lovable Part : 19

0
1615

lovable Part : 19
Writer : Kabbo Mahmud

******
কাব্য ও তানিশা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে একটুপর তাহিয়া এসে দরজা খুলে দেই এবং তানিশা ও কাব্য ভেতরে প্রবেশ করে। সবাই অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। অবাক হওয়ারই কথা যেভাবে তারা গিয়েছিলো এখন মোটেও সেভাবে নেই। তানিশা দুষ্টুমি মাখা চাহনি নিয়ে বাচ্চাদের মতো চকলেট খাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসছে আর কাব্য কিছুই বলছে না। এতোক্ষণে সবাই তাদের নিয়ে টেনশনে ছিলো কিন্ত এবার সবাই সুস্থির নিশ্বাস নিলো।
মাঃ কী রে তানিশা তোর সাথে কিছু হয়নি তো?
তানিশাঃ কী যে বলো মা কতো ডাইনোসর, এন্যাকন্ডা কে আমি পিটিয়ে সোজা করেছি আর কার কথা বলো হাহাহা।
-তানিশার কথা শুনে সবাই হেসে দেই আর কাব্য তানিশার উপরে আরও ক্ষেপে যাই। সে বুঝতে পারছে তানিশা এটা কী বোঝাতে চাইছে।
আবিরঃ তা কী কী হলো?
তানিশাঃ একটা বান্দর আমাকে তুলে নিয়ে গেছিল আর আমি কী করলাম জানো?
নীলাঃ কী???
তানিশাঃ বান্দরটাকে ঢিসুম ঢিসুম করে মারলাম তারপর সে আমার সাথে না পেরে আমার সাথে ক্ষমা চাইলো আমি বললাম একটা শর্তে ক্ষমা করব(কোমরে হাত দিয়ে) আমাকে অনেক গুলো চকলেট নিয়ে এসে দিতে হবে। তারপর আর কী নিয়ে এসে দিলো আর বাসাতেও দিয়ে গেলো।
কাব্যঃ একটু বেশি বললে না? অবশ্য যা বলেছ ভালো, এসব গুলোর বোনাস পয়েন্ট রাতে তুলে নেবো(দাঁতে দাঁত চেঁপে)
*কাব্যর কথাই তানিশা কাব্যর দিকে অসহায় এর মতো তাকাই এবং ভয় পেয়ে যাই। না জানি তার সাথে আজ কী হতে চলেছে। আর আশেপাশে তানিশার কথা শুনে হাসি কীভাবে ঠেকাবে বুঝতেই পারছেনা।
আবিরঃ হা হা হা ভাবি অনেক অনেক ফানি ।
নীলাঃ হুম এতো হাসাতে পারে।
তানিশাঃ হুম তোমরা হাসো আর আমার সতেরোটা বাজবে। জানিনা ডেভিল এর বাচ্চা আজ আমার কী করবে? মনে হয় আলুর পরটা বানিয়েই ছাড়বে।(বিড়বিড় করে)
কাব্যঃ হুম তোমাকে আজ কিমা বানাবো রুমে আসো শুধু।
*কাব্য তানিশার পাশে থেকে রুমে চলে গেলো আর তানিশা ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে। সে এটা বুঝতে পারলো না কাব্য তার কথা কীভাবে শুনতে পেলো???
মাঃ আচ্ছা তানিশা বাইরে থেকে আসলে কিছু খেয়েছো?
তানিশাঃ হুম মা।
মাঃ আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে এসো।
তানিশাঃ এই রে কাজ সেরেছে *রুমে গেলেই তো আমার কাম তামাম কি করি এখন??(আঙুল দাঁত দিয়ে চেঁপে ধরে)
মাঃ কী হলো?
তানিশাঃ না কিছুনা। বলছিলাম যে ফ্রেশই তো আছি আবার কী করব?
মাঃ তাও বাইরে থেকে আসলে।
তানিশাঃ হুম তোমরা কী বুঝবে রুমে গেলে যে আমার পরটা বানাবে ওই বেটা ডেভিল।(বিড়বিড় করে) আচ্ছা যাচ্ছি।
*তারপর তানিশা ভিতুর মতো আস্তে আস্তে রুমের দিকে যাচ্ছে আর ভাবছে।
তানিশাঃ কী করা যাই? ওর কাছে গেলেই তো আমার বিপদ!!! হি হি হি বুদ্ধি পেয়েছি একদম রাগী লুক নিয়ে যাবো তাহলে কিছু বলতে পারবে না।
*তানিশা মুখটি গোমড়া করে রুমের দিকে এগোচ্ছে* যতো পা ফেলছে তার মনের মধ্যে যেনো আরও ভয় ঢুকছে।
তানিশাঃ উফফ এমন ভয় করছে কেন? আর আমারই বা ভয় পাওয়ার কী আছে?******** ওই তানিশা ওই বেটা উল্লুককে নিয়ে ভয় পাবি না ও তো আস্ত একটা বাট্টা ইঁদুর সামান্য তম তোর বাম হাতের চুটকিতে ও ভয় পেয়ে যাবে যা এগিয়ে যা তা না হলে কী হবে কে জানে।(বিড়বিড় করে)
*নিজেকেই নিজে শান্তনা দিচ্ছে আর এগোচ্ছে মনে হচ্ছে সে জেনো কোন ভূত দেখার ভয়ে যাচ্ছে না।
*অবশেষে দরজার কাছে এসে একবার উঁকি দিয়ে দেখে রুমের ভেতরে কেউ নেই।
তানিশাঃ এই বেটা গেলো কোথাই? রুমে তো নেই??!!! তাহলে কী ফ্রেশ হতে গেছে?
*তানিশা সেখানে থেকে চুপিচুপি হেটে যাচ্ছে ভেতরে। রুমের ভেতরে এসে দেখে কাব্য নেই আর ওয়াশরুমের দরজাও খুলা রয়েছে।
তানিশাঃ নিশ্চয় বজ্জাত ভেতরে আছে? একটু বাজিয়ে দেখলে কেমন হয়??
*তানিশা আবারো দুষ্টুমি করার জন্য ওয়াশরুমের দিকে উঁকি দিয়ে দেখে কাব্য ভেতরে নেই।
তানিশাঃ এটা কেমন হলো? উনি ক………….!
!!!!
*বাকিটা আর বলতে না পেরেই কাব্য তানিশাকে পেছন থেকে চেপে ধরে ওয়াশরুমের ভেতরে নিয়ে চলে যাই।
তারপর দেওয়াল এর সাথে চেপে ধরে তানিশার দিকে লক্ষ্য করে বেচারি ভয়ে চোখ বুজে আছে আর ঠোঁট দুটো কাঁপছে।
**
কাব্যর খুব তানিশার কাছে টানছে তানিশাকে এমন অবস্থাতে দেখে। তার যেন দেখতে খুবই ভালো লাগছে এই দৃশ্যটি।
আর এদিকে তানিশা নিজেকে স্থির করে নিয়ে আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে কাব্য তাকে চেপে ধরে রেখেছে।
::::
তানিশাঃ আ…আপনি?(কাঁপাকাঁপা কন্ঠে)
কাব্যঃ হুম আমি। কী ভেবেছিলে! রুমে নেই? ছিলাম তোমার অপেক্ষাই কিন্ত লুকিয়ে। এবার কোথাই যাবে মহারানী?
তানিশাঃ কোথাই যাবো মানে? ক্ক..কী করবেন আপনি??
কাব্যঃ কী করব??
তানিশাঃ কী??
কাব্যঃ সবকিছু করব।
তানিশাঃ উমম এই থুঁথুঁ দেখেছেন?(মুখে থেকে থুঁথুঁ বের করে)
কাব্যঃ তো!!
তানিশাঃ এগুলো আপনাকে খাওয়াই দেবো যেদি আমাকে বেশি বিরক্ত করেন!
কাব্যঃ বিরক্তর কী দেখলে?(তানিশাকে টেনে নিয়ে এসে shower এর সোজা দুজনে দাঁড়িয়ে পড়ে) এবার দেখো তো কেমন বিরক্ত লাগে?(বলেই shower অন করে দেই)
*এবার তানিশা আর কিছুই বলছে না চোখ দুটো বন্ধ করে ভিজছে আর কাব্য অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
কাব্যঃ বাহ্ তোমাকে এভাবে দেখেও আমি আরও একবার তোমার প্রেমে পড়লাম। আরও কতো রুপ তোমার মাঝে আছে বুঝিনা। খুব ভালোবাসি তোমাই:: I Love You Miss Tanu..(মনে মনে)(মুচকি হাসি দিয়ে) এভাবে থাকবে নাকি? একটু তাকাও।
তানিশাঃ……………..
কাব্যঃ কী হলো? তাকাও!!
*তানিশা কাব্যর দিকে ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকাই। চোখে গাড় কাজল দেওয়াতে সেগুলো চোখের সাথে লেপ্টে গেছে যার জন্য তাকে আরও মায়াবী দেখাচ্ছে ***কাব্য একভাবে তানিশার দিকে চেয়ে আছে আর তানিশা কাব্যর দিকে। দুজনে যেন একে-উপরের চোখ আর সরাতেই পারছেনা। এক অজানা ভালোবাসা তাদের চোখাচোখির মধ্য দিয়ে একে যাচ্ছে।
ভালো থাকুক ভালোবাসা, এভাবে চলতে থাকুক তাদের জীবন।
******
******
প্রায় অনেক্ষণ পর দুজনে ফ্রেশ হয়ে বের হয়। তানিশা একদম চুপ করে আছে আর কাব্য মুচকি হাসি দিচ্ছে।
*
তানিশা এসে আয়নার সামনে বসে চুলগুলো ঠিক করছে আর কাব্য বিছানায় বসে তানিশার দিকে চেয়ে।
*
কাব্যঃ বলছিলাম যে তোমার ঠোঁটে কী ব্যাবহার করো?
তানিশাঃ কিছুনা।
কাব্যঃ ওহ্ তাহলে আর ব্যাবহার করবেও না এভাবেই তোমার ঠোঁট অনেক মিষ্টি লাগছিল।
তানিশাঃ লুচু কোথাকার আমার মতো মেয়ের উপর এভাবে অত্যাচার করেছিস। কিছু বলিনি তোর কপাল খারাপ(বিড়বিড় করে)
কাব্যঃ কী বললে?
তানিশাঃ এ কি ভাবে আমার কথা শুনতে পাই?(মনে মনে) কই কী বললাম? কানে বেশী শোনেন নাকি?
কাব্যঃ হুম তোমার প্রেমে জ্বালাই বেশি শুনতে লেগে গেছি।
তানিশাঃ আমি প্রেমিকা না যে কারোর প্রেমে পড়বো। বা প্রেমিকা হবো।
কাব্যঃ ওহ্ তাইতো তার মানে তুমি বোঝাতে চাইছো যে”” আমি আমার বউ এর ভালোবাসাই বেশি শুনি।
তানিশাঃ আমি মোটাও আপনাকে ভালোবাসি না।
কাব্যঃ মিথ্যা!!
তানিশাঃ না সত্য!
কাব্যঃ দেখ ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যা বলবে না বলে দিলাম (serious mode নিয়ে)
তানিশাঃ হুহ সত্য সত্য সত্য তিন সত্য আমি আপনাকে ভালোবাসি না।
*তানিশার কথা কাব্য আর কিছু না বলেই সেখানে থেকে নিচে চলে যাই।
তানিশাঃ যাহ্ এই ইঁদুর আবার রাগ করলো নাকি?!!!
আমার কী একটু রেগে থাকা ভালো *গোমড়া মুখো হিহিহি।
**********
সবাই মিলে নিচে এসে আড্ডা দিচ্ছে সাথে কাব্য তানিশা ও আছে। নিচে এসে তানিশা শোনে যে তার বাবা মা এখন আসছে। এটা শুনে তার আরও মন ভালো হয়ে যাই ও সবার সাথে আনন্দে আড্ডা দিচ্ছে আর মন খুলে হাসছে।
*****
*****
সবাই অপেক্ষা করে তানিশার বাবা-মায়ের জন্য সাথে আড্ডা তো চলছেই এর মাঝে।।। প্রায় ঘন্টা দুই-এক এর মধ্যে তানিশার বাবা-মা পৌছে যাই কাব্যদের বাসাই।
+ সবাই মিলে কথা বার্তা আর তানিশা ও তাহিয়া তো সেই খুশি বাবা-মা কে জড়িয়ে ধরে এক আনন্দের কান্না কেঁদে দেই।
তানিশার বাবাঃ কী রে পাগলীরা কাঁদছিস কেন?
তানিশাঃ এটা কান্না না বাবা এটা হাসির ছিটেফোঁটা।
তানিশার বাবাঃ হা হা এখনো সেইরকমই আছিস তোরা।
কাব্যর বাবাঃ থাকতে হবে কেননা আমার এমন মেয়েই চাই। তুই শুধু বউমা না রে আমার আরও দুটো মেয়েকে দিয়েছিস আমার এই সংসারের মাঝে সবসময় হাসি খুশী রাখার জন্য। জানিস সবসময় আমরা আনন্দে থাকি।
তানিশার বাবাঃ হুম আমি জানতাম আমার মেয়েরা যেখানেই যাবে সবাইকে আপন করে নেবে। কোন ভুল ত্রুটি হলে কিছু মনে করিস না।
কাব্যর বাবাঃ আরে কী বলিস? ওদের কাছে কোন ভুল মানেই দুষ্টুমি। আর আমি জানি তুই খুব কষ্টে থাকিস।
তানিশার বাবাঃ হুম একটু কষ্ট লাগে কিন্ত মেয়ে তো বাপের বাড়ি থাকিতে নেই।
কাব্যর বাবাঃ দূর তোর দুঃখ। সব ভূলে যা সব দুঃখ আরে মেয়ে কী তোর একার কাছেই রাখবি? আর আমার কাছেই থাকবে? এখানে থাকবে ওখানেও থাকবে প্রয়োজনে কিছুদিন বেড়িয়ে আসুক।
তানিশার বাবাঃ আচ্ছা ওসব থাক বাদ দেওয়া ভালো। আল্লাহ যা করে ভালোই করে। এখন অন্য কথাই আশা যাক।
*কাব্যর মাঃ না আগে ফ্রেশ হয়ে আসুন সবাই এক সাথে মিলে দুপুরে খাবার খেতে হবে আপনাদের অপেক্ষাতেই আছি আমরা।
তাহিয়াঃ হুম মা খুব খিদে পেয়েছে চলোতো তোমরা চলো চলো।
*তানিশার বাবা ও মা দুজনে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে খাবারের টেবিলে বসে। তারপর খাওয়া শেষে আবার গল্প।
**সবাই মিলে আড্ডা ও হাসিতে সারাদিন পার করে রাত হয়ে যাই এবং সবাই রাতের ডিনার সেরে নিজ নিজ রুমে যাই কিন্ত তানিশা ও তাহিয়া তাদের মা বাবার রুমে বসে আছে দুজনে মিলে গল্পের আসর বসিয়েছে তাদের সাথে।
আর এদিকে কাব্য ও আবির বেচারা, দুজনে ঘুমোতেও পারছেনা।
#ব্যাস্ততার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করে লিখতে হচ্ছে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here