Our_Unknown_Love_Story,33,34 last part

0
1468

#Our_Unknown_Love_Story,33,34 last part
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_33

কলটা কেটে আসিফ চিন্তায় পড়ে গেছে।

আসিফঃ এভাবে কাওকে Cristal Knife দেওয়া ঠিক হবে না। এটা কোন সাধারণ অস্ত্র না আর এই লোকটাইবা কেন ক্রিস্টাল নাইফ চাইবে। এটা তো শুধু ভ্যাম্পায়ার আর নেকড়েদের কাজে আসবে। কিন্তু লোকটা যে বলল আমার মেয়ে ওর কাছে। উফফ আর ভেবে পাচ্ছি না (মাথা চেপে সোফায় বসে পরে)

হঠাৎ আসিফের চোখ শবনমের ছবির উপর যায়। আসিফ উঠে রুম থেকে বেরিয়ে ওর ল্যাবে চলে যায়। একটা কাচের গ্লাসের বড় বক্সে ছুরিটা রাখা।

আসিফ ছুরিটা হাতে নিয়ে বলল,,,

আসিফঃ আমি আমার মেয়েকে পাওয়ার জন্য সব করতে পারি। এর পরিনতি যাই হোক আমি প্রস্তুত।

In Werewolf Kingdom,,,,

নিজের সিংহাসনে বসে আছে কাইফ।

কাইফঃ আমি আমার জাল ফেলে দিয়েছি এখন এই জালে শুধু আধার না ওর জীবনের সাথে জড়িত সবাই ফেসে যাবে। ওই ক্রিস্টাল নাইফ দিয়ে আমি আধারের হৃদয়ে আঘাত করবো।আর এমন আঘাত করবো যে ও কাঁদতে ও ভুলে যাবে। (রেগে প্লাস চিল্লিয়ে)

সকালে,,,,

আধারের বুকে লেপ্টে বেঘোরে ঘুমিয়ে আছে শবনম।দোলনায় বসে তারা দেখতে দেখতে আধারের বুকেই ঘুমিয়ে পরেছে ও।

প্রতিদিনের মতো আজও আধার পলকহীন ভাবে তাকিয়ে ছিল শবনমের মায়াবী মুখটার দিকে।

চেহারায় আলো পরতেই ঘুম ভেঙ্গে যায় শবনমের। চোখ খুলে দেখে আধার প্রতিদিনের মতো ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

আধারঃ Good Morning meri Jan. (শবনমের কপালে কিস করে)

শবনমঃ মর্নিং ?

আধারঃ উঠে ফ্রেশ হয়ে আসো আমি তোমাকে ব্রেকফাস্ট করিয়ে দিবো।

শবনমঃ ওক্কেই (শবনম উঠে রুমে চলে যায়)

আধার উঠতে যাবে তখনই কানে কারো আওয়াজ ভেসে আসে।

আধার বুঝতে পারছে যে কেউ ওর সাথে কমিউনিকেট করার চেষ্টা করছে। আধার চোখ বন্ধ করতেই মাহিরার কন্ঠ শুনতে পায়।

মাহিরাঃ আধার আমাদের সামনে একটা বড় বিপদ অপেক্ষা করছে (ঘাবড়ে গিয়ে)

আধারঃ বিপদ কোন বিপদ এর কথা বলছো তুমি মাহিরা। (অনেকটা চিন্তিত হয়ে)

মাহিরাঃ তুমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে আসো আমি তোমাকে এভাবে সব বুঝিয়ে বলতে পারবো না। কাম ফাস্ট।

চোখ খুলে আধার বুঝার চেষ্টা করছে যে মাহিরা কোন বিপদের কথা বলতে চাইছে। টেনশনে কপালের রগ ফুলে গেছে ওর।

আধারঃ I have to go right now. কিন্তু শবনম,,, ওকে একা রেখে আমি কিভাবে যাবো।

আধার রুমে এসে দেখে শবনম রেডি হয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করছে। আধার শবনমের কাছে গিয়ে বলে,,

আধারঃ জান আমার একটা দরকারী কাজ আছে। মাহিরা এখনই যেতে বলছে।
কিন্তু তোমাকে একা রেখে আমি যেতে পারবো না।

শবনম আধারের কাছে এসে বলে,,

শবনমঃ আধার তুমি আমার চিন্তা করো না। আমি নিজের খেয়াল রাখতে পারবো তাছাড়া আমার ক্ষতি করার জন্য তো এখন ধ্রুব ও নেই so don’t worry.

আধারের মন কিছুতেই শবনমকে একা রেখে যেতে মানছে না। কিন্তু ওর যেতেই হবে কারন যদি এই বিপদ শবনমের উপর আসে। ওকে প্রটেক্ট করার জন্য আধারকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

আধারঃ ঠিক আছে কিন্তু তোমায় প্রমিস করতে হবে যে আমি না আসা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হবে না। আর নিজের খেয়াল রাখবে ।

‌শবনমঃ ওকে বাবা আই প্রমিস এখন যাও।

আধার দরজা অবধি যেতেই শবনম ওকে পিছন থেকে ডাক দেয়। আধার পিছনে ফিরতেই শবনম দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।

শবনমঃ I love you Aadhar please come back soon. (চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল ওর)

আধারের কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা হারাতে যাচ্ছে ও। শবনমকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরে আধার।

আধারঃ I love you too mari Jan.

শবনমঃ এখন যাও। (আধারকে ছেড়ে দিয়ে)

আধার বেড়িয়ে যায়। আজ আধার বারবার পেছনে তাকাচ্ছে। বুকটা কেমন জানি খালি খালি লাগছে ওর। চিৎকার করে কাঁদলে হয়তো হাল্কা ফিল হতো।

শবনম উপরের জানলায় দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে ইশারা করে বায় বলছে। আধার ওর দিকে একটু তাকিয়ে হাল্কা হাসি দিয়ে চলে যায়। আর এক বার ও পিছনে ফিরে দেখে নি ও। হয়তো নিজের চোখের পানি আড়াল করতে চাচ্ছে।

আধার চলে যেতেই শবনমের ফোনে মেসেজ আসে। শবনম মেসেজটা ওপেন করে দেখে আননোন নাম্বার থেকে কেউ মেসেজ করেছে।

মেসেজে লেখাঃ যদি নিজের বাবাকে সেফ দেখতে চাও তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডার্ক ফরেস্ট চলে আসো। আর হ্যাঁ আধারকে ইনফর্ম করার কথা চিন্তাও করবে না।

#King

শবনম মেসেজটা পরে অনেক ভয় পেয়ে যায়। আধারকে বলার জন্য ফোন হাতে নিতেই আবার মেসেজ আসে।

মেসেজঃ বলেছিনা আধারকে জানানোর চেষ্টাও করবে না। নাহলে এর পরিনতি অনেক খারাপ হবে। Come fast তোমার বাবা অপেক্ষা করছে।

#King

শবনম কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। শবনম আর কাছু না ভেবেই দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।

এইদিকে,,,

আসিফ ক্রিস্টাল নাইফ হাতে নিয়ে বসে আছে। মাথায় হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। লোকটা এই অস্ত্র দিয়ে কি করবে।

হঠাৎ আসিফের চোখ সেল্ফের একটা বইয়ের উপর যায়।

আসিফঃ আমার সব প্রশ্নের উত্তর এই বইয়ের মধ্যেই পাবো।

আসিফ বইটা বের করে একটা টেবিলে গিয়ে বসলো। খুঁজতে খুঁজতে 224 নাম্বার পেজে ও ক্রিস্টাল নাইফ এর সন্ধান পেলো।

আসিফঃ ক্রিস্টাল নাইফ কোন সাধারণ ছুরি বা অস্ত্র না। এটা দিয়ে যে কোন অমরত্ব মানুষ বা প্রানী কে সারাজীবন এর জন্য শেষ করা যায়। শুধু তাই নয়,,, যদি কোন মানুষ আহত হয় বা মারা যায় তাহলে তাকে ভ্যাম্পায়ার বানানো সম্ভব হয়। কারন মানুষকে ভ্যাম্পায়ার এ পরিণত করতে শরীর প্রয়োজন হয়। কিন্তু ক্রিস্টাল নাইফ দিয়ে কাউকে আঘাত করলে তাকে নতুন জীবন বা ভ্যাম্পায়ার এ পরিনত করা সম্ভব নয় কারণ আঘাতের কিছু সেকেন্ড পরেই আহত ব্যক্তির শরীর হাওয়ায় মিশে চিরকালের জন্য গায়েব হয়ে যায়।

আসিফ বইটা বন্ধ করে ভাবতে থাকে লোকটা কাকে শেষ করতে চায় কোন ভ্যাম্পায়ার নাকি নেকড়ে আর নাকি কোন মানুষ।

আসিফঃ আমি এই অস্ত্রটা ডার্ক ফরেস্ট এ পেয়েছিলাম। যখন ওখানকার প্রানীদের নিয়ে রিসার্চ করতে গিয়ে ছিলাম। এটা আমি কি করে কোন অজানা ব্যাক্তির হাতে তুলে দেই how.

কিন্তু আমার মেয়ে যদি সত্যিই ওই লোকটার কাছে থাকে তাহলে। লোকটা যদি আমার মেয়ের কোন ক্ষতি করে দেয়।

আমাকে যেতেই হবে। হয়তো এটার পরিণাম মর্মান্তিক হতে পারে অনেক খারাপ হতে পারে। But as a father আমার দায়িত্ব নিজের মেয়ের রক্ষা করা।

তার জন্য যদি এই ক্রিস্টাল নাইফ আমাকে ওই লোকের হাতে তুলে দিতে হয় আমি তাই করবো।

আসিফ নাইফটা নিয়ে ডার্ক ফরেস্ট এর উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায়।

এইদিকে,,,,,

আধার মাহিরার কাছে এসে দেখে মাহিরা একটা বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিলো আর তারমধ্যে কিছু খুঁজছিলো।

আধারঃ মাহিরা তুমি আমাকে এতো আর্জেন্ট কেন ডাকলে। আর কোন বিপদের কথা বলছিলে।

মাহিরাঃ Werewolf King!!!

আধারঃ কিইই,,,, কিং??? ও আবার আমাদের জন্য নতুন কোন ফাদ ফেললো।

মাহিরাঃ আমাদের জন্য না আধার তোমার জন্য!!

আধারঃ মানে??

মাহিরাঃ আমাদের ভ্যাম্পায়ার কিং যেই ক্রিস্টাল নাইফটা হারিয়ে ফেলেছিলেন সেটা তোমার আঙ্কেল আসিফ চৌধুরীর কাছে।

আধারঃ Whatt!!! তাহলে দ্রুত যেয়ে ওনার থেকে ওই নাইফটা নিয়ে আসা দরকার I’m sure উনি এটার কোন অপব্যবহার করবে না।

মাহিরাঃ লাভ নেই কারন উনি এটা নেকড়ে সর্দারের কাছে দিতে গিয়েছেন।

আধারঃ কিন্তু কেন??

মাহিরা নিজের হাত এগিয়ে দিয়ে বলে,,,

মাহিরাঃ আমার হাত ধর সব বুঝে যাবে।

আধার মাহিরার হাত ধরে চোখ বন্ধ করতেই কাইফ আর আসিফ এর সব কথা শুনে ফেলল।

আধারঃ ওহ নো এতো বড় ফাদ। আমি শবনমকে একা রেখে এসেছি I have to go to her.

আধার আর না দাঁড়িয়ে ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়। আজ প্রথম বার ওর ভয় করছে নিজের জন্য না নিজের ভালোবাসার জন্য। বারবার আল্লাহর কাছে দোয়া করছে যেন শবনমের কোন ক্ষতি না হয়।

শবনম জঙ্গলে এসে আসে পাশে আসিফ কে খুঁজতে। কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলে গেছে ওর।

হঠাৎ পিছন থেকে কেউ ওর মাথায় আঘাত করে ‌শবনম মাথায় হাত দিয়ে পিছনে ফিরে।চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে ওর কাইফ স্যার বলে ওখানেই জ্ঞান হারায় ও।

To be continued…….

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_34_The_Last_Part

আধার নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে আসলো। আধারের শরীর কাঁপছে ভয়ে। আজ অব্দি ও কখনো কাউকে ভয় পায়নি সব সিচুয়েশনে নিজেকে সামলে নিয়েছে। কারন ও তখন বাঁচতে চায় নি। নিজেকে শবনমের থেকে সব সময় দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছে। কিন্তু এখন ও ভয় পায় নিজের জন্য না নিজের ভালোবাসার জন্য। ও কোন মতেই শবনমকে হারাতে পারবে না। ওর নিঃশ্বাসে মিশে আছে শবনম। একবার ওর ভুলের জন্য নিজেকে ওর থেকে সরিয়ে রাখতে হয়েছিলো। এবার আর কোন ভুল করতে চায় না ও।

আধার পুরো বাড়ি পাগলের মতো খুঁজছে কিন্তু কোথাও শবনমকে পেলো না। আধারের মনের ভয় ওকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাচ্ছে।

আধার মেঝেতেই হাঁটু ভাজ করে বসে পরলো,,,

আধারঃ কোথায় চলে গেলে তুমি শবনম। প্লিজ আমাকে ছেড়ে কোথাও যেয়েও না আমি শেষ হয়ে যাবো। প্লিজ কাম বেক। আমি তোমাকে কোথায় খুঁজবো কিছু বুঝতে পারছি না। (জোরে জোরে চিৎকার করে)

হঠাৎ আধারের অনুভব হলো শবনম ওকে ডাকছে ওর নাম নিচ্ছে। আধার সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,

একটা অন্ধকার কয়েদখানা দেখতে পাচ্ছে ও। একটা দেয়ালে বড় নেকড়ে মানবের ছবি আঁকা। আধার বুঝে যায় যে শবনম Werewolf দের কয়েদে আছে আধার দাঁড়িয়ে গিয়ে নিজেকে স্ট্রং করে বলে।

আধারঃ এটা তুমি ঠিক করলে না কিং। আমাকে আঘাত করলে হয়তো আমি তোমাকে প্রানে রেহাই দিতাম। কিন্তু তুমি আমার হৃদয়ে আঘাত করেছো। এটার জন্য তোমাকে ভয়াবহ শাস্তি পেতে হবে। Get ready for your punishment. I’m coming আধার আসছে।

আধার ঝড়ের গতিতে নেকড়েদের আস্তানার উদ্দেশে বেড়িয়ে যায়।

In The Dark Forest,,,,,

আসিফ ক্রিস্টাল নাইফ নিয়ে কাইফের বলা ঠিকানায় পৌঁছে আসে। জঙ্গলের সুরং পেরিয়ে একটা বিশাল মহলের মতো বাড়ি। আসিফ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে বাড়িটির দিকে। এটা কিভাবে মানুষদের চোখ থেকে আড়াল হয়ে থাকলো ভাবতে থাকে আসিফ।

কাইফের বলা কথা মনে পরতেই সব ভাবনা ফেলে মহলে প্রবেশ করলো ও।

ভিতরে প্রবেশ করতেই আতকে উঠে আসিফ অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক নেকড়ে রূপী কিছু জানোয়ার সারি বেধে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে একটু উঁচুতে একটা বড় সিংহাসনে একজন বসে আছে।

আসিফ একটু এগিয়ে আসতেই লোকটি মাথা তুলে তাকালো। আসিফ লোকটিকে দেখে চমকে উঠে।

আসিফঃ কাইফফফ!!!

কাইফঃ Welcome to my Kingdom Mr Asif Chowdhury (With devil smile)

আসিফঃ এসব কি কাইফ?? (রেগে প্লাস চিল্লিয়ে)

কাইফঃ Don’t shouting Asif এটা ভুলো না যে তুমি এখন আমার রাজ্যে আছো এখানে শুধু আমি বলি আর সবাই শোনে Because I am King ( জোরে জোরে হাসতে হাসতে)

কাইফের কথায় আসিফ ঘাবড়ে যায়,,

আসিফঃ আমি এতো বছর Werewolf আর Vampire এর উপর রিসার্চ করছিলাম কিন্তু কখনো এদের অস্তিত্ত্ব খুজে পাই নি। আমি ভেবেছিলাম এদের অস্তিত্ত্ব নেই। But I’m wrong they are exist. আর এটা তার জলজ্যান্ত প্রমান। (মনে মনে)

আসিফের ভাবনায় ছেদ ঘটে কাইফের কথায়।

কাইফঃ জানতে চাও না তুমি আজ কেন এখানে!

আসিফ ভ্রু কুঁচকে কাইফের দিকে তাকালো।

কাইফ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব আসিফকে বললো। আধারের এক্সিডেন্ট ওর ভ্যাম্পায়ার ওর জীবনে শবনমের আসা আধারের হাতে ওর দুই ছেলের মৃত্যু।

সব শুনে যেন আফিফের পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেল। শবনম ওর মেয়ে আর আধার সেই ছোট আধার যাকে ও হাটতে ও খেলতে শিখিয়েছিলো।

আসিফের চোখ আজ কোন বাঁধা মানছে না।

আসিফঃ আমি ওদের সাথে দেখা করতে চাই প্লিজ ( অস্ফুট কন্ঠে )

কাইফ ওর দিকে এগিয়ে এসে বলে,,,

কাইফঃ অবশ্যই কিন্তু তার আগে আমার ক্রিস্টাল নাইফ চাই।

আসিফ নিজের হাত এগিয়ে ক্রিস্টাল নাইফটা কাইফের হাতে তুলে দেয়।

আসিফঃ এবার আমি আমার মেয়েকে চাই।

কাইফঃ ওনাকে নিয়ে যাও ওনার মেয়ের কাছে দেখা করিয়ে আবার দুজনকে আমার কাছে নিয়ে আসবে (প্রহরী কে আদেশ দিয়ে)

এইদিকে,,,,

মিট মিট করে চোখ খুললো শবনম। আশেপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার। উঠে বসলো ও মাথাটা ঝিম ধরে আছে। হঠাৎ জঙ্গলের ঘটনা মনে পরতেই তরিঘরি করে দাড়িয়ে যায় শবনম। আশেপাশে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে কোথায় আছে ও।

শবনমঃ কাইফ স্যার মানুষ না উ উনি একজন নেকড়ে মানব। আধার কোথায় তুমি আমার ভয় করছে। প্লিজ তাড়াতাড়ি চলে আসো। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। ??

হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজে পিছনে ফিরে দেখে শবনম। একজন নেকড়ে মানব দাঁড়িয়ে আছে কি ভয়ঙ্কর চেহারা। শবনম ভয়ে কয় কদম পিছনে চলে যায়।

শবনমঃ দেখো আমার কাছে আসবে না। আধার যদি জানে তোমরা আমাকে এ এখানে আটকে রেখেছো তোমাদের সবাইকে ও শেষ করে দিবে। ( ভয়ে ভয়ে বলল )

প্রহরী সরে দাড়াতেই আসিফ ভিতরে চলে আসে।
আসিফের বিশ্বাস হচ্ছে না যে ওর মেয়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

আসিফঃ প প্রিন্সেস (কাঁপা কাঁপা গলায়) বাবাইয়ের কাছে আসবে না ?

শবনমঃ আপনি জেনে গেছেন যে আমি,,,,,

আসিফঃ হ্যাঁ মামনি আমি সব জেনে গেছি আধার কে ওটাও আমি জানি কাইফ আমাকে সব বলে দিয়েছে।

শবনম দৌড়ে আসিফকে জড়িয়ে ধরলো।

আসিফঃ Don’t worry princess আমি তোমাকে কিচ্ছু হতে দিবো না আমি তোমাকে এখান থেকে এখনই নিয়ে যাবো।

শবনমঃ আমি তোমাকে অনেক মিস করেছি বাবাই।

আসিফঃ আমিও মামনি।

প্রহরীঃ চলেন কিং নিচে যেতে বলেছে।

আসিফ আর শবনম প্রহরীর পিছনে চলে আসে।

কাইফ ক্রিস্টাল নাইফ হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছিলো। হঠাৎ ভ্যাম্পায়ারদের সৈন্য রা ওদের উপর আক্রমণ করে দেয়। আধার মাহিরা আর ভ্যাম্পায়ার কিং ওদের পিছনে ভিতরে আসলো।

ভ্যাম্পায়ার আর নেকড়েদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। মাহিরা আর বাকি সবাই নেকড়েদের সাথে লড়াই করছে। আধার নিহালের সাথে লড়াই করছে নিজের ভয়ঙ্কর রূপে।

আধারঃ শবনমকে তো আমি খুজেঁই নিবো কিন্তু তার আগে তোদের ধ্বংস করে নেই। (লড়াই করতে করতে)

নিহালঃ আজ যদি আমরা হেরেও যাই তার পরেও জিত আমাদেরই হবে। আর তোরা জিতেও হেরে যাবি।

আধার রেগে গিয়ে নিহালের মাথা ধর থেকে আলাদা করে দিলো।

আসিফ আর শবনম নিচে নেমে দেখে চারো দিকে নেকড়েদের লাশ পরে আছে।

শবনম সামনে তাকাতেই আধারকে দেখতে পেলো।

শবনমঃ আধাররর ( কান্না প্লাস হালকা হেসে)

আধার শবনমকে দেখে বলে,,,

আধারঃ বলেছিলাম না তোমাকে কিছু হতে দিবো না।

আধার নিজের দুই বাহু ছড়িয়ে দেয় শবনম আসিফের হাত ছেড়ে আধারের কাছে যেতে নিলেই কাইফ পিছন থেকে শবনমের পেটে ক্রিস্টাল নাইফ ছুড়ে মারে। শবনম থেমে যায় শবনমের সাথে যেন সময়টাও থেমে যায়। শবনম মাটিতে পরতে নিলেই আধার এসে শবনমকে জড়িয়ে ধরে বসে পরে।

আধারঃ শবনম!!!

শবনমের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চোখ খুলে শুধু আধারের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে ও।

পিছন থেকে কাইফ বলে উঠলো,,,

কাইফঃ আমি তোকে জানে শেষ করতে চাইনি আধার কারন আমি তোকে তিলে তিলে শেষ করতে চেয়েছি। এজন্য তোকে না তোর ভালোবাসাকে শেষ করলাম। আমি জানতাম তোর সব চেয়ে বড় কমজোরি হচ্ছে শবনম ওকে ছাড়া তুই বেঁচে থেকেও মৃত। তোর অস্তিত্ব ওর সাথে শেষ আধার শেষ (বলে অট্টহাসিতে ভেঙে পরলো কাইফ)

আধার একটা তলোয়ার ওর দিকে ছুরতেই কাইফ গায়েব হয়ে যায়। এটা কাইফ না ওর অবয়ব ছিলো।

আধার শবনমকে বুকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে,,,

আধারঃ তোমার কিছু হবে না জান আমি তোমাকে কিচ্ছু হতে দিবো না। তুমি ঠিক হয়ে যাবে। আমার জন্য তোমাকে বাঁচতে হবে। তোমাকে ছাড়া আমি অস্তিত্বহীন। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না। ??

শবনমঃ I’m s sorry Aadhar. আ আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম কখনো ছেড়ে যাবো না। আমি আমার কথা রাখতে পারি নি। ??

আধারঃ ???

আসিফঃ আজই তো তোকে পেলাম প্রিন্সেস আর আজই তুই তোর বাবাইকে ফেলে চলে যাচ্ছিস।

শবনমঃ আ আম স্যরি বাবাই I’m not a good daughter.

আধারঃ আমি তোমাকে কিচ্ছু হতে দিবো না I’ll turn you into a Vampire. হ্যাঁ আমি আমি তোমাকে ভ্যাম্পায়ার বানিয়ে দেবো। তুমি সবসময় আমার কাছে থাকবে।

মাহিরাঃ এটা সম্ভব নয় আধার। ক্রিস্টাল নাইফ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে শবনমকে।

আধারঃ প্লিজ মাহিরা কিছু একটা করো। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না।

মাহিরাঃ কিছুই করার নেই আধার।

হঠাৎ শবনমের শরীর গায়েব হতে থাকে।

শবনমঃ আমি আমার কথা পুরোন করবো আধার আমি ফিরে আসবো আমাদের #Incomplete_Love কে Complete করতে।
আমি তোমার কাছে আবার ফিরে আসবো প্রমিসসস,,,

শবনমের শরীর হাওয়ায় মিশে যায়।

আধারঃ Noooo you can’t leave me please come back Jan please. ???

হয়তো এটা ওদের ভালোবাসার সমাপ্তি না নতুন কোন অধ্যায়ের শুরু।

The End……

At first সবাইকে Thanks বলছি আমাকে এতো সাপোর্ট করার জন্যে। ??
এটা আমার ফার্স্ট স্টোরি ছিল তাই ভালো করে সাজিয়ে তুলতে পারি নি। অনেক মিসটেক ও করেছি তাই স্যরি। বাট ডোন্ট ওয়ারি এটা গল্পের শেষ না বরং নতুন গল্পের শুরু। অনেক জলদি সিজন 2 দিবো। আর ওটা অনেক সুন্দর করে সাজানোর চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here