Our_Unknown_Love_Story(2),Part_1,02

0
1660

#Our_Unknown_Love_Story(2),Part_1,02
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_1

In Vampire Kingdom,,,,

ভ্যাম্পায়ার কিং এর সিংহাসনের সামনে মাথা নিচু করে সব ভ্যাম্পায়াররা দুই সারিতে দাঁড়িয়ে আছে। ওদের সামনেই দুইজন Werewolf কে বেধে রাখা হয়েছে। আজকে ওদের মৃত্যু দন্ড দিবে ভ্যাম্পায়ার কিং।

>>> এদেরকেও কি কিং বাকীদের মতো ভয়ঙ্কর মৃত্যু দিবে??

>>> মনে তো হয় তাই। কিং এই পর্যন্ত কত শত Werewolf কে শেষ করেছেন কোন হিসেব নেই।

>>> কিং মনে হয় সমস্ত werewolf Kingdom ধ্বংস করে দিতে চান।

ভ্যাম্পায়ার কিং এর আগমনের সাথে সাথে সবাই চুপ হয়ে যায়।

কালো লং হুডি, মাথায় কিং এর তাজ, চোখে হিংস্রতা, চেহারায় রাগ। ভ্যাম্পায়ার কিং গিয়ে নিজের সিংহাসনে বসলেন।

প্রথম নেকড়েঃ এটা তুমি ঠিক করছো না আধার। ছেড়ে দাও আমাদের। আমরা তোমাকে কিং হিসেবে মানি না। ( চিৎকার করে)

ভ্যাম্পায়ার কিং আধার নিজের হিংস্র চাহনি দিয়ে নেকড়ে টার দিকে তাকালেন।

আধারঃ মানতে হবে না তোমাদের। একটা প্রশ্ন করবো যদি ওটার সঠিক উত্তর দাও তাহলে প্রানে বেঁচে যাবে। ( শান্ত গলায়)

দ্বিতীয় নেকড়েঃ কি প্রশ্ন?

আধারঃ তোমাদের কিং কাইফ কোথায়??

কাইফের নাম শুনে নেকড়ে দুটো একে অপরের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ভীতু গলায় বলল,,,

নেকড়েঃ জ জানি না আমরা ( ভয়ার্ত কন্ঠে)

আধার এক ঝটকায় নিজের সিংহাসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো।

আধারঃ ওদেরও একই অবস্থা করো যা বাকি নেকড়েদের করা হয়েছিলো। ( রেগে চিৎকার করে আদেশ করলো)

প্রহরীঃ জি যথা আজ্ঞা ( মাথা নিচু করে)

নেকড়েঃ না না আধার ছেড়ে দাও আমাদের আমরা সত্যিই কিছু জানি না। ক্ষমা করে দাও আমাদের। ( চিল্লিয়ে মিনতি করছে)

আধারঃ আমি আর সেই আগের আধার নই যার ভিতরে ভালোবাসা ছিলো মায়া ছিলো হৃদয় ছিলো যা প্রতিনিয়ত কারো জন্য স্পন্দিত হতো। সেই আধারকে তোমরা নিজের হাতে শেষ করে দিয়েছো। আ আমার ( গলা ধরে আসছে আধারের) শবনমকে আমার কাছ থেকে কেরে নিয়ে এই হিংস্র আধারের জন্ম দিয়েছো।( চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে)

Now I am the king of the vampire Kingdom. এই আধারের ভিতরে না আছে ভালোবাসা, না আছে মায়া ।এই আধার ক্ষমা করতে জানে না জানে শুধু শাস্তি দিতে। ( মুখ শক্ত করে)

তোমাদের কিংকে তো আমি খুঁজে বের করবোই আর নিজের হাতে তাকে শাস্তি দিবো এক ভয়াবহ শাস্তি ( চেহারায় হিংস্র ভাব এনে)

কিন্তু সেই শাস্তি দেখার জন্য তোমরা বেঁচে থাকবে না

কয়েকজন প্রহরী মিলে নেকড়ে দুটোকে টেনে নিয়ে একটা আগুনের কুণ্ডলী তে ছুরে মারলো। আগুনে ওদের দেহ ঝলসে যাচ্ছে ওরা বাঁচার জন্য চিৎকার করছে কিন্তু সেই চিৎকার আধারের কানে যাচ্ছে না। ওতো সেই আগুনে নিজের অতীতের ধ্বংস হয়ে যাওয়া অংশ টুকু দেখছে।

আধারঃ এই আগুনের মতো আমাকে হিংস্র করে দিলে তুমি কাইফ যে শুধু জ্বলতে আর জ্বালাতে পারে। যার জীবনে রাখ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। I will destroy you kayef. একবার শুধু তোমাকে খুঁজে পাই তোমাকে এমন ভয়াবহ মৃত্যু দিবো যে তোমার পূর্ব পুরুষদের আত্মা কেপে উঠবে। ( কড়া গলায়)

কথা গুলো বলে আধার ওখান থেকে চলে গেল।

❤❤❤

একটা অন্ধকার কক্ষ। কয়েকটা মোম বাতির আলোতে আবছা আলোকিত।

দেয়ালে একটা বড় ছবি টাঙ্গানো। ছবির নিচে লেখা,,, Aadhar Love’s Shabnam.

লেখাটাতে হাত বুলাচ্ছে আধার। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে চোখের পানি যেন বাধ মানছে না।

>>> আধারর!!

আরো ডাক শুনে পিছনে তাকালো আধার।

আধারঃ মাহিরা!! হঠাৎ এখানে???

মাহিরা আধারের সামনে এসে দাঁড়ালো।

মাহিরাঃ কেন আসতে পারি না??

আধার পিছনে ঘুরে দাঁড়ালো।

আধারঃ কেন এসেছো এটা বলো??

মাহিরা হুট করে আধারকে পেছন দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। আধার রেগে মাহিরাকে ছাড়িয়ে ধাক্কা মেরে দুরে সরিয়ে দিলো।

আধারঃ তোমার সাহস কি করে হয় এমন করার। নিজের সীমার মধ্যে থাকো মাহিরা। (রেগে চিল্লিয়ে)

মাহিরাঃ কেন আধার কেন এমন করছো আমার সাথে। ভালোবাসি আমি তোমায় কতবার বলবো। প্লিজ আধার আমার ভালোবাসা গ্ৰহন করে নাও।অনেক বেশী ভালোবাসি আমি তোমায়।( আধারের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে)

আধারঃ তোমার সাহস কি করে হয় এই শব্দটা উচ্চারণ করার। কতবার বলবো আমি শুধু শবনমকে ভালোবাসি। তোমার এই ফালতু ফিলিংস নিয়ে বের হয়ে যাও আমার রুম থেকে।( রেগে পাশের ভাসটা ছুরে মারলো।)

মাহিরাঃ আর কত আধার আর কত। পঁচিশ বছর ধরে একই কথা বলছো তুমি। তুমি নাহয় একা থাকলে but the kingdom. The kingdom needs a queen. এজন্যই বলছি আধার marry me and make me the queen of the kingdom.

শবনম মরে গেছে ও আর কখনো ফিরে আসবে না। তোমায় ওকে ভুলতে হবে ওকে নিজের হৃদয় থেকে ছুরে ফেলতে হবে। ওর যায়গাটা আমাকে দিতে হবে আধার।

আধার সাথে সাথে মাহিরার গলা চেপে ধরে। আধারের চোখ অসম্ভব লাল হয়ে গেছে। ঘারের রগ ফুলে ফেঁপে উঠেছে রাগের কারনে।

আধারঃ ওর যায়গা নেওয়ার কথা কল্পনাও করবে না। আমার সবটা জুড়ে শুধু শবনম ছিলো আছে আর থাকবে। একবার বলেছো আর কখনো একথা ভাবনাতেও আনবে না নাহলে আমার হিংস্রতা তোমাকে রেহাই দেবে না। ( বলেই ছেড়ে দিলো)

ও আমাকে কথা দিয়েছে আমাদের ভালোবাসা অসম্পূর্ণ থাকবে না। She will come to complete our #Incomplete_Love
#Our_Unknown_Love_Story আর আমি সারাজীবন ওর জন্য অপেক্ষা করবো। আর ওই হবে এই Kingdom এর queen.

আধারের ভালোবাসা এতো কমজোর না।ওকে আসতেই হবে আমার কাছে। আল্লাহ নিজেই ওকে আমার কাছে পাঠাবেন। আমি সেই দিনটির জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করতে রাজি।

আধার রুম থেকে বের হয়ে যায়।

মাহিরাঃ ওকে তো আসতে হবেই কিন্তু তোমার
#Incomplete_Love কে complete করতে না আমার উদ্দেশ্য সফল করতে। তোমাকে তো আমি নিজের করেই ছাড়বো। তোমাকে পাবার জন্যেই তো শবনমকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ছিলাম।
কিন্তু আফসোস তোমরা তা বুঝতে পারলে না। ফেসে গেলে আমার জালে। ( আধারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে)

To be continued……

#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_2

হাওয়ার বেগে ছুটছে আধার। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে জ‌ঙ্গলের মাঝে দৌড়াচ্ছে। ক্লান্ত হয়ে ওখানেই হাটু ভাজ করে বসে পরলো আধার। আকাশের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করতে শবনমের নাম ধরে ডাকতে লাগলো।

চারোদিকের নিরবতায় আধারের চিৎকার কোন হিংস্র প্রাণীর হুঙ্কারের মতো লাগছে।

আধারঃ কেন হলো এমন। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। আমরা তো আমাদের ছোট্ট দুনিয়ায় আমাদের ভালোবাসা নিয়ে সুখে ছিলাম। তাহলে কেন তোমাকে আমার কাছ থেকে কেরে নিলেন উনি। কেন করলে এমন আমার সাথে যদি ওকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ারই ছিলো তাহলে কেন ওকে আমার জীবনে পাঠালে। কেন নতুন করে বাঁচতে শিখিলে।

মরেই তো গিয়েছিলাম আমি তাহলে কেন সেদিন এই নতুন অস্তিত্ব দিয়ে আমাকে জীবিত করলে। কেন ওকে আর ওর ভালবাসাকে আমার অভ্যাসে পরিণত করলে। কেন কেন কেন???

আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে কথা গুলো বলছে আধার। ওর চোখ দিয়ে অনবরত পানি গড়িয়ে পড়ছে।

প্লিজ ওকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন। আর পারছি না আমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি। এই হিংস্রতা আমাকে কুড়ে কূড়ে খাচ্ছে। I need her….. I need her love in my life. please God please.

Yeh dil tanha kyu rahe
Kyu hum tukro main jiye
Kyu rooh meri yeh sahe
Main aadhora ji rarahu
Hur dum yeh keh rarahu
Mujhe teri zaroorat hain
Mujhe teri zaroorat hain….. ( background music ?)

আধার উঠে দাঁড়িয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে নিজের পুরোনো বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ও। শবনমের মৃত্যুর পর একবারো এই বাড়িতে কদম রাখে নি আধার। আজ কেন জানি বাড়িটা ওকে অনেক টানছে। আস্তে আস্তে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায় আধার। পুরো বাড়ি জঙ্গলে পরিনত হয়েছে। গাছ পালা লতা পাতা দিয়ে ঘিরে গেছে। আধার বাগানের দিকে চলে যায়।

আধার গিয়ে Maple Bonsai Tree টার সামনে দাঁড়ালো। গাছের গায়ে লেখাটা ধুলো জমে অস্পষ্ট হয়ে গেছে। আধার আলতো করে লেখাটাতে হাত ছুইয়ে দিলো। সেদিন নিজ হাতে ও লিখেছিলো এটা Aadhar Love’s Shabnam. কিন্তু তখন আর আজকের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তখন ওর শবনম ওর পাশে ছিলো ওর কাছে ছিলো। কিন্তু আজ ও সম্পূর্ণ একা।

আধারঃ আমার অন্ধকার জীবনে আলোর দিশারী হয়ে এসেছিলে তুমি। আমার জীবনকে গুছিয়ে নতুন করে নিজের ভালবাসা দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিলে। সেই তুমিই চলে গিয়ে আবার আমার জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দিলে। অগোছালো করে দিলে আমার দুনিয়া। এই দুনিয়াতে এখন আমার আপন বলতে শুধু এই অন্ধকারই রয়ে গেছে। এটাই একমাত্র যে আমাকে কখনো একা ফেলে চলে যায়।

Andhero se tha mera rishta bada
Tune hi ujalo sai wakif kiya
Aabh lauta main hu inh andhero main phir
To paya hai khudko begana yaha
Tanhayi bhi mujhse khafa ho gayi
Banjaro ne bhi thukra diya…

Main aadhora ji rarahu hu
Khud par hi ek saza hu
Mujhe teri zaroorat hain
Mujhe teri zaroorat hain

আধারঃ কোথায় তুমি শবনম?? ( স্থির কন্ঠে ) আধার নিজের পকেটে হাত দিয়ে শবনমের গলার লকেটটা বের করলো। লকেটটাতে গভীর ভাবে ঠোঁট ছোয়ালো আধার।

আধারঃ যেখানেই থাকো প্লিজ তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আসো। কথা দিয়েছিলে তুমি ফিরে আসবে আর আমি জানি আমার শবনম কখনো নিজের কথার খিলাফ করে না। I’m waiting for you meri Jan. ( স্লো ভয়েজে)

এইদিকে,,,

পায়ের হিল জুতো গুলো খুলে হাতে নিয়ে নিলো। সামনের দেয়াল টপকে বাড়িতে প্রবেশ করবে মেয়েটি।

মেয়েটিঃ আল্লাহ প্লিজ এবার বাঁচিয়ে দাও প্রমিস নেক্সট টাইম আর এমন হবে না। ( চোখ বন্ধ করে)

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকে পরলো মেয়েটি। আশেপাশে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখছে কেউ আছে কিনা।

মেয়েটিঃ Thank God দাদু এখনো জেগে নেই ঘুমিয়ে গেছে। জেগে থাকলে বারোটা বাজিয়ে দিতেন। আমিও তারাতারি এখান কেটে পরি বলা যায় না কখন জেগে যান। ( ভয়ে মিন মিন করে বলল)

সিঁড়িতে পা রাখতেই কেউ পিছন থেকে ডাক দিলো।

>>> Tara stop there.

চোখ বন্ধ করে কান্না ভাব নিয়ে পিছনে ফিরলো তারা।

সামনে একজন বয়স্ক লোক দাঁড়িয়ে আছে গম্ভীর হয়ে।

( বাংলাদেশের বিশিষ্ট সমাজ সেবক এহসান আহমেদ। তার একমাত্র নাতনী তারা আহমেদ। তারার বাবা মা ছোট বেলাতেই কার এক্সিডেন্টে মারা গেছেন। ছোট বেলা থেকে অনেক আদর যত্নে বড় করে তুলেছেন তারাকে ইনি। আজ অবদি কোন আবদার অপূর্ণ রাখেন নি।)

( তারা আহমেদ। দাদুর আদরে বাদর নাতনি। স্টুডেন্ট অফ জার্নালিজম। বন্ধুদের সাথে লং ড্রাইভে গিয়েছিলো যার কারনে ফিরতে রাত হয়ে গেছে)

এহসান আহমেদঃ এটা সময় বাড়ীতে আসার। তুমি জানো আমি কতটা টেনশনে ছিলাম ??

তারাঃ স্যরি দাদু। আসলে কলেজের প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে করতে লেট হয়ে গেছে বুঝতে পারি নি। ( মাথা নিচু করে)

এহসান আহমেদঃ একটা কল করে বলে দিতে পারতে। You know না আমি সবসময় তোমাকে নিয়ে কতটা টেনশনে থাকি।

তারাঃ স্যরি ( বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উলটে)।

এহসান আহমেদঃ অনেক রাত হয়ে গেছে যাও নিজের রুমে যাও সকালে এই বিষয়ে কথা হবে।

এহসান আহমেদ কথা না বাড়িয়ে নিজের রুমে চলে যান। তারা অসহায় ভাবে তার যাওয়ার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে নিজের রুমে চলে আসে।

তারাঃ আজকে দাদু অনেক বেশী রেগে আছেন আল্লাহ মালুম কালকে কি হবে। কিন্তু ভূলটা আমারই আমার উচিত ছিল দাদুকে কল করে ইনফর্ম করে দেওয়া। দাদুতো আমাকে অনেক বেশী ভালোবাসে তাই একটু বেশীই চিন্তা করে। ( মন খারাপ করে)

But no worries দাদুর রাগ ভাঙ্গানো তারার কাছে ইন্সটেস্ট নুডলস রান্না করার মতো সহজ। just wait for the morning ??

এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই। ( বলেই ওয়াশরুমে চলে গেল।)

তারা ফ্রেশ হয়ে একটা গেঞ্জি আর প্লাজু পরে বের হয়। চুল মুছতে মুছতে মিররের সামনে এসে দাঁড়ায় ও। হঠাৎ হাত উপরে উঠানেই পেটের এক সাইডের চিহ্নটি ওর চোখে পরে।

হাত থেকে টাওয়েল টা রেখে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় তারা। গেঞ্জিটা এটু তুলে পেটের দাগটা দেখতে লাগলো ও। আগের থেকে বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দাগটা।

তারাঃ কিসের দাগ এটা। আম্মু বলতো এই দাগটা নাকি জন্ম থেকেই আমার সাথে আছে। কিন্তু এটা দেখে এমন লাগে যেন কেউ ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। ( দাগটায় হাত বুলাতে বুলাতে)

তারা গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালো। আশেপাশে অন্ধকার শুধু রাস্তায় ল্যাম্প পোষ্ট এর আলো জ্বলছে। দু হাত ভাজ করে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস নিলো তারা।

তারাঃ কেন এমন লাগে যেন কেউ আমাকে ডাকছে। অনেক আপন কেউ দূরে সরে আছে। প্রতিনিয়ত কারো অবয়ব চোখের সামনে ভেসে উঠে। যতবার বুকে হাত রাখি এমন লাগে হার্টবিট যেন বারবার কারো নাম নিচ্ছে।

কে সে??? কোথায় আছে কেন আমি না চাইতেও তাকে মনে করি?? Who are you The Unknown Person ???

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here