#Our_Unknown_Love_Story(2),17,18
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_17
আধার নিজের রুমে এসেই শাওয়ার নিতে চলে গেল। শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে আছে আধার। চুল থেকে টপটপ করে খালি শরীরে ঝড়নার পানি গড়িয়ে পড়ছে। আয়নাটা ঝাপসা হয়ে আছে ওয়াশরুমের। আধার এক হাত দিয়ে আয়নাটাতে হাত বুলিয়ে ঝাপসা যায়গা টুকু মুছে নিল।
হঠাৎ আধারের খেয়াল হলো ওর গলায় চাবিটা নেই। আতকে উঠে আধার। ওয়াশরুমে আশেপাশে ভালোভাবে খুঁজেও চাবিটা পেল না ও। টেনশন হচ্ছে খুব ওর। দ্রুত টাওয়াল পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে গেল আধার।
পুরো রুম তছনছ করে খুঁজছে তাও চাবিটা পাচ্ছে না ও।
আধারঃ চ চাবিটা কোথায় গেল?? সন্ধ্যায় তো আমার গলায়ই ছিল তাহলে,,, কিছু একটা ভুল আছে,,, সামথিং ইজ নট রাইট। ( চিন্তিত হয়ে) চাবিটা যদি ভূল কারো হাতে পৌঁছে যায় অনেক খারাপ কিছু ঘটে যাবে। আই হ্যাভ টু ফাইন্ড ইট আউট।
এইদিকে,,,
শাওয়ার নিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে আছে তারা। হাতে আধারের গলায় থাকায় চাবির লকেটটা। তারা চাবিটা তুলে নিজের সামনে ধরে।
যখন আধার তারাকে জড়িয়ে ধরেছিল তখন তারা আলতো করে চাবিটা খুলে নেয়।
তারা চাবিটার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে।
তারাঃ কি সত্য কি মিথ্যা সেটা আমি নিজে নির্ণয় করবো। মাহিরা ম্যাম সত্য বলছে নাকি মিথ্যা সেটা আগে ফাইন্ড আউট করতে হবে আমাকে। যদি উনি সত্য বলে থাকেন তাহলে আমি উনাকে এই চাবিটা দিয়ে দিব। কিন্তু যদি উনার কথায় কোন ভুল হয়ে থাকে দেন আই ওয়োন্ট স্পেয়ার হার….
আমি এটা বুঝতে পারছি যে মাহিরা ম্যাম কিছু একটা লুকাচ্ছেন। উনি আমাকে সম্পূর্ণ সত্যটা বলেন নি।
AR এরকম না যেমনটা উনি আমাকে বলেছেন। কারন আমি যে আধার রেজওয়ান কে চিনি সে কখনো কারো খারাপ করতে পারে না। কেন জানি মাহিরা ম্যাম এর কথায় আমার খটকা লাগছে। আমার মন বার বার এটা মানতে নারাজ হচ্ছে যে AR খারাপ হতে পারে।
তারাঃ মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে। আর আমি জানি কোথা থেকে এই প্রশ্নের উত্তর গুলো আমি পাবো।
তারা চাবিটা মুঠোয় নিয়ে বের হয়ে যায় রুম থেকে।
পুরোনো বাড়িটার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে তারা। কেন যেন মনে হচ্ছে এখান থেকে কোন না কোন ক্লু অবশ্যই ও খুঁজে পাবে।
তারা ধীর পায়ে গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে। দরজার সামনে যেতেই অবাক হয়ে পরে ও। বাড়ির দরজা খোলা কিন্তু এতো বড় বাড়িতে কেউই থাকে না তাহলে দরজা খোলা থাকবে কেন। নানান রকম প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ওর মনে।আলতো পায়ে ভিতরে প্রবেশ করে তারা। চারোদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার বাইরে থেকে আলো এসে কিছুটা আলোকিত হচ্ছে বাড়িটা। হঠাৎ কেউ ঝড়ের গতিতে তারার পেছন দিয়ে গেল। তারা চমকে ভয়ে ভয়ে পেছন ফিরে দেখে কেউ নেই।
ভয়ে ঘামতে শুরু করেছে ও। নিঃশ্বাস ঘন ঘন উঠা নামা করছে তারার।
>> আমি জানতাম তুমি এখানে আসবেই তারা।
পেছন থেকে কারো কথা শুনে পিছনে ফিরে তাকালো তারা। মাহিরা দাঁড়িয়ে আছে।হঠাৎ সব লাইট ও জ্বলে উঠে।
তারাঃ ম্যাম আপনি এখানে??
মাহিরাঃ তুমি কি আমাকে এতোই বোকা ভেবেছিলে তারা। আমি আগে থেকেই জানতাম যে তুমি এতো সহজে আমার কথায় বিশ্বাস করবে না। প্রমাণ খুঁজতে এখানে ঠিকই আসবে সি আমার কথাটাই সত্য হয়েছে।
তারাঃ আমি শুধু এটাই জানতে এসেছি যে কি এমন আছে যেটা আপনি আমার কাছ থেকে লুকাচ্ছেন। আমি শুধু নিজের প্রশ্নের উত্তর জানতে এসেছি।
মাহিরাঃ তোমার আর কষ্ট করে নিজের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে না তারা। আমিই তোমাকে প্রথম থেকে সব বলে দেব আফটার অল আজকে তোমার জীবনের শেষ রাত ?
তারা মাহিরার কথা শুনে ঘাবরে যায়।
তারাঃ মা মানে??
মাহিরাঃ তুমি অনেক বোকা তারা। কিছুক্ষনের জন্যে হলেও আমার কথা গুলো তুমি বিশ্বাস করেছো। আধারকে সন্দেহ করেছো। ইউ নো হোয়াট আমি তোমাকে যা যা বলেছি সব মিথ্যা ছিল বানোয়াট ছিল।
মাহিরার কথায় তারা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়।
মাহিরাঃ হ্যাঁ তারা,,, আর ওই সব মার্ডার আমি করেছি আধার না। কিছুক্ষন আগে আধার যে নেকড়েটাকে মেরেছে সেটাকেও আমি পাঠিয়েছিলাম। আধারকে তোমার নজরে হিংস্র প্রমাণ করার জন্যে বাট আফসোস!!! আমার প্লানটা ভেস্তে গেল। তুমি তো ওকে অবিশ্বাস করতেই পারলে না উল্টো এখানে এসেছে সত্য মিথ্যা যাচাই করতে।
মাহিরার কথা গুলো শুনে তারা অবাক হওয়ার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এরকম চাল কেন করলো মাহিরা ভাবছে তারা শুধু মাত্র কি এই চাবিটার জন্য।
তারাঃ একটা চাবির জন্য এতো বড় ড্রামা কেন করলেন ম্যাম??
মাহিরাঃ শুধু এই চাবি আর ক্রিস্টাল নাইফ এর জন্য না তারা প্রতিশোধ,,, প্রতিশোধ এর জন্য সব করেছি আমি। আধারের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য করেছি। (রেগে)
তারাঃ আধার স্যারের সাথে আপনার কিসের শত্রুতা?? কেন উনাকে এতো ঘৃণা করেন আপনি।
মাহিরাঃ সেটা নাহয় পরে শুনো এখন আমাকে চাবিটা দিয়ে দাও তারা।
চাবির কথা শুনে তারার গলা শুকিয়ে যায় ভয়ে। মাহিরা কিভাবে বুঝলো যে ওর কাছে চাবিটা আছে।
তারাঃ নো আমি কিছুতেই চাবিটা দিবো না উনাকে।( মনে মনে)
তারা মনে মনে সাহস জুগিয়ে বলল,,,
তারাঃ আ আমার কাছে কোন চাবি নেই,,,
মাহিরাঃ মিথ্যা বলে লাভ নেই তারা। যখন তুমি আধারের গলা থেকে চাবি খুলছিলে আমি সেখানেই লুকিয়ে ছিলাম।
আমি জানি চাবিটা এখনো তোমার কাছে আছে। চাবিটা আমাকে দিয়ে দাও আধার যে কোন সময় এখিনে পৌছে যেতে পারে। গিভ মি দ্যা কি তারা(রেগে)
তারা চাবিটা শক্ত করে মুঠোয় করে ধরে তারপর বলে।
তারাঃ আমি এটা দিবো না আপনাকে কিছুতেই নাহ,,,
তারা পেছন ফিরে দৌড়ে বেড়িয়ে যেতে নিলেই মাহিরা দ্রুত ওর সামনে এসে ওর পথ আটকায়। তারার অনেক ভয় করছে।যদি মাহিরা কিছু করে বসে। মাহিরাও তো একটা ভ্যাম্পায়ার আর ও এখন একটা হিংস্র ভ্যাম্পায়ার এর সাথে একা আছে। কথা গুলো ভাবতেই ভয়টা দ্বিগুণ বেড়ে গেল তারার।
মাহিরা তারার দিকে এগোচ্ছে আর তারা ভয়ে ভয়ে পিছাচ্ছে। মাহিরা তারার দিকে এগোতে এগোতে বলল,,,
মাহিরাঃ আমি জানি তুমি এতো সহজে আমার কথা শুনবে না। তাই এর জন্য অন্য রাস্তা অবলম্বন করতে হবে আমাকে তারা।
তারা মাহিরার কথার কিছুই বুঝতে পেলো না।
হঠাৎ মাহিরা নিজের ধারালো নখ দিয়ে তারা ঘারে আঘাত করে,,,
তারাঃ আআআ,,
চিৎকার দিয়ে তারা নিচে পরে যায়। চোখ দু’টো ঝাপসা হয়ে আসছে ওর। ঘার থেকে রক্ত চুইয়ে পরছে। এই মুহূর্তে শুধু এক জনের চেহারা চোখে ভাসছে তার নামই মুখে আসছে।
তারাঃ আ আধাররর ( সফ্ট ভয়েজে)
চোখ দুটো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসে তারার।
হঠাৎ বুকটা ধক করে উঠলো আধারের। মনে হলো কেউ ওকে মনে করছে। বুকে হাত দিয়ে ব্যথাটা অনুভব করছে ও। চিনচিন ব্যথা শুরু করছে বুকে।
আধারঃ তারাআআ!!!
আধার এতোক্ষণ ভ্যাম্পায়ার কিংডমে ছিল। হঠাৎ করেই মনের মাঝে কু ডাক অনুভব হচ্ছে।
দ্রুত বের হয়ে গেল রাজ্য থেকে উদ্দেশ্য তারার কটেজ।
To be continued….
#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_18
After Some Hours….
জানালার পর্দার আড়ালে চাঁদের আলো ভেতরে প্রবেশ করে পুরো রুম উজ্জ্বল করে তুলছে। বাতাসে জানালার সাদা পর্দা গুলো এলোমেলো ভাবে উরছে। সেই জানালার সামলে দাঁড়িয়ে বাইরে শান্ত চাহনিতে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে আধার। চোখে হতাশা আর চেহারায় কষ্টের তীব্র ছাপ।
চোখ দুটো অসম্ভব লাল হয়ে আছে। চুল গুলো এলোমেলো ও অগোছালো। শার্টের বিভিন্ন যায়গায় রক্তের ছাপ কিন্তু কালো শার্ট বিধায় রক্তটা বুঝা যাচ্ছে না। বুকের ভিতর তীব্র ব্যথা হচ্ছে ওর। এমন লাগছে বুকে ভারী কিছুর বোঝা বইছে ও। মন ভরে কাঁদতে পারলে হয়তো ভারটা একটু হালকা হতো।
মাথা ঘুরিয়ে শান্ত চাহনিতে একবার বেডের দিকে তাকালো আধার। বেডের মাঝখানে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তারা। চাঁদের আলোটা চেহারায় পরে ওকে আরো মায়াবী বানিয়ে দিয়েছে। স্নিগ্ধ ছোয়ার রেশ ও চেহারায় স্পষ্ট। এক সময় এই চেহারাটার দিকে তাকিয়েই নিজের সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারতো ও। কিন্তু আজ এই চিরচেনা চেহারাটাও অচেনা হয়ে পরেছে।
একটু আগের ঘটনা মনে পরতেই বুক কেঁপে উঠলো আধারের।
Flashback….
কটেজে এসে কোথাও তারাকে খুঁজে পেল না আধার। তারাকে না পেয়ে আধার প্রায় পাগল হয়ে গেছে । আমান দিয়া আর রোহান পার্টিতে এখনো ফিরে নি।
এইদিকে,,,,
আস্তে আস্তে চোখ খুলে নিজেকে অচেনা কোথাও আবিষ্কার করলো তারা। আশেপাশে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো ও কোথায় আছে। যায়গাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। পাথরের খোদাই করা দেয়াল। সম্পূর্ণ দেয়ালে নেকড়েদের আকৃতি খোদাই করা।
চারোদিকে স্পাইডার বাসা বেঁধে রেখেছে। রুমটা ঘুটঘুটে অন্ধকার না হলেও তেমন একটা আলোকিত না।
তারা উঠতে যাবে এমন সময় অনুভব করলো ওর হাত পা বাধা। তারা হাত পা ছুড়াছড়ি করছে বাট নো রেজাল্ট। অনেক টাইট করে বেধে রাখা হয়েছে যার কারনে হাত আর পা ব্যথা করছে।
তারাঃ আমি এখানে কিভাবে এলাম,,, আমি তো….
তারার কিছুক্ষন আগের ঘটনাটা মনে পরে যায়। মাহিরা ওকে আঘাত করেছিল এর পরে আর কিছু মনে নেই তারার।
তারা হাত পা ছুড়াছড়ি করলেও লাভ হচ্ছে না। কিভাবে এখান থেকে বের হবে কিছুই মাথায় আসছে না ওর।
তারাঃ কি করবো এখন আমি। এখান থেকে যে কোন মূল্যে আমাকে বের হতে হবে। AR কে সব কিছু বলতে হবে নাহলে ওই মাহিরা আমার AR এর কোন ক্ষতি করে ফেলবে। আই হ্যাভ টু ডু সামথিং,,,
তারা আশেপাশে তাকিয়ে কিছু খোজার চেষ্টা করলো। একটু দূরেই একটা কাচের টুকরো পরে আছে দেখতে পেলো তারা।
তারাঃ পেয়ে গিয়েছি!
তারা অনেক কষ্টে কোন রকমে এগিয়ে সামনে গেল। উলটো দিকে ঘুরে কাচটা অনেক কষ্টে হাতে নিল। কাচটা দিয়ে হাতের দড়িটা কাটার চেষ্টা করছে ও।
হাতের কিছু অংশ ও কেটে গেছে তারার তাও দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা টা সহ্য করে দড়ি কাটার চেষ্টা করছে।
ফাইনালি দড়িটা কাটতে তারা সক্ষম হয়। তাড়াতাড়ি করে পায়ের দড়িটাও খুলে ফেলে ও।
তারা উঠতে গিয়ে মাথায় চক্কর খায় নিজেকে সামলানোর জন্য দেয়ালের সাথে লেগে দাঁড়ায় ও। ঘারটা প্রচুর জ্বলছে। রক্ত জমাট বেঁধে গেছে ঘারে।
তারাঃ নোও,, আমার উইক হলে চলবে না। এখান থেকে পালাতে হবে আমাকে। আ আই হ্যাভ টু ফ্লিড ফ্রম দেয়ার…
তারা দরজা খুলে দৌড়ে বের হয়ে যায়। মেইন ডোর খোলা। তারা দৌড়ে বের হতে নিলেই দরজাটা অটোমেটিককি অফ হয়ে যায়।
তারা দরজায় জোরে জোরে বারি দিচ্ছে আর খোলার চেষ্টা করছে বাট ভেইন…
তারাঃ হ্যালো কেউ আছে প্লিজ দরজাটা খুলুন,,, হেল্প….
পেছন থেকে মাহিরা বলে উঠে,,,
মাহিরাঃ কোন কাজ হবে না তারা। এই দরজা আমার হুকুম ছাড়া কিছুতেই খুলবে না। তাই শুধু শুধু বৃথা চেষ্টা করে লাভ নেই। ( শয়তানি হাসি দিয়ে)
মাহিরার কথা শুনে তারা ভয়ে ভয়ে পেছনে ফিরলো।
তারাঃ আ আমাকে এখানে কেন এ এনেছো তুমি।
মাহিরাঃ তোমাকে এখানে আনার এক মাত্র কারন হলো যেন আধার তোমাকে খুঁজে না পায়।
তারা ভয় পেয়ে যায়। হঠাৎ তারার মনে পরে ওর হাতে চাবিটা নেই,,, তাহলে কি মাহিরা??
তারাঃ চ চাবিটা কোথায়??
তারার কথায় মাহিরা মুখে শয়তানি হাসি এনে নিজের হাত বাড়িয়ে দেখিয়ে বলে।
মাহিরাঃ চাবিটা দিয়ে এখন কোন কাজ নেই কারণ ক্রিস্টাল নাইফ তো আমার হাতেই,,, ?
মাহিরার হাতে ক্রিস্টাল নাইফ।
তারাঃ তার মানে আপনি নাইফ নিয়ে এসে পরেছেন??
মাহিরাঃ ইয়েস তারা এন্ড ইট্স অল বিকজ অফ ইউ। তুমি না থাকলে আমি হয়তো কখনো এই নাইফটা নিজের হাতে পেতাম না। সো থ্যাংকস টু ইউ,,,,
এখন আর তুমি আমার কোন কাজের না। তোমাকে এখানে আনার উদ্দেশ্য আমার পুরোন হয়ে গেছে। তাই তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন প্রশ্নই উঠে না।
মাহিরা তারার দিকে এগোচ্ছে আর তারা ভয়ে ভয়ে পিছাচ্ছে। মাহিরা নিজের ধারালো দাঁত বের করে ভ্যাম্পায়ার রুপে চলে আসে। তারার ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে। আজ হয়তো ওর শেষ দিন। মনে মনে শুধু আধারের নাম নিচ্ছে ও।
তারা দৌড়তে নিলে মাহিরা ওকে ধরে ফেলে তারপর ওর ঘারের দিকে এগোয়। মাহিরার ধারালো দাঁত তারার ঘার ছুইছুই।
তারা ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে। চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরছে ওর। ভয়ে আত্মা শুকিয়ে গেছে। মনে মনে শুধু আধারকে ডাকছে আর ভাবছে।
তারাঃ আ’ম স্যরি AR আমি আপনাকে বিশ্বাস না করে অনেক বড় ভুল করেছি। আমার উচিত হয় নি আপনার কাছ থেকে লুকিয়ে চাবিটা চুরি করা। যদি আমি এরমটা না করতাম হয়তো আমার সাথে এসব হতো না। শেষ বারের মতো আপনার কাছ থেকে ক্ষমাও চাইতে পারলাম না বলতে পারলাম না যে ভালোবাসি আপনাকে। অনেক বেশি ভালোবাসি।
মাহিরা তারার ঘারে দাঁত ডাবিয়ে দিবে এমন সময় হঠাৎ কেউ ঝড়ের গতিতে এসে ওকে দূরে ছিটকে দেয়। তারপর তারাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়।
হঠাৎ তারা আধারকে নিজের কাছে অনুভব করছে। ওর শরীরের ঘ্রানটা তারার নাকে বারি খাচ্ছে। তারা হালকা করে চোখ খুলতেই আধারকে ওর কাছে দেখতে পেলো। আধারের শীতল চাহনি তারার মুখের দিকে। ভয়ের রেশ চেহারায় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। আর একটু দেরি হলে কি হতো ভেবেই বুক কেঁপে ওঠে আধারের।
তারা অসহায় দৃষ্টিতে আধারের দিকে তাকালো। হঠাৎ আধারের চেহারা শক্ত হয়ে গেল। তারাকে নিজের থেকে সরিয়ে পেছনে মাহিরার দিকে ফিরলো ও।
মাহিরা ভয়ে ভয়ে আধারের দিকে তাকালো। এই মুহুর্তে আধারকে কতটা হিংস্র দেখাচ্ছে সেটা শুধু মাহিরাই বুঝতে পারছে।
আধার গিয়ে মাহিরার চুলের মুঠি ধরে ওকে দাড় করায় তার পর জোরে জোরে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
মাহিরা আবারো ফ্লোরে পরে যায় ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে ওর।
আধার রেগে গর্জিয়ে বলতে শুরু করল।
আধারঃ বলেছিলাম না তোকে ওর থেকে দূরে থাকতে। কথা শুনিস নি আমার কথা। এখন এর শাস্তি তোকে পেতেই হবে। কেন করিস তুই এমন কেন বার বার আমার ভালোবাসাকে আমার থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করিস। পঁচিশ বছর আগেও এরমটা করেছিলি এখন আবারো সেই ঘটনাটার পুনরাবৃত্তি করছিস।
আধারের কথায় তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল মাহিরা।
মাহিরাঃ সত্যি আধার!! সত্যি কি তোমার মনে হয় এই মেয়ে তোমার ভালোবাসা?? এই মেয়ের চেহারা দেখে তুমি ভেবে নিয়েছো যে এটা তোমার শবনম।
নোও আধার নোও,,, ও শবনম না কারণ কি জানো !!
ও নিজে আমার সাহায্য করেছে যেন আমি তোমাকে শেষ করতে পারি। তোমাকে চিট করে চাবিটা চুরি করেছে ও আধার।
শবনম তো তোমাকে ভালোবাসে তাই না?? তাহলে তোমাকে কিভাবে অবিশ্বাস করতে পারলো ও।
আধার মাহিরার কথায় তারার দিকে তাকালো। তারা অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে আছে। কিন্তু মাথায় শুধু একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে যে মাহিরা কি বলছে। তারা মাহিরার কথার কিচ্ছুই বুঝতে পারছে না।
আধারকে তারার দিকে তাকাতে দেখে মাহিরা সুযোগ বুঝে নিচে থেকে ক্রিস্টাল নাইফ টা তুলে আধারকে মারার জন্য এগিয়ে আসে। কিন্ত ছুরিটা আধারের শরীরে লাগার আগেই আধার খপ করে ছুরিটা ধরে ফেলে। মাহিরা ভয় পেয়ে যায়। আধার মাহিরাকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ঘারে আঙ্গুল দিয়ে ওকে অঙ্গান করে ফেলে।( মার্শাল আর্টস টেকনিক স্টাইলে)।
মাহিরা ফ্লোরে পরে যায়। আধার পেছন ফিরে তারার দিকে তাকালো। তারা অসহায় দৃষ্টিতে কাঁদোকাঁদো ভাবে আধারের দিকে তাকিয়ে আছে। আধার শান্ত দৃষ্টিতে শুধু তারাকে দেখছে।
আধারের চাহনি তারাকে একটাই প্রশ্ন করছে,,,
“কেন করলে এমন”?
আধারের এই দৃষ্টি তারা সহ্য করতে না পেরে দৌড়ে এসে আধারকে ঝাপটে ধরে। আর কাঁদতে কাঁদতে বলে,,,
তারাঃ I’m sorry AR I’m really sorry please forgive me….
আধার একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ইচ্ছে করছে তারাকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু কোথাও একটা বাধা পরছে ও।
তারার ঘার থেকে চুইয়ে রক্ত পরেছে। মাথা ঝিম ধরে যাচ্ছে। হঠাৎ তারার হাত ঢিল ছেড়ে দেয়। তারা আধারের বুকেই জ্ঞান হারায়।
To be continued….