#Our_Unknown_Love_Story,03,04
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_3
শবনম অনুভব করে কেউ ওকে ধরে আছে। কিন্তু চোখ খুলে আশে পাশে ও কাওকে দেখতে পেলো না। কিন্তু এতো উপর থেকে পরেও ও কিভাবে বেঁচে আছে ভাবতে থাকে সে।
কবীরের ডাকে পিছনে ফিরে সে।
কবীর,মিশা,পাখি,ইরা সবাই দৌড়ে ওর কাছেই আসছে।
মিশাঃ Are you Ok Shabnam (হাপাতে হাপাতে )
পাখিঃ তোমার কোথাও লাগে নি তো তুমি ঠিক আছো। we are extremely sorry Shabnam. আমরা তোমাকে এখানে এনেছিলাম। তোমার কিছু হলে আমরা নিজেদের ক্ষমা করতে পারতাম না। ?
শবনমঃ It’s ok guys don’t be sorry আমার কিছু হয় নি আমি একদম ঠিক আছি দেখ। ( নিজেকে সামলে নিয়ে)
শবনম খেয়াল করলো কবীর মাথা নিচু করে ওর থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে আছে। তাই ও কবীরের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলল look Kabir I’m absolutely all right কিছু হয়নি আমার। ওর কথায় কবীর মাথা তুলে তাকালো। চোখ দুটো ছলছল করছে ওর।
কবীরঃ I’m sorry Shabnam. আ আমি তোমাকে প্রমিস করেছিলাম আমরা তোমাকে কিছু হতে দেব না। কিন্তু আমি নিজের কথা রাখতে পারি নি। আমি থাকতে তু তুমি নিচে পরে গেলে। আমি যদি তোমার হাত স্ট্রংলি ধরতাম তাহলে তুমি নিচে পরে যেতে না। ( মাথা নিচু করে অপরাধী ভাবে)
শবনমঃ কবীর দেখো আমি একদম ঠিক আছি। কিছু হয়নি আমার। so don’t worry ok
কবীরঃ হুম
এতোক্ষণ নীরব দর্শকের মতো সবার কথা শুনছিলো ইরা। নীরবতা ভেঙে ও বলল।
ইরাঃ Shabnam tell me one thing তুমি কি মানুষ নাকি অন্য কিছু। ?
ওর কথায় সবাই ভেবাচেকা খেয়ে গেল। ?
মিশাঃ ইরাকি বাচ্চি তুই কি পাগল হয়ে গেলি। কি যাতা বলছিস।
ইরাঃ না মানে এতো উপর থেকে পরেও ও কিভাবে বেঁচে গেল। আজ পর্যন্ত কেউ এখান থেকে পড়ে বাচে নি। তাই আর কি।
শবনমঃ আরে না আসলে আমি পরার সময় একটা গাছের ডাল ধরে ফেলেছিলাম ওটা বেয়েই নেমে এসেছি???( মিথ্যা বলল কারন ও নিজেও জানে না যে ও কিভাবে বেঁচে গেল। )
ইরাঃ ওহ আচ্ছা। ?? ডাল ধরে কিভাবে সম্ভব মনে মনে।
মিশাঃ চল এখন বাসায় চলে যাই। শবনমের রেস্ট নেওয়া উচিত।
শবনমঃ হ্যাঁ আমার এখন হোস্টেলে যাওয়া উচিত।
মিশাঃ একদম না তুই এখন আমাদের সাথে আমার বাসায় জাবি and that’s final.
শবনমঃ কিন্তু
পাখিঃ শবনম কোন কিন্তু নয়। আমি তোমার বড় বোনের মত তাই তোমায় আমার কথা শুনতে হবে।
শবনমঃ hmm ok ??চলো।
শবনম হাটতে নিলে ডান পায়ে ব্যাথা অনুভব করে তাই থেমে যায়। কবীর বেপার টা খেয়াল করে আচমকা শবনম কে কোলে তুলে নিয়ে হাটা শুরু করে। আর শবনম তো ওর কাজে শকড। তার পরেও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে।
শবনমঃকি করছো কবীর নামাও আমাকে আমি হেটে যেতে পারবো প্লিজ নামাও সবাই কি ভাববে।
কবীরঃ হুম কেমন হাটতে পারবে তা দেখাই যাচ্ছে। আর কে কি ভাবে I really don’t care. তাই বলছি চুপচাপ বসে থাকো নড়াচড়া করলে ফেলে দিবো তার পর পায়ের সাথে কোমড়ও ভাঙবে।( মজা করে)
ওর কথা শুনে ভয়ে শবনম চুপ করে যায়
কবীর আর শবনমকে এভাবে দেখে মিশার চোখের কোনে পানি চলে আসে। সবার আড়ালে তা মুছে ঠোঁটে মিথ্যা হাসি টেনে আনে মিশা।
শবনমের কান্ড দেখে কবীর মুচকি হেসে দেয়। তারপর আড়চোখে মিশার দিকে একটু তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
পিছনে গাছের আড়ালে দাড়িয়ে ওদের এতক্ষণ কেউ দেখছিল। শবনম আর কবীরকে এভাবে দেখে রাগে তার চোখ লাল হয়ে গেছে। রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজের হাত খুব জোরে মুষ্টি বদ্ধ করে রেখেছে সে।
সবাই গাড়িতে উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
কিছুক্ষনের মধ্যে গাড়িটি এক বিশাল গেট দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো।
বাড়িটি অনেক বড় এবং সুন্দর। বাড়িটির সামনে অনেক সুন্দর করে সাজানো একটা বাগান। এবং বাড়ির পেছনে জঙ্গল। গেটের সামনে সাইনবোর্ডে বড় করে লেখা চৌধুরী মেনশন।
শবনম গাড়ি থেকে নামতে নিলে কবীর ওকে আবার কোলে তুলে ভিতরে নিয়ে যায়।
কবীর শবনমকে একটা রুমে নিয়ে বসিয়ে দিল। ওর পিছনে মিশা পাখি আর ইরাও রুমে আসলো।
শবনম পুরো রুমটিতে ভাল করে চোখ বুলিয়ে নিলো। রুমটি বেশ বড় আর আসবাবপত্র গুলো দেখেই বোঝা যায় যে তারা অনেক সৌখিন।
মিশাঃ শবনম আজকে তুই এই রুমে থাকবি ওকে।
শবনমঃ হুম।
কবীর কিছু বলতে চাইলে ওর ফোন চলে আসে। আর ও কথা বলার জন্য বাইরে চলে যায়।
মিশাঃ শবনম তুই বস আমি ডাক্তারকে কল করছি তুই তো পায়ে ব্যাথা পেয়েছিস।
শবনমঃ আব না না তার দরকার নেই আমি ঠিক আছি। আর পায়ের ব্যাথা একটু রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে। don’t worry.
মিশাঃAre you sure Shabnam.
শবনমঃYeah.
ফোনে কথা বলে কবীর রুমে আসলো।
কবীরঃ Actually guys আমার এখন যেতে হবে। একটা জরুরী কাজ আছে। আর শবনম তুমি নিজের খেয়াল রেখো। কালকে কলেজে দেখা হবে।
মিশাঃ Don’t worry Kabir. আমরা আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ডের খেয়াল রাখতে পারবো। তুই যা। কালকে দেখা হবে Bye.
ইরাঃ কবীর আমি গাড়ি আনি নি। তুই আমাকে একটু বাসায় ড্রপ করে দিবি।
কবীরঃ Sure চল OK Bye Goodnight guys.
ইরাঃ good night guys.
শবনম পাখি মিশাঃ Good night.
কবীর আর ইরা চলে গেল।
পাখিঃ তোরা বস আমি ডাইনিং এ খাবার সার্ভ করছি। অনেক রাত হয়ে গেছে।
মিশাঃ ওকে দি।
পাখি নিচে চলে গেল
শবনমঃ মিশা তোদের বাসায় কী কেউ নেই। I mean তোর আম্মু আব্বু কোথায়। কাওকে দেখলাম না।
মিশাঃ শবনম যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন একটা কার এক্সিডেন্টৈ আমাদের আম্মু আব্বু মারা যায়। তখন থেকে আমাদের চাচু আমাদেরকে ভালোবাসা ও আদর দিয়ে বড় করেছেন। কখনো তাদের কথা মনে পরতে দেন নি।
শবনমঃ I’m really sorry Misha. ? উনি এখন কোথায়।
মিশাঃ চাচু একজন সাইন্টিস। একটা কাজে USA গিয়েছেন কিছু দিন পর ফিরবেন তখন তোর সাথে দেখা করিয়ে দিবোনে এখন চল নিচে যাই ক্ষুধায় আমার পেটের ইদুর ছানা গুলো ডান্স বাংলা ডান্স করছে। ??
শবনমঃ ওকে চল।
খাওয়া দাওয়া করে সবাই যার যার রুমে গিয়ে শুয়ে পরো।
রাত 2 টা।
শবনম ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ প্রতিদিনের মতো আজও ও অনুভব করলো কেউ ওর অনেক কাছে চলে এসেছে। কারো ঠান্ডা স্পর্শ ওর হাতে লাগছে। কেন জানি স্পর্শটা ওর অনেক ভালো লাগছিল।
চোখ খুলতে ইচ্ছা করছিল না। অজানাটি ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল সব অপেক্ষা শেষ।
হঠাৎ ঠান্ডা হাতের স্পর্শ ওর পায়ে ও অনুভব করলো। কেউ হাত দিয়ে জোরে ও পায়ে চাপ দিলো।
শবনম আহ্ বলে চোখ খুলে ধরফরিয়ে উঠলো। কিন্তু আসে পাশে কাউকে দেখতে পেলো না। জানালার পর্দা গুলো বাতাসে উড়ছে । শবনম জানালার পাশে গিয়ে দাড়িয়ে আছে। বাইরে অন্ধকার। হঠাৎ কাউকে নিচে দেখতে পেল সে। ওর দিকেই তাকিয়ে আছে লোকটি অন্ধকারে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। চোখের পলকে উধাও হয়ে গেল লোকটি। শবনম এদিক ওদিক তাকিয়ে খোজার চেষ্টা করছে। কিন্তু না কেউ নেই। ও ভাবলো হয়তো এটা ওর মনের ভুল।
হঠাৎ একটু আগের ঘটনা মনে পরে গেল তার।
সব অপেক্ষা শেষ….কথাটার মানে বুঝতে পারছিলো না সে। সত্যিই কি কেউ ছিল না সব তার মনের ভুল। ভাবতে ভাবতে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেল সে।
To be continued……
#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_4
চোখ খুলতেই নিজেকে এক অন্ধকার রুমে আবিষ্কার করলো শবনম। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিছুই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো না। ভয়ে হাত পা কাপছে তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। অন্ধকারে ফোবিয়া আছে তার। তাই নিশ্বাস নিতে পারছে না সে। অন্ধকারে বের হওয়ার কোন পথ খুঁজে পাচ্ছিলো না শবনম।
সাহায্যের জন্য জোরে জোরে চিৎকার করছে সে।
হঠাৎ পিছনে কারো উপস্থিতি অনুভব করে পিছনে
ফিরলো শবনম। একটা লোক দাড়িয়ে আছে ওর সামনে অনেক চেনা চেনা লাগছে তাকে। অন্ধকারের কারনে চেহারাটা স্পষ্ট চেনা যাচ্ছে না।
আ আমাকে এখানে ক কেন এনেছেন যেতে দেন আমাকে সাহস করে জিজ্ঞেস করল শবনম।
কিন্তু লোকটি কিছুই বলল না বরং নিজের পকেট থেকে একটা লাইটার বের করল। শবনম খেয়াল করলো লাইটারটিতে একটা রিং আছে যেটাতে নেকড়ের শেপের বল লাগানো।
হঠাৎ লোকটি লাইটার জালিয়ে ওর দিকে ছুরে মারলো। সাথে সাথে ওর চারিদিকে আগুন ধরে গেলো। শবনম বের হতে পারছে না। সামনে তাকিয়ে দেখে লোকটি ওখানে আর নেই। হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেল লোকটি। আগুন ওর খুব কাছে চলে এসেছে ভয়ে চোখ খিঁচে বদ্ধ করে আছে শবনম আজ বুঝি ওর শেষ দিন। মনে মনে আল্লাহর নাম নিচ্ছে সে।
হঠাৎ কেউ ঝড়ের বেগে এসে ওকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গেল। চোখ খুলে নিজেকে একটা জঙ্গলে আবিষ্কার করল সে আর কেউ ওকে জড়িয়ে ধরে আছে।এ স্পর্শ টা ওর খুব চেনা।
লোকটা ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,,,, আমি থাকতে তোমার কোন ক্ষতি হতে দিব না। তুমি আমার জান আর আমার জানে হাত দেওয়ার সাহস কারো নেই নিজের শেষ নিঃশ্বাস থাকতে তোমার হেফাজত করবো।
শবনম কিছু বলার আগেই কেউ লোকটির পিঠে ছুড়ি ঢুকিয়ে দিল। শবনম চিৎকার দিয়ে ধরফরিয়ে শোয়া থেকে উঠলো। আশে পাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো ও নিজের রুমেই আছে। তার মানে ও এতোক্ষণ সপ্ন দেখেছিলো। ভেবেই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো। বাইরে থেকে আযানের ধ্বনি আসছে। উঠে ওযু করে নামাজ পরে নিলো সে।
সপ্নের কথা ভাবতেই শরীর শিউরে উঠল তার। কি অদ্ভুত একটা সপ্ন ছিল। এখন আর ঘুম আসবে না তাই বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছিল সে। হঠাৎ ওর চোখ একটা রুমে গিয়ে আটকে গেল। দরজা খোলা তাই ভেতরে ঢুকে গেল শবনম।রুমটি দেখে ওর চোখ ছানাবরা হয়ে যায়।
রুমটি দেখতে একটা ছোট খাটো ল্যাবের মতো। বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ বুক সাইন্টিফিক মেশিন দিয়ে রুমটি ভরা। এতো কিছুর মধ্যে ওর চোখ আটকে গেল একটা অস্ত্রের মধ্যে। অস্ত্রটি দেখতে কিছুটা ডব্লিউ আকৃতির এবং বেশ পুরোনো। ও আস্তে আস্তে অস্ত্রটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ নিচে কিছুর আওয়াজ শুনতে পায় শবনম। আর দেরি না করে ওখান থেকে বের হয়ে নিচে নেমে আসে ও।
নিচে নেমে দেখে সব কিছু ঠিক আছে। তাহলে আওয়াজটা কোথা থেকে আসলো ভাবতে থাকে সে। আবার একি আওয়াজ পেল শবনম। আওয়াজটা যে রুম আসছে সে রুমের দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো শবনম। রুমের দরজা বাইরে দিয়ে তালা মারা। তাহলে ভিতর থেকে আওয়াজ আসছে কেন ভিতরে কে হতে পারে ভাবতে ভাবতে কাধে কারো হাতের স্পর্শ অনুভব করে ভয় পেয়ে পিছনে ফিরে দেখে পাখি দাড়িয়ে আছে। একটা সস্তির নিশ্বাস নিলো শবনম।
পাখিঃ শবনম তুমি এখানে কি করছো।কিছু লাগবে তোমার। ?
শবনমঃ না দি আসলে এই রুম থেকে কেমন জানি আওয়াজ আসছিলো তা দেখার জন্য এসে ছিলাম কিন্তু রুম তো তালা মারা ।?
পাখিঃ হ্যাঁ আসলে এই রুমটা তালা মারাই থাকে। চাচু কাওকে এ রুমে ঢুকতে দেয় না। প্রায়ই এ রুম থেকে কেমন জানি আওয়াজ আসে। চাচুকে বললে কথা ঘুরিয়ে দেয়। আচ্ছা বাদ দাও এই নাও ( কিছু কাপড় এগিয়ে দিয়ে )এটা পড়ে রেডি হয়ে নিচে নেমে আসো আমরা একসাথে ব্রেকফাস্ট করে কলেজে যাবো। Do it fast ?
শবনমঃ Thank you di ?
রুমে এসে শবনম রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে ওকে দেখে পাখি আর মিশা হা হয়ে আছে।
শবনম একটা অফ হোয়াইট স্কার্ট আর হাল্কা হলুদ রঙের শার্ট সাথে ম্যাচিং হোয়াইট স্টোন ইয়ার রিং হাতে স্টার ব্রেসলেট আর গলায় মায়ের দেওয়া লকেট। সব মিলিয়ে একদম প্রিন্সেস।
পাখিঃ Shabnam you are looking like a princess ?
মিশাঃ হায় মে মারজাওয়া শবনম বেবি আজ কয়টাকে ঘায়েল করার ইচ্ছা আছে হুমম?
shabnam is blushing ??
তার পর সবাই ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
In College,,,
অনেকক্ষণ ধরে পার্কিংয়ে শবনম মিশা আর পাখির জন্য অপেক্ষা করছে কবীর আর ইরা । কবীরের পড়নে হোয়াইট জিন্স আর হাল্কা হলুদ রঙের টি শার্ট হাতে ঘড়ি আর চোখে সানগ্লাস সব মিলিয়ে চকলেট বয়। ড্রেসটা অবশ্যই শবনমের ড্রেসের সাথে ম্যাচিং। পার্কিংয়ে ওদের গাড়ি ঢুকতে দেখে নিজেকে ভালো ভাবে লুকিং গ্লাসে দেখে নিলো কবীর না সব ঠিক আছে। ( যেমন ভাব নেয় আমার গল্পের হিরো??)
গাড়ি থেকে নেমে কবীরকে দেখে টাস্কি খায় শবনম ওর ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে ড্রেস পরেছে কবীর কিন্তু এই ড্রেসটা তো পাখি দিয়েছে । আড়চোখে পাখির দিকে তাকায় শবনম। পাখি বেচারী অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে কবীরের দিকে। আর কবীর মাথা নিচু করে মুচকি মুচকি হাসছে। ওদের দেখে মিশার মুখটা মলিন হয়ে যায়।
ইরাঃ OMG what a coincidence দুজনেই ম্যাচিং কে কাকে কপি করলো।?
শবনমঃ আমি মোটেও কাওকে কপি করি নি। এ ড্রেসটা আমাকে পাখি দি দিয়ে ছিলো সকালে। ( শবনম নাক ফুলিয়ে কথা গুলি বলল )
পাখিঃ আমার ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে আমি যাই। বলে পাখি ওখান থেকে কেটে পরলো।
শবনম বুঝতে পারলো যে ড্রেসের ব্যাপারটা পাখি ইচ্ছা করে করেছে কিন্তু কেন করেছে এটা বুঝতে পারছে না।
শবনমকে অন্যমনস্ক দেখে মিশা ওকে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞাস করে….What happened Shabnam.
শবনমঃ কই কিছু না তো আমি ঠিক আছি। ( জোর করে হাসার চেষ্টা করে )
ওরা কথা বলছিলো এর মাঝে একটা কালো চকচকে গাড়ি ফুল স্পীডে কলেজ গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলো।কলেজর সবাই ওই দিকেই তাকিয়ে আছে। গাড়িটি ওদের সামনে এসে থামলো। হঠাৎ গাড়ি থেকে একটা ছেলে নামলো। ছেলেটি দেখতে অনেক ফর্সা হাইট 6 ফুট এর মতো হবে চুলগুলো খাড়া খাড়া এবং ঘন বাতাসে উড়ছে হাল্কা খোচা খোচা দাড়ি। পরনে কালো লম্বা কোট কালো প্যান্ট হাতে কালো ঘড়ি চোখে কালো সানগ্লাস।ফেসে এ্যাটিটিউট ভাব। ( দেখে একটা গান মনে পরে গেল…….Tenu Kala chashma jachda ve jachda hai gore mukhre pe….. ?? )
ছেলেটি গাড়ি থেকে নেমে সানগ্লাসটা খুলে নিজের কোটে ঝুলিয়ে নিলো। তার পর হেটে ওদের সামনে দিয়ে কলেজের ভিতরে ঢুকে গেল।
শবনম খেয়াল করলো সবাই ছেলেটির যাওয়ার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। এমন করে তাকানোর কি আছে জীবনে কি কখনো ছেলে দেখে নি।কিন্তু ছেলেটা দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর ছিল এতো সুন্দর মানুষ হয় ছেলেটিকে না দেখলে বুঝা যেতো না।
ইরাঃ কেউ আমাকে ধর এটা কে ছিল ?� আমি তো ক্রাশড ??
মিশাঃ তোর তো ছেলে দেখলেই ক্রাশ খাওয়ার অভ্যাস পেটুক কোথাকার। ??মিশা খেয়াল করলো ওদের কথা শুনে কবীর রাগে লাল নীল হলুদ কমলা হয়ে যাচ্ছে তাই ওকে আরো রাগানোর জন্য শবনমকে জিজ্ঞেস করল শবনম ছেলেটা কেমন ছিল রে। ??
শবনমঃ অনেক মায়াবী ( ঘোরের মধ্যে বলে ফেলল )
ওর কথা শুনে সবাই টাস্কি খায়।
এতোক্ষনে শবনমের খেয়াল হলো ও কি বলে ফেলল সাথে সাথে কথা ঘুরানোর জন্য বলল ।
শবনমঃ আব না মানে সুন্দর আর কি। ?
মিশাঃ ওতো দেখতে পুরো বলিউড হিরোদের মতো। আ’ম অলসো ক্রাশ্ড। ( কবীরকে শুনিয়ে শুনিয়ে)
কবীরের তো রেগে ফেটে যাওয়ার উপক্রম।
পরিবেশ ঠান্ডা করার জন্য ইরা বলল,,, আব ক্লাসের সময় হয়ে গেছে চল তারাতারি নাহলে এতক্ষণ ক্রাশ খেয়েছি পরে বাশ খাবো।
তারপর সবাই ক্লাসে চলে গেল মিশা আর শবনম ফার্স্ট বেঞ্চে আর কবীর আর ইরা ওদের পিছনে।কিছুক্ষন পর ক্লাসে প্রিন্সিপাল আসলো। সবাই দাড়িয়ে সম্মান দিল।
প্রিন্সিপালঃ ডিয়ার স্টুডেন্টস আজকে তোমাদের নতুন মার্কেটিং টিচার জয়েন করেছে।মিস্টার আধার রেজওয়ান প্লিজ কাম ইন।
টিচারকে দেখে সবাই 440 ভোল্টের শকড খায়।
To be continued….