#revenge
#part_7
#sabiha_kh
মাইশা গিয়ে গাড়িতে আটোসাটো হয়ে বসলো।। মাইশার মনের ভিতর ভয় একদম চেপে বসেছে।। মাইশা মনে মনে ভাবলো- কনো রকম এই শহর পার হতেই পারলেই আমি বেচে যাবো।।।।
ড্রাইভার মাইশা কে নিয়ে চলে গেলো।।। মাইশা ড্রাইভারকে একটু উত্তেজিত সুরে বললো বললো- গাড়ি জোরে চালাও। এবং শহর পার হলে আমাকে জানিও।।
ড্রাইভার- ওকে ম্যাডাম।।
মাইশা ভয়ে চোখ বন্ধ করে শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনাই করে চলেছে।।। যেন সে এই শহর টা কনো মতে পার হতে পারে।।।
শহরটা পার হলে ড্রাইভার মাইশা কে জানিয়ে দেয়।। মাইশা ড্রাইভারের কথা শুনে মনে একটু সস্থি পায়।।। মাইশা গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে আকাশের দিকে তাকালো দেখলো আকাশে সুন্দর একটা চাঁদ।।
মাইশা চাঁদের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো- আমি জানি রহিত তোমার সাথে হয়তো খুব খারাপ হয়েছে। এর জন্য আমি নিজেকেও দায়ি মনে করি।।। কিন্তু আমি এটা ইচ্ছা করে বলতেই,,,,,,
ড্রাইভার জোরে বলে উঠলো কে ওটা!! মাইশা চমকে উঠে সামনে তাকাতেই ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করতে গিয়ে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলে মাইশা কিছু বুঝে উঠার আগেই গাড়ি গিয়ে একটা মোটা গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে।।। মাইশার মাথা গাড়ির জানালার সাথে জোরে বারি লেগে জানার কাচটা ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যাই মাইশার কপাল, হাত পা কেটেকুটে যাই এবং সে জ্ঞান হারায়। এদিকে ড্রাইভারের মাথা গাড়ির স্টিয়ারিং এর সাথে বারি লাগে সাথে সাথেই ড্রাইভারও জ্ঞান হারায়।।
যখন মায়শার জ্ঞান ফিরে মাইশা চোখ খুলেই সব কিছু ঝাপসা দেখে তারপর যখন আসতে আসতে চোখের ঝাপসা ভাবটা কেটে গেলে মাইশা দেখলো সে চেয়ারের সাথে বাধা। তার হাত চেয়ারের হ্যান্ডেলের খাছের ভিতরে ঢুকানো।। মাইশার দেখেই আত্মা শুকিয়ে গেলো।। মাইশার আর বুঝতে দেরি হলো না যে তাকে সেই লোক ধড়ে ফেলেছে।।। মাইশার সামনে টেবিলের দিকে তাকালো দেখলো টেবিলের উপর দুইটা বক্স রাখা।। মাইশার এখন কি হবে ভেবেই মাইশা খুব কান্না আসতে লাগে।। মায়শা নিজের হাত সেই খাচের ভিতর থেকে বের করার খুব চেষ্টা করে কিন্তু পারে না।।মায়শা ভয়ে কান্না করতে করতে এদিকে ওদিকে মাথা ঘুরিয়ে মিনতির সুরে বলতে লাগে – আমি কিছুই করিনি কেন আমাকে ধরে নিয়ে এসেছেন।। আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ।।।
বলতেই মায়শা দরজা খুলার শব্দ পেলো। দরজা খুলার শব্দ শুনেই মাইশার হার্ডবিট দ্রুত হয়ে গেলো।।। মাইশা ভীত চোখে তাকিয়ে রয়লো দেখে একজন লোক আসছে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো পোশাকে ঢাকা।।। এক হাতে পিস্তল। আরেক হাতে পানির বতোল।। মায়শার জান আর মায়শার মধ্যে নাই।। সে ভয়ে চুপসে গেলো।। লোকটা চেয়ার নিয়ে মায়শার সামনে বসলো।। এবং পিস্তল আর বতোল টেবিলের উপর রাখলো।।
মাইশা নিচের দিকে মাথা ঝুকিয়ে ভয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে কান্না করতে লাগে।।। লোকটি মাইশার কান্না দেখে রেগে টেবিলের উপর জোরে বারি দিলো।।। মাইশা চমকে উঠে লোকটির দিকে তাকালো।।।
মাইশা ভীত সুরে বললো- আমি কিছু করিনি।।। আমাকে ছেড়ে দিন।। আমার ক্ষতি করবেন না প্লিজ।।
লোকটি টেবিলের উপর রাখা দুইটি বক্সের মধ্যে একটি বক্স খুললো মাইশা বক্সের দিকে তাকালো দেখলো বিভিন্ন রকমের টর্চার সরঞ্জাম বক্সের ভিতর।।। মাইশার দেখেই গলা শুকে গেলো।। মাইশা ভয়ে কাপা সুরে বললো- দেখুন আমি কিছু করিনি।।
লোকটি মাইশার দিকে তাকিয়ে শান্তু সুরে বললো- আমি মেয়ে মানুষদের কখনো শাস্তি দিয়নি। আজ প্রথম কনো মেয়েকে আমার আদালতে শাস্তি দিবো।। তো বল ১৫ তারিখে যেই পার্টি হয়েছিলো সেখানে কি ঘটেছিলো।।
মাইশা- আমি কিছুই জানিনা।।
– তুই জানিস না।। (রাগান্বিত সুরে)
মাইশা- না।। (কাপা সুরে)
লোকটা রেগে উঠে মাইশা কে দুই তিনটা থাপ্পড় মারে।। থাপ্পড়ে মাইশার মাথা ঘুরে উঠে।।। লোকটি বক্স থেকে শুইয়ের মতো ছুচালো লোহা নিয়ে মাইশার হাতের উপর পাতায় ঢুকিয়ে দেয়। মাইশা জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলে লোকটি পানির বোতলে রাখা মরিচ মেশানো পানি মাইশার মুখের ভিতর ঢুকিয়ে মুখ চেপে ধরে।।।। মাইশার চোখ, মুখ লাল গয়ে গেলো চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে পানি পরতে লাগলো।। মাইশা লোকটার দিকে যন্ত্রণার কাতর চোখে তাকিয়ে মাথা নরালেও লোকটা মাইশার মুখ থেকে হাত সরালো না শক্ত করে চেপে ধরে রয়লো।। মাইশা মরিচের পানি গুলো গিলে নিলে লোকটা মাইশার মুখ থেকে হাত সরিয়ে নেই মাইশার কাসতে কাসতে মুখ থেকে লালা বের হয়ে আসে। লোকটি মাইশার চিবুক ধরে বললো – তুই রহিত কে কি করেছিস কেন রহিত আত্মহত্যা করলো?? যদি সত্যি কথা না বলিস তাহলে দেখবি আরো কি কি করি।
মাইশার চোখ উলটে দিতে লাগলে লোকটি ঠান্ডা বরফ পানি মাইশার মুখে ছুরে মারে ।।। মাইশা জোরে কান্না করে উঠে বললো- আমি কিচ্ছু করিনি সত্যি বলছি।।। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে পেটের ভিতর মুখের ভিতর আগুনের মতো জ্বলছে আমাকে পানি দিন।।দয়া করুন প্লিজ।।( মিনতির সুরে)
– পানি খাবি দাড়া!!!( রাগান্বিত সুরে)
বলে লোকটি আরেকটা বক্স খুললো মাইশা আদো আদো চোখে তাকালে দেখলো লোকটি বক্স থেকে বোতল বের করছে বোতলের ভিতর লাল তরল কিছু। লোকটি বোতলের মুখ খুলতেই খুব দুর্গন্ধ বারাতে লাগলো।। লোকটি বতোল নিয়ে এসে মাইশার মুখের ভিতর ঢুকিয়ে চেপে ধরলো। মাইশা মুখ সরানোর চেষ্টা করলে লোকটি মাইশার মাথা শক্ত করে চেপে ধরে বললো- এটাই হলো তোর খাওয়ার পানি। পানি খেতে চেয়েছিস না!!! এবার খা।।। এটা হলো বুনোখবিশের রক্ত।। তোর জন্য এটাই স্পেশাল।।। কতো খাবি খা।।
মাইশা একরকম ধাফাতে লাগলে লোকটি মাইশাকে ছেড়ে দিলো মাইশা সাথে সাথে বমি করে দেয়।।
লোকটি মাইশার চুলের মুঠি টেনে ধরে বললো- বল রহিতের সাথে পার্টিতে কি হয়েছিলো।। কি করেছিস তুই।।( জোরে বললো)
মাইশা আসতে আসতে বললো- আমি সত্যি বলছি আমি কিছুই করিনি।।।
লোকটি মাইশার কথায় আরো রেগে গেলো এবং চিৎকার দিয়ে মাইশার নাকে দুই তিনটা ঘুসি মারলো।।। সাথে সাথে নাক দিয়ে গল গল করে পরতে লাগলো।। লোকটি টেবিল উপরে রাখা বক্সের ভিতর থেকে সুইয়ের মতো বড় বড় ১০ টা কাটা বেরে করে একাধারে মাইশার দুই হাতের ভিতর ঢুকাতে লাগলো মাইশা জান ছেড়ে চিল্লাতে লাগে।।। লোটটি কাটা গুলো মাইশা হাত থেকে টেনে বের করে আবার ঢুকিয়ে দিলো আবার বের করে আবার ঢুকিয়ে দিলো এভাবে চার বার একি কাজ করলো মাইশা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।।
কিছুখন পর লোকটি মাইশার জ্ঞান ফিরালো।। মাইশার দুই হাত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে মাটিতে পরছে এবং হাত ফুলে ডুমডুমা হয়ে গেছে।।
মাইশা আদো আদো চোখে লোকটির দিকে তাকালো।।
লোকটি শান্ত গলায় বললো- পার্টিতে রহিতের সাথে কি হয়েছিলো??? কি করেছিস বলে দে নিজের ভালো চাস তো!!!
মাইশা কথা বলার শক্তি পাচ্ছিলো না।। চোখের সামনে সব ঘোলা হয়ে আছিলো।। মাইশা চোখ বন্ধ করলে লোকটি রেগে মরিচের পানি মাইশার রক্ত মাখা দুই হাতের উপর ঢালতে লাগলো। সাথে সাথে হাতের কাটা জায়গা গুলো মরিচের ঝালে কামরিয়ে ধরলো। মাইশা চিল্লায় উঠে কান্না করতে লাগলো।। আর বললো- আমি আর পারছি না।। দয়া করুন।।। আমাকে ছেড়ে দিন।।।
লোকটি উঠে মাইশার চুলের মুঠি ধরে বললো-
– আমি কাওকে দয়া করিনা।। আমার ভিতর দয়া মায়া নেই।। এখন বল রহিতের সাথে পার্টিতে কি করেছিস।।
মাইশা- আমি কিছুই করিনি সত্যি বলছি। করেছে তো অন্য কেও।।
লোকটি মাইশা কে ছেড়ে দিয়ে অবাক সুরে বললো- কে করেছে?? আর কি করেছে???
মাইশা- আমি জানিনা। তবে আমি কিছু করিনি।
লোকটি মাইশার গালে জোরে একটা থাপ্পড় মেরে বললো- তুই যদি কিছু নাই করিস তাহলে শহর ছেরে পালানোর চেষ্টা কেন করলি।। কেন ভয় পেলি???
মাইশা- কারণ আমি রহিতকে বাচায় নি।।
লোকটি – মানে???,,,,,,,,,, সব খুলে বল যদি বাচতে চাস তো।।। (গম্ভীর সুরে)
বলে লোকটি মাইশার সামনে চেয়ারে শান্ত হয়ে বসলো।।
মাইশা আসতে আসতে বলতে শুরু করলো।।।
মাইশা- ১৫ তারিখে পার্টিতে অনেকই আসছিলো।।। আমি পার্টিতে এসে দেখি রহিত ওর দুই বন্ধু এবং আরো দুইজন ছেলে বসে সবাই জুস খাচ্ছে গল্প করছে।। আমি রহিতের কাছে না গিয়ে অন্য জাগায় বসলাম।। সেদিন রহিতকে অনেক কিউট লাগছিলো। তাই আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন সবাই ওর কাছ থেকে সরে যাবে আর আমি ওর কাছে গিয়ে বসবো।।। প্রায় ঘন্টা খানিক পর ওর বন্ধু রা উঠে চলে গেলো রহিত ওখানেই বসে ছিলো।। সে সময় আমার একটা ফোন আসে আমি কথা বলতে বাইরে যাই। তারপর কথা বলে যখন ভিতরে আসি দেখি রহিতের পাশেএকটা মেয়ে বসে আছে।। আমি ওদের কাছে যাওয়ার আগেই মেয়েটা রহিত কে বললো- রহিত প্লিজ চলো আমার সাথে।। এটুকো তো সাহায্য করতেই পারো।। রহিত ঠিকাছে বলে উঠে সেই মেয়ের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই চলে গেলো।।। আমি ওদের পিছনে আর গেলাম না।। আমি আমার মতো একজাগায় বসে পার্টি ইনজয় করতে লাগলাম। পার্টি যখন প্রায় শেষের দিকে সবাই চলে যাচ্ছিলো।। রাতো হয়ে গিয়েছিলো আমি ঠিক করলাম রহিতের সাথে যাবো।।কিন্তু রহিতকে কথাও দেখছিলাম না।।। আমি তখন ভাবলাম রহিত তো জানে আমি আসবো ও আমার সাথে দেখা না করে চলে যাবে না।।আমি শিয়র।।। আমি কিছুখন অপেক্ষা করলাম দেখি রহিতের কনো খবরি নাই। তাই আমি রহিতকে খুজতে লাগলাম।। আমি পার্টির সেই জায়গা থেকে বের হয়ে একটু ভিতরে যেতেই কারো চিল্লানোর কন্ঠ শুনি।। আমার কাছে একটু অবাক লাগে তাই আমি এগিয়ে যেতে লাগি অল্প কাছে আসতেই বুঝতে পারলাম এটা রহিতের কন্ঠ। ঠিক সেই সময় আমার ফোনে কল আসে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে।। আমি ফোন রিসিভ করে কানে ধরতেই আমার খালা বললো- তোর মা স্টোক করছে তারাতারি হাসপাতালে আয়।। সেই সময় আমার মাথা আর কাজ করছিলো না।।। কারণ এই পৃথিবীতে আমার মা ছাড়া আর কেও নেই।। তখন আমি আর কিছু না ভেবেই স্বার্থপর এর মতো নিজের মার কাছে চলে যাই।।
বলে মাইশা কান্নাই ভেঙে পরে। এবং কাদতে কাদতে বলে- আমি হয়তো পারতাম রহিত কে বাচাতে কিন্তু আমি স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম।। হ্যা আমি ভুল করেছি।। অনেক ভুল করেছি হয়তো।। সেদিন রহিতকে বাচালে হয়তো আজ রহিত আমাদের সাথেই থাকতো।।।
বলে মাইশা কাদতে কদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।
পরেরদিন,,,,,
মাইশা চোখ খুলে নিজেকে বিছানার উপর পেলো।। মাইশা চমকে উঠে বসতে লাগলে মাইশার মা মাইশাকে শুতে বলে।। মাইশা তার মাকে দেখে খুব খুশি হলো এবং মাকে ঝাপটে ধরে কান্নায় ভেঙে পরলো।।।। মা মাইশাকে শান্ত হতে বললো।।
মাইশা- মা আমি এখানে কি ভাবে আসলাম???
মা- কেও হাসপাতালে ফোন দিয়ে তাদের বলেছে তুই রাস্তার উপর পরেআছিস। তারপর হাসপাতাল থেকে লোক গিয়ে তোকে নিয়ে এসেছে।।।
মাইশা- মা আমাদের গাড়ির ড্রাইভার???
বলতেই পুলিশ আসলো।।।
এসআই- আপনাদের গাড়ির ড্রাইভার ঠিকাছে।।। আপনাদের ড্রাইভার বলেছে উনি রাস্তার মাঝখানে কালো পোশাক পরে কাওকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছে। উনি গাড়ি ব্যালেন্স করতে নাপেরেই এক্সিডেন্ট টা হয়েছে।। আমাদের মনে হয় এটা সেই লোকটা যে সবাইকে মারছে।। এখন আপনি বলুন।।।
মাইশা- জি আমাকে সেই লোকটাই ধরেছিলো।।।
এসআই- উনার চেহারা দেখেছেন??
মাইশা- না উনার মাথা পর্যন্ত কালো কাপড়ে ঢাকা। চেহারা দেখতে পাইনি।
এসআই- কেন আপনাকে ধরে ছিলো কি বলেছে আমাকে দয়া করে সব খুলে বলুন।। না হয় আমি কাওকে বাচাতে পারবো না।। জানিনা লোকটা আর কাকে কাকে মারবে।।।
মাইশা সব খুলে বললো।।
এসআই- মিস মাইশা আমরা যখন ইনভেস্টিগেশন এ আসছিলাম তখন একবার যদি এই কথা গুলো বলতেন।। তাহলে হয়তো এমন দিন দেখতে হতো না আপানাকে।।
মাইশা কান্না করতে করতে বললো- আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম স্যার।।
এসআই কনস্টেবলের দিকে তাকিয়ে বললো- সময় নষ্ট করাটা ঠিক হবে না।। এখুনি চলো সেই বারে যাবো যেখানে পার্টি হয়েছিলো।।।
বলে দ্রুত বের হয়ে চলে গেলো।
পুলিশ চলে আসলো সেই বারে।। পুলিশ একদিক দিয়ে ভিতরে ঢুকলো আরেক দিয়ে সেই লোক এবং মিরা এক সাথে বের হয়ে আসলো।।। পুলিশ ভিতরে গিয়ে দেখলো বারের ম্যানেজার এবং অরো অনেকেই ভয়ে আদমরা অবস্থা।।।
এসআই এর বুঝতে আর দেরি হলো না যে সেই লোক এখানে আসছিলো।। এসআই রেগে মেঝের উপর জোরে পা বারি দিয়ে শীট বলে উঠলো।।।
এসআই- ম্যানেজার সাহেব সব খুলে বলুন।।
ম্যানেজার ভয়ের সুরে বললো- স্যার আমি ওয়েটার দের সাথে কথা বলছিলাম।। এমন সময় পিছন থেকে কেও আমার মাজায় পিস্তল ধরে আসতে আসতে বললো- এটা খেলনা না।। যদি চিল্লানোর চেষ্টা করিস। এখানেই তোর চেপ্টার এখানেই ক্লোজ করে দিবো।। আমি ভয়ে নড়াচড়াই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।। লোকটি আমকে বললো- আমার একটা ভিডিও ফুটেজ লাগবে আমাকে তোদের কন্ট্রোল রুমে নিয়ে চল।। আমি ভয়ে লোকটিকে আমাদের কন্ট্রোল রুমে নিয়ে গেলাম।
এসআই- ওর সাথে কেও ছিলো???
ম্যানেজার- জি ছিলো।।
এসআই- চেহারা দেখছেন??
ম্যানেজার- না স্যার দুইজনায় একি পোশাক পরেছিলো পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো পোশাক।।
এসআই- আপনাদের বাইরে ভিডিও ক্যামেরা আছে??
ম্যানেজার – আছে স্যার।।
এসআই- চলুন আমাকে কন্ট্রোল রুমে নিয়ে চলুন।
ম্যানেজার এসআইকে কন্ট্রোল রুমে নিয়ে আসলো। এসআই ভিডিও দেখতে লাগলো।।। বাইরের ক্যামেরার ভিডিও ভালো করে দেখলো কিন্তু কথাও কালোপোশাক পড়া কাওকে দেখলো না।।
এসআই- কথাও নেই।। কি ভাবে খুজবো ওদের। উফফ।।। আচ্ছা ম্যানেজার সাহেব ১৫ তারিখে আপনাদের বারে একটা পার্টি হয়েছে।।
বলতেই ম্যানেজার বললো-
ম্যানেজার – জি স্যার সেই ১৫ তারিখের সব ভিডিও ফোটেজ নিয়ে চলে গেছেে।।।
এসআই- এটা মনে করছিলাম শিট।।। (একটু রেগে) আচ্ছা সেই পার্টিতে এই ছেলের (রহিতের ছবি বের করে বললো) সাথে কি হয়েছিলো বলতে পারবেন???
ম্যানেজার – স্যার আমি কিছু বলতে পারবো না।।
এসআই- ম্যানেজার সাহেব এক কাজ করুন ১৫ তারিখে সেই পার্টিতে যেই ওয়েটার বয় গুলো কাজ করেছিলো।। তাদের আসতে বলুন আমি তাদের সাথে কথা বলবো।।
ম্যানেজার- ওকে স্যার।।।
এদিকে সেই লোক আর মিরা একটা ফাকা জাগায় গিয়ে গাড়ি দাড়া করালো।।
মিরা লোকটির দিকে তাকিয়ে বললো- এবার আমরা নিয়ে নিশ্চয় আসল দোষিকে পাবো আকাশ।।
আকাশ মুখ থেকে মাস্ক খুলে মিরার দিকে তাকিয়ে বললো- তোমাকে ধন্যবাদ মিরা।।।
মিরা মুচকি হাসলো।।।
”
”
”
”
আসুন বলি মিরার সাথে আকাশ কি ভাবে মিলিত হলো।
অতীত,,,,,
রহিতের মৃত্যুর তিন দিন পর।। এক রাতে মিরা ছেলেদের বেশ নিয়ে বয়েজ হস্টেলে ঢুকলো রহিতের মৃত্যুর পিছনে কনো প্রুভ পুলিশের চোখ থেকে ছাড়া পরে গেছে কিনা তাই দেখতে।। রিমা রহিতের রুমের সামনে এসে এদিক ওদিকে তাকালো দেখলো কেও নেই।। মিরা খুব সাবধানে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করতেই পুরা রুম ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে গেলো।। মিরা পকেট থেকে ফোন বের করতেই কেও মিরার মুখ চেপে ধরলো। মিরা ভয়ে পা আছড়া আছড়ি করতে লাগলো।। এবং তার মুখের থেকে হাত সরানোর চেষ্টা করলো। যে মিরার মুখ চেপে ধরেছিলো সেই ফোনের লাইট অন করে মিরা কে ছেড়ে দিলো। মিরা ঘুরে তাকাতেই দেখলো আকাশ।। মিরা আকাশ কে দেখে একদম অবাক হয়ে গেলো।।।
মিরা- তুমি এখানে??? তুমি তো রহিতের বন্ধু তাই না।। তুমি এখানে কি করছো??( কপাল কুচকে)
বলতেই আকাশ পিস্তল বের করে মিরার দিকে ধরলো। মিরা ভয়ে চুপসে গেলো।।।
আকাশ – আমারো একি প্রশ্ন তুমি এখানে কি করছো?? রহিতের মৃত্যুর আগে কনো প্রুভ ছেড়ে গেছে কিনা সেটা দেখতে এসেছো?? তাহলে তুমি কি রহিত কে মেরেছো??
মিরা উত্তেজিত হয়ে বললো- তুমি কি পাগল।। আমি রহিত কে কেন মারতে যাবো!! হ্যা আমি এসেছি এখানে রহিতের মৃত্যুর প্রুভ খুজতে।।। কিন্তু সেটা নষ্ট করতে না।।। প্রুভ যদি পাই তাহলে পুলিশকে দিবো এই জন্য এসেছি।।
আকাশ- আমিও এখানে প্রুভ খুজতে এসেছি।।। তবে পুলিশকে দেওয়ার জন্য না।।
মিরা- মানে??? (বিভ্রান্ত চোখে)
আকাশ- আমি রহিতের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চায়।। আমি জানি রহিত আত্নহত্যা করার মতো ছেলেনা। ওর সাথে নিশ্চয় খুব খারাপ কিছু হয়েছে।। আমি সেটা বের করবো এবং নিজের হাতে সেই সবাইকে শাস্তি দিবো যারা রহিতকে মৃত্যুর দিকে আগিয়ে দিয়েছে।।
মিরা- আমিও রহিতের মৃত্যুর প্রতিশোধ চায় আকাশ।। আমি এই কাজে তোমার পাশে থাকতে চায়।।।
আকাশ- ঠিকাছে।। (বলে দুইজন হাত মিলালো)
বর্তমান,,,,,,
মিরা- আমরা আমাদের লক্ষের অনেক কাছে চলে এসেছি আকাশ।
আকাশ- হমম।।
মিরা- চলো ভিডিও ফুটেজ টা দেখা যাক।।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,Continue,,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।