Teenage love,পার্টঃ ২
লেখকঃ Partho
সবার কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি একটু দেরি হলো পার্টটা লিখতে।
ও ঘরের মধ্যে টেনে নিয়ে আস্তে করে আমার কপালে একটা কিচ দিয়ে আবার ঠেলে বের করে দিলো।
আমিঃ তো তখন পুরা সেষ জীবন প্রথম কিচ কোন মেয়ের থেকে মনের মধ্যে কেমন জানি সব কিছু উথাল-পাতাল শুরু হয়ে গেছে। তার পর আমি আমার বাসায় এসে পাগল এর মতো নাচ শুরু করে দিলাম আমার খালা তো জানতো কিন্তুু আমার মা এই অবস্থা দেখে খালাকে জিজ্ঞেস করলো ওর কি হইছেরে ও এরক কেন করতেছে আমার খালা বলো কে জানে কি হইছে।
মাঃ কিরে বাবু তোর কি হইছে এরকম নাচতেছোচ কেন।
আমিঃ মা আমি আজ অনেক খুশি অনেক অনেক।
মাঃ কেন কি হইছে তোকে তো এর আগে এত খুশি খুবই কম হতে দেখেছি।
আমিঃ তোমাকে বলা যাবে না।
মাঃ অভিমানী মুখে হুম এখন তো তুই বড় হয়ে গেছিস এখন আর আমার দরকার নাই বলতে বলতে কান্না করে দিলো।
আমিঃ তুমি আসলেই একটু বেশি করে ফেলছো পরে বলবো এখন তুমি আমার মুডটাই নষ্ট করে দিছো বলে আমি চলে আসলাম।
মাঃ কিছুক্ষন পর বাবু তোর মুড ঠিক হইছে।
আমিঃ না।
বল না বাবু আমার কোন কাজএ মন বসছে না যতখন না তুই বলবি।
পরে ভাবলাম যতোখনে মাকে না বলবো মা আমার পিছ ছারবে না। তার থেকে বলে দেওয়াই ভালো।
আমিঃ মা তুমি খালাকে আমার রুমে পাঠাও আমি খালাকে বলে দিতেছি তুমি খালার থেকে শুনে নিও।
মাঃ দারা পাঠাচ্ছি।
খালাঃ কিরে তুই এতো পাগলামি করছিস কেন? তার পার আমি খালাকে সব খুলে বললাম খালা আমার কথা শুনে খালাও খুশি হয়ে গেলোও আর বল্লো আমাদের আদিত্য বাবু এখন বড় হয়ে গেছে।
আমিঃ একটু লজ্জা পেয়েগেলাম। খালা তুমি একটা কাজ করো না আমার জন্য। খালাঃ কি কাজ?
আমিঃ মাকে তুমি বলো আমার লজ্জা করছে বলতে। না বল্লে আমায় ছারবে না মা।
খালাঃ ওরে আমার ঢং কিচ করার সময় এই ঢং কই ছিলো।
আমিঃ আমি কি করছি না কি।
খালাঃ আর বলতে হবে না আমি বলবনি।
পরে খালা মা সব বলে দিলো মাও শুনে খুশি হয়ে গেলো আমার পরিবারে সবাই একটু ফ্রী মাইন্ডের তাই কোন প্রবলেম হলো না শুধু বাবা কে নিয়ে একটু সমেস্যায় ছিলাম তাই মাকে বাবাকে বলতে মানা কেরেছিলাম।
সো আমার পরিবার থেকে কোন প্রবলেম ছিলো না তো ভালোই কাঠ ছিলো আমাদের দিন গুলো।
এর মধ্যে আমাদের আবার টেস্ট পরিক্ষা চলে আসলো তখন এক সাথেই স্কুলে যেতাম একসাথেই আসতাম।
বিপত শুরু হলো আমাদের পরিক্ষা সেষ হওয়ার দুইদিন আগে ওর এক মামা আমাদের একসাথে হাতে হাত ধরে হাঁটতে দেখেছিলো।
ব্যাচ আমাদের গুছানো জীবনটা পুরো বারোটা বেজে গেলো।
তার পর থেকে ওর আর আমার সাথে কোন কথা বলে না দেখা হলেও আমকে এবাউট করে চলে যেত এরকম বেশ কিছু দিন যাবার পর আমি একদিন ওর সাথে দেখা করলাম। তোমার প্রবলেম কি আমার সাথে কথা বলছো না কেন? তখন ও বললো তোমার ফ্যামিলির মতো আমার ফ্যামিলি না। সেটা তো আমিও জানি এই জন্য কি তুমি আমার সাথে কথা বলবা না? দরকার হলে বলবো না। তো তুমি এখন কি চাও আমার সাথে ব্রেকঅপ করে ফেলবে।
ও তখন কোন কিছু চিন্তা ভাবনা না করে সরাসরি বলে দিলো দরকার হলে তাই করবো।
আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। শুধু এইটুকু বলছিলাম তুমি সত্যিই ব্রেকঅপ করতে চাচ্ছো ও আবাও বলো হ্যা হ্যা।
আমি ওকে ভালো থেকো বায়। এর পর আমি বাসায় তেমন কারো সাথে কথা বলতাম না বাইরেও যেতাম না সারা দিন বাসায় শুয়ে থাকতাম লেখা-পড়া ও মন দিতে দিতে পারছিলাম না।
এর পরে আস্তে আস্তে আমি ডিপ্রেশনে পড়ে যাই তার ফলশ্রুতিতে S.S.C ফাইনালে ফেল করি আমার কেরিয়ার স্বপ্ন সব কিছু শেষ হয়ে গেল।
বাসায় বাবাও জেনে গেলো সব এর পর আর কি বাবা মাকে বললো ওকে এখানে না রেখে ওর মেজ চাচার বাড়ি পাঠাই দেও। ওখানে ভালো লাগবে আর s.s.c পরিক্ষাটাও ওখানে থেকে দিয়ে আসুক।
মা রাজি হয়নি কারণ আমি তার একমাত্র সন্তান তা ছারা আমি একা কখনো কোথাও একা থাকি নি ছোট থেকে। বাসার সবাই মাকে অনকে বুঝিয়েছে তার পরো কোন কাজ হয়নি। পরে বাবার জোরাজোরিতে মা না পেরে রাজি হলো আর বলছে আমি ওরসাথে যাবো।
বাবা তুমি ওখানে ১ বছর থাকবা।
হ্যা থাকবো এটা নিয়ে আমাদের পরিবারের এই প্রথম বারের মতে বাবা আর মার সাথে ঝগড়া হয়।
আর তার জন্য দাই একমাত্র আমি। তবে আমকে কেউ কিছু বলছে না এনিয়ে কারন তখন আমার অবস্থা আনেক খারাপ ছিলো। যে আমি সব সমায় বাসাটা উজ্জাই রাখতাম সেই আমি কিনা এখন আর কারো সাথে ভালো করে কথা বলি না ঠিক মতো এটা দেখে আমার পরিবারের সবাই একটু ভেঙ্গে পরেছে তা দেখে আমার আরো খারাপ লাগতে শুরু হলো। কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না দিন দিন আমর মানষিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলো যা একটা পর্যায় গিয়ে আমার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যায়। এর পর শুরু হয়ে আমাদের আর এক কষ্টকার অধ্যায়। আমাকে সুস্থ করার পিছনে বাবার অনেক টাকা চলে যায় পাশাপাশি বাবা আগের মতো ব্যবসায় টাইম না দিতে পারায় ব্যবসায়ও অনেক টাকা লচ হয়ে যা।
এক কথায় আমাদের সুখী পরিবার আজ আমার জন্য দুঃখী পরিবারে পরিবর্তন হয়ে গেছে। এর মধ্যে আমার ঠিক হতে হতে দের বছর চলে গেছে।
আর আমার ট্রিটমেন্ট এর জন্য আমাকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গেছিলো আমার এক চাচা ওখানেই থাকতো তার কাছেই আমারা ছিলাম। আমি ঠিক হবার পর আমাকে নিয়ে আমার পরিবার ওখানেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমার বাবা ওখানে নতুন করে তার ব্যাবসায় শুরু করেছে দেশের সব কিছু কিক্রি করে দিয়েছে।
তখন আমার চাচা আমাদের অনেক হেল্প করছিলো। তার পর আমি ওখানে নতুন করে আবার লেখাপড়া শুরু করে দিয়েছি আমাদের জীবন থেকে ৩ টা বছর চলে গেলো অনেক দিপদের মধ্যে। আমাদের জীবন নতুন করে শুরু হলো নতুন যায়গায়। এর মধ্যে একদিন আমার দাদা মারা গেলো তখন সাবাই দেশে আসবে বলে সিদ্ধান্ত হল কিন্তু আমার মা/বাবা আমাকে ওখানেই থেকে যেতে বলছিল আর আমিও থেকে যেতে চাইছিলাম কিন্তু আমার চাচি আমাকে দেখতে চাইছে অনেক দিন আমাকে দেখেনি তাই। আমি বাধ্য হঈ দেশে আসতে।
এদিকে সমস্যা আরেকটা হয়েছে সেটা হলো আমার দাদা / দাদি আমরা আগে যে বাসায় থাকতাম সেই বাসায় চলে আসছে। আর আমার মা/ বাবা কেউ আমাকে ওখানে নিতে চাইছিলো না।
কিন্তু যেতে হলো। এদিকে আমারও ওকে একটু দেখতে ইচ্ছে করছিলো তাই আমি খালাকে বললাম খালা ওর সাথে একটু দেখা করিয়ে দিবা। খালা আমার এই কথা শুনে বললো তোকে এখনি আবার অস্ট্রেলিয়া পাঠাই দিবো এতো কিছু হবার পরো তোর মন ভরেনি না তুই কি চাস বল আমাদের পরিবারে আমার আগের মত অশান্তি শুরু হোক।
আমি কান্না করে দিলাম বললাম খালা আমি ওর সাথে কোন কথা বলবো শুধু ওকে একটু দেখবো।
খালা আমাকে বললো দেখ আমি তোর ব্যাপার টা বুঝতে পারছি কিন্তু আমার হাত পা বাঁধা আমি কিছু করতে পারবো না।
আমি সব কিছু চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম এখন দেখা করাটা সবার জন্যই খারাপ হতে পারে তা ছাড়াও ডাক্তারও ওর কথা বা ওকে নিয়ে কোন কিছু মনে করতে মানা করেছে এতে নাকি আমার ব্রেন থেকে ওর স্মৃতিগুলো আস্তে আস্তে মুছে যাবে। তাই নিজে নিজেই এই বলে সান্ত্বনা দিলাম যে থাক না কিছু অপূর্ণ ইচ্ছা অপূর্ণ আসা।
চলবে