#revenge
#part_4
#sabiha_kh
বলতেই চারজন লোকি একসাথে চার বন্ধুর মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করতেই চারজন একসাথে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরেগেলো।। চারজন লোক সামনের গাড়ির দিকে তাকিয়ে মাথা ঝুকালো।। একজন সামনের গাড়ির কাছে এসে বললো-
– কি করবো boss??
গাড়ির ভিতর থেকে বললো – ওদের বেধে গাড়িতে তুলো।।।
”
”
১ ঘন্টা পর,,,,
আরিফের জ্ঞান ফিললে আরিফ চোখ খুলতেই উপরে ঝুলন্ত লাইটের আলোতে তাকাতে পারলো না। আরিফ চোখ হাত দেওয়ার জন্য হাত নরাতে গেলে অনুভব করলো তার হাত বাধা।।। আরিফ চোখ খুলে পাশে তাকাতেই দেখে নাইম তার পাশে পরে আছে।। আরিফ নাইম কে দেখে চমকে উঠলো এবং খুব কষ্টে উঠে বসলো।। দেখলো তার তিন পাশে তিন বন্ধু অচেতন অবস্থায় পরে আছে।।। আরিফ উত্তেজিত হয়ে তিন বন্ধুকেই ডাকলো কিন্তু কেও সারা দিলো না।। আরিফ কষ্ট মষ্ট করে উঠে দারাতে ঝুলন্ত লাইট টা আরিফের মাথার সাথে বারি লাগলো। আরিফ ঝুলন্ত লাইটের আলোতে তার সামনের দেওয়ালে লাল রং দিয়ে লিখা দেখলো dead আরিফ দেখে ভয়ে উত্তেজিত হয়ে তারাতারি তিন বন্ধুকে জাগালো।। তিন জনি জেগে উঠলো এবং উত্তেজিত হয়ে কাপা কন্ঠে বললো- আমরা এখানে কেনো।। এটা কনো জায়গা।।
আরিফ- আমি জানি না তবে এটা ভালো জায়গানা এটা বুঝতে পারছি।।
রানা- আমাদের পালাতে হবে।। আরিফ আমার হাত খুলে দে।।
নাইম- বাবিন তুই আমার হাত খুলে দে।।।
বাবিন নাইমের আরিফ রানার হাত খুলতে লাগলে নাইম খেয়াল করলো দেওয়ালের সাথে মিশে সেই চারজন লোক দাড়িয়ে আছে।। নাইম চিল্লাই উঠলো আরিফ রানা বাবিন পিছনে ঘুরে তাকালো দেখলো সেই চারজন লোক।।।
সবাই ভীত কন্ঠ বললো- কি চান আপনারা কেন আমাদের ধরে এনেছেন??
রুমের এক কোনায় একটা সাউন বক্স রাখাছিলো সেখানে কেও বলে উঠলো শুরু করো।।
সেই চার জন লোক হকিস্টিক হাতে নিয়ে চার বন্ধুর দিকে যত কদম এগিয়ে আসে চার বন্ধুই ভয়ে তত কদম পিছনে সরতে লাগে।।
তারা ভয়ে উত্তেজিত সুরে বললো- আমাদের ছেরে দিন আমরা কিছু করিনি।। কেন আপনারা আমাদের মারতে চান।।
বলতেই চারজন লোক হকিস্টিক দিয়ে চার বন্ধুকে ইচ্ছা মতো বেদম পিটন পিটাতে লাগলো।। চার জনি জান প্রাণ ছেড়ে দিয়ে চিল্লাতে লাগলো এবং মেঝের উপরে গাড়া গড়ি করতে লাগলো।।
চারজন ছেলেই তাদের কাছে আকুতি মিনতি করতে লাগলো।।। কিন্তু লোক গুলো তাদের কনো কথায় শুনলো না ইচ্ছা মতো মারতে থাকলো।। চারজনি তাদের চিল্লাতে চিল্লাতে বললো – কেন আমাদের মারছেন আমরা কি করেছি।।।। আমাদের মারবেন না। বিনা দোষে কেন আমাদের এভাবে মারছেন।।
এমন সময় সাউন্ড বক্সে বললো- থেমে যাও।।
চার জন লোক পিটানো থামিয়ে দিলো এবং পিছনে সরে দাড়ালো।। চার বন্ধুর একদম আধমরার মতো অবস্থা হয়ে গেছে।। নাক মুখ কপাল দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে হাত পায়ে মারের কালশিরা পরে ফুলে ডুমডুমা হয়ে গেছে।।। চারজনি একসাথে আদো আদো ভাবে কাপা সুরে কান্না করতে করতে বলছে – আমাদের ছেড়ে দিন।। আমরা কিছু করিনি।।।
বলতেই কেও দরজা খুলে কেও ভিতরে আসলো।।। চারজন লোক এসে চার বন্ধুর চুল মুট করে ধরে টেনে হাটু গেড়ে বসালো।। চারবন্ধু আদো আদো চোখে সামনে তাকালো ওই চারজন লোকের মতো পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো পোশাকে ঢাকা একজন লোক হাতে রিভলবার নিয়ে চেয়ারে বসে আছে।।। লোকটির হাতে রিভলবার দেখে চার বন্ধুর ভয়ে কাপতে লাগলো এবং জোরে জোরে কান্না করে বলতে লাগলো- আমাদের মারবেন না আমরা কিছু করনি।।
লোকটি বললো- তোরা কিছু করিসনি??
সবাই- না আমরা কিছু করিনি। আপনারা ভুল করে হয়তো আমাদের তুলে এনেছেন।। (কাপা সুরে বললো)
লোকটি রেগে উঠে দারিয়ে জোরে চেয়ার লাথি দিয়ে বললো- তোদের ভুল করে তুলে এনিছি?? তোরা কিছুই করিস নি.?? তোরা রহিত কে মেরেছিস। মনে পরে তোদের??? (রাগান্বিত কন্ঠে জোরে বললো)
চারবন্ধুই রহিতের নাম শুনে অবাক হয়ে গেলো এবং নিজেরা নিজেদের দিকে তাকা তাকি করতে লাগলো।।। লোকটি রেগে গিয়ে চারজন লোকের মধ্যে একজনের হাত থেকে হকিস্টিক নিয়ে এসে চার বন্ধুকে ধুপাধুপ মারতে লাগলো৷। আর বলো- কেন মেরেছিস তোরা রহিত কে?? ও তোদের কি ক্ষতি করেছিলো?? কেন মারলি ওকে!!! কেন?? বল কেন মারলি??
চার বন্ধু চিল্লাই চিল্লাই কানতে কানতে বললো- ভাই আমরা সত্যি বলছি আমরা রহিত কে মারিনি। রহিত তো সুইসাইড করেছে।। ভাই আমরা সত্যি বলছি।। আমাদের কথা বিশ্বাস করুন।।
লোকটি মার থামিয়ে আরিফের চুল মুট করে টেনে ধরে রাগান্বিত সুরে বললো- তোরা ওকে মারিসনি কিন্তু ওকে টর্চার করেছিস৷ সবার সামনে ওকে বেইজ্জত করেছিস।। তোদের এই কাজ গুলোর জন্য ও সুইসাইড করতে বাধ্য হয়েছে।।
রানা কানতে কানতে বললো- এটা ঠিক না।। হ্যা আমরা মানছি আমরা ওর সাথে মজা করেছি ওকে নিচা দেখিয়েছি। কিন্তু ওর মৃত্যুর পিছনে আমরা দায়ি নয়। ওর সাথে আমরা যাই করেছি সেটা তাও ৬ /৭ মাস আগে।। ও যদি আমাদের কারণে সুইসাইড করার ইচ্ছাই ছিলো তাহলে ও ৬/৭ মাস আগেই সুইসাইড করতে পারতো।।
বাবিন- ভাই আমরা সত্যি বলছি রহিতের মৃত্যুর পিছনে আমরা নেই।।
নাইম- হ্যা আমরা রহিতের সাথে যেই টুকু র্যাগিং করেছি সেটুকুর জন্য আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চায়।। কিন্তু বিশ্বাস করুন রহিতের মৃত্যুতে আমাদের কনো হাত নেই।।
– তোরা এই র্যাগিং করার শাস্তি তো অবশ্যই পাবি।।
বলে লোকটি উঠে চারজন লোকের কাছে গিয়ে বললো- ওদের কপালে খোদাই করে লুজার লিখে দাও। যেন ওদের দিকে তাকিয়ে মানুষ হাসে।।
চার বন্ধু লোকটির কথা শুনে ভয়ে উত্তেজিত সুরে বলতে লাগলো- এমন করবেন না আমাদের ছেড়ে দিন। আমরা তো ভুল শিকার করেছি।। এবার ক্ষমা করুন আমাদের কিছু করবেন না।। প্লিজ আমাদের ছেরে দিন।
লোকটি চার বন্ধুর দিকে তাকিয়ে বললো- এটা আমার রাজ্য এখানে আমি ভুলের বিচার করি।। তোদের ভুলের এটাই শাস্তি।। যাও যেটা বললাম সেটা করো।।।
বলে লোকটি রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।।। চার বন্ধু ভয়ে চিল্লাই চিল্লাই বলো আমাদের দয়া করুন এমন করবেন না আমাদের সাথে।। আমাদের ছেড়ে দিন।।
দুই জোন লোক গিয়ে আগে বাবিন কে ধরে নিয়ে আসলো এবং পা বাধলো বাবানি ভয়ে চিল্লায় চিল্লায় কানতে লাগলো। এবং বললো- আমাকে ছাড়ুন।।। আমাকে ছাড়ুন রানা, আরিফ আমাকে বাচা ভাই।।।
বলতেই একজন লোক বাবিনের মুখে টেপ লাগিয়ে দিলো এবং বাবিন কে শুইয়ে দিয়ে তিন জন বাবিনকে চেপেধরলো । আর একজন খোদায় করা ম্যাসিন দিয়ে বাবিনের কপালে লুজার লিখে দিতে লাগলো বাবিনের চোখ থেকে ঝর করে পানি পরছে কপাল থেকে রক্ত বয়ে চোখের পানির সাথে মিশে গরিয়ে পরছে বাবিন চিল্লাতে না পারায় বাবিনের কপালের হাতে রগ গুলো দাড়িয়ে গেছে।।বাবিন যন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।। এভাবে পরেতিন বন্ধু কে ও একি ভাবে কপালে লুজার লেখি দিতে লাগলো তারা অনেক আকুতি মিনতি করলো কিন্তু লোকগুলো ওদের একটা কথাও শুনলো না।।। তাদের কপাল থেকে বের হওয়া রক্ত দিয়ে মেঝে মেখে গেলো। চার বন্ধুই বেহুশ হয়ে পরে রয়লো।।
সাউন্ড বক্সে বললো- ওদের নিয়ে গিয়ে হসপিটালের সামনে ফেলে দিয়ে আসো।।।
চারজন সেই কথা মতোই কাজ করলো।। ভোর ৪ টাই চারবন্ধুকে নিয়ে গিয়ে হসপিটালের সামনে ফেলে দিয়ে চলে আসলো।।
০৯-০৪-২০২১
আজ আমি মাইশাকে প্রপোজ করেছি। ওকে বলেছি ওকে আমার কতোটা বেশি ভালো লাগে কিন্তু ও আমাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে!!! আমি এতোটাই খারাপ!! আমি কি দেখতেও ভালো না!! কি কারণে ও আমাকে রিজেক্ট করলো!!! আমার সত্যি ওকে খুব ভালো লাগে।। মাইশা কেন তুমি আমাকে রিজেক্ট করলে!!
১৫-০৪-২০২১
ছেলে গুলো কি চাচ্ছিলো আমার কাছে।। ওরা কেনই বা আমার সাথে এমন করলো।। ওই ছেলে আমাকে কেন এক রাত তার সাথে থাকতে বললো। ওরা জোর করে কেন আমার প্যান্ট, শার্টের বোতাম খুললো।। কি করতে চাচ্ছিলো ওরা।। আমি সত্যি খুব ভয় পেয়েছি।। আমার হাত পা এখনো কাপচে।। আমিই জানি আমি কি ভাবে ওদের হাত থেকে বেচে ফিরে এসেছি।। আমি যদি ওদের ধাক্কা দিয়ে ওয়াস রুম থেকে বের না হতে পারতাম না জানি ওরা আজ কি করতো আমার সাথে।।
ওহ্ আমি আর এগুলো সহ্য করতে পারছি না।৷ একি ক্লাসে পরি শুধু আমাদের সেকশান আলাদা।। ওরা এমন করলো কি ভাবে আমার সাথে।। ওহ আল্লাহ বাচাও আমাকে।। আমি আর নিতে পারছিনা।।। আমাকে এগুলো যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দাও।।।
সকাল ১০ টা,,,,,,
মিরার আজ রহিতের কথা খুব মনে পরছে। মিরা রহিতের ব্রেঞ্চের দিকে তাকিয়ে ভাবলো- তোমাকে এভাবে হারাবো বুঝতে পারিনি রহিত।।। ভুলটা হয়তো কথাও আমারো ছিলো। তোমাকে নিজের মনের কথা বলিনি। তোমার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় নি।।
মিরা চোখ থেকে পানি গোড়িয়ে আসলো। মিরা উঠে রহিতের ব্রেঞ্চে বসলো টেবিলে রহিত কাটাকম্পাস দিয়ে নিজের নাম খোদায় করে লিখেছে সেই লিখার উপরে মিটা হাত বুলাতে লাগলো।। এমন সময় একটা ছেলে খেয়াল করলে মিরা রহিতের জাগায় বসে রহিতের খোদায় করা লিখার উপর হাত বুলাচ্ছে।।
ছেলেটি মিরার কাছে এসে বললো- তুমি জানো রহিতের মৃত্যুর কেও প্রতিশোধ নিচ্ছে!!!
বলতেই মিরা ছেলেটির দিকে তাকালো।।।৷ ছেলেটি বললো-
– সবাই বাইরে বলা বলি করছে। ওই যে অনার্সের চারজন ছেলে আছে না!!! যারা রহিতের সাথে র্যাগিং করেছিলো। তাদের বলে মেরে কিছু রাখেনি। সব গুলার কপাল কেটে লুজার লিখে দিয়েছে।। আজ সকালে ওদের হসপিটালের সামনে ফেলে দিয়ে গেছে।। ওদের জ্ঞান আসলে পুলিশ ওদের জিজ্ঞেসাবাদ করেছে।। ওরা কিছুই বলতে পারেনি।। সবাই নাকি কালো পোশাকে ঢাকাছিলো।। ওরা শুধু বলছে ওদের যারা ধরেছিলো তারা রহিতের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিবে।।
মিরা হতবাক হয়ে বললো- কি??? কিন্তু কে তারা??
– জানিনা কে তারা!!! তবে পুলিশ রা এখন ধারণা করছে সেই গ্যাং ই হয়তো রহিতের লাশ এবং ডায়েরি চুরি করেছে।।।
মিরা আর কিছু বললো না।। ছেলেটি কিছুখন চুপ করে থেকে বললো-
– মিরা আমার কি মনে হয় জানো রহিত ডিপ্রেশনে সুইসাইড করেছে।।
মিরা অবাক হয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বললো- – মানে কিসের ডিপ্রেশান তুমি কিছু জানো??
ছেলেটি ধীরে বললো- হমম আমি জানি।। ওর সাথে যেটা হয়েছে সেটা আমার চোখের সামনে হয়েছে আমি রহিতে জন্য কিছুই করতে পারিনি।। সেই ঘটনার পরিতো রহিত ১৫ দিন কলেজে আসেনি।
মিরা- হম হম রোহিত একবার ১৫ দিন কলেজে আসেনি।। আমার মনে আছে।। কিন্তু কি হয়েছিলো রহিতের সাথে বলতো??? (কপাল কুচকে বললো)
১৫ – ০৪-২০২১
– আমি টয়লেটে ছিলাম। এমন সময় বাইরে কিছু ছেলের হাসার শব্দ পাই। আমি টয়লেটের দরজাটা একটু ফাকা করি দেখি রহিত বেসিনের পানি ছেড়ে দাড়িয়ে আছে পিছন থেকে আমাদের ক্লাসের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জুবিন বোতল থেকে পানি রহিতের মাথায় ঢালছে এবং হাসছে জুবিনের পিছনে তারি বন্ধু মারুফ আর দাড়িয়ে ছিলো।। আর রিফাত দরজার কাছে দাড়িয়ে এক নজরে রহিতের দিকে তাকিয়ে ছিলো।।। রহিত অবাক হয়ে জুবিনের দিকে ঘুরে তাকালো।।
রহিত অবাক হয়ে বললো- এটা কি করলে??
এমন সময় রিফাত পকেট থেকে রুমাল বের করে রহিতের কাছে আসলো এবং রহিতকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে রহিতের মুখ মুছে দিতে দিতে বললো- জুবিন ইয়ারকির একটা শিমা থাকে।।।
জুবিন দাড়িয়ে মুখ চেপে হাসছিলো।।।
রিফাত – রহিত জুবিনের হয়ে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চায়ছি।।
রহিত- It’s ok.. আমার দেরি হচ্ছে।।
বলে রহিত যেতে লাগলে রিফাত রহিতের হাত চেপে ধরে।।
রহিত রিফাতের দিকে ঘুরে তাকিয়ে বললো- কি হলো??
রিফাত রহিতের কাছে এসে রহিতের গালে হাত দিয়ে বললো- রহিত তোমার বডিফিটনেস তোমার কিউট লুক তোমার হাসি, আমাকে খুব আকর্ষণ করে।। তুমি এক রাত আমার সাথে থাকবে রহিত???
রহিত রিফাতের কথা শুনে অবাক হলো এবং রিফাতের হাত সরিয়ে দিয়ে একটু রাগান্বিত সুরে বললো- এগুলো কি কথা।।। পাগল নাকি তুমি।।। হেশ,,
বলে রহিত যেতে লাগলে রিফাত রহিতকে পিছন দিক থেকে চেপে ধরে বললো –
রিফাত- আমি তোমাকে পছন্দ করি রহিত!! তোমাকে চায়।। একটা রাতের তো ব্যাপার।। প্লিজ রাজি হয়ে যাও।।।।
রহিত রেগে রিফাত কে ধাক্কা দিলে রিফাতের গিয়ে বেসিনের কোনার সাথে লেগে কপাল একটু কেটে যাই। জুবিন, মারুফ দেখলো রিফাতের কপাল কেটে রক্ত বের হচ্ছে।। তারা দুজন রেগে গিয়ে রহিত কে ধরে বললো- আমার বন্ধু কে ধাক্কা দিস এতো সাহস?? তোর আজকে,,,,,,
বলে জুবিন রিফাতের দিকে তাকিয়ে বললো- রিফাত রাতের চিন্তা বাদ যা করবি এখানেই কর আর এখুনি কর।।
রহিত তো খুব চেষ্টা করলো ওদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়ানোর কিন্তু পারলো না। জুবিন মারুফ জোর করে রহিত কে মেঝেতে শুয়ালো। এবং রহিতের মুখ চেপে ধরলো যেন রহিত চিল্লাতে না পারে।। রহিত পা ছুড়া ছুরি করতে লাগলো। রিফাত এসে রহিতে উপর উঠে বসে এবং রহিতের শার্টের সব বোতাম খুললো। এবং প্যান্টের বেল্ট খুললো।। যেই প্যান্টের বোতাম খুলতে যাই সেই সময় রহিত জুবিন কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তারপর মারুফ কে আর রিফাত পরে গেলে রহিতে রিফাত কে লাথি মেরে সরিয়ে দেয় এবং কনো রকম উঠে ওভাবেই ওখান থেকে বের হয়ে দৌড় দেয়।।
– আমি শুধু দেখছিলাম কিন্তু রহিত কে সাহায্য করার সাহস পাচ্ছিলাম না।। আমার রহিতের জন্য খুব খারাপ লাগছিলো সেই সময়।।।
বলতেই মিরা উঠে ছেলেটাকে একটা টেনে একটা থাপ্পড় মারলো এবং বললো-
মির- ওরা তিন জন তো ছেলেই না আর সাথে তুমিও ছেলের মধ্যে পরো না।। চোখের সামনে এতো বড় একটা সেক্সচুয়াল হ্যারেজমেন্ট দেখেও তুমি চুপচাপ দাড়িয়ে ছিলে।। কেমন ছেলে তুমি???( রাগান্বিত কন্ঠে বললো)
ছেলেটি মাথা নিচু করে বললো – আমি এগিয়ে যাই নি কারণ আমি ভয় পেয়েছিলাম আর ওরা তিন জনি বড়লোক ঘরের ছেলে।। বড় লোক ঘড়ের ছেলেদের দাপটি অন্যরকম তুমি তো জানো মিরা।। (মিরার দিকে তাকিয়ে)
রিমা কি বলবে বুঝতে না পেরে মাথা নিচু করে কান্না করতে লাগলো।।
,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।।