Mr_Arrogant ? #The_Addiction_Of_Love,Part_7,8

0
2331

#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love,Part_7,8
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_7

দরজা খুলতেই আভি হন্তদন্ত করে ভিতরে ঢুকে ওর পেছনে রিশাও।

আভিঃ কোথায় ও হ্যাঁ??

আভির‌ চোখ যায় ফ্লোরে পরে থাকা জাহিদের দিকে বেচারা মার খেয়ে ফেইন্ট হয়ে পরে আছে।

আভিঃ এর এ অবস্থা কে করল?

সুবহাঃ আমি-( হাসার চেষ্টা করে)

সুবহার কথা শুনে আভি আর রিশা দু’জনেই হতভম্ব হয়ে গেল।

আভিঃ তুমি ওকে এভাবে পিটিয়েছো? ( অবাক হয়ে)

সুবহাঃ অবভিয়াসলি এখানে কি আর কেউ আছে যে‌ ওকে পিটাবে,,

আভি পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে নিল আসলেই কেউ নেই।

রিশাঃ কিন্তু তুমি ওকে ‌এভাবে মারলে কেন কি অবস্থা হয়েছে ওর।

সুবহার রিশার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,,

সুবহাঃ ও নিজের কাজের‌ জন্য উচিত শাস্তি পেয়েছে।

রিশাঃ কি এমন‌‌ করে ফেলল‌‌ ও ?

সুবহাঃ একটা মেয়ের রুমে এসে তার সাথে মিস বিহেভ করা কি কোন অপরাধের আওতায় পরে না? He is trying to molest me… বাজে ব্যবহার করেছে আমার সাথে,,

সুবহার কথা শুনে আভির রাগ সপ্তম আসমানে উঠে যায়।

আভিঃ হাও ডেয়ার হি আজকে মেরেই ফেলবো ওকে।

আভি রেগে জাহিদের দিকে এগোতেই সুবহা ওকে আটকায়।

সুবহাঃ ওর ভুলের শান্তি ও পেয়ে গেছে‌ তোমার কিছু করা লাগবে না।

আভি কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করল তারপর কাউকে কল‌ করে বলল,,,

আভিঃ হ্যালো আভি রায়জাদা স্পিকিং রুম নাম্বার ১২৫ এ ময়লা পরে আছে এসে এটাকে পরিষ্কার করে নিয়ে জান। ( বলে ফোন রেখে দিল)

আভি সুবহার দিকে তাকাতেই দেখলো ওর কাধের উপরে খামছির দাগ আর‌ রক্ত জমে আছে।

আভিঃ‌ সুবহা তোমার ঘার থেকে তো কেটে রক্ত বেরোচ্ছে,,,( সুবহার কাছে এগিয়ে)

আভি এগিয়ে আসতেই ‌সুবহা পিছিয়ে যায় এতে আভির ‌কদম থেমে যায়।

সুবহাঃ তোমার সিম্পেথির প্রয়োজন নেই আমার। আমি একটু রেস্ট নিব আমার রুম‌ থেকে বের হলে আমি খুশি হতাম।

সুবহার কথায় আভি রাগ দেখিয়ে বেডে পা দিয়ে বারি মারলো। রিশা ভয়ে কেঁপে উঠলো আভির কাজে। দুইটা গার্ড এসে জাহিদকে উঠিয়ে নিয়ে গেল।

আভি রিশার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে গেল। রিশা এখনো কনফিউজড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কারন ওর জানা মনে সুবহা এতোটা সাহসি না যে কাউকে এভাবে পিটাবে।তাহলে কে সুবহাকে হেল্প করেছে সেটা ভেবে পাচ্ছে না রিশা।

সুবহাঃ তুমি কি এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি জাহিদের মত গার্ডস এনে তোমাকে পাঠাতে হবে।

সুবহার‌ কথায় রিশা ওর দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে একবার রুমে চোখ বুলিয়ে বের হয়ে যায়।

রিশা চলে যেতেই সুবহা দ্রুত দরজা লাগিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল।

সুবহাঃ বড়জোর বাঁচলাম,,

হঠাৎ রওশনের কথা মনে পড়ে গেল সুবহার। ওতো রওশনকে আলমারি তে‌ লক করে রেখেছিল। সুবহা দৌড়ে গিয়ে আলমারি খুলল,,,

আলমারি খুলতেই রওশন‌ কাঁশতে কাঁশতে বেরিয়ে এলো ভিতর থেকে।

বড় বড় নিঃশ্বাস নিচ্ছে রওশন যেন এতক্ষন দম আটকে ছিল‌ ওর। রওশনের চেহারা লাল‌ হয়ে গেছে আর ‌ঘেমে পুরো শরীর একাকার।

রওশন গিয়ে মাথা চেপে বেডে বসে পরল। সুবহার মধ্যে অপরাধ বোধ‌ কাজ করছে কারন ও জানে রওশনের গরমে এলার্জি আছে ও গরম আর রোদের তাপ সহ্য করতে পারে না। শরীর লাল হয়ে যায় রওশনের যেমনটা এখন হয়েছে।

সুবহা ভয়ে ভয়ে রওশনের সামনে এগোলো তারপর ওর পিঠে আলতো করে হাত রেখে বলল।

সুবহাঃ আ আর ইউ ওকে রওশন। ( কাঁপা গলায়)

সুবহার কথায় রওশন ওর‌ দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো।

রওশনঃ তুমি আমার যে অবস্থা করেছো তার পরেও কি আমার ওকে থাকা উচিত?( দাঁতে দাঁত চেপে) এক কাজ করি আধা ঘন্টার জন্য তোমাকেও আলমারি তে লক করে রাখি তখন তুমি নিজেই বুঝতে পারবে কি আমি ওকে আছি কিনা।

সুবহা ঢোঁক গিলল রওশনের কথায়। এখন যদি সত্যি রওশন ওকে আলমারি তে আটকিয়ে দেয় ওতো অন্ধকার কে‌ ভয় পায় তারপর ওর বন্ধ জায়গায় সাফোকেশন প্রবলেম আছে।

সুবহার কপাল বেঁয়ে ঘাম পরছে কথা গুলো ভেবে। সুবহার ফেস দেখে রওশন বুঝতে পারলো যে সুবহা ভয় পেয়ে গেছে আর নিজের কল্পনাতেই হয়তো আলমারিতে লক হওয়ার এক্সপিরিমেন্ট করে ফেলেছে।

রওশনঃ ‌এভাবে দাঁড়িয়ে না থেকে আমাকে এক গ্লাস পানি দাও।( রেগে )

সুবহা হন্তদন্ত করে গ্লাসে পানি ভরে এনে রওশনকে দিল। ওর হাত প্রচন্ড ভাবে কাঁপছে।

রওশন সুবহার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে ওটা সুবহার দিকে এগিয়ে দিল।

রওশনঃ আমার থেকে বেশি তোমার পানির প্রয়োজন ড্রিঙ্ক‌‌ ইট।

সুবহা একবার রওশনের দিকে তো একবার গ্লাসের দিকে তাকালো। সুবহা আচমকা রওশনের হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে ঢকঢক করে সব পানি শেষ করে ফেলল। এখন হয়তো একটু ভালো লাগছে।

রওশন সুবহার ঘাড়ের খামছির দাগ টা লক্ষ করলো। লাল হয়ে রক্ত জমে গেছে জায়গাটা।

রওশনঃ ফার্স্ট এইড বক্স টা নিয়ে আসো।

সুবহাঃ কিন্তু কেন?( অবাক হয়ে )

রওশনঃ আমি কাউকে এক্সপ্লিনেশন‌ দেই না তুমি জানো তাই চুপচাপ সেটা করো যেটা বলেছি। ( শান্ত ভাবে)

সুবহা দ্রুত নিজের লাগেজ থেকে ফার্স্ট এইড বক্স টা বের করে রওশনকে দিল। এটা সব সময় সুবহার কাছে থাকে যেন কোন বিপদে হাতের সামনে পাওয়া যায়।

রওশন বক্সটা নিয়ে বেডে রাখলো তারপর সুবহার হাত ধরে ওকে নিজের পাশে বসিয়ে দিল।আচমকা হাতে টান লাগায় সুবহা ব্যালেন্স করতে পারলো না সাথে সাথে রওশনের কাধ ধরে ফেলল ও।

রওশন বক্স থেকে তুলো আর এ্যান্টিসেপ্টিক বের‌ করে সুবহার সামনে এগোতে নিলেই সুবহা ভয়ে পিছিয়ে যায় কারন ও জানে এতে ব্যাথা জায়গা জ্বলবে।রওশন সুবহাকে এক টানে নিজের কাছে এনে শক্ত করে ওর হাত ধরল যেন নরতে না পারে।

রওশনঃ ডোন্ট মুভ।( রাগি ভাবে)

সুবহা রওশনের কথায় ভয়ে ফ্রিজড্ হয়ে বসে রইল।রওশন আলতো করে সুবহার ঘারে তুলো‌ দিয়ে পরিষ্কার করে দিচ্ছে। সুবহা রওশনের শার্ট খামছে ধরে ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে ফেলে। রওশন নিজের সম্পুর্ণ চেষ্টা করছে যেন সুবহা ব্যাথা না পায় তাও যেহেতু এটা এ্যান্টি সেপ্টিক একটু তো জ্বলবেই।

সুবহা চোখ খিচে বন্ধ করে আছে আর ওর চোখের কোনায় পানির ফোঁটা জমে গেছে। রওশনের কাঁধের দিকের শার্ট সুবহা শক্ত করে খামচে ধরেছে এতে রওশন ও ব্যাথা পাচ্ছে তাও কিছু বলছে না।

রওশন ব্যাথা জায়গা টা পরিষ্কার করে ওখানে ছোট একটা ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেয়।

সুবহার দিকে তাকাতেই দেখলো সুবহা চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে।‌ রওশন‌ পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে সুবহার চেহারার দিকে। এতো‌ কাছ থেকে সুবহাকে দেখার সুযোগ কখনো হয় নি ওর হয়তো এর পরেও হবে না তাই আজ নিজের চোখের তৃষ্ণা মিটিয়ে দেখছে ও সুবহাকে।

আচমকা রওশন সুবহার ঘাড়ের খামছির জায়গাটায় গভীর‌ ভাবে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দিল। সুবহা শকড্ হয়ে চোখ খুলল ওর চোখ বড় বড় হয়ে গেছে রওশনের কাজে। শরীর কাঁপতে ‌শুরু করেছে অটোমেটিকলি।

রওশন একে একে দুই তিনটা চুমু দিল সুবহার ঘারে তারপর উঠে এক সেকেন্ড ও দেরি না করে বেরিয়ে গেল রুম থেকে।

সুবহা যেন স্ট্যাচু হয়ে গেছে ‌কি করল রওশন সব‌ ওর মাথার উপর দিয়ে গেল। এখনো শরীর কাঁপছে ওর গলাও শুকিয়ে গেছে।‌ দম যেন আঁটকে যাচ্ছিল এতক্ষন।

এইদিকে,,,

রওশন নিজের রুমে এসে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে পরল। ঝড়না ছেরে দিয়ে বড় মিররটার দিকে মুখ ফিরিয়ে ঝড়নার নিচে দাঁড়িয়ে আছে রওশন। ঝড়নার পানি সম্পুর্ণ ভিজিয়ে দিচ্ছে ওকে। উড়া চুল গুলো নিমিষেই নুইয়ে গেল পানিতে ভিজে। বড় বড় নিঃশ্বাস নিচ্ছে রওশন।

রওশনঃ বার বার একই ভুল‌ কেন করি আমি। ওর থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাই অথচ নিজেই ওর এতো কাছে চলে যাই কেন ? হোয়াইইইই ?‌( চেঁচিয়ে) কেন নিজের আবেগে নিয়ন্ত্রণ নেই আমার। আমি রওশন রায়জাদা আমার কোন দূর্বলতা নেই তাও‌ কেন ওকে নিজের দূর্বলতা বানিয়ে নিলাম আমি।

রওশন শাওয়ারের নিচে হাঁটু গেড়ে বসে পরল,,

রওশনঃ আমি এমন একটা গোলক ধাঁধায় আছি যে না তোমাকে কাছে টানতে পারছি আর না দূরে সরাতে পারছি সুবহা।

রওশন‌ চোখ বন্ধ করে ফেলল। সুবহার চেহারা ভেসে উঠছে ওর চোখে। রওশন চোখ খুলে নিজের শার্টের পকেটে হাত দিয়ে একটা ঝুমকা বের করল। সিলভার কালারের মধ্যে বড় সাদা পাথরের ঝুমকা।

রওশন ঝুমকা টাকে নিজের সামনে ধরে বলতে শুরু করল।

রওশনঃ ‌আমাদের‌ গল্পটা তো অনেক আগেই শুরু হয়েছিল কিন্তু আফসোস আমি এই গল্পটার শেষ নিজের মত করে করতে পারব না। তোমার হৃদয়ে‌ আমি থাকি বা না থাকি সুবহা আমার হৃদয়ের সবটা জুড়ে শুধুই তুমি ছিলে আছো আর থাকবে।

রওশন চোখ বন্ধ করে ঝুমকা টায় নিজের ঠোঁট ছোঁয়ালো।

“ খো না দু ম্যায় পাকে তুমকো ”
“আয়ে ইয়াকি না খুদপে হামকো ”
“জ্যায়সে নাদী কো কিনারা মিলা”
“ম্যায়নে জো চাহা মুঝকো ওয়োহি মিলা”
“ক্যায়া দিলমে তেরে মেরি জাগা হ্যায়”
“এয়া ফির ইয়ে জো হ্যায় ওয়ো বেওয়াজা হ্যায়”

“জানা না দিলসে দুরর জানা না দিলসে দুরর
জানা না দিলসে দুরর জানা না দিলসে দুরর”

এইদিকে,,,

সুবহা নিজের রুমের জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। রোশনকে কেন ওর কাছে ভিন্ন লাগে তাই আজও বুঝতে পারলো না সুবহা। রওশনের ওর কাছে আসলে যে অনুভূতি টা হয় কেন সেটা আভির সময় হয়না ভেবে পাচ্ছে না ও।

সুবহাঃ‌‌ আমি কেন দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছি? কি এমন কানেকশন আছে আমার আর রওশনের মধ্যে যা আমাকে ওনার দিকে এতোটা টানে,,,

আমি নতুন করে কাউকে ভালোবাসতে চাই না।চাইনা কাউকে নিজের জীবনে তবুও কেন এই অনুভূতি,,,

To be continued….

#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_8

সুবহাঃ‌‌ আমি কেন দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছি? কি এমন কানেকশন আছে আমার আর রওশনের মধ্যে যা আমাকে ওনার দিকে এতোটা টানে,,,

আমি নতুন করে কাউকে ভালোবাসতে চাই না। চাইনা কাউকে নিজের জীবনে তবুও কেন এই অনুভূতি,,,

? The Next Day ?

নেক্সট রাউন্ড হলো ফাইনাল রাউন্ড। এই রাউন্ডে সবাই নিজেদের ডিজাইন করা ড্রেস এবং জুয়েলারি পরে এক্সারভিশন এ পার্টিসিপেট করবে।

জাহিদকে কম্পিটেশন‌ থেকে আউট করে দেওয়া হয়েছে তাই সুবহা আর রিশা সহ মোট চারজন কম্পিটিটর আছে।

সবাইকে ট্রাইংরুমে নিজেদের প্রিপারেশন করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।

সুবহা নিজের ডিজাইন করা ড্রেস ভালো করে চেক করে নিজের কাবার্ডে রেখে দিয়েছে। সন্ধ্যার পর কম্পিটিশন তাই এখন বসে ও‌ অফিসের কিছু কাগজ পত্র চেক করছে।

এইদিকে,,,

কালো শার্ট ব্লু ব্লেজার কালো প্যান্ট হাতে কালো বেল্টের ঘড়ি কালো সুজ চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করে রেডি হয়ে নিজেকে আয়নায় দেখে নিচ্ছে রওশন।

রওশনঃ সব ঠিক আছে শুধু একটা জিনিস মিসিং।

রওশন একটা কালো আর ব্লু কম্বিনেশনের টাই বের করে সুন্দর ভাবে সেটা পরে ফেলল।‌

রওশনঃ নাও ইট্স পারফেক্ট। ( পুরো প্রিন্স )

রওশন বেড থেকে ওর ফাইল গুলো নিয়ে বের হয়ে গেল সেটের উদ্দেশ্যে।

?In Studio ?

সুবহা নিজের সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়েছে রেডি হওয়ার জন্য কিন্তু কিছু একটা মিসিং লাগছে ওর কাছে।

সুবহাঃ আরেহ ইয়ারিং‌ তো আমার রুমেই রয়ে গিয়েছে।
কম্পিটিশন শুরু হতে সময় আছে গিয়ে নিয়ে আসি।

সুবহা ওর কেবিনেট থেকে বেরিয়ে যায়। সুবহা বের হতেই রিশা আড়াল থেকে বেরিয়ে সুবহার কেবিনেটে ঢুকে পরে।

সুবহার ড্রেস সোফার উপরে রাখা। রিশা গিয়ে সুবহার ড্রেস নিজের হাতে তুলে নেয়‌।

রিশাঃ আমাকে হারিয়ে কম্পিটিশন জিতার অনেক শখ তোমার তাইনা সুবহা! আজকে তোমার এমন হাল হবে যে কম্পিটিশন তো দূরে থাক কাউকে নিজের মুখ দেখানোর লায়েক থাকবে না তুমি। ( শয়তানি হাসি দিয়ে)

রিশা একটা ব্লেড নিয়ে সুবহার গাউনের চেনের কিনারের শুতো গুলো তুলে দেয়‌ যেন গাউন পড়ার পর ওর গাউনের চেন খুলে যায়।

কাজ শেষ হতেই সুবহার ড্রেস জায়গা মত রেখে রুম থেকে বেরিয়ে যায় রিশা।

সুবহা রুমে আসতেই দেখে ওর কেবিনেটের দরজা খোলা। কেমন একটা খটকা লেগে যায় ওর‌ তার পরেও ব্যাপারটা গ্ৰাহ্য না করে সুবহা রেডি হতে শুরু করে।

? After Some Time ?

নীল‌ রঙের স্লিভলেস ‌হাতার গাউন অসম্ভব সুন্দর করে ডিজাইন করেছে সুবহা। গাউনের সামনের দিকে সাদা ‌নেটের কটি সিস্টেম। গাউনটা পুরো ফ্রোজেনের ইলসার গাউনের মত দেখতে কিন্তু এতে কিছুটা ইউনিক ডিজাইন দিয়েছে সুবহা।

ড্রেসের ‌সাথে ম্যাচিং করে গলার স্টোন এর পেন্ডেন্ট আর ইয়ারিং ডিজাইন করা হয়েছে।‌ চুল গুলো পাফ করে নিচের দিকে কার্ল করে এক সাইডে এনে চুলে স্টোনের স্টার ক্লিপ লাগিয়েছে।

সব মিলিয়ে সুবহাকে ‌পুরো‌ প্রিন্সেস এর মত লাগছে।( রওশনের প্রিন্সেস ?)

সুবহা আর বাকি সব কন্টেস্টেন্ট স্টেজের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সুবহাকে দেখে‌ সবাই হা হয়ে গেছে। সবচেয়ে ইউনিক ডিজাইন তৈরি করেছে সুবহা।

মিতুঃ ওয়াও সুবহা ইউ রক্স আজকে হয়ত তোমার ‌থেকে হেরে যাওয়া নিশ্চিত আমাদের।( হেসে)

সুবহাঃ‌ তুমি বেশিই বলে ফেলছো মিতু তোমার ডিজাইন ও‌ বেস্ট হয়েছে।

সুবহাকে আড়চোখে দেখছে রিশা‌ আর মনে মনে ভাবছে।

রিশাঃ হেসে নাও‌ সুবহা হয়তো‌ আজকের পর থেকে হাসতে ভূলে যাবে তুমি।

মিতুঃ ও মাই গড মি. রায়জাদা!!( হা হয়ে )

মিতুর কথায় সুবহা পেছনে ঘুরল। রওশনকে দেখে মুখ অটোমেটিক্যালি হা হয়ে গেল ওর। রওশন অয়নকে কিছু বুঝাতে বুঝাতে হেঁটে ভিতরে আসছে। সবাই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে রওশনের দিকে। আশেপাশে সবাই হা হয়ে দেখছে রওশনকে।এমনিতেই ‌ও সবার ক্রাশ‌ তার উপর আজকে ওর‌ লুক দেখে সবাই আরো ফিদাহ হয়ে গেছে।

রওশন সামনে‌ তাকাতেই সুবহাকে দেখে থমকে গেল‌ ও। ওর হার্টবিট দ্রুত হয়ে গেছে চোখের পলক পরছে না।

সুবহাকে কোন প্রিন্সেস এর থেকে কম লাগছে লাগছে না। রওশনকে এভাবে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সুবহা‌ কিছুটা লজ্জা পেয়ে নিজের মাথা নিচু করে ফেলে।

অয়নঃ স্যার!!

অয়নের ডাকে ঘোর কাটল রওশনের। রওশন‌ সুবহার থেকে চোখ সরিয়ে বলল,,

রওশনঃ ‌হুম‌ বলো।

অয়নঃ ‌স্যার সবাই অপেক্ষা করছে যাবেন না?

রওশনঃ ‌আব হা চলো,,,

রওশন সুবহার দিকে এক পলক তাকিয়ে স্টেজের দিকে চলে গেল। আনিকা আর বাকি সবার সাথে হাত মিলিয়ে নিজের চেয়ারে বসে পরল ও।

কম্পিটিশন ‌শুরু হয়ে যায় সব লাইট অফ হয়ে স্টেজের কালার লাইট জ্বলে উঠে।

সব কম্পিটিটর এক এক করে সামনে আসে। সর্বশেষে আসে সুবহা।‌ ওর কিছুটা নার্ভাস লাগছে তা ওর চেহারা‌ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। রওশন গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সুবহাকে। সব চিফরা এটা সেটা প্রশ্ন করছে ওদের কে।

সুবহা অনেক সুন্দর ভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। হঠাৎ ওর অনুভূতি হচ্ছে যে ওর গাউনটা নিচে সরে আসছে হয়তো চেইন ধীরে ধীরে ছুটে যাচ্ছে।

ভয়ে সুবহার হার্ট কেঁপে উঠছে।নিজের ড্রেস শক্ত করে মুঠ করে ধরে সুবহা।

রওশন ভালো ভাবেই সুবহার রিয়েকশন নোটিস করছে।ও বুজে উঠতে পারছে না সুবহার হঠাৎ ভয় পাওয়ার কারন।

To be continued…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here