Mr. Devil
Part_08,09,10
Aruhi khan
Part_08
রশ্নি অফিসে প্রবেশ করা মাত্রই কোনো কিছুর সাথে পা লেগে পরে গেল
আহ! আম্মু মইরা গেলাম গো, কোমরটা শেষ মনে হয়
-আহারে So sad
রশ্নি মুখ উপরে মুখ তুলে দেখে যে ইয়াশ তার প্যান্ট এর এর পকেট এ হাত ঢুকিয়ে একটা শয়তানি হাসি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে
পরক্ষণেই রশ্নির মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল
ও বুঝতে পারলো যে ইয়াশই ওকে ফেলেছে
রশ্নি দাঁড়াতে নিলো কিন্তু পারলো না তার আগেই আবার পরে গেল
ইয়াশ এক হাটু গেড়ে নীচে বসলো
আর রশ্নির যেন এখানে ব্যথায় জান বেরিয়ে যাচ্ছে
ইয়াশ রশ্নির মুখ থেকে চুল গুলো কানের পিছনে গুঁজে দিলো আর রশ্নি ইয়াশের হাতটা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে
ইয়াশ আরেক হাত দিয়ে রশ্নি সে হাতটা শক্ত করে ধরলো যেটা দিয়ে ও ইয়াশের হাতটা সরিয়ে দিচ্ছিল
ইয়াশ: আমার পথে বাধা দিও না ছাড় খার হয়ে যাবে
(দাঁতে দাঁত চেপে)
বলেই ইয়াশ রশ্নির হাত টা ছুড়ে ফেলে উঠে চলে গেল
রশ্নি হাতটার দিকে তাকিয়ে
ভাবছে: কি বলে গেল লোকটা ?
.
না না না! আমি এই জীবন আর রাখবো না ??
নিশা: বনু তুই কেন এমন করছিস বলতো
নেহা: আপ্পি ইশু (ইয়াশ) আমার ভালোবাসা বুঝলো না??
নিশা: কিছু হবে না
নেহা: মানে কি কিছু হবে না? হয়ে গেছে আপি
তুমি জানো না ও আমার সাথে ওই রাতে কতটা মিসড বিহেভ করেছিল
নিশা: I know নেহা। আর এটার জন্য ও শাস্তি পাবে
নেহা: ধুর রাখো তো তোমার শাস্তি, আমি এসব কিছু চাই না আমি জাস্ট আমার ইশু বেইবিকে চাই
ওকে না পেলে আমি নিজেকে শেষই করে দিব
বলেই চুরি টা আবার হাতে ধরলো
এবার নিশা এসে নেহার হাত থেকে ছুরিটা মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিলো আর নেহাকে ঠাস করে একটা চড় লাগিয়ে দিল
.
রশ্নি: উফ এই ডেভিল টা তো আমাকে ফেলে চলে গেল, কিন্তু এখন আমু কিভাবে আমার ক্যাবিনে যাবো??
-রশ্নি!
হঠাৎ কে যেন রশ্নি^ বলে ডেকে উঠলো
রশ্নি পিছনে ফিরে দেখে নিহার দাঁড়িয়ে আছে
নিহার ও এই অফিসেই চাকরি করে
রশ্নি:- আরেহ নিহার তুমি
নিহার: হ্যা কিন্তু তুমি এভাবে নীচে বসে আছো কেন?
রশ্নি:- আর বলো না ওই যে, ওই ডে,,,,
বলতে গিয়ে থেমে গেলো (না একে ডেভিলের কথা বলা যাবে না)
না মানে তাড়াহুড়োয় যেতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম আরকি
নিহার: ওহ আচ্ছা, তো তুমি উঠছো না কেন?
রশ্নি: চেষ্টা তো করছি but উঠতে পারছি না
নিহার: তাহলে এখন কি করবে? দাঁড়াও আমি হেল্প করছি
রশ্নি: মানে
নিহার: ওয়েট,,,,,,,,
এদিকে ইয়াশ ওর ক্যাবিনে বসে কি যেন একটা ভাবছে
ইয়াশ: ওকে এভাবে রেখে আসাটা কি ঠিক হলো?
ও যেভাবে পড়েছিল মনে তো হয় না নিজে নিজে উঠতে পারবে oh shit, that’s mean ও এখনো ওখানেই আছে
আমার এখনই ওর কাছে যেতে হবে
ইয়াশ দৌড়ে ওর ক্যাবিন থেকে বের হলো
বেরিয়ে তাড়াতাড়ি ওই জায়গাটায় গেল যেখানে ও রশ্নিকে ফেলে এসেছিলো
গিয়ে যা দেখলো তাতে ওর রাগ ৮ম আসমানে উঠে গেল
ইয়াশ: মিস খান,,,,,,(জোরে)
,
কিছুক্ষন আগে রশ্নি উঠতে পারছিল না তাই নিহার ওকে পাজা কোলে করে ওর ক্যাবিনে দিয়ে আসছিল আর তখনই ইয়াশ সেখানে এসে পড়ে
.
ইয়াশের চোখ দুটো রক্তবর্ন ধারণ করেছে
ওর হাতে থাকা goggles টা
হাত শক্ত করে মুঠো করায় টুকরো টুকরো হয়ে গেল
মাটিতে পড়ে থাকা গ্লাসটার টুকরো গুলোর দিকে রশ্নি তাকিয়ে আছে আর বড় বড় ঢোক গিলছে
ইয়াশ দ্রুত পদে তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে
জিজ্ঞেস করলো: আমি কি জানতে পরও কি হচ্ছে এখানে?
নিহার: স্যার, রশ্নির পা টা মচকে গেছে তাই ও দাঁড়াতে পারছে না তাই আরকি ওকে ওর ক্যাবিনে দিয়ে আসতে যাচ্ছিলাম
ইয়াশ: ওহ আচ্ছা তাই নাকি, তো তার জন্যই তুমি ওকে এভাবে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো?
নিহার: স্যার আপনি ভুল বুঝছেন,,,,,
ইয়াশ: just shut up you bloody idiot (চেচিয়ে)
ইয়াশের চিৎকার শুনে সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে
নিহার: সরি স্যার ?
ইয়াশ সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিহার এর কোল থেকে রশনিকে উঠিয়ে নিজে কোলে নিয়ে নিজের ক্যাবিনের দিকে যাওয়া শুরু করলো
সবার নজর ইয়াশ আর রশ্নির দিকে আর এদিকে রশ্নির অবস্থা খারাপ
লজ্জায় ওর মোড়ে যেতে মন চাচ্ছে ও চোখ বড় বড় করে ইয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে
রশ্নি: Mr. Ahmed please নামিয়ে দিন
ইয়াশ জাস্ট চোখ গরম দেখালো আর রশ্নি ওখানেই ভয় শেষ
চলবে,
Mr_Devil
#Part_09
#Writen_by_Aruhi_khan
ইয়াশ সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিহার এর কোল থেকে রশনিকে উঠিয়ে নিজে কোলে নিয়ে নিজের ক্যাবিনের দিকে যাওয়া শুরু করলো
সবার নজর ইয়াশ আর রশ্নির দিকে আর এদিকে রশ্নির অবস্থা খারাপ
লজ্জায় ওর মোড়ে যেতে মন চাচ্ছে ও চোখ বড় বড় করে ইয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে
রশ্নি: Mr. Ahmed please নামিয়ে দিন
ইয়াশ জাস্ট চোখ গরম দেখালো আর রশ্নি ওখানেই ভয় শেষ
ইয়াশ রশনিকে নিয়ে নিজের ক্যাবিনের ভিতর প্রবেশ করলো
তারপর ঠাস করে গেইট টা লাগিয়ে দিল
আর চেয়ারের উপর ধপ করে রশনিকে বসিয়ে দিল কিছুটা ছুড়ে ফেলার মতো
রশ্নি:- আহ
ইয়াশ রশ্নির মুখ টা খুল জোরে চেপে ধরলো
ইয়াশ: তোর সাহস হয় কি করে অন্য একটা ছেলের কোলে ওঠার (দাঁতে দাঁত চেপে)
ইয়াশ এত জোরে রশ্নির মুখটা ধরে রেখেছে যে ও কিছু বলতেও পারছে না
রশ্নি বার বার ইয়াশের হাতটা সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না
রশ্নি এবার না পেরে কান্নাই করে দিলো
একদম বাচ্ছাদের মতো কান্না করছে ও
রশ্নিকে এভাবে কাঁদতে দেখে ইয়াশ রশ্নিকে ছেড়ে দিলো কারন ও জানে রশ্নি বেশি কান্না করলে রশ্নির স্বাস কষ্ট হয়
ইয়াশ: হয়েছে আর বেশি নেকামো করতে হবে না বাট এটা শেষ বারের মতো মাফ করছি আমি তোমায় নেক্সট টাইম যেন কোনো ছেলের তোমায় না দেখি মাইন্ড ইট
রশ্নি: আপনিইই তো আআআমাকে ওখানে ওওভাবে ফেলে এএএসেছিলেন তততাই তো নিনিনিহার আমাকে কোলে করে আমার ক্যাবিনে দিয়ে আআসছিলো (ফুপাতে ফুপাতে)
ইয়াশ: শুনো যখন আমি ফেলেছিলাম তখন আমিই ওঠাবো তাই বলে অন্যের কাছে যেও না
রশ্নি: ??
ইয়াশ: পা দাও
রশ্নি: মানে?
ইয়াশ: মানে তোমার পা টা দাও যেটা মচকে গিয়েছে
রশ্নি: কেন
ইয়াশ: মেয়ে তুমি বড্ড বেশি কথা বলো
বলেই ইয়াশ নিজেই রশ্নির পা টা চেক করতে গেল কিন্তু ঠিক তখনই রশ্নি চিৎকার দিয়ে উঠলো
রশ্নি: আআআআআআ!!!
নেহা গালে হাত দিয়ে বসে বসে কাঁদছে
নেহা: আপি তুই আমায় মারলি??? ??
নিশা: মেরেছি বেশ করেছি
নেহা: আপি এটা তো *প্রেম করেছি বেশ করেছি* হবে
নিশা নিজের অগ্নি দৃষ্টি নেহার উপর নিক্ষেপ করলো
নিশা: Just shut up Neha
নেহা: ???
নেহা: বাট তুই এখন কি করবি আপি?
নিশা: তুই শুধু দেখতে থাক আমি কি করি ওই ইয়াশের সাথে
Number one businessman of asia হওয়াতে খুব অহংকার ওর তাই না
এই অহংকারকে যদি আমি স্পইল না করেছি না তাহলে আমার নাম ও নিশা নয়
নেহা: তুই কি করবি আপি?
নিশা: ?
নেহা: ?
ইয়াশ: কি হলো তুমি চিল্লাছো কেন?
রশ্নি: দেখুন আপনি যতই লুচু,খারাপ, বদমাস, ডেভিল,রাক্ষস,অ্যানাকন্ডা হন না কেন আপনি তো আমার থেকে বয়সে এবং গুনে আমার থেকে বড় সো আপনি আমার গুরুজন তাই আপনার আমায় পায়ে হাত দেওয়াটা খারাপ দেখায়
ইয়াশ: চোখে জল চলে আসলো তোমার সম্মান দেখ?
রশ্নি: Thanks?
ইয়াশ: just shut up you fool
রশ্নি: এতক্ষন তো ভালো ছিলো আবার কি হলো?
ইয়াশ রশ্নিকে জোর করে বসিয়ে ওর পা টা দেখতে লাগলো
ইয়াশ: হুমম
রশ্নি: কি হুম
ইয়াশ: শশশশ চুপ
রশ্নি: ?
ইয়াশ: শুনো এখন তুমি চুপ করে বসে থাকবে একটুও নড়াচড়া করবে না
রশ্নি: কেন কেন
ইয়াশ: যা বলছি তা করো
রশ্নি: ওকে?
ইয়াশ: শুনো এখন নিজের দুই চোখে দুই হাত দিয়ে ১ থেকে ৩ পর্যন্ত বলবে
রশ্নি: কেন
ইয়াশ: ?
রশ্নি: ওকে ওকে
রশ্নি নিজের চোখে হাত দিয়ে বলতে শুরু করলো
রশ্নি: 1,,,,,,,,2,,,,,,,3
3 বলার সাথে সাথে ও আবার চিৎকার দিয়ে উঠলো
রশ্নি: আআআআআআআ!!!!
(রশ্নি যখন চোখ বন্ধ করে ছিলো তখন ইয়াশ, রশ্নির মচকে যাওয়া পা টা খুব জোরে মোচড় দিয়ে আবার টান মারে আর তখনই রশ্নি চেচিয়ে ওঠে)
রশ্নি: আপনি এটা কি করলেন কেন করলেন,, আমার মাসুম পা টা আপনার কি ক্ষতি করেছিল??
(পা টাতে হাত বুলাতে বুলাতে)
ইয়াশ: যা করেছি তোমার ভালোর জন্যই করেছি
রশ্নি: huh
ইয়াশ এক টানে রশ্নিকে দার করিয়ে দিল
রশ্নি: আআআ (চোখ বন্ধ করে)
ইয়াশ: Oh drama queen চোখ খুলে তো দেখো
রশ্নি চোখ খুলে দেখে ও নিজের পায় দাঁড়িয়ে আছে আর পা টাতে ব্যথাও হচ্ছে না
রশ্নি এটা দেখে খুব খুশি হয়ে গেল আর ইয়াশের চার দিকে দৌড়াতে আর লাফাতে লাগলো ঘুরে ঘুরে
ইয়াশ: এই মেয়ে কি করছো টা কি তুমি? পাগল হয়ে গেলে নাকি,,,,,,,,
ইয়াশ পুরো কথাটা শেষ করতে পারলো না তার আগেই রশ্নি লাফিয়ে এসে ইয়াশকে জাপটে ধরলো
ইয়াশ তো যেন পাথর হয়ে গেছে,, পুরাই শকড
রশ্নি: Thank you so much Mister Devil
ইয়াশ কি বলবে বুঝতে পারছে না,
রশ্নির চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে ইয়াশও রশ্নিকে জড়িয়ে ধরলো
ইয়াশ চোখ বন্ধ করে রশ্নির স্পর্শ অনুভব করছিল
এতক্ষন পর রশ্নি বুঝতে পারলো যে ও এতক্ষন কি করছিল
ও সাথে সাথে ইয়াশ থেকে দূরে সরে আসলো
রশ্নি: Sorry, বলেই রশ্নি চলে আসছিল ঠিক তখনই ইয়াশ ওর ওড়না ধরে টান দিলো
রশ্নি: কি করছেন এটা আপনি?
ইয়াশ রশ্নির ওড়না হালকা করে নিজের দিকে টানছে
আর রশ্নিও ধীরে ধীরে ইয়াশের কাছে যাচ্ছে
,
-হাহাহাহা!!!!!! আপি তুইও যা বলিস না
(গালে ব্লাশন লাগাতে লাগাতে বললো নেহা)
নিশা: না তুই যদি থাকতি না ওই টাইমে তুই ও হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতি (লিপস্টিক লাগাতে লাগাতে)
তোর কথা শুনেই যা হাসি পাচ্ছে সেখানে থাকলে জানি না কি অবস্থা হতো (নেহা)
দুই বোন হাসাহাসি করছে আর রেডি হচ্ছে
তখনই সেখানে রাফির আগমন
রাফি: তোমরা কি কোথাও যাচ্ছ?
নিশা: Yeah Bae
রাফি: কিন্তু কোথায় যাচ্ছ তোমরা?
নেহা: party club?
নিশা: I’m ready
নেহা: I’m also
নিশা: So what are we waiting for?
নিশা নিজের কোমরে হাত রেখে: Let’s go darling.
নেহা নিশা হাতের ভিতর নিজের ঢুকিয়ে বললো
নেহা: Yeah ?
তারপর দুজন রাফিকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল
রাফি হা হয়ে দুজনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে
রাফি: এই দুই বোনের ভিতরে যে কি চলছে কে জানে
সকালে এক বোন নিজেকে ঘর বন্ধি করে কান্না করে আর আরেক বোন আমাকে থ্রেট দেয় আর এখন দুইজন হাসতে হাসতে ঘুরতে চলে গেল
এদের চক্করে একদিন আমিই পাগল হয়ে যাবো
রশ্নি ইয়াশ দুইজন দুইজনের খুব কাছাকাছি
ইয়াশের গরম নিঃশাস রশ্নির মুখে আছড়ে পড়ছে যা
রশ্নির ভিতর ঝড় তুলছে
রশ্নি: মিস্টার আহমেদ আমা,,,,,
ইয়াশ: শশশশশশশশ (রশ্নি মুখের উপর নিজের আঙ্গুল রেখে)
রশ্নি, ইয়াশের চোখের মাঝে যেন ডুবে যাচ্ছে?
ইয়াশ: মিস খান
রশ্নি: হুম,,,,,,
ইয়াশ: আমি আপনার পা টা ঠিক করে দিলাম এর বদলে কি আমার কিছু পাওনা থাকে না?
রশ্নি: হুমমম (আনমনে)
ইয়াশ: তো শোধ করুন
রশ্নি: হুমম
ইয়াশ: কি হুমম? আমি শোধ করে নিব?
রশ্নি: হুমম
(রশ্নি এখন নিজের মধ্যে নেই তাই ও কি বলছে সেদিকে ওর নিজেরই খেয়াল নেই)
ইয়াশ, রশ্নির মুখের উপর পড়ে থাকা চুল গুলো নিয়ে কানের পিছে গুঁজে দিলো তারপর রশ্নির কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে দিলো
রশ্নি কেপে উঠলো
ও নিজের মাঝে ফিরে আসলো ওর ভেবেই লজ্জা লাগছে ও এতক্ষন কি করছিল
রশ্নি ইয়াশের দিকে তাকিয়ে দেখে যে ইয়াশ ওর দিকে নেশা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে
রশ্নি তাড়াতাড়ি ইয়াশ থেকে দূরে সরে দিলো এক দৌড়
এমন কান্ডে ইয়াশ হঠাৎ চমকে উঠলো
ও বুঝতে পেরে নিজে নিজেই হেসে দিলো
ইয়াশ: পাগলিটা এখনও আগের মতোই আছে বেশি খুশি হলে খেয়ালই থাকে না কি করে বসে
রশ্নি আবার ইয়াশের ক্যাবিনে এসে দরজায় নক দিলো
ইয়াশ আওয়াজ পেয়ে দরজার দিকে তাকালো
রশ্নি: Thank you Mister_Devil (বলেই আবার দৌড় দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল)
ইয়াশ এবার জোরেই হেসে দিলো
ইয়াশ: সত্যিই পাগলী
চলবে,
Mr_Devil
#Part_10
#Writer_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
রশ্নি আবার ইয়াশের ক্যাবিনে এসে দরজায় নক দিলো
ইয়াশ আওয়াজ পেয়ে দরজার দিকে তাকালো
রশ্নি: Thank you Mister_Devil (বলেই আবার দৌড় দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল)
ইয়াশ এবার জোরেই হেসে দিলো
ইয়াশ: সত্যিই পাগলী
.
ইয়াশ কিছু কাজের কাগজ পত্র বের করার জন্য তার টেবিলের ড্রয়ার টা খুললো আর ওর সামনে একটা ছবি পড়লো যা দেখা মাত্র সাথে সাথেই ওর মুখের হাসি উধাও হয়ে গেল
চোখ দুটো রক্ত লাল বর্ণ ধারণ করেছে
রাগে হাতের মুঠো শক্ত করে নিলো ইয়াশ
তারপর ছবিটাকে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরলো
ইয়াশ: না কখনো ক্ষমা করবো না তোকে কখনো
I used to hate you, I hate you and I will hate you
আমি ফিরে এসেছি, এখন তোকে কে বাঁচাবে আমার হাত থেকে? তোর গেম এবার শেষ
বলেই চোখের কোনে জমে থাকা পানি টা মুছে একটা বাকি হাসলো ইয়াশ
.
বিকেল ৪:১৫,,,,
আআআআআআআ–
সানা: ?
রশ্নি: এভাবে ধাক্কা দিলি কেন?
সানা: তো আর কি করবো, কখন থেকে ডাকছি কিন্ত না ম্যাডামের কোনো হুশই নেই
রশ্নি: তাই বলে এভাবে ধাক্কা দিবি
সানা: তোর ভাগ্য ভালো ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই নাই নাহলে জামাইর সাথে রোমান্স করার স্বপ্ন তো যাইতো
রশ্নি: ওহ মাই আল্লাহ??
সানা: আচ্ছা বাদ দে এসব, তুই এবার বলতো কার খেয়ালে ছিলি?
রশ্নি: ই,,,,,,,???
সানা: কিইইইইই???….?
রশ্নি: না,,,,,মানে কিছু না,,(আমতা আমতা করে)
সানা: আজকাল নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের থেকেও কথা লুকানো শিখে গেছিস ভালোই ভালোই?
রশ্নি: আরেহ বিশ্বাস কর অমন কিছু না আর তেমন কিছু হলে তো সবার আগে তুইই যানবি
(রশ্নি আজ প্রথম সানার কাছ থেকে কিছু লুকালো কারন এতক্ষন ও ইয়াশের আর ওর ওই মুহূর্ত টা আওড়াচ্ছিলো,,,,,)
সানা: আচ্ছা তোর কথা বিশ্বাস করলাম?
রশ্নি: That’s like my girl?
সানা: আচ্ছা আমি তাহলে আসি আমার একটু কাজ আছে
রশ্নি: আচ্ছা!
সানা যাওয়ার পর রশ্নি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো,,,,
রশ্নি: আজ প্রথম তোর থেকে কিছু গোপন করলাম,,,বিশ্বাস কর খুব খারাপ লাগছে কিন্তু আমার কিছু করার নেই
কিন্তু একটু আগে স্যার এর ক্যাবিনে যেটা হলো ওটা কি ঠিক ছিল?
আমি এটা কিভাবে করতে পারলাম?
কিন্তু প্রথম দিনের ইয়াশ আহমেদ এর সাথে একটু আগের ইয়াশ আহমেদ এর কোনো মিল পাচ্ছি না
তাহলে কি সে নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছে?
উফফ,,, হাজার হাজার প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক করছে
এত ভেবে লাব নেই বেশি ভাবলে পরে আবার মাথা ব্যথা শুরু হবে
একটা কাজ করি অফিস বয়কে বলে দেই কফি আনতে আর সাথে Shinchan তো আছেই?
রশ্নি সিয়ামকে (অফিস বয়) বলে দিল কফি আনতে আর ফোনে shinchan দেখা শুরু করলো
ইয়াশ: Done,,,(একটা কাগজ নিজের সামনে ধরে)
ইয়াশ কাগজ টা দেখে বাঁকা হাসলো
তখনই ইয়াশের ফোনটা বেজে উঠলো
ইয়াশ ফোনটা বের করে কানের কাছে ধরলো
ইয়াশ: আচ্ছা ঠিকাছে আমি আসছি
কিছুক্ষন কথা বলে ফোনটা রেখে ইয়াশ বেরিয়ে পড়ল ক্যাবিন থেকে কিন্তু সাথে কাগজটা নিতে ভুললো না
ইয়াশ নিজের ক্যাবিন থেকে বের হতেই দেখে সিয়াম হাতে কফি নিয়ে রশ্নির রুমের দিকেই যাচ্ছে
ইয়াশ সিয়াম ডাক দিলে সিয়াম ইয়াশের কাছে যায়
ইয়াশ: এগুলা নিয়ে কোথায় যাচ্ছ
সিয়াম: রশ্নি ম্যাডামের রুমে যাইতাছি স্যার
ইয়াশ, সিয়ামের হাত থেকে কফির ট্রে টা নিয়ে
বললো: তুমি এখন যাও
সিয়াম: আপনি দিয়া আইবেন স্যার? (অবাক হয়ে)
ইয়াশ: বাড়তি কথা আমার পছন্দ না শুধু যা বলেছি সেটা করো (দাঁতে দাঁত চেপে)
সিয়াম: জি স্যার (বলেই সেখান থেকে চলে গেল)
.
ইয়াশ, রশ্নির রুমে গিয়ে দেখে ও পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে আর টেবিলে থাকা ফোনের মধ্যে কার্টুন দেখে দেখে হাসছে
গেইট খোলার আওয়াজ পেয়ে পিছনে না তাকিয়েই রশ্নি বললো: সিয়াম কফি টা টেবিলের উপর রেখে যা
ইয়াশ কোনো কথা না বলে কফিটা টেবিলের উপর রাখলো তারপর আস্তে আস্তে রশ্নির দিকে এগোলো
তারপর পিছন থেকেই ওর ঘাড়ে নিজের মুখ রাখে
এমন কিছু হওয়াতে রশ্নি চমকে ওঠে কারন ও মনে করে এটা সিয়ামের কাজ ও তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে নিজের জায়গা থেকে
রশ্নি, সিয়াম বলে চিৎকার করে যেই না থাপ্পড় দিতে যাবে ঠিক তখনই ইয়াশ ওর হাতটা ধরে ফেলে
রশ্নি: তোর এত্তো বড় সাহস,,,,,তোকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো (নিজের হাত ছুটাতে ব্যাস্ত হয়ে)
—/– ওহ তাই নাকি মিস খান,,,(দাঁতে দাঁত চেপে)
রশ্নি এতক্ষনে খেয়াল করে ও কাকে এতক্ষন এসব বলছিল
রশ্নি সামনের লোকটা কে হতে পারে তা আন্দাজ করতে পেরে ভয় ঘামতে শুরু করলো কারন ও জানে কিছুক্ষন পর ওর সাথে খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে
রশ্নি আস্তে আস্তে ইয়াশের দিকে তাকালো
রশ্নি: হেহেহে,,,,আপনি এখানে কখন এলেন স্যার (জোর করে হাসার চেষ্টা করে)
ইয়াশ: আমি আমার অফিসে কোথায় যাবো, না যাবো সেটার জন্য কি এখন আমার, তোমার থেকে পারমিশন নিতে হবে?
রশ্নি: আমি তা মিন করিনি,,,,
ইয়াশ: Just shut keep your mouth shut (চেচিয়ে)
একটা মানুষ কতটা irresponsible হলে নিজের সব কাজ ছেড়ে এভাবে পায়ের উপর পা তুলে কার্টুন দেখতে পারে?
তাও আবার দেখছেন কি কার্টুন? Like seriously? আপনার কি এখন কার্টুন দেখার বয়স?
রশ্নি: কার্টুন দেখার আবার বয়স হয় নাকি (বির বির করে)
ইয়াশের: কি বললে তুমি?
রশ্নি: বুঝেছি
ইয়াশ: কি বুঝেছো?
রশ্নি: নেক্সট টাইম থেকে আর পায়ের উপর পা তুলে বসে আর কার্টুন দেখবো না
পা নামিয়ে বসে দেখবো
ইয়াশ: ওহ মাই আল্লাহ (মাথায় হাত দিয়ে)
এই নাকি আবার আমার পিএ
রশ্নি: Any doubts??
ইয়াশ: Shut up ??
রশ্নি: আচ্ছা আমি গেলাম,,,,,ok bye
{রশ্নি চলে যেতে নিলে ইয়াশ রশ্নি হাতের বাহু ধরে আটকে দেয়}
ইয়াশ: কোথায় যাচ্ছ?
রশ্নি নিজের হাত ঘড়িটা ইয়াশের ধরে
বললো: অফিস হাওয়ার শেষ সো আমি বাসায় যাচ্ছি এখন আমার favorite Tv show শুরু হবে তাই
ইয়াশ: What the,,,,,,,,,
তোমার সাহস হয় কিভাবে আমার পারমিশন ছাড়া এভাবে বেরিয়ে যাওয়ার
রশ্নি: আজব তো,,,,এখন অফিস হাওয়ার শেষ সো এখন আর আপনি আমার বস না
ইয়াশ: আবার আমার সাথে মুখে মুখে তর্কও করছো,,,,এর জন্য তুমি শাস্তি পাবে
রশ্নি: সরি স্যার,,,,, কিন্তু কি শাস্তি? (কিছুটা ভয় পেয়ে)
ইয়াশ আস্তে আস্তে রশ্নির দিকে এগোতে লাগলো,,,
আর রশ্নি পিছাচ্ছে
ইয়াশ খপ করে রশ্নির হাতটা ধরে ফেলল (ডেভিল স্মাইল দিয়ে)
আর রশ্নি তাতে প্রচন্ড রকম ভাবে ভয় পেয়ে গেল
রশ্নি: সসসসস্যার,,,,,,(কান্না+ভয় মিশ্রিত কণ্ঠে)
তারপর হঠাৎ ইয়াশ রশ্নিকে টেনে নিয়ে যেতে শুরু করলো
রশ্নি: স্যার আমরা কোথায় যাচ্ছি,,,,,
ইয়াশ কোনো কথা না বলে নিজের পথে চলেই যাচ্ছে,,,,
ইয়াশ রশ্নিকে নিজের ক্যাবিনে নিয়ে গিয়ের কোনার একটা আলমারির সামনে দাঁড়ালো
তারপর সেখান থেকে কিছু ফাইল বের করে রশ্নির হাতে দিয়ে
বললো: এই নিন ধরুন,,,,এই সব ফাইল গুলো আধা ঘন্টার মধ্যে চেক করে আমাকে দিবেন আর এটাই হলো আপনার শাস্তি
রশ্নি: কিইইইইইইইই ??
ইয়াশ: জি,,,,,
রশ্নি: এত্তো গুলা ফাইল , চেক, আধা ঘন্টা, আমি সব মিলায়া কেমনে কি ??
ইয়াশ: কেন পারবেন না মিস রশ্নি,,,এনায়াত,,,খান,,,?
(ডেভিল স্মাইল দিয়ে)
রশ্নি: স্যার,,,,,?(অসহায় ভাবে তাকিয়ে)
ইয়াশ: বলুন আমি এখানেই আছি,,
রশ্নি: একটু কমিয়ে দিন না,,,,,,,?
ইয়াশ: আমি আপনার হোম টিউটার না যে আপনি হোম ওয়ার্ক কমিয়ে দিতে বলছেন ?
রশ্নি: প্লিজ,,,,?
ইয়াশ: আর একটা কথা বললে ফাইলের সংখ্যা বেড়ে যাবে আর সময়ের সংখ্যা কমে যাবে,,,
রশ্নি: এই না না আমি এখনই সব কাজ শেষ করছি
ইয়াশ: গুড গার্ল
রশ্নি যেই না ফাইল গুলো নিয়ে নিজের ডেস্কে যেতে নিলো ঠিক তখনই ইয়াশ বলে উঠলো
ইয়াশ: এখানে আমার সামনে বসেই কাজ গুলো শেষ করবেন আপনি (বাঁকা হেসে)
রশ্নি: এ্যা,,,,,,,
ইয়াশ: এ্যা না হ্যা,,,,
রশ্নি: কিন্তু,,,,,,
ইয়াশ চোখ গরম দেখালো রশ্নি ভয় পেয়ে চুপচাপ ওখানে বসেই কাজ করা শুরু করলো,,,,,আর ইয়াশ বসে বসে আর চোখে ওকে দেখছে
চলবে,
বলা হয়নি কিন্তু হ্যা আরুহী খান নাম টা আমার ছদ্মনাম ?