Our_Unknown_Love_Story(2),21,22

0
1080

#Our_Unknown_Love_Story(2),21,22
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_21

নিজের রুমে এসে এপাশ থেকে ওপাশ পাইচারি করছে আর নিজের নোখ কামড়াচ্ছে তারা।

তারাঃ হুহ্ বললেই হলো ভালোবাসি না। এতো দিন ভেবেছেন যে আমি ওনার শবনম এজন্য ভালোবেসেছেন আর এখন,, এখন ভাবেন আমি উনার শবনম না তাই আমাকে ভালোবাসবেন না। দূরে চলে যেতে বলছেন আমাকে। নো নো নো দ্যাট্স নেভার বি হ্যাপেন ( জেদ করে) আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না আর গেলেও আপনাকে সাথে করে নিয়ে যাবো। জাস্ট মাইন্ড ইটটট মি. আধার রেজওয়ান।

আমি শবনম না তারা জানি না। আমি শুধু এইটুকু জানি যে আমি আপনাকে অনেক ভালবাসি অনেকের থেকেও বেশি AR. আর আপনিও আমাকে ভালোবাসেন এটা আমি জানি। আপনার চোখে আমি ভালোবাসা দেখেছি আর সেটা শবনমের জন্য না আমার জন্য। হয়তো রাগের কারনে আপনি এখন বলছেন দ্যাট্স ইউ ডোন্ট লাভ মি বাট আই নো ইউ ডু লাভ মি।

যে করেই হোক আপনার রাগ আমি ভাঙিয়েই ছাড়বো। আপনাকে নিজের মুখে স্বীকার করতে বাধ্য করবো দ্যাট্স ইউ ডু লাভ মি।

হঠাৎ আয়নার দিকে চোখ যেতেই রাগটা উধাও হয়ে গেল তারার। মুখে বিষন্নতা ছেয়ে গেল ওর।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ও।

তারাঃ এক চেহারার মানুষ হয় এটা কখনো বিশ্বাস করিনি। কিন্তু আজ পরিস্থিতি এটাতে বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে আমাকে। আমি কে??

আমিকি সত্যিই শবনম নাকি শুধু চেহারাটাই আমাদের এক। যদি আমি শবনম হতাম তাহলে আমার কিছু তো মনে আসতো। কিন্তু এমন কিছুই তো আমার মনে আসছে….. হঠাৎ তারার খেয়াল হলো যখন ও কলেজে অঙ্গান হয়ে গিয়েছিল তখন নিজের অজান্তেই ওর মুখ থেকে আধার নামটা বেড়িয়ে গিয়েছিল। তখন তো ও আধারকে চিন্ত‌ও না।

একে একে অনেক ঘটনাই তারার মনে পরছে। চোখের সামনে কারো ছবি ভেসে উঠা। বারবার একই স্বপ্ন দেখা।

তারা আস্তে আস্তে গিয়ে বেডের পাশে বসে পরলো।

সমীকরণের কিছু কিছু অংশ আজকে স্পষ্ট লাগছে ওর কাছে।

তারা এক ঝটকায় উঠে দাঁড়ায় তারপর হন্তদন্ত করে আয়নার সামনে আবার চলে যায়।

কাঁপাকাপা হাতে পেটের সাইডের টি শার্টটি তুলল ও। গলা শুকিয়ে আসছে ওর।

পেটের দাগটা এখন স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। যে কেউ দেখলে বলতে পারবে এটা চাকুর আঘাতের দাগ।

তারাঃ তাহলে কি আমি….!! কিচ্ছু বুঝতে পারছি না কিচ্ছু না,,,,

হঠাৎ মাথা ঝিম ধরে উঠে ওর। মনে করার জন্য ব্রেনে বেশি চাপ পরেছে তাই এরমটা হচ্ছে।

তারাঃ নোও এখন এসব ভাবতে গেলে পাগল হয়ে যাবো আমি। স্টপ তারা স্টপ থিংকিং দিস।

যা হবার কাল হবে। নিজের প্রশ্নের উত্তর গুলো ও কালকে যে ভাবেই হোক বের করতে হবে। AR কেও মানাতে হবে।

এখন শুধু সকালের অপেক্ষা…..

In Morning…..

আজকে তারা একদম অন্য রকম করে রেডি হয়েছে। হলুদ স্কার্ট, হোয়াইট শার্ট, হলুদ আর সাদা কম্বিনেশন এর স্কার্ফ। কানে ঝুমকা। তারার চুল গুলো স্ট্রেইট ছিল কিন্তু আজকে ও চুল গুলোকে কার্ল করেছে।

তারা রেডি হয়ে ঘুরে ঘুরে নিজেকে আয়নায় দেখছে। নিজেকে দেখে একটা তৃপ্তির হাসি দিল তারা তারপর বলল,,,

তারাঃ এবার আমাকে পুরোই শবনমের মতো লাগছে। AR চাইলেও চোখ সরাতে পারবে না। আমি আসছি AR.

বলেই হাতে ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল তারা।

তারা রাতে ছবি গুলোতে শবনম কি রকম ড্রেস আপ করতো সেটা খেয়াল করেছিল। তাই আজকে ও পুরোই শবনমের মতো করে রেডি হয়েছে।

The Mount Hill City College….

গাড়ি পার্ক করেই আধার ভিতরে যাচ্ছিল। হঠাৎ সামনে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে গেল ও। পা দুটো আর এগোতে চাইছে না আধারের। বুকের বা পাশটায় আবার আগের মতো সেই অনুভূতি টা অনুভব করছে ও। চোখের পাতা নরছে না আধারের।

আধারের এরকম চাহনিতে খানিকটা লজ্জা পেল তারা। তারপর ধীর পায়ে আধারের সামনে এসে দাঁড়ালো তারা।

আধারের এখনো কোন রেসপন্স নেই। ও এখনো এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে তারার দিকে।

তারা আধারের সামনে চুটকি বাজাতেই ওর ধ্যান ভাঙে।

তারাঃ কেমন লাগছে আমাকে AR? আই নো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে তাই না এজন্যই তো আপনি এভাবে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলেন। ??

তারার কথায় আধার ওর দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে জোরে জোরে হেসে দেয়।

আধারকে হাসতে দেখে তারা বেকুব বনে গেল।

তারাঃ আপনি হাসছেন কেন?? ?

আধার নিজের হাসি কন্ট্রোল করে তারাকে বলল।

আধারঃ সিরিয়াসলি তারা ইউ থিঙ্ক তোমাকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে তাই আমি তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ?

তারাঃ অফকর্স?

আধারঃ নো ওয়ে তারা। আমি এটা বুঝার চেষ্টা করছিলাম যে তুমি কেন আমার শবনমের মতো ড্রেস আপ করেছো। তুমি হয়তো ভাবছো ওর মতো সাজলে আমি তোমাকে ভালোবাসবো!! ইউ আর রং তারা। তুমি যত‌ই চেষ্টা করো না কেন আমার শবনমের মতো হতে পারবে না।

কারন আকাশে তারা অনেক থাকে কিন্তু শবনম!! শবনম একটাই হয়।

আধার কথা গুলো বলেই এক সাইড হয়ে চলে যায়।

তারার অনেক কান্না আসছে।

তারাঃ আমিতো জাস্ট আপনাকে খুশি করতে চেয়েছিলাম AR. ভেবেছিলাম আপনি হয়তো আমার মাঝে নিজের শবনমকে খুঁজবেন। আমি কারো মতো হতে চাই না কারন আমি আমার মতোই।( মন খারাপ করে)

তো কি হয়েছে প্লান A ফ্লপ হয়েছে প্লান B তো এখনো বাকি আছে ?( দুষ্টু হেসে)

To be continued……

#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_22

তারা আনমনে নেক্সট প্লানের কথা ভাবছে। আধার কিছু দূর গিয়ে আবার পেছনে ফিরে তাকালো তারার দিকে। ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি ফুঁটে উঠলো ওর।

আধারঃ আই নো তারা কিছুটা হলেও তোমার নিজের অতীত মনে পরছে। আ’ম স্যরি,, জানি তুমি হয়তো হার্ট হচ্ছো আমার এরকম এভয়েড করায়। কিন্তু কি করবো বলো,,, কথায় আছে…. ” To achieve anything we have to lose something ”

তোমাকে সব মনে করানোর জন্য আমার কাছে আর কোনো উপায় নেই। তাছাড়া কাইফ বুঝে উঠেছে যে তুমি ফিরে এসেছো। ও তোমার ক্ষতি করতে চাইবে কিন্তু তার আগে আমি ওকে খুঁজে শেষ করে দিবো।

আধার তারার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবলো। আধার অনুভব করছে কেউ ওর সাথে মাইন্ড কানেকশন করতে চাইছে।

আধার চোখ বন্ধ করে ফেলল,,,

আধারঃ বল?

কেউ একজন আধারের সাথে মাইন্ড কানেক্ট করে কথা বলছে।

After some hours…..

নিজের কেবিনে বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিলো আধার। হঠাৎ বাইরে থেকে অনেক শোর গোলের আওয়াজ শুনতে পেল ও।

আধার ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে নেয়।

আধারঃ বাইরে থেকে কিসের আওয়াজ আসছে। কিছু হলো নাকি??

আধার উঠে করিডোরে চলে আসে। কলেজ গ্রাউন্ডে সবাই হৈচৈ করছে। কেউ একজন কলেজের রুফ টপে দাঁড়িয়ে আছে তাকে নামানোর জন্য সবাই হৈচৈ করছে।

আধার খেয়াল করে শোনার চেষ্টা করছে যে সবাই কার নাম ধরে চেঁচাচ্ছে। ভীরের মাঝে দিয়া জোরে জোরে চেঁচিয়ে ডাকছে।

দিয়াঃ তারা কি করছিস নাম ওখান থেকে। পাগল হলি নাকি পরে যাবি তারাআআ,,,

তারার নাম শুনতেই আধারের চেহারায় ভয়ের রেখা ফুটে ওঠে। আধার হন্তদন্ত করে দৌড়ে নিচে নেমে আসে।

ভীর ঠেলে ভীতরে ঠুকতেই যা দেখলো ফুল টাস্কি খেয়ে খেল আধার। ও হাসবে না কাঁদবে না রাগ করবে বুঝতে পারছে না। এমন কিছু আধার নিজের কল্পনাতেও এক্সপেক্ট করে নি।

তারা কলেজের সব চেয়ে উঁচু রুফ টপে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটা কোকাকোলা ক্যান।

তারা উপরে দাঁড়িয়ে আছে আর সবাই ওকে নামার জন্য বলছে। ছাদের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছে তারা তাই কেউ উপরেও যেতে পারছে না।

আধারকে দেখেই তারা ওর ড্রামা শুরু করে দেয়। ?

তারাঃ শুনো কলেজবাসি আমি বাসান্তী ( কি বকোয়াস বকছিস ?) থুক্কু থুক্কু তারা আহমেদ। আজকে আমি এখান থেকে লাফ দিয়ে সুইসাইড করবোওও ?

আর আমার সুইসাইড করার পেছনে একমাত্র কারন হচ্ছে ওইইইই AR উরফে এই কলেজের ট্রাস্টি আধার রেজওয়ান। ( আধারকে ইশারা করে)

তারার কথায় সবার নজর তারা থেকে সরে আধারের উপর সিফ্ট হয়ে যায়। আধার সবার চাহনিতে আনকমফরটেবল ফিল করছে। সবাই এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন আধারকে না কোন এলিয়েনকে দেখছে।

অনেকে কানাকানি করে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে।

আধার এসব পরোয়া না করে উপরে তারার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল।

আধারঃ এসব কি তারা। কিসব বাজে বকছো তুমি। আর এরকম ড্রামা করার মানে কি। চুপচাপ নিচে নেমে আসো আই সেইড। ?

আধারের কথায় তারা ভ্যা ভ্যা করে কান্না করে দেয় তারপর পা ভাঁজ করে বসে পরে। এক ঢোক কোকাকোলা খেয়ে তারা আবার বলতে শুরু করে।

তারাঃ দেখেছেন আপনারা আমাকে কি ভাবে আপনাদের সামনেও ধমকাচ্ছে ?

প্রিন্সিঃ নিচে নেমে আসো তারা। নিচে এসে কি হয়েছে আধার কি করেছে আমাদের বলো আমরা প্রবলেম সল্ফ করে দিব।

তারাঃ নোও স্যার আমি নিচে নামবো না আমি সুইসাইড করবোওও।

তারার শরীর কাঁপছে ভয়ে। ও এমনেই হাইটকে ভয় পায় তাও আজকে অনেক সাহস করে উপরে উঠেছে শুধু আধারের জন্য।

নিচে তাকাতেই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে উঠছে ওর। পা তো অনবরত কাঁপতেই আছে। কিন্তু কাউকে ব্যপার টা বুঝতে দিচ্ছে না তারা।

আধারঃ চুপ চাপ নিচে আসো তারা পরে যাবে। আমি উপরে আসলে কিন্তু ভালো হবে না। ( ধমক দিয়ে)

তারাঃ আপনি ছাদের উপরে আসার আগেই আমি আকাশের উপরে চলে যাবো। মানে সুইসাইড করে ইন্না লিল্লাহ হয়ে যাবো। ( এক্টিং করে কান্না করে)

প্রিন্সিঃ আধার প্লিজ তুমি উল্টা পাল্টা কিছু করো না। এতে হিতের বিপরীত হতে পারে। আচ্ছা তুমি এমন কি করেছো যে তারা তোমাকে ব্লেম করছে।

আধারের রেগে প্রিন্সির দিকে তাকিয়ে বলল।

আধারঃ আমি কি করে জানবো কি হয়েছে। ওকেই জিজ্ঞেস করুন ও কেন আমার দোষ দিচ্ছে।

আধারের ধমকে প্রিন্সি কিছুটা ভয় পেলেন তাই ওকে আর কোন প্রশ্ন করলেন না।

প্রিন্সিঃ আধার এমন কি করেছে তারা যে তুমি এমন স্টেপ নিচ্ছ। আমাদের বল আমরা আধারকে বোঝাবো।

তারাঃ এইতো সুযোগ পেয়েছি‌। এতক্ষন এই প্রশ্নের অপেক্ষাতেই ছিলাম। শুরু হয়ে যা তারা? ( মনে মনে)

তারা ক্যান টা হাত থেকে রেখে নাক টেনে টেনে বলতে শুরু করল।

তারাঃ তাহলে শুনেন স্যার আমার দুঃখের কাহিনী….

আধার স্যার এতো দিন আমার সাথে ভালোবাসার নাটক করেছেন। উনি বলতেন যে আমাকে ছাড়া উনি নিঃশ্বাস ও নিতে পারবেন না। আমাকে উনি অনেক অনেক অনেক অনেক বেশি ভালোবাসেন।

তারার কথায় সবাই অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আধার শুধু শুনছে তারা কি বলছে। প্রিন্সিপাল আধারের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আবার বললেন,,,

প্রিন্সিঃ তারপর??

তারাঃ তারপর আমার সাথে রিলেশনে আসেন। এতোদিনে আমিও উনাকে অন্নেক ভালোবেসে ফেলি। কিন্তু এখন উনি বলছেন উনি আমাকে আর ভালোবাসেন না। ব্রেক‌আপ করতে চানন। ?

এখন আমি কি করবো বলেন?? আপনি কলেজের যে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন যে AR আমার প্রতি বেশি কেয়ার করতো কিনা। আমাকে সবার থেকে বেশি প্রায়োরিটি দিতেন কিনা। ইভেন গত রাতের কাপেল কম্পিটিশনেও এতো মেয়ে থাকতে উনি আমাকেই উনার পার্টনার বানিয়েছেন। এতে প্রমান হয় যে আমাদের মাঝে সামথিং সামথিং অনেকথিং ছিল।

তারার কথায় একটা মেয়ে বলে উঠলো,,,

>>> আমি AR কে তারার সাথে ক্যান্টিনে বসে খাবার খেতে দেখেছি।

আরেকজনঃ হুম দেখেই বোঝা যেত এনাদের মাঝে কিছু চলছে।

প্রিন্সিপাল সবার কথা শুনে সবাইকে চুপ করিয়ে দেন।

প্রিন্সিঃ সব তো বুঝলাম তারা। এখন তুমি বল কি বলতে চাইছো তুমি। আধার কি তোমার কাছে ক্ষমা চাইবে??

তারাঃ নো নো নোও ক্ষমা না AR এখানে সবার সামনে আমাকে I Love Youuuu Tara বলবেন।আর স্বীকার করবেন যে আমার সাথে ব্রেক‌আপ করবেন না।

আধারঃ হোয়াটটট!!! নেভার আমি এরকম কিছুই বলবো না। ?

তারাঃ তাহলেই আমিও নিচে নামবো না। আমি আজকে এখন এই মুহুর্তে এখান থেকে লাফ দিয়ে সুইসাইড করবো। ( পা বাড়িয়ে)

সবাই জোরে চিৎকার করে না করছে তারাকে। আধারের ও একটু একটু ভয় করছে যদি পা পিছলে পরে যায়।

প্রিন্সিঃ কাম অন আধার এরকম করছো কেন। তোমার জন্য মেয়েটা কতকিছু করছে। কতটা ভালোবাসে তোমাকে। ওকে এভাবে কষ্ট দিও না সে হার যেটা ও বলছে।

তারা অধীর আগ্রহের সাথে আধারের দিকে তাকিয়ে আছে।

তারাঃ আরে এয়ার সবাই মিলে এই পাগলুটাকে বোঝাও না। আর বেশিক্ষণ এখানে থাকলে আমি এমনিতেই ভয়ে মরে যাবো। কি উচা রে বাবা পরলে একটা হাড় ও জোড়ায় থাকবে না সব কচকচ করে ভেঙে যাবে।?

সবাই আধারকে বোঝাচ্ছে। সবার জোরাজোরিতে আর নিজের জেদে বলবত থাকতে পারলো না আধার।

অবশেষে তারার কাছে ওর হার মানতেই হলো।

আধারঃ ওকেইইই,,,, তারা প্লিজ নিচে নেমে আসো। তুমি যেটা বলবে সেটাই হবে। (দাঁতে দাঁত চেপে)

তারাঃ নো নো নোও আগে ওই তিনটা ম্যাজিকেল ওয়ার্ড বলেন দেন নামবো।??

আধার জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে রাগটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। তারপর এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলল ও।

আধারঃ আ আই ল লাভ ইইউউউ তারা,,,

তারাঃ আমি এক্ষুনি আসছি জানুউউউ ??

তারা দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে যায়।

আধারঃ তুমি আসো নিচে দেন তোমাকে মজা বোঝাচ্ছি। সবার কাছে আমার প্রেস্টিজ এর চুরমা বানানোর শাস্তি তো পেতেই হবে মেরি জানননননন ?

To be continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here