয়ে,কাব্যর কাছে থেকে সরে যেয়ে) আমি আপনাকে ভালবাসতে বা বিয়ে করতে পারব না আমি একজনকে ভালোবাসি আর তাকেই বিয়ে করব।

কাব্যঃ কাকে পছন্দ তোমার????

তানিশাঃ ওর নাম আর আপনার নাম একই

কাব্যঃ মানে?(কপাল কুচকে)

তানিশাঃ মানে ওর নাম ও কাব্য মাহমুদ, ওই devil এর বাচ্চা আমার মন চুরি করে নিয়েছে(তেজ দেখিয়ে)

কাব্যঃ (এটা আবার কেমন কথা,মনে মনে) কীভাবে মন কেড়ে নিয়েছে(জানার আগ্রহী নিয়ে)

তানিশাঃ শুনবেন???

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

কাব্যঃ হুম বলো

তানিশাঃ আমার কাছে যখন ফোন আসে ধীরে ধীরে আমিও সব কিছু ফোন এর ব্যাপার এ যেনে যাই,,,,তারপর বান্ধবীদের সাথে ফেসবুক সম্পর্কে শুনি,আর তারপর আমিও চালানোর চেষ্টা করি,আর সব জেনেও যাই,,,
তারপর একদিন ফেসবুকে দেখি একটি গল্প গল্পটির নাম ছিলা অন্ধপ্রেম এর গল্প আর আমি সেটা পড়তে থাকি কিন্ত গল্পটাতে এমন কী ছিল যে আমার খুব ভালো লেগে যাই,এবং আমি আস্তে আস্তে তার সকল গল্প পড়তে পড়তেই আমি তার গল্পের প্রেমে পড়ে যাই, এবং ভাবি যে এর গল্প যখন এতো কিউট তাহলে সে কত কিউট হবে তারপর তার কথা ভাবতে ভাবতেই এই অবস্থা (মন খারাপ করে)

কাব্যঃ(এতক্ষণ তানিশার কথা মন দিয়ে শুনছিল) তারপর কী অবস্থা

তানিশাঃ ওইযে তার প্রেমে পড়ে যাই তার কথা ভাবতে ভাবতে,কিন্ত বজ্জাত devil কে আমি দিনে মনে হয় ১০০০ এসএমএস দিই কিন্ত বেটা অকর্মা আমার কোন এসএমএস এর রিপ্লে দেই না,,জানেন ওর জন্য আমিও গল্প লিখি, কবিতা লিখি,

কাব্যঃ (তারমানে এই সেই বজ্জাত এর হাড্ডি তানিশা,যে আমার অবশর সময় টুকু কাটাতে দেই না, সবসময় শুধু এসএমএস দেওয়া,তোমাকে তো আমি ছাড়ছি তা miss tanisha islam tuli )
.
তানিশাঃ কী ভাবছেন এতো, জানেন আমি ওনার জন্য কবিতাও লিখেছি।

কাব্যঃ কী কবিতা??।

তানিশাঃ শোনেন,
ডেভিলকে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
একসাথে সবাই মিলে অনেক এসএমএস দাও
ডেভিল এর ফেসবুক তো নয়
পাখির বাসার ছাউনি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
—-কেমন হয়েছে বলবেন, আমি জানি এটা খুব ভালো হয়েছে কারণ আমার মা তো প্রতিদিন আমার কবিতার প্রসংশা করে,(আনন্দে আত্নহারা)

তানিশাঃ কী এতো ভাবছেন??বলুন আমার কবিতাটি কেমন হলো

কাব্যঃ(কাব্য তো আবার রেগে গিয়েছে,,,জসীম উদ্দিন এর কবিতাও ছাড়ল না এই মেয়ে,,,,,রাগ কন্ট্রোল করে) না কিছু না,, চল নিচে যেয়ে বলবে আমি বিয়েতে রাজি.

তানিশাঃ আপনার আমার বিষয় এ এতো কিছু জেনেও বলছেন যে বিয়ে করব

কাব্যঃ হুম সমস্যা কোথাই?

তানিশাঃ সমস্যা নেই মানে নেংটি ইদুর,ডাইনোসর,ক্যাবলাকান্ত কোথাকার

কাব্যঃ shut up,insane girl তখন থেকে বকবক করছ,,,চলো আমার সাথে(কাব্য তানিশাকে জোর করে টেনে নিয়ে নিচে চলে গেল)
.
পারভেজঃ কী ব্যাপার এতো সময় লাগে কথা বলতে??

কাব্যঃ না মানে নিজেদের ব্যাপারে জানতে হলে একটু সময় তো লাগবেই,,,(তানিশ
ার হাত ছেড়ে দিয়ে,)

পারভেজঃ হুম,তা অবশ্য ঠিক,,,,,আচ্ছা মা তোমার কী ভালো লেগেছে আমার ছেলেকে

তানিশাঃ (এই একটা সুযোগ তানিশা,বলে দে সব যে আমার আপনার ছেলেকে মোটেও ভালো লাগে নি,, মনে মনে,,,)

পারভেজঃ কি হলো মামুনিই??

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ জ্বী না আংকেল আমার আপনার ছেলেকে মোটেও ভালো লাগে নি,আমি এই বিয়ে করতে পারব না

–তানিশার কথা শুনে সবাই চমকে উঠে, কেউ কিছু বুঝতে পারছে না

আফরোজাঃ কেন?কি হয়েছে??তুমি বিয়ে করবে না কেন? আমার ছেলে তো সবদিক থেকে ভালো,,

তানিশাঃ (দ্বারাও চান্দু তোমাকে বোঝাচ্ছি) কে বলেছে আপনার ছেলে সবদিক থেকে ভালো, আপনার ছেলে মোটেও ভালো না,আপনারা হয়তো জানেন না যে আপনার ছেলে সারাক্ষণ মেয়ের পেছনে পড়ে থাকে,তাদের ছবি লুকিয়ে লুকিয়ে তুলে ফেসবুক এ আপলোড দেই,(একদম এ বলে দিল)

পারভেজঃ এসব কী বলছ তুমি?? (সবাই অবাক হয়ে)

তানিশাঃ আমি ঠিকই বলছি(ঝাড়ি মেরে)

কাব্যঃ অনেক বলেছ miss tanisha ইসলাম, এবার চুপ করো(কাব্য রেগে আছে ঠিকই কিন্ত তার বাবা-মাকে সেটা কোনদিন দেখাই নি বা এখনও দেখাবে না),,,বাবা আমি আপনার মেয়েকে এখনিই নিয়ে যাব,

তৌহিদঃ মানে??(সবাই অবাক হয়ে কাব্যর দিকে তাকিয়ে আছে)

কাব্যঃ মানে আমি আমার বাসাই তানিশাকে নিয়ে যেতে চাই(কাব্য তানিশার হাত ধরে,আর তানিশাতো ভয়ে কিছু বলতে পারছে না আর)

তৌহিদঃ কিন্ত কেন?

কাব্যঃ বাবা আমি আপনার মেয়েকে আমার বাসাই থেকেই বিয়ে করব, আর আপনার মেয়েকেও আমি সব শিখিয়ে দেব,,বাকিটা আপনারা সবাই সামলে নেন,আর তানিশা যা বল্ল সে বিষয় এ আমি আপনাদের সাথে পরে কথা বলব,আসা করি বুঝতে পারছেন

পারভেজঃ হ্যা বুঝতে পেরেছি, বলছিলাম ওরা ওদের বিষয় বুঝে নিক আমরা আমাদের গুলো নিয়ে ভাবি,,,কি বলিস

তৌহিদঃ আমি আবার কী বলব,, যাও কাব্য তোমরা নিজেদের মানিয়ে নাও

কাব্যঃ আচ্ছা৷,, আর বাবা বললাম কারণ বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তো বলবই তাই এখন থেকেই শুরু করলাম, কেমন হলো???

তৌহিদঃ হুম, আমি গর্ব করছি যে আমি এতো ভালো একটা জামাই পাবো,,,যাও তুমি

–কাব্য তানিশার হাত ধরে নিয়ে চলে গেল
.ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন,আর বানান আমি অনেক ভুল করেছি যেগুলো আর ঠিক করতে পারলাম না,time er ovab
চলবে,,,,,
.
.

#Devil_love
writer_কাব্য_মাহমুদ
part_18
.
–কাব্য তানিশার হাত ধরে নিয়ে চলে গেল

কাব্যঃ খুব ভালো লাগল না কথা গুলো বলতে,কী ভেবে ছিলে তুমি,আমাকে অপমান করবে আর আমি সেটা মেনে নেব মিস তানিশা ইসলাম(তানিশাকে সোজা গাড়িতে বসিয়ে,ড্রাইভ করতে শুরু করে দিয়েছে কাব্য,,কিন্ত কাব্য পুরো রেগে খুব দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছে, যা দেখে তানিশার ভয়ে মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না)

কাব্যঃ কী হলো কথা বলছ না কেন??খুব মনে পড়ছে বুঝি ডেভিল এর কথা”’
.
তানিশাঃ (কাব্যর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে) আপনি কীভাবে জানলেন আমি উনার কথা ভাবছিলাম??

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

কাব্যঃ (কাব্য গাড়ি ব্রেক করে তানিশার দিকে অবাক হয়ে তাকাল) তারমানে আমি এতক্ষন যা কথা বললাম তুমি একটাও শোননিই(দাঁতে দাঁত চেপে)

তানিশাঃ না ম্মান্নে(থতমত খেয়ে)

কাব্যঃ না মানে কী(জোরে ঝাড়ি দিয়ে)

তানিশাঃ না মানে হলো না,আমি আপনার কথা ভেবে কী করব?? কে হোন আপনি আমার(রেগে গিয়ে) (হায় হায় এ তুই কী বলে ফেল্লি তানিশা,””মুখে হাত দিয়ে”””,এবার এই বজ্জাত এর হাড্ডি, বেটা লুচু তোরসাথে কী করবে

কাব্যঃ আমি তোমার কে হয় তাইনা???

তানিশাঃ না মাাানেেেে

–কাব্য তানিশার আর কোন কথা না শুনে গাড়ি চালু করে সোজা বাসাই চলে আসল তানিশাকে নিয়ে,,কিন্ত এটা অন্য বাসা যেখানে আবির থাকে,সাধারণ তারা এখানে কোন পরিবেশ পাই না বলে আর থাকে না।,,,কাব্য তানিশাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত ধরে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেল,

তানিশাঃ (হায় আল্লাহ এই জল্লাদ কী এখানে নিয়ে এসে আমাকে পরটার সাথে খাবে এখন আমি কী করব
,”””বিড়বিড় করে””””)

কাব্যঃ সমস্যা নেই আমি তোমাকে খাব না,কিন্ত অনেক কিছু শেখাব

তানিশাঃ মানে?? আপনি আমার কথা কীভাবে শুনলেন

কাব্যঃ মানেটা নাহয় নিজের চোখেই দেখ,আর যেভাবে বলছ আমি কেন যে কোন কেউ শুনতে পাবে।

–তানিশা তো কাব্যর কথা শুনেই ভয় পেয়ে গেছে,কী শেখাতে চাই তাকে
–কাব্য তানিশাকে সোজা তার রুম এ নিয়ে যাই,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

কাব্যঃ এখন থেকে তুমি এখানেই থাকবে(বিছানার উপর ফেলে দিয়ে)

তানিশাঃ মানে(অবাক দৃষ্টিতে)
.
কাব্যঃ মানে তুমি আমার একমাত্র বউ,moreover তোমাকে তো আমার বাসা ও সব কিছু জেনে নিতে হবে,তাই তোমাকে আমি এইখানে নিয়ে আসলাম

তানিশাঃ আমি আপনাকে বিয়ে করব না আর কতবার বলব, আর আপনার কোথাই কী আছে তা আমি জেনে কী করব(জোরে ঝাড়ি মেরে)

কাব্যঃ সেটা দেখা যাবে(ডেভিল এর মতো হাসি দিয়ে)

কাব্যঃ আচ্ছা তুমি থাকো, আমি আবিরকে ফোন দিই ও মনে হয় অফিস এর কাজে ব্যাস্ত (বলেই বারান্দায় এসে আবিরকে ফোন দিল)

আবিরঃ হ্যালো

কাব্যঃ হুম কেমন আছিস?

আবিরঃ যেমন রেখেছিস’

কাব্যঃ মানে??

আবিরঃ মানে বুঝিস না,সারাদিন সব আমাকে করতে হয়,আর তুই বসে বসে আড্ডা দিস★

কাব্যঃ আচ্ছা ওসব কথা এখন শুনার মোড নেই,,,আচ্ছা শোন আমার একটি কাজ করে দিতে পারবি!!

আবিরঃ বল কী কাজ, আর আমার সাথে আবার অনুমতি নেওয়ার কী আছে?

কাব্যঃ আমার কিছু Guard লাগবে, আর আমি এখন তোর বাসাই আছি””

আবিরঃ কী?????(অবাক হয়ে)

কাব্যঃ (তারপর আবিরকে কাব্য তানিশার ব্যাপারে সবকিছু বলে) এই সব হয়েছে,,তো আমার কিছু guard লাগবে এই মেয়েকে পাহারা দেওয়ার জন্য,কারণ আমি তো কোন কাজে বাইরে যেতে পারি, তখন যদি পালিয়ে যাই। তাই আর কী, এখানে শুধু আমি আর ও থাকব,,আর তুই কিছু দিন আমার বাসাই থাক, any problem??
.
আবিরঃ না না আমার আবার কী প্রব্লেম (আবির কথাটি হেসে বল্ল,কারণ সে বুঝতে পারছে কাব্য এখন কোন mode এ আছে) আচ্ছা এখন কী ওদের পাওয়া যাবে??

কাব্যঃ না পাওয়ার কথা আমি শুনতে চাই না,,দরকার হয় ৫গুন টাকা দিয়ে নিয়ে আই`|

আবিরঃ আচ্ছা আর কিছু বলা লাগবে না,, আমি সবাইকে এক্ষনিই জানিয়ে দিচ্ছি

কাব্যঃ জানিয়ে না, তুই এক্ষনিই ওদের পাঠিয়ে দে(ঝাড়ি মেরে)

আবিরঃ আচ্ছা আচ্ছা ২ঘন্টার ভিতরেই তারা পৌছে যাবে কোন চিন্তা করিস না,আমি বলে দিচ্ছি

কাব্যঃ হুম alright,

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

–ভাবছেন এতো তাড়াতাড়ি Guard কোথাই পাবে
আসলে কাব্য+আবির কলেজ থেকে ভার্সিটি পর্যন্ত মাথা উঁচু করে চলেছে,,সব দিক থেকে পারফেক্ট জুটি ছিল তাদের বন্ধুত্ব, তাই তারা সকল দিক থেকে পারফেক্ট আর মারামারি ইত্যাদি তো সেইসব লাইফে করবেই,তাই সকল লোক তাদের হাতে করে রেখেছে, যেন যখন ইচ্ছা ডাক দিলেই চলে আসতে পারে।


কাব্যঃ dear কি এতো ভাবছ??(তানিশার পাশে বসে)

তানিশাঃ দেখুন আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এসে কী করবেন,তার থেকে বাসাই দিয়ে আসেন আমি বিয়ে করব,,

কাব্যঃ (আবার কোন ধরনের খেলা করবে আমাকে নিয়ে তানিশা আর কোন খেলা খেলতে পারবে না) নাহ,বিয়ে যখন করবই তখন এখানে থেকেই আমরা সব কিছু শিখে নেব

তানিশাঃ মানে???(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)

কাব্যঃ মানে এই যে আমরা এখানে থেকেই, রোম্যান্স সহ সকল প্রকার জিনিসগুলো শিখে নেব(মুচকি হেসে)

তানিশাঃ নাহ এসব এখন না,

কাব্যঃ তো কখন?.

তানিশাঃ বিয়ের পর

কাব্যঃ তাই নাকি,বাহ্ আমার বউয়ের ভিতরেও তো অনেক রোমান্টিক আছে

তানিশাঃ (রোমান্টিক না ছাই, তুই কী করে বুঝবি চান্দু আমি কি করতে চাই ,মনে মনে)

কাব্যঃ(আমি তো সবই বুঝি dear তুমি কি ভাব)
আচ্ছা ওসব কথা থাক এখন,,যাওতো কিছু রান্না করো আমি সকল প্রকার সবজি অর্ডার দিয়ে দিচ্ছি,নতুন বউ বলে কথা, তাই বউ এর হাতের কিছু না খেলে হয়,,

তানিশাঃ কীহহহহহ আমি রান্না করব, কোনদিনও না,আমি কী আপনার কাজের বুয়া নাকি যে রান্না করত্ততে

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

—- বাকিটা বলতে না দিয়ে, কাব্য তানিশার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে, মানে বুঝেন নাই,জ্যাম-পাউরুটি কিস যাকে বলে,,,দীর্ঘ ২-৩মিনিট পর কাব্য তানিশাকে ছেড়ে দিয়ে
.
কাব্যঃ রান্না না করলে সারাদিন এটা খেয়ে থাকব,কী বলো??(মুচকি হাসি দিয়ে)

তানিশাঃ (তানিশা তো পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে)

কাব্যঃ এই কী হয়েছে তোমার?(কাছে যে গায়ে হাত দিয়ে)

তানিশাঃ (ধ্যান ভেঙে) না কিছু না(ঝাড়িঁ দিয়ে) আপনি পেয়েছেন কী যা ইচ্ছে তাই করছেন আমার সাথে, আমি কী মানুষ না,আমাকে কী বাচতে দেবেন না আপনি??
।।
কাব্যঃ (রেগে গিয়ে) কী বোঝাতে চাইছো তুমি??

তানিশাঃ বোঝাতে চাইছি যে আপনি আপনার মুখ এর সাথে আমার মুখ লাগাচ্ছেন কেন??রুচি বলে কী আপনার ক্কক অওঅঅপ(বলেই মুখ আটকে নিল,এ আমি কী বলছি, এই কথার জন্যই সেদিন যা হয়েছিল,আবার যদি হয়,না না)

কাব্যঃ কী আবার বলো?

তানিশাঃ না কিছু না,(এক দৌড় এ দরজার কাছে) আর হ্যা আপনি সব কিছু নিয়ে আসুন আমি রান্না করে দিচ্ছি(তোমাকে আজ সারাদিন এর খাওয়া খাওয়িয়ে দেব চান্দু,একবার দেখ ich tanisha kiya kiya kar chakte hey )
.
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে(কী ব্যাপার আবার কী করতে চাইছে এই মেয়ে, এতো সহজেই রান্না করতে চাইল,এতো পাজির পাজি বলার কথা না কিছু তো একটা করবেই, ,”””রেগে গিয়ে”””)

–কাব্য ফোন হাতে নিয়ে তার পরিচিত শপ থেকে সব অর্ডার দিল,,,
,
# বানান ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন,,,বোঝার সমস্যা হতেই পারে, তাই নিজে নিজে একটু বোঝে নিবেন।
চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here