Mr_Devil #Part_14,15,16

0
3131

#Mr_Devil
#Part_14,15,16
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)
Part_14

অফিস শেষে যে যার পথে রওনা দিলো

রশ্নিও তার ব্যাগ পত্র গুছিয়ে যেই না বের হতে নিবে ঠিক তখনই কেউ একজন এসে ওর মুখ চেপে ধরে অন্ধকার একটা রুমে নিয়ে গেল,,,

এত তাড়াতাড়ি ঘটনাটা ঘটার কারণে রশ্নি চমকে উঠলো

রশ্নি চিৎকারও করতে পারছে না কারন লোকটা তার হাত দিয়ে রশ্নির মুখটা চেপে ধরে রেখেছে আর

রশ্নি তার দুই হাত দিয়ে লোকটিকে অনেক ধাক্কাচ্ছে কিন্তু এক চুল পরিমান ও নড়াতে পারছে না

লোকটা এবার রশ্নির দুই হাত নিয়ে তার অন্য হাত দিয়ে রশ্নির পিছনে মুচড়ে ধরলো যার ফলে রশ্নি কিছুটা ব্যথাও পেলো কিন্তু কিছু বলতে পারল না

অনেক্ষন হয়ে গিয়েছে কিন্তু লোকটি শুধু রশ্নিকে দেখেই যাচ্ছে

রশ্নি এতক্ষনে খেয়াল করলো রুমটার ভিতরের একটা ছোট্ট জানালা থেকে কিছুটা আলো ভিতরে আসছে যা দিয়ে লোকটার চোখগুলো দেখা যাচ্ছে

লোকটা নেশাক্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে এই নেশাক্ততার গভীরতা টা মাপা কারো পক্ষে সম্ভব না

লোকটা এবার আস্তে আস্তে রশ্নির কাছে আসছে যা দেখে রশ্নি চোখ বন্ধ করে নিলো কারন ওর যে এখন কিছুই করার নেই

রশ্নি চোখ বন্ধ করে তার গলায় কারো স্পর্শ অনুভব করতে পারলো
স্পর্শটা ধীরে ধীরে গভীর হতেই চলেছে
লোকটার গরম নিঃশাস রশ্নির ঘাড়ে আছড়ে পরছে

রশ্নি: নাহ এই স্পর্শ আমার কাছে নতুন নয় আমি আগেও পেয়েছি এই স্পর্শ তাহলে কি আমার ভাবনাটাই ঠিক,,,,,,,,

রশ্নির হাতের বাধনটা কিছুটা ঢিলা হয়ে এসেছে সেই সুজকে রশ্নি লোকটিকে ধাক্কা দিয়ে ওর কাছ থেকে সরিয়ে দিল

রশ্নির এমন কাজে লোকটা প্রচন্ডভাবে রেগে গেল

রশ্নি: স্যার আপনি,,,,,,(চেচিয়ে)

রশ্নির কথা শেষ হওয়ার আগেই লোকটা এসে রশ্নির চুলের ভিতর নিজের হাত ঢুকিয়ে মুঠি করে ওকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো

⁂︎ বাহ এত তাড়াতাড়ি এতটা পরিচিত হয়ে গেছ আমার স্পর্শের সাথে একবারেই চিনে ফেললে,,,(রশ্নির ঘাড়ে লিক করতে করতে বললো ইয়াশ)

{So guys আপনারা যে লিজেন্ডারী মস্তিষ্ক নিয়ে ঘুরেন তা দিয়ে নিশ্চই আগেই বুঝে গেছিলেন যে এটা আর কেউ না আমাদের ভিলেন রুপি নায়ক ইয়াশ আহমেদ তাই আর নতুন কইরা পরিচয় করাই দিলাম না??}

রশ্নি: স্যার আপনি কি চাইছেন আমার থেকে আমি কি করেছি আপনার আবারো কেন এসেছেন আমার কাছে

ইয়াশ: উম ডু নট আস্ক টু মি দ‍্যাট হোয়াট আই ওয়ান্ট বিকজ আই ওয়ান্ট ইউ
(রশ্নির কানের কাছে ফিস ফিস করে)

ইয়াশের কথা শুনে রশ্নির অবস্থাটা এখন কেমন হতে পারে সেটা আপনারাই ইম্যাজিন করে নিন??

ইয়াশ: ???,,,,,,,,,,,,

হঠাৎ ইয়াশ রশ্নিকে ছেড়ে খুব জোরে জোরে হেসে উঠলো

রশ্নি: পাগল টাগল হয়ে গেল নাকি (মনে মনে)??

ইয়াশ আবার রশ্নির কাছে এসে কানে কানে ফিস করে বললো: উম্ম,,,,গার্ল আই অ্যাম ক্রেজি এবাউট ইউ

রশ্নি: স্যার আপনার কি কিছু হয়েছে? এসব কি বলছেন আপনি???

রশ্নির কথায় এবার ইশের ধ্যান ভাঙলো কারন এতক্ষন ও যা বলছিল তা ঘোরের মধ্যে বলছিল

ইয়াশ: আই ওয়াস জাস্ট কিডিং

রশ্নি: ?

ইয়াশ কি বলবে বুঝতে পারছে না কারন ও এতক্ষন যা বলছিল তা সত্যিই অনেকটা আজব ছিল

ইয়াশ কি বলবে বুঝতে না পেরে হঠাৎ রশ্নিকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে ওর ঠোঁটের মাঝে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে নিলো

রশ্নি কিল ঘুষি দিয়েই যাচ্ছে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য কিন্তু তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না বরং ইয়াশ আরো বিরক্ত হচ্ছে যার ফলে ইয়াশ ওর দুই হাত দেওয়ালে চেপে ধরে

একটা অন্ধকার রুমে চেয়ারের সাথে হাত পা বাধা আর অজ্ঞাত অবস্থায় সানা পরে আছে

রুমটার মধ্যে একটা লাইট জ্বলছে আর নিবছে সাথে কয়েকটা রশি ঝুলছে আর চার পাশের দেওয়াল গুলোও কেমন পোড়া পোড়া
দেখেই মনে হচ্ছে কিডন্যাপিং স্পট

সানা পিট পিট করে চোখ খোলার চেষ্টা করছে কিন্তু বার বার বন্ধ হয়ে আসছে

রুমটার ভিতরে একটা লোক প্রবেশ করলো

সানাকে এভাবে দেখে লোকটার ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো

লোকটা গিয়ে সানার পাশে বসে ওর গালে হাত দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো

— তুমি কি জানো শুধু এই মুখটা দেখার জন্য আমি এত দূর থেকে এখানে ছুটে এসেছি (সানার গালে স্লাইড করে বললো)

সানা: পা-পানি,,,

— পানি পিপাসা পেয়েছে? ওয়েট দিচ্ছি

বলেই লোকটা তার পাশের টেবিল থেকে পানির বোতল টা নিয়ে সানাকে খাইয়ে দিলো

সানা এবার সম্পূর্ণ ভাবে চোখ মেলে তাকালো

তার সামনে বসে থাকা লোকটাকে দেখে আৎকে উঠলো

সানা: আআআপপনননি,,,,,,,,,(চেচিয়ে)

— হুশশশ (সানার মুখে আঙ্গুল দিয়ে)

দেখতে দাও, এই চোখগুলো যে তার প্রিয়াকে দেখার জন্য তৃষ্ণার্থ

সানা: আপনি বাংলাদেশ কবে ফিরলেন সেহের!!!

(এই জনাবের পরিচয় টা আগে করিয়ে দেই
ইনি হলেন সেহরান রাহমান নিকনেম সেহের
এশিয়ার টপ ফাইভ বিজনেস ম্যানদের মধ্যে ইনিও একজন
দেখতে ভীষন সুদর্শন যে কোনো মেয়ে প্রথম দেখাতে ক্রাশ খাবে কিন্তু আমাদের নায়ক ভাইয়ের থেকে বেশি কিউট না?
আর দুস্টু মিষ্টি রাগী স্বভাবের ছেলে
সানার সাথে কিভাবে পরিচয় সেটা নাহয় পরেই জানবেন?)

সেহের: কেন খুব আফসোস হচ্ছে? আগে থেকে জানলে তো নিশ্চই পালাতে

সানা: আপনার এসব কথার জন্যই আপনাকে আমার ভালো লাগে না

সেহের: এসব কথা না বললে ভালো লাগবে?

সানা: উফ,,,,আপনি এত কথা পেচান কেন জিলাপির মতো?? বাই দা চিপা গোল্লি আমাকে এখানে নিশ্চই আপনি এনেছেন??

সেহের: ইয়াহ,,,

সানা: কেএএএনননন???

সেহের: তোমাকে নিজের করে নিতে

সানা: জাস্ট শাট আপ? আর একটা কথা বলুন তো এতদিন আপনিই আমাকে ফলো করছিলেন তাই না

সেহের: ইয়ে মানে,,,,,,

সানা: মানে আপনিই ছিলেন

সেহের: হ্যা মানে না আসলে,,,,,,

সানা:?

সেহের: হ্যা আমিই ছিলাম??

সানা: পাগল একটা (মনে মনে)

সানা: বুঝেছি আর কিছু বলতে হবে না বাট আমাকে এখানে এভাবে বেঁধে রেখেছেন কেন,,,,

সেহের: আসলে একটু অন্য রকম ভাবে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম (সানার বাধন খুলতে খুলতে বললো)

.
চলবে,,,

#Mr_Devil
#Part_15
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)

.
★চৌধুরী বাড়ি★

রশ্নি, মামা আর নাহিদ টেবিলে বসে ডিনার করছে
নাঈম বেগম আজ আবারো সাহিদ চৌধুরীর সাথে ঝগড়া করেছে তাই নিজের রুমে খেয়ে ওখানেই ঘুমিয়ে গেছেন

রশ্নি আনমনা হয়ে প্লেটের খাবার গুলো নাড়ছে

নাহিদ ইশারায় তার বাবাকে কিছু একটা বললো যা দেখে সাহিদ চৌধুরী সম্মতি দিলো

মামা: রশ্নি মা (রশ্নিকে হালকা ধাক্কা দিয়ে)

মামার ডাকে রশ্নির ধ্যান ভাঙলো ও সাহিদ চৌধুরীর দিকে প্রশ্নাক্ত দৃষ্টিতে তাকালো

মামা: কি নিয়ে এত ভাবছ?

রশ্নি: কই না তো,,,,

মামা: খাচ্ছ না যে?

রশ্নি: না এমনি,,,,,,খাচ্ছি

মামা: হুম,,,,,,তোমার সাথে কিছু কথা ছিল

রশ্নি: হুম বলো,,

মামা: তোর আর নাহিদের বিয়ের ব্যাপারে

রশ্নি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে

মামা: তুই আর নাহিদ তো ছোট বেলা থেকেই এক সাথে আছিস,,,,,

রশ্নি:,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,

মামা: দেখ আমি নাহিদ আর তোকে কখনো আলাদা চোখে দেখিনি,,,,,,,যেমন ও আমার ছেলে তেমনি তুইও আমার মেয়ে,,,তাই আমি চাই তোকে নাহিদের বউ বানিয়ে এই বাড়িতেই রাখতে তোকে ছেড়ে আমি কিভাবে থাকবো বল
আর তুই আর নাহিদও তো একে অপরকে পছন্দ করিস তাই না,,,,

রশ্নি: আমার ভাবার জন্য একটু টাইম লাগবে মামা,,,,,(নিচের দিকে তাকিয়ে বলল)

মামা: কোনো সমস্যা নেই,,,,,তোর যত খুশি তুই সময় নে,,,,,, সময় নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা ভাবনা করে নিজের মতামত জানা কেমন
(রশ্নির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে সেখান থেকে চলে গেলেন)

.
নাহিদ: রশ,,,,,,

নাহিদের সাথে চোখাচোখি হওয়াতে রশ্নি খাবার রেখে উঠে গেল
হাত ধুয়ে সোজা নিজের রুমে যেয়ে তার ঘরের জানালার পাশে বসে পড়লো

ইয়াশ তার বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে আর আজকের অফিসের ঘটনার কথা ভাবছে

তার মুখে অদ্ভুত এক রহস্যময় হাসি

এই হাসি যেন কোনো বড় ঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে

হঠাৎ দরজায় নক পড়ায় ইয়াশ ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসলো

ইয়াশ: কাম,,,,,

ইয়াশের কণ্ঠস্বর শুনে দরজার বাহিরে থাকা মানুষটি ভিতরে প্রবেশ করলো,,,,,

ইশু,,,,,,,,,

নামটা শুনেই ইয়াশের রাগে গা জ্বলে গেল
মনে হচ্ছে যেন কেউ ওকে বিরক্তির ট্যাবলেট খাইয়ে দিলো

ইয়াশ: আমি আগেও অনেকবার বলেছি আজ আবারো বলছি,,,,,আমার ইয়াশ নট ইশু

[ভাই রে ভাই বুঝতেই তো পারছো এইটা কে তাই আর নতুন কইরা ইন্ত্রডিউজ করাইলাম না?]

নেহা: আমি তো ভালোবেসে,,,,

ইয়াশ: জাস্ট শাট আপ নেহা,,,,,দেখো আমার সাথে এসব আলগা পীড়িত দেখাইতে আসবা না,,

নেহা: সে আর নতুন কি আমার ভালোবাসা তো সবসময় তোমার কাছে নাটকই লেগেছে,,,,,
(নেকা কান্না করে)

ইয়াশের এইসব বিরক্ত লাগছে তাই সে নেহার পাস কেটে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল

এটা দেখে নেহার রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে

নেহা: ইউ হ্যাভ টু বি মাইন (চিল্লিয়ে)

ইয়াশ: ইন ইওর ড্রিমস,,,,,,,বলেই ইয়াশ পকেটে হাত ঢুকিয়ে শীষ বাজাতে বাজাতে সেখান থেকে চলে গেল

■_______পরের দিন অফিসে_______■

রশ্নি তার মামার কালকে রাতে বলা কথা গুলো ভাবছে আর হাঁটছে
হঠাৎ একজনের সাথে রশ্নি ধাক্কা খায় যার ফলে সামনের বেক্তিটি পরে যেতে নেয়

কিন্তু তার আগেই রশ্নি তাকে ধরে ফেলে

রশ্নি: হাইরে মাইয়া,,,,,,দেইখা শুইনা চলতে পারস না

সানা: দেইখা বুঝলাম কিন্তু শুইনা আবার চলে কেমনে,,
আর তুই দেইখা চলতে পারস না? একে তো ধাক্কা দিয়ে ফালায় দেস আবার কথা শুনাস

রশ্নি: আচ্ছা বাবা মাফ কর? এবার বল এত তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছিলি?

সানা: কেন তুই জানিস না??

রশ্নি: কি জানুম সেটাই তো জানি না?

সানা: স্যার সবাইকে তার ক্যাবিনে ডেকেছে

রশ্নি: এইটা এমন বলতে হয়,,,আমি মনে করছি কি না কি হইছে?

সানা: বেশি কথা না বইলা চল

তারপর সানা রশ্নিকে টেনে নিয়ে গেল ইয়াশের ক্যাবিনে

ইয়াশের ক্যাবিনে সবাই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে

সবার নীরবতা ভেঙে ইয়াশ বলা শুরু করলো

ইয়াশ: আই ওয়ান্টস টু আনাউন্স সামথিং

সবাই একসাথে ইয়াশের দিকে তাকালো,,,,,,,,

ইয়াশ: NAC কম্পানির সাথে আমাদের যে ডিল টা হওয়ার কথা ছিল সেটা আলহামদুলিল্লাহ হয়ে গেছে সো আমরা অনেক বড় একটা প্রজেক্ট পেতে চলেছি,,

ইয়াশের কথা শুনে সবার মুখে খুশির ছাপ স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে,,,,,,

৲৲ওয়াও স্যার এটা তো খুবই খুশি খবর (পাশের থেকে নিয়ারা নামের একটা মেয়ে বলে উঠলো)

ইয়াশ: ইয়াহ,,,,,তাই কাল আমাদের অফিসে একটা পার্টি হতে চলেছে যেখানে NAC কম্পানির MD আসছেন আর সেখানেই সে ডিলটা সাইন করবেন

সবাই পার্টির কথা শুনে আরো খুশি হলেন,,,,,,

ইয়াশ: হুম সো এখন সবাই জান আর কাজে লেগে পড়ুন

ইয়াশের কথা শুনে সবাই ক্যাবিন থেকে বেরিয়ে সবাই নিজের নিজের কাজে লেগে পড়লেন

রশ্নি বের হতে নিবে তখনই ইয়াশ রশ্নিকে পিছন থেকে ডাক দিল,,,,,,

ইয়াশ: মিস খান আপনি দাঁড়ান,,,,আপনার সাথে কিছু দরকারি কাজ আছে,,,,,

ইয়াশ কথা টা ত‍্যারা ভাবে বললো যা শুনে রশ্নি কিছুটা আন্দাজ করতে পারলো কি কাজ হতে পারে

রশ্নি: কিন্তু স্যার আমারতো কিছু কাজ,,,,,,

ইয়াশ: জি কাজের জন্যই বলছি (বাঁকা হেসে)

সানা: তুই থাক আমি আসছি

রশ্নি: সান,,,,,,

রশ্নির কথা বলার আগেই সানা বেরিয়ে গেল

রশ্নি: যা চলে গেল ?

.
চলবে

#Mr_Devil
#Part_16
#Writer_Aruhi_Khan (ছদ্দনাম)

ইয়াশ ওর পিছন থেকে একটা প্যাকেট বের করে রশ্নির সামনে ধরলো

রশ্নি প্যাকেটটার দিকে একবার তাকিয়ে তারপর আবার ইয়াশের দিকে তাকিয়ে জিগ্গেস করলো

রশ্নি: এটা কি?

ইয়াশ: জাস্ট এ লিটেল গিফট ফ্রম ইওর Mr_Devil
(রশ্নির হাতে প্যাকেট টা দিয়ে)

রশ্নি: কিন্তু এটার ভিতর আছে টা কি??

ইয়াশ: নিজের ডেস্কে যেয়ে দেখে নিও

রশ্নি: কিন্তু স্যার,,,,,

ইয়াশ: নাও ইউ ক্যান লিভ,,,,(মুড নিয়ে)

ইয়াশের কথা শুনে রশ্নি মুখ বেকিয়ে (?) সেখান থেকে চলে গেল

আর ইয়াশ রশ্নির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রহস্যময় এক হাসি দিল

.
★___________রশ্নির ক্যাবিনে___________★

রশ্নি ওর ক্যাবিনে এসে যেই না প্যাকেটটা খুলতে যাবে ঠিক তখনই সেখান সানার আগমন ঘটে

সানা: কিরে কি লুকাচ্ছিস আমার থেকে??

রশ্নি: আরেহ কিছু না জাস্ট ব্যাগটা পরে গেছিল তাই সেটা উঠিয়ে রাখলাম

সানা: সত্যি তো??

রশনি: হ্যা হ্যা?

সানা: আচ্ছা ঠিকাছে ?

রশ্নি: বাই দা চিপা গল্লি,,,,,আজকাল আমি তোরে দেখতাছি তুই একা একাই কিছু ভাইবা হাসতে থাকোস পাগলের মতো
ব্যাপার কি প্রেমে ট্রেমে পড়লি নাকি? ?

সানা: না মানে আসলে ইয়ে মানে ঐযে ই ই উ উ

রশ্নি: হইছে বুঝছি থাম থাম?

সানা: ?

রশ্নি: সেহের ব্যাক করসে? (অন্যদিকে তাকিয়ে মিদ্রু হেসে)

রশ্নির কথায় সানা হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে
যা দেখে রশ্নি এক হাত দিয়ে সানার মুখটা বন্ধ করে দিলো

রশ্নি: হাতি ঢুকে যাবে তো মুখে (হাসি আটকে রাখার চেষ্টা করে)

সানা: মাম্মা তুই কেমতে জানলি ?

রশ্নি: তোরে দেইখাই বুঝা যায় ??

সানা: উমম ??

রশ্নি: শুন আর পোলাটারে আর ভুগাইস না? এবার মনের কথাটা বলেই দিস

সানা: হুম (লজ্জায় নিজের দিকে তাকিয়ে)

রশ্নি: গুড?

সানা: আচ্ছা আমি আসি আমার একটু কাজ আছে,,,,,

রশ্নি: ওকে

তারপর সানা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল
কিন্তু রশ্নির আর প্যাকেটটা খুলে দেখার কথা মনে নেই ও নিজের কাজে লেগে পরে

ইয়াশ লাইটার দিয়ে তার হাতে থাকা একটা ছবিতে আগুন লাগিয়ে দিল

পরক্ষনেই ছবিটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল

ছবিটার পুড়ে যাওয়া দেখে ইয়াশের মনে যেন ভীষন আনন্দ হলো

— জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ তোমার জীবনটাকেও এভাবে পুড়িয়ে ছাই করে দিব (বাঁকা হেসে)

রশ্নি নিজের ক্যাবিনে কাজ করছিল তখন সেখানে অফিস বয় এসে জানালো যে বস ওকে ডাকছে

রশ্নি বেশি কিছু না ভেবে ইয়াশের ক্যাবিনে যায়

নক করে ভিতরে প্রবেশ করলো রশ্নি

রশ্নি: স্যার কোনো কাজ ছিল?

ইয়াশ: জি (দুই হাতের উপর নিজের থুতনি রেখে)

রশ্নি: তো বলুন?

ইয়াশ: কফি ?

রশ্নি: এ্যা??

ইয়াশ: হ্যা,,,,,যান এক মগ কফি নিয়ে আসুন

রশ্নি: স্যার এটা আমার কাজ না?
আপনি অফিস বয়কে বলতে পারেন?

ইয়াশ: আমার পিএস কে?

রশ্নি: আমি কি জানি,,,,,,উপস আমিই তো?

ইয়াশ: জি,,,,,তো আমি আমার প্রাইভেট সেক্রেটারিকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে কফি চাইতে চাইবো কেন?

রশ্নি: ওয়াহ কথায় পয়েন্ট আছে?

ইয়াশ: তো যান,,,,

রশ্নি: কোথায়??

ইয়াশ: কফি আনতে?

ইয়াশের চোখ রাঙানো দেখে রশ্নি দৌড় দিলো কফি আনতে,,,,

◆______******কিছুক্ষন পর******______◆

রশ্নি: এই নিন স্যার,,,,,,,,(কফির মগ এগিয়ে দিয়ে)

ইয়াশ: no পাত্তা,,,,,,,?

ইয়াশের কোনো জবাব না পেয়ে কিছুক্ষন পর রশ্নি আবার ডাকলো এতে ইয়াশ কিছুটা ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকালো

ইয়াশ: কি হয়েছে?

রশ্নি: আপনার কফি,,,,,

ইয়াশ: ওহ হ্যা দাও,,,,,

ইয়াশ কফি টা নিয়ে এক চুমুক দিয়ে বললো

ইয়াশ: তোমাকে তো হট কফি আনতে বলেছিলাম কিন্তু তুমি দেখি কোল্ড কফি নিয়ে এসেছো

রশ্নি: স্যার আমি তো আপনাকে সেই কবের থেকে ডাকছিলাম আপনিই কোনো আনসার দিচ্ছিলেন না তাই এতক্ষনে কফিটা তো ঠান্ডা হয়ে যাওয়ারই কথা?

ইয়াশ: শুনো আমি তোমার বস তুমি আমার না বুঝেছো? তাই বেশি কথা না বলে যাও নতুন করে বানিয়ে নিয়ে আসো।।।। বেশ ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো ইয়াশ

ইয়াশের কথা শুনে রশ্নি নাক ফুলিয়ে চলে গেল আবার কফি আনতে

কিছুক্ষন পর ও আবার কফি নিয়ে এলো

রশ্নি: এই নিন ?

ইয়াশ কফির মগে এক চুমুক দিয়েই চোখ মুখ ছিটকে বললো

ইয়াশ: উহুম এটা কফি নাকি শরবত? এত মিষ্টি কেনো?

রশ্নি: আগের বারের টাতেও তো সেইম পরিমান চিনি দিয়েছিলাম ওটার সময় তো কিছু বলেননি ?

ইয়াশ: তুমি আমার থেকে কৈফিয়ত চাইছো??

রশ্নি: সরি স্যার? এখন কি আবার যেতে হবে কফি বানানোর জন্য??

ইয়াশ: ব্রিলিয়েন্ট (বাঁকা হেসে)

রশ্নি চলে যেতে নিলে ইয়াশ পিছন থেকে বলে
উঠলো: চিনি এক চামুচ,,,,,,

রশ্নি: সাআআলা,,,,(বিড়বিড় করে)

রশ্নি আবারো নিয়ে আসলো
এবার বেশ বিরক্তির সাথেই ভিতরে ঢুকলো

রশ্নি: স্যার (ইয়াশের সামনে মগ ধরে)

ইয়াশ নিলো আর এর টেবিলের পাশে রেখে দিল

তারপই কফির মগটা নিয়ে একটা চুমুক দিয়ে কিছু একটা ভেবে তারপর বলল

হুমম এটা ঠিক আছে বাট,,,,,,,

বলেই ইয়াশ ওর পা দিয়ে ডাস্টবিনটা সামনে এনে কফিগুলো রশ্নির দিকে তাকিয়ে ফেলে দিলো

আর ইয়াশের এমন কাজে রশ্নি বি লাইক দিস ইমজি-(?)

রশ্নি: এটা যখন ঠিক ছিল তাহলে ফেলে দিলেন কেন ??

ইয়াশের: হুম এইটা ভালো ছিলো বাট এখন আর খাওয়ার মুড নেই (ভাব নিয়ে)

রশ্নি: সা,,,,,,,,

ইয়াশ: আপনি এখন আসতে পারেন,,,,

রশ্নি: সালা তোর জীবনেও ভালো হইবো না দেখে নিস?

ইয়াশকে গালাগালি করতে করতে রশ্নি রুম থেকে বেরিয়ে পরলো

ইয়াশের এটা করে কি লাভ হলো ও জানে না কিন্তু মজা অনেক পেয়েছে

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here