Our_Unknown_Love_Story(2),03,04

0
996

#Our_Unknown_Love_Story(2),03,04
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_3

সকালে,,,

এহসান আহমেদ এর রুমে উকি মারছে তারা। এহসান আহমেদ সবে মাত্র নামায পরে জায়নামাজ ভাজ করে দরজায় তাকিয়েই দেখেন তারা বাইরে দাঁড়িয়ে উকি মারছে। হালকা হেসে গলা পরিষ্কার করে উনি বলতে শুরু করলেন,,,

এহসান আহমেদঃ এভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে উকি ঝুঁকি না দিয়ে যা বলার ভিতরে এসে বলো তারা।

দাদুর কথা শুনে তারা বাধ্য মেয়ের মতো চুপচাপ ভিতরে এসে আসামির মতো ওনার সামনে দাঁড়ালো।

এহসান আহমেদঃ কি হয়েছে রুমের বাইরে এভাবে উকি মারছিলে কেন তারা?? ( গম্ভীর গলায়)

তারাঃ আ’ম স্যরি দাদু আর কখনো এমন হবে না প্রমিজ। আমার ভূল হয়ে গেছে আমার উচিত ছিল তোমাকে কল করে ইনফর্ম করে দেওয়া। কিন্তু আমার মাথা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল যে তুমি আমার অপেক্ষা করছো। প্লিজ এবার ক্ষমা করে দাও প্রমিস আর কখনো এমন ভূল হবে না। (কাঁদোকাঁদো ফেস নিয়ে)

তারার কথায় হালকা হেসে এহসান আহমেদ ওকে পাশের সোফায় বসিয়ে দেন তারপর ওর পাশে বসে ওকে শান্ত ভাবে বলেন,,,

এহসান আহমেদঃ তারা তুমি জানো তোমাকে ছাড়া আমার এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। ছোট বেলা থেকে অনেক আদরে বড় করেছি তোমাকে। কখনো কোন জিনিসের কমতি রাখি নি। সব বিপদ থেকে তোমাকে প্রটেক্ট করেছি। কিন্তু তুমি এখন বড় হয়েছো নিজের খেয়াল নিজে রাখা শিখতে হবে তোমাকে। আমিই বা আর কতদিন…

আর কিছু বলার আগেই তারা ওর দাদুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়।

তারাঃ প্লিজ দাদু এরকম কথা বলবে না বলে দিলাম। আমি তোমার সব কথা শুনবো তুমি যা বলবে তাই করবো তাও প্লিজ আমাকে এভাবে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলবে না। আই রিয়েলি লাভ ইউ দাদু। ?

এহসান আহমেদ তারার পিঠে হাত বুলিয়ে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।

এহসান আহমেদঃ আচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে বলবো না তাও কান্না করো না তারা মনি। দাদু রিয়েলি স্যরি আর কখনো বলবো না হয়েছে।

তারা মাথা তুলে ঝাঁকালো।

এহসান আহমেদ তারার চোখ মুছে দিলেন যত্ন সহকারে।

এহসান আহমেদঃ এখন চলো ব্রেকফাস্ট করে নেই তোমার আবার কলেজের সময় হয়ে গেছে।

কলেজের নাম শুনে তারা লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়।

তারাঃ ওহ নোও আজকে এক্সট্রা ক্লাস আছে আর আমি এখনো বাড়িতে ?সব তোমার দোষ দাদু এখন স্যার নিশ্চয়ই আমাকে বিনা টিকিটে সিনেমা দেখিয়ে দিবেন।

আমি যাচ্ছি তুমি ব্রেকফাস্ট করে নিও ( বলেই ব্যাগ নিয়ে দৌড়)

এহসান আহমেদঃ নাস্তা করে বের হও তারা,,, তারা দাঁড়াও তারা…. যাক চলে গেল এই মেয়ে কবে যে নিজের প্রতি কেয়ার করা শিখবে।

Journalism City College….

In parking,,,,

গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রোহান ওর পাশে দাঁড়িয়ে আছে দিয়া। গাড়ির রুফটপে বসে ফোনে ভিডিও গেমস খেলছে আমান।

দিয়াঃ লুক আজকেও তারা লেট। এ মেয়েটা অলওয়েজ কলেজে লেট করে আসে আর ওর জন্য আমাদেরকেও স্যারের প্রশংসা শুনতে হয়?

রোহানঃ Chill baby don’t be so hyper ?এক্ষুণি ও এসে পরবে।

দিয়াঃ Shut up তোর বেবির গুষ্ঠির সষ্ঠি কতবার বলবো এসব বাজে নামে আমাকে ডাকবি না গর্দভ কোথাকার। ?

রোহানঃ তোর মতো পেত্নীকে বেবি বলতে আমার বয়েই গেছে। ?

দিয়াঃ তোকে তো আমি,,,,

আমানঃ Stop fighting guys ( চিল্লিয়ে)

আমান একটা ধমক দিতেই দুজনে চুপ হয়ে গেলো।

আমানঃ সারাদিন শুধু টম এন্ড জেরির মতো ফাইট করিস একটু ভালোভাবে কথা বলতে পারিস না একে অপরের সাথে।

রোহানঃ ভালোভাবে কথা বলবো তাও এই দিলরুবা চুরেলের সাথে ইম্পসিবল ?

দিয়াঃ তোর মতো গর্দভের সাথেও ভালোকরে কথা বলার শখ বা ইচ্ছা কোনটাই আমার নেই। ?

আমানঃ স্টপ ফাইটিং এন্ড তারাকে কল দে।

তারাঃ আ’ম হেয়ার গাইজ ( দৌড়ে ওদের সামনে এসে দাঁড়ালো)

আমানঃ না আসলেও পারতি ?

তারাঃ স্যরি ইয়ার আসলে ট্রাফিক জ্যাম ছিলো তাই একটু লেট হয়ে গেছে ?

দিয়াঃ এটা তোর রেগুলার বাহানা ?

আমানঃ হয়েছে হয়েছে এখন চল ক্লাসে স্যার এসে পরবে,,,

In Classroom,,,,

স্যারঃ গুড মর্নিং অল ?

সবাইঃ গুড মর্নিং স্যার ?

তারাঃ সকাল সকাল আপনার চেহারা দেখেছি এখন কি আর মর্নিং গুড হবে। ?( মনে মনে)

স্যারঃ Listen to me very carefully students. এটা তোমাদের লাস্ট ইয়ার। আর এক বছর পর তোমরা একজন সফল জার্নালিস্ট হয়ে যাবে। কিন্তু একজন জার্নালিস্ট হওয়া কিন্তু সহজ ব্যাপার না। এটার জন্য একটা স্ট্রিক্ট ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়।

And as you know আমরা প্রতি বছর বিভিন্ন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে আমাদের স্টুডেন্টস দের ট্রেইন করি।এই বছর ও একই ভাবে তোমাদের ট্রেইনিং এর জন্য পাঠানো হবে। কিন্তু এবার কলেজ টা ভিন্ন হবে।

আমানঃ ভিন্ন মানে?? প্রতি বছর যে কলেজ থেকে ট্রেইনিং দেওয়া হয় এবার কি সেখান থেকে দেওয়া হবে না স্যার।

স্যারঃ না আমান এবার তোমাদের অন্য ইন্সটিটিউশন থেকে ট্রেইন করা হবে। ওয়েইট আমি দেখাচ্ছি।

স্যার মনিটরে কলেজের ছবি বের করলেন। ছবিটা তারার কাছে কেমন চেনা চেনা লাগছে। তারা বুঝার চেষ্টা করছে যে ওর কাছে কেন এটা এতো পরিচিত লাগছে।

স্যারঃ এটা সেই কলেজ যেখান থেকে এ বছর তোমাদের ট্রেইনিং দেওয়া হবে The Mount Hill College And University.

নামটা শুনে তারার শরীরে হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস বারি খেলো। শরীরের লোম গুলো যেন দাঁড়িয়ে গেছে। চোখের সামনে বারবার অস্পষ্ট কিছু ভেসে উঠছে। কারো কন্ঠ কারো হাসির আওয়াজ কানে বাজছে। কপাল দিয়ে ঘাম ছুটছে তারার।

কারো নাম ঠোঁটে এসেও আটকে যাচ্ছে। অস্পষ্ট লোকটা আস্তে আস্তে স্পষ্ট হচ্ছে। মাথাটা যেন ঘুরে আসছে ওর। নামটা ঠোঁটের কোণে এসেও থেমে যাচ্ছে,,,,

আ আধ আধা রর হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো তারা।

এইখানে,,,,

সোফায় বসে কিছু কাগজ চেক করছিলো আধার। হঠাৎ করেই বুকের ভিতর ধক করে উঠলো। নিঃশ্বাস টা যেন ভারী হয়ে আসছে। কেমন যেন একটা অস্থিরতা কাজ করতে শুরু করছে আধারের মাঝে।

সাথে সাথে উঠে দাঁড়িয়ে বারান্দায় চলে আসে ও।
বুকে এক হাত রেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে।

আস্তে আস্তে চোখ খুলে বুকে হাত রাখা অবস্থাতেই ও বলতে শুরু করে,,,

আধারঃ কেন এমন অনুভব হলো যেন তুমি আমার নাম নিয়েছো শবনম। আমাকে ডেকেছো। এতো বছরে আজ প্রথম এই অনুভূতিটা আবার হলো। এটা কি আমার মনের ভ্রম নাকি সত্যিই তুমি…..

❤❤❤

জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে হসপিটাল এর বেডে আবিস্কার করলো তারা। আশেপাশের ভালোভাবে তাকিয়ে দেখে ও কলেজের নার্সিং রুমে আছে।

পাশে আমান দিয়া রোহান আর একজন নার্স।

তারা চোখ খুলতেই সবাই ওকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরলো।

আমানঃ ও ঠিক আছে তো সিস্টার??

নার্সঃ চিন্তার কোন কারণ নেই দূর্বলতার কারনে ফেইন্ট হয়ে গিয়েছিলেন।

দিয়াঃ সেটা তো হবেই আ’ম সিওর ও আজকেও না খেয়েই চলে এসেছে তাইনা তারা??

তারাঃ না মানে হুম। তারাহুরা করে চলে এসেছি তাই আর কি ( আমতা আমতা করে)

রোহানঃ স্যার বলেছে কালকে রওনা দিতে হবে তুই যেতে পারবি।

তারাঃ অফকর্স আমি একদম ঠিক আছি ওকে। তাই না যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। এখন জাস্ট দাদুকে পটাতে হবে। ?

❤❤❤

এহসান আহমেদঃ একদম না আমি তোমাকে পারমিশন দিতে পারবো না তারা। তোমাকে এতো দুরে একা যাওয়ার অনুমতি আমি কিছুতেই দিতে পারবো না।

তারাঃ প্লিজ দাদু ট্রাই টু আন্ডারস্টে।আমি একা কোথায় পুরো টীম যাচ্ছে তাছাড়া আমার সাথে দিয়া রোহান আর আমান ওতো আছে। প্লিজ দাদু

এহসান আহমেদঃ তাও আমি তোমাকে যেতে দিতে পারবো না। তুমি ঠিক মতো নিজের খেয়াল রাখতে পারো না তোমাকে পাঠিয়ে আমি এখানে টেনলনে মরবো।

তারাঃ Dadu you know na জার্নালিস্ট হওয়া আমার ড্রিম। আর এই ট্রেইনিং ছাড়া এটা পসিবল না। আর আজকে সকালেই তো তুমি বললে যে আমি এখন বড় হয়েছি। এই টুকু ফ্রিডম তো তুমি আমাকে দিতেই পারো। আই প্রমিস নিজের খেয়াল রাখবো। কোন বাচ্চামি করবো না প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ ( জেদ করে)

তারার জেদের কাছে এহসান আহমেদ এর ড়
হার মানতে হলো।

এহসান আহমেদঃ আচ্ছা ঠিক but Don’t disappointed me.

তারাঃ Thank you dadu love you ( খুশি হয়ে।জড়িয়ে ধরে)

রাতে,,,

বিছানার চাদর দু হাত দিয়ে খামছে ধরে আছে তারা। পুরো শরীর কাঁপছে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না ও।

দৌড়ে কারো কাছে ছুটে যাচ্ছে তারা।ওর দিকে নিজের হাত বাড়িয়ে দিলো কেউ। তারা হাতটি ধরার আগেই কেউ ওর দিকে ছুরি ছুরে মারলো।

চিৎকার দিয়ে উঠে বসলো তারা। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে ও। পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে নিলো তারা।

তারাঃ আবার সেই একই স্বপ্ন। কে সে কেন তার চেহারা এতো অস্পষ্ট আমার কাছে। কেন আসে প্রতি দিন একই স্বপ্ন। প্রশ্ন এতো গুলো কিন্তু উত্তর একটির ও জানা নেই।

To be continued…..

#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_4

In Morning….

এহসান আহমেদ এর সাথে বসে নাস্তা করছে তারা। খাওয়ার ফাকে ফাকে বিভিন্ন উপদেশ দিচ্ছেন এহসান আহমেদ তারাকে। আর তারা মাথা নাড়িয়ে শুধু হ্যাঁ বলছে।

বাইরে গাড়ির হর্ন শুনতেই দাদুকে বিদায় দিয়ে ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেয় তারা।

বাইরে আমান রোহান আর দিয়া জীপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ড্রাইভিং সিটে আমান আর পিছনে রোহান আর দিয়া।

তারা দৌড়ে গিয়ে পিছনে ব্যাগ রেখে আমানের পাশের সিটে বসে পরলো।

আমানঃ ফাইনালি তুই তোর দাদুকে ওখানে যাওয়ার জন্য পটিয়ে নিলি।?

তারাঃ অফকর্স তারা পারেনা এমন কিছু এ দুনিয়াতে তৈরী হয় নি। ?

বাই দ্যা ওয়ে আমরা কি বাই রোড যাবো।

রোহানঃ অফকর্স বাই রোড দিয়ে যেতে যে মজা সেটা কি আর প্লেনে আছে,,

তারাঃ হান্ড্রেট পার্সেন্ট ( বলেই রোহানকে হাই ফাইভ দিলো)

দিয়াঃ হয়েছে এখন জিপ স্টার্ট দে সবাই আমাদের আগেই নাহলে পৌছে যাবে। ?

আমান জীপ স্টার্ট দিলো উদ্দ্যেশ্য The Mount Hill College And University….

গাড়ি চলছে আপন গতিতে। রোহান আর দিয়া এটা ওটা নিয়ে ঝগড়া করছে। রোহান দিয়াকে রাগানোর জন্য বারবার ওর গাল ধরে টানছে আর এটা ওটা বলছে। আর দিয়া রেগে রোহানকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারছে আর বকছে।

আমান এক ধ্যানে গাড়ি চালাচ্ছে আর তারার সাথে কথা বলছে।

প্রায় তিন ঘন্টা ধরে ড্রাইভ করছে আমান। ঢাকা ছেড়ে অনেক দূরে চলে এসেছে ওদের জিপ আর মাত্র ত্রিশ মিনিটের রাস্তা।

তারা বাইরের পরিবেশ উপভোগ করছে। রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারনে রাস্তা ভেজা। গাড়ি যত এগোচ্ছে দুইপাশের জঙ্গল আরো ঘন হচ্ছে। হঠাৎ তারার মনে কেমন যেন এক অস্থিরতা কাজ করছে। হার্ট বিট একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। বাতাসের ঘ্রানটা নাকে আসতেই কেমন যেন একটা চেনা অনুভূতি হচ্ছে ওর। রাস্তাটা কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে ওর কাছে। এমন ঠান্ডা পরিবেশে ও কপাল বেয়ে ঘাম ছুটছে তারার। চোখের সামনে বারবার অস্পষ্ট কিছু ভেসে উঠছে।

আমান পাশে তাকাতেই দেখতে পেলো তারা অসুস্থ হয়ে পরছে। আমান তারাতারি জিপ থামিয়ে তারার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে শুরু করে,,,

আমানঃ তারা তুই ঠিক আছিস?? খারাপ লাগছে??? ( চিন্তিত হয়ে)

তারাঃ না না আমান আমি ঠিক আছি যাস্ট একটু মাথা ব্যথা করছিলো এখন ঠিক আছে ( নিজেকে নরমাল করে)

দিয়াঃ তারা সত্যিই তুই ঠিক আছিস তো নাকি মিথ্যা বলছিস??

তারাঃ নো গাইজ আ’ম অল রাইট ডোন্ট ওয়ারি।
তুই গাড়ি স্টার্ট দে আমান।

হুম,,, বলে আমান জিপ স্টার্ট দেয়।

তারাঃ হঠাৎ এমন লাগছে কেন আমার। এতোক্ষন তো ঠিকই ছিলাম। আর এই জায়গাটা এমন পরিচিত লাগছে কেন আমার কাছে। আমি তো কখনো ঢাকার বাইরে যাই নি তাহলে,,, ( মনে মনে)

হঠাৎ জিপ জোরে ব্রেক করায় ঘোর ভাঙ্গলো তারার।

রোহানঃ আমান জিপ থামালি কেন??

আমান কনফিউশন ভাব নিয়ে বলল,,

আমানঃ সামনের রাস্তা বন্ধ।

আমানের কথায় সবাই সামনে তাকিয়ে দেখে রাস্তার মাঝে বড় একটা গাছ ভেঙ্গে পরে আছে।

তারাঃ এখন কি হবে??

আমানঃ নিচে নেমে ওটা সরাতে হবে নাহলে সামনে এগোনো যাবে না আর রাতও হতে চলেছে।

দিয়াঃ গাইজ আমরা কি এখানে ফেসে গেলাম নাকি। আমার তো অনেক ভয় করছে দোনো পাশে জঙ্গল যদি কোন জঙ্গলি প্রানী এ্যাটেক করে তখন ( ভয় পেয়ে)

রোহানঃ তুই অলওয়েজ নেগেটিভ কথা বলিস কেন ? কোন না কোন রাস্তা অবশ্যই হবে। চল আমান ওটা সরানোর চেষ্টা করি।

সবাই জিপ থেকে নেমে যায়। তারা জিপ থেকে নেমে মাটিতে পা রাখতেই একটা ঠান্ডা বাতাস ওর শরীরে এসে বারি খায়। হঠাৎ এমন হওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে যায় তারা।

রোহান আর আমান রাস্তার মাঝে পরে থাকা গাছটা সরানোর চেষ্টা করছে। আর দিয়া আশেপাশে ঘুরে ঘুরে দেখছে।

তারা জিপের পিছন থেকে ওর ক্যামেরা টা বের করে পুরো জায়গা ভিডিও করতে থাকে। ভিডিও করতে করতে তারা কিছুটা দূরে চলে আসে। তারা একটু সামনে যেতেই একটা সাইন বোর্ড দেখতে পেলো। ক্যামেরা টা নামিয়ে সাইন বোর্ডটার সামনে যায় তারা।

বড় বড় করে লিখা,,,, Do Not Enter,,, Dark Forest….

তারা সাইন বোর্ডটির উপর হাত বুলায়। পিছনের জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে আছে তারা।

তারাঃ মনে হচ্ছে আমি এখানে এসেছিলাম। কিন্তু কখন আমার মনে আসছে না কেন??

তারা জঙ্গলের দিকে পা বাড়াতেই দিয়া ওর হাত ধরে ফেলে। তারা ঘাবড়ে পিছনে ফিরে যায়।

দিয়াঃ তারা তুই জঙ্গলে কোথায় যাচ্ছিস ??

তারাঃ না মানে ভিডিও করছিমাম আর কি ( ক্যামেরা সামনে তুলে)।

দিয়াঃ হয়েছে নিজের জার্নালিস্ট গিরি পরে করিস এখন চল আমান আর রোহান গাছটা সরিয়ে দিয়েছে। রাত হয়ে যাচ্ছে চল।

দিয়া তারার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। তারা বারবার পেছনে তাকাচ্ছে ওর লাগছে কেউ ওকে দেখছে।

তারা আর দিয়া জিপে চড়ে বসে পরলো আর আমান গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলো।

জিপ কলেজের মেইন গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকছে। রোহান দিয়া আর আমান মুগ্ধ হয়ে কলেজের চারপাশটা দেখছে। আর তারারতো যেন সব কিছু কেমন পরিচিত মনে হচ্ছে। আমান জিপ থামাতেই সবাই নেমে যায়।

কলেজটার কিচ্ছু বদলায় নি আগের মতোই সামনে বাস্কেটবল গ্রাউন্ড। সবাই নিজের মতো করে ব্যাস্ত।

আমানঃ তোরা এখানে দাড়া আমি প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে আসছি। ( বলে আমান চলে যায়)

দিয়া আর রোহান চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছে। তারা এক কদম দু কদম করে কলেজের দিকে এগোচ্ছে আর ওর হার্টবিট ক্রমশ বাড়ছে।

তারা একটু এগোতেই একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খায়।

তারাঃ আ’ম সো স্যরি। ( সামনে তাকিয়ে)

>>> ইট্স ওকে ডিয়ার। তুমি তারা আহমেদ রাইট।

তারা অবাক হয়ে বলে,,,

তারাঃ হ্যাঁ কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন??

>>> আমি মাহিরা এই কলেজের VP. এজন্য তোমাকে চিনি তারা।

তারাঃ ওহ সো স্যরি ম্যাম আমি আপনাকে চিনতে পারি নি।

মাহিরাঃ এখন আস্তে আস্তে সব চিন্তে ও জানতে পারবে। Welcome to our College.

মাহিরার কথায় তারা চাপা হাসলো। Thank you (তারা)

মাহিরা আর কিছু না বলে চলে যায়।

তারাঃ উনার কথা গুলো কেমন weird টাইপের।
আর কি জানার কথা বলছেন উনি??

❤❤❤

আমান প্রিন্সিপালের রুম থেকে বের হচ্ছিলো হঠাৎ একটা মেয়েলি কন্ঠ শুনে থেমে যায়।

মেয়েটিঃ Excuse me…

আমান পিছনে ফিরতেই হা হয়ে যায়। মেয়েটি অসম্ভব কিউট দেখতে। ফর্সা গায়ের রং হাইট 5.5, চুলগুলো উচু করে ঝুটি করা , পরনে লং ড্রেস গলায় স্কার্ফ।

মেয়েটিঃ আসলে আমার ফরম পূরণ করতে একটা পেন দরকার। আমি পেন আনতে ভুলে গেছি আপনার কলমটা কি আমাকে দেওয়া যাবে প্লিজজ ?? ( কিউট করে বলল)

আমান নিজের হাতের কলমটা মেয়েটির দিকে এগিয়ে ধরে।

মেয়েটি একটা হাসি দিয়ে কলমটা নিয়ে Thank you বলে দৌড়ে যেতে নেয়।

আমানঃ এইযে মিস নামটা তো বলে যান।

আমায়রাআআ বলে মেয়েটি চলে যায়।

আমানঃ আমায়রা নাইস নেম ( ব্লাশিং হয়ে)

❤❤❤

রোহান দায়া আর তারা জিপের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমানকে আসতে দেখে ওরা ওর দিকে এগিয়ে যায়।

আমানঃ গাইজ কালকে থেকে ক্লাস শুরু হবে। আর আমাদের সবার থাকার ব্যবস্থা সামনের একটা কটেজে করা হয়েছে। এখন গিয়ে সব প্রিপারেশন করে রাখতে হবে ওকে।

রোহানঃ সব বুঝলাম বাট আমাদের কলেজের বাকি স্টুডেন্টস গুলো তো দেখা যাচ্ছে না।

আমানঃ ওরা আগেই চলে এসেছে তাই ওদের রেস্ট নিতে পাঠানো হয়েছে।

তারপর সবাই গেস্ট হাউজের জন্য জিপ নিয়ে বেরিয়ে পরে।

একটা বড় কটেজে সবার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোহান আর আমান 102 নম্বর রুমে। তারা আর দিয়া 104 নম্বর রুমে।

অনেক টায়ার্ড থাকায় তারা আর দিয়া ফ্রেশ হয়ে রুমেই খাবার অর্ডার করে খেয়ে শুয়ে পরে।

Waiting for next part….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here