Devil_love part_19+20

0
2115

Devil_love part_19+20
#writer_কাব্য_মাহমুদ

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
–তানিশা নিচে এসে সোজা রান্নাঘর এ প্রবেশ করে!!

তানিশাঃ মনে তো হচ্ছে এই হরর বাড়িতে কেউ থাকে না, কিন্ত এতো জিনিস কে ব্যাবহার করে??কে রান্না করে এখানে যে সব কিছু এতো ভালোভাবে সাজানো??

-তানিশা রান্নার সকল জিনিস খুজছে আর বুঝে নিচ্ছে যে কোনটা কোথাই,কাজ করতে করতে, দরজার বেল বেজে উঠল””””

তানিশাঃ এই উল্লুক ভাল্লুক বাসাই আবার কে আসল??(তানিশা দরজার কাছে যেয়ে দরজা খুলতেই অজ্ঞান হওয়ার অপেক্ষা,তানিশা তার সামনে দেখতে পাই অনেক গুলো লোক কিন্ত সামনে যে আছে তার হাতে বন্দুক রয়েছে

তানিশাঃ ক্কক্কায়াব্ব্য কাব্য(জোরে চেচিয়ে)

লোকগুলোঃ আরে আরে ম্যাডাম ভয় করছেন কেন?? ভয় এর কিছু নেই,,স্যারই আমাদের এখানে আসতে বলেছে…..

কাব্যঃ কী হয়েছে (সিড়ি দিয়ে দ্রুত নেমে)

তানিশাঃ এরা কারা???(লোকগুলোদের উদ্দেশ্য করে)

কাব্যঃ ooh আপনারা চলে এসেছেন,ভিতরে আসুন””আর তানিশা ভয়ের কিছু নেই এরা আজ থেকে এখানেই থাকবে(তানিশাকে উদ্দেশ্য করে)

তানিশাঃ কিন্ত কেন???

কাব্যঃ সেটা পরে দেখতে পাবে….এখন যাও নিজের কাজে,কিছুক্ষণ পর সব এসে যাবে(তানিশা আর কিছু না বলে চলে গেল)

—লোকগুলো ভিতরে প্রবেশ করে

একজন গার্ডঃ hi sir আমি তামিম এদের সবাইকে আমিই কন্ট্রোল করব(সোফাই বসে)

কাব্যঃ ooh,,, আচ্ছা তাহলে সকল দায়িত্ব আপনার কীভাবে সেফটি রাখবেন সব আপনিই দেখবেন।

তামিমঃ কিন্ত স্যার আমার কাকে গার্ড দেব??

কাব্যঃ ওইযে ওই মেয়েকে দেখছ তাকে,,

তামিমঃ what??? এটা কী করে সম্ভব স্যার, ও তো একটা পিচ্চি মেয়ে, ওই মেয়েকে আবার Guard দেওয়া লাগে??

কাব্যঃ হুম দেখতে পিচ্চি কিন্ত পুরো বজ্জাত,,,

তামিমঃ স্যার ইনিকে তো আপনিই ঠিক করতে পারবেন

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ আমি তো সবসময় বাসাই থাকব না, আর ওর সাথে সারাক্ষণ থাকতে পারব না,,একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যেনো ও বাসার বাইরে যেতে না পারে এটাই আপনাদের কাজ

তামিমঃ ok.sir ,

কাব্যঃ হুম,, ok নিজ নিজ কাজে চলে যাও!!

—বাসার বাইরে সবাই নিজের নিজের একটি অবস্থান করে দাঁড়িয়ে পড়ল

–কিছুক্ষন পর অর্ডার করা সকল পণ্য দিয়ে গেল,,

তানিশাঃ বজ্জাত, খচ্চর আমাকে জেনো কাজের বুয়া পেয়েছে,বিয়ে করবে ভালো কথা তাই বলে নিজের বউকে এভাবে কাজ করাবে, একটুও মায়া নেই, এতটুকু বাচ্চার উপর এভাবে অত্যাচার করে(পাইচারি করতে করতে) আর এতো গুলো সবজি আমি কী করে কী করব, আম্মুনিই গো তুমি কেনো আমাকে রান্না শিখালে না(ন্যাকা কান্না)

–আর ওইদিকে কাব্য সব দাঁড়িয়ে দেখছে আর মিটমিট করে হাসছে,,

কাব্যঃ কী ব্যাপার আমার বউ এর রান্না করা কী হয়েছে(রান্না রুম এ প্রবেশ করে)

তানিশাঃ বেটা নেংটি ইদুর,ডাইনোসর, মুখ পুড়া হাতি,পচা কেচো
ক্যাবলা, মূর্খ, তারছিড়া, কোথাকার সব সময় শুধু devil গিরি করা(বিড়বিড় করে)

কাব্যঃ কী বললে(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ ক্কই কিচ্ছহু না তো(ভয় পেয়ে) এই বেটা খচ্চর কী করে আমার মনের কথা বুঝে নেই(মনে মনে)

কাব্যঃ আমি সব বুঝতে পারি(দাঁতে দাঁত চেপে)

তানিশাঃ ইহহহ(তাড়াহুড়ো করে রান্নার কাজে লেগে গেল)
–কাব্য চেয়ার টেনে বসে

কাব্যঃ আচ্ছা আমার বউ কী কী রান্না করতে পারে??

তানিশাঃ আপনি জেনে কী।করবেন??(এন্য
াকন্ডা তোকে আজ লাল পিপড়া বানাব,,বলেই মুচকি হাসি দিল)

কাব্যঃ (যত যাই করো dear প্রথমে তুমিই সব খাবে তারপর আমি, মনে মনে)

—সকল কিছু করতে করতে রাত হয়ে গিয়েছে,রান্না শেষে তানিশা সব কিছু রেডি করছে,

কাব্যঃ বাহ্, আমার বউ এর হাতের রান্নার সুগন্ধ তো আমার বউ এর মতোই হয়েছে

তানিশাঃ (একটু হেসে,,,,বুঝবা চান্দু কেমন লাগে)

তানিশাঃ আচ্ছা আপনি খাওয়া শুরু করুন আমি সব ঠিক করে দিয়েছি,,,আর একটি রিকুয়েস্ট রাখবেন?

কাব্যঃ রিকুয়েস্ট এর কী আছে, বলে ফেল??(দাঁড়িয়ে)

তানিশাঃ আসলে (ওড়না পেচিয়ে পেচিয়ে)

কাব্যঃ বলে ফেল(খাবার টেবিলে বসে)

তানিশাঃ হয়েছে কী,আমার না একটু মা+বাবার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে,সারাদিন তাদের সাথে আর কোন কথা হয় নি তো তাই আর কী!!

কাব্যঃ ওহ তো আমি কী করতে পারি??কাল সকালে নাহয় তাদের আসতে বলি??

তানিশাঃ না না,বলছিলাম আপনার ফোনটি একটু দেওয়া যাবে আমি just ২মিনিট কথা বলে দিয়ে দেব(রিকুয়েস্ট করে)

কাব্যঃ এতে আবার রিকুয়েস্ট করার কী আছে?? আমার সব জিনিসই তো তোমার, (ফোন বের করে) এই নাও

তানিশাঃ thank you (বলেই চলে গেল)
.
—তানিশা কাব্যর থেকে দূরে সরে গিয়ে,তার বাবা-মার কাছে ফোন দেই

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

তৌহিদঃ (ফোন রিসিভ করে) হ্যালো

তানিশাঃ হ্যালো বাবা?

তৌহিদঃ হ্যারে মা বল”

তানিশাঃ বল মানে??তোমার মেয়ে কেমন আছে কোন খবর নেবে না?(অবাক হয়ে)

তৌহিদঃ খবর নিয়ে কী করব, আমি জানি আমার জামাই তোমাকে কখন ও খারাপ রাখবে না
.
আসমাঃ কে খারাপ আছে দেখি(তানিশার মা এসে)
.
তৌহিদঃ এই দেখো গিন্নি তোমার মেয়ে ফোন করেছে।

আসমাঃ তাই দেখি(ফোন নিয়ে)

আসমাঃ হ্যারে মা কেমন আছিস??

তানিশাঃ খুব ভালো আছি খুব এতো ভালো আছি যা তোমরা কোনদিন শোননি,, এটা তোমরা কী করলে মা, আমাকে এই কোন ডেভিল এর হাতে তুলে দিলে,ও আমার উপর অনেক অত্যাচার করছে(ন্যাকাকান্না করে)

আসমাঃ এমন করে বলছিস কেনো?? আর ও কী করেছে??

তানিশাঃ ও তোমার মেয়ের উপর নির্যাতন করেছে মা (কান্না করে) (ডাহা মিথ্যা কথা)

আসমাঃ কীহ এটা কীভাবে সম্ভব, এ হতে পারে না কোনদিন ও না(অবাক হয়ে)

তানিশাঃ কী হতে পারে না,আমি কালই বাসাই চলে যাব,

আসমাঃ ( কী ব্যাপার তেমন কোন সমস্যা হলে তো ও এখনই চলে আসতে চাইতো,মনে মনে)

তানিশাঃ কী হলো কথা বলছ না কেন??

আসমাঃ আমি তোর বাবার সাথে কথা বলে দেখছি,আচ্ছা তুই রাখ

তানিশাঃ হুম( তানিশা ফোন কেটে দিয়ে পেছনে তাকিয়ে একটা বড় ধরনের শক্ খাই,,কারণ পেছনে কাব্য পুরো রেগে vampire হয়ে গেছ,তানিশার সকল কথা কাব্য পেছন থেকে শুনেছে কিন্ত তানিশা সেদিকে কোন খেয়ালই ছিল না)

তানিশাঃ আপ্পপ্পপ্নিইইই এক্ষানে(ভয়ে তো বেচারি শেষ )

কাব্যঃ হুম আমি এখানে,কেন সমস্যা?? (খুব রেগে বল্ল)

তানিশাঃ নাহ সমস্যা কেন হবে??(বেচারির গলা শুকিয়ে গেছে,)

কাব্যঃ চল খেতে চল””

তানিশাঃ হুম চলেন(তানিশা অবাক হয়,কাব্য কিছু বল্ল না কেনো)

—তারপর তারা দুজন মিলে খাবার নিয়ে

কাব্যঃ কী হলো খাচ্ছ না কেন??

তানিশাঃ না মানে, খেতে ইচ্ছে কর করছে না, আপনি খেয়ে নিন না,আমি এখন খাব না

কাব্যঃ না তুমি আগে মুখে দাও,তারপর আমি
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা


তানিশাঃ না না আগে আপনি দেখুন আমার হাতের রান্না কেমন

কাব্যঃ আচ্ছা তাহলে তুমি আমার কাছে এসে বসো

তানিশাঃ কেন???
কাব্যঃ আচ্ছা তাহলে তুমি আমার কাছে এসে বসো

তানিশাঃ কেন???

কাব্যঃ এতো কেন কেন করছ কিসের জন্য,কাছে এসে খাবার সার্ভ কর!!

–তানিশা কাব্যর কাছে এসে খাবার পরিবেশন করে পাশে চেয়ারে বসল

কাব্যঃ শুরু করি(কাব্য জানে যে এই খাবারে অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া হয়েছে,সে সব কিছু দেখেছে,,,কিন্ত সে তাও খেতে যাচ্ছে)

তানিশাঃ (খাও চান্দু,আমাকে কষ্ট দেওয়া না,,,কিন্ত খাওয়ার পরে কী হবে ও তো আর আমাকে ছেড়ে দেবে না,,হায় হায় তানিশা এ তুই কি করলি,মুখে হাত দিয়ে)

–এদিকে কাব্য দ্রুত বেগ এ খেয়ে যাচ্ছে আর চোখ দিয়ে অঝোরে পানি গড়িয়ে পড়ছে,,চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে,যে কেউ দেখে ভয় পাবে,কিন্ত সে সম্পন্ন খাবার শেষ করে ফেলেছে)
.
কাব্যঃ আমার খাওয়া শেষ dear, খুব সুন্দর হয়েছিল রান্না,এতো সুন্দর রান্না আমি কোনদিন খায় নি(রেগে মুখ দিয়ে কথা গুলোও বের হচ্ছে না,,আর ওইদিকে তানিশার তো করুন অবস্থা) এবার তুমি খাও

তানিশাঃ না মানে আমার ক্ষিদে নেই(কী করে থাকবে আমারও যদি আপনার মতো অবস্থা হয়)

কাব্যঃ কী এতো বিড়বিড় করছ,আর ক্ষিদে নেই মানে???? খেতে হবে ব্যাছ(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ (কি করি কি করি,,,,idea) আমি খাব না ব্যাছ খাব না(ঝাড়ি মেরে উঠে চলে যাবে আর তখনই তানিশা তার হাতে টান অনুভব করে)

কাব্যঃ ওটা নাহয় খাবে না,,তাহলে আমারটি তো খেয়েই হবে misses tanisha Mahmud (ডেভিল এর মতো হাসি দিয়ে)

ছোট মানুষ সেভাবে গুছিয়ে লিখতে পারি নাই,,,,ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন প্লিজ
,,,,,চলবে,,,,,

.
.
.
.
#Devil_love রোম্যান্টিক পর্ব
#writer_কাব্য_মাহমুদ
part_20
)

তানিশাঃ মানে???কী কর……………………..

–মানে হলো কাব্য তানিশার কথা বলতে না দিয়ে ভালবাসার পরসে এক করে দেই

উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্
মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মাাাা
(ইস্ কবে যে আমার তানিশা আসবে
,সেদিন ডেভিল কাব্য না, রোম্যান্টিক কাব্য হবো )

–কাব্য তানিশাকে একদম নিজের বাহুডোরে চেপে ধরে নিজের কোলের উপর তুলে নিয়েছে তারপর মুভির স্টাইল এ কিস করছে,
ছাড়ার কোন নাম নেই কারণ যে পরিমাণ ঝাল দেওয়া হয়েছে তা সহজে ঠিক হওয়ার নয়,,,আর তানিশার তো দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা, তার শক্তি বলতে কিছু থাকলেও কাব্যর মতো বডি-ফিটনেস এর সাথে পারা অসম্ভব।

–দীর্ঘ ২৫ মিনিট পর কাব্য তানিশাকে ছেড়ে দিয়ে কোলের উপরেই তুলে ধরে রেখেছে, তানিশা তো দম নিতে পারছে না,দুজনেই হাপাচ্ছে

কাব্যঃ কী মিসেস তানিশা মাহমুদ ঝাল লেগেছে??

তানিশাঃ আপনি এটা কেন করলেন??আপনার কী একটুও দয়া মায়া নেই, এমন কেন করলেন(জোরে নিস্বাস নিয়ে)

কাব্যঃ কেন? জানোনা!!আমার বউ না খেয়ে থাকবে তা কি হয়,তাই এটি খেতে দিলাম,,,,খুব মিষ্টি না??(মুচকি হেসে)

তানিশাঃ ইয়ায়াক্কক্কথথুউউ ছিঃ কী বাজে,এর মতো যঘন্ন আর কিছু নেই
।।
কাব্যঃ কী বললে(দাঁতে দাঁত চেপে)

তানিশাঃ ক

–বাকিটা আর বলতে না দিয়ে কাব্য আবার তানিশাকে ভালবাসার পরশ দিতে থাকে,,তানিশাকে চেপে ধরে নিজের শরীরের সাথে একবারে এক করে নিয়েছে,,আর কাব্য তানিশার lips এ ঘাড়ে চারিদিকে এলোপাথাড়ি চুমু খেতে থাকে যেন সে একটি ঘোরের ভিতরে চলে গিয়েছে।

আর এদিকে তানিশার ছটফট করেও কোন লাভ নেই,

কাব্য কিস করতে করতে একসময় কামড় এর অনুভব করতে পারে,,হ্যা তানিশা আর কোন উপায় খুজে না পেয়ে কাব্যর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেই,,,এতে কাব্যর বিন্দু পরিমাণ কিছু মনে হয় নি,,কারণ সে ওইটাকে একটি আদরই বলে

কাব্যঃ কী ব্যাপার বউ,,বিয়ে না করতেই ভালবাসার চিহ্ন একে দিলে,বাহ্ আমার বউ এর তুলনায় হয়না

তানিশাঃ মানে(অবাক হয়ে,,,,আর জোরে জোরে নিস্বাস নিচ্ছে)

কাব্যঃ মানে জানোনা,,,বাসর ঘরে বুঝিয়ে দেব,,

এতক্ষণ তানিশা কাব্যর কোলের উপরে ছিল,,,কোলে থেকে নামিয়ে.

কাব্যঃ যাও ফ্রেশ হয়ে নাও,,আমি খাবার এর Order দিচ্ছি

তানিশাতো একদৌড় এ রুমে চলে এসে,ওয়াশরুমে ঢুকেছে,,শাওয়ার অন করে এই ঠান্ডা রাতে ভিজতে শুরু করেছে

তানিশাঃ উনি পেয়েছেন কী আমাকে,আমার কী কোন চাওয়া পাওয়ার মূল্য নেই উনার কাছে,,(কান্না করছে আর বলছে) আমি একটু ঝাল দিয়েছি বলে উনি এমন করবে?ছিঃ, ছেলেরা এতো নিচ হয় আমার ভাবতেই কেমন লাগছে!!

এদিকে কাব্য খাবারের অরদের দিয়ে, রুম এ এসে দেখে তানিশা ওয়াশরুমে ঢুকেছে, প্রায় অনেক্ষন হয়ে যাওয়ার পর।

কাব্যঃ নাহ্ এই মেয়েকে নিয়ে আর পারা গেল না,এতক্ষণ লাগে ফ্রেশ হতে,, (ধৈর্যর সীমা পেরিয়ে) এই তানিশা দরজা খুলো। এতক্ষণ কী কর???

এদিকে তানিশা কাব্যর কথা শুনে ভয় পেয়ে যাই, তারপর শাওয়ার অফ করে,

তানিশাঃ এখন কী হবে?????????আমি কি পড়ব কিছুই তো নেই পরিধান করার মতো (ভয় পেয়ে)

কাব্যঃ (এদিকে কাব্য তানিশার কোন সাড়া না পেয়ে আবার রেগে যাই) তানিশা দরজা খুলো, (দরজায় ধাক্কা দিয়ে) না হলে কিন্ত আমি ভেঙে দেব

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

তানিশাঃ (ভয় পেয়ে) এই না না আমি খুলছি দরজা,(দরজাটি হাল্কা খুলে তানিশা একটু মুখ বের করে) এই শোনেননা আমাকে কিছু কাপড় এনে দেন(করুন দৃষ্টিতে)

কাব্যঃ(কাব্য দেখে যে তানিশার চুল ও চোখমুখ ভিজে রয়েছে,তারমানে সে গোসল করেছে তাও আবার এই ঠান্ডা ও রাতে) এই তুমি শাওয়ার নিয়েছ??(রেগে)

তানিশাঃ (বেচারি তো শেষ) না মানে,নিয়েছি

কাব্যঃ খুব ভালো করেছ এবার থাক ওইভাবে, এখানে কোন মেয়ে থাকে না যে তোমাকে কাপড় দেবে।

তানিশাঃ কীহ তাহলে আমি এখন এভাবে থাকব

কাব্যঃ হুম,তাছাড়া আমি আবার কী করব??

তানিশাঃ বলছি(মাথা নিচু করে) আপনার শার্ট-প্যান্ট দেন,,,

কাব্যঃ what??? আমি এখানে কী থাকি নাকি যে আমার জামা-কাপড় থাকবে

তানিশাঃ তা জানিনা,যান যেখান থেকে হোক আমাকে কাপড় নিয়ে এসে দেন,আর এখানে তো আবির ভাইয়া থাকে তার তা এনে দেন

কাব্যঃ (oh,আমি তো ভুলেই গেছি এখানে আমি মাঝে মাঝে আসি বলে কিছু ড্রেস রেখে গিয়েছি,মনে মনে) আচ্ছা আমি নিয়ে আসছি,,,

—কাব্য তার শার্টও প্যান্ট তানিশাকে নিয়ে এসে দিয়ে,অপেক্ষা করছে

কাব্যঃ এই আবার কী হলো???এতো late কেনো হয়??

তানিশাঃ (কোন কথা নেই)

কাব্যঃ এই খুলবে নাকি ভাঙব??

তানিশাঃ এই খুলছি দ্বারাও

—কিছুক্ষন পর তানিশা দরজা খুলার পর কাব্য দেখে তো অবাক ,,,তানিশা ওয়াশরুমে থেকে বের হয়ে কাব্যর সামনে দ্বারিয়ে বেল্ট আটকানোর চেষ্টা করছে কিন্ত পারছে না,,

কাব্যঃ (কাব্য তানিশার একদম কাছে যেয়ে) কী সমস্যা?

তানিশাঃ no ans

কাব্যঃ বলছ না কেন?

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ দেখতেই তো পাচ্ছেন আবার জিজ্ঞেস করেন কেন??

—কাব্য আর কোন কথা না বলে তানিশাকে পেছিন থেকে জড়িয়ে ধরে সামনে হাত দিয়ে তানিশার বেল্টে হাত দিয়ে এটে দেই,আর তানিশা তো লজ্জায় শেষ এটা কী হলো তার সাথে,।

তানিশাঃ (দূরে সরে যেয়ে) আপনার কী কোন কাজ নেই সব সময় শুধু লুচ্চামি করা???(রেগে গিয়ে)

কাব্যঃ লুচ্চামির কী দেখলে,,আর আমি তো আমার বউ এর উপর লুচ্চামি করছি অন্য কারোর সাথে তো না,

তানিশাঃ কে বলেছে আমি আপনার বউ,আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই না,আপনি তো জোর করে একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে এসে তার উপর নির্যাতন করছেন,,ওতোই যখন ভোগ করার শখ তাহলে বাজারে যান না সেখানে অনেক আছে আমাকে কেন এতো জ্বালাচ্ছেন(একদমে কথাগুলো বলে দিলা তানিশা)

কাব্যঃ (কাব্যর তো মাথাই রক্ত উঠে গেছে কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না এই সময় কী করা উচিৎ তার মাথায় কিছু আসছে না,,জানিনা অন্য ছেলে রেগে গেলে কী হয় কিন্ত কাব্যর এই মূহুর্তে চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে কাপছে)

–তানিশা কথাগুলো বলার পর কাব্যর দিক খেয়েল করে যে পুরো vampire এর মতো হয়ে গেছে

তানিশাঃ (এ তুই কী বললি তানিশা এবার তো তুই শেষ,,ভয়ে ঢোক গিলে),

—কাব্য সেখানে আর একমুহূর্তের জন্য সেখানে না দাড়িয়ে সোজা নিচে গেল,আর তানিশা রুম এ দাড়িয়ে থাকল

–কাব্য নিচে এসে কিছু বুঝতে না পেরে হাতের কাছে যা আছে ভাংচুর করতে লেগে গেছে প্রায় অনেক্ষন ভাংচুর করে মনে হয় ভাঙার মতো আর কিছু নেই সব শেষ,,

—আর তানিশা তো ভয়ে বিছানায় চুপটি মেরে শুয়ে পড়েছে আর ঘুমের ভান করে রয়েছে,কীভাবে ঘুম আসবে যেভাবে সব ভাংচুর করছে,,,
.
কাব্যঃ আমি তোমাকে ভোগ করি না মিস তানিশা ইসলাম,,,তুমি মনে হয় আমাকে ভালোভাবে দেখ নি, এই কাব্য কী পারে আর কী করে,এতক্ষণ শুধু আমার ভালো রুপটাই দেখছ কিন্ত খারাপটা দেখ নি, আর আজ যেটা বললে এটার শাস্তি তোমাকে আমি দেব, খুব তাড়াতাড়িই দেব,,(কাব্যর হাত দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছে,কিন্ত সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই)

–কিছুক্ষন পর দরজায় আওয়াজ হচ্চিল

–কাব্য দরজা খুলে,,,

একজন লোক-স্যার আপনার order এর পন্য

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

কাব্য সেটা নিয়ে সোজা রুম এ চলে এসে দেখে তানিশা ঘুমিয়ে আছে,সোজা তানিশার কাছে যেয়ে হাত ধরে তুলে ফেলে

কাব্যঃ এটা খেয়ে নাও(এখনও রেগে আছে)

তানিশাঃ আমি খাব না আমার ক্ষিধে নেই(ভয়ে তুতলিয়ে)

কাব্যঃ তুমি খাবে নাকি আমি তোমাকে খাব??(ঝাড়ি মেরে)

তানিশাঃ আমি খাব দেন দেন(খাবার হাতে থেকে নিয়ে,পেকেট থেকে বের করে এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করে,খেতে শুরু করে দিয়েছে)

কাব্য সেখানে আর না দাড়িয়ে হাতে medicine দিয়ে যারা Guard এ ছিল তাদের কাছে গেল

কাব্যঃ mister তামিম আপনার কী কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি??

তামিমঃ no sir,এটা আমাদের কাজ এটাতে সমস্যা বলে কিছু থাকতে পারে না,

কাব্যঃ আচ্ছা এখন আর এখানে থাকার দরকার নেই,সবাই বাসার ভিতরে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন

তামিমঃ কী বলে sir আমাদের রুলস মোতাবেক এটি নেই

কাব্যঃ এটি তো আছে যে আমি যা বলব সেটি করতে হবে

তামিমঃ কিন্ত স্যার

কাব্যঃ কোন কিন্ত না,,, যান আপনারা এখান থেকে,,,,

তামিম তার সাথে সবাইকে নিয়ে চলে যেতেই কাব্য তাকে ডাকে

কাব্যঃ মিস্টার তামিম আপনার কাছে কী সিগারেট আছে??

তামিমঃ কেন স্যার

কাব্যঃ এতো কথা কেন,,, যা বলছি তার উত্তর দাও,থাকলে দাও(রেগে যেয়ে)

তামিমঃ নেন স্যার( ভয়ে ভয়ে ৩প্যাকে ছিল,পুরো প্যাকেট গুলোই দিয়ে দিয়েছে)
।।
তারা চলে যাওয়ার পর কাব্য ছাদে উঠে সিগারেট জ্বালিয়ে একটার পর একটা টানতে থাকে,,আর চোখ মুখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে,বের হবেই না কেন,সে তো কোনদিন এটি খাই নাই,আজ জোর করেই এই প্রথম সিগারেট টানছে,যেটা তারকাছে আজ ভালোই লাগছে।

অনেক্ষণ পর কাব্য রুমে এসে দেখে তানিশা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে,সে পাশে যেয়ে শুয়ে পড়ল।
.
#________________চলবে________________


#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here