#Love_With_Dragon
#Episode_08,09
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]
08
দুটো নেকড়ে রবিনের ওপর ঝাঁপিয়ে পরলো।
রবিন রিদিয়াকে ছেড়ে দিয়ে দূরে ছুড়ে মারলো।
রবিন ভাম্পায়ারের রূপে আসল। তুমুল মারামারি চলছে নেকড়ে আর ভাম্পায়ারের এর মধ্যে। রিদিয়াকে অনেক জোরে ছুড়ে মেরেছে রিদিয়া মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল।
প্রায় চল্লিশ মিনিট মারামারির পর রবিন হাঁপিয়ে গেল।শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। আহত শরীর নিয়ে সেখান থেকে পালিয়েছে।নেকড়ে দুটো মনুষ্য রূপে আসলো।
— অনি রিদিয়া প্রচুর আঘাত পেয়েছে মাথায়।ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।কিন্তু আন্টি আর মিহি আপু কোথায়।রবিন আবার কোনো ক্ষতি করেনিতো ওদের। (নীল)
— সত্যি তো আন্টি আর মিহি আপুকে দেখছিনা।(অনিমা)
— অনি তুই রিদিয়াকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যা।আমি ওদের খুঁজে বের করছি।(নীল)
অনিমা রিদিয়াকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে চলে গেল।
এইদিকে নীল মিসেস মেহের আর মিহিকে পুরো বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজতেছে।
কিচেনের পাশ দিয়ে নীল যাওয়ার সময় কিছু একটা পরার শব্দ পেল।
নীল কিচেনে গিয়ে দেখে মিসেস মেহের আর মিহি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে।
নীল মিসেস মেহের, মিহিকে নিয়ে গেস্ট রুমে শুইয়ে দিলো।
নীল ভালোভাবে দুজনকে পর্যবেক্ষণ করে দেখলো।
— এখন কি করি এদের যেভাবে অজ্ঞান করেছে নেকড়ে রবিন দুজনের জ্ঞান ফেরানোর উপায় আমার কাছে নেই। একমাত্র রবিন আর ড্রাগন কিং পারবে এদের দুজনের জ্ঞান ফিরাতে। রবিন পালিয়েছে ওর বাবা পিটাস এর কাছে গেলে বাঁধবে আরেক সমস্যা। ড্রাগন কিং এর কাছে গেলে সম্ভব হবে কিনা জানিনা।ওনি রাজি হলেই সম্ভব। ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজ ছাড়া ওদের জ্ঞান ফিরানো সম্ভব না। ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজ পরী রাজ্য আর ড্রাগন রাজ্য ছাড়া কোথাও পাওয়া যায় না।কিন্তু রবিন কিভাবে ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজের কাছে পৌঁছালো। আমার জানা মতে সেখানে অনেক ড্রাগন পাহারায় থাকে।আর না হয় পরী রাজ্যের কেউ তাকে সাহায্য করেছে।(নীল)
______________________
— ডাক্তার আংকেল রিদিয়া ঠিক আছে। (অনিমা)
— অনি রিদিয়া মাথায় প্রচুর আঘাত পেয়েছে। এখন ও
আগের মতো স্বাভাবিক ব্যবহার করছে না। কেমন জানি অদ্ভুত ব্যবহার করছে। (ডাক্তার)
ডাক্তারের কথা শুনে অনিমার মন খারাপ হয়ে গেল।
— কেমন ব্যবহার করছে আংকেল। আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলুন প্লিজ। (অনিমা)
ডাক্তার অনিমাকে নিয়ে রিদিয়ার কাছে গেল।
অনিমা কেবিনে ডুকে অবাক হলো সাথে ভীষণ হাসিও পাচ্ছে অনিমার।
— রিদিয়া তুই এইভাবে নিচে শুয়ে আছিস কেন?…..(অনিমা)
— কে আপনি আমি যেভাবেই বসে থাকি না কেন তাতে আপনার কি…..যান তো এখান থেকে আমাকে একটু শান্তিতে শুয়ে থাকতে দেন।(রিদিয়া)
(রিদিয়া কেবিনের ফ্লোরে হা-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে। এমন ব্যবহার করছে যেন সে অনিমাকে চিনে না।)
অনিমা রিদিয়ার কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লো।
অনিমা রিদিয়ার কাছে এসে বসলো।
— তুই আমায় চিনতে পারছিস না দোস্ত। আমি……..(অনিমা)
অনিমা আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই রিদিয়া চিৎকার করে বলে ওঠে,,,,,,
— আমি বললাম না আপনাকে চিনি না কেন আমাকে বিরক্ত করছেন বেরিয়ে যান এখান থেকে। (রিদিয়া)
রিদিয়াকে এমন বিহেভ করতে দেখে অনিমা অনেক কষ্ট পেল।
নার্সরা অনিমাকে কেবিন থেকে সরিয়ে দিল।
_________________________
অনিমার থেকে রিদিয়ার খোঁজ পেয়ে আকাশ, মেঘলা হসপিটালে চলে আসল।
— অনি রিদিয়ার কি অবস্থা..( মেঘলা)
— ওর কি হয়ে গেল মেঘলা ও আমাকে চিনতে পারছে না।সামনে গেলেই চিৎকার করা শুরু করে। (অনিমা)
— কি…হ্ তোর মাথা ঠিক আছে ও এমন করবে কেন।হয়তো তোর সাথে মজা করেছে।(মেঘলা)
— মজা না সত্যি বলছি আমি।(অনিমা)
তারপর রিদিয়ার বাড়ির সব কাহিনী মেঘলা আর আকাশকে বললো।
দুজনে সবটা শুনে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।
— এত কিছু হয়ে গেল আর তুই এখন আমাদের বলছিস।আমাদের ডাকলে এমনটা না ও হতে পারতো। (আকাশ)
— তখন মাথায় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেল আকাশ।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি আর আকাশ মিলে রবিনকে আক্রমণ করেছি সুযোগ পেয়ে ও রিদিয়াকে আঘাত করে।(অনিমা)
তিন জন মন খারাপ করে বসে আছে।
— স্পর্শিয়া – আদরকে সবটা জানিয়েছিস।(মেঘলা)
— দুজনের মোবাইল বন্ধ। অনেকবার ট্রাই করেছি কিন্তু যোগাযোগ করতে পারিনি।(অনিমা)
— স্পর্শিয়ার আদরের সাথে কি এমন হয়েছে আমি বুঝতে পারছি না। আদর ভাম্পায়ার স্পর্শিয়া আবার কোনোভাবে জানতে পারেনি তো।(আকাশ)
— তুই ঠিক বলেছিস আকাশ আমারও কেন জানি এমনটাই মনে হচ্ছে। (অনিমা)
— ওদেরটা পরে সমাধান করবো।এখন রিদিয়াকে নিয়ে ভাব।(আকাশ)
____________________________
কলিং বেলের আওয়াজ শুনে স্পর্শিয়া অবাক হলো।
— এতো রাতে কে হতে পারে। (স্পর্শিয়া)
স্পর্শিয়ার ভয় লাগতে শুরু করলো।
স্পর্শিয়া দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছে দরজা খুলবে নাকি খুলবে না যদি খারাপ কিছু হয়।আমার আপন বলতে কেউ নেই। বাবা – মা দুজন মারা গেছে। সেই থেকে আমি একা।একা একাই বড় হয়েছি।আমার দাদু ছিল কিন্তু এখন দাদুও আর পৃথিবীতে নেই। এখন বন্ধুরাই আমার সব।কিন্তু ওরা কখনো এতো রাতে আমার বাড়িতে আসেনি কখনো। আসলেও ফোন করে আসে। মোবাইলটার যে কি হলো কোনো কাজ করছে না।কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।
স্পর্শিয়ার ভাবনার মাঝে আবার ও কলিং বেল বেজে উঠল। কলিং বেলের শব্দে ভাবনা থেকে বের হয়ে এলো সাথে ভয়ও পেল।
স্পর্শিয়া কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলে।
দরজা খুলে দেখে কেউ নেই।
কাউকে না দেখতে পেয়ে স্পর্শিয়ার ভয় দ্বিগুণ বেড়ে গেল।
— এতো রাতে কে এমন মজা করতে আসে।(স্পর্শিয়া)
স্পর্শিয়া দরজা বন্ধ করে সামনে তাকাতেই আঁতকে উঠল।
— আ….আদর তু…তুই… (স্পর্শিয়া)
— হ্যাঁ আমি।কেন এতরাতে অন্য কাউকে আশা করেছিলি নাকি।(আদর)
ভয়ে স্পর্শিয়ার হাত -পা কাঁপতে শুরু করলো।
— আজকে কি ও আমার শরীরের সব রক্ত শুষে নিবে।
ভয়ে ভয়ে স্পর্শিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে।(স্পর্শিয়া মনে মনে বলে)
আদর রিদিয়াকে এমন ভয় পেতে দেখে অবাক হলো।
— তুই ভয় পাচ্ছিস কেন স্পর্শিয়া। আমি কি খারাপ কিছু করেছি তোর সাথে। কলেজেও তুই আমার সাথে এমন করেছিস।কেন এমন করছিস তোর এমন আচরণ দেখলে আমার বুকে যন্ত্রণা হয়। আমি তোকে ভালোবাসি স্পর্শিয়া।(আদর)
আদরের মুখ থেকে ভালোবাসি শব্দটা শুনে স্পর্শিয়া আরো ভয় পেয়ে গেল।
(স্পর্শিয়া ভয় পাওয়ার কারন আদর ভাম্পায়ার। স্পর্শিয়া মনে করছে আদর খারাপ ভাম্পায়ার ওকে মেরে ফেলতে এসেছে)
— আমি কোনো সাধারণ মানুষ নই এইজন্যই তোকে কোনোদিন ভালোবাসার কথা বলতে পারিনি।তুই জানতে পারলে আমায় মেনে নিবি না। আমি একজন……. (আদর)
— ভাম্পায়ার…(.স্পর্শিয়া)
স্পর্শিয়ার মুখে ভাম্পায়ার শুনে আদর আশ্চর্য হলো সাথে মনে মনে ভয় কাজ করছে।
— হ্যাঁ আমি সব জানি তুই তুই একটা খারাপ ভাম্পায়ার। আ….আমি ওইদিন রাতে তোর আসল রূপ দেখে ফেলেছি। তুই একজন নির্দোষ মানুষকে মেরে ফেলেছিস।আমার কাছে থেকে দূরে থাক।আমার ভয় লাগে তোকে দেখলে আমাকে মেরে ফেলতে এসেছিস তুই। (স্পর্শিয়া)
— পাগলের মতো কি সব বলে যাচ্ছিস তুই স্পর্শিয়া।তুই পুরো বিষয় না জেনেই আমায় খারাপ উপাধি দিয়ে দিলি।(আদর)
আদর স্পর্শিয়ার কাছে আসলো।
— আ…আমার কাছে আসবি না তুই। (স্পর্শিয়া)
আদর কিছু না বলে স্পর্শিয়া কে জড়িয়ে ধরে বলে,,,,,
— পাগলী আমার। সব কথা আগে শুন তারপর তুই আমাকে যা বলার বলিস।(আদর)
আদরের স্পর্শ পেয়ে স্পর্শিয়ার পুরো শরীর কেঁপে উঠল। সাথে ওর ভিতরের ভয়ও কিছুটা কমে গিয়েছে। মনে হচ্ছে সবচেয়ে শান্তির জায়গায় আছে সে এই মুহূর্তে।
আদর স্পর্শিয়াকে চেয়ারে বসিয়ে নিজেও চেয়ার টেনে স্পর্শিয়ার কাছে এসে বসলো।
— ওই দিন যে লোকটাকে আমি মেরেছি ওই লোকটা একটা মায়ের বুক খালি করেছে।বেচারির মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করে মেয়েটিকে মেরে ফেলেছে।মেয়েটির মায়ের কান্না শব্দ শুনে আমি সেখানে যাই।গিয়ে দেখি লোকটা মেয়ের মাকে গাছের সাথে বেঁধে মায়ের সামনে মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছে।কোনো মায়ের সামনে তার সন্তানকে মারলে তার কেমন লাগবে। আমি রেগে লোকটাকে আমার বাগানে নিয়ে এনে মারি।মেয়ের মায়ের সামনে মারলে আরো ভয় পেয়ে যাবে এইজন্য আমি এমনটা করেছি। কিন্তু কপাল কতো খারাপ দেখ তুই ওইসময়ে আসলি।(আদর)
আদরের সব কথা শুনে স্পর্শিয়ার এখন নিজের ওপর রাগ লাগছে সাথে বুকের ভিতর কষ্ট হচ্ছে।
— সবটা না জেনে আমি আদরকে ভুল বুঝেছি। (স্পর্শিয়া)
স্পর্শিয়া আদরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলে,,, ,,
— আমি তোকে ভীষণ ভালোবাসি আদর?……..(স্পর্শিয়া)
চলবে………
#লেখনীতে__ফিহা
#Love_With_Dragon
#Episode_09
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]
রিদিয়া চুপচাপ শুয়ে আছে।নীল আর অনিমার ওপর রেগে আছে। আসলে রিদিয়ার কিছুই হয়নি।নীল আর অনিমা যে নেকড়ে রিদিয়া ব্যাপারটা জানতে পেরে ওদের ওপর রেগে আছে।
— ওরা তো আমায় বলতে পারতো ওরা নেকড়ে। আমার জানা মতে নেকড়েরা খারাপ হয় কিন্তু তারা সম্পূর্ণ আলাদা।ভাম্পায়ারেরে থেকে আমায় বাঁচালো।(রিদিয়া)
________________________
স্পর্শিয়া – আকাশ সকালে খবর পেয়েই চলে এসেছে হসপিটালে।
আকাশ-মেঘলা,অনিমা, স্পর্শিয়া – আদর সবাই একসাথে কেবিনের বাহিরের বেঞ্চে বসে আছে। সবাই মন খারাপ করে বসে আছে।সবার ধারনা রিদিয়া সব কিছু ভুলে গেছে।
— এইখানে রোগীর বাড়ির লোক কারা…(নার্স)
নার্সের কথা শুনে সবাই একসাথে বললো আমরা।
— রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন। রোগী এখন সুস্থ।বেশি কথা বলবেন না রোগীর সাথে। ধীরে ধীরে সবকিছু মনে পরে যাবে কোনো চিন্তার প্রয়োজন নেই। (নার্স)
সবার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে নার্সের কথা শুনে।
রিদিয়াকে হসপিটাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। মিসেস মেহের আর মিহির কথা এখনো তাকে জানানো হয়নি।
_________________________
সবাই রিদিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু রিদিয়া সবার ওপর অভিমান করে আছে।
হঠাৎ সবার কথার মাঝে রিদিয়া বলে উঠে,,,,
— আম্মু আর মিহি আপু কোথায়…. (রিদিয়া)
রিদিয়ার কথায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
— কিছু জিজ্ঞাস করেছি আমি। আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে বলিনি….(রিদিয়া)
— রিদিয়া তার মানে তোর সব মনে আছে দোস্ত। জানিস কত টেনশনে ছিলাম।যাক বাবা মনটা ভালো হয়ে গেল… (অনিমা)
— আমার মা-বোন ছাড়া আর কারোর কথা মনে নেই। (রিদিয়া)
রিদিয়ার কথায় অনেক অভিমান জড়িয়ে আছে সবাই ভালোই বুঝতে পেরেছে।
অনিমা বসা থেকে ওঠে এসে রিদিয়াকে জড়িয়ে ধরে। রিদিয়া অনিমাকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দেয়।
— কি হয়েছে তোর রিদু আমাদের সাথে এমন বিহেভ করছিস কেন। আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্লিজ দোস্ত কি হয়েছে আমাদের বল। যদি কোনো ভুল করে…. (অনিমা)
অনিমার কথার মাঝে রিদিয়া বলে……
— শুধু কি ভুল করেছিস অনেক বড় সত্যি আমার কাছ থেকে লুকিয়েছিস। আমি তো তোদের বন্ধুর মাঝে পরিনা তাই এমন করেছিস অনিমা।তোরা যে কোনো সাধারণ মানুষ না সেটা আমি জেনে গেছি।(রিদিয়া)
রিদিয়ার কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল সাথে ভয় পেল।
— এখন চুপ আছিস কেন অনিমা। তুই আর নীল নেকড়ে এই কথাটা আমার থেকে লুকালি। আর কার কি সত্যি আছে বলে দে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তোরা যদি আমায় বন্ধু মনে করতি তোদের তাহলে প্রথমেই সব বলে দিতি। (রিদিয়া)
— তুই আমাদের ভুল বুঝছিস রিদিয়া। তুই যদি ভয় পাস তাই আমরা লুকিয়ে গেছি। প্লিজ রিদিয়া তোর থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে দিস না আমরা সহ্য করতে পারবো না। তুই আমাদের হৃৎপিন্ডের সাথে জড়িয়ে গেছিস।( অনিমা)
সবার চোখে পানি… সবাই ভয় পাচ্ছে রিদিয়া যদি তাদের ছেড়ে চলে যায়।
সবাই এসে রিদিয়াকে জড়িয়ে ধরলো। রিদিয়া আর অভিমান করে থাকতে পারলো না। রিদিয়া ওদের জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো ।
রিদিয়া সবাইকে ছেড়ে দিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে…..
— এবার কে কি লুকিয়েছিলি আমার থেকে সব বল আর তোদের আসল রূপ দেখা।আমি তোদের ব্যাপারে সবকিছু জানতে চাই।(রিদিয়া)
প্রথমে মেঘলা-আকাশ ভাম্পায়ার রূপে আসল।
মেঘলা-আকাশের ভাম্পায়ার রূপ দেখে রিদিয়ার মুখ হা হয়ে গেল।
— তোরা দু-জনে ভাম্পায়ার । তাহলে নিশ্চয়ই রবিন ভাম্পায়ারকে চিনিস। আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছে। (রিদিয়া)
— ভালো করে চিনি রিদু।ভাম্পায়ার রাজার ছেলে রবিন।রবিন এক নাম্বারের অসভ্য ভাম্পায়ার রাজ্যের কোনো মেয়েকে শান্তিতে থাকতে দেয় না। আর একা কোনো মানুষ ফেলে তাকে মেরে ফেলে। মানুষের রক্ত তার প্রিয়।একা ফেলেই জীবন গেল……(মেঘলা)
তারপর অনিমা- নীল নেকড়ের রূপ ধারণ করলো।
রিদিয়া কিছুটা ভয় পেয়ে পিছনে চলে গেল।
— ভয় পাইছ না রিদু। আমরা খারাপ নেকড়েদের মতো মানুষদের মারি না।যারা অন্যায় করে তাদের মারি। তুই তো আমাদের কলিজা দোস্ত। (অনিমা)
স্পর্শিয়া আর রিদিয়া ছাড়া সবাই মনস্টার।
— এবার বল আমার মা – বোন কোথায়……(রিদিয়া)
গেস্ট রুমে রিদিয়াকে নিয়ে গেল।
রিদিয়া মা – বোনের অবস্থা দেখে কান্না করা শুরু করে দিলো।
— কোনো উপায় নেই আমার মা – বোনের জ্ঞান ফিরানোর।(রিদিয়া)
— আছে রিদিয়া কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন। (নীল)
— যতো কঠিন কাজ হোক আমি করবো । প্লিজ বল নীল…. (রিদিয়া)
— ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজ লাগবে..(নীল)
— ম্যাজিকেল হোয়াইট রোজ কোথায় পাবো..(রিদিয়া)
— ড্রাগন রাজ্যে….(নীল)
— সেখানে কিভাবে পৌঁছাতে পারবো আমি…(রিদিয়া)
— আমি ড্রাগন রাজ্যের গেইট পর্যন্ত তোকে দিয়ে আসতে পারবো তারপর যা করার তোকে একাই করতে হবে।(নীল)
রিদিয়া চোখের পানি মুছে,,,
— পারবো আমি।আমার মা – বোনের জন্য আমি সব পারবো।(রিদিয়া)
— আমরা সবাই তোর পাশে আছি… (অনিমা)
— এইজন্যই আমার ভয় লাগে না কোনোকিছুতে।(রিদিয়া)
_________________________
ড্রাগন রাজ্যে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেল রিদিয়া। দরকারি সব জিনিসপত্র সাথে করে নিয়ে নিল।রোহিতের ব্যাপারটা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে গেল রিদিয়া। অনেক চিন্তায় আছে রোহিতকে নিয়ে না জানি তার কিউট ড্রাগন কেমন আছে। আংটিটাও পড়ে নিল যদি কোনো কাজে এসে যায়।
— আমি তৈরি নীল। আর দেরি করতে চাইছি না আমি। তাড়াতাড়ি আমায় সেখানে নিয়ে চল। (রিদিয়া)
নীল বাহিরে গিয়ে বড় একটা নেকড়ে রূপ ধারণ করলো। তারপর রিদিয়াকে তার পিঠে বসতে বললো। নীলের কথামতো রিদিয়া নীলের পিঠে বসল। নীল রিদিয়াকে নিয়ে ড্রাগন রাজ্যের উদ্দেশ্যে চললো।
চলবে………
#লেখনীতে__ফিহা