revenge #part_9

0
807

#revenge
#part_9
#sabiha_kh

মিরা গিয়ে ব্যাগ থেকে দড়ি বের করে দুইজনকে বাধলো।। এমন সময় পুলিশের গাড়ির শব্দ।। মিরা চমকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো- পুলিশ চলে এসেছে এখন!!!!!





লাইলা মমি পুলিশের কথা শুনে একটি আশার আলো দেখতে পাই।। লাইলা মমি জোরে চিৎকার করতে লাগে।। আকাশ রেগে লাইলা,মমির মাথায় পিস্তল দিয়ে আঘাত করে। দুই জানায় জ্ঞান হারায়।।।

আকাশ মিরার দিকে তাকিয়ে উত্তেজিত সুরে বললো – দ্রুত করো মেয়েটার ফোনটা আগে নাও।।

মিরা তারাতারি লাইলার ফোন পকেটে ঢুকিয়ে নিলো।।

মিরা- আকাশ বাড়ি পিছন দিয়ে বের হওয়ার নিশ্চয় কনো দরজা থাকতে পারে।।

আকাশ – হমম ঠিক বলেছো।। তুমি এখানেই দাড়াও আমি দেখে আসছি।।

বলে আকাশ দৌড়ে গেলো বাইরে বের হওয়ার কনো দরজা আছে কিনা দেখতে।। কিন্তু কনো দরজায় পেলো না।। আকাশ কিচেন রুমে গেলো দেখলো খোলা জানালা।। আকাশ দৌড়ে এসে মিরা কে বললো- বাড়ির পিছন দিয়ে বের হওয়ার কনো দরজা নেই।। তবে আমার কাছে বুদ্ধি আছে।।।।

এমন সময় দরজা নক করলো পুলিশ।।।

এসআই- মিস লাইলা!! মিস মমি আমরা পুলিশ দরজা খুলুন।। (কনো সারা শব্দ আসলো না)

এসআই কয়েক বার দরজা ধাক্কালো। কিন্তু কনো লাভ হলো না।।

কনস্টেবল – স্যার মনে হচ্ছে ভিতরে কেও নেই”!!

এসআই- বলাই যাবে না। দরজা ভাঙে ফেলো।।।

কনস্টেবল আরো দুইজন মিলে দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙে ফেললো।।। এসআই এবং কনস্টেবলরা সবাই ভিতরে ঢুকে দেখে পুরা বাড়ি একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার। সবাই নিজের নিজের ফোন বের করে লাইট অন করলো এবং আসতে আসতে ভিতরে গেলো।। দেখলো বাড়ি একদম ফাকা।।

কনস্টেবল – স্যার বলেছিলাম না কেও নেই।।

এসআই- এটা কি ভাবে হয়। আমরা তো ওদের ফোন ট্র্যাক করে এই লোকেশান টাই পেয়েছি।। এক কাজ করো এই বাড়িটা পুরা ভালোভাবে সার্চ করে দেখো কিছু পাও নাকি।।

কনস্টেবল – ওকে স্যার।।।

কনস্টেবল বাড়ি সার্চ করে দেখতে লাগলো এদিকে এস আইও সব খুটে দেখতে লাগে। এস আই কিচেন রুমে আসে। মিরা আকাশ কিচেন রুমের বাইরে বৃষ্টির মধ্যে দেওয়ালে সাথে মিশে দাড়িয়ে আছে মিরা ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।।।

এসআই কিচেন রুমের জানালার দিকে তাকায় দেখে জানালা ভিরানো। এসআই যেই জানালা খুলতে যাবে ঠিক সেই সময় কনস্টেবল স্যার বলে ডাক দিলো।।। এসআই জানালা আর না খুলে দ্রুত কিচেন রুম থেকে বের হয়ে গেলো।।
আকাশ জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখে এসআই চলে যাচ্ছে।। মিরা আকাশের জ্যাকেট টেনে ধরলে আকাশ মিরার দিকে তাকিয়ে ফিস ফিস করে বললো- সব ঠিকাছে।।

এসআই- কিছু পেলে???

কনস্টেবল – না স্যার শুধু এই ফোন পেয়েছি।।

এসআই- এই বাড়িতে দুইটা মেয়ে ছিলো।। ফোন ও দুইটা হওয়ার কথা।। তাহলে একটা কেন।।

কনস্টেবল- স্যার আমার মনে হচ্ছে মেয়ে দুইটা পালিয়ে গেছে ওরা হয়তো জানতে পেরেছে আমরা আসবো।।

এসআই- তোমার মাথায় কি গবর আছে।। ওরা খুব ভালো করে জানে বাইরে ওরা সেফ না।। পালানোর তো কনো চেষ্টাই করবে না।। তাহলে কি,,,,,,,

বলতেই এসআই এর ফোনে কল আসে।। এসআই ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো।।

এসআই- হ্যালো!!

– স্যার নদীর তীরে থেকে ২ টা লাশ পাওয়া গেছে। আপনি তারাতারি আসুন।।

এসআই- হমম আমি আসছি।।।( বলে ফোন কেটে দিলো) চলো সবাই।।।

আকাশ পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়ার পেলো।।

মিরা- চলে যাচ্ছে মনে হয়।।

আকাশ- হম চলো।।

আকাশ মিরা কিচেনরুমের জানালা খুলে ভিতরে ঢুকলো।। এবং কিচেন রুমের জিনিস পত্র রাখা বড় বড় দুই ক্যাবিন খুললো দেখলো মমি লাইলা কে যে ভাবে ঢুকিয়েছিলো সে ভাবেই আছে।।

আকাশ মিরার দিকে তাকিয়ে বললো- হাত লাগাও আমার সাথে।।।

মিরা আকাশ দুইজন মিলে লাইলা মমিকে বের করলো ক্যাবিনের ভিতর থেকে।।

মিরা হাপিয়ে গিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে ফেলতে বললো-

মিরা- তুমি খুব বুদ্ধি মান আকাশ লাস্ট টাইমে যদি এই বুদ্ধি টা না বের করতে তাহলে আজ দুজনায় ধরা পরে যেতাম।৷ ভাগ্যিস তুমি মেঝের রক্ত গুলা পরিষ্কার করে ফেলে ছিলে। নাহয় আজ একদম হয়েছিলো।।।

আকাশ মিরার দিকে তাকিয়ে বললো- আমাকে তুমি কি ভাবো??? আমি কে তুমি জানো না!!!!

ঘন্টা খানিক পর,,,,,

লাইলার জ্ঞান ফিরলো৷ সে দেখলো তার দুই হাত চেয়ারে খাচের ভিতরে ঢুকানো। পা ও বাধা।। পায়ের নিচে লোহার চেপটা পাথ।। লাইলা ভয়ে উত্তেজিত হয়ে পাশে তাকাতেই দেখে মমি।। মমি কেও একি অবস্থায় বেধে রেখেছে।। কিন্তু মমির জ্ঞান নেই।।। লাইলা উত্তেজিত সুরে মমি কে ডাকতে লাগলো।। এদিকে আকাশ মিরা ভিডিও ক্যামেরার সাহায্যে আরেক রুমে বসে ওদের দেখছে।।।

আকাশ উঠে দাড়িয়ে বললো- আমার এখন যেতে হবে।। তুমি এখন বাড়ি চলে যাও।। অনেক রাত হয়েছে।।

মিরা- না আমি যাবো না। আমি দেখবো শুনবো ওদের কথা।

আকাশ – শুনতে হবে না তোমার। তুমি চলে যাও।।

মিরা- দেখো আমি জানতে চায় রহিতের সাথে ওরা কি করেছে।।

আকাশ- আমি তোমাকে ফোন দিয়ে বলবো তুমি এখন যাও।।। আর হ্যা আরেকটা মেয়ে বাকি আছে ওই মেয়ের ফোন নাম্বার এই ফোন থেকে নিয়ে (লাইলার ফোন থেকে) নিয়ে লোকেশন বের করে আমাকে খবর দিয়ো।।।

মিরা মন খারাপ করে বললো- ওকে বাই।।

বলে চলে গেলো মিরা।।। এদিকে লাইলা মমিকে ডাকতেই থাকে কিন্তু মমির কনো সারা দেয় না।। আকাশ ডয়ের খুলে তার টর্চার সরঞ্জামের বক্স বের করে নিয়ে সেই রুমে ঢুকে।। লাইলা দেখলো তার বাড়িতে যেই লোকটাকে দেখেছে সেই লোকটাই আসছে।। লাইলা ভয়ে চুপসে গেলো।।। লাইলার বুকের ভিতর ভয়ে কাপতে লাগে।।। আকাশ কনো কথা বললো না এসে টেবিলের উপর বক্স রেখে পানির বতোল খুলে মমির মুখে পানি ছিটা দিলো।। মমি জেগে উঠলে আকাশ চেয়ার নিয়ে ওদের সামনে বসে।।।

লাইলা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভীত সুরে বললো- আমরা কিছু করিনি সত্যি বলছি।।। প্লিজ আমাদের ছেড়ে দিন।।

মমির চোখ ঝাপসা হয়ে ছিলো। লাইলার কন্ঠ শুনে মমি আদো আদো চোখে লাইলার দিকে তাকালো। দেখলো লাইলা কাদছে এবং মিনতি করে কথা বলছে।। মমি সামনে তাকাতেই দেখে সেই লোক। মমি বড় বড় চোখ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভয়ে জোরে কান্না করে উঠলো এবং উত্তেজিত সুরে বললো- আমরা কিছু করিনি আমাদের ছেড়ে দিন।। দয়া করুন।।

আকাশ বক্স থেকে ছোট দুইটা ছুরি বের করে ছুরির ছুচালো মাথায় হাত দিয়ে দেখতে লাগে।। লাইলা মমি দুইজন দুইজনার দিকে তাকা তাকি করতে লাগে।। দুই জনেরি গলা শুকিয়ে কাট হয়ে আসে। আকাশ চোখ তুলে দুইজনের দিকে তাকায় দেখে দুইজনাই ঢোক গিলছে।। আকাশের চোখের সামনে সেই ভিডিও ফুটেজ ভেসে উঠলো। কি ভাবে ওরা রহিত কে সেই রুমে নিয়ে গিয়েছিলো।।। আকাশের চোখ লালা হয়ে গেলো আকাশ চোখ বন্ধ করে উঠে দাড়ালো।। আকাশের চোখের সামনে শুধু সেই ভিডিও ফুটেজের ভিডিও গুলো ঘুরছিলো। লাইলা মমি আকাশকে হাতে ছুরি নিয়ে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ভয়ে আত্মা শুকিয়ে গেলো।। না জানি ওদের এখন কি করবে।।। আকাশ চোখ খুলেই কনো কথা নেই দুইজানার হাতের মধ্যে দুইটা ছুরি ঢুকিয়ে দিলো। এবং টেনে বের করলো আবার ঢুকিয়ে দিলো। লাইলা মমি জান ছেড়ে চিৎকার দিচ্ছে।।

আকাশ- এই হাত দিয়ে তোরা রহিত কে টেনে ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলি এই হাত দিয়ে কেন? কেন?? ( দাঁত খিঁচিয়ে বলে আর ছুড়ি ওদের হাতের ভিতর ঢুকায় আর বের করে।। এমন সময় আকাশের মুখে রক্ত ছিটে এসে পরতেই আকাশের ধ্যান ভাঙে)

আকাশে চোখ তুলে লাইলা মমির দিকে তাকায় দেখে ওদের আধমরার মতো অবস্থা হয়ে গেছে।। আকাশ ছুরি দুইটা টেবিলের উপর রেখে পানির বতোল নিয়ে পানি দুইজনার মুখে ছুড়ে মারে লাইলা মমি দুইজনাই লাফিয়ে উঠে।।।

আকাশ চেয়ারে বসে এবং শান্ত হয়ে বলে- তোরা কি করেছিলি রহিতের সাথে???

লাইলা মমি কথা বলার শক্তি পাচ্ছিলো না।।। দুইজনি আদো আদো চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে মাথা নরিয়ে বললো- আমরা কিছুই করিনি।।।

আকাশ রেগে দুজনের মুখে ঘুসি মারলো আর বললো- তোরা কিছু করিসনি। কিছু করিসনি তোরা।।৷ মিথ্যা বলিস আমাকে।। দারা বলে ছুড়ি নিয়ে মমির গালে ঠেকিয়ে বললো-

আকাশ- তুই তো প্রথমে রহিতের কাছে গিয়েছিলি।।। বল কি কারণে রহিতের কাছে গিয়েছিলি??? সত্যি বল।।

মমি কাপা সুরে বললো- আমি এমনি গল্প করতে গিয়েছিলাম আমি কিছু করিনি সত্যি বলছি।।

আকাশ রেগে মমির গালে ছুরি দিয়ে এক টানদিলো আর সাথে সাথে মমির গাল কেটে হা হয়ে গেলো।। লাইলা মমির গাল দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো।। আকাশ লাইলার কাছে এসে ছুরি লাইলার ঠোঁটের কাছে ধরে বললো- সি,,,,,,,, একদম চুপ।।।

লাইলা আকাশের লাল বর্ণ চোখ দেখে ভয়ে চুপ হয়ে গেলো।।

আকাশ- তোরা তো দুজনাই তো ছিলি না যে রহিত কে টেনে রুমের ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলি।। কেন নিয়ে গিয়েছিলি কি করেছিস তোরা রহিত কে।। লাইলা মমি একটা কথাও বললো না দুইজন শুধু কেঁদেই যাচ্ছিলো।।।

আকাশ- বুঝেছি তোরা এতো সহজে মুখ খুলবি না।।

বলে আকাশ লোহার দুইটা ক্লিপ লাইলা মমির পায়ের নিচে রাখা লোহার পাতের সাথে আটকে দিলো। মমি লাইলা কিছুই বুঝতে পারছিলো না।

আকাশ গিয়ে চেয়ারে বসলো তার পাশে ছিলো ১২+১২- ২৪ ভোল্টের বড় বড় দুইটা ব্যাটারি।। আকাশ ব্যাটারির নেগেটিভ পজেটিভ এর সাথে দুইটা ক্লিপ লাগিয়ে দিয়ে সুইচ দিলো আর সাথে সাথে লাইলা মমির কারেন্ট সকে লাফাতে লাগলো।। আকাশ ২ মিনিট পর শুইচ বন্ধ করলো।। দুইজনেরি অবস্থা খারাপ দুইজনাই কাপছে।।।

আকাশ- বল কি করেছিস তোরা রহিতের সাথে???

মমি- আমরা সত্যি কিছু করিনি।

বলতেই আকাশ আবার সুইচ দিলো দুজনাই কারেন্টর সকে লাফাতে লাগলো।।। এবার ৩ মিনিট কারেন্ট সক দিলো।।।

আকাশ- এবার তোদের লাস্ট চান্স যদি না বলিশ তাহলে এবার আর তোরা মরা না পর্যন্ত সুইচ বন্ধ করবো না।।।

লাইলা মমির দিকে তাকালো।। দেখলো মমি কাপছে।।
আকাশ- তিন পর্যন্ত গুনবো।।। ১, ২, ৩

বলতেই লাইলা বললো- আমরা রহিত কে সেক্সচুয়ালি রিলেশন করার জন্য ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলা।

আকাশ লাইলার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।। মমি লাইলার দিকে তাকালো।।। আকাশ আর কিছু না বলেই উঠে বাইরে গেলো। এদিকে মমি লাইলার দিকে তাকিয়ে ভয়ে কান্নার সুরে বললো- কেন বললি। ও আমাদের ফেলবে।।।

লাইলা- না বললেও মেরে ফেলতো।। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা।।। (কান্না করে)

এদিকে আকাশ বাইরে দাড়িয়ে রয়লো হঠাৎ তার মনে পরলো কনস্টেবলের বলেছে – স্যার রহিতের শরীরে কোনো অস্বাভাবিক ক্ষত বা চিহ্ন পাওয়া যাইনি। তবে তার পিঠে আচরের চিহ্ন দেখেছে,,।।।

আকাশ দ্রুত গতিতে ভিতরে আসে।। লাইলা মমির আকাশের কাছে আকুতি করে বলতে লাগে। যেন তাদের ছেড়ে দেয়।।

লাইলা বললো- আমরা just ফান করছিলাম আমরা কিছুই করিনি। যা করছে সুরভি করছে।।।

বলতেই আকাশ রিভলবার বের করে দুইজনার মাথায় শুট করলো।। দুজনাই সেখানেই শেষ।

আকাশ চেয়ারে বসে দীর্ঘ একটা শ্বাস ছাড়লো এবং লাইলা মমির দিকে তাকিয়ে রয়লো। লাইলা মমির রক্ত পুরা রুমে মেঝে ছড়িয়ে পরলো।। আকাশ রাগান্বিত সুরে বললো- আমি ছাড়বো না ওই?সুরভিকেও ছারবো না।।।

বলে উঠে চলে গেলো।।।
এদিকে সকালে টিভিতে পেপারে খবর ছরিয়ে গেলো নদীর তীরে যেই লাশ পাওয়া গেছে সেটা (,,,,,,,,,,,,,কলেজের) ইন্টার ফাস্ট এয়ারের দুইজন ছাত্রের তাদের নাম জুবিন, মারুফ তাদের বাবা মা লাশ চিন্হিত করেছে।। ছেলে দুইটার চেহারা একদম বিভস্ত হয়ে গেছে। তাদের খুব খারাপ ভাবে টর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে বুঝা যাচ্ছে।।

মিরা টিভিতে খবর দেখে তার হাত থেকে কফির মগ মাটিতে পরে টুকরা টুকরা হয়ে গেলো।। মিরার মা শব্দ শুনে দৌড়ে এসে দেখে মেঝেতে কফির মগ পরে আছে আর মিরা টিভির দিকে তাকিয়ে আছে।।

মা- কিরে!!!! (মিরা চমকে উঠে তার মায়ের দিকে তাকালো) কফির মগ ফেলে দিয়ে ভেঙে ফেললি। কি এমন দেখছিস টিভিতে??? ( একটু রাগান্বিত সুরে)

বলতেই মিরা তারাতারি রিমোট নিয়ে টিভি বন্ধ করে দিয়ে কাপা সুরে বললো- আসলে মা একটা খবর দেখছিলাম তাই একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম। সরি মা হাত ফসকে পরে গেছে।। আমি এখুনি পরিষ্কার করছি।।

বলতেই মা বললো- দরকার নাই আমি কাজের মেয়েকে বলছি।।

মিরা আর কনো কথা না বলে দ্রুত নিজের রুমে চলে গেলো।।। এবং রুমের দরজা বন্ধ করে বিছানায় আটোসাটো হয়ে বসে ভয়ে কাপতে লাগলো।।

মিরা- আকাশ ওদের জানে মেরে ফেলেছে তাও আবার এতো ভয়ংকর ভাবে??? আমি কনো ভুল করলাম নাতো??

বলতেই মিরার ফোন বেজে উঠলো।। মিরা চমকে উঠে ফোনের দিকে তাকালো দেখলে আকাশ কল করেছে।। মিরা ফোন কেটে দিলো।। আকাশ মিরার ফোন কেটে দেওয়াতে অবাক হয়ে গেলো।। আকাশ আবার কল করলো দেখলো ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে।।

আকাশ- ব্যাপার টা কি হলো?? নাহ্ ভালো ঠেকছে না। দেখতে হচ্ছে।।।

৩০ মিনিট পর,,,,,,

মিরার বাড়তি আকাশ আসলো।।। মিরার মা আকাশকে দেখে অবাক হয়ে বললো- তুমি কে বাবা!!!

আকাশ- আমি মিরার বন্ধু।। মিরা আছে আন্টি??

মা- হমম আছে।। আসো ভিতরে আসো।। তুমি বসো আমি মিরাকে ডেকে দিচ্ছি।।।

আকাশ বাড়ির ভিতরে গিয়ে বসলো। মা গিয়ে মিরার দরজায় ডেকে বললো- তোর বন্ধু এসেছে দেখা করতে বাইরে আয়।।

মিরা নিজেকে শান্ত করে বললো- হমম আসছি মা।।।

মা চলে গেললো মিরা জোরে একটা শ্বাস নিয়ে ছাড়লো।। এবং উঠে আয়নার সামনে আসলো নিজেকে ঠিক ঠাক করলো।। মিরা দরজা খুলে বের হতেই দেখে আকাশ দাড়িয়ে আছে।। মিরা আকাশকে দেখে ভয় পেয়ে গেলো।।। আকাশ মিরাকে এমন ভয় পেতে দেখে বুঝতে পারলো সকালে টিভিতে খবর দেখেছে মিরা।।।

আকাশ- আমি কিছু কথা বলতে চায় মিরা।।

মিরা- তুমি চলে যাও আকাশ।। (ভয়ের কন্ঠে বললো)

আকাশ- হমম যাবো আগে আমার কিছু কথা শুনো।।

মিরা আকাশের কথা না শুনে দরজা বন্ধ করতে গেলে আকাশ দরজার মাঝখানে পা রাখে মিরা ভয়ের চোখে আকাশের দিকে তাকায়। আকাশ দরজা ধরে গম্ভীর সুরে বললো- আমার কথা শুনো।।

বলে আকাশ মিরার রুমে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো।। মিরা ভয়ে পিছনে সরতে লাগে।।

আকাশ- মিরা আমি তোমাকে কিছুই করবো না।। আমি শুধু কিছু কথা বলবো।। দেখো আমি জানি তুমি জুবিন আর মারুফের মৃত্যুর খবর শুনে ভয় পেয়েছো।।

মিরা- ওদের কেন মারতে গেলে??? হ্যা জানি ওরা অপরাধ করেছে তাই বলে তুৃমি ওদের জানে মেরে ফেললে?? (একটু উত্তেজিত সুরে)

মিরার কথা শুনে আকাশের রাগ উঠে গেলো।। আকাশ গিয়ে মিরার হাতের বাজু শক্ত করে ধরে বললো-

আকাশ- আমি ওদের মেরে ফেলেছি সেটা দেখেছো। আর ওরা রহিতের সাথে কি করেছে একবারো ভেবে দেখেছো!!!

মিরা- আকাশ আমার ব্যাথা লাগছে।।( কান্না সুরে)

আকাশ মিরাকে ছেড়ে দিয়ে দুরে সরে দারালো।। মিরা ব্যাথায় কান্না করতে লাগলো।।

আকাশ- সরি আমি ব্যাথা দিতে চায়নি তোমাকে।। দেখো মিরা ওরা রহিতের সাথে যেটা করেছে কাল অন্য একটা ছেলের সাথে এমন করতে পারে।। আমি মনে করি আমি ওদের প্রাপ্য শাস্তি দিয়েছি।। আমি রহিতের প্রতিশোধ চেয়েছি এবং আমি সেটাই করছি।। মিরা বারে ওই তিন মেয়ে রহিতকে কেন টেনে ওই রুমে নিয়ে গেছে কেন জানো?? ওরা রহিতের সাথে সেক্সচুয়াল রিলেশন করতে চেয়েছিলো। ওদের দুইজনার মাথা ওই সুরভি মেয়েটা।। ওই মেয়ে মেন শয়তান।।। আমি কাল রাতে ওদের দুইজনকে মেরে ফেলেছি এবং রাতেই ওদের লাশ মাটিতে পুতে দিয়েছি।।। যার কারণে রহিত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে তুমি কি চাও না তার শাস্তি হোক??? মিরা আমি সুরভিকে ধরতে চায়।। আর তুমি পারো আমাকে সাহায্য করতে।।

মিরা কনো কথা বললো না চুপ চাপ দাড়িয়ে রয়লো।। মিরার চুপচাপ দাড়িয়ে থাকা দেকে আকাশ বললো-

আকাশ- তুমি কি আমাকে পুলিশে দিতে চাচ্ছো???

মিরা চমকে আকাশের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর সুরে বললো- না আকাশ আমি তোমাকে পুলিশে দিতে চায়না। আমিও প্রতিশোধ চায়।।।তুমি ঠিকি বলেছো ওরা যা করেছে ওদের শাস্তিটাও ঠিকাছে।। তুমি দারাও আমি তোমায় সুরভির ঠিকানা দিচ্ছি কাল রাতেই আমি সুরভির ঠিকানা বের করেছি।। ও রাতে ফোন খুলেছিলো। এই নাও সেই ঠিকানা।।।

আকাশ- thank you. মিরা।।

মিরা- আকাশ আমি তোমার সাথে যেতে চায়।।

আকাশ- মিরা আমি যেই শাস্তি দিয় সেটা তুমি দেখে সহ্য করতে পারবা না।।

মিরা- আমি পারবো।। রহিতের আসল দোষিকে আমি নিজের চোখে শাস্তি পেতে দেখতে চায়।।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here