Devil_love_part_3
#writer_কাব্য_মাহমুদ_
#
কাব্য আমার হাত ধরতেই,,,,,
>>>>আর কিছু মনে নেই<<<<<
।
।
যখন জ্ঞান ফিরে তখন তাকিয়ে দেখি একটি বিছানায় শুয়ে আছি আর চারপাশে কেউ নেই।
বিছানা থেকে উঠে ফ্রেস হতে যাব আর এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ আসে। দেখি ওই ডেভিল আসছে ভয়ে তো আমার পরাণ পাখি শেষ,না জানি আজ এই কাজ এর জন্য কী করবেন উনি আস্তে আস্তে আমার একেবারেই কাছে চলে আসল
।
কাব্যঃ কী Dear তোমার শরীর এখন ভালো আছে তো??
।
নীলাঃ হুম(মাথা নিচু করে)
।
কাব্যঃ আর কতক্ষণ ভালো থাকতে চাও(ডেভিল মার্কা হাসি দিয়া)
।
নীলাঃ মানে?(আতংকিত হয়ে)
।
কাব্যঃ মানে এই যে তোমার এখন আর ভালো থাকা হবে না,এবার তোমার কাজের ফল তো তোমাকে পেতেই হবে।(রাগের দৃষ্টিতে)
।
নীলাঃ (উনি কী বলছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না,উনি আমার হাতটি ধরে সোজা বাথরুম এ নিয়ে শাওয়ার এর নিচে দাড় করিয়ে রাখল)
।
কাব্যঃ এখানেই তোমাকে আজ সারারাত থাকতে হবে।আর এটাই তোমার শাস্তি(রাগি কন্ঠে)
।
নীলাঃ কিন্ত এখানে থাকলে তো আমার ঠান্ডা লাগবে শরীর খারাপ করবে,আর এত ঠান্ডায় আমি কী করে এখানে থাকব
।
কাব্যঃ এটাই তো তোমার শাস্তি Dear, তোমার কর্মের ফল তো তোমাকে পেতেই হবে।
।
নীলাঃ তাই বলে এরকম শাস্তি?? (ওর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম)
।
কাব্যঃ কেন এর থেকে বেশি লাগবে না কি,দাড়াও আরও একটু দিই
।
নীলাঃ (বলেই শাওয়ার অন করে দিল)
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ থাকো এখানে।(কাব্য রেগে ও দুঃখে চোখ দিয়ে পানি বের হওয়া অপেক্ষা কিন্ত সেটা নীলাকে না দেখিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেল কারণ নীলাকে কাব্য ভালোবাসে কিন্ত কাব্য শুধু নীলার কাছে থেকে অবহেলাই পেয়েছে)
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
।
নীলাঃ (নীলার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে,আর ভাবছে,কতই ভালো ছিলাম সারাদিন আনন্দ মজা দুষ্টুমিতেই কেটে যেত আমার দিন কিন্ত আজ এটা কেন হলো, নীলা কথাগুলো মনে মনে ভাবছে আর কান্না করছে,সে চাইলে শাওয়ার অফ করে দিতে পারে কিন্ত করছে না কারণ সে এভাবে বাচতে চাই না,এর থেকে মরে যাওয়া ভালো।)
,,চলুন তাহলে এদের অতীত এর কাহিনী শুনে আসি.
আগে নীলার পরিচয় দিয়ে দিই,,নীলা এবার ইন্টার ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছে,আর তার পরিবার এ তার বাবা একটা অফিস এ চাকরি করে তার মা একজন গৃহিনী,নীলা ও নীলার বোন আছে একটি ছোট এদের নিয়েই একটি happy family ..
সুমিঃ মাাাা(জোরে চেচিয়ে)
সুমির মাঃ কি হয়েছে?(তেজ গলাই)
সুমিঃ তোমার মেয়ে আমার সব চকলেট খেয়ে নিয়েছে(কান্নাস্বরে)
।
সুমির মাঃ এর আবার নতুন কী প্রতিদিনই তো করে।
।
সুমিঃ তাই বলে তুমি কিছু বলবে না,এভাবে চলতে থাকলে তো তোমার মেয়ে আস্তে আস্তে চুন্নি হয়ে যাবে।
।
পাশের রুপ এ থেকে নীলা এসে
।
নীলাঃ ওই তুই কী বললি আমি চুন্নি আর তুই কি তুই ও তো আমার অনেক চকলেট খেয়েছিস তাই এখন আমিও তোরতা খাব,
।
সুমিঃ তখন তো আমি ছোট ছিলাম কী করতে কী করেছি কিছু মনে নেই,আর আমি তো ছোট থাকতে এসব করেছি তখন তো আমার সেরকম বুদ্ধিও ছিলো না কিন্ত তুই তো বড় তোর বুদ্ধি থাকার পরেও এরকম করছিস কেন?
।
নীলাঃ ওই আমাকে জ্ঞান দিতে আসবি না,,আর হ্যা শোন বেশি চকলেট খেলে দাতে সমস্যা হতে পারে আর দাত যদি পড়ে যাই তাহলে তো তুই বুড়ি হয়ে যাবি তাই আমি তোকে কম কম করে খেতে দিই বুঝেছিস,,,তাহলে দেখ আমি তোর কত বড় উপকার করছি আর তুই আমাকেই আবার কোথা শুনাচ্ছিস।
।
নীলার মাঃ ওই তোরা চুপ করবি, আর সুমি তুই চকলেট নিয়ে এসে লুকিয়ে রাখতে পারিস না?
।
সুমিঃ একটি জাইগাও বাদ দিই নি মা,সকল জাইগাতে লুকিয়ে রেখেছি কিন্ত তোমার মেয়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাখা অসম্ভব।
।
নীলাঃ যাক আমার ভেতর তাহলে একটি গুন তো আছে
।
নীলার মাঃ তোদের বিষয় তোরা দেখ আমি এর ভিতর নেই,আর হ্যা প্রস্তুতি নাও,তোমার বাবার ফ্রেন্ড এর মেয়ের বিয়ে তাই আমরা সেখানে দুইদিন পর যাচ্ছি(বলেই চলে গেল,
।
সুমিঃ আচ্ছা যাব।আর আপু তুই শোন আমার চকলেট যদি আর নিস তাহলে কিন্ত তোকে আমি বদ দোয়া দেব।
।
নীলাঃ ওই ওই কী বদ দোয়া দিবি রে, আগেও কী তুই আমার বোন, নিজের বোন হয়ে আরেক বোনকে বদ দোয়া করিস।আর হ্যা তোর চকলেট খেয়েছি বেশ করেছি আরো খাব ।
।
সুমিঃ তাহলে শোন তোর কপালে আস্ত একটা ডেভিল বর জুটবে(বলেই চলে গেল)
।
নীলাঃ হা হা হা(শাকচুন্নি হাসি দিয়ে
) বকের দোয়াই বিল শোকাই না(মুখ ভেংচি দিয়ে)
,,,,
,,,আর হ্যা এই যে বললাম সুমির মা,নীলার মা,, এরা দুই বোন একই মা
.
.
#________________চলবে________________
।
।
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।