#Love_With_Dragon
#Episode_22(২য়_খন্ড)
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]
মিসেস মেহের এসে রিদিয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়। রিদিয়াও মিসেস মেহেরকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,,
— আ……ম্মু?…..(রিদিয়া)
— রিদিয়া তোর কি সব মনে পরে গেছে…. (অনিমা)
রিদিয়া অনিমার কথায় সামনে তাকালো।অনিমার দিকে তাকিয়ে হেঁসে দিলো রিদিয়া কিন্তু কিছু বলেনি।
— যাক হিউগোর বিনাশ হলো। এখন সবকিছু ভালো হবে।(মাস্টার)
— কিন্তু মাস্টার রিদিয়া ব্লেড পেল কোথায়….? (আকাশ)
— হিউগোকে যখন দেখলাম কিংকে মারতে যাচ্ছিল আমি ম্যাজিক করে রিদিয়ার হাতে ব্লেড দিয়ে দিলাম। আর ইশারায় রিদিয়াকে বললাম কিছু একটা করতে। (মাস্টার)
— মাস্টার এই সামান্য চাকু কিং এর কি ক্ষতি করবে…..? (নীল)
মাস্টার রিদিয়ার হাত থেকে চাকুটি নিয়ে বললেন,,,,,
— এইটা চাকুটি সামান্য চাকু নয়।সব কিছুরই শেষ থাকে তেমনি এই চাকুটি ড্রাগন কিং এর বিনাশ করবে।এই চাকুটির বিষয়ে কিং জাফর ম্যাজিকেল বই থেকে জানতে পারে।তারপর থেকে এই চাকুটি তিনি সবার কাছে থেকে লুকিয়ে রেখেছেন এমনকি রোহিতকে ও জানতে দেননি। কিন্তু হিউগো জানতে পেরে গেছে।কিং জাফরের গোপন কক্ষে লুকিয়ে ছিল তখন সব জানতে পারে হিউগো।তারপর সে চাকুটি চুরি করে নেয়।(মাস্টার)
— যাক বাবা সব শএুর বিনাশ হলো। (মেঘলা)
সবাই কক্ষ থেকে বের হয়ে গেল রিদিয়া বের হতে যাবে তার আগেই রোহিত রিদিয়াকে নিজের কাছে নিয়ে আসল।রিদিয়া রোহিতেকে জড়িয়ে ধরে।
— “মাই কিউট ড্রাগন”…. ?……(রিদিয়া)
রোহিত ও রিদিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেছে মনে হচ্ছে বুকের ভিতর ঢুকিয়ে ফেলবে।যদি আবার হারিয়ে যায় তার শ্যামবতী।
— “লাভ ইউ শ্যামবতী”……?…..(রোহিত)
রিদিয়া রোহিতের বুক থেকে মাথা তুলে রোহিতের দিকে অবাক চোখে তাকালো।
— “আপনি কি বললেন আবার বলেন”…?….(রিদিয়া)
— “লাভ ইউ শ্যামবতী”…..☺️…..(রোহিত)
বলে রোহিত রিদিয়ার কপালে চুমু দিল।রিদিয়া লজ্জা পেল রোহিতের স্পর্শে।রিদিয়া রোহিতের বুকে মুখ লুকালো।
— “আমার উওর চাই”। (রোহিত)
— “অপেক্ষা করুন পেয়ে যাবেন”। (রিদিয়া)
— ” বিশ বছর অপেক্ষায় ছিলাম আর কত অপেক্ষা করাবে শ্যামবতী”। (রোহিত)
— “অপেক্ষার শেষটা সুন্দর হয় মাই কিউট ড্রাগন”…… ☺️…. (রিদিয়া)
— “ঠিক আছে তাই হবে আমার শ্যামবতীর”।(রোহিত)
রাহুল আড়াল থেকে সব শুনলো। আড়ালেই চোখের পানি মুছে রাজ্য থেকে বাড়ি চলে গেল।
আজ ও রাহুল রিদিয়াকে ভালোবাসে। অনেক চেষ্টা করেছে তার ভাইয়ের শ্যামবতীকে ভুলতে কিন্তু সে পারেনি।তবে মিহির কাছাকাছি থাকলে রাহুলের কষ্ট কম হয়।
_________________________
রাহুলের প্রচুর মন খারাপ রাহুল আলমারি থেকে গিটার বের করল।কিছুক্ষণ গিটারটির দিকে তাকিয়ে থেকে গিটারটি সাথে নিয়ে ছাঁদে চলে আসল।আজ রাহুলের কেন জানি গান গাইতে ইচ্ছে করছে আকাশের দিকে তাকিয়ে। রাহুল আকাশের দিকে তাকিয়ে গিটারে টুংটাং শব্দ তুলে গান গাওয়া শুরু করলো……
Chalte Chalte
Ye Punch Lena
Humse Kitni
Mohabat Hain
Haan
Jana Chahe
Per Jaan Lena
Humka Teri
Zaroorat Hain
Haan
Ke Ghoont Ghoont
Ker ke Khudka
Pee Rahe Hain Hum
Tumka Kya Bataye
Kaise
Jee Rahe Hain
Hum
Gum Se Ha Chuke
Hain
Ab Tasalliyan Main
Hum
Sach Hai Ye
Haan Magar
Tum Se Mohabat
Hain Haan…. (2)
Bas Tum Se Haan
Tum Se Hi Haan
Tum Se Mohabat
Hain Haan.
রাহুলের গানের মাঝে কেউ রাহুলের কাঁধে হাত রাখে।রাহুল গানের মাঝেই চমকে পিছনে তাকায়।
— “থামলেন কেন বলুন আমি ও শুনি।আপনি যে এত ভালো গান গাইতে পারেন আমি তো জানতাম না আর আপনি কোনোদিন বলেন ও নি”।
মিহি কিছুটা অভিমান নিয়ে কথাটি বললো। রাহুল মিহির অভিমান বুঝতে পেরে মিহিকে নিজের কোলে বসিয়ে মিহির হাতে গিটার দিল।চোখের ইশারায় মিহিকে গিটার বাজাতে বললো। মিহি মুচকি হেসে গিটার বাজানো শুরু করলো।
Kehti……
Kehti Nigaheni Hain
Thaam Jaa
Dil Tu Zara
Rehne…..
Rehne de Jaane Da
Lenga
Dil Ka Maana
Mudte Mudte
Ye Soch Lena
Jana Tumhara
Zaroori Hai Kya
Aana Wapas
Chahe Na Aana
Hum Hain Yahi Pe
Rehenga Yahan
Jee Rehe Hain Sapnon Mein
Haqeeqatan Ka Hum
Dil Mein Ab Daba Chuke
Shikayatan Ka Hum
Jaante Hain Ab Na Tumse
Kah Sakenge Hum
Saach Hain Ye
Haan Magar
Tum Se Mohabat
Hai Haan…(2)
Bas Tum Se Haan
Tum Se Hi Haan
Tum Se Mohabat
Hain Haan….……
— “তুমি যে এত ভালো গিটার বাজাতে পার আগে তো জানতাম না”। (রাহুল)
— ” আমি ছোট থেকেই পারি”। (মিহি)
— “আমার কেন জানি মনে হলে তুমি পারবে তাই তোমায় ইশারায় বললাম গিটার বাজাতে”। (রাহুল)
মিহি রাহুলের কথায় মুচকি হাসল। মিহি রাহুলের দিকে নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে আছে। মিহি রাহুলের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে ঢোক গিললো।মিহি রাহুলের ঠোঁটের থেকে চোখ সরিয়ে রাহুলের চোখের দিকে তাকালো। রাহুল আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। এই সুযোগে মিহি নিজের ঠোঁট রাহুলের ঠোঁটে আলতো করে ছুঁয়ে দৌঁড়ে ছাঁদ থেকে চলে গেল।আর রাহুল ঠোঁটে হাত দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে মিহি কি করল এইটা।
? ________________________?
খাবার টেবিলে সবাই খাবার খাচ্ছে শুধু রাহুল আর মিহি ছাড়া।
— আন্টি রিদিয়াকে পেয়ে তো আপনি একদম সুস্থ হয়ে গেছেন।(অনিমা)
— ওর জন্যই তো আন্টি এতদিন পাগলামি করেছে এখন রিদিয়ার সব স্মৃতি ফিরে এসেছে আন্টির ও পাগলামি শেষ হয়েছে। (স্পর্শিয়া)
— কিন্তু মিহি আপু আর রাহুল ভাইয়াকে দেখছিনা কেন….? (আকাশ)
— দু’জন বাড়ি গিয়ে আলাদা সময় কাটাচ্ছে তাই আর ডাকিনি…. (রোহিত)
— ও…ও…ও ঠিল আছে?…(আদর)
— ঠিল নয় ঠিক হবে….?..(নীল)
— ওই আর কি….?…(আদর)
— সবার কথা শেষ হলে আমি কথা শুরু করব…(মাস্টার)
— হ্যাঁ অবশ্যই মাস্টার। (রোহিত)
— আমি চাচ্ছি সবার বিয়ে একসাথে দিতে…..(মাস্টার)
সবাই একসাথে বলে উঠলো,,,,,
— স…..বা…..র…?….
— হ্যাঁ….।পাঁচ জুটির বিয়ে একসাথে হবে আর আগামীকালই বিয়ে। রোহিত রাজ্যের একটি প্রজা ও যেন বাদ না পরে।(মাস্টার)
— আপনি যা বললেন।(রোহিত)
খাবার শেষে নীল,আদর,আকাশ বাগানে গেল ঘুরতে।
— আদর আমার না নাচতে ইচ্ছে করছে। (নীল)
— কেন….?(আদর)
— আরে গাধা কাল আমাদের বিয়ে তাই। (নীল)
— আমার কি সৌভাগ্য দেখ দ্বিতীয়বার বিয়ে হবে আর ফুলসজ্জা ও☺️….আহা কি যে মজা লাগছে ভাই।(আদর)
— চল সবাই একসাথে নাচি?….(আকাশ)
— মাস্টার দৌঁড়ানি দিবে?।(আদর)
— বিয়া যে কত্ত মজা খালি খাওন আর খাওন…..
পিছন থেকে মেয়েলি কন্ঠ শুনে তিনজন পিছনে তাকালো।
চলবে……
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
______________________
[বানানে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
★
[গল্প সম্পর্কে গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি পাঠক-পাঠিকাদের কাছ থেকে]