Our_Unknown_Love_Story(2),19,20

0
860

#Our_Unknown_Love_Story(2),19,20
#The_Incomlpete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_19

কিছুক্ষণ আগের ঘটনাটা মনে পরতেই যেন রুহ কেঁপে ওঠে আধারের।

আধার ধীর পায়ে গিয়ে তারার পাশে বসে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তারা। ঘারের ক্ষতটা আধার ঠিক করে দিয়েছে তাই এখন আর কোন ক্ষত দেখা যাচ্ছে না।

এই মুহুর্তে তারাকে অনেক মায়াবী লাগছে আধারের কাছে। আধার নিজের এক হাত তারার মাথায় রেখে ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করে।

মন ভরে দেখছে ও তারাকে যেন এর পর আর এতো কাছ থেকে দেখতে পাবে না। আধার তারার কপালে ঠোঁট ছোঁয়াতে গিয়েও থেমে গেল। কিছু একটা বাধা দিচ্ছে ওকে। মনের কোথাও বাধা পরছে ওর।

আধার সরে গেল। তারার এক হাত নিজের হাতের ভাজে নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল।

আধারঃ কেন হলো এমনটা বলতে পারো তারা?? কেন এলে আমার জীবনে?? আমার অন্ধবিশ্বাস কে কেন সত্য করলে।

আমি তোমাতে আমার শবনমকে দেখতে পেতাম। কিন্তু সব আমার মনের ভ্রম ছিল। তোমার চেহারাটাই শুধু আমার শবনমের সাথে মিলে কিন্তু তুমি ও না।

ওতো চলে গেছে আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে। যেখান থেকে কেউ কখনো ফিরে আসতে পারে না। তাহলে ও কিভাবে ফিরে আসবে আমার কাছে।

আজকে তুমি আমার সব ভুল ধারণা শেষ করে দিলে। তুমি আমার ভালোবাসা হলে আমাকে বিশ্বাস করতে। আমার বিরুদ্ধে যেতে তোমার মন তোমাকে বাধা দিত। you know what… ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যেটা মস্তিষ্ক ভুলতে পারে কিন্তু হৃদয়!! হৃদয় কখনো ভুলতে পারে না। জানো তো তারা শবনমের প্রতি আমার এই ভালোবাসার জন্য আমি মরেও বেঁচে ফিরেছি। হোক সে ভ্যাম্পায়ার রুপ তাও ফিরে এসেছি ওর কাছে। ওর চলে যাওয়ার পরেও পঁচিশ টা বছর ওর জন্য অপেক্ষা করেছি। আর বাকি জীবনটা ও আমি ওর অপেক্ষাতেই কাটাতে পারবো। যদিও আমি জানি এই অপেক্ষা কখনো শেষ হবে না। আমাদের #Incomplete_Love
#Incomplete ই রয়ে যাবে। ওর ভালোবাসায় হয়তো খাদ্ ছিল তাই ও নিজের কথা রাখে নি। কিন্তু এই আধার রেজওয়ান এর ভালোবাসায় কখনো কোন খাদ্ ছিল না।

তোমাকে আমার থেকে দূরে থাকতে হবে তারা। কারন আমি এই চেহারাকে না আমার শবনমের মনকে ভালোবেসেছি।

আমি তোমাকে ভালোবাসি নাহ,,, You are not my Love.

আধারের চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে। কথা গুলো বলতে গলা ধরে যাচ্ছিলো ওর। আধার উঠে আসতে নিলেই কিছু একটায় বাধা পরে ওর।

পিছনে ফিরে দেখে তারার হাতের ব্রেসলেট এর সাথে ওর শার্টের হাতা আটকে গেছে।

আধার তারার দিকে এক পলক তাকিয়ে ব্রেসলেট টা খুলতে ব্যস্ত হয়ে পরে।

তারা আস্তে আস্তে চোখ খুলে আধারকে নিজের কাছে দেখতে পায়। একটু খেয়াল করে তারা দেখলো আধার ওর ব্রেসলেট থেকে নিজের শার্টের হাতা ছুটাচ্ছে।

হঠাৎ তারার দিকে তাকাতেই থমকে যায় আধার। ওর দিকেই শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তারা। তারার চোখে চোখ আটকে যায় আধারের। হার্টবিট আবারো বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু নাহ এবার আধার দূর্বল হবে না।

আধার উঠে দাঁড়িয়ে অন্য দিকে ঘুরে যায়। তারাকে ফেস করতে চায় না ও। তারা ভাবছে আধার হয়তো ওর উপর রেগে আছে। তারাও উঠে আধারের পাশে চলে আসে।

অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে মলিন ফেস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারা।

তারাঃ আ আ’ম স্যরি AR। বাট ট্রাস্ট মি আমি উনাকে চাবিটা দিতে চাই নি,,, আমি তো…

কথা শেষ হ‌ওয়ার আগেই আধার বলে উঠে।

আধারঃ চাবিটা তুমি আমার কাছ থেকে চুরি করেছিলে তাই না??

আধারের কথায় তারা চুপ হয়ে গেল। আধার তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল।

আধারঃ যেটা চেয়েই পাওয়া যায় সেটা চুরি করা প্রয়োজন পরে না। তুমি একবার বলে দেখতে জান‌ও হাজির করে দিতাম তোমার সামনে। এটা তো সামান্য একটা চাবি। আমি নিজের জন্য চিন্তা করছি না তারা তোমার জন্য করছি। মাহিরা কতটুকু ডেঞ্জারাস সেটা তুমি হয়তো এখন বুঝতে পারছো। আজ যদি আমি সঠিক সময়ে না আসতাম তাহলে কি হতো তুমি বুঝতেই পারছো।

আর যেখানে আমার প্রশ্ন!! একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল আধার। আমিতো অর্ধেক ত্রিশ বছর আগেই মরে গিয়েছিলাম কিন্তু তখন ভ্যাম্পায়ার হয়ে ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু সম্পূর্ণ তো পঁচিশ বছর আগে মরেছি যখন আমার ভালোবাসা আমাকে ফেলে চলে গিয়েছিল।

আধারের কথায় তারা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়। তারার চোখে হাজারো প্রশ্ন।

আধারঃ জানি তোমার মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ সব কটার উত্তর তুমি পাবে তারা।

আধার তারার হাত ধরে রুম থেকে বের হয়ে আসে। নিচের রুমে ছিল ওরা। আধার সিঁড়ি বেয়ে তারাকে নিয়ে উপরে একটা রুমের সামনে আসে।

আধারঃ এটার ভিতরে তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আছে। গোও আহেড!!

তারা আধারের দিকে একবার তাকিয়ে আবার দরজার দিকে তাকালো। তারপর দরজাটা খুলে ভিতরে ঢুকে পরলো। ভিতরে ঢুকে তারা অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না ও। তারা অবাক হয়ে আশেপাশে দেখছে।

পুরো রুম জুরে ওর পোট্রেট আঁকা। শুধু ওর বললে ভুল হবে সাথে আধার‌ও আছে। কোন দেয়াল বাদ নেই যেখানে ওদের ছবি না আছে। তারার মনে পরছে না যে ও কখন এই ছবি গুলো তুলেছে। আর সাধারনত এগুলোকে ছবি না পোট্রেট বলে। আর এই জুগে পোট্রেট খুব কম মানুষ বানায়। তাছাড়া আধার ওর পাশে কি করে। ও তো আধারকে এর আগে কখনো দেখেও নি।

হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তারার মাথায়।

আধার শবনমের একটা হাসিমাখা ছবির সামনে গিয়ে ওটাতে হাত বুলাতে বুলাতে বলে।

আধারঃ এটা তুমি না এটা আমার শবনম।

তারা অবাক হয়ে গেল কথাটা শুনে। তার‌উপর আধার শবনমের নাম নেওয়াতে ওর মুখে অমাবস্যার মতো অন্ধকার ছেয়ে গেল।

তারাঃ ম মানে??

আধারঃ পঁচিশ বছর আগে ওকে হাড়িয়েই আমি নিঃস্ব হয়েছিলাম। পঁচিশ বছর ধরে ওর অপেক্ষাতেই দিন রাত মাস বছর পার করছিলাম আমি।

আধার তারাকে প্রথম থেকে শবনমের মৃত্যু পর্যন্ত সব খুলে বলে।

তারা যেন নিজের কানকে বিশ্বাস‌ই করতে পারছে। এরকম বাস্তবেও আদৌ হয় কিনা ভাবছে তারা। সব চেয়ে বেশী অবাক হচ্ছে আধারের ভালোবাসা দেখে শবনমের প্রতি। এতো ভালো কেউ কিভাবে কাউকে বাসতে পারে ভেবে পাচ্ছে না ও।

কিন্তু এই ভালোবাসা দেখে হৃদয়ে কোথাও চিন চিন ব্যথা করছে ওর। যাকে আমরা ভালোবাসি তার মুখে অন্য কারো নাম শুনতে কষ্ট তো হবেই।

আধারের হৃদয়ে অন্য কারো বসবাস ভেবেই কান্না পাচ্ছে তারার।

To be continued…

#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_20

আধারের কথায় বাস্তবে ফিরলো তারা।

আধারঃ আমি তোমাকে আমার শবনম ভেবেছিলাম যেটা আমার লাইফের সবচেয়ে বড় ভুল। আজকে তুমি আমার সেই ভুলটা ভেঙে দিলে তারা।

আধার তারার দিকে ফিরে তাকালো। আধারের চোখে কিছু একটা না পাওয়ার তীব্র ব্যথা দেখতে পাচ্ছে ও। ইচ্ছে করছে নিজের গালে কসিয়ে কয়টা চর মারতে। কেন যে ও মাহিরার কথা শুনতে গেল। যদি একবার আধারের কাছ থেকে সত্যি টা জানতে চাইতো তাহলে এতো কিছু হতো না।

তারার চোখের পানি আধারের বুকে তীরের মত বিঁধছে। তারা কান্না করছে তাও ওর জন্য!! কিন্তু কেন ব‌বুঝতে পারছে না আধার।

আধার তারার কাছে গিয়ে আলতো করে তারার চোখের পানি মুছে দিলো। তারা আধারের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।

আধার তারার চোখের পানি মুছে ওকে বলল।

আধারঃ তুমি কান্না করছো কেন তারা। তুমিতো আমাকে ঘৃণা করো তাই না। আমার কষ্টে তোমার খারাপ লাগার কথা না।

ইউ নো হোয়াট তারা!! আজকে তুমি যেটা করেছো তার জন্য আমার তোমাকে ঘৃণা করা উচিত। কিন্তু আমি তোমাকে ঘৃণা করতে পারছি না তারা। চাইলে ও তোমাকে ঘৃণা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। কারন একমাত্র এই চেহারাটা। আমি ভালোবাসি এই চেহারার মানুষটাকে। হয়তো তুমি আমার শবনম না কিন্তু তোমার চেহারাটা আমার শবনমের। তোমাকে ঘৃণা করা মানে ওকে ঘৃণা করা। আরেকটা কথা কি জানো তারা,,, আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে কখনো ঘৃণা করতে পারি না। আর আমার ভালোবাসাতো ওর জন্য সীমাহীন।

তারা শুধু শুনছে কী বলবে ও কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না ও। তারপরেও সাহস করে আধারের সামনে দাঁড়িয়ে বলল ও।

তারাঃ আ আই লাভ ইউ AR (কান্না জড়িত)

তারার কথা শুনে আধার কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলল। তারা ওকে ভালোবাসার কথা বলছে। নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছে না ওর।

আধারকে এভাবে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে তারা আবার ওকে বলতে শুরু করে।

তারাঃ হ্যাঁ AR আ আমি আপনাকে অনেক ভালবাসি অনেকের থেকেও বেশি। জানি আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন তাও আমি বলছি আই লাভ ইউ। ( কান্না করতে করতে)

তারার কথায় আধার তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল।

আধারঃ সিরিয়াসলি তারা!! ইউ লাভ মি?? ভালোবাসার মানে কী জানো?? জানো নাহ,,,

ভালোবাসা মানে নিজের সব টা জুড়ে শুধু নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে রাখা। সবার থেকে বেশি তাকে বিশ্বাস করা তার ভালোবাসাকে বিশ্বাস করা।

তুমি করেছো আমাকে বিশ্বাস??

তারা আধারের কথায় নিজের মাথা নিচু করে ফেলে। আসলেই তো ও প্রথম আধারকে বিশ্বাস করতে পারে নি।

তারাকে চুপ থাকতে দেখে আধার আবারো বলতে শুরু করল।

আধারঃ ভালোবাসার মধ্যে বিশ্বাস জিনিসটা বড্ড‌ই বেমানান। একবার বিশ্বাস নরে গেলে ভালোবাসাটা অবিশ্বাসে ঢেকে যায়। আর তাছাড়া আমি তোমাকে ভালোবাসি নাহ। তাই এসব কথা বলা সম্পুর্ন বৃথা।

তারাঃ AR প্লিজ আমাকে একটু বোঝার চেষ্টা করুন। হ্যাঁ আই এগ্ৰি আমি ভূল করেছি। কিন্তু আমি আপনাকে অনেক ভালবাসি অনেকের থেকেও বেশী প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিয়েন না। ?

আই রিয়েলি লাভ ইউ,,,

আধারঃ জাস্ট স্টপ দিস তারা। ( ধমক দিয়ে)

আধারের ধমকে তারা ভেজা বেড়ালের মতো চুপসে যায়।

আধারঃ কী শুরু করেছো তুমি হ্যাঁ। বললাম না আমি তোমাকে ভালোবাসি নাহ আমি শবনমকে ভালোবাসি।

তারাঃ কিন্তু ওতো এখন আর নেই। তাহলে কেন আমাকে আপনি ভালোবাসতে পারবেন না। আ আর আমাদের চেহারাও তো সেম তাহলে সমস্যা কোথায়,, ?

তারা আধারকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়।

তারাঃ আই রিয়েলি লাভ ইউ AR। আমি জানি আপনিও আমাকে ভালোবাসেন। আপনি রেগে আছেন তাই এমন করছেন তাই না। আই নো আমি ভুল করেছি প্লিজ ক্ষমা করে দেন লাস্ট বারের মতো।

আধার তারাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে ঝারি মেরে বলে।

আধারঃ স্টপ ইউর ননসেন্স তারা। আমি তোমাকে ভালোবাসি নাহ। চলে যাও এখান থেকে জাস্ট গোওও।( চিল্লিয়ে)

তারা আধারের চিল্লানোতে ভয় না পেয়ে নিজেও রেগে যায়। তারা রেগে আধারের কলার চেপে ধরে চিল্লিয়ে বলে,,,

তারাঃ তুই ভালোবাসবি তোর ঘাড়‌ও ভালোবাসবে। আমি ও দেখি তুই কতদিন আমার ভালোবাসাকে রিজেক্ট করতে পারিস। যদি তোর মুখ থেকে আই লাভ ইউ কথাটা না বের করেছি তাহলে আমার নাম‌ও তারা নাহ।

কথাটা বলেই তারা আধারের কলার ছেড়ে হনহন করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।

আধার এখনো শকে আছে। এই মাত্র কি হলো সব ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এই সিরিয়াস মোমেন্ট তারা কি সব বলে গেল ভেবে পাচ্ছে না আধার।

তার উপর তারা ওকে তুই করে বলেছে। আধার কিছুক্ষণ তারার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজেই হেসে দিল।

আধার দু পকেটে হাত ঢুকিয়ে মুখে হাসি টেনে বলল।

আধারঃ প্লান 1 সাক্সেসফুল। কংরেচুলেশন আধার রেজওয়ান। ?

এখন তুমি নিজেই সব মনে করার চেষ্টা করবে মেরি জান। আমার আর তোমাকে কষ্ট করে কিছু মনে করাতে হবে না।

তুমি কি ভেবেছিলে আমি আমার শবনমকে চিনি না। নো ওয়ে মেরি জান আমি জানি তুমিই আমার শবনম। এই সব কিছুই আমার প্লান। এখন কাইফ ভাববে আমি তোমাকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। তাই ও তোমার কাছে পৌছানোর চেষ্টা করবে। এখন আর আমার ওকে খোঁজা লাগবে না ও নিজে থেকেই আমাকে ধরা দিবে।

জানি তোমার একটু কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আই প্রমিস এই কষ্ট বেশি দিন আমি থাকতে দিব না।

এতো দিন তো তুমি আমার Madness Love দেখলে। এখন না হয় আমি তোমার Madness Love টা দেখি।

এইদিকে,,,,

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here