Lovable Part : 14

0
1129

Lovable Part : 14
Writer : Kabbo Mahmud

*****
*****
★দিনের আলো ফুটতেই তানিশা চোখমেলে তাকিয়ে দেখে কাব্য ঘুমিয়ে আছে৷ তাই আস্তে করে কাব্যর বুকের উপরে থেকে উঠতে যাবে তখনই কাব্য টান দিয়ে তানিশাকে বুকের সাথে চেপে ধরে।
কাব্যঃ কী ভেবেছিলে?? ঘুমিয়ে আছি? এতোক্ষণ তোমার সাথে এটা করার অপেক্ষাই ছিলাম।
তানিশাঃ oh.তাহলে এবার অপেক্ষার ফল পেয়েছেন? এবার আমাই ছাড়ুন। কতো সময় হয়ে গেলো এখনো নিচে গেলাম না। জানিনা কে কি ভাবছে।
কাব্যঃ ভাববে মানে? এখনো মনে হয় সবাই ঘুমিয়ে আছে আর আমি তোমার অপেক্ষাই কখন আমার বউ উঠবে আবার একটু ভালোবাসব।
তানিশাঃ ছাড়ুন। আর ভালোবাসা পরে।
কাব্যঃ তোমাকে কী আমি ধরে রেখেছি??
তানিশাঃ না আপনি কেন আমাই ধরে রাখবেন? আমাই তো একটা উগান্ডার সরদার ধরে আছে।
কাব্যঃ কী বললে??(দাঁতে দাঁত চেঁপে)
তানিশাঃ কই কি বললাম?.
কাব্যঃ এই মাত্র এটা কী বললে??

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

তানিশাঃ oh. আমি বললাম আমার বর এখন আমাই জড়িয়ে ধরে আছে।
কাব্যঃ হুম পাজি মেয়ে এবার হয়েছে…
তানিশাঃ এই ছাড়ুন না::::অনেক কিছু বাকি আছে।
কাব্যঃ পূরণ করে দিই??
তানিশাঃ দূর সবসময় শুধু লুচুগিরি। fresh হয়ে নিন তারপর অন্যকিছু।
কাব্যঃ ওহ তারমানে ফ্রেশ হওয়ার পর?? রাতে যা করেছিলাম সেটা হবে আচ্ছা???
তানিশাঃ কীহহহহহহ.????বজ্জাত, শয়তান, ডাইনেসর, লজ্জা সরম কিছু নাই। রাতে ঘাড়ে কামড় দিয়েছেন এর শোধ আমি নেবোই।
কাব্যঃ হুম নিও সপ্নে।
তানিশাঃ ইহহহ তাও ঠিক আপনার মতো বাট্টা ইঁদুর এর সাথে পেরে উঠবো না। বাট্টা ইঁদুর শুধু কামড়ে দেই।
কাব্যঃ কী???(রেগে যেয়ে)
তানিশাঃ হাই হাই এটা কী বললাম??(মুখ চেপে ধরে).
কাব্যঃ মুখ চেপে ধরছো কেন? আমি তোমার ওই গন্ধ মুখে চুমু দেবো না।
তানিশাঃ কীহহহহ?????????
কাব্যঃ বুঝোনাই??? তোমার গন্ধ মুখে উম্মা খাবোনা।
তানিশাঃ এত্ত বড় কথা? আমার মুখ গন্ধ?? দ্বাড়াও দেখাচ্ছি।
কাব্যঃ নাও চোখ বুঝেছি এবার দেখাও।।
তানিশাঃ হুম চোখ বুজে থাকেন।
কাব্যঃ কোথাই যাচ্ছ??
তানিশাঃ মুখটা ফ্রেশ করে নিয়ে আসি তারপর উম্মা দেবো।
কাব্যঃ উফফ তুমি এতোটা রোমান্টিক ভাবতেই ভালো লাগছে। আমি অপেক্ষা করছি এসো।
তানিশাঃ হুম বান্দর আবার আসছি তোর কাছে(বিড়বিড় করে)
কাব্যঃ কী বললে??(উঠে বসে পড়ে)
তানিশাঃ নায়ায়া কিছুই না”
*তানিশা শাওয়ার নিতে ঢুকে পড়েছে আর কাব্য তানিশার পালিয়ে যাওয়ার দিকে লক্ষ্য করে আর ভাবে”
কাব্যঃ এই মেয়ে এতো বজ্জাত কেন বুঝিনা!!! উফফ্ খুব চালাক তাইনা তুমি?? বুঝবে মজা একটুপর।
*কাব্য মুচকি হাসি দিয়ে ভাবছে শাওয়ার নেওয়ার পরে কী হতে পারে! ওর তো পরার মতো কিছুই নেই।
**
**
*বসে বসে কাব্য অপেক্ষা করছে তানিশার কখন শাওয়ার নেওয়া বন্ধ করবে…..
*অপেক্ষার পর অপেক্ষা তবুও তানিশার বের হওয়ার কোন নাম গন্ধ নেই।
কাব্যঃ পাজি মেয়ে এতোক্ষণ কী করছে?? কোন সমস্যা হলো নাকি??(মনে মনে) তানিশা………
*অপরদিক থেকে কোন উত্তর নেই।
কাব্যঃ এখনো কী হয়নি তোমার???
*তাও কোন উত্তর বা সাড়াশব্দ নেই।
কাব্যঃ কী হলো কথা বলছো না কেন?(রেগে যেয়ে)
*একটুপর তানিশা দরজা হাল্কাভাবে খুলে কোনরকম মুখটি বের করে।
তানিশাঃ এই……(কাব্যকে উদ্দেশ্য করে)
কাব্যঃ “হুম বলো.
তানিশাঃ বলছি যে কী পড়বো????
কাব্যঃ আমাই কী বলছো?তুমিই জানো।
তানিশাঃ সত্যিই বলছি কী পড়বো? আমার তো পরিধান করার মতো কিছুই নেই আর এটা মনেও ছিলোনা।
কাব্যঃ এই রুমে কোন মেয়ের পোশাক নেই।
তানিশাঃ তাহলে??
কাব্যঃ তাহলে আবার কী???তুমি আমাই ফাঁকি দিয়ে চলে গেছিলে এবার আমিও এখন রুম থেকে চলে যাবো।
তানিশাঃ ফ্রেশ হবেন না??
কাব্যঃ হুম ফ্রেশ তো হতেই হবে। উমম আচ্ছা তুমি বের হও নাহলে আমি ফ্রেশ হবো কেমন করে?
তানিশাঃ আমি বের হতে পারলে এখানে থাকতাম? কোন উপাই দেখুন প্লিজ।
কাব্যঃ কী উপাই??
তানিশাঃ আমি নাহয় বুদ্ধু সবাই বলে কিন্ত আপনিও কী আমার মতো? যে বুদ্ধি খুজে পাচ্ছেন না।
কাব্যঃ এতো কথা বলো তুমি (বিরক্তিকর হয়ে) wait……
*কাব্য তার একটি শার্ট ও প্যান্ট নিয়ে এসে তানিশার সামনে দাঁড়াই।
কাব্যঃ কী দেখছো? আমি পরিয়ে দেবো??
তানিশাঃ এই না না দিন আমাই দিন আমিই পরব।
কাব্যঃ না তা হবে না আমার পাওনা টি দাও।
তানিশাঃ কী??
কাব্যঃ মনে নেই?? যেট না দিয়ে চলে গেলে সেটা দাও।
তানিশাঃ না দেবোনা।
কাব্যঃ ok..তাহলে থাকো এভাবে আমিও দেখি তুমি কতোক্ষন এভাবে থাকতে পারো।
তানিশাঃ হুম থাকব তো তারপর ঠান্ডা লাগবে আর সেবা যত্ন আপনাকে দিয়ে করাবো।
কাব্যঃ হুম আমি কিন্ত সবরকম সেবা করতে পারি বিশেষ করে বউ এর জন্য স্পেশাল।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

তানিশাঃ লুচু তো এসব ভালো পারবেই হুহ।(বিড়বিড় করে)
কাব্যঃ কী বললে??
তানিশাঃ ক…কই কিছু না(তুঁতলিয়ে) আচ্ছা আপনি আমাকে ওইগুলো দেন আমি বাইরে এসে আপনাকে ওটা দেবো।
কাব্যঃ কী দেবে??
তানিশাঃ ওই যে ওটা”
কাব্যঃ কী??
তানিশাঃ ধুত্তেরি চুম্মা দেবো চুম্মা খাবেন??যদি খেতে চান ওই পোশাক গুলো আমাই দিন মহারাজ।
কাব্যঃ OK….. নাও।।
*কাব্য তানিশাকে ড্রেস গুলো দেওয়া মাত্রই তানিশা খুব জোরে দরজা বন্ধ করে দিলো যেটা দেখে কাব্য কিছুই বুঝতে পারলো না। তাই আবার যেয়ে বিছানায় বসলো।
****
****
একটুপর কাব্য লক্ষ্য করে তানিশা দরজা খুলে দিয়েছে কিন্ত বের হচ্ছেনা..।
কাব্যঃ কী হলো? এসো!!!
তানিশাঃ না যাবো না।আমাই এভাবে একটুও ভালো লাগছেনা।
কাব্যঃ সমস্যা কী? আমি ছাড়া তোমাই কেউ দেখবে না।
তানিশাঃ আচ্ছা…….
*তানিশা মাথা নিচু করে ধীরে ধীরে সেখানে থেকে বের হয় সাথে লজ্জায় লাল হয়ে আছে যেটা কাব্য লক্ষ্য করে হা…….হয়ে গেছে৷
*এরকম ড্রেস এ তানিশাকে একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগছে একদম পুতুলের মতো। কিন্ত কাব্য!!!! সে তো আগেই হা হয়ে তাকিয়ে আছে তানিশার দিকে। **তানিশার দিকে তাকিয়ে ভাবছে “এতোটা সুন্দর লাগছে কেন তোমাই? আর কতোটা রুপ তুমি তোমার মাঝে ধরে রেখেছো???কিছুই বুঝতে পারছিনা আবারো মুগ্ধ করলে আমাই তুমি।
তানিশাঃ খুব বাজে দেখাচ্ছে তাইনা??(মাথা নিচু করে)
কাব্যঃ no ans…….
তানিশাঃ কী হলো???
কাব্যঃ হুম।
তানিশাঃ হুম কী???? আপনিই তো দিলেন এগুলো খারাপ লাগলে আমি কী করব?(রেগে যেয়ে)
কাব্যঃ কে বলেছে তোমাই খারাপ লাগছে? তোমাই এভাবে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এতোটা মুগ্ধকর কেন তুমি? যতোবার দেখি শুধু প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে।
তানিশাঃ আপনার ইচ্ছের তুষ্টি। যান উঠুন আপনিও শাওয়ার নিয়ে আসুন যান।
কাব্যঃ কী??এই সকালে??
তানিশাঃ তি??এই ততালে??(মুখ ভাঙিয়ে) আপনি জানেন না এটা ফরজ কাজ???
কাব্যঃ oh হ্যা যাচ্ছি।
তানিশাঃ হুম যান।
*কাব্য উঠে দাঁড়িয়ে তানিশার সামনে যেয়ে দাঁড়াই।
তানিশাঃ কী হলো আবার??
কাব্যঃ wait…..
*তানিশার একদম কাছে যেয়ে তার ঠোঁট এর সাথে ঠোঁট এক করে দিয়ে একটা ভালোবাসার পরস একে দেই যেটার জন্য তানিশা একটুও প্রস্তুত ছিলো না।
কাব্যঃ কাব্য সবসময় তার হিসেব সুন্দরভাবেই নেই বুঝেছো??
*আর কিছু না বলে কাব্য তার পোশাক নিয়ে শাওয়ার নিতে চলে গেলো। আর তানিশা অবাক হয়ে বিছানায় বসে পড়ে।
তানিশাঃ কুত্তা বিলাই তোর কিস করার তেরোটা যদি আমি না বাজিয়েছি তাহলে আমার নাম ও তানিশা না হুহ(রেগে যেয়ে)
*তানিশা রেগেমেগে বসে আছে আর কাব্যর গুনগান করছে।
*অনেকক্ষণপর কাব্য বের হয়ে দেখে তানিশা বসে বসে বিড়বিড় করছে। সে চুপচাপ যেয়ে সম্পন্নভাবে ফ্রেশ হয়ে তানিশার পাশে এসে বসে।
কাব্যঃ একেপারেই সব বলে দিবে নাকি কিছু রাখবে??
তানিশাঃ ইহহ,,, আপনি চলে এসেছেন??? আচ্ছা একটি কাজ করে দিন না প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
কাব্যঃ হুম বলো।
তানিশাঃ নীলা কে একটু যেয়ে বলুন না প্লিজ যে আমার জন্য একটা ড্রেস নিয়ে আসতে নাহলে তো এভাবে বের হতে পারব না।
কাব্যঃ ok.
*কাব্য সেখানে থেকে উঠে চলে গেলো নীলার কাছে আর তানিশা কাব্যর এমন ব্যবহারে অবাক♪
তানিশাঃ ইনার আবার কী হলো?? শাকচুন্নি ঘাড়ে বসলো নাকি?? এভাবে চলে গেলো কেন বুঝলাম না!! উনি তো এভাবে চলে যাই না*
কী সব হচ্ছে আমার সাথে? উফফ পাগল হয়ে যাবো। একসময় তেড়া আর একসময় ভদ্রলোক হুহ।
**
**
নীলাঃ কী রে তানিশা আমাই ডেকেছিস??
তানিশাঃ ওই নাম ধরে ডাকবি না ভাবি বলবি ভাবি বুঝেছিস??
নীলাঃ এই হয়েছে! আমি জানি আমার জীবন এবার তেজপাতা করে ছাড়বে এই মেয়ে(মনে মনে)
তানিশাঃ কী মতলববাজ করছিস মনে মনে?
নীলাঃ না কিছুনা। ভাইয়া বলল তো………….
*নীলা এতোকক্ষণে খেয়াল করেছিল না তানিশার দিকে সেভাবে। কিন্ত এবার সে লক্ষ্য করে দেখা মাত্রই কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। সে এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত না।
তানিশাঃ কী দেখছিস আ??? দে এগুলো আমাকে।
*নীলার হাতে থেকে ওগুলো নিয়ে চলে গেলো আর নীলা সেখানে হা করে দাঁড়িয়ে আছে।
নীলাঃ এটা কী ছিল???সপ্ন নাকি বাস্তব????
*নীলা ভাবতে ভাবতে তানিশা বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে নীলা এখনো সেখানেই আছে।
তানিশাঃ ওই তোর আবার কী হলো??
নীলাঃ উহ না কিছুনা আচ্ছ চল নিচে যাই।
তানিশাঃ ১মিনিট প্লিজ,চুলগুলো আছড়ে নিই?
নীলাঃ হুম আচ্ছা।
*তানিশা চুলগুলো আছড়ে নিয়ে নীলার সাথে হাসিমুখে নিচে চলে গেলো।

#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here