Our_Unknown_Love_Story,09,10

0
1085

#Our_Unknown_Love_Story,09,10
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_9

ইরাঃ ওফফো পুলক তুই কি এখন এখানে ফেমিলি ড্রামা শুরু করলি নাকি ??

পুলকঃ ওকে এখন এসব বাদ wait a second কবীর আর মিশা কোথায় ওদের তো দেখলাম না।

পাখিঃ Yeah আমিও ওদের খুজলাম বাট পেলাম না।

ইরাঃ ওহ নো আমি তো বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম।?

কী,,, সবাই একসাথে।?

ইরাঃ Actually পাখি দি ওরা বাসায় চলে গেছে।

পাখিঃ হঠাৎ আমাদের না জানিয়ে চলে গেল কেন।

ইরাঃ don’t know di,,,, কবীর বলল মিশার শরীর খারাপ করেছে তাই চলে গেছে। আর কবীরও অনেক weird behave করছিলো।

পাখিঃ I’m sure মিশা কবীর আবার ঝগড়া করেছে। let it be,,, নেক্সট ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে আমি ক্লাসে যাচ্ছি।

পুলকঃ ওকে দেন আমি আজ ক্লাস করতে পারবো না বাসায় যেতে হবে। তোমরা নিজেদের খেয়াল রেখো। by guys. ?

পাখিঃ ওকে,,,আর শবনম তুই আমার সাথে চল ওদের একটু স্পেস দেওয়া দরকার। ? বলে পাখি শবনমকে নিয়ে চলে যায়।

ইরাঃ আমিও যাই,,,, বলে ইরা চলে যেতে নিলে পুলক ওর হাত ধরে টান দেয় আর ইরা টাল সামলাতে না পেরে পুলকের বুকের উপর পরে।আর এই সুযোগে পুলক ইরাকে জড়িয়ে ধরে।

পুলকঃ কী ইরাবতী আমার থেকে পালানোর এতো তাড়া কেন তোমার। তুমি শুনো নি ওরা আমাদের প্রাইভেসি দিয়ে গেছে প্রেম করার জন্য।

ইরা লজ্জা পেয়ে পুলককে জোড়ে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মুখ লুকায়। পুলক বুঝতে পারে যে ইরা লজ্জা পাচ্ছে তাই ওকেআরো বেশি লজ্জা দিতে পুলক বলল,,,

পুলকঃ Do you know Iraboti,,,, কানাডার মেয়ে গুলো এতো সুন্দর আর এতো হট যে কি বলবো,,, একটা মেয়ে ছিল শারলিন উফফ যা দেখতে সারাক্ষণ আমার আসে পাশে ঘুর ঘুর করতো।মাঝে মাঝে মনে হতো ওর সাথে প্রেম করতে।

পুলকের কথা শুনে ইরা রেগে ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়,,,

ইরাঃ How dare you তোর সাহস কত বড় অন্য মেয়ের দিকে তাকানোর এখন বুঝেছি তুই ওখানে কাজ করতে না এসব করতে গিয়েছিলি। আর তোর প্রেম করার শখ আমি মিটাচ্ছি দাড়া,,, বলে পুলককে ইচ্ছা মতো কিল ঘুষি দিতে লাগলো,,,,
You shameless,, characterless, লুচু,এনাকন্ডা,গলা ছিলা মুরগী।( মারতে মারতে)

ইরার বকা শুনে পুলক হাসছে কারন ওর এসব শুনে অভ্যাস আছে। হঠাৎ ইরা ওকে ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে নেয় ওকে আটকাতে পুলক ওর হাত ধরে টান দিয়ে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসে আর বলে,,,,

পুলকঃ তো কি করবো বল,,, তোকে আমি প্রত্যেক মুহুর্তে মুহুর্তে ভালোবাসি কথাটা বলি কিন্তু তুই আজ পর্যন্ত আমাকে নিজের মুখে ভালোবাসার কথাটা বলিস নি।আমার কি রাইট নেই তোর মুখে ভালোবাসি কথাটা শোনার।

ইরা পুলকের বুকে মাথা রেখে বলে,,,সব কথা মুখে বলতে হয় না পুলক অনুভব করতে হয়। Love is like air we can’t touch this we only can feel it.

পুলকঃ I know তাই তোকে কখনো ফোর্স করবো না take your time……. You know what iraboti,,,, আমি ছোট বেলা থেকেই সব কিছু হারিয়েছি,,,জন্মের সময় মাকে হারিয়েছি আর বাবার তো আমার জন্য টাইমই ছিল না। আমার ছোট বেলার খেলার সাথী ছিল স্নো হোয়াইট আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওদের দুজনকেও হারিয়ে ফেলেছি।
প্লিজ তুই কখনো আমার কাছ থেকে দূরে সরে যা‌স না আমি মরে যাবো।

ইরা পুলককে জড়িয়ে ধরে বললো,,,, আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে যাবো না কখনো না।

পুলকঃ হয়েছে এখন যা ক্লাস টাইম হয়ে গেছে।

ইরাঃ আজ ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না তুই আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দে।

পুলকঃ যো হুকুম মাই কুইন।?

ইরা আর পুলক গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরলো

এইদিকে,,,,,

পাখি ক্লাসে আসতেই আকাশ এসে ওর পাশে বসে পড়লো এতে পাখি অনেক বিরক্ত বোধ করছে,,,পাখি আর আকাশ সেম ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টস। আকাশকে নিজের পাশে সহ্য করতে না পেরে পাখি বলে ফেললো,,,,

পাখিঃ এই যে মিস্টার এতো বেঞ্চ থাকতে আমার পাশে এসে বসলেন কেন। উঠেন এখান থেকে right now ?

আকাশঃ Oh hello miss moti বেঞ্চে কারো নাম লেখা নেই ওকে যার যেখানে খুশি সেখানেই বসতে পারবে আর তোমার তো খুশি হওয়া দরকার আমার মতো হ্যান্ডসাম কুল আর ডেশিং ছেলে তোমার পাশে বসেছে। (ভাব নিয়ে)

আকাশের কথা শুনে পাখির রাগ চরমে উঠে যায়,,, একতো ওকে মোটি বলেছে আবার তার উপর নিজের প্রশংসা করছে আল্লাহ কেমন কেমন জোকার এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছে।

পাখি আর কিছু বলার আগেই স্যার ক্লাসে এসে পড়ে আর ওরা চুপ হয়ে যায়। কিন্তু পাখি মনে মনে আকাশকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্লান করে ফেলে,,,

স্যার ক্লাস করাচ্ছেন এমন সময় পাখি নিজের ব্যাগ থেকে একটা শিশি বের করলো আকাশের আড়ালে। তারপর আকাশের পায়ে হিল দিয়ে জোড়ে পারা দিয়ে দেয় আর আকাশ ও মা বলে চিৎকার দিয়ে দাড়িয়ে যায়,,,, আকাশের চিৎকার দেওয়ায় সবাই অবাক হয়ে যায়,,,

স্যারঃWhat happened Aakash ?

আকাশ আড়চোখে পাখির দিকে তাকিয়ে,,,,, নাথিং স্যার মোটা মশায় কামড় দিসে।

স্যারঃ ওহ ওকে বসো এখন।

আকাশ বসে পড়লো। আকাশের দাঁড়ানোর সুযোগে পাখি ওই শিশিটার সব লিকুয়েট আকাশের বেঞ্চের সাইডে ঢেলে দেয়,,,, আর আকাশ ওটাতেই বসে পরে।??

আকাশ ফিসফিসিয়ে পাখিকে জিজ্ঞেস করে,,,, ওই মোটি তুমি আমাকে পারা দিলা কেনো।

পাখি আকাশের দিকে কিছুটা ঝুঁকে,,,,, একটু পরেই বুঝতে পাবা চান্দু।

কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ স্যার আকাশকে একটা প্রশ্ন করলেন উওর দেওয়ার জন্য ও উঠতে চাইলেও উঠতে পারছিলো না ওর অবস্থা দেখে পাখি মুখ চেপে হাসি কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। আকাশ উঠতে চেষ্টা করে কিন্তু পারে না ওর আর বুঝতে বাকি রইল না যে এটা পাখির কাজ। আকাশ আড়চোখে পাখিকে হাসতে দেখছে। এই দিকে স্যার ওকে ইচ্ছা মতো বকছে এতে ওর কোন খেয়ালই নেই। ওতো পাখির হাসিমাখা মুখ দেখতে ব্যস্ত। হঠাৎ স্যারের জোড়ে চেঁচানোর আওয়াজে ঘোর কাটলো তার,,,,

স্যারঃ What’s wrong with you Aakash. আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করলাম আর তুমি উওর না দিয়ে বসে আছো।

আকাশঃ স্যরি স্যার আমি দাঁড়াতে পারবো না?

স্যারঃBut why

আকাশঃ Sir actually আমার পেন্ট আটকে গেছে।?

আকাশের কথা শুনে ক্লাসের সবাই হো হো করে হেসে দেয় আর পাখিও কন্ট্রোল করতে না পেরে ফিক করে হেসে দেয়।
সবাইকে এভাবে হাসতে দেখে বেচারা আকাশের তো লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে।

হঠাৎ বেল বেজে যায় আর সবাই বের হতে থাকে,, পাখি এসে আকাশের দিকে কিছুটা ঝুঁকে বলতে থাকে,,,,, পাখির সাথে পাঙ্গা নিলে এমনই হয় so next time don’t underestimate me,,, বলে পাখি ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়।

আর আকাশ অনেক কষ্টে বেঞ্চ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়।

আকাশঃ তোমাকে তো আমি সারা জীবনের জন্য আন্ডারাস্টিমেট করতে চাই। Be ready for being mine Miss Pakhi chowdhury urfe Misses Pakhi Aakash Ahmed.
বলে আকাশও ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়।

পাখি ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখে শবনম নিচে দাড়িয়ে আছে,,, তাই ওর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলে,,,,

পাখিঃ শবনম তোর ক্লাস শেষ।

শবনমঃ হ্যাঁ দি।

পাখিঃ তাহলে চল আমি তোকে হোস্টেলে ড্রপ করে দেই।

শবনমঃ পাখি দি আমার কিছু নোটস নেওয়া লাগবে তুমি যাও আমি পরে যাবো।

পাখিঃ Are you sure তুই একা যেতে পারবি। নাকি আমিও থাকবো।

শবনমঃ আরে না দি I can manage. বাসায় মিশা একা তুমি যাও। I can take care of my self.

পাখিঃ OK take Care of yourself bye.

পাখি চলে গেল। শবনমের নোট কালেক্ট করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। নোট নেওয়া শেষ করে শবনম হোস্টেলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়।

রাস্তার দু পাশে জঙ্গল তার উপর অন্ধকার।হেটে হেটে হোস্টেলে যাচ্ছে শবনম। হঠাৎ অনুভব করলো কেউ ওর পেছন দিয়ে গেল। কিন্তু পিছনে ফিরে কাওকে দেখতে পেলো না ও। ভয়ে ঘামতে শুরু করে ও।

To be continued…….

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_10

শবনম ভালো ভাবে আসে পাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো কিন্তু কাওকেই দেখতে পেলো না,,,

শবনমঃ ওফফো শবনম তুইও না। কেউ নেই হয়তো তোর ভ্রম ছিল। নিজে নিজে কথা গুলো বলে শবনম আবারও হাটা ‌‌শুরু করলো।

কিছু দুর যেতেই জঙ্গলের ভিতর থেকে কারো চিৎকারের আওয়াজ পরে শবনম,,,,,

জঙ্গলের ভিতর দিকে তাকাতেই কিছু ঝোপ নরতে দেখলো ও। ভয়ে ওর শরীর কাপছে।

শবনমঃ Don’t afraid Shabnam. হয়তো কেউ বিপদে পরেছে। তার সাহায্য দরকার। You should help him out. নিজেকে নিজে সান্তনা দিয়ে শবনম জঙ্গলে প্রবেশ করলো। শবনম খেয়াল করলো একটা ঝোপ নরছে। ও আস্তে আস্তে ধীর পায়ে ঝোপটির সামনে যাচ্ছে,,,,,

ক কে ওখানে দ দেখেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই আ আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি।

ঝোপের আড়ালে কেউ লুকিয়ে আছে কিন্তু চেহারা বুঝা যাচ্ছে না। শবনম একটু সামনে যেতেই ঝোপের আড়ালে কারো লাল হিংস্র চোখ দেখতে পেলো,,,,সাথে সাথে শবনম কয় কদম পিছিয়ে যায়।

ভয়ে ওর নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে। হাত পা অবশ হয়ে গেছে। শবনম এক পা দু পা করে পিছাতে পিছাতে পিছনে ঘুরে দৌড়াতে থাকে। শবনমকে দৌড়ে যেতে দেখে ঝোপের ভেতর থেকে একটা নেকড়ে বের হয়ে আসে আর শবনমের পিছনে দৌড়াতে থাকে।

শবনম পিছনে ফিরে দেখে একটা হিংস্র নেকড়ে ওর পিছনে ছুটে আসছে। শবনম দৌড়াতে দৌড়াতে পরে যেতে নিলে কেউ ওকে ধরে ফেলে। শবনম তাকিয়ে দেখে এটা আর কেউ নয় আধার। শবনম ভয়ে আধারকে অনেক টাইট করে জড়িয়ে ধরে আর বলে,,,,,

শবনমঃ আধার প্লিজ হেল্প মি। ওটা ওটা আমাকে মেরে ফেলবে।

আধার শবনমকে টাইট করে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলে। ওই নেকড়ে টা ওদের দিকেই এগিয়ে আসছিলো কিন্তু আধারকে দেখে থেমে যায়। আধারের চোখ দুটো নীল বর্ণ ধারন করেছে। ঘাড়ের সব রগ ফুলে গেছে। বড় বড় দুটো চোয়ালের দাত বের হয়ে গেছে। আধারকে দেখতে ওই হিংস্র নেকড়ের থেকেও ভয়ঙ্কর লাগছে। আধারের এই রুপ দেখে নেকড়েটা পিছনে ঘুরে পালিয়ে যায়। শবনম আধারকে জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে আছে তাই আধারের এই রুপ ও দেখতে পায়নি।

আধার নিজেকে স্বাভাবিক করে শবনমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। শবনমকে নিজের বুকে রাখতে ওর অনেক শান্তি অনুভব হচ্ছিল। যদি সারাজীবন ওকে এভাবে নিজের কাছে নিজের বুকে আগলে রাখতে পারতো। ভেবেই একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো আধার।

শবনম যদি জানতে পারে ও কে তাহলে ও ওকে ঘৃনা করবে। ঘৃনার কথা ভেবেই আধারের চোখ থেকে দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরলো।

নিজেকে সামলে নিয়ে শবনমকে বলল আধার,,,,

আধারঃ শবনম ওটা চলে গেছে এখন আমাকে ছাড়ো।

আধারের বুকে এতক্ষণ অনেক শান্তি অনুভব করছিলো শবনব। চোখ বন্ধ করে এই অনুভূতি অনুভব করছিলো ও। আধারের কথায় ঘোর ভাঙ্গলো তার। তারাতারি করে আধারের কাছ থেকে ছুটে একটু দুরে সরে দাঁড়ালো ও। মাথা নিচু করে আছে শবনম এতক্ষণ আধারকে জড়িয়ে ধরে আছিলো ও ভাবতেই অনেক লজ্জা লাগছে তার আধারের সামনে অনেক আন ইজি ফিল করছে শবনম।

আধার শবনমের অবস্থা বুঝতে পেরে ওকে নরমাল করার জন্য বলে,,,,,

আধারঃ এতো রাতে একা কি করছিলে তুমি এখানে। অনেকটা ধমকের স্বরে …..

আধারের ধমকে শবনম কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। আর কাদোকাদো ভাব নিয়ে বলে,,,

শবনমঃ আসলে নোটস নিতে নিতে দেরি হয়ে গিয়েছিল আর যখন যাচ্ছিলাম কারও চিৎকার শুনে তার হেল্প করতে এসেছিলাম। আমি কি জানতাম এটা একটা নেকড়ে।?

আধারঃ what ,,,,,হেল্প করবে তাও তুমি। প্রত্যেক বার আমি তোমাকে বাচাই আর তুমি কিনা অন্য কাওকে বাঁচাতে এসেছো। হা হা ভেরী ফানি। ?

শবনমঃ What do mean by that,,,, আমি অনেক সাহসী ওকে। and by the way আপনি যেভাবে বলছেন আপনি আমাকে অনেক বার বাঁচিয়েছেন। For your kind information আপনি জাস্ট আমাকে একবার বাঁচিয়েছেন in the library OK. ??

শবনমের কথায় আধার শুধু মুচকি হাসলো। কিছু বলল না কারন ও চায়না শবনম সত্যটা জানুক।

আধারঃ আপনার ঝগড়া করা শেষ হলে এখান থেকে চলুন। নাকি সারারাত আমার সাথে এই জঙ্গলে কাটানোর ইন্টেনশন আছে।

দেখুন আমি কিন্তু আগেই বলে দিচ্ছি আমি কিন্তু ওই টাইপের ছেলে না ওকে।??

আধারের কথায় শবনম হাসবে না কাঁদবে ভেবে পাচ্ছিলো না।

শবনমঃ আপনার মানে কি হা,,,

আধারঃ কিছু না,,,, এখন চলো নাহলে তোমার রক্তের ঘ্রানে ওই নেকড়ে টা আবার চলে আসবে।

নেকড়ের কথা শুনে শবনম ভয়ে আধারের এক হাত ধরে ফেলে অনেক টাইট করে।

শবনমঃ আমি কি বলছি এখানে থাকবো চলেন। বলে শবনম হাটতে নিলে আহ্ বলে পা ধরে বসে পরলো।

কি হয়েছে শবনম are you OK . শবনমের পাশে বসে আধার।

শবনম পা ধরে বলল,,,,, হাটতে পারছি না। হয়তো পা মচকিয়ে গেছে। আমি হোস্টেলে যাবো কিভাবে যদি ওই নেকড়ে টা আবার চলে আসে।

শবনমকে অবাক করে দিয়ে আধার ওকে কোলে তুলে নিলো। আর হাটা শুরু করলো।
আধারের কাজে শবনম পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। শবনম নামার জন্য হাত পা ছুড়ছে আর বলছে,,,,,,

শবনমঃ আপনার সাহস কত বড় আমাকে কোলে তুলেছেন। নামান নামান আমাকে বলছি।

আধারঃ Shut up. আমার শখ লাগে নি তোমাকে কোলে নেওয়ার। জাস্ট হেল্প করছি তোমার OK. আর একটা কথা বললে
মাথায় তুলে আছাড় মারবো।??

আধারের কথায় ভয় পেয়ে শবনম ওর কলার খামছে ধরে।

To be continued……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here