#Our_Unknown_Love_Story,19,20
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_19
ছেলেটি হঠাৎ জড়িয়ে ধরায় শবনম বোকা বনে গেল। শবনমের চোখ আধারের দিকে যেতেই ভয়ে গলা শুকিয়ে গেলো ওর।
আধারের চোখ অসম্ভব লাল হয়ে গেছে। রাগ কন্ট্রোল করতে হাতের মুঠো বন্ধ করে আছে। আধার আর এক মুহূর্ত দেরী না করে ওখান থেকে চলে যায়।
আধার চলে যেতেই শবনমের খেয়াল হলো ছেলেটি এখনো ওকে জড়িয়ে ধরে আছে।শবনম ছেলেটিকে নিজের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই ছেলেটি ওকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে,,,,,,
ছেলেটিঃ Sorry barbie doll. I know আমি যা করেছি তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তার পরেও বলবো please forget about the past. আমি জানি তুমি এখনো আমাকে ভালোবাসো।আমার অপেক্ষায় আছো। তোমার অপেক্ষা শেষ। দেখো আমি ফিরে এসেছি। তোমার কাছে। তোমার ভালবাসা তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছে।
কন্ঠ শুনে শবনমের আর বুঝতে বাকি রইল না এটা কে।এটা আর কেউ নয় ধ্রুব। শবনমের চোখে পানি চলে এসেছে। কিন্তু এটা ভালোবাসার না এটা ঘৃনার পানি। শবনমের কষ্ট থেকে বেশি রাগ লাগছে। ধ্রুবর কারনে আগেও ও অনেক কষ্ট পেয়েছে বেঁচে থেকেও তিলে তিলে মরেছে। আর আজও ধ্রুবর জন্য আধার ওকে ভূল বুঝলো। শবনম রেগে গিয়ে ধ্রুবকে অনেক জোরে ধাক্কা মেরে দেয়। ধ্রুব টাল সামলাতে না পেরে পরে যেতে নেয় কিন্তু কোন রকমে নিজেকে সামলে নেয়। ধ্রুব অবাক চোখে তাকিয়ে আছে শবনমের দিকে। এটাকি ওই শবনম যে ধ্রুবকে এতো ভালোবাসতো। তার জন্য সব করতে পারতো।
ধ্রুব শবনমের কাছে আবার যেতে চাইলে শবনম হাত দিয়ে ওকে থামিয়ে দেয় তারপর বলতে থাকে।
শবনমঃ Stop there Mr Dhruvo. How dare you. আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে টাচ করার।আমাকে জড়িয়ে ধরার।
ধ্রুব শবনমের কাছে এসে ওর হাত নিজের হাতের ভাজে নিয়ে বলতে থাকে।
ধ্রুবঃ শবনম আমি জানি তুমি আমার উপর রেগে আছো। অনেক অভিমান জমে আছে তোমার মধ্যে। But trust me তুমি চলে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পারি যে আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি। এজন্যই তোমার কাছে ফিরে এসেছি। I love you Shabnam I love you very much.
শবনম এক ঝটকায় নিজের হাত ধ্রুবর থেকে সরিয়ে নেয়। আর বলে,,,,,
শবনমঃ ভালোবাসার কথা তোমার মুখে মানায় না ধ্রুব। আমি তোমাকে যত টুকু চিনি তুমি শুধু নিজেকেই ভালোবাসতে পারো অন্য কাওকে না।আর যেখানে অভিমানের কথা,,,,, সেটা তার উপরেই হয় যাকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি না। I just hate you. শুনেছো তুমি I hate you. আমার লাইফে তোমার কোন জায়গা নেই। আমার হৃদয় মন জুড়ে শুধু …….শমনম কি যেন ভেবে আধারের নাম নিলো না।
ধ্রুবঃ please Shabnam give me a chance. I promise আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না।
শবনমঃ No Dhruvo আমি তোমায় কখনো ক্ষমা করবো না। আর বিশ্বাস তাও তোমাকে তুমি শুধু নিজের স্বার্থ বুঝো। আমার কি লাগছে জানো এখানে আসার পিছনেও তোমার কোনো স্বার্থ লুকিয়ে আছে। tell me the truth তোমার মাথায় কি চলছে।
ধ্রুবঃ Come on Shabnam.এমন কিছু না। আমি জাস্ট তোমাকে ফিরিয়ে নিতে এসেছি। আর তোমার অভিমান ভাঙ্গিয়ে তোমাকে আমার করেই ছারবো।
শবনমঃ সেটা কখনই সম্ভব না। আমি তোমাকে ভালবাসি না। so leave from here it’s better for you. বলে শবনম ওখান থেকে চলে যায়।
ধ্রুব শবনমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,,,,,,
ধ্রুবঃ You are right Shabnam. আমি শুধু নিজের স্বার্থ বুঝি। নিজেকেই ভালোবাসি আর এখানে আসার পেছনেও আমার স্বার্থ লুকিয়ে আছে।( শয়তানি হাসি দিয়ে )
Get ready Aadhar the game has began. With Devil smile.
এইদিকে,,,,,,
পুরো কলেজে খুঁজেও আধারকে কোথাও পেলো না শবনম। মন খারাপ করে ক্লাস গুলো করলো শবনম। আধার আর ধ্রুবর কথা ভাবতে ভাবতে মাথা ব্যথা করছে ওর। মিশা পাখি সবাই আধারের কথা জিজ্ঞাসা করলেও কিছুই বলল না ও। সন্ধ্যায় সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে। কিন্তু শবনমের মাথায় একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে যে কেন ধ্রুব এখানে এসেছে ওর কোন খারাপ intention নেই তো। আর আধার কোথায় আছে কেমন আছে।নিশ্চই আধার অনেক রেগে আছে তাই ওর সামনে আসছে না।
শবনমের হঠাৎ খেয়াল হলো হয়তো আধার জঙ্গলের ওই পুকুরের পাশে গিয়েছে। তাই আর দেরি না করে সবাইকে হোস্টেলের কথা বলে ওখান থেকে জঙ্গলের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায় ও।
জঙ্গলে প্রবেশ করতেই কারো মনোমুগ্ধকর কন্ঠে গান শুনতে পেলো শবনম। কন্ঠটা ওর খুব চেনা।
শবনমঃ এটাতো সেই ছেলের কন্ঠ যে ওইদিন রাতে গান গাইছিলো।আজ দেখেই ছাড়বো কে এটা। কথা গুলো বলে সামনে যেতেই শবনম shocked হয়ে যায়। কারন সামনে আধার পুকুর পাড়ে বসে গান গাচ্ছিল।
শবনমঃ OMG এটাতো Mr angry man Aadhar Rejwan.??can’t believe উনি গান গাইছে তাও এতো সুন্দর আর feel নিয়ে। মানে সেদিন উনিই ছিলেন যে গাচ্ছিলো।
আধারঃ
Yaara tu mujhme yuu basaa
Mujhme rahi na meri jagaa……
Phela hai tu meri rooh taak
Tujhme hi main Jeene laga……
Tu aabh main hai tuhi baad main
Tu roobaru tuhi khwab main…..
Jitna na tha Main tera Ho gaya
Aapna bhi main na raha……
Yaara tu mujhme yuu basaa
Mujhme rahe na meri jaga…..
??????
??????
Tu neend bhi hai khwab bhi
Hai aakh main mere….
Teri hi aag jaal rahi
Hai raakh main mere…..
Hassu Teri khushi main
Tere gaam main royu main……
Tere hii Saath jagu main
Tujhi main soyu main……
Jeena mera marna mera
Tuhito hain sabh mera…..
Tujo nehi kuch bhi nehi
Tuhi to jaha mera……
Yaara tu mujhme yuu basaa
Mujhme rahe na meri jaga…..
Phela hai tu meri rooh taak
Tujhme hi main jeene laaga…..
শবনম গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে আধারের গান শুনছিলো। গানের প্রত্যেকটা শব্দে প্রত্যেকটা সুরে ও আধারের হৃদয়ের ব্যথা অনুভব করছিলো। না চাইতেও শবনমের চোখে পানি চলে আসে।
ওখানে এভাবে চোরের মত না দাঁড়িয়ে থেকে চাইলে আমার সাথে বসতে পারো। if you don’t feel uncomfortable with me. ( আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলল আধার।)
আধারের কথা শুনে শবনম ওর দিকে তাকিয়ে দেখে আধার আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। শবনমের কাছে অনেক অদ্ভুত লাগলো ব্যপার টা। পেছনে না ফিরেই আধার কিভাবে বুঝলো যে ও এখানে।
শবনমঃ আধার কিভাবে বুঝলো যে আমি এখানে। আমি তো কোন শব্দ ও করি নি। আর আমার বদলে অন্য কেউ ও হতে পারতো। then how could be he’s so sure about me. ভাবতে থাকে শবনম।
আধারঃ এতো ভাবো কেন তুমি। নিজের ব্রেনকে একটু relax দিতে পারো না।
শবনম আবারো দেখলো আধার একই ভাবে আগের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। শবনম এবার কিছুটা ভয় পেয়ে গেল। তারপরেও গুটি গুটি পায়ে আধারের পাশে গিয়ে বসলো।
শবনম আধারের দিকে তাকিয়ে ওকে প্রশ্ন করলো।
শবনমঃ How do you know কি আমিই ছিলাম। অন্য কেউ ও তো হতে পারতো।
শবনমের কথায় আধার ওর দিকে তাকিয়ে বলল
আধারঃ তুমি তো আর অন্য কেউ না। You are different to me. ( বলে আবার আকাশের দিকে তাকালো। )
শবনম আধারের জবাবে কিছুটা খুশি হয়ে আবার
ওকে প্রশ্ন করলো।
শবনমঃ আমি সবার থেকে different কেন তোমার জন্য।
আধার শবনমের কথায় পাত্তা না দিয়ে ওকে উল্টো প্রশ্ন করে,,,,
আধারঃ কেন এসেছো এখানে সেটা বলো।
আধার উওর না দেওয়ায় শবনমের মুখটা ছোট
হয়ে যায়। তারপরও নিজেকে সামনে নিয়ে বলে,,,
শবনমঃ তুমি কি কোন কারনে আমার উপর রেগে আছো আধার। দেখো তখন হঠাৎ কোথা থেকে ধ্রুব এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমি বুঝতেও পারি নি। But I don’t love him trust me.
আধার শবনমের কথায় কোন রিয়েকশনি করলো না। ও একি ভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,,,,
আধারঃ ধ্রুব হয়তো তোমাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে। ওকে ক্ষমা করে দাও আর নতুন করে ওর সাথে জীবন শুরু করো। he is best for you. কথা গুলো বলতে গলা ধরে যাচ্ছিলো আধারের।
আধারের কথা শুনে শবনম অনেক কষ্ট পেলো। ওর ভেতরটা খা খা করে উঠলো।
শবনমঃ তুমি জানো না ও কি করেছিলো। একটা competition জিতার জন্য he broke my heart. ভাঙ্গা গলায় বলল শবনম।
আধারঃ I know everything about you Shabnam. ভূল তো সবারই হয়। তোমরা দুজনেই অবুঝ ছিলা তাই হয়তো জিতার নেশায় ধ্রুব এমনটা করে ফেলেছে। you should give him a chance.
আধারের প্রত্যেকটা কথায় শবনম অনেক অবাক হচ্ছে। ওর ভিতরটা জ্বলে যাচ্ছে। শবনম এবার নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না।
শবনমঃ প্লিজ আধার for God sake চুপ করো। তুমি জানো না তোমার প্রত্যেক টা কথায় আমি কত টা কষ্ট পাচ্ছি। আমি ধ্রুবর ব্যপারে কোনো কথা বলতে চাই না। ওকে ক্ষমা ও করতে চাই না। কান্না মিশ্রিত কন্ঠে ।
শবনম এবার উঠে আধারের সামনে হাটু গেড়ে বসলো। আধার অবাক চোখে শবনমের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,শবনম বলতে শুরু করল,,,,,,
শবনমঃ আধার সত্যিই কি তুমি আমার চোখে নিজের জন্য কিছু দেখতে পাওনা। আমি তোমার চোখে নিজের জন্য যে ভালোবাসা যে অনুভূতি দেখি তাকি আমার চোখে তোমার জন্য দেখা যায় না। আমি কি ভালোবাসা প্রকাশ করতে এতোই অসমর্থ যে মুখে প্রকাশ না করলে তুমি বুঝতে পারবে না। যদি এটাই হয়ে থাকে দেন আমি আজ নিজের মুখে বলছি।
আধার আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। I love you very much. জানি না এ ভালোবাসা কখন কিভাবে হলো বাস হয়ে গেল। অনেক কম সময়ে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে। যখন তোমাকে প্রথম দেখি এমন লাগে তুমি আমার অনেক আপন কেউ। অনেক আগে থেকেই তোমাকে চিনি।তুমি আমার আশেপাশে না থাকলে ও প্রতিনিয়ত তোমাকে নিজের আশেপাশে অনুভব করি। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না আধার। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না। কথা গুলো বলতে প্রায় কেঁদে দিয়েছে শবনম।
আধার কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। ওর তো খুশি হওয়া উচিৎ। নিজের ভালোবাসার মানুষটির মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনা কত জনের ভাগ্যে জোটে। আর এটাতো ওর ছোটো বেলার ভালোবাসা। যখন ভালোবাসার মানেও বুঝতো না তখন থেকে শবনমকে ভালোবাসে ও।
আধারঃ তোমার মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনতে পেরেছি এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। আমার আর কিছু চাই না। কিন্তু নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে তোমাকে বিপদে ফেলতে পারবো না। you have to forget me you have to hate me.
কথা গুলো ভেবে নিজের মুখটা শক্ত করে দাঁড়িয়ে গেলো আধার। আধারকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখে শবনম ও দাঁড়িয়ে গেল। আধার শক্ত করে দু হাত দিয়ে শবনমের কাধ ধরে বলতে শুরু করল,,,,,,,
আধারঃ তুমি ভাবো কি নিজেকে হ্হ। আগে ধ্রুব কে ভালোবাসতে এখন বলছো যে আমাকে ভালোবাসো। পরে বলবে যে অন্য কাওকে ভালোবাসো।
শবনমঃ না আধার I really love you. Trust me.
আধারঃ Oh shut up. তোমার মতো মেয়েদের না আমার চেনা আছে। তোমরা শুধু টাকাকে ভালোবাসো। ধ্রুব কেও টাকার জন্য ভালোবেসেছো। যখন ও চলে গেছে তখন আবার আমার কাছে এসেছো। you know what তুমি ধ্রুবর কাছে ফিরে যাচ্ছো না কেন জানো,, কারন আমি ধ্রুবর থেকে বেশি রিচ। You are a Carrecterless girl.do you get that you are a carreecterless girl.
আর তোমার মতো লো স্ট্যান্ডার্ড মেয়ের কোন যোগ্যতা নেই আধার রেজওয়ান কে ভালোবাসার।
কথা গুলো বলে আধার দ্রুত শবনমের সামনে থেকে চলে যায়। কথা গুলো বলতে আধারের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছিলো। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে এ কটু কথা গুলো শবনম কে বলল আধার। চোখের পানি আর বাধ মানছিল না তাই দ্রুত ওখান থেকে চলে গেল ও।
শবনম এখনো স্টেচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর কানে শুধু আধারের বলা একটা কথাই বাজছে।
Carrecterless. আধার ওকে আরো অনেক কথাই বলেছে কিন্তু তাতে ওর কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু carrecterless চরিত্রহীন।একটা মেয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওর চরিত্র। আর আজ আধার ওকে carrecterless চরিত্রহীন উপাধি দিয়ে গেল। এটা ও কিছুতেই মানতে পারছে না।
শবনমের চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছে। শবনম ধপ করে ওখানেই বসে পরলো। চোখ বন্ধ করে আধারের গাওয়া অপূর্ণ গানটা গাইতে শুরু করলো,,,,,
Chala tu meri saans main
Safaar tera hu main….
Tu chode ke na Jana mujhko
Ghaar tera hu main…….
Rahega mere sath mujhse
Wada kar le tu…..
Aaj mujhse pyaar thora
Ziyada kaar le tu……
Yaara tu mujhme yuu basaa
Mujhme rahe na meri jaga……
Phela hai tu meri rooh taak
Tujhme hi main jeene laaga……
Tu aabh main hai Tuhi baad main
Tu roobaru tuhi khwab main…..
Jitna tha Main tera Ho gaya
Aapna bhi main na rahaaaa….
গানটা শেষ করে শবনম উঠতে দাড়ায়। নিজের চোখের পানি মুছে বলতে শুরু করে,,,,,
শবনমঃ I’m not carrecterless Aadhar. ( ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করে )আমি ধ্রুবর কাছে ফিরে যাই তুমি তো এটাই চাও তাইনা আধার। ওর কাছে ফিরে গেলে যদি এটা প্রমাণ হয় যে আমি লোভী না carrecterless না তাহলে আমি এটাই করবো। আর কখনো তোমার কাছে নিজের ভালোবাসার দাবী নিয়ে আসবো না। ( কান্না করতে করতে ) কথা গুলো বলে শবনম দৌড়ে হোস্টেলে চলে গেল।
To be continued……..
#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_20
শবনম হোস্টেলে গিয়ে শাওয়ার এর নিচে বসে অনেকক্ষণ কান্না করলো। তারপর নিজেকে strong করে বিছানার এক কোনে চুপটি করে বসে রইল।
শবনমঃ আমি আর কান্না করবো না আধার। তুমি নিজের হাতে নিজের ভালোবাসাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। You know what ভালোবাসা সবার জীবনে আসে কিন্তু সবাই তা সামলে রাখতে পারে না। আমরা তাদের মধ্যেই একজন। আমরা দুজনেই দুজনের ভালোবাসা অনুভব করতে পারি কিন্তু কিছু একটা তো আছে যা আমাদের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আমি হার মানবো না। জেনেই থাকবো তুমি কি লুকাচ্ছো। কি এমন আছে যা আমাদের মাঝে বাধা হয়ে আছে। I promise আমাদের মাঝের সব দেয়াল ভেঙ্গে দিবো সব বাধা দূর করে দিবো। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে শবনম চোখ বন্ধ করে ফেলে।
এইদিকে,,,,,,
আধার শবনমের ছবি বুকে জড়িয়ে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে,,,,, চোখ জোড়া অসম্ভব লাল হয়ে আছে ওর। হাত দিয়ে টপটপ করে রক্ত পরছে হয়তো কোন ধারালো কিছু দিয়ে কেটে গেছে। রক্তে ফ্লোর লাল হয়ে গেছে।
আধারঃ আমাদের মাঝের দেয়াল চাইলেও আমি ভাঙ্গতে পারবো না। আর না দুরত্ব কমাতে পারবো। আমাকে ভুলে যাও শবনম এটাই তোমার জন্য ভালো হবে।তুমি যতই আমার থেকে দূরে থাকো আমার ভালবাসা তোমার জন্য একটুও কমবে না। কাছে না থেকেও আমি দূর থেকেই ভালোবাসবো। একটা দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে আধার ছবিটা রেখে উঠে দাঁড়ালো। তারপর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। ডান হাতটা দিয়ে রেলিং ধরতেই হাতে কিছু ভেজা অনুভব করলো। হাত উঠিয়ে দেখলো হাত থেকে টপটপ করে রক্ত পরছে। আধার বাকা হেসে বাম হাত দিয়ে ডান হাত ঘষা দিতেই সাথে সাথে ক্ষত টা মিশে যায়।
In Morning,,,,,,,,
শবনম রেডি হয়ে কলেজের জন্য বের হয়ে যায়। আজ ওর মুখে আগের মতো হাসি নেই। হয়তো আধারের সাথে নিজের হাসিটাও কাল রাতে হারিয়ে ফেলেছে ও।
The College,,,,,,,
শবনম কলেজে আসতেই আধারকে দেখতে পেলো কারো সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। শবনমকে দেখে আবার কথা বলায় মনোযোগ দিলো আধার। হয়তো শবনমকে বুঝাতে চাচ্ছে যে ও শবনমকে avoid করছে। শবনমও ওকে দেখে
না দেখার ভান করে সামনে দিয়ে যেতে নেয় তখনই ধ্রুব এসে শবনমের সামনে দাঁড়ায়। আর সবার সামনে একটা স্টারগেজার এর তোরা নিয়ে নিয়ে হাটু গেড়ে বলে,,,,
ধ্রুবঃ শবনম আমি জানি হয়তো আমি তোমার যোগ্য নয় তার পরেও বলবো আমার আগের সব ভুল ক্ষমা করে আমাকে কি আরেকটা সুযোগ দিবে তোমাকে ভালোবাসার।
শবনম আধারের দিকে তাকালো ওর চোখের কোণে পানি চিকচিক করছে শবনম তাকাতেই ও অন্য দিকে ফিরে গেলো।
আশেপাশের সবাই বলছে,,,, Shabnam say yes. Accept করো।
শবনম আধারের দিকে তাকিয়েই ধ্রুবর হাত থেকে ফুল গুলো নিলো আর বলল,,,,
শবনমঃ Yes I will.
ধ্রুব দাঁড়িয়ে শবনমকে জড়িয়ে ধরলো। আর বলল,,,
ধ্রুবঃ I love you Shabnam. I promise আমি তোমাকে কখনো hurt করবো না। ( with Devil smile.)
আধার আর না দাঁড়িয়ে ওখান থেকে চলে গেল।
ভীর দেখে মিশা পাখি আকাশ কবীর পুলক ইরা সবাই সামনে এসে ওদের দেখে।
পাখিঃ শবনম এটা কি করলো ওতো আধারকে ভালোবাসে। আর কে এটা।
ইরাঃ হ্যাঁ এই কাবামমে হাড্ডি টা কে।
পুলকঃ maybe new in the college. কিন্তু শবনম কি ওকে আগে থেকেই চিনে।
আকাশঃ of course নাহলে কি কেউ হুট করে কারো প্রোপোজাল accept করে।
মিশাঃ সে যাই হোক ছেলেটা কিন্তু হেব্বি। সেই সেই।
কবীরঃ o really Misha. দাতে দাত চেপে।
শবনম ওদের দেখে ধ্রুবকে নিয়ে ওদের সামনে আসে,,,,
শবনমঃ গাইজ ও ধ্রুব। আমার অনেক ভালো বন্ধু
তার পর সবাইকে ধ্রুবর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
ধ্রুবঃ গাইজ আমার admission এর কিছু ফরম পূরণ করতে হবে তোমরা ক্লাসে যাও আমি আসছি। বলে ধ্রুব চলে যায়।
ধ্রুব যেতেই পাখি জিঙ্গেস করে,,,
পাখিঃ শবনম what’s going on. তুইতো আধারকে ভালোবাসিস তাহলে ধ্রুব।
শবনমঃ please পাখি দি আমি ওর বিষয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না।
পাখিঃ But…..
শবনমঃ please.
পাখিঃ ওকে তোর যা ভালো মনে হয় তুই সেটাই কর।
তারপর সবাই ক্লাস করে বাড়ি চলে যায়। আজ সারাদিন আধার শবনমের সামনে আসে নি। ওর ক্লাস অন্য স্যার করে গেছে। ধ্রুব ড্রাইভ করছে আর আড়চোখে শবনমকে দেখছে। শবনম অনেক বার মানা করেছিলো কিন্তু ধ্রুবর জেদে হার মেনে ওর সাথে হোস্টেলে যাচ্ছে। আশেপাশে অন্ধকার ছেয়ে গেছে। হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করায় শবনম ধ্রুবর দিকে তাকায়।
শবনমঃ What.
ধ্রুবঃ maybe গাড়িতে প্রবলেম হয়েছে তুমি বসো আমি দেখছি।
ধ্রুব বাইরে গিয়ে কতক্ষণ গাড়ি চেক করে শবনমকে বলে,,,,
ধ্রুবঃ শবনম গাড়ির ইঞ্জিন গরম হয়ে গেছে। পানি লাগবে গাড়িতে পানি নেই। তুমি বসো আমি আশেপাশে কোথাও থেকে পানির ব্যবস্থা করে আসছি।
শবনমঃ OK.
ধ্রুব চলে যেতেই শবনম আশে পাশে চোখ বুলিয়ে নিলো শবনম চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার।কিছুটা ভয়ও হচ্ছে ওর। হঠাৎ কেউ গাড়িতে জোরে আঘাত করে আর গাড়ি এতে কিছুটা দূরে সরে যায়।
To be continued………