Our_Unknown_Love_Story(2),25,26 last

0
1425

#Our_Unknown_Love_Story(2),25,26 last
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_25

রিয়ন আঁধারের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ওর পাশেই মাহিরা। ভয়ে মাহিরার হাত পা কাঁপছে।

আঁধার রেগে হুঙ্কার দিয়ে বড় আয়নার শোকেজ টা ফেলে দিল। ভেঙে চুরমার হয়ে গেল আয়নাটা।

ভাঙা কাচের টুকরো গুলোতে আঁধারের ভয়ঙ্কর রুপ দেখতে পাচ্ছে মাহিরা।

আঁধারঃ তুমি থাকতে এতো বড় দুঃসাহস কিভাবে হলো রিয়ননন( চিৎকার করে)

আঁধারের চিৎকারে রিয়নের আত্মা কেঁপে উঠলো। ভয়ে ভয়ে কাঁপা কন্ঠে বলল রিয়ন।

রিয়নঃ জ জানি না কিং,,, আমি কড়া পাহারায় ক্রিস্টাল নাইফ টা ওখানে রেখেছিলাম। কিন্তু কিভাবে আর কখন ওটা চুরি হয়ে গেল আমি সেটাই বুঝতে পারছি না।

আঁধার কড়া দৃষ্টিতে মাহিরার দিকে তাকালো। মাহিরার তো ভয়ে জান বেরিয়ে যাচ্ছে।

আঁধার এক ঝটকায় মাহিরার কাছে গিয়ে ওর গলায় ধারালো নক চেপে ধরে। মাহিরার গলায় নকটা ডেবে গিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু হয়।

মাহিরা ব্যথায় “আহহহ” করে উঠলো। চোখ দিয়ে পানি পরছে ওর।

আঁধারঃ এখনো সময় আছে মাহিরা সত্যিটা বলে দাও। তুমি শবনমের প্রতি আমার পাগলামো ভালোবাসা দেখেছো। কিন্তু তাকে সেফ করার জন্য আমার ভালোবাসা কতটা হিংস্র হতে পারে তা দেখো নি।

কথাটা বলতে আঁধারের চোখ টকটকে লাল রঙের ধারন করে ফেলেছে। নকটা আরো জোরে ডাবিয়ে দিল ও মাহিরার ঘারে।

মাহিরা আর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার দিয়ে উঠে তারপর বলে,,,,

মাহিরাঃ ব বল বলছি স সব সত্যি বলছি আঁধার। বাট প্লিজ লিভ মি আ আই কান্ট টলোরেট ইট। (অনেক কষ্টে বলল মাহিরা)

আঁধার মাহিরার কথায় ওকে ধাক্কা মেরে দুরে সরিয়ে দেয় তারপর বলে,,,

আঁধারঃ জাস্ট স্পিক আপ ফাস্ট।

এইদিকে,,,,

চারো দিকে নিস্তব্ধতা অন্ধকার। জঙ্গলের মাঝখানে অনেক গুলো মশাল জ্বলছে। একটা খোলা যায়গায় বিশাল বড় পাত্রে পানি জমানো। পানিতে পূর্ণ চাঁদ টা স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। পাশের একটা গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে তারাকে।

অনেক গুলো ওয়ের‌ওল্ফ মিলে আস্তানার চারোদিকে পাহারা দিচ্ছে।

তারা বুঝতে পারছে এখানে ওকে বলি দেওয়ার প্লানিং চলছে। তারপরেও তারার মনে ভয়ের “ভ” টাও নেই,,, ওতো নিজেকে শবনমের সাথে কম্পের করতে ব্যস্ত।

তারাঃ আমি জানি এ.আর থাকতে এই পশু গুলো আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে উনার উপর। এ.আর সেদিন বলেছিল ভালোবাসায় সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট থিঙ্ক হচ্ছে বিশ্বাস আর আমি আমার এ.আর কে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি। উনি ঠিক‌ই আমাকে খুঁজে বের করে এখান থেকে নিয়ে যাবে‌ন

আমিতো শুধু এইটা ভাবছি এই কাইফের বাচ্চা আমার পিছনে পরলো কেন। ও ভাবে আমিই শবনম। আচ্ছা এই গাধাটা এতো টুকু বুঝে না আমি যদি শবনম হতাম তাহলে এতক্ষনে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করতাম।

এ.আর এর কথায় এটা স্পষ্ট ছিল যে ওনার শবনম অনেক ভীতু ছিল। বাট আমি তো একদম ভীতু না। এই যে কত সাহস নিয়ে এই বাধা অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে আছি।??( মনে মনে) আচ্ছা আমি কি সত্যিই শবনম??? এই কাইফ কি সত্যি ভাবছে। যদি এমনটা হয় তাহলে আমাকে নিয়ে তো থিসিস লেখা উচিত ? থিসিস এর হেডলাইন হবে ” পুনর জনম নিয়ে ফিরে আসলো শবনম তারা রূপে”

বাহ তারা তোর তো জার্নালিস্ট না হয়ে থিসিস রাইটার হ‌ওয়া উচিত ছিল। আ’ম সো জিনিয়াস প্রাউড অফ ইউ তারা ??

এভাবে আকাশ কুসুম ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কাইফ তারার সামনে চলে আসলো।

হঠাৎ এমন হওয়ায় তারা চমকে উঠলো। এতক্ষণ ভয় না লাগলেও এখন বেশ ভয় করছে ওর। কাইফকে দেখলেই সব সাহস কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়।

কাইফ কয়েকজন কে ইশারায় বললে তারা এগিয়ে এসে তারার বাঁধন খুলে ওর হাত ধরে।

তারা বুঝতে পারছে না এরা কি করতে চাচ্ছে।

তারাঃ ক কি করছেন ছ ছাড়েন আমার হাত।( চিল্লিয়ে)

ওয়ের‌ওল্ফ গুলো ছাড়ার বদলে তারার হাত আরো জোরে ধরলো। তারা এবার কাইফের দিকে তাকিয়ে বলল,,,

তারাঃ এইযে মি. কাইফ না নাইফ যাই হন না কেন আপনার এই পশু পাখি দের বলেন আমিকে ছাড়তে আর দূরত্ব বজায় রাখতে।

কাইফঃ এদের দুরত্ব বজাতে হবে না কারণ কিছুক্ষন পর তুমিই অনেক দুরত্বে হারিয়ে যাবে( with devil smile )

তারা ভয়ে ঢোক গিলল কয়েকটা। কাঁপাকাপা কন্ঠে বলল ও।

তারাঃ ম মানে??

কাইফঃ নিয়ে আসো ওকে,,, ( হুকুম দিয়ে)

কাইফের হুকুমে ওরা তারাকে ওই পানি ভরা পাত্রের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।

তারাঃ আরেহ কি করছেন ছাড়েন আই সেইড লিভ মি।

তারা এক নাগাড়ে চেঁচিয়েই যাচ্ছে তাও কোন কাজ হচ্ছে না।

নেকড়ে গুলো তারাকে ধরে সেই পানি ভরা পাত্রের সামনে নিয়ে আসলো। পাত্রে চাঁদের সাথে তারার অবয়ব‌ও দেখা যাচ্ছে।

কি হতে চলেছে কিছুই বুঝতে পারছে না তারা। মনে মনে শুধু আঁধারের নাম নিচ্ছে ও।

To be continued…..

#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_26 ( Last Part )

ওয়ের‌ওল্ফ গুলো তারাকে টেনে পানি ভরা পাত্রের সামনে নিয়ে গেল।

পানিতে চাঁদের আলোর প্রতিফলন হচ্ছে। তারার অবয়ব পানিতে পরতেই পানির রং বদলাতে শুরু করে। তারা তাজ্জব হয়ে ব্যাপারটা লক্ষ করছে। পানির রং পরিবর্তন হয়ে নীলচে হয়ে যাচ্ছে।

পানির দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে কাইফ বলতে শুরু করল,,,,

কাইফঃ তুমি জানো শবনম এই পানিতে তোমার অবয়ব পরতেই পানির রং কেন নীলচে হচ্ছে??

তারা প্রশ্নবোধক চাহনিতে কাইফের দিকে তাকালো।

কাইফঃ কারন একটাই আর সেটা হচ্ছে ক্রিস্টাল নাইফ……

পঁচিশ বছর আগে আমি তোমাকে ক্রিস্টাল নাইফ দিয়ে মেরেছিলাম। ভাগ্যক্রমে সেদিন ফুল মুন ছিল তাই ক্রিস্টাল নাইফ এর সব পাওয়ার তোমার মাঝে সঞ্চয় হয়ে গিয়েছিল।

আর পঁচিশ বছর পর আজকেও ফুল মুন। এই পানিতে চাঁদের শক্তি আমি সঞ্চয় করেছি। এখন তোমার অবয়বের শক্তিও এখানে যোগ হয়ে গেছে। তোমার মাঝে ক্রিস্টাল নাইফ এর অর্ধেক পাওয়ার আছে আর বাকি অর্ধেক আমার কাছে। ( ক্রিস্টাল নাইফ এর অর্ধেক অংশ দেখিয়ে)।

মাহিরা ক্রিস্টাল নাইফ চুরি করে কাইফকে দিয়ে দিয়েছিল।

কাইফ আবার বলতে শুরু করে,,,,

কাইফঃ আমি ক্রিস্টাল নাইফ এর এই অংশটা এই নীলচে পানিতে ডুবিয়ে এর মাঝে সব শক্তি সঞ্চার করবো।

তারপর এই নাইফ দিয়ে তোমাকে শেষ করবো। এতে আমার শক্তিশালী হ‌ওয়ার সপ্ন ও পুরন হবে আর আঁধারের কাছ থেকে আমার প্রতিশোধ ও।

কথা গুলো বলেই কাইফ হাসতে শুরু করল।

তারা ভয়ে ঢোক গিলছে। কাইফ তারার দিকে তাকিয়ে চোয়াল শক্ত করে নাইফটা পানিতে ডুবিয়ে দিল। আকস্মিক ভাবে পানির রং নীলচে থেকে কালো হয়ে গেল। এমন লাগছে ক্রিস্টাল নাইফ টা সব নীলচে রং ‌শুষে নিয়ে পানিটাকে কালো করে দিচ্ছে।

পানির গতি নরছে। কয়েকটা পানির ছিটা এসে তারার চেহারাতে পরে। তারা তাকিয়ে আছে পানিটার দিকে। অনেক কিছুই ঝাপসা ভাসছে ওর চোখে। হঠাৎ স্মৃতি থেকে কুয়াশা সরে গিয়ে অতীতটা স্পষ্ট হচ্ছে। বুক কেঁপে উঠছে তারার। সব অতীত মনে ভীর করছে এক এক করে।

তারাঃ I I remember…. I remember everything Aadhar….. আমার আঁধার আর #Our_Unknown_Love_Story সব মনে পরছে আমার।

আ আমি কি করে ভুলে গেলাম ওকে হাওওও। আমাকে আমার আঁধারের কাছে যেতে হবে যে কোন মূল্যে। ( মনে মনে ভাবছে)

সবার ধ্যান পানিতে ডুবানো ক্রিস্টাল নাইফ টার দিকে। তারা এই সুযোগে এক পা দু পা করে পিছিয়ে যেতে শুরু করে।

তারাঃ যেভাবেই হোক আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে।আমি আসছি আঁধার!! আসছি তোমার কাছে,,,, এদের সবার খেয়াল অন্যদিকে এটাই সুযোগ,,, রান তারা রানননন,,,,

তারা পেছন ফিরে দৌড়ে জঙ্গলের দিকে ছুট লাগালো,,,

হঠাৎ পেছনে পাতার খচখচ শব্দে ফিরে তাকালো কাইফ। তারাকে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে যেতে দেখে গর্জিয়ে উঠে ও।

কাইফঃ পালিয়ে যাচ্ছে ও ধরো ওকে,,,

সবাই কাইফের কথায় তারার পিছনে ছুট লাগায়। কাইফ ক্রিস্টাল নাইফ পানি থেকে তুলে দ্রুত তারার পিছনে যায়।

তারা দৌড়াচ্ছে আর ওর পিছনে কাইফ ও তার দল। তারাকে ধরতে না পেরে কাইফ একটা ওয়ের‌ওল্ফ এর কাছ থেকে ধারালো তলোয়ার নিয়ে তারার দিকে মারলো। তলোয়ারটা তারার শরীরের না লেগে পাশের গাছে গিয়ে আটকে যায়।

হঠাৎ কিছু একটায় হোঁচট খেয়ে তারা উবু হয়ে পরে গেল মাথাটা একটা একটা ইটের কোনায় লেগে হালকা কেটে গেছে ওর,,,

তারাঃ আহহহ,,,,

কাইফ আর তার দল থেমে গেল তারাকে পরে যেতে দেখে।

কাইফঃ আমার কাছ থেকে রেহাই পাওয়া এতো সহজ নয় শবনম। Now get ready for die… শেষ বারের মতো আঁধারের চেহারাটা মনে করে নাও,,,,

কাইফ ক্রিস্টাল নাইফ নিয়ে এগিয়ে আসছে তারার দিকে আর তারা পিছাচ্ছে,,,

তারাঃ আ আঁধার কোথায় তুমি? I need you!!

কাইফ তারার উপর ছুড়ি চালাতেই তারা এক হাত দিয়ে নিজের চেহারা ঢেকে নুইয়ে যায়। হঠাৎ ঝড়ের গতিতে কেউ এসে তারাকে সরিয়ে নিল ওখান থেকে।

হঠাৎ এমন হওয়ায় তারা চমকে গেছে। কেউ ওকে জড়িয়ে ধরে আছে। তার গায়ের গন্ধটা অনেক পরিচিত তারার কাছে।

তারা চোখ খুলতেই আঁধারকে ওর সামনে দেখতে পায়।

ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি ফুঁটে উঠে তারার।

তারা জোরে জড়িয়ে ধরে আঁধারকে তারপর কান্না করতে করতে বলে,,,

তারাঃ আমার সব মনে পরে গেছে আঁধার। আ আমিই তোমার শবনম।

আ আ’ম স্যরি আঁধার আ আমি তোমাকে কিভাবে ভুলে গেলাম। আমিতো কথা দিয়েছিলাম তোমাকে আমি আমার কথা রাখতে পারি নি। ?

আঁধার তারাকে সোজা করে দাড় করিয়ে ওর দু গালে আলতো করে হাত রেখে বলে।

আঁধারঃ হুঁশশশ মেরি জান। প্লিজ ডোন্ট ক্রাই,,, তুমি জানো তোমার চোখে আমি পানি সহ্য করতে পারি না। এ চোখে পানি না আমার জন্য ভালোবাসা মানায়,,,,

তারাঃ আ আ’ম স্যরি আমি….

আঁধার তারাকে চুপ করিয়ে বলে,,,

আঁধারঃ আমার কোন অভিযোগ নেই জান। ভালোবাসি তোমায় আর ভালোবাসায় কখনো কারো প্রতি অভিযোগ থাকে না।

আঁধারের কথা শুনে তারা ওকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,

তারাঃ আই লাভ ইউ,,,

আঁধার তারার কথা শুনে হালকা হেসে বলল।

আঁধারঃ আই লাভ ইউ টু মেরি জান।

তারা সরে এলো আঁধার থেকে। হঠাৎ আঁধার খেয়াল করলো তারার কপালের এক কোন থেকে রক্ত ঝরছে।

আঁধারের চোখে হিংস্রতা ফুটে উঠলো। রাগে ওর শরীর কাঁপছে। কাইফকে আজ কোন মতেই ছাড়বে না ও।

আঁধার তারার ক্ষত জায়গায় গভীর ভাবে ঠোঁট ছোয়ালো সাথে সাথে ক্ষতটা মিশে গেল।

আঁধারঃ তুমি এখানে থাকো মেরি জান আমি অসম্পূর্ণ কাজটা সম্পুর্ন করে আসছি,,,

ঝড়ের বেগে চলে গেল আঁধার ওখান থেকে। তারা বুঝতে পারছে আঁধার কোন অসম্পূর্ণ কাজের কথা বলছে,,,,

তারার হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়ায় কাইফ আর ওর দল চারোদিকে তারাকে খুঁজছে। এক এক করে কাইফের দলের সব ওয়ের‌ওল্ফ কে আঁধার আড়ালে নিয়ে শেষ করে দিল কাইফ টের‌ও পেল না।

হঠাৎ পেছনে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে পিছনে ফিরলো কাইফ। আঁধার দাঁড়িয়ে আছে চেহারায় হিংস্রতার ছাপ।

আঁধারকে দেখে করেকটা ঢোক গিলল কাইফ।

কাইফঃ দ দেখ আঁধার আমার কাছে ক্রিস্টাল নাইফ এর পাওয়ার আছে। তুমি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আজকে আমার হাতে তোমার শেষ নিশ্চিত।

কাইফের কথায় আঁধার জোরে জোরে হাসতে শুরু করল।

কাইফ বুঝতে পারছে না আঁধারের হাসির রহস্য।

আঁধারঃ সিরিয়াসলি কাইফ ইউ থিঙ্ক কি আমি তোমার এসব কথা শুনে ভয় পেয়ে যাবো। হাও ফানি,,, আমি আঁধার!! আঁধার রেজওয়ান কাউকে পরয়া করে না আর না কোন কিছুকে ভয় পায়।

চলো আজকে দেখা যাক কার পাওয়ার বেশি। তোমার কাছে শক্তিশালী ক্রিস্টাল নাইফ আর আমি খালি হাত।

দেখি কে বাঁচে আর কার জীবনের সমাপ্তি ঘটে।আই প্রমিস আমি নিজ হাতে তোমাকে আঘাত করবো না। ( বাঁকা হেসে)

কাইফ এবার একটু জোর পেল। আসলেই আঁধার খালি হাতে আর ওর কাছে ক্রিস্টাল নাইফ আছে। এবার তাহলে ও আঁধারকে শেষ করতে সক্ষম হবে।

কাইফ নিজের ওয়ের‌ওল্ফ রুপে এসে আঁধারের উপর ঝাপ দিল। আঁধার ডান দিকে সরে গেল আর কাইফ স্বজোরে গাছের সাথে আঘাত পেল।

আঁধার দু হাত পকেটে ভরে মুচকি হাসছে। কাইফ রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে আবারো নাইফ উঠিয়ে ঝাপ দিল আর আঁধার এক‌ই ভাবে সরে গেল।

এমন কয়েকবার হতে হতে কাইফ গাছে বারি খেয়ে প্রায় রক্তাক্ত।

কাইফ এবার নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে হামলা করলো আঁধারের উপর। আঁধার এবার ঝড়ের গতিতে সরে গেল কাইফ সোজা গাছে লাগানো তলোয়ারের উপর পরলো। তলোয়ারটা একটু আগে ও তারার দিকে ছুরে মেরেছিল যেটা গাছে বেজে গিয়েছিল। তলোয়ারটা কাইফের এপার ওপার হয়ে গেছে।

শেষ নিঃশ্বাস ছেড়ে দিল কাইফ। আঁধার কাইফের সামনে এসে ওর হাত থেকে ক্রিস্টাল নাইফ টা নিয়ে নিল।

আঁধারঃ যত‌ই শক্তিশালী অস্ত্র হোক কি না আঁধারকে পরাজিত করা ইজ ইম্পসিবল,,, তোকে আমি কিছুই করবো না কারন তোর এই মরা লাশ কিছুক্ষণ বাদে তোর নিজের দলের নেকড়েরা ছিরে খুবরে খাবে।

আঁধার ওখান থেকে চলে যায়।

আঁধার চলে যেতেই কয়েকটা নেকড়ে এসে ঝাপিয়ে পরলো কাইফের লাশের উপর। খুবরে খেতে শুরু করল কাইফের লাশ।

In Vampire Kingdom…….

আঁধার নিজের মাথার তাজ খুলে রিয়নের হাতে দিয়ে দিল। ওর পাশেই তারা দাঁড়িয়ে আছে।

রিয়নঃ আপনি কি সত্যিই চলে যাচ্ছেন কিং??

আঁধারঃ হুম রিয়ন। এই ভ্যাম্পায়ার জীবন আমার জন্য না। আমি আমার শবনমের সাথে একটা নরমাল লাইফ লিড করতে চাই।

আঁধার তারার হাত শক্ত করে ধরে বলল।

আঁধারঃ আমি এইখানে থাকলে বারংবার আমার ভালোবাসার উপর বিপদ আসবে। কাইফ নেই কিন্তু মাহিরা আছে। যদি আমি মাহিরাকে শেষ‌ও করে দেই এর কোন গ্যারান্টি নেই যে আবার অন্য কেউ আমাদের ভালোবাসায় গ্রহণ লাগাতে আসবে না। আমি আর ওকে হারাতে পারবো না। আমার শুধু আমার শবনমের ভালোবাসা চাই এই রাজ্য এই পাওয়ার আমার চাই না।

আমি ওকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবো। যেখানে আমাদের অতীতের ছায়াও থাকবে না। আমি জানি তুমি আমার থেকেও বেশি ভালো করে এই রাজ্যের দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

রিয়নঃ আমি চেষ্টা করবো। I’ll try my best. ভালো থাকবেন,,,

আঁধারঃ তুমিও,,,

আঁধার বেরিয়ে গেল ওর শবনমের হাত ধরে এই হিংস্র নগরী থেকে। এক বারের জন্যও পিছনে ফিরে তাকায় নি ওরা।

তারাঃ আমরা এখন কোথায় যাবো আঁধার??

আঁধারঃ মেরি জান সবার আগে তোমার দাদুর কাছে যাবো। তার কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে তোমাকে আজীবনের জন্য নিজের করে নিব।

তারাঃ যদি দাদু তোমাকে রিজেক্ট করে দেয় ?

তারার কথা শুনে আঁধার ওকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নেয়। তারা টাল সামলাতে না পেরে আঁধারের কলার চেপে ধরে।

আঁধারঃ রিজেক্ট করে দিলে এভাবে তুলে নিয়ে আসবো,,,,?

দু’নো জনে হেসে দেয়।

পাঁচ বছর পর,,,,

ডায়েরী টা বন্ধ করে বারান্দায় চলে আসলো শবনম। বাইরে স্নো ফল হচ্ছে। বরফে রাস্তা উঁচু হয়ে গেছে। ভালোবাসার পাঁচটা বছর কেটে গেছে আজ। ভাবতেই বুকের ভিতর একটা অজানা অনুভূতি কাজ করছে ওর।

লন্ডনের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী এখন আঁধার। আর শবনম একটা সফল জার্নালিস্ট। কোন কিছুর কমতি নেই জীবনে। ভালোবাসায় পরিপূর্ণ সব কিছু।

হঠাৎ পিঠে কারো গরম নিশ্বাস অনুভব করলো ও। মুচকি হেসে চোখ বন্ধ করে ফেলল শবনম। আঁধার খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো পেছন থেকে শবনমকে।

আঁধারঃ কি ভাবছো মেরি জান,, ( স্লো ভয়েজে)

শবনম ঘুরে আঁধারের গলা জড়িয়ে ধরে বলে।

শবনমঃ তোমাকে ছাড়া কি কিছু ভাবনায় আসে আমার তোমাকেই ভাবছিলাম। I love you Aadhar.

আঁধারঃ I love you too my love….

I’m coming mummy….

দরজার দিকে একসাথে তাকালো আঁধার শবনম।পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম কাধে স্কুল ব্যাগ ।গোলুমোলু একটা ছোট্ট পিচ্চি দাঁড়িয়ে আছে। গোলাপি ঠোঁটে আঁধারের মতো মিষ্টি হাসি ওর।

পিচ্চিটা দৌড়ে এসে শবনমকে জড়িয়ে ধরলো।

সাহিরঃ Mammy I miss you so so so much. ( কিউট করে গাল ফুলিয়ে)

শবনমঃ Ooo I also miss you too my baby,, সাহিরের গাল টেনে।

আঁধার ওদের পাশে বসে গাল ফুলিয়ে বলল।

আঁধারঃ আমাকে কেউ মিস করে নি,,, no one loves me..

সাহিরঃ Sorry sorry Daddy আ আমি ত তুমাতে দেকি নি,,, ( ভাঙা বাংলায়)

সাহিরের কথায় শবনম আর আঁধার হেসে দিল। সাহিরের চার বছর। বাংলা তত একটা ভালো বলতে পারে না। শবনম আর আঁধারের মুখে শুনে একটু আকটু তুতলিয়ে বলার চেষ্টা করে। ওর মধ্যেও আঁধারের মতো কিছু পাওয়ার আছে। আঁধার আর শবনম এই পাওয়ার গুলো সবার আড়ালে লুকিয়ে রাখে যেন সাহিরের জীবনে কোন কমপ্লিকেশনস না হয়।

সাহিরঃ I also love u daddy…

আঁধার এক দিকে সাহিরকে আর অন্য দিকে শবনমকে জড়িয়ে ওদের কপালে চুমু দিয়ে বলল।

আঁধারঃ And I love you too…. You both are my hearts…. ??

The End…..

Finally Happy Ending…. ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here