#Mr_Arrogant_2 ?
#The_Gangstar_Lover,Part_4,05
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_4
.
.
.
.
সুবহা নিজের চোখ খুলছে হালকা হালকা করে। চোখে আলো পরছে যা চোখে বিঁধছে ওর। মনে হচ্ছে কয়দিন ধরে আলো দেখেনি তাই আলোটা আর চোখে সহ্য হচ্ছে না।
চোখ খুলতেই আবছা আবছা দেখতে পারছে ও। সামনে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে তার কাউকে বকছে। চোখটা ভালো করে কচলে তাকালো সুবহা।
একজনের পেছন টুকু দেখতে পারছে আর লোকটার সামনে একটা সার্ভেন্ট টাইপ লোক। লোকটি সার্ভেন্ট টাকে বকছে হয়তো।
হঠাৎ লোকটি পেছনে ফিরে সুবহার দিকে তাকালো। সুবহা লোকটিকে দেখে পুরো হা হয়ে যায়। ডার্ক ব্রাউন আইস, সিল্কি চুল কপালের উপর কয়েকটা চুল পরে আছে, ফরেইন ছেলেদের মতো গোলাপি ঠোঁট আর স্টিল বডি, হাইট মাশআল্লাহ ৬ ফুট।
সুবহা মনে মনে হয়তো একশো বার ক্রাশ শব্দটা উচ্চারণ করে ফেলেছে। সুবহাকে চোখ খুলতে দেখে রওশন ওর সামনে এসে দাঁড়ালো তারপর প্যান্টের পকেটে দু হাত গুঁজে ঠোঁটে হালকা হাসি নিয়ে সুবহাকে বলে,,,
রওশনঃ Welcome again in this world miss,,,
সুবহাঃ জি?( টাস্কি খেয়ে)
রওশনঃ আপনাকে আবারও এই পৃথিবীতে স্বাগতম জানাচ্ছি। কজ যে এক্সিডেন্ট করিয়েছিলেন আজ ছত্রিশ ঘন্টা পর আপনার জ্ঞান ফিরল I’m Glade.
সুবহাঃ ছত্রিশ ঘণ্টা??( অবাক হয়ে)
সুবহা উঠে বসতে চাইলে মাথায় ব্যাথা অনুভব করে হাত দিয়ে চেপে ধরে। রওশন কিছুটা ঘাবড়ে যায় কিন্তু পরক্ষনে নিজেকে সামলে নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রাখে। ওর মনের চিন্তা ও বাইরে প্রকাশ করতে চাইছে না।
রওশনঃ জি,, ওয়েইট আমি আপনাকে বসিয়ে দেই।
রওশন সুবহাকে উঠিয়ে ওর পিঠে বালিশ ঠেকিয়ে বসিয়ে দিল।
রওশনঃ এখন একটু দূর্বল লাগবে কিন্তু ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন। ( সুবহার পাশে বসে)
সুবহা এখনও রওশনের দিকেই তাকিয়ে আছে। বেচারির মাথায় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কিন্তু ভয়ে জিজ্ঞেস করতে পারছে না। মাফিয়া বলে কথা যদি প্রশ্ন পছন্দ না হয় আর ঠাস ঠাস গুলি চালিয়ে ডেড বডি করে দিলে।
রওশনঃ তো এখন বলেন নাম কি আপনার?
রওশনের কথায় ধ্যান ভাঙে সুবহার। নিজের নাম বলতে নিলেই আভির বলা কথা গুলো মনে পরে যায় ওর।
সুবহাঃ আমার নাম ?( কনফিউজড হয়ে)
রওশনঃ জি আপনার নাম,,,
সুবহাঃ আমার নাম কি?
রওশনঃ এটাই তো আপনার নাম কি?
সুবহাঃ আমার নাম কি?( কনফিউজড হয়ে)
রওশনঃ আজব আপনি উত্তর না দিয়ে আমার প্রশ্ন রিপিট করছেন কেন?( বিরক্ত হয়ে)
সুবহাঃ আমি রিপিট করছি না আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করছি আমার নাম কি?( কাঁদো কাঁদো ভাবে)
রওশন চোখ ছোট ছোট করে ভ্রু কুঁচকে তাকায় সুবহার দিকে।
রওশনঃ আপনার মনে নেই আপনার নাম কি?
সুবহাঃ আমার নাম মনে আসছে না কেন? আমি কে কোথায় থাকি আল্লাহ আমি সব ভুলে গিয়েছি।( কান্নার এক্টিং করে)
রওশন সুবহার দিকে একই ভাবে তাকিয়ে আছে। ওর ঠোঁটে বাঁকা হাসির রেখা ফুটে উঠল।
রওশনঃ হয়তো আপনার স্মৃতি হাড়িয়ে গিয়েছে তাই না?
সুবহাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ আমার স্মৃতি হাড়িয়ে গিয়েছে আমি সব ভুলে গিয়েছি। ( নাক টানতে টানতে)
রওশন নিজের মুখ ঘুরিয়ে হাসি চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
রওশনঃ আচ্ছা আপনি এখন রেস্ট করুন আমি ডক্টরকে কল করছি উনি এসে আপনাকে চেক করে বলবে কি হয়েছে। ( গম্ভীর মুখে)
সুবহাঃ জি থ্যাংক ইউ। আপনার নাম কি? ( আহত কন্ঠে)
রওশনঃ আই’ম রওশন। রওশন রা ( রায়জাদা বলতে গিয়ে থেমে গেল রওশন )
সুবহাঃ রা কি?
রওশনঃ আমি রওশন বাকিটা নাহয় আরেকদিন বলবো যখন আপনার স্মৃতি শক্তি ফিরে আসবে। ( দাঁড়িয়ে গিয়ে)
সুবহা বোকার মতো মাথা নাড়ালো।
রওশনঃ আপনি রেস্ট করেন কিছু প্রয়োজন হলে সার্ভেন্টদের ডাক দিয়েন।
সুবহাঃ আপনি কোথাও যাচ্ছেন?
রওশনঃ হ্যাঁ একজন আমাকে একটা গিফট পাঠিয়েছে তাকে রিটার্ন গিফট দিতে যাচ্ছি। ( বাঁকা হেসে) Take care of yourself আমি আসার সময় ডক্টরকে সাথে আনবো।
সুবহা মাথা নাড়ালো।
রওশন উঠে বেরিয়ে যেতে নিলেই সুবহা ওকে ডাক দিয়ে বসে,,,
সুবহাঃ রওশনননন,,
রওশনঃ জি? ( পেছনে ফিরে)
সুবহাঃ ছত্রিশ ঘন্টায় কতদিন?( বোকার মতো)
সুবহার প্রশ্নে রওশনের অনেক হাসি পাচ্ছে। নিজের হাসি লুকাতে ও সামনের দিকে ফিরে বলে,,,
রওশনঃ যত টুকু আমি আপনাকে চিনি আপনি একাউন্টিং এ অনেক কাঁচা তার উপর এক্সিডেন্ট এর কারনে সব ভুলে গিয়েছেন। এক কাজ করেন বসে বসে হিসাব করেন হয়তো একাউন্ট মিলাতে মিলাতে নিজের সম্পর্কেও কিছু মনে পরে যায় আপনার। ( বাঁকা হেসে)
রওশন আর কিছু না বলে বেরিয়ে যায় আর সুবহা বোকার মতো তাকিয়ে আছে ওর যাওয়ার দিকে।
রওশন যেতেই সুবহা আঙ্গুল দিয়ে হিসাব করতে শুরু করে,,,
সুবহাঃ বার ঘন্টায় অর্ধেক দিন, চব্বিশ ঘণ্টায় একদিন তাহলে আর কত যোগ করলে ছত্রিশ ঘন্টা হবে?( ভাবছে ও )
???
বক্সিং ক্লাবে প্রাকটিস করছে আভি। টি শার্ট আর ট্রাউজার পড়া হাতে রেড গ্লাভস পরে পাঞ্চিং ব্যাগে লাগাতার ঘুষি মারছে ও।
শরীর বেয়ে ঘাম ঝড়ছে তাও থামছে না। হাঁপিয়ে গিয়ে গ্লাভসটা খুলে গ্লুকোজ এর বোতল বের করে মুখে দিল ও সাথে সাথে কেউ আভির মুখে পাঞ্চ মেরে দেয়। বোতলটা এক দিকে আর আভি গিয়ে অন্যদিকে পরে।
আভি রেগে উঠে দাঁড়িয়ে সামনের মানুষটিকে মারতে নিলেই তার চেহারা দেখে থমকে যায়।
আভিঃ বা বিগ ব্রো?( অবাক হয়ে)
আভি কথাটা বলার সাথে সাথে রওশন ওর মুখে আরেকটা পাঞ্চ মারলো আভি পাশের সোফায় পরে গেল।
আভিঃ আরেহ করছো কি পাগল হয়ে গেলে নাকি বিগ ব্রো? ( সোফার পেছনে দাঁড়িয়ে)
রওশনঃ তুই দূরে যাচ্ছিস কেন সামনে আয় আজকে তোর এই সুন্দর ফেসের লুক বদলিয়ে দিব আমি দাঁড়া তুই। ( তেড়ে গিয়ে)
আভিঃ আরেহ ডার্ক গ্ৰুপ মাফিয়া লিডার দা গ্যাংস্টার রওশন সাদিক রায়জাদা পাগল হয়ে গিয়েছে কেউ এই পাগল রায়জাদা থেকে এই মাসুম বাচ্চার মতো কিউট আভি রায়জাদাকে বাঁচাও। ( সরে গিয়ে)
রওশনঃ তোকে আজকে কিউট থেকে মিউট বানাবো দাঁড়া তুই।
আভিঃ আমাকে পাগল কুকুরে কামড়ায় নি যে তুমি বলবে দাঁড়াতে আর আমি গুড বয়ের মতো দাঁড়িয়ে তোমার হাতের ঠাসস ঠুসসস মার খাবো।
আমিও সিবিআই অফিসার আভি রায়জাদা ওকে আমিও,,,
রওশনঃ আমিও কি?
আভিঃ আমিও দৌড়াতে পারি। ( বলেই দৌড়)
To be continued….
#Mr_Arrogant_2 ?
#The_Gangster_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_5
.
.
.
.
আভিঃ আরেহ আস্তে ব্রো লাগছে আইইইই,,( ব্যথায় )
রওশনঃ চুপচাপ বস নাহলে আরো খাবি। ( ধমক দিয়ে)
রওশনের ধমকে আভি চুপসে গেল মুখটা পুরোই ভেজা বিড়ালের মতো হয়ে আছে ওর। রওশন আভির মুখে যেখানে যেখানে ঘুষি লেগে নীল হয়ে গিয়েছে সেখানে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে।
আভিঃ বাহ্ এটাকে বলে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা। ( মুখ বাঁকিয়ে)
আভির কথায় রওশন ইচ্ছে করে আভির ব্যথা যায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে দেয়।
আভিঃ আউচচ লাগছে তো,,,
রওশনঃ লাগার জন্যই দিয়েছে স্টুপিড।
আভিঃ ডোন্ট কল মি স্টুপিড বিগবি আমি এখন ছোট না ওকে সিবিআই অফিসার আভি রায়জাদা আমি। ( ভাব নিয়ে)
রওশনঃ হ্যাঁ সিবিআই অফিসার আভি রায়জাদা যার বয়স পঁচিশ হয়েছে অথচ বুদ্ধি এখনো হাঁটুর নিচে।
আভিঃ বুদ্ধি হাঁটুর নিচে থাকে?( বোকার মত)
রওশনঃ তোর ক্ষেত্রেই তো তাই দেখা যাচ্ছে।
আভিঃ আভি আনকমন তাই আভির বুদ্ধি ও আনকমন যায়গায় থাকে। ( হেসে)
রওশন রেগে আভির দিকে তেড়ে গেল আর আভি উঠে বেডের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।
[ ফাইটিং ক্লাবে আভিকে তখন দৌড়ানি দিয়েছিল রওশন আর আভি রওশন থেকে পালিয়ে ওর ফ্ল্যাটে চলে আসে। কিন্তু রওশনের কাছে এক্সট্রা চাবি ছিল সেটা দিয়ে ও ঢুকে পরে আর আভির বাকি মার গুলো এখানে দেয়। আভিকে পিটিয়ে ওকে এতক্ষন মলম লাগাচ্ছিল রওশন। ]
আভিঃ তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস বিগবি শুধু শুধু তখন পিটালি আবার বাসায় এসেও পিটালি আরে এয়ার আমি করেছি কি হ্যাঁ। লুক এই মাসুম বাচ্চার উপর এতো অত্যাচার উপরওয়ালা সহ্য করবে না। আর হ্যাঁ তুই যদি আবার আমার উপর হাত তুলিস তাহলে আমিও কিন্তু;
রওশনঃ আমিও কিন্তু কি?( ভ্রু কুঁচকে)
আভিঃ কি আর করব দৌড় দিব। ( মুখ বাঁকিয়ে) যতই হোক বড় ভাইয়ের উপর তো হাত তুলতে পারবো না পাপ হবে পাপপপ,,,,( জোরে বলল,,)
রওশনঃ তুই সামনে আস আগে,,,
আভিঃ নো ওয়ে আমি আর মার টার খেতে পারবো না। আমার সুন্দর চেহারার নকশা বদলে দিয়েছিস তুই। ( গালে হাত রেখে কাঁদো কাঁদো ভাবে)
রওশনঃ ওকে ফাইন মার দেওয়া ক্যান্সেল তুই এসে আমার প্রশ্নের উত্তর দে কাম হেয়ার।
আভিঃ প্রমিস মার দিবি না। ( চোখ ছোট ছোট করে)
রওশনঃ তুই আসবি নাকি আমি আসবো ওখানে?( রেগে)
আভিঃ নো নো বিগবি তুই কেন কষ্ট করবি আমিই আসছি।
রওশনঃ গুড বয়,,,
রওশন সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে পরল আর আভি অপরাধীর মতো ওর সামনে এসে দাঁড়ালো।
রওশনঃ প্রথম থেকে সব বল। তোর জিলাপির মতো মস্তিষ্কের জিলাপির মতো প্লান।
আভিঃ কি বলবো আর কোন প্লান?( না জানার ভান করে)
রওশনঃ তুই কি আরও মার খেতে চাস?
আভিঃ বলছি তো,,,( জোর করে হাসার জন্য করে )
আভি রওশনকে ওর পুরো প্লান বলছে কিভাবে ও সুবহাকে রওশনের কাছে যাওয়ার জন্য রাজি করিয়েছে। কিভাবে সুবহা রওশনের গাড়ির নিচে পরলো সব। রওশন অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আভির দিকে।
আভি সব বলা শেষ করে রওশনের পাশে বসে পরল।
রওশনঃ এতো কিছু কেন করলি?( অবাক হয়ে)
আভিঃ তোর জন্য। ( মুখ ফুলিয়ে) আমি তো তোর মতো স্বার্থপর না ব্রো যে চোখের সামনে নিজের ভাইয়ের পেইন দেখেও হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবো। আমি চাই তুই ভালো থাক হ্যাপি থাক যে কোন মূল্যে। U don’t care about me but I care about u big b. ( তাচ্ছিল্য হেসে অভিমানী স্বরে)
রওশনঃ আমি তোর কেয়ার করি না সিরিয়াসলি আভি! তোর জন্যই তো এই নাটক সাজিয়েছি আমি। লুক অ্যাট মি তুই দূর্বল হয়ে পরছিস?
আভিঃ নো ওয়ে ভাই আমি আর দূর্বল; ইম্পসিবল। ( ঠোঁটের হাসি ফুটিয়ে)
রওশনঃ আর তো কিছুদিন আভি তারপর সব আগের মতো হয়ে যাবে দেখিস। আদনান রায়জাদা জাস্ট একটা ভুল করবে আর তারপর আমাদের জালে নিজেই ফেঁসে যাবে। তার বিরুদ্ধে সব প্রমান কালেক্ট করতে হবে আমাদের।
আভিঃ হু খুব শিঘ্রই এই গেমের ইতি টালবো আমরা। ( চোখে হিংস্রতা এনে )
আচ্ছা সেটা বাদ এখন বল সুবহা কেমন আছে এখন? ট্রাস্ট মি ব্রো আমিতো ওকে একটু দূর থেকেই পরে যেতে বলেছিলাম কিন্তু ওতো পুরো গাড়ির সাথে লেগে পরেছে। আমি বুঝতে পারিনি এমন হবে। ( গিল্টি ফিল করে )
রওশনঃ ও এখন ঠিক আছে। মাথায় জাস্ট হালকা ব্যথা পেয়েছিল ডক্টর ঘুমের ঔষধ দিয়েছিল কিছুক্ষণ আগে জ্ঞান ফিরেছে,,, আর জ্ঞান ফিরতেই তোর শেখানো ড্রামা শুরু করলো। ( হেসে দিয়ে )
আভিঃ রিয়েলি উফফ আমি মিস করে দিলাম ওর অ্যাক্টিং। বাই দ্যা ওয়ে কেমন অ্যাক্টিং করলো আমার স্টুডেন্ট।
রওশনঃ খুব বাজে অ্যাক্টিং এয়ার। ( হেসে উঠলো রওশন ) ওর অ্যাক্টিং দেখে আমার হাসি কন্ট্রোল হচ্ছিল না। যেমন গুরু তেমন শিষ্য নাথিং টু সে।
আভিঃ ও হ্যালো সুবহার #The_Gangstar_Lover আমি মোটেও খারাপ অ্যাক্টার না ওকে। তোমার সুবহাই ভালো অ্যাক্টিং পারে না হুহ। আমার অ্যাক্টিং এর সামনে আরেফিন শুভ আর রোশান ও হার মানবে। ( ভাব নিয়ে)। স্বপ্ন ছিল সুপাস্টার হবো কিন্তু তোর পাল্লায় পড়ে সিবিআই অফিসার হতে হলো। Look at my innocent…….ওহহ নো আমার ফেসসসস,,,( আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের ফেস দেখে চিৎকার দিল আভি)
[ডান গাল আর বাম চোখ নীল হয়ে গিয়েছে]
রওশনঃ কি হয়েছে তোর?
আভিঃ ব্রো তুই আমার ফেসের অবস্থা কি করলি আল্লাহ! এই চেহারা নিয়ে আমি আমার ১২৫ নম্বর গার্লফ্রেন্ড এর সামনে কিভাবে যাবো।( কাঁদো কাঁদো ভাবে)
রওশনঃ ১২৫?( হচকিয়ে) আবারো ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে তোর?( অবাক হয়ে)
আভিঃ ওই ডায়েন ওহির জন্য ব্রো। যখন থেকে আমার লাইফে এন্ট্রি নিয়েছে এক এক করে আমার সব গার্লফ্রেন্ড আমাকে বিয়ের আগে ডিভোর্স দিয়ে চলে গিয়েছে।
রওশনঃ ব্রেভ গার্ল ওকে তো প্রাইস দেওয়া উচিত। তোর জন্য ওহিই পার্ফেক্ট আছে।( বিরবির করে)
আভিঃ ব্রো আমাকে ওই চুরেলের হাত থেকে রক্ষা কর নাহলে তোর ওয়ান অ্যান্ড অনলি মাসুম ভাই সারাজীবন কুমারা থেকে যাবে।( অসহায় ভাবে)
রওশনঃ বেশ হয়েছে তোর সাথে। ওহির মতো মেয়েই প্রয়োজন তোর লাইফে। ( হেসে)
আভিঃ ইউউউ আমিও তোর জন্য দোয়া করলাম যে সুবহা তোকে ইচ্ছে মত জ্বালায় তোর লাইফ যেন ভাজা পুরি বানিয়ে দেয়।
রওশনঃ দেখা যাবে,,,
আভিঃ দেখে নিসসস,,,
প্রায় অনেকক্ষণ আভির সাথে কথা বলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রওশন। ডক্টরকে সাথে করে নিয়ে আসছে ও।
???
সুবহার সামনে বসে আছে ডক্টর আর সামনেই রওশন দাঁড়ানো।
ডক্টরঃ তাহলে আপনি সব ভুলে গিয়েছেন তাই না?( গম্ভীর ভাবে)
সুবহাঃ জি,,,
ডক্টরঃ আপনার মতে আপনার স্মৃতি হাড়িয়ে গিয়েছে রাইট?
সুবহাঃ আজ্ঞে জিইই,,
ডক্টরঃ ও আচ্ছা বলেন তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নাকি শেখ হাসিনা।
সুবহাঃ আবে স্টুপিট তুই কি এখানে আমার সোশ্যাল সাইন্স টেস্ট নিতে এসেছিস যে এসব প্রশ্ন করছিস? দেখতে তো জোকারের মতো আসছে ডাক্তার গিড়ি করতে। ( মনে মনে )
ডক্টরঃ বলেন?
সুবহাঃ মনে হয় দিপু মনি।
রওশন মুখ টিপে হাসছে আর ডক্টর গম্ভীর মুখে সুবহার দিকে তাকিয়ে আছে।
ডক্টরঃ আচ্ছা বলেন বনের রাজা কে?
সুবহাঃ এখানে বন পেলেন কোথায়?
ডক্টরঃ মনে করেন এটা একটা বন এখন বলেন বনের রাজা কে?
সুবহাঃ গনিত পেয়েছেন যে উল্টাপাল্টা জিনিস মনে করবো আর প্রমান করবো?( কিছুটা রেগে)
ডক্টরঃ আচ্ছা বাদ দেন। আপনি হা করেন তো।
সুবহাঃ হা (ছোট করে)
ডক্টরঃ একটু বড় করে হা করেন।
সুবহাঃ হাআআআআআআ,, ( বড় করে)
ডক্টরঃ ইনি আসলেই সব ভুলে গিয়েছেন। আপনার জন্য কষ্ট লাগছে।
সুবহাঃ আমি আগেই বলেছিলাম যে আমি সব ভুলে গিয়েছি হুহ।
ডক্টরঃ মি. রওশন আপনি আমার সাথে বাইরে আসুন। আর আপনি মিস আপনি রেস্ট করুন ওকে।
সুবহাঃ জি। ( ফুট এখান থেকে আহাম্মক ডাক্তার। মনে মনে)
রওশন ডক্টরকে নিয়ে বাইরে চলে আসলো। বাইরে এসেই ডক্টর এর বেশে থাকা অয়ন নিজের নকল দাঁড়ি গোঁফ খুলে ফেলল,,,
অয়নঃ বস আমার অ্যাক্টিং কেমন ছিল?( খুশি হয়ে)
রওশনঃ তুমিও তো আভির স্টুডেন্ট তাহলে অ্যাক্টিং কেমন হবে সেটা নিজেই বুঝে নেও।
অয়ন বেচারা একটু তারিফের আশা করছিল কিন্তু সেটাও জুটলো না।
রওশনঃ যাও অফিসে গিয়ে দেখো কাজ কেমন চলছে।
অয়নঃ ওকে বস।
অয়ন চলে যেতেই রওশন সুবহার রুমের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলে,,,
রওশনঃ আমার সাথে গেম খেলা অনেক ভারি পরবে তোমার উপর সুবহা জান। তুমি আমার রাজ্যে নিজের ইচ্ছায় প্রবেশ করছো কিন্তু এখান থেকে বের হতে তোমার আমার অনুমতি লাগবে। আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই অনুমতি আমি তোমাকে দিব না। ( বাঁকা হেসে)
To be continued…..