Our_Unknown_Love_Story,14,15,16

0
1010

#Our_Unknown_Love_Story,14,15,16
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_14

কবীর শবনমকে নিয়ে একটা খালি ক্লাস রুমে নিয়ে যায়। তারপর বলতে শুরু করল,,,,,,

কবীরঃ Shabnam yaar I’ve made a huge blunder. Please help me out of this problem. ??

শবনমঃ কেন কি হয়েছে কবীর। (অনেকটা চিন্তিত হয়ে)

কবীরঃ You know what আমি একটা গাধা স্টুপিড মাথা মোটা I’m good for nothing ?

শবনমঃ Relaxed Kabirএখন বলো কি হয়েছে??

কবীরঃ Actually Shabnam…. আমি আসলে কি হয়েছে,,,, আমি মিশাকে বলেছি that I love you. (এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলল কবীর।)

শবনমঃ Whattt ?

কবীরঃ Sorry but don’t take it seriously. আমি তো তোমাকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবি honestly আর কিছু না ??

কবীরের কথায় শবনম একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো,,,,, তার পর বলল……

শবনমঃ তাহলে তুমি মিশাকে কেন বললে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো।

কবীরঃ Actually আমি অনেক চেষ্টা করেছি মিশাকে বুঝাতে that I love her. কিন্তু ও কখনো আমার ফিলিংস বুঝার চেষ্টাও করে নি। তাই যখন তুমি আসলে তখন ভাবলাম তোমাকে নিয়ে ওকে জেলাস ফিল করাবো। এই চক্করে কালকে এই ব্লান্ডার টা করে ফেল্লাম। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।

শবনমঃ ওকে বাট এই কথাটা শুনে ওর রিয়েকশন কি ছিল।

কবীরঃ ওই স্টুপিড মিশা কি বলেছে যানো,,,, ও বলেছে that we made for each other. ?�আর তুমি অনেক লাকি যে আমাকে পেয়েছো বলো ভাবা যায় এগুলা।

শবনমঃ আচ্ছা কবীর Are you sure that Misha loves you.

কবীরঃ No এটা সিউর হওয়ার জন্যই তো এতো কিছু করলাম।?but no results.

শবনমঃ ওহ ওকে। কিন্তু ভুল যখন তুমি করেছো সংশোধনও তোমাকেই করতে হবে।

কবীরঃ কিন্তু কিভাবে অনেক বেশী ভালোবাসি ওকে। আমি চাইনা এ ভালোবাসার জন্য আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হোক।

শবনমঃ Proposed her simple.

কবীরঃ কীীী ?

শবনমঃ Yeap you have to propose her as soon as possible. নাহলে অন্য কেউ এসে ওকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে আর তুমি হা করে তাকিয়ে থাকবে।

কবীরঃ এই না না করবো তো আজকেই করবো বাট you have to help me. আমাকে কি করতে হবে,,

শবনমঃ ওকে শুনো………..

তার পর সব কিছু প্লান করে ওরা রুম থেকে বের হয়ে যায়। আধার দূর থেকে কবীর আর শবনমকে একসাথে খালি রুম থেকে বের হতে দেখে। ওদের একসাথে দেখে আধারের চোখ রাগে ক্ষোভে লাল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি চোখ থেকে আগুন বের হবে। আধারের হাতে একটা লোহার রড ছিল রাগে ও রডটাকে দু হাত দিয়ে বাকা করে ফেলল তারপর রডটাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ক্লাসের জন্য চলে গেল। (ছেলেরা সবসময় বেশী বেশী বুঝে ??)

এই দিকে শবনম কবীর মিশা সবাই ক্লাসে বসে আছে। শবনম আর কবীর একসাথে বসেছে ইরা আর পুলক একসাথে আর মিশা একা কর্ণারে বসেছে,,,,,

শবনম আর কবীরকে একসাথে দেখে বেচারী রাগে দুঃখে বার বার নাক টানছে আর পেন্সিলটাকে মোড়াচ্ছে যেন এটা পেন্সিল না কবীরের মাথা।?

আধার ক্লাসে ঢুকেই শবনমের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শবনম এটা খেয়াল করে ভয়ে ভয়ে ঢোক গিলছে। আর ভাবছে,,,,,

শবনমঃ আমি আবার কি করলাম,,, এই উগান্ডার প্রেসিডেন্ট আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন। একদম ছ্যাবলাদের মতো তাকিয়ে আছে হ্হ জীবনে কি আমার মতো সুন্দরী মেয়ে দেখেনি। দেখবে কি করে আমি তো ওয়ান পিস আল্লাহর এই দুনিয়ায়।??

শবনম কথা গুলো ভাবছে আর নিজে নিজেই হাসছে,,,

আধার শবনমের মনের সব কথা শুনে ফেলে। ওর কথা শুনে আধার আরো বেশী রেগে যায়। তাই রাগের চোটে হাতের চক শবনমের দিকে ছুড়ে মারে।

হঠাৎ কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত লাগায় ভাবনার জগৎ থেকে বের হয় শবনম। আহ্ বলে কপাল চেপে ধরে সাথে সাথে।

আধারঃ You stand up.

শবনম সাথে সাথে মাথা থেকে হাত সরিয়ে দাঁড়িয়ে যায়,,,

শবনমঃ Yess( অনেকটা ভয় পেয়ে )

আধারঃ আপনার মতো irresponsible and ফালতুস্টুডেন্টসের আমার ক্লাসে জায়গা নেই। Get out from my class ???

আধারের কথা শুনে শবনমের চোখ দিয়ে পানি পরছে। নিঃশব্দে নিচে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে শবনম।চকটা লাগায় শবনমের কপাল কিনার দিয়ে কিছুটা কেটে গেছে হাল্কা হাল্কা ব্লিডিংও হচ্ছে। শবনম চুপ করে থাকায় আধার আবারো ওকে ধমক দিয়ে বলল,,,

আধারঃ I said get out from my class right now ( চিল্লিয়ে)

শবনম আর এক মুহূর্তও দেরি না করে দৌড়ে চোখ মুছতে মুছতে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়।

কিছুক্ষনের মধ্যেই ক্লাস শেষ করে আধার ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। মিশা কবীর ইরা সবাই শবনমকে খুজছে কিন্তু পাচ্ছে না। কবীর শবনমকে কল করলো দুবার রিং হওয়ার পর রিসিভ করলো,,,,,

কবীরঃ হ্যালো হ্যালো শবনম where are you yaar. Are you OK.

শবনমঃ কবীর আমি হোস্টেলে আছি। and don’t worry I’m ok.

কবীরঃ জানি না আধার শুধু শুধু তোর সাথে এমন করলো কেন। OK let it be কালকে তুই যেভাবে প্লান বলেছিলি আমি সেভাবেই মিশাকে আমার মনের কথা বলবো। thanks yaar for giving me a brilliant idea.

শবনমঃ ওকে কবীর কালকে দেখা হবে বায়। বলে শবনম কল কেটে দেয়। শবনম কবীরকে মিথ্যা বলেছে ও হোস্টেলে যায় নি। শবনম জঙ্গলের ওই নীরব জায়গায় বসে আছে যেখানে সেই রাতে ওই অজানা ছেলেটি গান গেয়েছিল।

শবনমের সাথে যখন কবীর কথা বলছিলো আঁধার আড়াল থেকে সব শুনে ফেলে,,,,

আধারঃ ওহ নো আমি এটা কি করলাম??নিজের রাগে কেন কন্ট্রোল করতে পারি না আমি। যাকে এত ভালো বাসি জেনে বুঝে তাকেই এতো কষ্ট দিয়ে ফেললাম। I really don’t deserve anyone’s love. কোথায় তুমি শবনম।

চোখ বন্ধ করে শবনম কোথায় আছে দেখার চেষ্টা করছে আধার। আধার দেখলো শবনম একটা গাছের নিচে বসে নীরবে কান্না করছে। আর দেরি না করে হাওয়ার বেগে শবনমের কাছে ছুটে যায় ও।

To be continued……..

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_15

জঙ্গলের একটা পুকুরে দুই পা ভিজিয়ে একটা উঁচু পাথরে বসে আছে শবনম। রাত হওয়া সত্ত্বেও চাঁদের আলোতে চারিদিক আলোকিত হয়ে আছে। পুকুরে চাঁদের প্রতিবিম্ব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। শবনম এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে চাঁদের প্রতিবিম্বের দিকে। আর ভাবছে,,,,,

শবনমঃ আমি কি এমন করেছিলাম। শুধু শুধু সবার সামনে এত্তো গুলো অপমান করলো। আর সব সময় তো কত সুন্দর করে কথা বলে আর আজ এতো রুড আর রাফ ব্যবহার করলো।?আধার রেজওয়ান আপনি আস্তো একটা ডেভিল এনাকন্ডা খারুস ধলা বিড়াল সব। আল্লাহ জানে কার জেদ আমার উপর তুলছে।খারুস ছয় ফুট এর ধলা বিড়াল। সামনে পেলে উনার মাথার সিল্কি চুল গুলোতে আগুন ধরিয়ে দিতাম তাও without fire ??

কিন্তু এমন ও তো হতে পারে উনি কোন বিষয় নিয়ে আপসেট বা টেন্সড। তাই সেই রাগ আমার উপর ঝেড়েছেন।

আচ্ছা শবনম আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না। উনি তোর উপর রাগ দেখিয়েছেন। তার পর ও তুই উনার কথাই ভাবছিস। strange ?�আধার রেজওয়ান এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দে। just shack it off. কথা গুলো ভেবেই শবনম আবার চাঁদ দেখায় মনোযোগ দিলো। কিন্তু কিছুতেই আধারের চিন্তা ওর মাথা থেকে যাচ্ছে না। একে একে আধারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত ওর চোখের সামনে ভেসে উঠছে। ওর কেয়ার ওর রাগ ওর চোখের ভাষা যা শবনম কখনো বুঝতে পারে না সব ওর চোখের সামনে ভেসে উঠছে। নিজের অজান্তেই আধারের কথা ভেবে ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো তার,,,,,,,

শবনম নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছে,,,,

শবনমঃ আচ্ছা আধাররের কথায় কি আমি ওর উপর রাগ করেছি না অভিমান। যদি রাগ করতাম তাহলে এতো কিছুর পরেও ওর চেহারাই কেন বারবার চোখে ভাসছে। না এটা রাগ না এটা অভিমান। কিন্তু অভিমান তো তার উপরেই হয় যাকে আমরা ভালোবাসি। তাহলে কি আমি আধারকে……..উফফ আর ভাবতে পারছি না কিছু। বলেই শবনম দু হাত দিয়ে ওর মাথা চেপে ধরলো।

এইদিকে আধার এসে দেখে শবনম পানিতে পা ডুবিয়ে বসে আছে। এটা দেখে আধার একটা টেডি স্মাইল দিয়ে হাত দিয়ে চুল গুলো হাল্কা ঝাকিয়ে শবনমের পাশে বসলো।

শবনম নিজের পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে পাশে তাকিয়ে দেখে আধার বসে আছে দুই কানে হাত দিয়ে। ওকে এভাবে দেখে অনেক হাসি পাচ্ছিলো শবনমের তার পরেও নিজের হাসি কন্ট্রোল করে মুখ ঘুরিয়ে ফেলল ও।

শবনমঃ উফফ কারো জন্য একা থেকেও শান্তি নেই।?

আধারঃ কেউ যদি স্যরি বলে তাহলে তা এক্সেপ্ট করতে হয়। না করলে bad manners. ?

শবনমঃ কারো স্যরি দিয়ে কি মলম লাগিয়ে মাথায় দিবো। আর কি ভরসা যে ওই ব্যক্তি স্যরি বলার পরেও আর ভূল করবে না।?

আধারঃ The whole world is based on trust.বিশ্বাসেই দুনিয়া কায়েম আছে। You can trust me

আধারের কথায় শবনম আধারের দিকে তাকালো। ওর চোখে নিজের জন্য কিছু একটা অনুভব করছে শবনম।

শবনমঃ সত্যি,,,,,ভরসা করলে কখনো তা ভাঙ্গবে না।

আধারঃ Never (আস্তে করে)

আধার খেয়াল করলো শবনমের কপালের এক কোনে কেটে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। আধার সাথে সাথে নিজের চোখ নামিয়ে নিলো আর নিচের দিকে তাকিয়ে আবারো বলতে শুরু করল,,,,

আধারঃ shabnam I’m really sorry. I don’t know রেগে গেলে আমার কি হয়ে যায়। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না। তাই যে সামনে থাকে তার উপরেই সব রাগ ঝেড়ে দেই।

শবনম আধারের হাতের উপর নিজের হাত রেখে বলতে শুরু করল,,,,,,,

শবনমঃ it’s OK Adhar. প্রথম একটু রাগ লাগলেও পরে তোমার কথা শুনে সব রাগ অভিমান হাওয়া হয়ে গেছে। so you don’t need to be sorry.

আধারঃ শবনম তোমার চোখ বন্ধ করতো।

আধারের কথায় শবনম চোখ বড়বড় করে ওর দিকে তাকায় আর বলে,,,,,

শবনমঃ চোখ বন্ধ করবো। but why….

আধারঃ চোখ বন্ধ করতে বলেছি,,, বড় করতে না।?

আধারের কথায় শবনম ওর দিকে আবার চোখ ছোট ছোট করে তাকালো।

আধারঃ OK OK do you trust me…. ?

শবনমঃ Noo ?

আধারঃ কি মেয়েরে বাবা মুখের উপর না করে দেয়(মনে মনে)

ওখেই ওখেই ট্রাস্ট করা লাগবে না। কিন্তু আমি থাকতে কক্ষনো তোমার কোন ক্ষতি হতে দিবো না।

আধারের সব কথায় শবনম বিশ্বাস আর নিজের জন্য গভীর টান খুজে পায়। এবারো তাই হলো সবার থেকে বেশী ওর আধারকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে কিন্তু কেন জানি ও এটা মুখে শিকার করতে পারে না,,,,, আধারের কথায় আস্তে আস্তে নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলল শবনম।

শবনম চোখ বন্ধ করায় আধার মুচকি হেসে ওর দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়। শবনম অনুভব করছে যে আধার ওর দিকে এগিয়ে আসছে এতে শবনমের হার্টবিট ক্রমশ ফাস্ট থেকে ফাস্ট হচ্ছে।শবনম চোখ খিচে বন্ধ করে আছে। ওর আধারের উপর পুরো বিশ্বাস আছে তবুও কেন জানি ওর নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে।

আধার শবনমের অনেক কাছে চলে এসেছে।তার পর আধার ওর দিকে ঝুঁকে কপালের কাটা জায়গায় গভীর ভাবে ঠোঁট ছোয়ালো।? সাথে সাথে কাটা দাগটা মিশে যায়। আধার এমন কিছু করবে শবনম ভাবেও নি। শবনম আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে আধার অপলক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

To be continued……..

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_16

আধার অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শবনমের দিকে। আর শবনম ও যেন হারিয়ে যাচ্ছে আধারের নীল চোখ দুটোতে। কি আছে এই চোখে কেন এতো আকর্ষণ করে ওকে এটি।

শবনম আর আধার যেন হারিয়ে যাচ্ছে একে অপরের চোখে। আধার একটু একটু করে শবনমের দিকে এগুচ্ছিলো হঠাৎ ঝোপের মধ্য থেকে একটা আওয়াজ আসে। এতে ওদের ঘোর কাটে। শবনম সাথে সাথে আধারের কাছ থেকে দূরে সরে বসে। আর আধার ঝোপের মাঝে কি আছে দেখার চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুই দেখতে পেলো না। আধার শবনমের দিকে তাকিয়ে দেখে ও অনেক দূরে সরে বসেছে। শবনম হাত দিয়ে স্কার্ফের কোনা মোচরাচ্ছে। ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে ও অনেক আনকমফরটেবল ফিল করছে।

আধার পরিস্থিতি নরমাল করার জন্য দাঁড়িয়ে বলা শুরু করলো,,,,,

আধারঃ আমাদের এখন যাওয়া উচিত অনেক রাত হয়ে গেছে। বলে আঁধার হাটা শুরু করল।

শবনমও আর কিছু না বলে ওর পিছে পিছে হাটতে লাগলো।

বিছানায় শুয়ে আছে শবনম। আধারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত মনে করছে আর ব্লাশিং হচ্ছে।

শবনমঃ কেন এমন হচ্ছে আমার সাথে। বার বার কেন আধারের কথা মনে পরছে ওর সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত চোখে ভাসছে। ওকে কেন এতো মিস করছি why did I fall in love with him no no no এটা হতেই পারে না। আমি,,,,আর ওই খারুস সারু angry young man Adhar Rejwan কে ভালোবাসবো that’s impossible. ?

নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতে দিতে শবনম ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়।

এইদিকে,,,,,,

একটা অন্ধকার রুমে বসে আছে আধার। শুধু কয়েকটা মোম জালানো রুমে।রুমের দেয়াল হতে সব আসবাবপত্র কালো রঙের। রুম অনেক ধরনের পেন্টিং লাগানো। কিন্তু সব গুলো পেন্টিংই অদ্ভুত। মোমের হাল্কা আলোতে কক্ষটা আরো ভয়ঙ্কর লাগছে। আধারের সামনে একটা বড় ছবি টাঙ্গানো। ছবিতে একটা মেয়ে বয়স 8 হবে আর একটা ছেলে বয়স 12 ।ছবিটিতে হাত বুলাচ্ছে আধার। আর বলছে,,,,,,

আধারঃ অনেক ভালোবাসি তোমায়। জানি তুমিও বাসো।আজ কত কাছে ছিলাম তোমার ইচ্ছে করছিল তোমার মাঝে হারিয়ে যেতে। কিন্তু যতবারই তোমার কাছে যাই ততবারই আমার অস্তিত্ব আমাদের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।? অনেক চেষ্টা করেছি জানো তোমার কাছ থেকে দূরে থাকতে কিন্তু পারি নি। but don’t worry Jan আর মাত্র কয়েকটা দিন একবার তাকে খুঁজে বের করে শেষ করে দেই যে তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। then আমি তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাবো। যেখানে আমার ছায়াও তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে আসবে না।
তুমি যেখানেই থাকো না কেন আমি তোমায় ঠিকই খুঁজে বের করবো। তুমি আমার জানে হাত দিয়েছে। You have tried to hurt my love I will destroy you

In Morning………

In College……

আজকে সবাই প্লান করে মিশাকে রেখে অনেক আগেই কলেজে এসেছে। সব প্লান অনুযায়ী আরেঞ্জ করা হয়ে গেছে। শুধু মিশার আসা বাকি।

কবীরঃ শবনম পাখি দি are you sure this plan will work.

শবনমঃ of course. Kabir trust me.

ইরাঃ আরে ফাট্যু এতো ভয় পাচ্ছিস। just l love you বলবি that’s it,,,, very simple.

পুলকঃ oh really ইরাবতী।এতোই simple then proposed me now

ইরাঃ হ্হ আমার বয়েই গেছে।

পাখিঃ ওফফো গাইস চুপ করে যে যার পজিশন নাও মিশার আসার সময় হয়ে গেছে।

আকাশ দৌড়ে এসে সবার সামনে দাঁড়ালো।

আকাশঃ Hey guys can I join you.

পুলকঃ তুমি???

আকাশঃ Oh I’m Aakash. পাখির ক্লাস মেট প্লাস বেস্ট ফ্রেন্ড। right pakhi ?আর তাই তোমাদেরও ফ্রেন্ড লিস্টে এ্যাড হতে চাই। can I.

পাখিঃ what you are only my class mate no friend OK

শবনমঃ it’s OK Pakhi di. BTW I’m shabnam. ইরা পুলক আর কবীর। সবাইকে দেখিয়ে দিয়ে।

আকাশঃ Oh nice to meet you all.btw তোমরা কিসের প্লানের কথা বলছো,,,,

তার পর সবাই আকাশকে সব বুঝিয়ে দিলো।

আকাশঃ Wow what a idea. Brilliant. ??

ইরাঃ ওহ নো মিশা আসছে।

মিশা বকবক করতে করতে কলেজ গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকছে,,,,,,

মিশাঃ What the hell সবাই আমাকে একা ফেলে চলে এসেছে। আমার কোন মুল্যই নেই কারো কাছে। শবনম আসার পর থেকে সবাই তো আমাকে ভুলেই গেছে। ও কবীরের সাথে সাথে সবাইকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।I hate you Shabnam I just hate you �( মনে মনে )

মিশা কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ভিতরে ঢুকছে হঠাৎ পায়ের নিচে কিছু নরম অনুভব করলো। নিচে তাকিয়ে দেখে পুরো রাস্তা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো। নিজের অজান্তেই মিশা হেসে দিলো। মিশা আস্তে আস্তে করে ফুলের রাস্তা অনুসরণ করে এগিয়ে গেলো। কিছুদূর যেতেই মিশা দেখতে পেলো,,,, চারটা বাচ্চা চারটা বড় কাগজ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একজনের কাগজে I একজনের ❤ একজনের U আরেক জনের হাতের কাগজে Misha লেখা।

এটা দেখে মিশা খুশিতে দৌড়ে বাচ্চা গুলোর কাছে গেলো। মিশা ওদের কাছে যেতেই কবীর একটা অর্কিডের তোরা নিয়ে মিশার কাছে এসে দাঁড়ালো।

কবীরঃ পছন্দ হয়েছে মিশা।

মিশাঃ Of course yaar Kabir.it was just wonderful

কবীরঃ তো বলছিলাম তোর উওর কি।?

মিশাঃ ওফফো কবীর of course আমিও I love you too বলবো।

কবীরঃ Really ?তাহলে তারাতারি বল।

মিশাঃ হুম। বলে বাচ্চাদের কাছে চলে গেল। আর বলল,,, I love you too baby রা।?

মিশার কাজে কবীর full shocked. শবনম পাখি আর সবাই আড়ালে লুকিয়ে ওদের কান্ড দেখছে আর হাসছে।

কবীর অসহায় ভাবে ওদের দিকে তাকালো। শবনম ইশারায় বলল,,,,,go on….

কবীর আবার মিশার কাছে গেলো।

কবীরঃ মিশা আমার কথা শোন।�আসলে….মিশা কবীরকে চুপ করিয়ে বলতে লাগলো,,,,, shut up kabir don’t disturb,,, তোর কথাতো সব সময় শুনি আজ আমি ওদের কথা শুনবো,, look how much they love me.

মিশার ধমকে কবীর কিছুটা রেগে গেলো,,, আর মিশার হাত ধরে টেনে নিজের সামনে এনে দাড়া করায় দেন বলে,,,, আরে স্টুপিড ওরা না আমি তোকে ভালোবাসি damn it.

কবীরের কথায় মিশা ভূত দেখার মতো চমকে গেছে। কবীর এবার মিশার হাত ছেড়ে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে অর্কিডের তোরা এগিয়ে দিয়ে বলতে থাকে,,,,

কবীরঃ I love you Misha. I really love you. সেই ছোট্ট বেলা থেকেই ভালোবাসি ❤কিন্তু কখনো বলতে পারি নি। ভয় করতো যদি বন্ধুত্ব হারিয়ে যায়।Misha will you be my forever and ever

মিশার চোখে পানি চলে এসেছে finally যাকে এতো ভালোবাসতো তাকে পেয়েছে। মিশা মাথা ঝাকিয়ে yes বললো তারপর কবীরকে জড়িয়ে ধরলো। আর বলল,,, I love you kabir. Please don’t leave me.

কবীরঃ Never and ever.

সাথে সাথে সবাই হাত তালি দিতে দিতে ওদের সামনে আসলো। আর একসাথে বলতে লাগলো Congratulations Misha Kabir

মিশা কবীরের কাছ থেকে দূরে সরে দাঁড়ালো। আর জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে কবীরের দিকে তাকালো।

কবীরঃ আরে মিশ don’t worry সব বলছি,,,

তারপর কবীর মিশাকে first to last সব বলল আর মিশা অবাক হয়ে সব শুনলো। ওর নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগছে ও শবনমকে না জানি কত কি বলেছে। ওকে কত খারাপ ভেবেছে। আর আজ শবনমের কারনেই কবীর সাহস করে নিজের মনের কথা বলতে পেরেছে।

মিশা শবনমের কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলো আর বলল,,,, thank you shabnam. Thank you very much

শবনম মিশার চোখের পানি মুছে বলল,,,,, Shack it off Mish.In friendship no thank you no sorry OK

মিশাঃ হুম।

এইদিকে আকাশ পাখির কাছে এসে ঘেঁষে দাঁড়ালো আর পাখি রাগী দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালো,,,, এটা দেখে আকাশ পাখির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,,,,

আকাশঃ এসে না মুঝে তুম দেখো সিনে সে লাগালুঙ্গা তুমকো মে চুরা লুঙ্গা তুমসে দিলমে ছুপা লুঙ্গা,,,?বলে পাখিকে চোখ টিপ মারলো।
আর পাখিতো রেগে ফায়ার।?

পাখিঃ shut up কি আবল তাবল গান গাইছো।

আকাশঃ উফফ পাখি it’s a romantic song ?only for you.

পাখিঃ You’re gonna mad ?

আকাশঃ হুম তোমার প্রেমে।

পাখিঃ যওসব আজাইরা পাবলিক হুহহ । �বলে পাখি আকাশ থেকে দূরে সরে গেলো।

পাখিঃ OK guys আমার ক্লাস আছে আর ছুটির পর সবাইকে একটা গুড নিউজ দিবো। বায়।

বলে পাখি চলে গেল আর আকাশও ওর পিছু পিছু ক্লাসে চলে গেল।

শবনমঃ Let’s go guys ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। ( আর লেট হলে ওই angry king Adhar will kill me. ??)মনে মনে।

In the Class,,,,,,

আধার ক্লাস করাচ্ছে আর শবনম আধারের দিক অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে। আজ একটু বেশিই হ্যান্ডসাম লাগছে ওর angry king কে। ব্লাক প্যান্ট ব্লাক সুজ ব্লাক শার্ট। শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত ফোল্ড করা, শবনম আসে পাশে তাকিয়ে দেখে সব মেয়েরা হা হয়ে তাকিয়ে আছে। শবনমের অনেক রাগ লাগছে আধারের উপর এতো সেজে গুজে আসার কি দরকার ছিল হাহ। শবনম একটা জিনিস খেয়াল করলো আধারের বুকে এক সাইডে কিছু ট্যাটু করে লেখা হয়তো কারো নাম। শার্টের দুটো বোতাম খোলা যার কারনে কিছু কিছু দেখা যাচ্ছে কিন্তু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। শবনম বার বার আধারের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু আধার আজ এক পলকের জন্যও ওর দিকে তাকায় নি। শবনমের বুকটা ধক করে উঠলো। অনেক কান্না আসছে তার। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নেয় ও।

ক্লাস শেষ করে আধার চলে যায়। শবনম ভাবছে,,,,

শবনমঃ আধারের আবার কি হলো। কালকের জন্য আবার রাগ টাগ করলো নাকি। নাহ ওর চুপ
থাকা আমি নিতে পারছি না। I have to talk to him.

শবনমঃ guys তোমরা বসো আমি আসছি। বলে শবনম ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়।

শবনম বাইরে গিয়ে দেখে আধার একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে আর বার বার মেয়েটির চুল কানের পিছনে গুজে দিচ্ছে। আর মেয়েটি হেসে হেসে আধারের উপর ঢলে পড়ছে। এসব দেখে শবনমের চোখ দিয়ে পানি পরছে। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে আধারের কাছে যায় শবনম। হয়তো কোন ফ্রেন্ড বা কাজিন হবে। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে শবনম আধারের সামনে এসে দাঁড়ায়।

শবনমঃ আধার আমার আপনার সাথে কিছু কথা আছে

আধার পিছনে ফিরে,,,,, ওহ মিস শবনম আপনি,,

মেয়েটিঃ Adhar who is she…

আধারঃ she is my student. And Shabnam meet my fiance Mahira.

Fiance কথাটা শুনে শবনমের পায়ের নিচে থেকে যেন মাটি সরে যায়। শবনম যেন freezd হয়ে গেছে। আধার অন্য কারোর ভেবেই হৃদয়টা চুরমার হয়ে যাচ্ছে ওর। চোখ দিয়ে যেন পানিও বের হচ্ছে না। শুধু অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আধারের দিকে।

আধারঃSorry miss shabnam আজ আপনার কথা শোনার টাইম নেই আমার কাছে আমাদের যেতে হবে take care. বলে আধার আর এক সেকেন্ড ও না দাঁড়িয়ে মাহিরার হাত ধরে ওখান থেকে চলে যায়।

শবনম একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে,,,, আধারের কথা গুলো কানে বাজ্জে ,,,,she is my fiance.

শবনম এক পা দু পা করে দৌড়ে কলেজ থেকে বের হয়ে যায়। চোখের পানি যেন বাধ মানছে না।

To be continued……

যারা আধার আর ধ্রুবকে নিয়ে confused আছে নেক্সট পার্টে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here