lovable Part : 20
Writer : Kabbo Mahmud
******
কাব্য ও আবির ছাদের একপাশে দুজনে দাঁড়িয়ে গল্প করছে।
আবিরঃ ভাই আমাদের এতো বড় বদ অভ্যাস হয়ে গেলো?
কাব্যঃ what??
আবিরঃ এই যে দেখ বউ ছাড়া আর ঘুমাতে পারছি না।
কাব্যঃ আমার সেটা না, আমার তো এমনিতেই ঘুম আসছেনা।
আবিরঃ বাজে বকবি না আমি ভালো রকম বুঝতে পারছি।
কাব্যঃ whatever!!!
আবিরঃ রাখ তোর ইংরেজি সত্য বলতে ভাই আমি তো ঘুমাতেই পারছিনা।
কাব্যঃ কেন?
আবিরঃ তাহিয়া কে ছাড়া।
কাব্যঃ oh…তাহলে ডেকে নে তাহলেই সমস্যা solve……
আবিরঃ ওইটাইতো পারছি তার জন্য তোর মতন এখানে এসে ছাদের হাওয়া খেয়ে যাচ্ছি।
কাব্যঃ বেশি খেলে পেট ফেটে যাবে।
আবিরঃ হুম। চল নিচে যাই আর ভালো লাগছেনা। আর হ্যা আজ দুজনের কেউ রুমে যাবে না ওখানেই গল্প করে ঘুমাবে তাদের মা-বাবার কোলের ভেতর। তাই আমাদেরও উচিৎ আজকের রাতটি কোলবালিশ এর সাথে কাটানো।
কাব্যঃ তোর যা ইচ্ছে করবি যা। আমার মাথা খারাপ করাবি না ফাজিল কোথাকার।
আবিরঃ আচ্ছা ঠিক আছে থাক আমি কোন ভাবে রাতটি পার করব।
*আবির নিচে চলে যাই আর কাব্য সেখানেই দাঁড়িয়ে ভাবছে।
কাব্যঃ হুম আবির ঠিকই বলেছে তানিশাকে ছাড়া ঘুমোতেই পারছিনা।
**এখানে থেকে কোন লাভ নেই রুমে যাই।
★কাব্য নিজের রুমে এসে সোফায় শুয়ে পড়ে।
কোন ভাবনায় তার মাথাই আসছেনা শুধু একভাবে সামনের দিকে চেয়ে আছে।
****
এভাবে থাকতে থাকতে ঘুমের ছোঁয়া তার চোখে স্পর্শ করে *একটু একটু করে চোখ বুজছে। যখন একেবারেই চোখ দুটি ঘুমের দেশে চলে যাবে তখনই কাব্য অনুভব করে তার চোখে যেন কেউ নরম কিছু দিয়ে স্পর্শ করল।
*কাব্য চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে তানিশা তার পাশে দাঁড়িয়ে।
তানিশাঃ আমাকে ছাড়া ঘুম আসছেনা বুঝি?(দুষ্টুমির চাহনি নিয়ে)
কাব্যঃ কেন আসবে না? ঘুমাচ্ছিলাম তো।
তানিশাঃ হুম ঘুমাচ্ছিলেন সোফায় তাইতো???
কাব্যঃ হ্যা আসলে(উঠে বসে তানিশার হাত ধরে টেনে নিয়ে এসে তার কোলের উপরে বসিয়ে দেই)
তোমাকে আদর না করে ঘুমোতে ইচ্ছেই করেনা।
তানিশাঃ লুচুদের তো এটাই কাজ।
কাব্যঃ কী বললে?(দাঁতে দাঁত চেঁপে)
তানিশাঃ কই কি বললাম? আসুন ঘুমোবেন।
কাব্যঃ তা গল্প কী হয়ে গেলো নাকি আবার যাবে?
তানিশাঃ আবার যাবো।
কাব্যঃ কেন?
তানিশাঃ আপনার কাছে থাকবো না।
কাব্যঃ কেন?
তানিশাঃ কেন?
কাব্যঃ ফাজিল মেয়ে(রেগে যেয়ে)
তানিশাঃ হিহিহি…….. বলছিলাম যে আমার একটা বদ অভ্যাস হয়ে গেছে।
কাব্যঃ কী???
তানিশাঃ দেখুন না আমি মা বাবার কাছে থাকতেই পারলাম না ঘুম আসছে না।
কাব্যঃ ঘুম আসছে না কেন?
তানিশাঃ বুদ্ধু কিছু বোঝে না আবার রোমান্টিকগিরি দেখাই।
কাব্যঃ কী হয়েছে সোজাসুজি বলো।
তানিশাঃ আমার আপনার বুকটা লাগবে।
কাব্যঃমানে?
তানিশাঃ মানে হলো আমার আপনার বুকে ছাড়া ঘুম আসবে না^^^
কাব্যঃ তাই??
তানিশাঃ হুম। এবার চলুন আমার ঘুম পাচ্ছে।
কাব্যঃ চলো..
তানিশাঃ আরে আরে এটা কী করছেন?
কাব্যঃ কিছুই না আমার পিচ্চি ফাজিল দুষ্টু বউকে কোলে নিয়েছি।।।আচ্ছা তুমি এতো হাল্কা কেন? খুব পাতলু।
তানিশাঃ আপনার নজরে নজরে চিকন হয়ে গেছি।
কাব্যঃ oh তাহলে আমার নজর একটা ভালো কাজও করেছে।
তানিশাঃ কী?
কাব্যঃ তুমি আগের থেকে অনেক সুন্দর হয়ে গেছ(,বিছানায় সুয়িয়ে দিয়ে)
তানিশাঃ মোটেও না।
কাব্যঃ বিশ্বাস হয় না!
তানিশাঃ না।
কাব্যঃ দেখিয়ে দিই তোমার কোথাই কোথাই সুন্দর হয়ে গেছে?
তানিশাঃ সুন্দর আবার দেখানো যাই নাকি যে বিভিন্ন জায়গাতে হবে! হ্যাবলাকান্ত, তারছেড়া কোথাকার।
কাব্যঃ দেখাচ্ছি দাড়াও।(বলেই তানিশার বুকের উপরে সুয়ে পড়ে)
তানিশাঃ ওরে বাবারে মাগো তোমার মেয়ে শেষ গো।
কাব্যঃ এই চুপ কী করছো এসব?
তানিশাঃ আপনি এতো বড় একটা হাতি আমার মতো হরিণ এর বুকের উপর উঠেছেন আমার ব্যাথা লাগবে না?
কাব্যঃ শেষমেশ শিকার করলে তুমিও একটা পশু?
তানিশাঃ হুম আমাই হরিণ হুহ। হরিণ হলেই কত কিউট হয় আপনি জানেন? এতো সুন্দর দেখতে হয় ইচ্ছে করে উম্মম্মম্মা দিই।
কাব্যঃ কেমন করে?
তানিশাঃ উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মায়
ায়ায়া এমন করে(কাব্যর গালে একটা কিস করে দেই তানিশা)
কাব্যঃ ওহ এমন করে?
তানিশাঃ হুম।
কাব্যঃ এবার লজ্জা পাচ্ছ না কেন?
তানিশাঃ লজ্জা কেন পাবো? আমি আমার বরকে কিস করেছি এরে লজ্জার কী আছে?
কাব্যঃ উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মমায়ায়া (তানিশার ঠোঁটে একটা পরস ছুঁয়ে) আমিও আমার বউকে দিলাম সমস্যা কি তাইনা?
তানিশাঃ হুম কিন্ত উঠেন উঠেন বাবাগো কত ভারী উহ……
কাব্যঃ আচ্ছা।
(তানিশার হাতদুটো ধরে কাব্য ঘুরে যাওয়ার সাথে সাথে তানিশাকেও তার বুকের উপরে নিয়ে যাই) এই তুমি খুব নরম একদম তুলার মতো।
তানিশাঃ যাহ দুষ্টু।(লজ্জা পেয়ে)
কাব্যঃ ইসস্ লজ্জা পেয়েছে এবার। আচ্ছা যাবো কিন্ত একটা জায়গাতে।
তানিশাঃ কোথাই?(কাব্যর দিকে তাকিয়ে)
কাব্যঃ তোমার মধ্যে মিশে যেতে চাই ;;;;;
তানিশাঃ ইহহহ শখ কত। আগে আমার পড়াশোনা শেষ হবে তার পর পিয়ার মোহাব্বত।
কাব্যঃ তুমি পড়বে?
তানিশাঃ হুম ওই বাসাই যেয়ে সব বইগুলো নিয়ে এসে পড়তে হবে।
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি পড়াশোনা শেষ না করা পর্যন্ত আমরা এভাবেই থাকব চলবে না?
তানিশাঃ হুম।
**কিছুক্ষণ নিরবতার পর।
কাব্যঃ আচ্ছা তানু আমাদের জীবনের গল্প যেই মোবাইলটি নিয়ে শুরু হয়েছিল সেটা কোথাই??
তানিশাঃ ওহ হ্যা মা তো ওটা নিয়ে এসেছে ওই রুমে আছে। তারা দেখে ফেলে কিছু বলেনি হয়তো ভেবেছে আপনিই দিয়েছেন।
কাব্যঃ ওইটা ভালো করে রাখবে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ওর জন্য।
তানিশাঃ হুম বদমাইস একটা ডেভিল জুটিয়ে দিয়েছে।।
কাব্যঃ আর সেই ডেভিক তোমাই খেয়ে ফেলবে। (বুকের মাঝে চেপে ধরে)
তানিশাঃ এই চেপে ধরছো কেন?
কাব্যঃ কী করব তোমার শরীর এতো Soft যে ইচ্ছে করছে আরও চেপে ধরি একদম মিশে ফেলি।
তানিশাঃ শুধু আমার একা না সব মেয়েরই এমন।
কাব্যঃ তাই!! তাহলে তো আরও দুইএকটজন লাগবে।
তানিশাঃ ওই ওই বেটা খচ্চর লুচুর হাড্ডি কি বললি? যদি আর কারোর দিকে তাকিয়েছিস না তাহলে তোর হবে।
কাব্যঃ বউ যদি শুধু শাসন করেই যাই একটু ভালোবাসা আদর না দেই তাহলে তো অন্য জনের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তাকাতেই হবে।
তানিশাঃ blackmail করছো?
কাব্যঃ না। সত্য বলছি। তুমি তো আদর করতেই পারোনা শুধু দুষ্টুমি।
তানিশাঃ পারিনা??
কাব্যঃ নাহ।
তানিশাঃ তবে রে……..
*তানিশা কাব্যর ঠোঁট এর সাথে নিজের ঠোঁট দুটো ডুবিয়ে দেই যেটা দেখে কাব্য তো বড় ধরনের শক্ খেয়ে যাই।…………..
…………………
কাব্যঃ এই থুঁ থুঁ ইয়াক্ক….. এটা কী করলে??
তানিশাঃ হাহহাহাহহাহাহাহিহিহিহিহি।
*তানিশা বিছানায় হেসে গড়াগড়ি করছে আর কাব্য রেগেমেগে উঠে বসে আছে।
কাব্যঃ আমার সাথে ফাজলামি??
তানিশাঃ কেমন স্বাদ??
*বিষয়টা হচ্ছে কাব্যর মুখের ভেতরে তানিশা থুঁথুঁ দিয়ে দিয়েছে যার জন্য তানিশা হাসতে হাসতে কী বলবে ভেবে পাচ্ছেনা।
কাব্যঃ দেখাচ্ছি দাড়াও।
তানিশাঃ এই থামো থামো।
কাব্যঃ হুম কী??
তানিশাঃ তুমি দাড়াতে বলেছ তারপর দেখাবে তাই আমি আগে দাড়াই তারপর দেখাবে।
কাব্যঃ আবার ফাজলামো?
তানিশাঃ হিহিহি।
কাব্যঃ উফফফ আল্লাহ এমন বউ আমার কপালে রেখেছ? যে ভালোবাসা এভাবে একটা স্বামী কে দিচ্ছে। আরও কতো কী বাকি আছে কে জানে।
*কাব্য বিরক্তিকর ভাব নিয়ে বসে আছে আর তানিশা হেসেই চলেছে।
এটাকেই বলে ভালোবাসা ও #lovable যেটাকে বলা হয় স্নেহের যোগ্য। দুজনের ভালোবাসা এভাবে অটুট থাকুক।
*********
কাব্যঃ এই থামবে নাকি আমি থামিয়ে দেবো?
তানিশাঃ কীভাবে??(হাসতে হাসতে)
কাব্যঃ দেখবে?
তানিশাঃ না আমার কোন কিছু দেখার ইচ্ছে নেই।
কাব্যঃ তুমি না চাইলেও আমি দেখবো সোনা।
তানিশাঃ ওরে আমার প্লাস্টিক রে হা হা হা (আরো হাসতে লাগে)
*তানিশার সাথে আর না পেরে কাব্য উল্টো দিক ঘুরে সুয়ে পড়ে।
তানিশাঃ ওলে ওলে আমার বাবুটার রাগ হয়েছে!! দাড়াও ঠিক করে দিচ্ছি।
*তারপর তানিশা কাব্যকে জড়িয়ে ধরে আর কাব্যও কিছু না বলে সোজা হয়ে তানিশাকে বুকের মাঝে জড়িয়ে নেই।
তানিশাঃ তুমি তো জানো আমি এসব ভালোবাসি আর বাসব তাই এগুলো অপছন্দ করবে না।
কাব্যঃ হঠাৎ তুমি!!
তানিশাঃ ইচ্ছে হয়েছে বলেছি সমস্যা হলে কেঁটে পড়ুন।
কাব্যঃ সমস্যা নেই। আচ্ছা ঘুমাও।
তানিশাঃ উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্
মম্মম্মায়ায়ায়া.. (কাব্যর ঠোঁটে লম্বা একটা কিস করে) এবার হয়েছে নাকি আর কিছু?
কাব্যঃ অবশ্য আরও কিছু লাগত কিন্ত থাক।
তানিশাঃ কী বলুন??
কাব্যঃ না থাক।
তানিশাঃ বলুন বলছি!!
কাব্যঃ একটা বেবি।
***************
*কাব্যর কথা শুনে তানিশা লজ্জা পেয়ে কাব্যর বুকে মুখ লুকাই ।
কাব্য বুঝতে পারে যে তানিশা লজ্জা পেয়েছে তাই কিছু বলছেনা।
তানিশাঃ আমার পড়াশোনা হয়ে যাক তারপর এসব নিয়ে ভাবা যাবে।
কাব্যঃ কেন? তুমিই তো বলেছিলে চুম্মা খেলে বেবি হয় তাহলে তুমি এখন যেহেতু চুম্মা দিলে তাহলে তোমার বেবি হবে।
তানিশাঃ ইহহ্ বললেই হলো। ছোট চুমু তে কিছু হয় না ইয়ায়ায়ায়ায়া বড় উম্মা লাগে।
কাব্যঃ তাই বুঝি?
তানিশাঃ হুম তাই এখন ঘুমান তো সকাল হলো বলে (কাব্যর বুকের মাঝে হারিয়ে যেয়ে)
কাব্যঃ হুম ঘুমাও।
**তানিশা কাব্যর বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে আর কাব্যও তানিশার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে ঘুমের মাঝে হারিয়ে যাই।
nice,next বলার চেয়ে কমেন্ট না করাই ভালো।
চলবে।