#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love,Part_5,06
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_5
আনিকাঃ আমি তোমাকে কম্পিটেশনের জন্য সিলেক্ট করছি আজকে রাতে প্রথম রাউন্ড এবং কালকে লাস্ট। সো অল দ্যা বেস্ট।
সুবহা যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। আনিকার সাথে হাত মিলিয়ে সুবহা খুশি খুশি বেরিয়ে আসে কেবিন থেকে। বের হওয়ার সাথে সাথেই কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে যেতে নেয় সুবহা কিন্তু পরে যাওয়ার আগেই সামনের মানুষটি ওকে ধরে ফেলে আর টান দিয়ে নিজের বুকে এনে ফালায়।
সুবহা আচমকা পরে যাওয়ায় ভয় পেয়ে যায়। আর ব্যালেন্স রাখতে না পারায় সামনের মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে।
মানুষটির হার্ট বিট গুনতে পারছে সুবহা। মনে হচ্ছে এই হার্ট ওর ওরই নাম নিচ্ছে। চেনা একটা পারফিউমের সুভাস নাকে আসছে সুভহার। মানুষটি কে তা বুঝে উঠার সাথে সাথেই সুবহা ধরফরিয়ে সরে যায়।
ওর সামনে ওর যমরাজ অর্থাৎ রওশন দাঁড়িয়ে আছে।
সুবহাকে এভাবে সরে যেতে দেখে রওশন চোখ পাকিয়ে বলে।
রওশনঃ তুমি সারাক্ষন এমন ধরফর অবস্থায় থাকো কেন বুঝি না। যেখানে সেখানে পরে যাওয়া কি তোমার হবির আওতায় পরে।
সুবহাঃ এমন জিরাফের সাথে ধাক্কা লাগলে তো পরবোই।( মিনমিন করে)
রওশনঃ কিছু বললে?
সুবহাঃ কই নাতো। ( হাসার চেষ্টা করে)। বলছিলাম আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি আসি।
সুবহা রওশনকে সাইড কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই রওশনের কথায় থমকে যায়।
রওশনঃ অল দ্যা বেস্ট সুবহা।
সুবহা অবাক চোখে তাকালো রওশন এর দিকে। এই খারুস রায়জাদা ওকে অল দ্যা বেস্ট বলছে ভাবা যায় এগুলা।
রওশন সুবহার দৃষ্টি উপেক্ষা করে আবির বলতে শুরু করে।
রওশনঃ একটা কথা সব সময় মনে রাখবে এটা প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতায় কেউ কারো আপন হয় না। তোমার আশেপাশে যারা আছে সবাই জিতার জন্যই এখানে এসেছে তাই কারো উপর বিশ্বাস করে নিজের বিপদ টেনে এনো না। সব সময় কিন্তু তোমার সুরক্ষার জন্য আমি পাশে থাকবো না। তোমার নিজের সুরক্ষা তোমায় নিজে করা শিখতে হবে।
রওশন কথা গুলো বলে সুবহার জবাবের অপেক্ষা না করেই কেবিনে চলে গেল। সুবহা হা হয়ে তাকিয়ে আছে এখনো রওশনের যাওয়ার দিকে।
সুবহাঃ পরামর্শ তো ভালোই দিল এই খারুস রায়জাদা কিন্তু শেষের কথাটা কি বলে গেল? ইনি নাকি সব সময় আমার রক্ষা করার জন্য আমার পাশে থাকে। কি মিথ্যুক লোক! একদিন শুধু ইনার গাড়ির সামনে পরেছি আর ইনি আমার হেল্প করেছেন নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে। কিন্তু যেভাবে ভাব দেখিয়ে বলে গেলেন কত বছর ধরে আমার পাশে থেকে আমাকে প্রটেক্ট করেছে।( অবাক হয়ে)
সুবহা রওশনের কথায় প্রতিবারই কনফিউজড হয়ে পরে। মাঝে মধ্যে রওশনকে একটা মিস্ট্রিয়াস্ট ধাঁধার মত লাগে সুবহার কাছে।
কম্পিটিশনের সময় হয়ে যাচ্ছে তাই সুবহা আর না ভেবে চলে আসে আসে ওখান থেকে।
সুবহা স্টাফ রুমে এসেই আভিকে দেখতে পায়। আভিকে দেখে সুবহা কিছুটা ঘাবড়ে যায়। কারন আভির মাথায় ব্যান্ডেজ করা নাকে ছোট ব্যান্ডেজ আর ও কিছুটা ফুলে আছে।
সুবহাঃ আভির এ অবস্থা কিভাবে লো ?( মনে মনে)
আভি সুবহাকে দেখে ওর দিকে এগিয়ে আসে আভির চোখ লাল হয়ে আছে এমন লাগছে সারারাত ঘুমায় নি ও।
আভি সুবহার কাছে আসতেই সুবহা পিছিয়ে যেতে নেয় তখনই আভি সুবহার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে আনে।
আভিঃ কি হয়েছে সুবহা এখন আমি কাছে আসলেই পিছিয়ে পর কেন ? নতুন কাউকে পেয়ে গিয়েছো নাকি।( হাত শক্ত করে ধরে)
সুবহাঃ আমি তোমার মত না আভি যদি হতাম তাহলে অবশ্যই নতুন কাউকে নিজের জীবনের সাথে জড়াতাম। কিন্তু তোমার কাছ থেকে যে ধোঁকা পেয়েছি তার পর থেকে পুরুষ নামক জাতিকেই ঘৃনা করতে ইচ্ছে করে।( হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
আভিঃ এত মাসুম সেজো না সুবহা। দেখেতো মনে হয় ভাজা মাছটা ও উল্টে খেতে জানো না কিন্তু আমার পিঠ পিছে কত কি করছ তার আন্দাজ আমার আছে।
সুবহাঃ আভি লাগছে আমার ছাড় ( হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
আভিঃ তা তোমার নতুন আশিকের নাম কি জানতে পারি।
আভির কথায় সুবহা অবাক চোখে ওর দিকে তাকালো।
সুবহাঃ মানে?
আভিঃ মানেটা খুব সোজা। তোমার নতুন আশিকটা কে যাকে দিয়ে তুমি আমার এই অবস্থা করিয়েছো? একবার শুধু নামটা বলো সুবহা তারপর দেখ তোমার আশিকের আশিকি আমি কিভাবে শেষ করি।
সুবহা এক ঝটকায় নিজের হাত ছাড়িয়ে নিল আভি থেকে।
সুবহাঃ পাগল হয়ে গিয়েছো তুমি আভি। আমি এরকম কিছুই করাই নি তোমার সাথে।
আভিঃ রিয়েলি! তাহলে এটা ওই লোক পেল কি করে।( রিং টা দেখিয়ে )। আমার বাড়িতে ঢুকে আমাকে ই মেরে আমার পকেটে এই রিং টা পুরে দিয়ে গেছে। রিং টা কি হাঁটতে হাঁটতে তার কাছে চলে গিয়েছিল?
রিং টা দেখে সুবহা অবাক হয়ে যায়। এটাতো ও রওশনকে দিয়েছিল তাহলে কি রওশন আভিকে মেরেছে? আর রওশন এমন কেনই বা করবে আভিতো ওর ভাই হয়।
এই মুহূর্তে আভিকে মিথ্যা বলতে হবে নাহলে ও রওশনের কোন না কোন ক্ষতি করে বসবে। ওদের দুজনের সমস্যায় ও রওশনকে জড়াতে চায় না।( কথা গুলো ভাগছে সুবহা )
সুবহাঃ এই রিং টা আমি কাউকে দেই নি। তোমার সাথে ঝগড়া হওয়ায় আমি তখন রেগে এটা রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলাম।( মুখ ঘুরিয়ে)
সুবহার কথায় আভি টাস্কি খায় কারন ও জানে সুবহা কখনো মিথ্যা বলে না তাহলে ওর নতুন শত্রু উদয় হলো কোত্থেকে।( চিন্তায় পরে যায় আভি )
আভিঃ তুমি সত্য বলছো সুবহা। সত্যিই কি তুমি তাকে চেন না?
সুবহাঃ আমি মিথ্যা কথা বলি না এতো দিনেও আমাকে চিনতে পারলে না। ( আভির আড়ালে ফিঙ্গার ক্রস করে আছে)
আভিঃ আ’ম স্যরি সুভু।
সুবহাকে জড়িয়ে ধরতে আসলেই সুবহা পিছিয়ে যায়।
সুবহাঃ আই ডোন্ট নিড ইউর স্যরি । তুমি এখান থেকে চলে গেলে আমি খুশি হবো।
আভিঃ ঠিক আছে চলে যাচ্ছি। কিন্তু আমি তোমার আশেপাশেই আছি অল দ্যা বেস্ট বেবি।
সুবহাঃ হাহ।
আভি চলে যেতেই সুবহা চিন্তায় পরে যায়।রওশন এমনটা কেন করবে ভেবে পাচ্ছে না ও। যেভাবেই হোক রওশনের সাথে দেখা করে ওর সব প্রশ্নের উত্তর নিতে হবে।
? After Some Time ?
সুবহা আর বাকি সব কম্পিটিটররা হলে বসে আছে। সবাই নিজেদের প্রেজেন্টেশন নিয়ে ব্যস্ত।অপর সাইডেই রিশা বসেছে। সুবহার পাশে একটা ছেলে বসেছে।
ছেলেটিঃ হাই মিস সুবহা।
সুবহাঃ হাই ।
ছেলেটিঃ আমি জাহিদ নাইস টু মিট ইউ।
সুবহা জাহিদের সাথে কথা বলতে আনফরটেবল ফিল করছে। আসলে জাহিদ একটু বেশিই চিপকু টাইপের আর ওর দৃষ্টি ও সুবহার কাছে কেমন যেন লাগছে।
রওশন আর আনিকা আসতেই প্রেজেন্টেশন শুরু হয়। সবার প্রেজেন্টেশন সুন্দর হয়েছে কিন্তু রওশন কারোটা দেখছে না ও নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত।
সুবহার প্রেজেন্টেশন এর ফাইল আনিকা ধরতেই রওশন ওর থেকে ফাইলটা নিয়ে নিজেই চেক করে।
সব ফাইল চেক করা শেষে রওশন আনিকা কে কিছু বলে বেরিয়ে যায় হল থেকে।আনিকা এতো গুলো কম্পিটিটর থেকে শুধু পাঁচ জন সিলেক্ট করে আর তার মধ্যে সুবহা জাহিদ আর রিশাও আছে। কালকে ফাইনাল রাউন্ড করা হবে তাই সবাইকে হলের সামনে বুকিং করা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সুবহা নিজের সব প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গুছিয়ে হোটেলে চলে যায়। আভিও সেম হোটেলে রুম বুক করেছে যেন সুবহার উপর নজর রাখতে পারে। আভি সুবহার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও সুবহা ওকে এভোয়েড করে।
সুবহার রুম থার্ড ফ্লোরে ১২৫ নম্বরে। সুবহা নিজের রুমে এসে ফ্রেস হতে চলে যায়। কিছুক্ষন বাদে সুবহা ওয়াশরুম থেকে চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসে। হঠাৎ দরজায় কেউ নক করায় সুবহা গিয়ে ডোর খুলে দেয়।
জাহিদ দাঁড়িয়ে আছে রুমের বাইরে।
সুবহাঃ জাহিদ আপনি?
To be continued……
#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_6
সুবহার রুম থার্ড ফ্লোরে ১২৫ নম্বরে। সুবহা নিজের রুমে এসে ফ্রেস হতে চলে যায়। কিছুক্ষন বাদে সুবহা ওয়াশরুম থেকে চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসে। হঠাৎ দরজায় কেউ নক করায় সুবহা গিয়ে ডোর খুলে দেয়।
জাহিদ দাঁড়িয়ে আছে রুমের বাইরে।
সুবহাঃ জাহিদ আপনি?
জাহিদঃ কেন আসতে পারি না,,, ( সুবহাকে ভালো করে স্ক্যান করে )
জাহিদের দৃষ্টি সুবহার কাছে ভালো লাগছে না কিছু একটা ঘাপলা মনে হচ্ছে।
সুবহাঃ না মানে এই সময় কোন প্রয়োজন ছিল?
জাহিদ সুবহাকে সাইড করে ওর রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলে।
জাহিদঃ হুম প্রয়োজন তো ছিল,,
এভাবে জাহিদ রুমে ঢুকে পরায় কিছুটা অবাক হয় সুবহা। তাও ভদ্রতার খাতিরে ও কিছু বলল না।
সুবহাঃ কি প্রয়োজন ?
জাহিদঃ তোমাকে,,,
সুবহাঃ জ্বি?( বিস্ময় নিয়ে)
জাহিদঃ আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না তাই ক্লিয়ারলি বলছি,,, প্রথম দেখাতেই তোমাকে আমার ভালো লেগেছে তাই আমার তোমাকে চাই। এখন তুমি নিজের ইচ্ছায় রাজি হবে নাকি সেটা টোটালি তোমার উপর ডিপেন্ড করে।
সুবহা শকড্ প্লাস রেগে যায় জাহিদের কথায়। ওর রুমে এসে ওকেই বাজে প্রস্তাব দিচ্ছে কি সাহস।
জাহিদ সুবহার কাছে এসে ওর গালে হাত রাখতে নিলেই সুবহা সরে যায়।
সুবহাঃ বের হোন আমার রুম থেকে এক্ষুনি নাহলে আমি গার্ডস্ দের ডেকে আপনাকে বের করবো।( রেগে)
জাহিদ সুবহার হাত ধরে ওকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসলো তারপর বলল।
জাহিদঃ স্টপ ইট সুবহা এতো ড্রামা করার কিছু নেই কেউ কিছু জানতে পারবে না প্রমিস।
সুবহা জাহিদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ওর গালে চড় বসিয়ে দেয় তারপর বলে।
সুবহাঃ আপনার মত বাজে মন মানসিকতা আমার না জাহিদ। নিজের এই ফালতু অফার নিয়ে বের হোন এক্ষুনি জাস্ট গো।
সুবহার হাতে চড় খেয়ে জাহিদের মাথার রক্ত গরম হয়ে যায়। ও রেগে সুবহার হাত ধরে ওকে ধাক্কা দিয়ে বেডে ফেলে দিয়ে বলে,,,
জাহিদঃ ভালোই ভালো বলেছিলাম বাট আফসোস তোমার মত মেয়েরা ভালো কথার দাম দিতে জানে না তোমাদের সাথে জোর জবরদস্তিই করতে হয়।
সুবহা উঠে যেতে নিলে জাহিদ সুবহার হাত চেপে ধরে বেডে।
সুবহাঃ দেখেন ভালো হবে না বলে দিলাম,,, ( ধাক্কা দিয়ে)
সুবহার ধাক্কায় জাহিদ তিল পরিমাণ নরছে না বরং ওর হাত আরো জোরে চেপে ধরছে। জাহিদ সুবহার দিকে আরেকটু এগিয়ে যেতে নিলেই বাঁধা অনুভব করে। হঠাৎ কেউ পেছন দিয়ে ওর কলার চেপে ওকে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়। জাহিদ সরে যেতেই সুবহা এক ঝটকায় উঠে পরলো। সামনের মানুষটিকে দেখে সুবহার রিয়েকশন বদলে যায়।
রওশন অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জাহিদের দিকে। চোখ দুটো দিয়ে যেন লাভা বের হবে এমন ভয়ঙ্কর লাল হয়ে আছে রওশনের চোখ। রাগে ঘারের রগও ফুলে গেছে আর হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে যেন রাগ সংবরণ করতে পারে।
রওশনকে দেখতে এতোটা ভয়ঙ্কর লাগছে যে সুবহার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ভয়ে। এমন লাগছে জাহিদকে যেন কাঁচা চিবিয়ে খাবে রওশন।
জাহিদঃ স স্যার আপনি??
রওশনঃ কেন নিজের একান্ত মুহূর্তে আমাকে এখানে আশা করো নি।( দাঁতে দাঁত চেপে)
জাহিদঃ না স্যার আসলে,,,
জাহিদ কথা গুলো বলতে বলতে উঠতে নিলেই রওশন ওর বুকে লাথি দিয়ে ওকে দুরে ছিটকে ফালায়। জাহিদ সোজা দরজার সাথে বারি খায় আর দরজা ধাক্কার চোটে বন্ধ হয়ে যায়। [ অটোমেটিক লক দরজা তাই সামান্য পুশ করায় বন্ধ হয়ে গেছে ]
জাহিদঃ আহহহ,,, ( ব্যথা পেয়ে)
রওশন জাহিদের দিকে তেড়ে গিয়ে ওর কলার ধরে দাঁড় করিয়ে আরো চার পাঁচটা ঘুষি মারলো নাক বরাবর। রওশন জাহিদকে মারছে আর চিৎকার করে বলছে,,,
রওশনঃ তোর সাহস কি করে হয় সুবহার দিকে খারাপ দৃষ্টি দেওয়ার শুধু তা নয় ওর দিকে হাত বাড়ানোর সাহস পেলি কোত্থেকে তুই।( মারতে মারতে)
সুবহা মারপিটকে ভয় পায় প্রচুর। রওশনের এই রূপ দেখে ও যেন জমে গেছে। ভয়ে কাঁপছে সুবহা দূরে দাঁড়িয়ে।
এইদিকে,,,
সুবহার রুমের দিকে আসছে রিশা আর আভি।
আভিঃ যদি তোমার কথায় এক পার্সেন্ট ও মিথ্যা থাকে আমি তোমাকে কি করবো ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া।
রিশাঃ আমি নিজের চোখে দেখেছি আভি ওই জাহিদকে সুবহার রুমে যেতে। এতো রাতে একটা ছেলে একটা মেয়ের রুমে কেন যাবে বলো? নিশ্চয়ই ওদের মাঝে কিছু চলছে। আজকেই তুমি প্রমান পেয়ে যাবে তোমার সুবহা কত বড় ক্যারেক্টারলেস।
আভিঃ যদি রিশার কথায় সত্যতা থাকে তাহলে কি জাহিদই সেই লোক যে সেদিন আমার উপর হামলা করেছিল ? ( মনে মনে)
? In Room ?
রওশন জাহিদকে মারতে মারতে প্রায় আধমরা বানিয়ে ফেলেছে। নিস্তেজ হয়ে গেছে জাহিদ আর একটু হলে বুঝি মরেই যাবে।
জাহিদের এই অবস্থা দেখে সুবহার ভয় করো বেড়ে যায় ও দৌড়ে রওশনের কাছে গিয়ে ওকে আটকানোর ক্ষমতা করে।
সুবহাঃ র রওশন এবার ছেড়ে দিন প্লিজ ম মরে মত যাবে ও। ( কাঁপা কন্ঠে)
সুবহার কথা যেন রওশনের কানে যাচ্ছে না ও জাহিদকে মারতেই আছে। সুবহা গিয়ে রওশনের হাত ধরে ফেলে এতে রওশন সুবহার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায়। রওশনের এই দৃষ্টিই যথেষ্ট সুবহাকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য।
সুবহা রওশনের দিকে তাকিয়ে ঢোঁক গিলল তারপর আমতা আমতা করে বলল।
সুবহাঃ ওর কিছু হলে আপনারো বিপদ হবে রওশন।
রওশন এবার সুবহার বাহু ধরে ওকে নিজের কাছে এক ঝটকায় নিয়ে আসলো তারপর দাঁতে দাঁত চেপে বলতে শুরু করল।
রওশনঃ এতো কিসের কথা ছেলেদের সাথে হাহ। হলেও দেখেছিলাম এই ছেলের সাথে কতটা ক্লোজলি বসেছিলে তুমি কথাও বলছিলে বাহ।
সবাইকে নিজের মত অবুঝ ভেবো না সুবহা।কার মনে কি আছে কেউ বলতে পারে না তাই নিজের বিপদ নিজে টেনে আনা বন্ধ হয়ে দাও।
সুবহাঃ আ আমি বুঝতে পারি নি এই লোখটা এমন হবে?( কান্না করে দিয়ে)
রওশন সুবহাকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে। সুবহা রওশনের বুকে মুখ গুঁজে কান্না করছে।এই মুহূর্তে এই জায়গাটা ওর কাছে সবচেয়ে নিরাপদ মনে হচ্ছে।
রওশনঃ কেন বুঝো না সুবহা আমি সবসময় তোমার পাশে থাকতে পারবো না। আমাকে যে চলে যেতে হবে। তাই তোমাকে স্ট্রং হতে হবে সুবহা নিজের প্রটেকশন নিজে করা শিখতে হবে। আমার অস্তিত্ব তোমার জীবনে ক্ষনিকের কিন্তু তোমার এখনো পুরো জীবন পরে আছে দুনিয়াটাকে নতুন করে দেখার জন্য।( মনে মনে)
হঠাৎ দরজায় নক পরে আর সুবহা আর রওশন দরজার দিকে তাকায়। এক নাগাড়ে কে যেন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে।
সুবহা রওশনের থেকে সরে গিয়ে বলতে শুরু করল।
সুবহাঃ ওহ নো এই সময় আবার কে আসলো?
রওশন গিয়ে দরজা খুলতে নিলেই সুবহা ওকে বাঁধা দিয়ে বলতে শুরু করে।
সুবহাঃ আপনি পাগল রওশন? আপনাকে এতো রাতে আমার রুমে দেখলে সবাই কি ভাববে বুঝতে পারছেন!!
রওশনঃ যা ভাবার ভাবুক আই ডোন্ট কেয়ার।( ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
সুবহাঃ বাট আই ডু কেয়ার,,, আপনি কম্পিটিশনের চিফ আর আপনাকে আমার সাথে রুমে দেখলে আপনার বদনাম হবে,, আ আপনি লুকান প্লিজ।
রওশনঃ হোয়াটট আমি লুকাবো মাথা ঠিক আছে তোমার?( রাগি ভাবে)
সুবহাঃ হ্যাঁ ঠিক আছে। আপনি ওয়াশরুমে জান,,, না না খাটের নিচে,,, না আলমারিতে হ্যাঁ আলমারি বেস্ট হবে আপনি ওখানে লুকান,,,,
রওশনঃ রওশন রায়জাদা কারো ভয়ে লুকায় না,,, আমি কোথায়ও যাবো না,,,
সুবহাঃ আপনার ইগো টা প্লিজ কিছু সময়ের জন্য তালা মেরে রাখুন,,,, আমার জন্য প্লিজ,,,,
রওশনঃ দেখো সুবহা,,,
দরজার ধাক্কানো আরো বেড়ে গেছে। সুবহা রওশনের হাত ধরে ওকে আলমারির ভিতরে ধাক্কা দিয়ে ঢুকিয়ে দেয় তারপর বলে,,
সুবহাঃ আমার জন্য কিছুক্ষন ভিতরে থাকেন প্লিজজজজ,,,
রওশন আর কিছু বলতে পারলো না রাগে ওর শরীর জ্বলছে। সুবহা আলমারি বন্ধ করে দিয়ে দরজা খুলে।
দরজা খুলতেই আভি হন্তদন্ত করে ভিতরে ঢুকে ওর পেছনে রিশাও।
আভিঃ কোথায় ও হ্যাঁ??
আভির চোখ যায় ফ্লোরে পরে থাকা জাহিদের দিকে বেচারা মার খেয়ে ফেইন্ট হয়ে পরে আছে।
আভিঃ এর এ অবস্থা কে করল?
সুবহাঃ আমি-( হাসার চেষ্টা করে)
To be continued……