Lovable part : 6

0
1570

Lovable part : 6
writer : kabbo mahmud

*কলেজের বাইরে কাব্য গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছে। ঠিক কিছুক্ষণ পর সকল স্টুডেন্ট বের হওয়ার পর কাব্য লক্ষ্য করে তানিশাও বের হচ্ছে সাথে দুজন মেয়েও আছে। কাব্য গাড়ি নিয়ে তানিশার সামনে ব্রেক করে।
তারপর গাড়ী থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে বড় ধরনের শক্ –। কাব্যর খেয়াল নেই যে নীলা আর তানিশা একসাথেই পড়াশুনো করে এবং সে জানেনা যে এরা একসাথেই থাকে। নীলা তানিশার পাশে দাঁড়িয়ে কাব্যকে দেখে অবাক হয়ে যাই।।কিন্ত কাব্য এখন কী করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে।
নীলাঃ কী রে ভাইয়া তুই এখানে?
কাব্যঃ হ্যা আসলাম আর কী
নীলাঃ কোন দরকার?
কাব্যঃ না আসলে এদিকে দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখছি কলেজ ছুটি তাই ভাবলাম তোকে বাসাই নিয়ে যাই।
নীলাঃ এটা কী আমার ভাইয়া?? এটা কী করে সম্ভব? যে কোনদিন বাসাই থেকে কলেজে এগিয়ে দিয়ে গেলো না সে আজ নিয়ে যাবে??
কাব্যঃ কী ভাবছিস?
নীলাঃ না কিছু না। আচ্ছা চল*–তানিশা,দৃষ্টি, চল আমার সাথে বাসাই পৌছে দিই।
*সবাইমিলে গাড়ীতে উঠে বসলো আর কাব্য গাড়ী চালাতে শুরু করলো।কিন্ত তানিশা সব বুঝিতেই পারছে।
তানিশাঃ বজ্জাত আংকেল তো দেখছি বেশ চালু। একে বাজিয়ে দেখতে হবে।(মনে মনে)
কাব্যঃ তো কলেজ কেমন কাটল?
নীলাঃ হ্যা ভাইয়া খুব ভা….
*বাকিটা বলতে না পেরেই তানিশা বলে উঠল
তানিশাঃ stop stop গাড়িটি এখানে একটু থামান প্লিজ।
-কাব্য সাথে সাথেই গাড়ি থামিয়ে ফেলে।
সবাই তানিশার এমন তাড়াহুড়ো দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
তানিশাঃ নীলা, দৃষ্টি নেমে দাড়া।
দৃষ্টিঃ কেন?
তানিশাঃ নাম তো তারপর বলছি।
*দুজনেই গাড়ি থেকে বের হয়ে দাঁড়ানোর পর*
তানিশাঃ এই যে মিস্টার আংকেল সবাই নেমেছে যখন নিশ্চয় আপনাকেও নেমে দাঁড়ানো উচিৎ??
কাব্যঃ আংকেল????
তানিশাঃ হ্যা। নেমে আসুন।
কাব্যঃ বোঝাবো আংকেল বলা তাইনা??(দাঁতে দাঁত চেপে)
*তানিশা হেটে যাচ্ছে আর সবাই তার পেছনে পেছনে আসছে।
একটু দূরে যেয়ে একটি ফুচকার দোকানে যেয়ে বসে।
নীলাঃ তানু তুই????
তানিশাঃ অবাক হওয়ার কিছু নেই। আজ পেট ভরে খাও।
*সবাইমিলে চেয়ারে বসে আছে। বেশ নিরিবিলি জায়গা। কলেজ থেকে একটু দূরে।
দৃষ্টিঃ তানিশা একটা কথা বলব?
তানিশাঃ বল শাঁকচুন্নি

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

দৃষ্টিঃ serious কথা//::
তানিশাঃ আচ্ছা বলো।
দৃষ্টিঃ বলছি যে আমি না রিলেশন করতে চাই।
তানিশাঃ তুইইইই?????(অবাক হয়ে)
দৃষ্টিঃ হুম( মাথা নিচু করে)
তানিশাঃ কার সাথে বল বল তোরে এক্ষনি লাগিয়ে দেবো তারপর আমি মুক্ত। এমন লুচু মেয়ের হাতে থেকে।
নীলাঃ ওই গল্প থামা কাজের কাজ কর।
তানিশাঃ আমাকে কী বলছিস? পাশে একটা দানব আছে তাকে বল। আমরা মেয়ে হয়ে কেন অর্ডার দিতে যাবো?
নীলাঃ তানু তুই বেশি বলছিস কিন্ত।
তানিশাঃ এই যে মিস্টার দাঁড়িয়ে দেখছেন কী? একটু খাতির-যত্ন করুন। ছেলে হয়ে মেয়েরা কেনো অর্ডার দেবে আপনিই দিন।
কাব্যঃ ok…★তোমাকে বোঝাবো পরে (মনে মনে)
-কাব্য রাগের মাথাই পুরো ফুচকা গুলোই অর্ডার দিয়ে দিলো। যেনো আর বলা না লাগে।
তানিশাঃ আচ্ছা বল শাঁকচুন্নি কাকে লাগবে?তুই তো যাকেই দেখিস ক্রাস খেয়ে যাস।
দৃষ্টিঃ আমি না বড় ধরনের ক্রাস খেয়েছি ও কে দেখে। প্লিজ তুই কিছু কর””।(নরম সুরে)
তানিশাঃ আচ্ছা বলেন ম্যাডাম উনি কে?
দৃষ্টিঃ নীলার ভাইয়া(মাথা নিচু করে)
তানিশাঃ নীলার ভাইয়া!!!
নীলাঃ আমার ভাইয়া????? কী করেছে??
তানিশাঃ বেশ ভালো খুব মানাবে ডেভিল বনাম শাঁকচুন্নি হা হা হা।
দৃষ্টিঃ ওই চুপ। এলিয়েন এর মতো কারসাজি। একটা কাজের কাজ করে দেখা!!
নীলাঃ এই কীসব বলছিস তোরা??
তানিশাঃ তোর ভাইয়াকে দেখে আমাদের হাড্ডি ক্রাস খেয়েছে।
দৃষ্টিঃ ওই হাড্ডি বলবি না তোর থেকেও মোটা আছি। আর ক্রাস খেতেই পারি। তোর মতন তো না কইতরি কোথাকার হুহ (রেগে যেয়ে)
তানিশাঃ ওলে ওলে বন্দুউউ লাগ কলেছে। আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। আমি আছিতো।
নীলাঃ তুই কেন? কেউ আমার ভাইয়াকে পটাতে পারবে না ইম্পসিবল!””””
তানিশাঃ তুই হয়তো জানিস না লারকি। ডাল কো মে ফ্রেশ কারনে জানতাহু।
দৃষ্টিঃ হুম দেখা যাবে।
নীলাঃ বকবক শেষ কর, ফুচুকু রেডিইই
তানিশাঃ একটা ধন্যবাদ ও তো দিতে পারিস আমি এতো কষ্ট করে তোদের খেতে দিচ্ছি।
নীলাঃ বিল দেওয়ার পরে দেবো।
তানিশাঃ হুহ
*সবাই ফুচকা খাচ্ছে আর কাব্য তাদের দিকে বলতে তানিশার দিকে লক্ষ্য করে আছে।
কাব্যঃ এটা কী জিনিস?. যে এতো জোরে জোরে খাচ্ছে? মানুষ নাকি অন্য কিছু? এতো পেটুক আর কোথাও দেখিনি **এই মেয়েকে আমি সকল হিসাব হাতে ধরিয়ে দেবো। খেয়ে নাও এখন পরে হজম হবে এটা।
-তানিশার দিকে এক নজরে তাকিয়ে কাব্য ভেবে যাচ্ছে কিন্ত তানিশা চোখ বুজে খেতে খেতে যখনই তাকাই কাব্যর দিকে চোখ যেতেই সে লক্ষ্য করে কাব্য তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
তানিশাঃ এই বেটা উল্লুক এভাবে কেন তাকিয়ে আছে? :::::: দেখাচ্ছি মজা দাঁড়াও।(মনে মনে)
ভাইয়া আমাদের খাওয়ার দিকে এভাবে চোখ লাগাবেন না পেটে অসুখ হবে। প্রয়োজনে আপনি এভাবে না দেখে খেতে পারেন।
কাব্যঃ উহ্ উঁহু উহু (ভিষম খেয়ে) না মানে ওই আর কী!!(মুখে হাত দিয়ে)
**তিনজনে মিলে হা হা করে হাসতে লেগে গেছে কাব্যর এমনভাব দেখে। আর কাব্য তো সেখানে বড় ধরণের অপমান মনে করে তানিশার প্রতি আরও রাগ বেড়ে যাই।
তানিশাঃ খাবেন?(কাব্যকে উদ্দেশ্য করে)
কাব্যঃ না আমি ওসব পছন্দ করিনা।
তানিশাঃ কোনদিন দেখেছেন নাকি যে খাবেন???(মুখে নিয়ে) উফফফ হাই মেরী জান মে তো মারজাওয়া
কাব্যঃ পাজী মেয়ে একটা(মনে মনে)
দৃষ্টিঃ তুই কিন্ত সবকিছু বেশি করিস তানিশা।
নীলাঃ থাক দৃশ্য ওর এই কাজের প্রাপ্য পুরুষকার ও ঠিক পাবে।
দৃষ্টিঃ তুই কী একটা নামও শুদ্ধ ভাবে বলতে পারিস না??
নীলাঃ অভিজ্ঞতা নেই।
তানিশাঃ তোরা দুজন সব নষ্টের মূল। তোদের কপালে।কানকাটা বর জুটবে হুহ
দৃষ্টিঃ কিন্ত আমার টা তো কানকাটা না।
তানিশাঃ হুম কিন্ত দেখে মনে হয় ডেভিল তো হবেই।
নীলাঃ ওই এলিয়েন আর একটাও আমার ভাইয়াকে নিয়ে বাজে কথা বলবি না।
কাব্যঃ বলতে দে নীলা শুনতে ভালো লাগে।
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

*সবাই চমকে উঠে কাব্যর কথা শুনে। একদম চুপচাপ সবাই আবার খেতে লাগে।
কাব্যঃ বলছি এটা কী খুব সুন্দর খেতে?
তানিশাঃ কেন?(সাথে সাথেই জবাব)
কাব্যঃ না মানে এভাবে এতো খেয়ে যাচ্ছো? তাই অবাক হচ্ছি।
তানিশাঃ আপনাকে তো একটা খেতেই হবে দাঁড়ান।
-তানিশা উঠে যেয়ে কাব্যর কাছে যাই।
তানিশাঃ হা করুন।
কাব্যঃ না দরকার নেই।
তানিশাঃ আমি বলছি হা করুন(ঝাঁড়ি দিয়ে)
কাব্যঃ জোর করে?
তানিশাঃ প্রয়োজনে তাই মনে করেন।
কাব্যঃ ইচ্ছে নেই।
তানিশাঃ আপনার ইচ্ছের গুষ্টিরপিণ্ডি *হা করেন।
কাব্যঃ ok…..
*তানিশা এক প্রকার জোর পূর্বক কাব্যর মুখে ভেতরে সম্পন্ন ফুচকা দিয়ে দেই। কিন্ত যখনই ওটার চিবিয়ে স্বাদ অনুভব করতে যাবে কাব্য।
কাব্যঃ থুঁ ইয়াক থুঁ উফফফ।
তানিশাঃ হা হা হা ভালো লাগছেনা?
কাব্যঃ হুম খুব মজার কিন্ত বেশি টক।
তানিশাঃ তাহলে নিন খেয়ে দেখুন।
কাব্যঃ না আজকে আর না।
তাহিয়াঃ খেয়ে নিন ভাইয়া এমন সুযোগ আর আসবে না।
*সবাই লক্ষ্য করে আবির আর তাহিয়া দাঁড়িয়ে আছে। দুজনে মিলে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে তাদের কার্যকালাপ দেখছে কিন্ত কেউ খেয়াল করেনি।
তানিশাঃ আপু তুই?
তাহিয়াঃ হুম। আসলাম এদিকে। একাই খাবে তোমরা নাকি আমাদের ও দেবে?
কাব্যঃ সেটা কী করে হয় চলো আজ সবাই মিলে দেখা যাবে কে কতটুকু পারে।
নীলাঃ আমি আর পারছিনা
দৃষ্টিঃ আমিও! উফফফ অনেক হয়েছে।
ফুচকাওয়ালাঃ এতো কম খেলে কীভাবে হবে মা?? ফ্রি তে পাচ্ছ খেয়ে নাও মন মতো।
নীলাঃ আচ্ছা চেষ্টা করব।
কাব্যঃ ok সবাই বসো।
তানিশাঃ আপনি না খেতে পারেন না? (অবাক হয়ে)
কাব্যঃ দেখতে থাকো। আর চাইলে বাজি রাখতে পারো আমি/তুমি কে কতো টুকু পারো।
আবিরঃ না এমন না তিনটি দল হবে (আমি/
তাহিয়া+কাব্য/তানিশা+নীলা আর ওই মেয়েটা)
তাহিয়াঃ আচ্ছা শুরু করা যাক। দেখা যাক কী হয়। তানিশাকে
তানিশাঃ চলো বসো সবাই।
নীলাঃ দৃষ্টি এটা কোন ঝামিলা?
দৃষ্টিঃ আজ মনে হয় জন্মের শেষ খাওয়া আর কোনদিন পাবো না।
নীলাঃ সেটাই মনে হচ্ছে।
তানিশাঃ ওই কী বিড়বিড় করছিস?
নীলাঃ ননাহ কিছু না।
তানিশাঃ আংকেল কাদের কাজের জন্য রেখেছেন?একটু জোরে করতে পারেনা।
ফুচকাওয়ালাঃ এই তো মামুনি হয়ে যাবে।
*কিছুক্ষণ পর সবার সামনে প্লেট অনুযায়ী ফুচকা দেওয়া হলো। সবার মুখেই আনন্দের ছোয়া কিন্ত নীলা ও দৃষ্টি ভয়ে জড়ো কেননা তারা অনেক আগেই মন ভরে খেয়ে ফেলেছে। যেটা এখন আর সম্ভব না।
কাব্যঃ বলছি একটু শোনো তানিশা(আস্তে করে)
তানিশাঃ হুম।
কাব্যঃ আমি তো এটা খেতে পারিনা তাই যদি তুমিই খাওয়িয়ে দাও তাহলে খুব ভালো হতো আর কি।
তানিশাঃ কী????
কাব্যঃ আস্তে বলো। যদি না দাও তাহলে আমিও খাবোনা। বুঝতেই পারছো কী হবে? মিস তানিশা ফুচকা বাজিতে হেরে গেছে।
তানিশাঃ বাজিটা আমার না আপনার।
কাব্যঃ সে যাই হোক।
তানিশাঃ আচ্ছা ঠিক আছে।( )
তাহিয়াঃ কী এতো বকবক হচ্ছে?? no চালাকি হ্যা??
তানিশাঃ হুম আজ তোমাদের হেরু বানাবো হা হা ।
তাহিয়াঃ আচ্ছা দেখা যাবে শুরু করো।
*সবাই খাওয়া শুরু করবে কিন্ত তানিশা কেমন লজ্জা বোধ করছে কাব্যকে খাওয়াতে। তাও নিজেকে স্বাভাবিক ভাবে রেখে একে উপরে
আর কাব্য একভাবে তানিশার দিকে তাকাচ্ছে কিন্ত তানিশা বুঝেও না বোঝার ভান করে আছে।
তানিশাঃ বলছি আংকেল……….এভাবে লু….চুর মতো তাক.কিয়ে আছেন কেন? মে…য়ে কী দেখেননি?(খেতে খেতে)
কাব্যঃ আমি তো মেয়ে দেখেছি কিন্ত এতো সুন্দর ফুচকা খাওয়া পরী দেখিইনি।
তানিশাঃ থাক আর লাগবেনা।
কাব্যঃ কী??
তানিশাঃ কিছুনা হুহ। বউ পে…..য়েছেন নাকি যে এভাবে হাতে ক.রে খাওয়াতে হবে?
কাব্যঃ না তবে সেটাই মনে হচ্ছে।
তানিশাঃ কী?

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ থেমো না থেমে থাকলে আর মন বলিবেনা।
তানিশাঃ আপ….নি কীভাবে জানলেন?
কাব্যঃ মন বলছে।
তানিশাঃ খেতে ভালো লাগছে?
কাব্যঃ এভাবে যদি সারাদিন আমাই খাওয়াতে পারো আমি না করবোনা।
তানিশাঃ সত্যি???
কাব্যঃ হুম,আচ্ছা তুমিই আমাই তখন থেকে খাতির করছো এবার তুমি/আমি দুজনেই একসাথে হয়?
তানিশাঃ মানে??
কাব্যঃ মানেটা হলো-:আমি তোমার মুখে তুলে দেবো আর তুমি আমার মুখে তা নাহলে তোমার পরিশ্রম বেশি হয়ে যাচ্ছে।
তানিশাঃ না দরকার নেই।
কাব্যঃ প্লিজ
তানিশাঃ না।
কাব্যঃ শুধু এটাই তো:::::::
তানিশাঃ আচ্ছা ঠিক আছে দেন।
*তারপর আর কী? কাব্য তানিশাকে খাওয়াই দিচ্ছে আর তানিশা কাব্যকে আর এদিকে আবির, তাহিয়া, নীলা,দৃষ্টি সব দেখছে আর মিটমিট করে হাসছে কিন্ত তাদের দুজনের কোন খেয়াল নেই।
দৃষ্টিঃ এই নীলা চল হার মেনে নিই।
নীলাঃ হুম তাছাড়া উপাই নেই।
দৃষ্টিঃ আচ্ছা তানিশা এতো কীভাবে পারছে?
নীলাঃ কইতরি সব পারে। হুহ ওর অভ্যাস হয়ে গেছে।
দৃষ্টিঃ hello guy’s আমরা আর পারছিনা।
তানিশাঃ তোদের না পারলেও চল……..বে এবার আমরা আর ভাইয়া দেখাযাক।
তাহিয়াঃ হুম। তোদের তো হেরেযেতেই হবে।
তানিশাঃ হুম সেটা সপ্নে হা হা।
তাহিয়াঃ সবসময় দুষ্টুমি।
আবিরঃ ওসব মানছি কিন্ত আমাদের দেখো আর কাব্যদের মনে হচ্ছে ওরা স্বামী-স্ত্রী যে এতো মোহাব্বত এর সাথে একে-উপরে খাচ্ছে।
তাহিয়াঃ হুম। কিন্ত মজাটাও বুঝবে।
আবিরঃ কী?
তাহিয়াঃ বুঝতে হবেনা।
আবিরঃ এই আমি আর পারছিনা এতো টক কীভাবে খেতে পারো?
তাহিয়াঃ আমাদের নেশাই হচ্ছে টক খাওয়া। আর তোমার তেরোটা বাজাবো যদি না পারো।
আবিরঃ সত্যি আমিই আর পারছিনা।
তাহিয়াঃ খাও আরও অনেক খেতে হবে এখনো। আমার সাথে থাকবে আর এটা খেতে পারবেনা আমার জন্য?
আবিরঃ তারমানে সারাজীবন এভাবে তোমার সাথে পাল্লা দিয়ে খেতে হবে?
তাহিয়াঃ প্রয়োজনে হবে। তানিশাকে দেখো কীভাবে দুজনে চোখে চোখ রেখে খাচ্ছে মনে হচ্ছে প্রেমের সাগরে ভাসছে। ইসস আজ আমারই হিংসে হচ্ছে আমার বোনের ভালোবাসা দেখে।
আবিরঃ তাতো হবেই তুমি তো একদম আনরোম্যান্টিক।
তাহিয়াঃ হুম এটা সত্য।
আবিরঃ হুম বুঝিতো। কিন্ত আমাই আর খাবো না ব্যাছ। শেষ****
তাহিয়াঃ কী বললে???
আবিরঃ প্লিজ বাবুটা বুঝার চেষ্টা করো এতো খেলে পেট থাকবেনা।
তাহিয়াঃ তাহলে ওরা খাচ্ছে কেমনে?
আবিরঃ জানিনা ওদের পেটে ইয়া বড় ভালোবাসা আছে।
তাহিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আমিও খাবোনা ওরা জিতে যাক।
আবিরঃ হুম সেটাই ভালো।
তাহিয়াঃ আচ্ছা এক কাজ করি ওরা খেয়ে যাক আমরা দেখি ওকে।
আবিরঃ আচ্ছা। বেশ মজার হবে।
**
*
তানিশাঃ উনি এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? উনি তাকিয়ে আছে ঠিক আছে কিন্ত আমিও কেন তাকিয়ে আছি? মনে হচ্ছে উনার চোখের সাথে অনেক মায়া আছে যেটার শেষ নেই।(মনে মনে)
কাব্যঃ ম্যাডাম এর কী কোব হুশ নেই নাকি?

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

এভাবে তাকিয়ে আছে আমিও কম কিসের? আমারতো এটাই চাই।সবার সামনে ভালোবাসা আদানপ্রদান।
*দুজনে মনে মনে কিছু কথা তারমধ্যে এখনো দুজনে খেয়েই চলেছে যেনো দুজনে এক নেশার ঘোরে চলে গেছে যেটা থেকে আর বের হওয়ার পথ নেই।কিন্ত ভালো সময় কতোক্ষণ থাকে? সবাই দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে যাচ্ছে আর তাদের কোন হুশ নেই।
তাহিয়াঃ থাক বোনটি আমার অনেক বেশি সংসারী হবে বুঝতে পারছি।বিয়ের আগেই এতোকিছু ভালো না। এক্ষণি থামাতে হবে।(মনে মনে)” তানিশা “::::::
তানিশাঃ?????????
তাহিয়াঃ এইযে ভাইয়া এবার থামুন।
কাব্যঃ no ans
*গভীর ছন্দেবন্ধে *
আবিরঃ (কাব্যর কাছে যেয়ে তুড়ি মারে) এই যে জানের ভাই আমার ঘুম থেকে উঠো।
কাব্যঃ ই অহহহ কী বললি??
আবিরঃ কিছুনা বলছি যে আমরা হেরে গেছি।
তানিশাঃ সত্যি???
আবিরঃ হুম তোমরা জিতে গেছো।
তানিশাঃ ইয়েএএএএএএএএএএএ হুর্ররেএএ উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মায়ায়ায়া ডিংকা চিকা। অবশেষে তানিশা আজ কিছু করে দেখালো।
(তাহিয়ার কাছে যেয়ে গলা জোড়িয়ে ধরে) আমি জিতে গেছি তোরা সবাই হেরু হা হা।
★তানিশা আনন্দে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে আর সবাই হা করে তার দিকে তাকিয়ে আছে আর কাব্যর কথা আর কী বলব::: সে তো ওখানে চুপ করে বসে আছে কেননা তানিশা আনন্দের মাঝে কাব্যর গালে খুব জোরে চেপে ধরে কিস করে দেই যেটা দেখে সবাই বাকরুদ্ধ।
তানিশাঃ কী হলো সবাই এমন চুপ করে আছো কেন?
দৃষ্টিঃ “তানু”
তানিশাঃ হুম?
দৃষ্টিঃ তুই একটু আগে এটা কী করলি??
তানিশাঃ কী করেছি
দৃষ্টিঃ মনে করে দেখ::::::
তানিশাঃ কী করলাম??আবির ভাইয়ার কথা শুনে আনন্দে লাফিয়ে উঠলাম তারপর
তারপর আহ্ ইইইইইইই এটাও করেছি????(মনে মনে)
*তানিশা আর কি বলবে ভেবে না পেয়ে মন ভর্তি লজ্জাই মুখ রাঙিয়ে সেখানে থেকে চলে গেলো কিন্ত কেউ কিছু বুঝতে পারলোনা। সবাই তানিশার চলে যাওয়া দেখে তারাও উঠে চলে আসে। আর কাব্য বিল মিটিয়ে দেওয়া বলতে তাড়াহুড়ো করে যা বিল হয়েছে তারও বেশি দিয়ে চলে আসে।
*****
****কেউ কিছু বলছেনা তানিশা হেটে এসে কাব্যর গাড়ীতে বসে পড়লো। সাথে সবাই গাড়িতে উঠেও বসলো। আর আবির তাহিয়া যেহেতু অন্য গাড়িতে করে এসেছে তাই তাদের সেই গাড়িতে যেতে হলো।
*****
****সারাপথ সবাই চুপচাপ কিন্ত নীলা ও দৃষ্টি চুপচাপ থাকলেই হাসিটা কোনরকম চেপে রেখেছে আর কাব্য সে এটা আশে করেছিলো না তবুও হয়ে গেছে যেহেতু তাই সে দুঃখ না বাড়িয়ে মনে ম্নে খুশী হয়।


দৃষ্টিঃ ভাইয়া একটু সামনে থামেন ওখানে আমাদের বাসা।
*
দৃষ্টি নেমে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ এর মধ্যে তানিশাদের বাসাও চলে আসলো কিন্ত তানিশা চুপচাপ আছে তাই কাব্য গাড়ি থামিয়ে দিলো তারপর সে নিজে থেকেই নেমে চুপচাপ চলে গেলো।
,
তারপর কাব্যও বাসার দিকে রওনা দিলো।
★★★★★★★
::::::
#Lovable
writer : kabbo mahmud
6.1
সবাই বাসাই পৌছে যাওয়ার পর কেউ আর দুপুরের lunch করলো না। কেননা কারোর খাওয়ার মতো ক্ষমতা নেই।
আর তানিশা সোজা রুমে যেয়ে মন খারাপ করে সুয়ে পড়েছে। তাহিয়া সব বোঝার পরেও কিছু বলেনা। সে চাই একটু নিজেই নিজেকে শান্তনা দিক।
কিন্ত কাব্য রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বসে বসে শুধু তানিশার কথাই ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসি একে যাচ্ছে।
****
****
:::: রাতে::::
****
****
কাব্যদের পরিবার সবাই মিলে রাতের ডিনার এর টেবিলে বসে আড্ডার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করছে।
আবিরঃ আচ্ছা কাব্য বাইরে থেকে এসে ফ্রেশ হয়েছিস?
কাব্যঃহুম।কেন??
আবিরঃ না মানে আমি তো ভেবেছিলাম নতুন ছোঁয়া তাই এখন দুইদিন আর মনে হয় ওই গালে কোন কিছু স্পর্শ করবেনা।
কাব্যঃ বুঝলাম না।
আবিরঃ বুঝতে হবে না যা দিনকাল পড়েছে। ছেলেমেয়ে সব পাগল।
কাব্যঃ বেশি বেশি হচ্ছে।
নীলাঃ না ভাইয়া তোর চয়েজ ভালো কিন্ত……
কাব্যঃ কিন্ত কী???
নীলাঃ ওই মেয়েকে কীভাবে সামলাবি? পাক্কা বজ্জাত তুই ওর সাথে থাকতেই পারবিনা ১ঘন্টা থাকলেই তোকে পুরো পাগল বানিয়ে দেবে।
কাব্যঃ সেটা তোকে বুঝতে হবেনা।
বাবাঃ তখন থেকে বকবক করেই যাচ্ছ। বলছি যে আমাদেরও তো কিছু বলা যাই।।
নীলাঃ ওহ তোমাদের তো ব্ব
কাব্যঃ নীলা এখন না। সময় হলে।
নীলাঃ আচ্ছা।
মাঃ কী এখন না? কী এমন করেছো তোমরা?
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

আবিরঃ মা তোমাদের জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে কিছুদিন পর।
মাঃ কী?
আবিরঃ এটা তো সিক্রেট “বলা যাবেনা।
মাঃ ওহ।
কাব্যঃ বাবা অফিসের কাজ কেমন চলছে?
বাবাঃ হুম। কাজ তো ভালো হবেই কেননা আমি একা না আমার দুই দুটো ছেলেও আমাকে সাহায্য করে খারাপ কীভাবে হয়?
আবিরঃ সে যেটাই হোক তুমিই কিন্ত আমাদের থেকেও বেশি এগিয়ে:::
বাবাঃ হুম কিন্ত আমি কী সারাজীবন এগিয়েই থাকব? তোমরা এগোবে না?
কাব্যঃ হুম। বাবা ভেবে নিয়েছি তোমাকে আর অফিসে যেতে দেবোনা।আমরাই সব ঠিক করে নেবো।
বাবাঃ কীভাবে? তোরা তো শুধু enjoy করতে জানিস।
কাব্যঃ সেটা করলেও প্রয়োজনে লোকসংখ্যা বেশি করে দেবো।
বাবাঃ হুম সেটাই ভালো।
নীলাঃ মা!!!
মাঃ হুম**
নীলাঃ বুঝতে পারছো কিছু???
মাঃ কী?
নীলাঃ ভেবে দেখো” ভাইয়া এতো দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে সাথে আবির ভাইয়াও! ভাব বুঝতে পারছো?
মাঃ হুমমম!! বুঝেছি।
আবিরঃ কী বুঝেছো/?
মাঃ সময় হলেই দেখা যাবে।
কাব্যঃ আমি রুমে গেলাম। good night…..
বাবাঃ শুভ রাত্রি ।
*****
*
তাহিয়াঃ মা তানিশা আসবে না?
মাঃ ডেকেছি বলল ভালো লাগছেনা। কী হয়েছে বুঝতে পারলাম না।
তাহিয়াঃ আমাই দাও আমি যাচ্ছি।
মাঃ পারবি তো??
তাহিয়াঃ নিশ্চয়।
মাঃ আচ্ছা।
**
তাহিয়া খাবার নিয়ে উপরে যাই তানিশার রুমে।
**
:::
তাহিয়াঃ কীরে বোন এভাবে শুয়ে আছিস কেন? মন খারাপ???
তানিশাঃ no ans….
তাহিয়াঃ কী হলো???
তানিশাঃ আমি ওটা ইচ্ছে করে করিনি জানিস?
তাহিয়াঃ কেন জানবো না? আর ওটার জন্য কেন মন খারাপ? ওটা তো খারাপের মধ্যে পড়েনা।
তানিশাঃ কে বলেছে খারাপের মধ্যে পড়ে না? উনার ওখানে মানসম্মান এর ক্ষতি হলোনা? আমি আসলেই বোকা কিছু বুঝিনা। খুব খারাপ লাগছে উনার জন্য।

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

তাহিয়াঃ দূর পাগলী। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আর হ্যা তুই হয়তো জানিস কাব্য ভাইয়া তোকে ভালোবাসে।
তানিশাঃ আমি কী তাকে বাসতে বলেছি? আমি বাসি না।
তাহিয়াঃ কেন সমস্যা কী???
তানিশাঃ সমস্যা আছে।
তাহিয়াঃ কী???
তানিশাব সেটা না হয় পরে জানবে। আপাতত এখন যাও আপু এখানে থেকে।
তাহিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে। খাবার নিয়ে এসেছি খেয়ে নাও।
তানিশাঃ আমার পেটে বিন্দুমাত্র জায়গা নেই।আর কী কপাল যে কোন সমস্যাও হলো না।
তাহিয়াঃ স্পেশাল মানুষটির হাতে খেলে সেটাই কোন খারাপ কিছু থাকে না।
তানিশাঃ আবার??
তাহিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আর হবেনা। কিন্ত একটু মুখে নে।
তানিশাঃ না আমার রুচি নেই। তুমি এখন যাও।
তাহিয়াঃ প্লিজ।
তানিশাঃ আমিও বলছি প্লিজ যাও না। আমাকে একটু ভাবতে দাও(মেজাজ খারাপ করে)
তাহিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে।★★(উঠে চলে যেতে যেতে) জানিনা এর আবার কী হলো
এই মেয়েকে বোঝাই মুশকিল।
*তাহিয়া সেখানে থেকে চলে যাওয়ার পর ফোনটি হাতে নেই তারপর একজন এর কাছে call করে।
আর এদিকে কাব্য ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে কিন্ত কী আর করার সবসময় শুধু যেটা মনে পড়ে আরকি
কাজ করছে আর তানিশার কথা ভাবছে। এমন সময় তার ফোনে একটা call আসে।
কাব্যঃ তানিশা ফোন দিয়েছে? কোন সমস্যা হলো নাকি????(মনে মনে) hello…..
তানিশাঃ আসসালামু আলাইকুম।
কাব্যঃ ওয়ালাইকুম আস’সালাম।
তানিশাঃ আপনার সাথে কিছু কথা আছে।
কাব্যঃ হ্যা বলো।
তানিশাঃ ফোনে না আমরা আগামীকাল দেখা করতে চাই।
কাব্যঃ কোথাই/?
তানিশাঃ*******************এখানে সকাল ১০.০০টাই চলে আসবেন।
কাব্যঃ ok…
*কাব্যর ok বলার সাথে সাথেই তানিশা ফোন কেটে দেই। কাব্য সেটা দেখে বিরক্ত হয়।
কাব্যঃ আরও একটু কথা বলতে পারতো:::::নাকি কোন সমস্যা?? কী বলবে যেটা ফোনে বলা যাবে না!!!!!! আচ্ছা দেখা যাবে।
**তারপর কাব্য মনযোগ সহকারে নিজের কাজ সম্পন্ন করে ঘুম দেই।
আর এদিকে তানিশার চোখে কোন ঘুম নেই সে শুধু ওটার কথাই ভেবে যাচ্ছে কেননা সে নিজেকে খুব খারাপ ভাবে নিচ্ছে। তার মনে হচ্ছে সবার সামনে তার ওটা করা উচিৎ হয়নি। তবে ওখানে বেশি একটা মানুষ ছিলো না। কিন্ত সবাই তো আর খেয়াল করেনি যেটা তানিশা বুঝতে পারছেনা। এভাবে ভাবতে ভাবতেই তার চোখে ঘুমের ছোঁয়া আসে এবং ঘুমিয়ে যাই।
.
.
#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here