Our_Unknown_Love_Story,11,12,13

0
1044

#Our_Unknown_Love_Story,11,12,13
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_11

আধারের কথায় ভয় পেয়ে শবনম ওর শার্টের কলার খামছে ধরলো……আর বলল,,,,,,

শবনমঃ এই না না প্লিজ আছার মারার দরকার নেই এইযে ভদ্র মেয়ের মতো চুপচাপ হয়ে আছি।

তারপর আধার শবনমকে নিয়ে একটা উচু পাথরের উপর বসিয়ে দেয়। আর নিজে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে পরে।

আধারঃ পা দেখি কোথায় লেগেছে।

তার পর শবনম আধারকে ডান পায়ের গোঁড়ালি দেখিয়ে বলে,,,,, এখানে।??

আধার শবনমের পা ধরতেই শবনম আহ্ বলে চোখ বন্ধ করে চিৎকার দিয়ে আধারের কাধ খামছে ধরে।

আধার বুঝতে পারে যে শবনম অনেক বেশী ব্যথা পেয়েছে তাই শবনমের এক হাত নিজে হাতের ভাজে নিয়ে বলল,,,,,, Shabnam open your eyes and look at me…..

আধারের কথায় শবনম চোখ খুলে ওর দিকে তাকালো।

শবনম চোখ খুলতেই আধার বলা শুরু করলো….

আধারঃ Do you trust me,,,,,

মাথা ঝাকিয়ে না বলল শবনম।

শবনমের জবাবে আধার হাল্কা হাসলো। তারপর বলল,,,,, ওখে ওখে ট্রাস্ট করা লাগবে না??তুমি জাস্ট শুধু আমার চোখে তাকিয়ে থাকো দেখো ব্যথা অনুভব হবে না।

আধারের কথায় শবনম ওর চোখের দিকে তাকালো। শবনম খেয়াল করলো আকারের চোখের মনি হাল্কা নীল রঙের।আর ওর চোখ অনেক গভীর। আর ওর চাহনিতে অজস্র ভালোবাসা। আধারের চোখে তাকিয়ে অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছিল তার। আধারের চোখের গভীরতায় নিজেকে হারাতে ইচ্ছে করছে তার।

শবনম আধারের দিকে তাকিয়ে আছে এই সুযোগে আধার ধীরে ধীরে শবনমের পা ধরে মোচড় দেয় আর শবনম চিৎকার দিয়ে আধারকে জড়িয়ে ধরে।

আধারও শবনমকে নিজের সাথে মি‌শিয়ে ফেলল আর ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।

হঠাৎ কিছু একটার আওয়াজ শুনে আধার শবনমকে ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায়। আর আসে পাশে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করে কে।

আধার দাঁড়িয়ে যেতেই শবনমও দাঁড়িয়ে যায়। শবনম খেয়াল করলো ওর পায়ের ব্যাথা আর নেই। কিন্তু ও কিভাবে এতো সহজে আমার পা ঠিক করে দিলো। যাই হোক আধারকে একটা থ্যাঙ্কস দেওয়া দরকার মনে মনে ভাবছে শবনম,,,,, শবনম থ্যাঙ্কস বলার আগেই আধার বলল…….

আধারঃ থ্যাঙ্কস ট্যঙ্কস দেওয়া লাগবে না।আর কিভাবে ঠিক করেছি না করেছি ওটা তোমার না ভাবলেও চলবে। আমাদের এখন এখান থেকে যেতে হবে। it’s very risky to stay here,,,, বলে আধার শবনমের হাত ধরে হাটা শুরু করে।

আর এই দিকে শবনম অবাক চোখে আধারের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, ও কিভাবে জানলো আমার মনের কথা। মনোবিজ্ঞানী নাতো ও।

হঠাৎ আধার হাত ছেড়ে দেওয়ায় ধ্যান ভাঙ্গলো তার। শবনম তাকিয়ে দেখে ওরা হোস্টৈলের সামনে চলে এসেছে।

আধারঃ তোমার মাথায় কি সবসময় এরকম আজেবাজে চিন্তা ঘুরঘুর করে।

শবনমঃ না মানে আপনি কিভাবে আমার মনের কথা বুঝলেন। আপনি কি মনোবিজ্ঞানী।

আধারঃ অনেক রাত হয়েছে হোস্টেলের ভিতরে যাও ফাস্ট আর রাতে একা বের হবে না do you get that ??

শবনমঃ কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর তো পেলাম না।

আধারঃ আস্তে আস্তে সব প্রশ্নের উত্তর পাবে। Now go.

তারপর শবনম মাথা ঝাকিয়ে হোস্টেলের ভিতরে ঢুকে যায়। আর আধারও এক পলক শবনমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ওখান থেকে চলে যায়।

দ্রুত বেগে একটা পুকুরের পাশে এসে দাঁড়ালো আধার। হাটু গেড়ে বসে পড়লো ওখানেই।আধার নিজে নিজেই বলতে থাকে,,,,,,

আধারঃ এটা তুই কি করছিস আধার। don’t forget who are you. নিজের অস্তিত্ব ভুলে যাস না।আমি শুধু শবনমকে প্রটেক্ট করার জন্য এখানে এসেছি। ওকে নিজের প্রতি দুর্বল করার জন্য না। you have to hate me shabnam. আমি চাই না তুমি আমার অনিশ্চিত জীবনের সাথে জড়িয়ে যাও। হ্যাঁ অনেক ভালবাসি তোমায় কিন্তু আমাদের ভালবাসার পরিণাম অনেক মর্মান্তিক হবে। আর আমি চাই না যে তুমি আমার জন্য কষ্ট পাও। you have to hate me,,,, আর যেখানে আমার কথা,,, আমি দূর থেকেই ভালোবাসবো। তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে।

এইদিকে……..

শবনম রুমে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। চোখ বন্ধ করতেই আধারের সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো ভেসে উঠে আর শবনম হন্তদন্ত করে উঠে বসে,,,

শবনমঃ What’s wrong with you shabnam. চোখ বন্ধ করলে ওর চেহারা ভেসে উঠছে কেন।

শবনম যতবার চোখ বন্ধ করে ততবারই আধারের চেহারা ভেসে উঠে। তাই বিরক্ত হয়ে শবনম বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়। বারান্দায় গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে শবনম। তারা গুলো জ্বলজ্বল করছে। তারা গুলোর দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে শবনম,,,,,

ধ্রুব,,,,,, নিজের অজান্তেই নামটা বের হয়ে আসে শবনমের মুখ থেকে। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে তার। আজ যেন চোখের পানি বাধা মানছে না তার।

শবনমঃ আমি আর কাওকে ভালোবাসতে চাই না। আর কারও প্রতি দুর্বল হতে চাই না।

চোখ বন্ধ করে নিজের অতীত মনে করতে লাগলো সে,,,,,,

2 বছর আগে…….

To be continued………

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_12

2 বছর আগে……..

In the orphanage,,,,,,,

রুমে বসে গল্প করছিলো শবনম আর ওর রুম মেট মাইশা। তখনই সালিহা বেগম( কেয়ার টেকার ) রুমে প্রবেশ করলেন। Hlw children’s সালিহা বেগম।??

শবনমঃ Hlw auntie ??

সালিহা বেগমঃ তোমাদের মাদার নিচে ডাকছে come with me.

মাইশাঃ কিন্তু কেন আন্টি।

সালিহা বেগমঃ তোমাদের জন্য সারপ্রাইজ আছে নিচে গেলেই জানতে পারবে।

শবনমঃ ওকে চলেন।

তার পর ওরা নিচে নেমে আসে। নিচে এসে দেখে দেখে আশ্রমের সব মেয়েরা সারি বেধে দাঁড়িয়ে আছে। তাই ওরাও সবার সাথে দাঁড়িয়ে যায়।

মাইশাঃ কি এমন কথা বলবে মাদার যে এভাবে সবাইকে ডেকেছেন।

শবনমঃ How could I know maisha. চুপ থাক আর বুঝতে দে ।

মাদার হল রুমে প্রবেশ করায় সবাই চুপ হয়ে যায়। মাদার এসে বলতে শুরু করে।

মাদারঃ Hlw children’s

সবাইঃ Hlw Mother

মাদারঃ আজকে একটা ইম্পর্টেন্ট এনাউন্সমেন্ট করার জন্য সবাই কে এখানে উপস্থিত করেছি।

মাইশাঃ মাদার তাড়াতাড়ি বলেন না আমার আর তর সইছে না।

মাদারঃ sure dear. Actually this year ঢাকায় একটা Young Achiever Conference arrange হবে। যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এস এস সি তে স্টার মার্ক পাওয়া স্টুডেন্টসরা আসবে। আর একটা প্রতিযোগিতা হবে তিন রাউন্ডের। যে জিতবে তাকে লাইফ টাইম স্কলারশিপ এবং লেখা পড়া শেষ হলে ফরেইনে জব দেওয়া হবে। and you know what আমাদের আশ্রম থেকে একজন কে প্রতিযোগিতায় সিলেক্ট করা হয়েছে। কারণ ওও এবারও স্টার মার্ক পেয়েছে। Do you know who she is,,,,,

সবাইঃ no mother কে সে।

মাদারঃ শবনম।

নিজের নাম শুনে শবনম যেন ফ্রিজ্ড হয়ে গেছে। ও ভাবতেও পারে নি যে মাদার ওর নাম নিবে। খুশিতে চোখে পানি টলমল করছে তার। সবাই একসাথে হাত তালি দিতে থাকে।

মাদার এসে শবনমের কাছে দাঁড়ায়,,,,,, আর শবনম মাদারকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। মাদার ওর মাথায় হাত রেখে বলে,,, may God bless you my child. কালকে আমরা ঢাকা যাবো নিজের ব্যাগ পেক করে রেখো।

শবনম মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বলে। আর মাদার চলে যায়। একে একে সবাই শবনমকে Congrats জানিয়ে যার যার রুমে চলে যায়।

রুমে এসে কাপড় গুছাচ্ছিলো শবনম তখনই মাইশা এসে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আর বলে,,,,

মাইশাঃ I’m very happy for you Shabnam. I know you’ll be the winner.. ?

শবনমঃ এতো কনফিডেন্ট আমার উপর।

মাইশাঃ না কনফিডেন্ট না ওভার কনফিডেন্ট বেবী।?

শবনমঃ হয়েছে হয়েছে আর মাস্কা লাগাতে হবে না অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পরুন।

মাইশাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ ঘুমাবোই তো না হলে সপ্নে আমার ড্রিম বয় Pearl V Puri কে দেখবো কিভাবে।

শবনমঃ তবে রে Pearl v শুধু আমার ওকে। ওকে নিয়ে কোন সপ্ন দেখলে তোকে কিমা বানাবো। ?

মাইশাঃ ওহ রিয়েলি আমি তো দেখবোই ।?�because Pearl v is my ?

শবনমঃ তোকে তো ওয়েইট বলে,,, মাইশাকে বালিশ দিয়ে মারতে থাকে আর মাইশাও শবনমকে বালিশ দিয়ে মারতে থাকে। এভাবে খুনসুটি ঝগড়া করতে করতে দুই বান্ধবী একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে।

পরের দিন সকালে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মাদার শবনম আর মাইশা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মাদার জানে শবনম আর মাইশা অনেক ভালো বন্ধু একদম জমজ বোনের মতো ওদের সম্পর্ক তাই উনি মাইশাকেও সাথে করে নিয়ে নেন যাতে শবনমের একা একা না লাগে।

কিছু ঘন্টার মধ্যেই ওরা পৌছে যায়। একটা বড় গেট দিয়ে ওদের গাড়ী ভিতরে ঢুকলো। গাড়ী থেকে নেমে আসে পাশে চোখ বুলাচ্ছে শবনম আর মাইশা। দেখে কোন হোস্টেল মনে হচ্ছে।

মাদারঃ এই হোস্টেলে আমরা এই দশ দিন থাকবো। এখন ভিতরে চলো ফ্রেশ হয়ে কনফারেন্স হলে যেতে হবে।

শবনম আর মাইশাঃ ওকে মাদার।

শবনম আর মাইশা ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলো।

( শবনম হোয়াইট জিন্স অফ হোয়াইট লং টপ্স। হাল্কা কোঁকড়ানো চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে মাথায় হোয়াইট রাউন্ড ক্লিপ দিয়ে সামনের চুল গুলো আটকালো।আর ছোট ছোট চুল গুলো কপালে পরে আছে )

মাইশাতো শবনমকে দেখে হা হয়ে গেছে।

মাইশাঃ উফফ শবনম তোকে যা লাগছে না। যে কেউ তোর প্রেমে পড়ে যাবে।??

শবনমঃ হয়েছে হয়েছে এখন চল নাহলে মাদার রেগে যাবে।

তারপর সবাই কনফারেন্স হলে চলে আসে। অনেক পরিপাটি আর গাছ পালা দিয়ে সাজানো পুরো ক্যাম্পাসটা। বেশির ভাগ ফুল গাছ রয়েছে এখানে।

মাদারঃ শবনম তুমি এখানে দাড়াও আমি আর মাইশা গিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক করে আসি। চলো মাইশা।

মাদার চলে যাওয়ার পর শবনম ঘুরে ঘুরে চারপাশে দেখছিল। হঠাৎ ওর চোখ আটকে যায় স্টারগেজার ফুল গাছের উপর। ফুল গুলো কি সুন্দর ভাবে ফুটে আছে। এ ফুল সাধারনত বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। নিজের প্রিয় ফুল দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারলো না শবনম। তাই দৌড়ে ফুল গাছটির দিকে যেতে নেয়। হঠাৎ একটা রেড কার ওর দিকে ফুল স্পীডে এগিয়ে আসে। তখনই একজন ওর হাত ধরে টান দিয়ে ওকে নিয়ে সরে যায়।

আচমকা এমন হওয়ায় শবনম কিছুটা অপ্রস্তুত ভাবে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে। কি হয়েছে বুঝে উঠার সাথে সাথে ছেলেটিকে ছেড়ে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ায়।
ছেলেটির দিকে তাকাতেই হা হয়ে যায় শবনম ব্লাক জিন্স ব্লাক টি শার্ট রেড জ্যাকেট রেড সুজ। স্পাইক হেয়ার। ফর্সা গায়ের রং আর হাইট 5.9।

ছেলেটিঃ Are you crazy এভাবে কেউ দৌড় দেয়। আমি না থাকলে কি হতো জানো।

ছেলেটির কথায় ঘোর কাটে তার। সাথে সাথে মাথা নিচু করে স্যরি বলে ফেলল শবনম।

ছেলেটিঃ it’s OK BTW I’m Dhruvo. কম্পিটেশনে পার্টিসিপেন্ট করতে এসেছি তুমি??

শবনমঃ আমি শবনম আমিও কম্পিটেশনের জন্য এসেছি।??

ধ্রুবঃ ওহ কিন্তু দৌড়াচ্ছিলে কেন।

শবনমঃ আসলে আমার প্রিয় ফুল দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারি নি।

ধ্রুবঃ Favorite flower Stargazer right.

শবনমঃ yeah ?

ধ্রুবঃ ওকে ওয়েইট। বলে ধ্রুব দৌড়ে গিয়ে একটা ফুল ছিড়ে এনে শবনমের দিকে ধরলো। এই নাও। ফুল গুলো অনেক সুন্দর কিন্তু তোমার থেকে বেশী না।

শবনম হাত বাড়িয়ে ফুলটা নিলো আর বলল,,,

শবনমঃ Thanks ??

ধ্রুবঃ Welcome but remember one think কম্পিটেশন কিন্তু আমিই জিতবো by hook or by crook. Bye.বলে ধ্রুব চলে গেল।

To be continued……….

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_13

ধ্রুবর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে শবনম,,,,

শবনমঃ কি বলে গেল ধ্রব,,,,, it’s just a competition. এখানে সবাই নিজেদের টেলেন্ট প্রদর্শন করতে আসে। যে বেশী টেলেন্টেড সেই জিতবে। এটাকে এতো সিরিয়াসলি নেওয়ার কি আছে।

হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছনের ফিরে শবনম। তাকিয়ে দেখে মাইশা দাঁড়িয়ে আছে।

মাইশাঃ কিরে শবনম নিজে নিজে কি বকবক করছিস। আর এই ফুল পেলি কোথা থেকে।

শবনমঃ বাদ দে তো,,,, কনফারেন্স কখন।

মাইশাঃ ওহ নো ভূলে গেলাম কনফারেন্স তো 10 মিনিটে স্টার্ট হবে চল।

তার পর ওরা কনফারেন্স হলে চলে যায়। হল রুমটা বিশাল বড় আর হলে প্রায় 1000 স্টুডেন্টস আর 1000 গার্জিয়ান বসার জন্য সীট করা আছে। আর সামনে বড় একটা স্টেজ, মনিটর ও পাশে 3 জন বিচারক বসা।

মাদার আর মাইশা গার্জিয়ান সাইডে গিয়ে বসলো আর শবনম স্টুডেন্টস সাইডে।শবনম খেয়াল করলো ওর পাশে ধ্রব বসে আছে। ধ্রুব কে দেখে ওর মুখে হাসি ফুটে উঠলো। আর সব ভয় আর নার্ভাসনেস গায়েব হয়ে গেল। ধ্রুব অনেক সিরিয়াস মুডে বসে আছে যেন কোন যুদ্ধ করতে এসেছে। শবনমের অনেক হাসি পাচ্ছে ধ্রবকে এভাবে দেখে।

ধ্রুব পাশে তাকাতেই শবনমকে দেখতে পেলো।

শবনমঃ হায়। (হাত বাড়িয়ে দিয়ে।)

ধ্রুব হ্যালো বলে আবার সামনে মনোযোগ দিলো।

একে একে সবাই নিজেদের প্রেজেন্টেশন দেখালো। এখন রেজাল্ট এর সময়। একজন বিচারক এগিয়ে এসে বলতে শুরু করল,,,,,,

বিচারকঃ আজকে প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড। সকলেই ভাল করেছে। But the most amazing and beautifully designend project was 2.
এটা হলো ধ্রুব আর শবনম এর প্রজেক্ট। both are very Intelligent students but the winner is only one. And the first round winner is Adhora Rayhan Shabnam.

তার পর শবনম স্টেজে গিয়ে পুরস্কার টা নিয়ে নেয়। সবাই হাত তালি দিচ্ছে। কিন্তু এতো লোকের ভিড়ের মাঝে ও ধ্রুব কে দেখতে পেলো না।

শবনম স্টেজ থেকে নামতেই মাইশা ওকে জড়িয়ে ধরে।

মাইশাঃ Shabnam you rocks baby ??

মাদারঃ অনেক ভালো করেছো শবনম। দোয়া করি আল্লাহ তোমার সব আশা পুরণ করুক।

শবনমঃ thanks mother.

তার পর সবাই হোস্টেলে ফিরে আসে। সারা রাস্তায় শবনমের চোখ শুধু ধ্রুবকেই খুঁজছিল।

হোস্টেলে এসে সবাই ফ্রেশ হয়ে খেয়ে শুয়ে পরে।
কিন্তু শবনম চোখ বন্ধ করলেই ধ্রুবর চেহারা ভেসে উঠে। তাই বিরক্ত হয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে তারা দেখতে লাগলো সে।

শবনমঃ বারবার ধ্রুবর কথা কেন মনে পরছে। ও হয়তো অনেক হার্ট হয়েছে। কিন্তু আমি তো আর ইচ্ছে করে ওকে হার্ট করিনি। it’s just a competition. ??

নিচে তাকাতেই শবনম দেখতে পেল ধ্রুব পার্কের দোনলায় বসে আছে। তাই আর কিছু না ভেবেই আস্তে আস্তে সবার আড়ালে নিচে নেমে এসে ধ্রুবর পাশে বসে পরে।

ধ্রুব পাশে তাকাতেই শবনমকে দেখতে পায় আবার সামনে তাকিয়ে মলিন হেসে বলে congrats.

শবনমঃ thanks. Dhruvo are you hurt. But trust me I didn’t hurt you purposely. ?

ধ্রুবঃ আরে না এটা কম্পিটেশন এটাতে হার জিৎ তো কমন। BTW can we became friends.

Sure ,,,,,অনেক খুশি হয়ে।

এভাবে ওদের বন্ধুত্ব শুরু হয়। দেখতে দেখতে 2nd round হয়ে যায়। এটাতে ধ্রুব জিতে। শবনম আর ধ্রুব অনেক খুশি। শবনম মন থেকে ধ্রুবকে অনেক বেশী ভালো বেসে ফেলেছে।

আজকে লাস্ট রাউন্ড,,,,, শবনম কম্পিটেশন থেকে নিজের নাম কাটিয়ে নিয়েছে কারন ও চায় না ওর জন্য ধ্রুব কষ্ট পাক। কম্পিটেশনে 2 ঘন্টা বাকি। শবনম ভেবে নিয়েছে আজকে ধ্রুবকে নিজের মনের কথা বলবেই। শবনম স্টারগজার ফুল হাতে নিয়ে ধ্রুবর কাছে যাচ্ছে। ধ্রুবর রুমের দরজায় এসে থেমে যায় শবনম,,,, রুম থেকে কারো কথা ভেসে আসছে।

অচেনাঃ really Dhruvo তুই জিতার জন্য শবনমের ফিলিংস নিয়ে খেলা করলি।??

ধ্রুবঃ হ্যাঁ আমি জিতার জন্য ওর সাথে অভিনয় করেছি। যখন ও প্রথম রাউন্ড জিতে যায় তখন আমি এই প্লান করি ওকে র্ট নিয়েছি।ওই বোকার মতো আমার উপর ট্রাস্ট করেছে।

কথা গুলো শুনে শবনম যেন আকাশ থেকে পরলো। চোখ থেকে অঝোরে পানি পরছে। হাত থেকে ফুলের তোড়া টা পরে গেল ওর। আর ওখানে স্থির থাকতে পরলো না শবনম দৌড়ে চলে গেলো ওখান থেকে। একবারের জন্যও পিছনের দিকে তাকায় নি সে,,,,,

বর্তমানে,,,,,,

রেলিং ঘেঁষে দু হাটুতে মুখ গুঁজে কান্না করছে শবনম।

শবনমঃ কেন করলে এমন ধ্রুব। কারো ফিলিংস নিয়ে খেলা করতে তোমার বিবেকে বাধে নি। একবার বলে দেখতে। তোমার জন্য আমি নিজে থেকে প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম কাটিয়ে নিয়েছিলাম। I hate you Dhruvo. I just hate you. কখনো তোমার চেহারা দেখতে চাই না আমি। I don’t want to see your face again.

কান্না করতে করতে বারান্দাতেই ঘুমিয়ে পরে শবনম।

সকালের মিষ্টি রোদে ঘুম ভাঙ্গে তার। উঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজে চলে আসে ও।
এসে দেখে সবাই ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছে। শবনম গিয়ে ওদের পাশে বসলো। সবাই কথা বলছে কিন্তু শবনম খেয়াল করলো মিশা মনমরা
হয়ে বসে আছে। আর কবীরও অনেক চুপচাপ হয়ে আছে।

শবনমঃ what happened Misha Kabir তোরা এতো চুপচাপ হয়ে আছিস কেন।

মিশাঃ কই নাতো I’m alright. ??

কবীরঃ শবনম আমার তোমাকে কিছু বলার আছে।

শবনমঃ yeah বলো।

কবীরঃ না মানে এখানে না it’s personal.
বলে শবনমের হাত ধরে নিয়ে যায় কবীর। এটা দেখে মিশার চোখে পানি চলে আসে। ও ভাবছে আজ হয়তো কবীর শবনমকে ভালোবাসার কথা জানাবে।

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here