#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love,Part_9,10
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_9
সুবহা অনেক সুন্দর ভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। হঠাৎ ওর অনুভূতি হচ্ছে যে ওর গাউনটা নিচে সরে আসছে হয়তো চেইন ধীরে ধীরে ছুটে যাচ্ছে।
ভয়ে সুবহার হার্ট কেঁপে উঠছে।নিজের ড্রেস শক্ত করে মুঠ করে ধরে সুবহা।
রওশন ভালো ভাবেই সুবহার রিয়েকশন নোটিস করছে।ও বুজে উঠতে পারছে না সুবহার হঠাৎ ভয় পাওয়ার কারন।
সুবহাঃ এ এটা কিভাবে হলো আমিতো ড্রেস ভালো ভাবে চেক করে নিয়েছিলাম তাহলে?? আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি।
সুবহার কপালে ঘাম জমে গেছে ঠোঁট ও কাঁপতে শুরু করেছে ওর। সুবহা চোখ খিচে বন্ধ করে ফেলে মনে আল্লাহকে ডাকছে ও।
হঠাৎ স্টেজের সব লাইট অফ হয়ে যায় আর হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। কেউ আচমকা সুবহাকে জড়িয়ে ধরে সরিয়ে আনে সেট থেকে।
স্টেজের বাইরে নিয়ে আসে লোকটি সুবহাকে। সুবহা আচমকা এমন হওয়ায় ঘাবড়ে যায়। একতো ওর ড্রেসের এই অবস্থা তার উপর এভাবে কেউ ওকে স্টেজ থেকে নিয়ে আসল ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
সুবহা চোখ খুলে দেখে সামনের মানুষটি অন্য কেউ নয় বরং রওশন। রওননকে দেখে সুবহা স্বস্তির নিশ্বাস নিল।
হঠাৎ রওশনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় সুবহা।
সুবহাঃ র রওশন আমার ড্রেস,, ড্রেসে ( বলতে পারছে না)
রওশন সুবহার পিঠের দিকে তাকাতেই দেখল ড্রেসের চেইনের কিছু অংশ ছুটে যাচ্ছে যার কারনে গাউনটা শরীর থেকে নিচে নেমে আসছে।
রওশন নিজের চোখ সরিয়ে নেয় তারপর সুবহাকে সরিয়ে নিজের কোট খুলে ওর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে গম্ভীর ভাবে বলে।
রওশনঃ গিয়ে চেঞ্জ করে আসো ফাস্ট।
সুবহাঃ কিন্তু কম্পিটিশন?
রওশনঃ এতো কিছু ভাবতে হবে না তোমাকে আই ইউল ম্যানেজ গোও,,, ( জোরে বলল )
সুবহা রওশনের কথা মত নিজের ট্রায়াল রুমে চলে গেল। রওশনের চোখ যায় সুবহার রুমের বাইরের সিসি ক্যামেরার দিকে। রওশন কাউকে কল করে কথা বলতে শুরু করে।
কম্পিটিশন কিছু সময়ের জন্য থামিয়ে দিয়েছে রওশন। সবাইকে বলা হয়েছে কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেম এর জন্য এক ঘন্টার জন্য ফাংশন অফ থাকবে। এই এক ঘন্টায় সুবহার অপরাধীকে খুঁজে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে রওশনের।
? After An Hours ?
কম্পিটিশন আবার স্টার্ট করা হয়েছে। সব কম্পিটিটর আবার আগের মত যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সুবহা সেম ডিজাইনের ড্রেস পরেছে। কম্পিটিশন এর রুল যে কোন ডিজাইন তৈরি করলে দু’টো করতে হবে যেন পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে কাজে লাগানো যায়। আজকে রুলটা সুবহাকে বাঁচিয়ে দিল। রিশা সুবহার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে আর রাগে ফুঁসছে। ও বুঝে উঠতে পারছে না যে সুবহার ড্রেস এখনো কিছু হচ্ছে না কেন। এতো সুন্দর প্লান তাহলে ভেস্তে গেল ?
সবাইকে প্রশ্ন করা শেষে রিশার টার্ন আসে। আনিকা রিশাকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই রওশন বলে উঠে।
রওশনঃ মিস রিশাকে প্রশ্ন আমি করবো।
আনিকাঃ সিউর।
রওশনঃ তো মিস রিশা আপনি যে ড্রেসটি পরে আছেন সেটাকি আপনি নিজে ডিজাইন করেছেন নাকি কপি করা? ( ভ্রু কুঁচকে)
রিশাঃ অবভিয়াসলি আমি ডিজাইন করেছি। ( বেকুবের মত)
রওশনঃ ওও গুড। এখন আমাকে বলেন যে আপনি জিতার জন্য কি কি করতে পারেন? আই মিন কোন পর্যায়ে যেতে পারেন আপনি একটি কম্পিটিশন জিতার জন্য।
রিশাঃ আপনি কি বলছেন আমি কিছুই বুঝতে পারছি না স্যার। ( ভয়ে ভয়ে)
রওশনঃ ও তো এ ব্যাপার নেভার মাইন্ড আমি আপনাকে লাইভ শো দেখিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি যে আপনি জিতার জন্য কোন লেভেলে নামতে পারেন। অয়ন মুভি স্টার্ট করো ( কড়া গলায়)
অয়নঃ জ্বি স্যার।
রিশার হাত পা ভয়ে বরফ হয়ে যাচ্ছে ইচ্ছে করছে সব ফেলে পালিয়ে যেতে কিন্তু সেটা ও করতে পারবে না কারন এখান থেকে এই মুহূর্তে বের হওয়া অসম্ভব।
অয়ন স্টেজের লাইটের পাওয়ার কমিয়ে দিয়ে প্রজেক্টের অন করে দেয়। প্রজেক্টরের সীন দেখে সবাই হা হয়ে গেছে।
সুবহার কেবিনেটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এটা। সুবহা বেরিয়ে যেতেই রিশা কিভাবে সুবহার ড্রেস নষ্ট করেছে সব দেখানো হচ্ছে।
সব কেবিনেটে সিসি ক্যামেরা ফিট করা যেন যে কোন সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যেতে পারে। আজকে ক্যামেরা টা থাকার কারণে সবাই আসল কালপ্রিট কে সনাক্ত করতে পারল।
সুবহা ঘৃনা ভরা চোখে তাকালো রিশার দিকে। ও ভাবতে পারে নি রিশা এতোটা নিচে নামতে পারে। হিংসা মানুষকে কতটা নিম্ন স্তরে নামিয়ে দেয় তার জলজ্যান্ত প্রমাণ হচ্ছে রিশা।
সবাই কানাকানি করছে রিশা লজ্জা আর ভয়ে মাথা নিচু করে আছে।
ভিডিও শেষ হতেই প্রজেক্টর অফ হয়ে যায় সাথে সাথে সবাই চুপ করে যায়।
আনিকাঃ ছিহ রিশা তোমার লজ্জা হওয়া উচিত নিজের কাজে। একজন মেয়ে হয়ে অন্য একজন মেয়ের সাথে এমনটা করতে তোমার বিবেকে বাধল না।
অন্যজনঃ এসব মেয়েদের বিবেক বলতে কিছু আছে নাকি। এরা তো শুধু টাকার ভাষা বুঝে।
আরেকজনঃ ওকে তো পুলিশে দেওয়া উচিত।
পুদিশের নাম শুনেই ভয়ে কেঁপে উঠে রিশা। মাথা নিচু করে কান্না করছে ও।
রওশনঃ রিশাকে কি শান্তি দেওয়া হবে সেটা সুবহা ডিসাইট করবে। ( রাগি গলায় )
রওশনের কথায় সুবহা অবাক চোখে তাকালো রওশন এর দিকে।
সুবহাঃ আ আমি ?
রওশনঃ হুম যেহেতু ও তোমার কালপ্রিট তাই ওকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার ও তোমার।
রওশনের কথায় রিশা আরো ভয় পেয়ে যায় না জানি সুবহা ওকে কি শাস্তি দেয়।
সুবহাঃ আ আমি ওকে কি শাস্তি দিব ?( ভয়ে ভয়ে রওশনের দিকে তাকিয়ে)
রওশনঃ ঠিক আছে তোমাকে কিছু করতে হবে না যা করার তা আমি করব যেহেতু এটা আমার কোম্পানীর ব্যাপার।( অগ্নি দৃষ্টিতে সুবহার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে)
সুবহা রওশনের চাহনিতে ভয় পেয়ে যায়। ভয়ে ঢোক গিলছে সুবহা ওর গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। না জানি রওশন ওকেই শাস্তি দিয়ে বসে।
রওশনঃ ইন্সপেক্টর!!
কয়েকজন পুলিশ আসে সেটে। রওশন তাদের উদ্দেশ্য করে বলে।
রওশনঃ নিয়ে যান একে এর ব্যাবস্থা আমি পরে করছি।
রিশাঃ আই অ্যাম রিয়েলি স্যরি স্যার এরকম ভূল আর কখনো হবে না।( কেঁদে দিয়ে) সুবহা আ’ম স্যরি দোস্ত প্লিজ এদের থামা। আমিতো তোর বন্ধু হই তুই আমার সাথে এমনটা করতে পারিস না প্লিজ স্টপ দ্যাম। ( ছুটাছুটি করতে করতে )
সুবহার ইচ্ছে করছে রিশা কে পুলিশ থেকে ছাড়িয়ে দিতে কিন্তু রওশনের অগ্নি দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে সব সাহস হাওয়া হয়ে যায় ওর। রওশনের চোখ এতটা লাল হয়ে আছে যেন এখনোই ও রিশাকে মর্গানে পাঠিয়ে দেয়।
রওশনঃ রওশন রায়জাদার ডিক্সেনারিতে ক্ষমা বলতে কোন শব্দ নেই নিয়ে যান ওকে।
ইন্সপেক্টরঃ জ্বি,,
রিশাকে নিয়ে যাওয়া হলো। রিশাকে নিয়ে যেতেই কম্পিটিশন আবার শুরু করা হয়। যেহেতু সুবহার ডিজাইন সবচেয়ে ভালো ছিল ওকেই প্রাইজ দেওয়া হয়।
কিন্তু এই মুহূর্তে সুবহার কম্পিটিশন জিতার খুশির থেকে বেশি রওশনকে নিয়ে ভয় হচ্ছে। আল্লাহ জানে ওর কপালে কি আছে রওশন যে পরিমাণ রেগে আছে ওর উপর।
সবাই সুবহাকে শুভেচ্ছা দিচ্ছে কিন্তু সুবহার চোখ আশেপাশে শুধু রওশনকে খুঁজছে। সবাইকে সাইড করে সুবহা রওশনকে খুঁজতে বেরিয়ে যায়। পুরো হল খুঁজেও রওশনকে পেল না ও। সুবহা ভাবছে হয়তো রওশন ওর রুমে আছে তাই সুবহা রওশনের রুমে চলে আসে।
রওশনের রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে সুবহা বুকে থুতু দিয়ে দরজা নক করলো ও।
দুই তিন বার দরজা নক করার পর কেউ দরজা খুলল আর আচমকা সুবহার হাত টেনে ভিতরে নিয়ে গিয়ে দরজা লক করে দিল।
সুবহা কিছু বুঝে উঠার আগেই রওশন সুবহার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেয়। সুবহা চোখ বড় বড় করে তাকালো রওশনের দিকে। এমনটা হবে ও কিছুতেই আশা করে নি রওশন সুবহার কোমর জড়িয়ে ওকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।
সুবহা চাইতেও রওশনকে দূরে সরাতে পারছে না কোথাও একটা বাঁধা পরছে ও।
রওশন সুবহাকে ছেড়ে ওর কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে নাকে নাক লাগিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
সুবহা এখনো ফ্রিজড্ হয়ে আছে। ওর জন্য এটা ওর ফার্স্ট কিস তাও রওশনকে। সুবহার তো স্ট্রোক করার অবস্থা। ( ফার্স্ট পার্টে সুবহা হুশে ছিল না তাই কিসের কথা মনেও নেই বেচারীর কি দোষ ?)
সুবহাঃ এই রওশন রায়জাদা আমার ফার্স্ট কিস নিয়ে নিল। He stone my first kiss ( মনে মনে )
To be continued…..
#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_10
,
,
,
,
রওশন সুবহাকে ছেড়ে ওর কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে নাকে নাক লাগিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
সুবহা এখনো ফ্রিজড্ হয়ে আছে। ওর জন্য এটা ওর ফার্স্ট কিস তাও রওশনকে। সুবহার তো স্ট্রোক করার অবস্থা। ( ফার্স্ট পার্টে সুবহা হুশে ছিল না তাই কিসের কথা মনেও নেই বেচারীর কি দোষ ?)
সুবহাঃ এই রওশন রায়জাদা আমার ফার্স্ট কিস নিয়ে নিল। He stole my first kiss ( মনে মনে )
রওশন চোখ খুলে সুবহার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে শুরু করল।
রওশনঃ কেন আমার রাগ তুলো তুমি হ্যাঁ? যখন বলেছিলাম রিশাকে নিজের মত করে শাস্তি দিতে তখন কেন নিজের পা পিছিয়ে নিলে। তোমার উচিত ছিল ওকে সবার সামনে ঠাঁটিয়ে কয়েকটা চর মারার। ও যেটা করেছে সেটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। যদি আমি সময়মত কিছু না করতাম তাহলে কি হতো ডু ইউ হ্যাভ এনি আইডিয়া,,,( চিল্লিয়ে দেয়ালে ঘুষি মেরে)
রওশনের চিল্লানোতে সুবহার প্রান পাখি উড়ে যাওয়ার উপক্রম। বেচারি কাঁচুমাচু হয়ে সরে যেতে নিলেই রওশন ওর হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নেয়। রওশনের মুখ একদম সুবহার কাছাকাছি। এতোটা কাছে যে সুবহা আর রওশন দু’জনের নিঃশ্বাস একে অপরের মুখে আঁছড়ে পরছে। সুবহার তো ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে। বেচারি পারেনা এখনি কেঁদে দেয় কিন্তু রওশনের রক্তিম চোখ দেখে কান্না করতেও ভয় পাচ্ছে ও।
রওশনঃ তুমি কেন বুঝো না সুবহা সবাই তোমার মত না। আমাদের আশেপাশের মানুষ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আমাদের ক্ষতি করতে দ্বিধা বোধ করবে না। আজকে তুমি নিজেই তার প্রমাণ পেয়ে গিয়েছো।
সুবহা নিজের মাথা নিচু করে ফেলল। কি বলবে ও আসলেই তো ওর নিজের বন্ধু একটা সামান্য কম্পিটিশন জিতার জন্য ওর সাথে এরম বাজে কাজ করেছে।
সুবহার কোন জবাব না পেয়ে রওশন ওকে ছেড়ে দূরে সরে দাঁড়ালো। রওশন সরে যেতেই সুবহা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো এতক্ষন মনে হচ্ছিল যেন ওর দম বন্ধ হয়ে আসছে।
রওশন বাম হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে কপালের সাইড ঘষছে হয়তো নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। সুবহা আড়চোখে রওশনের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলতে শুরু করে।
সুবহাঃ জান বাঁচাতে হলে মানে মানে কেটে পর এখান থেকে সুবহা। এই রওশন রায়জাদা আজকে নিশ্চয়ই পাগল হয়ে গেছে আর এখন তোকেও পাগল করে পাবনা পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। ( মনে মনে)
সুবহা ধীর পায়ে দরজার দিকে এগোতেই রওশনের হুঙ্কার শুনে ওর পা ওখানেই জমে যায়।
রওশনঃ আমি কি তোমাকে যেতে বলেছি? ( হুঙ্কার দিয়ে)
সুবহাঃ ন না ( ভয়ে ভয়ে)
রওশনঃ তাহলে যাচ্ছো কেন?
সুবহাঃ না মানে আমি আমার রুমে,,,
রওশন ওর বেডে বসে সুবহাকে বলে,,,
রওশনঃ কাম হেয়ার। ( শান্ত গলায়)
সুবহাঃ কিহ ( পিছিয়ে গিয়ে )
রওশনঃ সামনে আসতে বলেছি পিছনে যেতে না। ( ধমক দিয়ে)
রওশনের ধমক শুনে সুবহা এক ঝটকায় রওশনের সামনে এসে দাঁড়ায়।
রওশনঃ বসো ।
সুবহা বাধ্য মেয়ের মত রওশনের পাশে বসে পরলো কিন্তু একটু ডিস্টেন্স রেখে।
রওশন আচমকা সুবহার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরলো। সুবহা তো ফুল শকড্ রওশনের কাজে।
রওশনঃ মাথাটা টিপে দাও আমি ঘুমাবো।
সুবহাঃ কি ?( অবাক হয়ে)
রওশনঃ কি না জ্বি,, ডু ইট ফাস্ট তোমার কারনে মাথা ব্যথা উঠেছে তাই ব্যথা দূর করার দায়িত্ব ও তোমার।
সুবহার তো পুরো শরীর কাঁপছে। রওশন ওর কোলে মুখ গুঁজে চোখ বন্ধ করে আছে।
সুবহাঃ একতো আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে তার উপর বলছে মাথা টিপে দিতে মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি। ইচ্ছে করছে মাথা না গলা টিপে দেই। ( মনে মনে)
রওশনঃ আমি কিছু বলেছি?
সুবহা ভয়ে ভয়ে রওশনের মাথায় হাত রেখে আলতো করে টিপে দিতে লাগল। রওশন সুবহার কোমর জড়িয়ে ধরে আরো গভীর ভাবে ওর কোলে মুখ গুঁজে দিল। সুবহার হার্ট বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। হাতও থরথর করে কাঁপছে ওর।
রওশনঃ আমি ঘুমিয়ে পরলেও আমার পারমিশন ছাড়া রুম থেকে বের হবে না ডু ইউ গেট দ্যাট।
সুবহাঃ হ হ্যাঁ।
রওশনঃ গুড গার্ল এখন সুন্দর করে আমার মাথাটা টিপে দাও।
সুবহাঃ দিচ্ছি তো।
রওশন চোখ বন্ধ করে মুচকি হেসে সুবহার হাতের স্পর্শ অনুভব করছে। আর সুবহা মনে মনে রওশনের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে।
কিছুক্ষন বাদে সুবহা খেয়াল করল রওশনের কোন রেসপন্স আসছে না হয়তো ঘুমিয়ে পরেছে তাই। সুবহা খুব সাবধানে পাশ থেকে একটা বালিশ নিয়ে রওশনের মাথার নিচে রেখে দিয়ে নিজে উঠে পরল। তারপর রওশনের উপর ব্লাঙ্কেট টেনে দিল ভালো করে।
হঠাৎ সুবহার চোখ যায় রওশনের উপর। রওশনের ঠোঁটের কিনারে লিপস্টিক লেগে আছে। সুবহা হেসে দেয় রওশনকে দেখে। তারপর টেবিল থেকে টিস্যু নিয়ে ওর পাশে বসে পরল সুবহা। খুব যত্ন সহকারে রওশনের ঠোঁট থেকে লিপস্টিক তুলে দিচ্ছে ও।
ঘুমন্ত রওশনের দিকে তাকিয়ে পলক পরছে না সুবহার এতোটা অদ্ভুত সুন্দর লাগছে তাকে। একবম বাচ্চাদের মত ঠোঁট ফুলিয়ে ঘুমিয়ে আছে রওশন। ওকে দেখে কেউ বলবে না যে সারাদিন ও ফুল এ্যাটিটিউট আর এ্যাংরি মুডে থাকে। যার নিকনেম সুবহা #Mr_Arrogant দিয়েছে সে বাচ্চাদের মত ঘুমায়। কথা গুলো ভেবে আনমনে হেসে ফেলল সুবহা।
রওশনের ঘুমন্ত অবস্থায় ছবি তোলার জন্য ফোন খুঁজতেই সুবহার খেয়াল হলো রওশন যখন ওকে টান দিয়েছিল ওর পার্স দরজার সামনে পরে গিয়েছিল। সুবহা উঠে ওর ব্যাগ থেকে ফোন বের করে রওশনের কয়েকটা ছবি তুলে নিল।
সুবহাঃ বাহ Mr Arrogant এর ছবি গুলো তো পুরোই Mr Cute এর ডিব্বার মত হয়েছে। ( ছবি গুলো দেখে মনে মনে)
রওশনের দিকে তাকিয়ে উঠে যায় সুবহা দরজার দিকে পা বাড়াতেই আবার থেমে যায় ও। রওশনের দিকে একপলক তাকিয়ে টুপ করে ওর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়। অনেকক্ষণ ধরে ইচ্ছে করছিল ঘুমন্ত রওশনের কপালে ঠোঁট ছোঁয়ানোর কিন্তু ইচ্ছেটা কে এতক্ষন দাবিয়ে রেখেছিল ও। এখন সুযোগ পেয়ে পুরন করে নিল ইচ্ছেটা।
সুবহা আলতো পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে দরজা লক করে নিজের রুমে চলে যায়।
নিজের রুমে ফিরে সোজা শাওয়ার নিতে চলে যায় সুবহা। শাওয়ার নিয়ে এসে খাটে আধশোয়া হয়ে রওশনের ছবি গুলো দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরে ও।
? In Morning ?
রওশন আড়মোড়া ভেঙে বেড থেকে উঠতেই দেখলো ওর মাথার নিচে বালিশ আর সুবহা গায়েব। রওশন পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে দেখে নিল কিন্তু সুবহা নেই।
রওশনঃ আমি বলেছিলাম আমার পারমিশন ছাড়া রুম থেকে বের হতে না তাও আমাকে ওভারটেক করে তুমি চলে গেলে সুবহা। এটা ঠিক করলে না তুমি। ( রাগি ভাবে)
কিন্তু বলতে হবে তোমার হাতে জাদু আছে। শুধু হাতে না ঠোঁটেও। ( মুচকি হেসে)
রওশন উঠে ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে ওর শ্যাম্পুর বোতল নিতে গিয়ে ওর চোখ আয়নায় যায়। আয়নায় নিজেকে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায় রওশনের। ওর কপালে লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁটের চিহ্ন হয়ে আছে।
রওশনঃ বাহ সুবহা তুমিতো দেখি আমার থেকেও ফাস্ট। আল্লাহ জানে আমাকে ঘুমন্ত পেয়ে আর কি কি করেছো। ( ওয়াশরুম যেতে যেতে )
? After Some Time ?
রিসেপশনে জিজ্ঞেস করার পর রওশন জানতে পারে সুবহা সকাল সকাল ফিরে গিয়েছে। অয়নকে দিয়ে ইনফরমেশন নেওয়ার পর অয়ন বলল সুবহা হোটেল থেকে ডাইরেক্ট ওর NGO তে গিয়েছে। রওশন দেরি না করে গাড়ি নিয়ে সুবহার NGO এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়।
To be continued….