#Our_Unknown_Love_Story(2),15,16
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_15
তারা দৌড়ে কলেজ থেকে বেড়িয়ে আসে কান্না করতে করতে। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে এলোপাথাড়ি দৌড়াচ্ছে ও। দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে গেছে। একটা গাছের সাথে হেলান দিয়ে বসে পরলো তারা।
হাঁটুতে মুখ গুঁজে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে।
তারাঃ যদি AR আর ওই আধার একই হয় তাহলে কি AR অন্য কাউকে ভালোবাসে?? উনার লাইফে অন্য কেউ আছে। হি ডোন্ট লাভ মি!! কিন্তু আমি উনার চোখে নিজের জন্য ভালোবাসা দেখেছি, কেয়ার দেখেছি, যেই ফিলিংস টা আমার মনে উনার জন্য আছে সেটা আমি উনার চোখে নিজের জন্য দেখেছি।
সব কি আমার মনের ভুল?? AR আমাকে ভালোবাসেন না!! আই রিয়েলি লাভ ইউ AR আই কান্ট লিভ উইথআউট ইউ,,, ( কান্না করতে করতে)
এইদিকে,,,
কথার মাঝেই আধার খেয়াল করলো তারা আশেপাশে নেই।
আধারঃ এক্সকিউজ মি মি.মাহমুদ,, আমি আসছি,,
আধার সব জায়গায় তারাকে খুঁজছে কিন্তু তারা কোথাও।
পুরো কলেজ এরিয়া খুঁজেও তারাকে কোথাও পেল না আধার।
আধারঃ তারা কোথায় চলে গেল। ওর সব ফ্রেন্ডসরা তো এখানেই আছে তাহলে ও কোথায়। ওর আবার কোন বিপদ হলো না তো,,, কোথায় তুমি তারা!!
টেনশনে আধারের মাথা ধরে গেছে। নিঃশ্বাস উঠা নামা করছে। ভয় করছে অনেক যদি তারার কিছু হয়ে যায়।
আধার চোখ বন্ধ করে তারার মাইন্ড রিড করার চেষ্টা করছে কিন্তু সব ভেইন যাচ্ছে। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে ওর।
পাশে থাকা গাছের মধ্যে জোরে হাত বারি দিল আধার।
আধারঃ আমি তারাকে ফিল করতে পারছি না কেন,,, ওর মাইন্ড রিড করতে পারি না ও কোথায় সেটা ফিল করতে পারি না হোয়াই,,, এটা কেমন পাওয়ার ওর মাঝে,,,( চিল্লিয়ে)
আধারঃ নাহ এভাবে সময় নষ্ট করলে হবে না আই হ্যাভ টু ডু সামথিং,,,
হঠাৎ আধারের চোখ যায় নিচে পরে থাকা ব্যাচের দিকে। আধার ব্যাচ টা তুলে সামনে তাকাতেই দেখে এটা জঙ্গলের রাস্তা।
আধার দেরী না করে দ্রুত স্পীডে জঙ্গলের দিকে দৌড় দেয়।
আধার জঙ্গলে তারাকে খুঁজছে আর ডাকছে কিন্তু তারার কোন রেসপন্স পাচ্ছে না।
আধারঃ তারাআআ,,, হোয়ার আর ইউ তারা???
হঠাৎ কেউ আধারকে পেছন দিয়ে কিক করে। আধার টাল সামলাতে না পেরে দূরে ছিটকে পরে।
আধার রেগে উঠে তাকাতেই দেখে একটা ওয়েরওল্ফ দাঁড়িয়ে আছে।
আধারঃ লুক আজকে আমার তোমার সাথে লড়াই করার মতো সময় নেই তাই ভালোই ভালোই চলে যাও এখান থেকে জানে বেঁচে যাবে। ( দাঁতেদাত চেপে)
আধার চলে যেতে নিলেই ওয়েরওল্ফ টি আবারো আধারের দিকে তেড়ে আসে। আধার বুঝতে পেরে সরে যায় আর ওয়েওল্ফ টি গাছে বারি খায়।
ওয়েরওল্ফ টি দাঁড়িয়ে আধারের দিকে তাকিয়ে হুঙ্কার ছাড়ছে।
হঠাৎ ভয়ঙ্কর প্রানীর হুঙ্কারের আওয়াজ শুনে তারা দাঁড়িয়ে যায়। ভয়ে বুক কাঁপছে ওর।
তারাঃ আ এটা ক কিসের আওয়াজ?? (ভয় পেয়ে)
তারা ধীর পায়ে এগিয়ে যায় আওয়াজটা যে দিকে আসছে সে দিকে।
আধার নিজের জ্যাকেট খুলতে খুলতে বলে,,,
আধারঃ একটা সুযোগ দিয়েছিলাম তোকে বেঁচে থাকার কিন্তু আফসোস তোর নিজের জানের প্রতি মায়া নেই,,,
আজকে তোর মৃত্যু আমার হাতে তুই নিজে নির্ধারণ করলি,, আধারের চোখের রং বদলে গেছে। ঘারের রগ ফুলে উঠছে। ধারালো হিংস্র দাঁত দু’টো বেরিয়ে এসেছে।
ওয়েরওল্ফ আর আধার বরাবর দাঁড়িয়ে আছে।
তারা সামনে আসতেই দেখে একটা নেকড়ে আর তার সামনে একটা মানুষ। মানুষটার পেছন টুকু দেখা যাচ্ছে শুধু। তারা গাছের আড়ালে লুকিয়ে পরে।
তারাঃ কে এটা ? একটা নেকড়ের সামনে বিনা খফে দাঁড়ানোর সাহস কোন সাধারন মানুষ করতে পারে না। তাহলে কি এটা কোন ভ ভ্যাম্পায়ার!! ( ভয়ে ভয়ে)
নেকড়েটা আধারের উপর ঝাপ দেয় সাথে সাথে আধার ওটাকে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। অনেক হিংস্র ভাবে লড়াই করছে দুজনে। তারা ভয়ে ভয়ে গাছের আড়ালে থেকে সব দেখছে। দু হাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে রেখেছে তারা যেন কোন শব্দ না হয়। ভয়ে পুরো শরীর কাঁপছে নিঃশ্বাস ঘন হচ্ছে ওর।
লোকটার পেছন টুকু দেখা যাচ্ছে শুধু হঠাৎ নেকড়েটা পেছন দিয়ে আধারকে আঘাত করতে নিলে আধার পেছন ফিরে দাঁড়ায়। তারপর উড়াধুড়া ভাবে নেকড়েটাকে মারতে শুরু করে।
আধারকে দেখে তারার মাথায় যেন বাজ ভেঙ্গে পরলো। নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না ও। আধারকে ভ্যাম্পায়ার রুপে দেখবে কখনো ভাবে নি তারা।
তারাঃ AR একটা ভ্যাম্পায়ার ( অবাক হয়ে) এটা এটা সম্ভব না ই ইট্স নট পসিবল,,, আমার AR ভ্যাম্পায়ার হতে পারে না ( কান্না জড়িত কন্ঠে)
আধার পাশ থেকে একটা ভাঙা গাছের ডাল নিয়ে নেকড়ের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। নেকড়েটার রক্তের ছিটে আধারের চেহারায় পরেছে। একতো ভ্যাম্পায়ার রুপ তার উপর এমন হিংস্রতা আধারকে ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্কর বানিয়ে দিচ্ছে তারার চোখে।
আধার নেকড়েটার পেটে একের পর এক আঘাত করেই যাচ্ছে আর এতে রক্তের ছিটে দিয়ে আধারের হাত মুখ আর শরীর মেখে যাচ্ছে।
তারা আধারের এই রুপ দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারলো না জোরে চিৎকার দিতেই হঠাৎ কেউ ওর মুখ চেপে ধরলো পেছন থেকে।
আধার কারো উপস্থিতি টের পেল গাছের পেছন থেকে। আধার উঠে গাছের পেছনে আসতেই আগন্তুক টি তারাকে নিয়ে ওখান থেকে সরে যায়।
আধার ওখানে গিয়ে কাউকে পেল না।
আধারঃ এমন লাগলো যেন এখানে কেউ ছিল?? (চিন্তিত হয়ে)।
হঠাৎ তারার কথা মনে পরে যায় আধারের।
আধারঃ তারা!! আমাকে তো ওকে খুঁজতে হবে। গড নোওজ কোথায় গেছে। এই নেকড়েটার জন্য কত সময় নষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু এই রক্ত?? আগে এগুলো সাফ করতে হবে,,
আধার দেরি না করে জ্যাকেট তুলে পাশের পুকুর থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলে। তারপর বেরিয়ে যায় তারার খোঁজে।
আগন্তুক এর সামনে বসে আছে তারা। ভয়ে শরীর কাঁপছে ওর। আজকে যা দেখেছে ও এটা এক্সপেক্ট করেনি। আধারের এই রুপ ওর কল্পনার সম্পূর্ণ বাইরে ছিল,,,
আগন্তুকঃ এই নাও পানি খাও তারা ইউ ফিল ব্যাটার। ( গ্লাস এগিয়ে দিয়ে)
তারাঃ আপনি কি জানতেন AR মানুষ নয় একজন ভ্যাম্পায়ার??
তারার কথা শুনে আগন্তুক টি বসতে বসতে বলল,,,
আগন্তুকঃ হুম জানতাম,,,
তারা অবাক চোখে তাকালো।
To be continued….
#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_16
তারাঃ আপনি কি জানতেন যে AR ভ্যাম্পায়ার??
তারার কথা শুনে আগন্তুক টি বসতে বসতে বলল,,,
আগন্তুকঃ হুম জানতাম,,,
তারা অবাক চোখে তাকালো আগন্তুক টির দিকে।
তারাঃ AR ভ্যাম্পায়ার এটা আ আপনি জানতেন মাহিরা ম্যাম??? কিন্তু কিভাবে?? তার মানে কি আ আপনিও ভ্যাম্পায়ার?? (ভয়ে ভয়ে)
তারার কথায় মাহিরা মুখে ইমোশনাল ভাব এনে বলতে শুরু করল,,
মাহিরাঃ হুম তারা আমিও ভ্যাম্পায়ার।
তারা মাহিরার কথা শুনে ভয়ে দাঁড়িয়ে কয়েক কদম পিছিয়ে যায়।
মাহিরা তারাকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখে নিজেও দাঁড়িয়ে যায় তারপর ওর ভয় দূর করার জন্য বলে,,,
মাহিরাঃ ডোন্ট আফরেইড ফ্রম মি তারা,,, আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না বরং আমি তোমার হেল্প করার জন্য এসেছি,,, ট্রাস্ট মি,,,
মাহিরার কথায় তারা কিছুটা সাহস পেল,,
মাহিরাঃ প্লিজ সীট,, আমি তোমাকে সব বুঝিয়ে বলছি,,,
তারা বসে পরলো তাও মনের ভয়টা রয়ে গেছে।
মাহিরা দাঁড়িয়ে ঘুরে জানলার পাশে চলে গেল। তারপর মুখে শয়তানি ভাব এনে নেকা ভাবে বলতে শুরু করল।
মাহিরাঃ আজকে আমি তোমাকে সেই পঁচিশ বছর আগের #Unknown_Story টা বলবো যেটা সময়ের সাথে অস্পষ্ট হয়ে গেছে। যেটা আধার রেজওয়ান এর জীবনের সাথে জড়িত।
তারাঃ কি বলছেন ম্যাম আ আমি কিছুই বুঝতে পারছি না ?
মাহিরাঃ ভ্যাম্পায়ার কিংডমে সবাই এক রকম হয় না তারা। কেউ বেশি শক্তিশালী হয় তো কেউ কম। কেউ নিজের রক্তের তৃষ্ণা কন্ট্রোল করতে পারে তো কেউ পারে না। তেমনি আধার আমাদের কিংডমের সবচেয়ে শক্তিশালী ভ্যাম্পায়ার শুধু এটাই নয় ওর মত হিংস্রতা কোন ভ্যাম্পায়ারের মাঝে নেই,,, এটার প্রমান তুমি আজকেই পেয়েছো।
তারার মনে পরে যায় আধার কতটা হিংস্র ভাবে নেকড়েটাকে হত্যা করেছে। ওর চোখে মুখে আধারের প্রতি তীব্র ঘৃনার রেশ ফুঁটে উঠছে। বিষয়টা মাহিরার চোখে এড়োলো না।মাহিরা বাকা হেসে ভাবছে,,
মাহিরাঃ ঘৃনা সৃষ্টি হচ্ছে আধার,, আমার প্লান সাক্সেস হচ্ছে। তারা তোমাকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। এখন আর তুমি আমার ফেলানো জাল থেকে নিজেকে আর নিজের ভালোবাসাকে বাঁচাতে পারবে না,,, আমার মিথ্যার চাদরে তোমার সত্য ভালোবাসা ঢাকা পরে যাবে?
মাহিরার কথায় তারা বাস্তবে ফিরে।
মাহিরাঃ পঁচিশ বছর আগে আধার ক্রিস্টাল নাইফ এর জন্য এখানে এসেছিল,,, এই নাইফটা যার কাছে থাকবে সে ভ্যাম্পায়ার আর নেকড়েদের রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে শক্তিশালী হবে। কিন্তু একটা কথা কি জানো তারা!!
তারা প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকালো মাহিরার দিকে।
মাহিরাঃ আধারের ইচ্ছেটা পূরন হতে পারলো না কারন তার আগেই ক্রিস্টাল নাইফ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ক্রিস্টাল নাইফের দু’টো অংশ ছিল। একটা আমাদের কিং এর কাছে তো অন্যটা রাজ্যে কোথাও লুকানো। কিন্তু কিং এর কাছে যে অংশটা ছিল সেটা নষ্ট হয়ে যায়। রয়ে যায় শুধু একটা অংশ। কিন্তু সেটার শক্তি অসম্পূর্ণ। আধার সেটাকে নিজের কাজে লাগাতে পারবে না। এজন্যই আধার এতোটা হিংস্র হয়ে উঠেছে। শক্তির নেশা সবচেয়ে বড় নেশা। ওর মাঝে পাওয়ারের তীব্র নেশা আছে আর এই শক্তি পাওয়ার জন্য আধার পুরো দুনিয়া উথাল পাথাল করে দিতে পারে। ওর জন্য প্রতিদিন কতশত মানুষ মরছে কোন হিসেব নেই তারা।
মাহিরা কয়েকটা নিউস পেপার এনে তারা হাতে দিল।
তারাঃ এটা কি??
মাহিরাঃ নিজেই দেখে নাও।
তারা পেপার গুলো খুলে দেখছে। যতই পেপার্স গুলো দেখছে ততই অবাক হচ্ছে তারা। প্রত্যেক টাতে মানুষের হত্যার নিউজ। কিভাবে মরেছে কেউ বলতে পারে না শুধু এই টুকু জানা গেছে যে শরীরের সব রক্ত শুষে নেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে।
জার্ণালিসম পড়া যখন থেকে শুরু করেছে তখন থেকেই এই নিউজ গুলো অরহর দেখতে পেয়েছে ও। এগুলো ভ্যাম্পায়ার ছাড়া কেউ করতে পারে না। এই একটা কারনেই তারা ভ্যাম্পায়ারদের এতো ঘৃণা করে।
ওর কাছে যারা মানুষের জান নেয় তারা হিংস্র প্রাণী থেকে কম না। আর মানুষের ভীরে হিংস্র প্রাণীদের স্থান নেই।
মাহিরাঃ এসব হত্যা আধার করেছে,,
মাহিরার কথা শুনে তারার চোখ থেকে শুধু পানি পরছে কিছু বলার বা ভাবার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না ও।
মাহিরাঃ আধার ভ্যাম্পায়ার কিংডমকে নিজের আধিপত্যে নিয়ে নিয়েছে। তাই আমরা চেয়েও ওকে থামাতে পারি না।
শুধু তুমি ওকে থামাতে পারো তারা। উই নিড ইউর হেল্প,,,
তারাঃ আ আমি কিভাবে???
মাহিরাঃ আধার তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে পরেছে তারা এন্ড ইউ নো দিস,,, ও তোমাকে ট্রাস্ট করে তোমার কথায় চোখ বন্ধ করে ও বিশ্বাস করবে তারা। তোমার শুধু এই টুকু করতে হবে…. ক্রিস্টাল নাইফ যেখানে লুকানো সেখানে যাওয়ার জন্য চাবির প্রয়োজন। আর ওই চাবি শুধু আধারের কাছে আছে। তোমাকে ওই চাবিটা এনে আমাকে দিতে হবে।
তারাঃ আ আমি চাবি কোথা থেকে আনবো??
মাহিরাঃ আধার চাবিটা সব সময় নিজের কাছেই রাখে। ও চাবিটাকে পেনডেন্ট হিসেবে ইউস করে যেন কখনো না হারায়।
ওর গলায় একটা ছোট চাবির মতো লকেট আছে যেটা ও সব সময় হাইড করে রাখে। হাইড করে রাখায় হয়তো তোমার চোখে পরে নি,,, ওই চাবিটা যদি তুমি আমাকে এনে দিতে পারো তাহলে আমি আধারের সব শক্তি কেড়ে নিতে পারবো। ও আর ভ্যাম্পায়ার কিং থাকবে না আর না নিজের হিংস্রতা দিয়ে কারো ক্ষতি করতে পারবে। প্লিজ তারা আই নিড ইউর হেল্প প্লিজ ডোন্ট সে নো।
তারাঃ কিন্তু ম্যাম আপনিই তো বললেন যে ক্রিস্টাল নাইফ এর একটা অংশ নষ্ট হয়ে গেছে আর ওই অংশ ছাড়া এটা অসম্পুর্ণ।
তারার কথায় মাহিরা বাঁকা হেসে ওকে বলে,,,
মাহিরাঃ তুমি চাবিটা আগে আমাকে এনে দাও। আগে ক্রিস্টাল নাইফ বের করি দেন তোমাকে দেখাবো ওটা কিভাবে সম্পূর্ণ হবে। ?
মাহিরার কথা গুলো কেমন জানি অবাস্তব লাগছে তারার কাছে। কোথাও কিছু মিসিং মনে হচ্ছে ওর।
মাহিরাঃ এনে দিবে তো তারা?? ( ইমোশনাল ভাব নিয়ে)
তারা মাথা নাড়িয়ে শুধু হ্যাঁ বলল,,,
মাহিরা চোখ চিকচিক করছে খুশিতে।
মাহিরাঃ আর বেশি দেরি না আধার,,, তোমার অস্তিত্ব শেষের দিকে আসছে। তারা নিজেও জানে না ও কি করতে যাচ্ছে। ( মনে মনে শয়তানি হাসি দিয়ে)
তোমার এখন যাওয়া উচিত তারা। আধার হয়তো তোমাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। কালকে আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো। আমি জানি তুমি চাবিটা আমাকে এনে দিতে পারবে।
তারা কিছু বলল না শুধু চুপচাপ হেটে বেড়িয়ে গেল।
আনমনে হাটছে তারা। ওর পুরো দুনিয়াটা যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। কি থেকে কি হয়ে গেল সব কিছুর সমীকরন অগোছালো হয়ে গেছে। মাহিরা বলেছে যে আধার তারার প্রতি দূর্বল হয়ে পরেছে। কিন্তু তারা এটা ভেবে পাচ্ছে না যে শবনমটা কে?? মাহিরা সব বলল তাহলে কেন শবনমের ব্যাপারে কিছু বলল না। এই নামটার পেছনের রহস্য ও বুঝতে পারছে না। কি করবে কাকে বিশ্বাস করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না ও। আধারকে ভালোবাসে ও কিন্তু খনিকের ঘৃনার কাছে ভালোবাসাটা আড়াল হয়ে গেছে ওর।
তারাঃ আই হেইট ইউ আধার রেজওয়ান আই জাস্ট হেইট ইউ। আপনি একজন খুনি,,, আমি কিভাবে পারলাম আপনাকে ভালোবাসতে,,, হাও কুড আই লাভ ইউ। ?
হঠাৎ পেছন থেকে কারো চিরচেনা কন্ঠ শুনতে পেল ও।
চোখ মুছে পিছনে তাকাতেই দেখে আধার দাঁড়িয়ে আছে। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। শরীরে বিভিন্ন যায়গায় কাঁদা লেগে আছে। চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা টেনশনে ছিলো এতক্ষণ ও।
আধার দৌড়ে এসে তারাকে জড়িয়ে ধরলো। অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আধার তারাকে যেন ছেড়ে দিলেই হারিয়ে যাবে। তারা জড়িয়ে ধরার জন্য দু হাত তুলেও আবার নামিয়ে নিল।
ইচ্ছে করছে আধারকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু কোথাও একটা বাধা পরছে ও।
আধার তারাকে ছেড়ে দু হাত তারার দুগালে রেখে কপালে গালে অজস্রবার ঠোঁট ছোয়ালো। অনেক দামী জিনিসটা যেন হারাতে হারাতে পেয়েছে।
আধার তারাকে আবার বুকের সাথে জড়িয়ে ব্যস্ত হয়ে বলতে শুরু করল।
আধারঃ তোমাকে সেই কখন থেকে খুঁজছি তারা। না বলে কোথায় চলে গিয়েছিলে। তুমি জানো আমি কতটা টেনশনে ছিলাম তোমাকে পাগলের মতো খুঁজছিলাম এতক্ষন। বারবার একটাই ভয় মনে গাওয়া দিচ্ছিল তোমার কোন বিপদ হলো না তো। এরকম কেউ করে। একবার আমার আমার কথা ভাবলেনা যে আমি কতটা টেনশন করবো।
তারা আধারের বুকের সাথে মিশে আছে। তারা নিজের এক হাত আধারের বুকে রেখে টি শার্ট এর একটা বোতাম খুলে দেখে সত্যিই গলায় একটা চাবি টাইপের লকেট।
আধার তারাকে সোজা করে দাড় করায়।
তারা আধারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ওর কানে আধারের কোন কথাই যাচ্ছে না। তারা একটা কথাই ভাবছে,,,
তারাঃ এই নিষ্পাপ চেহারার পেছনে একটা হিংস্র প্রাণী লুকিয়ে আছে ভাবতেই অবাক লাগছে আমার। এই চোখে আমার জন্য এতোটা চিন্তা আমাকে হারানোর এতো ভয় কিন্তু একটু আগে এই চোখে শুধু হিংস্রতা দেখা যাচ্ছিলো রক্তের নেশা দেখা যাচ্ছিলো। আপনি কি ডেভিল নাকি আমার জীবনের এঞ্জেল। আপনার আসল রুপটা কি আমি বুঝতে পারছি না। গোলক ধাঁধায় হাড়িয়ে যাচ্ছি আমি।
আধারঃ কি হলো তারা কিছু বলছি আমি উত্তর দাও।
তারাঃ আমার ওখানে ভালো লাগছিল না তাই কটেজে যাচ্ছিলাম।
আধারঃ কিন্তু….
আধারকে থামিয়ে তারা আবার বলতে শুরু করলো।
তারাঃ AR প্লিজ আমার ভালো লাগছে না আমাকে কটেজে পৌছে দিন।
তারার কথা গুলো অনেক অস্বাভাবিক লাগছিলে আধারের কাছে। আধার কথা না বাড়িয়ে তারাকে কটেজে পৌছে দেয়।
আধারঃ কিছু একটা তো হয়েছে যা তারা আমার কাছ থেকে লুকাচ্ছে কিন্তু কি??
রুমে এসে তারা সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার এর নিচে বসে পরলো। পানির ফোঁটা হয়তো মাথাটা ঠান্ডা করতে পারবে ওর। এই মুহুর্তে কিছুই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না ওর কাছে।
To be continued…….