#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Love,29,30 last part
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
Part_29
.
.
? In Morning ?
আভি আর রওশন মলের ওয়েটিং রুমে বসে আছে মুখ ফুলিয়ে। আভি মুখ ফুলিয়ে আছে কারন ওর ঘুম পুরা হয় নি আর রওশন মুখ ফুলিয়ে আছে কারন ও সকাল থেকে সুবহার সাথে কথা বলারও সুযোগ পায়নি।
? Flashback ?
ভোর পাঁচটার দিকে চেঁচামেচির আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায় সুবহা আর রওশনের।
রওশনঃ এতো ভোরে বাইরে কিসের গন্ডগোল হচ্ছে। ( ঘড়ির দিকে তাকিয়ে)
সুবহাঃ আভির আওয়াজ ও আসছে।
রওশন আর সুবহা রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে আসে। নিচে নেমেই ওরা এক দফা টাস্কি খায়। আভি পুরো ড্রইং রুম জুড়ে দৌড়াচ্ছে আর ও পিছনে ওহি। সুবহা আর রওশন একে অপরের মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকালো।
ওহিঃ বেবি তুমি দৌড়াচ্ছো কেন আমিতো জাস্ট শপিং এর কথা বলছি।
আভিঃ আর ইউ ক্রেজি? ভোর পাঁচটায় কোন আহাম্মক মলে যায় শপিং করতে?
ওহিঃ আমি কি করব বেবি রাতে ফাংশন কত কম সময় আছে শপিং তো করতে হবেই তাই না। তাছাড়া আবার আমার পার্লারের এপয়েন্টমেন্ট আছে বলো?(ইনোসেন্ট ভাবে)
আভি নিজের মাথায় হাত রেখে সোফায় বসে পরলো। বেচারার চোখ থেকে ঘুমের রেশ এখনো কাটে নি।
রওশনঃ কি হচ্ছে এখানে?
রওশনকে দেখেই আভি উঠে ওর কাছে চলে যায়।
আভিঃ ভাই তুই একে বুঝা আমার হেব্বি ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাতে যাচ্ছি গুড নাইটটটট। ( কিছু জোরে বলল )
ওহিঃ ঘুমাবা মানে কি? আমরা শপিং এ যাবো কখন তাহলে? আভি আভিইইইই,,,
আভি দ্রুত নিজের রুমে চলে গেল। রওশন সুবহাকে ইশারায় বললো ওহিকে বুঝাতে।
সুবহাঃ ওহি এখনো মল খুলে নি আমরা পরে যাব ওকে।
ওহিঃ খুলে নি? কিন্তু কেন খুলে নি মল তো চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে।
সুবহাঃ আব হ্যাঁ খোলা বাট এতো সকালে কেউ মলে যায় না আমরা পরে যাব। আচ্ছা তুমি রাতে ঘুমিয়েছিলে?
ওহিঃ না।( মন খারাপ করে) এঙ্গেজমেন্ট এর এক্সাইটমেন্টে আমার ঘুম উড়ে গেছে।
সুবহাঃ এটা কেমন কথা ওহি? তুমি এক কাজ করো আমার সাথে আমার রুমে চলো একটু ঘুমাবে কাম,,,
ওহিঃ আমার ঘুম আসবে না ভাবি। আচ্ছা আমি আভির রুমে গিয়ে ঘুমাই?( খুশি হয়ে)
সুবহা চোখ বড় বড় করে রওশনের দিকে তাকায় আর রওশনের ফেস তো দেখার মতো।
সুবহাঃ নো নো তুমি আমার সাথে চলো। দেখ তোমার ঘুম পুরো না হলে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পরে যাবে তখন সাজলে একটুও ভালো লাগবে না তোমাকে।
ওহিঃ কিহ সত্যি?
সুবহাঃ হুম
সুবহা বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওহিকে নিজের রুমে নিয়ে যায় আর রওশন মুখ গোমড়া করে ওর রুমে চলে আসে।
সকাল আটটায় আভিকে জোর করে তুলে শপিং মলে নিয়ে আসে ওরা। সারাক্ষণ ওহি সুবহার সাথে লেগে আছে আর রওশন আভি কোন কাজ না পেয়ে ওয়েটিং রুমে বসে আছে।
আভিঃ এভাবে বসিয়ে রাখার মানে কি? নিজেই যখন সব কিনবে তাহলে শুধু শুধু আমার ঘুমের বারোটা কেন বাজালো? ( বিরবির করে)
রওশনঃ সিরিয়াসলি! নিজের বউ এর সাথে সময় কাটানোর জন্য সুযোগ পাচ্ছি না,, কি কপাল আমার। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি পুরো দুনিয়া আমার লাভ স্টোরির শত্রু। ( মনে মনে)
শপিং শেষ করে ওহি সুবহাকে নিয়েই পার্লারে চলে যায়। রওশন কিছু বলতেও পারছে না আর করতেও পারছে না। রওশন সুবহার দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে ইশারায় বুঝাচ্ছে যেন না যায় কিন্তু সুবহা বুঝেও না বোঝার ভান করে ওহির সাথে চলে গেল। রওশন বুঝতে পারছে যে সুবহা ওর থেকে পালানোর জন্য এমন করছে।
রওশনঃ পালাও সুবহা দেখি কত দূর পালাতে পারো আমার কাছ থেকে। দিন ফুরালে তোমাকে এই রওশনের নীড়েই ফিরতে হবে। ( মনে মনে)
???
রওশন আর আভি খান মেনশনে পৌঁছাচ্ছে। আভিতো এখনো মুখ গোমড়া করে বসে আছে।
রওশনঃ আজকে তোর এঙ্গেজমেন্ট আভি একটু স্মাইল কর এমন গোমড়া মুখ করে রাখার মানে কি?
আভিঃ আজকের পর থেকে আমার স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হবে এটা জেনেও হাসবো আমি হাহা ভেরি ফানি।
রওশনঃ তুই রেগে আছিস?
আভি চুপ করে আছে,,,
রওশনঃ ওহি তোকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে আভি। আমি দেখেছি ওর চোখে তোর জন্য সেই আসক্তি। অন্য সব মেয়েরা তোর লুক আর তোর ফেম কে ভালোবাসে কিন্তু ওহি! ওহি তোকে ভালোবাসে। যদি তুই ওকে হারিয়ে ফেলিস; ট্রাস্ট মি…ওর মতো আর কাউকে পাবি না।
আভি মন দিয়ে রওশনের কথা গুলো শুনছে। ওর মনের কোথাও ওহির জন্য কিছু একটা ফিল করছে ও।
গাড়ি খান মেনশনে থামতেই ওরা নেমে যায়। সবার নজর ওদের দিকে। অর্ণব খান আভি আর রওশনকে ভিতরে নিয়ে যান।
মি. খান আভিকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। রওশন সবার সাথে কথা বলছে আর আড়চোখে সুবহাকে খুঁজছে।
কারো হাসির আওয়াজ কানে আসতেই পিছনে ফিরল রওশন আর আভি। ওদের চোখের পলক পরছে না সামনের মানুষ দু’টোকে দেখে।
সুবহা আর ওহি কয়েকটা মেয়ের সাথে আসছে। সুবহা কালো রঙের শাড়ি আর কালো স্টোনের অর্নামেন্ট পরেছে চুল গুলো খোঁপা করে স্টার ক্লিপ দিয়ে আটকে নিয়েছে। রওশন চোখ ফেরাতে পারছে না সুবহার উপর থেকে।
ওহি সাদা রঙের শাড়ি পরেছে আর সাদা স্টোনের অর্নামেন্ট পরেছে চুল গুলো কার্ল করে এক সাইডে আনা।
আভি যেন ওহিকে চিনতেই পারছে না। অন্য সময় ওহিকে দেখলে বাচ্চা বাচ্চা লাগতো কিন্তু আজ পুরো ম্যাচিউর লাগছে।
সুবহা কথার মাঝেই সামনে তাকাতেই রওশনকে দেখতে পেলো। [ রওশন ফুল ব্লাক সুট পরেছে আর রেড টাই। চুল স্পাইক করে সেট করা হাতে ব্লাক ওয়াচ। দুই পকেটে হাত রেখে স্টাইল মেরে দাঁড়িয়ে আছে।]
রওশনকে দেখেই ওর মুখ থেকে অটোমেটিক্যালি একটা শব্দ বের হয়ে গেল,,,
সুবহাঃ ক্রাশ এগেইন……
ওহি আর সুবহা ওদের সামনে এসে দাঁড়ালো। সুবহা মাথা নিচু করে আছে কারন রওশনের চাহনিতে ওর লজ্জা লাগছে। ওহি আভির সামনে এসেই ওর মুখের সামনে তুড়ি বাজালো।
ওহিঃ কি মি. হ্যান্ডসাম! আমাকে কপি করা হচ্ছে?
আভি ওহির কথায় নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো ওদের ড্রেস কালার সেম। আভি হোয়াইট ফুল সুট পরেছে গোল্ডেন ওয়াচ আর টাই। চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করেছে।
আভিঃ আভি কাউকে কপি করে না বোধ হয় তুমি আমাকে কপি করেছো,,( বাঁকা হেসে)
ওহি চুপ করে গেল কারন আসলেই ও আগে থেকেই জানতো আভি হোয়াইট কালার পরবে তাই ও ম্যাচিং করে হোয়াইট কালার পরেছে।
ওহিকে চুপ করাতে পেরে আভি বিশ্ব জয় করা হাসি দিল। যেন কোন যুদ্ধ জয় করেছে।
রওশন আলতো পায়ে সুবহার পাশ ঘেঁষে দাঁড়ায় সুবহা সরে যেতে নিলেই রওশন ওর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নেয়।
রওশনঃ এখন আর পালানোর জায়গা নেই তোমার সুবহা,,,( সুবহার কানে ফিসফিস করে)
সুবহা অসহায় ফেস করে রওশনের দিকে তাকালো আর রওশন সাথে সাথে ওকে চোখ মারলো।
অর্বন খান স্টেজে উঠে মাইক হাতে এনাউন্স করতে শুরু করে,,,
অর্নবঃ আ্যটেনশন প্লিজ,,,
রওশন সুবহার হাত ধরেই সামনে তাকালো আর ওহি মুখ ভরা হাসি নিয়ে আভির পাশে দাঁড়ালো।
অর্নবঃ আজকে আমার একমাত্র মেয়ে ওহির সাথে আভি রায়জাদার এঙ্গেজমেন্ট যা সবাই জানেন।
( ইশারায় আভি আর ওহিকে উপরে আসতে বলল। আভি আর ওহি অর্নবের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।)
রওশনকে আমরা সবাই চিনি ওয়েলনোন মাফিয়ার সাথে একজন আইডিয়াল মানুষ ও। আমি বিশ্বাস করি রওশনের প্রতিটা গুন যা আমাদের মুগ্ধ করে তা আভির মধ্যেও আছে। তাই আমি অনেক খুশি আভিকে নিজের সান ইন ল্য হিসেবে পেয়ে।
সবাই তালি দিচ্ছে। একজন সার্ভেন্ট এসে একটা রিং এর বক্স অর্নবের হাতে দিল। সুবহা আর রওশন উপরে চলে এলো আভির পাশে। সুবহা রিং এর বক্স খুলে রিং টা বের করে আভির হাতে দিল। অর্নব রিং বের করে ওহির হাতে দিল। ওহি নিজের হাত এগিয়ে দিল আভির সামনে। আভি কিছুক্ষন ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিং টা পরিয়ে দিল ওহির আঙ্গুলে। আভি হায এগিয়ে দিতেই ওহি ঝটপট রিং পরিয়ে দিল। এঙ্গেজমেন্ট শেষ হতেই সবাই হাত তালি দিতে শুরু করে।
সবাই নিচে নেমে আসে।
লাইট নিভু নিভু হয়ে যায় আর সফ্ট মিউজিক অন হয়ে যায়। সবাই নিজেদের পার্টনার দের সাথে নাচছে। রওশন সুবহার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে ডিজের কাছে গিয়ে একটা কিছু বলে আসে। ডিজে মুচকি হেসে হ্যাঁ বলে রওশনকে।
রওশন সুবহার হাত টেনে স্টেজের মিডলে নিয়ে আসে। আকস্মিক সুবহা বুঝে উঠতে পারেনি। রওশন সুবহার হাত নিজের কাঁধে রেখে অন্য হাত নিজের হাতের ভাজে নিয়ে নেয়। সুবহা অবাক চোখে দেখছে রওশনকে। রওশন মুচকি হাসছে সুবহা নিজের চোখ নামিয়ে নেয়।
“অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন
পেলাম খুঁজে এ ভুবনে আমার আপন জন,,,
তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমাকে
আমি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে
অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন
পেলাম খুঁজে এ ভুবনে আমার আপন জন”,,,
রওশনঃ আই লাভ ইউ সুবহা,,,( সুবহার কানে কানে)
সুবহা রওশনের চোখের দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসছে।
রওশনঃ আমি কি আমার রিপ্লাই টা পাবো না। ( কপাল কুঁচকে)
সুবহা রওশনের বুকে মাথা ঠেকিয়ে নেয়। চোখ বন্ধ করে রওশনকে জড়িয়ে ধরে ও। রওশন মুচকি হেসে ওকে জড়িয়ে ধরে।
“বিধাতায় আমাকে তোমার জন্যে গড়েছে আপন হাতে
জীবনে মরনে আঁধারে আলোতে থাকবো তোমার সাথে
তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমাকে
আমি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে
অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন
পেলাম খুঁজে এ ভুবনে আমার আপন জন”
ওহি আচমকা আভির গলা জড়িয়ে ধরে ওর দিকে মায়াবী চোখে তাকায়।
“যাবে না কখনো ফুরিয়ে যাবে না আমার ভালোবাসা”
ওহি টাল সামলাতে না পেরে পরে যেতে নিলেই আভি ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে আর ওহি সোজা আভির বুকে পরে।
“তোমাকে পেয়েছি পেয়েছি আবারও বাঁচার নতুন আশা
তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমাকে
আমি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে
অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন
পেলাম খুঁজে এ ভুবনে আমার আপন জন
তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমাকে
আমি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে।”
ওহিঃ আই লাভ ইউ আভি,,,
আভি কিছু বলছে না,,, ওর অন্যরকম একটা অনুভুতি লাগছে ওহির কথাটা শুনে। ও আগেও রিশার মুখে এই শব্দ টা হাজার বার শুনেছে কিন্তু এই অনুভূতি আগে হয় নি।
আভি ওহিকে ছাড়িয়ে চলে যায় ওহি বেকুবের মতো তাকিয়ে আছে আভির যাওয়ার দিকে।
আভি যেতে নিলেই পেছনে কারও ডাক শুনে থমকে যায়। আভি পেছনে ফিরতেই রিশা আচমকা এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।
আভিঃ রিশা তুমি এখানে?( অবাক হয়ে রিশাকে ছাড়াতে ছাড়াতে)
রিশাঃ তুমি এটা কেন করলে আভি? আমি তোমাকে কত ভালোবাসি প্লিজ এ বিয়ে করো না আই কান্ট লীভ উইদাউট ইউউ,,( কান্না করতে করতে)
আভঃ দেখো রিশা ছাড়ো আমাকে কেউ দেখে ফেললে ব্যাপার টা ভালো হবে না।
হঠাৎ কেউ রিশাকে আভির থেকে ছাড়িয়ে ওর গালে চর বসিয়ে দেয়। রিশা গালে হাত দিয়ে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো ওহির দিকে আর আভি হা হয়ে শুধু দেখছে।
ওহিঃ তোর সাহস কি করে হয় আমার ফিওন্সে কে জড়িয়ে ধরতে ওকে ভালোবাসি বলতে?( চেঁচিয়ে)
রিশাঃ How dare you slapped me?….
রিশা রেগে ওহির গালে চর বসাতে নিলে রিশার গালে আরেকটা পরল। কিন্তু এবার ওহিনা আভি রিশাকে মেরেছে।
রিশাঃ আভি তুমি??
আভিঃ আরেকবার দিয়েছিলাম তোকে এই চরটা তার পরেও লজ্জা হয় না তোর। তুই কি ভাবিস আমি অবুঝ? তুই আমাকে না আমার প্রপার্টি কে ভালোবাসিস তা আমি প্রথম থেকেই জানি। তাই এসব ঢং আমার সামনে আর করতে আসবি না।
রিশাঃ তুমি ভুল ভাবছো আভি আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি।( অভিনয় করে)
ওহিঃ তুমি এভাবে মানবে না ওয়েইট,,, গার্ড গার্ডডডড( গার্ডের চেঁচিয়ে ডাকছে )
গার্ডঃ ইয়েস ম্যাম?
ওহিঃ এই মেয়েটাকে ঢুকতে দিয়েছে কে বের করো একে। আমার চোখের সামনে যেন আর না পরে ও।
গার্ডঃ জি ম্যাম। মিস চলেন আপনি আমাদের সাথে নাহলে আমরা জোর করতে বাধ্য হবো। ( রিশাকে )
রিশাঃ আভি কিছু বলো তুমি ওদের।
আভিঃ গেট আউট রিশা,,,
গার্ডরা এক প্রকার জোর করেই রিশাকে নিয়ে গেল।
রিশা চলে যেতেই ওহি ওখানেই বসে পরল আর কান্না শুরু করলো। আভি কিছু বুঝে উঠতে পারছে না হঠাৎ কেন ওহি এমন করছে।
আভিঃ ওহি ওহি তুমি কাঁদছো কেন?
ওহিঃ আই লাভ ইউ আভি প্লিজ আমাকে ছেড়ে চলে যেও না কখনো। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি অনেক বেশি। তুমি যেটা বলবে আমি করব যেভাবে বলবে সেভাবে চলবো চুপচাপ থাকবো প্রমিস তাও প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না। আমি নিজেকে বদলে নিব আমি দেখো( কান্না করতে করতে)
আভি ওহিকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিল তারপর বলতে শুরু করল।
ওহিঃ একদম নিজেকে বদলানোর কথা বলবে না। তুমি যেমন তেমনি আমার পছন্দ। তোমার এই রুপটাকেই ভালোবেসে ফেলেছি আমি। আই লাভ ইউ ওহি প্লিজ স্টপ ক্রাইং।
ওহিঃ তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো?
আভিঃ হুম
ওহিঃ তাহলে আমরা কালকেই বিয়ে করবো। হলদি মেহেদী কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। কালকেই বিয়ে হবে দ্যাট্স ফাইনাল চলো আমার সাথে পাপা কে বলতে হবে।
আভিঃ কি বলছো তুমি ওহি? (অবাক হয়ে)
ওহি একপ্রকার জোর করেই আভিকে অর্নবের কাছে নিয়ে গেল।
To be continued…..
#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_30_Last_Part
.
.
.
.
ওহির জেদের কাছে হার মেনে অর্নব পরের দিনই বিয়ে ফিক্সড করলেন। সুবহা আর আভি বাড়ি ফিরছে। রওশন ওদের সাথে যায় নি ওর কোন কাজ শেষ করতে গিয়েছে ও।
আভি আর সুবহা বাড়িতে চলে আসে। আভি নিজের রুমে চলে যায় আর সুবহা ওর। নিজের রুমের সামনে আসতেই টাস্কি খায় সুবহা। ওর রুম লক করা খুলছে না।
সুবহাঃ দরজা খুলছে না কেন?( চেষ্টা করতে করতে)
সুবহা বৃথা চেষ্টা বন্ধ করে আশেপাশে তাকালো। সব সার্ভেন্ট ঘুমিয়ে পরেছে কাকে বলবে ও। আভিও নিজের রুমে চলে গেছে। সুবহা উপায় না পেয়ে রওশনের রুমের দিকে পা বাড়ায়।
রওশনের রুম চাপানো ছিল। ভিতরে অন্ধকার কিছু দেখা যাচ্ছে না। রুম থেকে ফুলের স্মেল পাচ্ছে ও। সুবহা আলতো পায়ে রওশনের রুমে প্রবেশ করছে। সুবহা রুমে ঢুকতেই হঠাৎ রুমে আবছা আলোর লাইট জ্বলে উঠে। লাল নীল হলুদ শেডের লাইট জ্বলছে।
আবছা আলোতে রুমটাতে চোখ বুলাতেই হা হয়ে যায় ও। স্টারগেজার আর অর্কিড দিয়ে পুরো রুম সাজানো আর সাদা রঙের গোলাপ ফুল দিয়ে বেড সাজানো।
সুবহা বুঝতে পারছে যে এটা রওশনের কাজ। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরায় ফ্রিজড হয়ে গেল সুবহা। রওশনের শরীরের পারফিউম নাকে আসতেই বুঝতে পেরেছে ও এটা রওশন।
রওশন সুবহার কোমড় জড়িয়ে নিজের বুকের সাথে ওর পিঠ ঠেকিয়ে নেয়। সুবহা ঢোক গিলছে রওশনের কাজে। রওশন সুবহার ঘাড়ে নাক ঘসতে ঘসতে লো ভয়েজে বলতে শুরু করল।
রওশনঃ আমার জবাব টা কিন্তু এখনো পেলাম না সুবহা। তবে কি আমি এই নিশ্চুপতাকে “ না” ভাববো?
সুবহাঃ ক কোন জবাব?( কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
রওশনঃ আই লাভ ইউ এর জবাব,,,( সুবহার কাঁধে ঠোঁট ছুঁইয়ে)
সুবহা রওশনের দিকে ঘুরেই ওর বুকে মুখ গুঁজে নেয়। রওশন মুচকি হেসে আবার বলতে শুরু করল।
রওশনঃ এমন করলে চলবে না সুবহা,, আই ওয়ান্ট মাই আন্সার,,,
সুবহা নিজের মাথা রওশনের বুক থেকে তুলে ওর চোখের দিকে তাকায়। রওশনের চোখে আজ অন্য রকম নেশা দেখতে পারছে ও। সুবহার গাল লাল হয়ে গেছে রওশনের চাহনিতে। সুবহা রওশনের বুকে আবার মাথা ঠেকিয়ে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,,,
সুবহাঃ আই ল লাভ ইউ রওশন,,,
রওশনের ঠোঁটে বিশ্ব জয় করা হাসি ফুটে উঠে। ও সুবহার মাথা উপরের দিকে তুলে বলে,,
রওশনঃ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো যেটা এখন বললে,,,
সুবহাঃ আ আই লাভ ইউ,,( মুচকি হেসে ব্লাশিং হয়ে)
রওশন সুবহাকে শক্ত করে নিজের বুকে জড়িয়ে ওর মাথায় চুমু দিয়ে বলল,,
রওশনঃ ইউ নো হোয়াট সুবহা এই শব্দ তিনটা তোমার মুখ থেকে শোনার জন্য কত অপেক্ষা করেছি আমি। কখনো ভাবি তোমার মুখ থেকে শুনতে পাবো তাও আশা ছাড়িনি।
সুবহাঃ জানি,,
রওশন অবাক চোখে তাকালো সুবহার দিকে,,, সুবহা মুচকি হেসে বলল,,,
সুবহাঃ ডিয়ার ডায়রি,,,( চোখ মেরে )
রওশনঃ তুমি আমার ডায়রি পরেছো?( অবাক হয়ে)
সুবহাঃ না পড়লে তো জানতাম ই না যে কেউ আড়াল থেকেও আমাকে এতোটা ভালোবাসে,,,( ছলছল চোখে)
রওশন মুচকি হেসে সুবহা কপালে চুমু দিয়ে দিল তারপর আলতো করে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিল।,,
রওশনঃ অনেক অপেক্ষা করেছি সুবহা তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য কিন্তু আজ আমার সব অপেক্ষা শেষ আর কোন চাওয়া নেই আমার তোমাকে ছাড়া।( সুবহার হাতের উল্টো পিঠে চুমু দিয়ে)
সুবহাঃ I love you too my #Mr_Arrogant ( হেসে দিয়ে)
রওশন মুচকি হেসে হেসে সুবহার চুলের খোঁপা খুলে দিল আর ওর ঘাড়ে নাক ঘসতে ঘসতে বললো,,
রওশনঃ May I Subha,,,
সুবহা রওশনের বুকে মুখ গুঁজে নিল। রওশন ওর জবাব পেয়ে গেল। সুবহাকে কোলে তুলে নিয়ে জীবনের বাকিটা পথ হাঁটা ধরলো।
[আমি আর লিখতে পারছি না ?]
? The Next Day ?
বিয়ের শেরওয়ানি পরে কাজি সাহেবের সামনে বসে আছে আভি। ওর বরাবর পর্দার আড়ালে বিয়ের সাজে বসে আছে ওহি। আভির পাশে রওশন আর ওহির পাশে সুবহা বসে আছে।
কাজি সাহেব সব নিয়ম শেষ করে আভিকে কবুল বলতে বলে,,আভি কিছুটা সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে কবুল বলে। ওহিকে কবুল বলার সাথে সাথে ওহি তিন কবুল বলে দেয়। সবাই হেসে দেয় ওহির কাজে। ওহির বদলে আভির লজ্জা লাগছে মেয়েটা আসলেই পাগল ভাবছে আভি।
বিদাই এর সময় ওহি একটুও কান্না করে নি। করবেই বা কেন যাকে ভালোবাসে তার কাছেই তো যাচ্ছে এতে কান্নার কি।
সুবহা সব নিয়ম শেষ করে ওহিকে বাড়িতে প্রবেশ করায়। আভির রুমে ওহিকে বসিয়ে বেড়িয়ে আসে সুবহা।
কিছুক্ষণ পরেই আভি রুমে প্রবেশ করে। রুমে প্রবেশ করতেই টাস্কি খায় ও। বেডে নেই ওহি। আভি পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে ও ওহিকে পায়না। হঠাৎ কেউ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আভিকে। আভি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে হাত দু’টো নিজের বুকে শক্ত করে চেপে ধরে।
আভিঃ ওহি!!
ওহিঃ অবভিয়াসলি আমি। আমি থাকতে অন্য কারো চিন্তা মাথায় আনলেও খবর আছে,,,
আভি মুচকি হেসে ওহিকে নিজের সামনে দাঁড় করায়। ওহির গালে হাত রেখে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে আভি,,,
আভিঃ তুমি থাকো বা না থাকো এই আভির চিন্তা চেতনায় অন্য কেউ কখনো আসবে না। কারন আভির হৃদয় মস্তিষ্ক আর রক্তে ওহি নামটি মিশে গেছে। চাইলেও তোমার চিন্তা নিজের মাথা থেকে দূর করা অসম্ভব আমার জন্য।
ওহি পা উঁচু করে আভির ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে ওর গলা জড়িয়ে বলে,,,
ওহিঃ ফাইনালি ওহির #Addiction_Love তোমাকে ওহির প্রতি #Addicted করেই দিল। ( মিষ্টি হেসে)
আভিঃ হুম Now I’m #Addicted on your #Addicted_Love
আভি ওহির কোমড় জড়িয়ে ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
???
বারান্দায় রওশনের কাঁধে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সুবহা।
রওশনঃ সুবহা আমার না একটা প্রিন্সেস চাই,,
সুবহাঃ কিন্তু আমার তো প্রিন্স চাই,,( কাঁধ থেকে মাথা তুলে)
রওশনঃ আগে প্রিন্সেস মাই লাভ ওকে,,,
সুবহাঃ নো নো নো আগে প্রিন্স। ( মুখ ঘুরিয়ে)
রওশন অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে সুবহার দিকে। হঠাৎ রওশনের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপে। রওশন সুবহার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলতে শুরু করে,,
রওশনঃ আচ্ছা তুমি যদি আমার একটা শর্ত মানো তাহলে যেটা বলবে সেটাই নিব।
সুবহাঃ কি শর্ত?( কপাল কুঁচকে)
রওশনঃ You have to kiss me,,( বাঁকা হেসে ঠোঁট এগিয়ে দিয়ে)
সুবহা চোখ বড় বড় করে উঠে যেতে নিলেই রওশন ওর হাত ধরে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে দেয় তারপর ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়।
? 3 Years Later ?
এক বছরের একটা ছেলে বেবি কোলে নিয়ে ওহির পেছনে পুরো শপিং মল ঘুরছে আভি। ওর পেছনেই কয়েকজন গার্ড সব প্যাকেট হাতে নিয়ে হাঁটছে। প্রায় তিন ঘন্টা যাবত শপিং করছে ওহি থামার নাম নেই। আর আভিকে অর্ডার করেছে আর্থ ( বেবির নাম)
কে কোলে নিয়ে ওর সাথেই থাকতে। বেচারার নাজেহাল অবস্থা।
আভি আর না পেরে আর্থকে নিয়ে মলের সোফায় বসে পরে।
আভিঃ আর্থ আমার বাপ তোর মাম্মামকে বিয়ে করে আমার জীবনটা ধনিয়া পাতা হয়ে গেল রে। আই প্রমিস তোর বিয়ে আমি শান্ত শিষ্ট আর ভদ্র মেয়ের সাথে দিব যেন তোর লাইফ হেল না হয়। ( আর্থর গালে চুমু দিয়ে)
আভির কথা শুনে আর্থ খিলখিলিয়ে হেসে উঠল।
ওহিঃ কি বলছো আমার ছেলেকে আমার নামে তুমি।
আভিঃ কই কিছু না তো জান। আমিতো বলছি তুমি কত টায়ার্ড হয়ে গেছো একটু রেস্ট নাও।
ওহিঃ আরেকটু শপিং আছে শেষ করে তারপর এক সাথে বাড়ি গিয়ে রেস্ট নিব বেবি।
আভিঃ হু ( চাঁপা হেসে)
???
সুবহাঃ রুহ্ বেবি একটু আছে ফিনিস করো গুড গার্ল এর মতো,,( মুখে খাবার তুলে দিয়ে)
রুহ্ কান্না করে মুখ ঘুরিয়ে নিল সুবহা রেগে কিছু বলতে নিলেই রওশন এসে রুহ্ কে কোলে তুলে নিল।
রওশনঃ কি হয়েছে আমার বেবির মাম্মাম বকছে?
রুহ্ রওশনের গলা জড়িয়ে এক হাত দিয়ে চোখ ডলতে ডলতে মাথা নাড়ালো।
সুবহাঃ কি মিথ্যুক আমি কখন বকলাম।
রওশনঃ তুমি অনেক পঁচা সুবহা আমার মামনিটাকে কাঁদিয়ে দিলে। দাও আমার মামুনিকে আমি খাইয়ে দিব।
সুবহা মুখ ফুলিয়ে বাটিটা রওশনের হাতে ধরিয়ে দিল। রওশন সুন্দর করে গল্প বলতে বলতে রুহ্ কে খাইয়ে দিচ্ছে। সুবহা মুগ্ধ চোখে দেখছে ওদের। ওর ঠোঁটের কোণে অটোমেটিক্যালি হাসির রেখা ফুটে উঠল।
[ রুহানি; রওশন আর সুবহার মেয়ে। বয়স দুই বছর।রওশনের জান ও। সুবহার থেকে রওশনের জন্য পাগল। ]
রওশন রুহ্ কে খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সুবহা এখনো মুচকি হাসছে ওদের দেখে।
রওশন রুহ্কে শুইয়ে দিয়ে সুবহার দিকে ফিরে। সুবহা রেগে থাকার ভান করে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। রওশন সুবহাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করে,,,
রওশনঃ আই’ম স্যরি লাভ তোমাকে ধমক দিলাম তাই।
সুবহাঃ লাগবে না আপনার স্যরি। আপনি সব সময় আমাকে ধমক দেন এখন। মেয়েকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেছেন। ( এক্টিং করে)
রওশনঃ আরেহ জান কি বলো এসব হ্যাঁ। রুহ্ আমার হার্টবিট কিন্তু তুমিতো আমার হার্ট তাইনা? হার্ট ছাড়া কি কখনো হার্টবিট হয়? আর হ্যাঁ এই অভিমান এর এক্টিং আর করো না আমি ধরে ফেলি।
সুবহা রওশনের কথায় হেসে দিল। রওশনের দিকে ফিরে ওর বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নেয় ও।
সুবহাঃ আই লাভ ইউ রওশন।
রওশনঃ আই লাভ ইউ টুউউউউ মাই লাভ। Thanks to enter in my life and make the happiest person of this world. you know what? You r #The_Addiction_Of_My_Life সুবহা।( সুবহাকে জড়িয়ে ধরে) I love u till the end of my life.
? The End ?
( Romance credit ফাবিহা নওশীন বেবি নাও রোমান্স ??)