Teenage love,পার্টঃ ১

0
2117

Teenage love,পার্টঃ ১
লেখকঃ Partho

আমি আদিত্য চৌধুরী
পেশায় একজন ছাত্র পড়ি ইন্টারে।
পরিবারে আমি ,মা, বাবা, খালা।
সৃষ্টি কর্তার কৃপায় বাবার যা আছে তাতে আমারা সুক্ষি।
আমার বাবা বলেছে তার টাকা দিয়ে আমার আয়েসি জীবন চলবে না তুমি নিজে থেকে কিছু করে তা দিয়ে আয়েস করিও।
আমিও আমার বাবার ছেলে তার কথা মতো আমিও ক্লাস 10 এর পর থকে বাবার থেকে আর কোন টাকা নেই নি তবে একটা সিক্রেট হলো আমি কিন্তু আমার বাবার টাকা দিয়ে আমার লাইফের ফাস্ট ইনকাম শুরু করেছি। তবে আমি সেটাকে আমর অধিকার মনে করে নিজের বলে চালিয়ে দিয়েছি। সেটা হলো আমার পকেট মানি।
আমি ছোট থেকেই টাকা জমাতে পছন্দ করতাম আর সেই টাকা দিয়েই আমার বিজনেস সুরু করেছি। আর সেটা আমার মা জানতো তা ছাড়া আর কেউ জানতো না।
আর সেটা নবম শ্রেণিতে থাকতেই শুরু করে ফেলেছি আমর তিন বন্ধু মিলে।
এটা হলো আমার ছোট একটা পরিচয় সো আমি আমার পরিবারের আদরের দুলাল।

এবার আসি তার কাছে যাকে নিয়ে আমার গল্পটা লিখা সে হচ্ছে আমার আরেক দুনিয়া অবন্তী।
আমাদের রিলেশন শুরু হয়েছে অষ্টম শ্রেণিতে থেকে টিনেজ লাভ আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিলো একটা কোচিং সেন্টারএ আমার ফাস্ট আফ লাভ ওকে প্রথম দেখায় আমার ভালো লেগে যায়।
ওকে প্রথম যেদিন দেখেছি সেদিন থেকেই আমার জীবন চেইঞ্জ হয়ে গেছে সব কিছু কেমন জানি রঙ্গিন রঙ্গিন লাগতে লাগলো। পরে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম আমার স্কুলে পরে একই ক্লাসে সুধু সিপ্টটিং আলেদা ও সকালে আমি বিকালে।
আর আমাদের পাসের বিল্ডিংএ থাকতো পরে আমি ওর জন্য প্রতিদিন ও যে টাইমে কোচিংএ যেতো আমিও সেই টাইমে জেতাম ওর একটা বান্ধবী ছিলো অত্রিকা ও আবার আমাও বান্ধবী ছিলো ওকে আমি সব খুলে বললাম এর পর ও আমাকে অনেক হেল্প করছে আমার পাসে ওকে বসাতো জায়গা না থাকলে ওর পাস থেকে উঠে আমাকে বসতে দিতো এরকম করে অনেক দিন চলে গেলো এর মধ্যে এই বেইচএর সবাই বুঝে গেছে আমাদের মধ্যে কিছু একটা চলছে অনেকে তো আমাকে দুলাভাই বলে ডাকতো। একদিন আমি কাউকে কিছু না বলে একটা স্টেপ নিয়ে ফেলেছি আর সেটা হলো আমার একটা বইয়ের প্রথম পেইজে A+A
নিচে আবার অবন্তী + আদিত্য লিখে দিছি তবে লেখাটা আমার একটা বন্ধুকে দিয়ে লিখিয়েছি। এটা লিখেছি বাসায় বসে তার পরে কচিনে গি আমি ওর সামনে বসছি যেভাবে প্ল্যান করেছি ঠিক সেই মতোই কজ করেছি যে বইটিতে লেখাটা লিখছি সেটা উপরে রেখে আমি স্যারকে বললাম স্যার আমি আর অমিত একটু বাইরে অমিত আমর বন্ধু দুজনে বাইরে চেলে গেলাম একটা কলম কিনতে ১০-১৫ মিনিট পরে আসলাম সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে চোখ গরম করে আমি বুঝতে দেরি কেরিনি যে আমার প্লান মতোই সব হচ্ছে।
হটাৎ করে স্যারকে কে একটা ফোন দিলো স্যার আমাদের বলো তোমারা একটু বসো আমি আসতেছি হঠাৎ অবন্তী আমার সার্টএর কালার ধরে বইটা বের করে বলো এটা কি হুম।
আমি তো দেখে আকাশ থেকে পরেছি এমন একটা ভান ধরে বললাম এগুলো কি। এটা কে লিখছে আমি কিন্তু এগুলো পছন্দ করি না। ঠাস আমি চুপ হয়ে গেছি এটা আমার প্লানে ছিলোনা আমি আস্তে করে বসে গেছি আর সুন্দর করে আমার অন্য দুই-তিনটা খাতা বের করে ওর সামনে দিয়ে বললাম আপু দেখেন আমার কোন হাতের লাখার সাথে এই লেখার মিল আছে কিনা। ও কিছু পৃষ্ঠা দেখে বলো নাতো আমি বললাম এটা হয়তো আমার কোন বন্ধু ফাজলামো করার জন্য করছে আর আপনি কি না বুঝে না দেখে আকে চর মেরে দিলেন। ওকে নো প্রবলেম মুখটা কালো করে বসে আছি এর মধ্যে স্যার চলে এসেছে আমি তখন স্যারকে বললাম স্যার আমাকে বাসায় যেতে হবে একটু বাবা ডেকেছে।
স্যার ওকে জাও আমি ওইদিন চলে আসছি (আসলে ওদিন ওটা আমারও একটু ইগোতে লেগেছিল আমাকে আমার মা/বাবাও কখনো গায়েহাত দেয়নি।)
সো যেটা গেছে সেটা গেছে ওটা নিয়ে বেশি চিন্তা করে লাভ নেই এটা আমার বাবার কাথা আমাদের সাথে কখনো কোন খারাপ কিছু হলে সেটা নিয়ে বেশি ভাবলে আরো খারাপ লাগাটা বরবে।
তাই আমি ওগুলো ওখানেই ভূলে গিয়ে সামনের চিন্তা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেলাম। আমি পরের দিন থেকে কাচিন এর টাইম চেইঞ্জ করে ফেললাম ২ ঘন্টা পরে যেতাম যেটা আমার আগের টাইম ছিলো এইরকম কিছু দিন জাবার পর হঠাৎ একদিন আমার বেইচে চলে আসলো অবন্তী আমি কোন কথা বললাম না এসে আমার সামনে বসলো আমার পায়ে লাথি মেরে আমার বন্ধু কে বলে ছরি কিছুক্ষন পর আবার একই কাজ তবে এবার আমার দিকে তাকিয়ে কান ধরে আস্তেকরে বলছে ছরি আমি কিছু না বলে পড়া সেষ করে চলে আসতে জবো ঠিক ওই সমায় আমাকে ডাক দিয়ে এই আদিত্য বললাম তো ছরি মাপ কের দে না আমি তো অবাক সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে স্যার আমাকে বলো কিরে আদিত্য ওর সাথে তোর আবার কি হয়েছে আমি বললাম ওকেই জিজ্ঞেস করে দেখন।
স্যার আমাকে অবন্তী বলছে এর জন্য এতো ঢং এর কিছু নেই ওনা হয় একটু বেশি করে ফেলছে চড়টা মরে তো তাই বলে এতো ঢং এর তো কিছু নাই।(আসলে স্যার ওর অবার আত্যিয় হতো আর স্যারও লাভ মেরেজ করেছে তাই হয়তো স্যার এদিক দিয়ে একটু ফ্রী মাইন্ডের।)
যাই হোক আমি স্যার কে বললাম এখানে ঢং এর কি হলো। স্যার বলো এতো নেকামি করতে হবে না যা যা বাসায় যা।
আমি বাসায় চলে বসলাম আমি বাসায় আসার কিছুক্ষন পর দেখলাম অত্রিকা/অবন্তী দুইজনে আমার বাসায় হাজির আমার মাকে বলো অত্রিকা আন্টি কেমন আছেন? মা ভালো তোমারা ওরা দুজনই বলো জি ভালো। আঙ্কেল কোথায়?
মা সে তার কাজে আছে তোমারা বসো আমি চা নিয়ে আসছি। ওকে ধন্যবাদ আন্টি।
মা চলে গেলো চা আনতে। তখন অবন্তী এসে বলো ছরি আর রাগ করিয়েন না প্লিজ এই যে আমি কান ধরেছি বলে ও কান ধরলো আমি তার পরো কিছু বললাম না ও হঠাৎ বলে উঠলো এবার কি পাও ধরতে হবে না কি। আমি দেখেন আপনার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করছে না আপনি চা খেয়ে যান আর হ্যা আমি ওগুলো আনেক আগেই ভূলে গেছি।
অত্রিকা তোরা থাক আমি আসছি বলে আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম আমার সাথে সাথে অবন্তীও আমার পিছন পিছন আসলো আর বলো আমারা সব ভূলে কি বন্ধু হতে পারি আমি সরি আমি যার তার সাথে বন্ধুত্ব করি না। ও বলো ওকে তাহলে আমি যাচ্ছি আমি আমার মা চা নিয়ে আসছে চাটা খেয়ে যান ও তখন বলো খেতে পারি জদি বন্ধু বানান তবে। আমি ব্লক মেইন করছেন। অবন্তী ব্লক মেইন মনে করলে ব্লক মেইন। আমি মার কাছে সম্মান বাচাতে রাজি হয়ে গেলাম।
এর পর থেকে ও প্রতিদিন আমার টাইমেই আসতো তো আবার আস্তে আস্তে আমাদের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো বলতে পারেন এটা রিলেসন তবে এখনো কেউ কাউকে I LOVE YOU বলিনি। এর পর হঠাৎ আমার খালাকে আমাদের ব্যাপারে সব বললাম। আমার খালার সাথে আমি ওনেক ফ্রী তাই তার কাছে আমি সব কিছু সেয়ার করি। খালা ওকে দেখতে চাইলো আমি ওর বাসার ঠিকানা দিয়ে দেই খালাকে। একাই যাবে বলছিলো তার পরো আমি পিছনে পিছনে গিয়েছিলাম।
(আমার খালা যাবে যে সেটা ওকে আগেই বলেছিলাম)
সো আমার খালা পরের দিনই ওর বাসায় গিয়েছিলো তবে সেখানে আরএকটা নতুন ঝামেলা শুরু হলো আমাদের মধ্যে আর সেটা হলো ও আমার খালাকে দেখে ওর বাসার দরজাটা বন্ধ করে দেয়। এটা আমার থেকে অনেক খারাপ লেগেছিলো তবে আমার খালা ব্যাপারটা বুঝেছিলো যে ও লজ্জা পেয়ে এটি করছে। তার পরের দিন আমাকে অত্রিকাকে দিয়ে ওর বাসায় ডাকলো আমি গিয়ে বললাম কি হইছে। হঠাৎ আমার হাতটা টান দিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলো আর বলো আমি ছরি ছরি ছরি ১৫ বার এর উপরে। অবন্তী আসলে আমার লজ্জা লাগছিলো তাই ওরকমটা করছি ছরি।
আমি তখন একটুভাব নিয়ে বললাম মাপ করতে পারি একটা সর্তে। অবন্তী কি সর্ত। আমি বললাম একবর বলো।
অবন্তী কি? আমি ওইটা। অবন্তী ওইটা কি? আমি আমার মাথা বলে আমি চলে আসছি এমন সমায় আমার হাত টান দিয়ে________।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here