Teenage_love,পার্টঃ ৪ শেষ পার্ট

0
2128

Teenage_love,পার্টঃ ৪ শেষ পার্ট
লেখকঃ Partho

আমারা সবাই আর কিছু দিন থেকে আবার চলে গেছি উসএ গিয়ে আমি ওই ছেলের খোঁজ খবর নেওয়া শুরুকরলাম যা জানতে পারলাম তাতে আমি অবাক হলাম অবন্তীর থেকে আরো দুই কদম এগিয়ে। তার পর আর কি আমি যা প্ল্যান করেছি সব বেস্তে গেছে। আমার প্লান ছিলো ওর বয়ফ্রেন্ডকে আমাদের কথা বলে আমার মতো ওদেরও ব্রেকআপ করিয়ে দিবো কিন্তুু উপার আলার কি কৃপা ওর জন্য আগে থেকেই পথ তৈরি করে রেখেছে আমার আর কিছু করতে হয়নি।
যাই হোক আমি আমার বন্ধুদের ওর কথা ভাবতে মানা করে দেই। আর আমিও ঐসব পুরনো স্মৃতি থেকে বের হয়ে আসতে চাই। কিন্তুু কি একটা পিছু টানে পারছিলাম না যানি না সেটা কি। পরে রাব্বিকে শুধু বলছি ওর একটু খোঁজ খবর রাখিস তার পর থেকে ও ওর প্রাই খবরই আমকে দিতো।
এরকম করতে করতে আমার মাস্টার্স সেষ করে ফেলেছি। জীবন ভালোই চলছিল হটাৎ একদিন আমাকে রাব্বি বললো ওদের মধ্যে ব্রেকআপ হয়ে গেছে আমি বললাম এটাতো হবারি ছিলো। তখন রাব্বি আমাকে বললো দোস্ত একটা প্রবলেম হয়ে গেছে আমি কি হইছে আবার ও বললো বন্ধু ছেলেটাকে আমরা যতটা খারাপ ভাবছিলাম তার থেকে আনেক খারাপ রে আমি কি করছে ও। আসলে বন্ধু তোকে কথাগুলো বলতে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে। আসল কথা বলবি তুই রাব্বি আসলে ওরা রুম ডেট করছিলো আর ওই সমায় সালায় ভিডিও করে রাখছে আর এখন ওকে ব্লাকমেন করছে কাথা সোনার পর নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি তখন ওকে বললাম তো তুই কিছু করতে পারবি না কি আমি করবো। তখন রাব্বি আমাকে বললো আমি করতেছি তুই চিন্তা করিস না তবে হ্যা বন্ধু তুই ওর জন্য এতো চিন্তা করছিস কেন আমি একটা কথা বললাম বন্ধু ওটা আমার গালফ্রেন্ড আমি নাই বা হোলাম ওর বয়ফ্রেন্ড। এর পরে ওই ছেলেটাকে রাব্বি আর ওর বন্ধুরা মিলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর ভিডিও গুলো ডিলিট করে দেয়। এর পরের আর কোন কিছু আমি জানি না হটাৎ করে একদিন আমার কাছে একটা ফোন আসে আমি রিসিভ করলাম কোন কাথা নাই ওপাশ থেকে।
বুঝে ফেলছি কে।
আমিঃ অবন্তী কেমন আছেন?
অবন্তীঃ কান্না শুরু করে দিছে আর বলছে আমি ছরি।
আমিঃ আরে এটা কোন ব্যাপার না মানুষের দ্বারা একটু আকটু ভূলতো হতেই পারে।
অবন্তীঃ তোমার সাথে যেটা হয়েছে সেটা মোটেই একটু আকটু নয়।
আমিঃ একটা কথা বলি আপনি আমাকে আপনি আপনি করে বলে আমার ভালো লাগবে।
অবন্তীঃ এবার একটু জোরে কান্না করছে।
আমিঃ এখন এরকম কান্না করলে কি হবে বলেন আমি আমার পরিবার এই যে ৩/৪ বছর যে প্রবলেম ফেইস করেছি তা ঠিক হবে বলেন। তা ছারা একটা জিনিস কি জানেন আমি এগুলো আপনার দোষ দিচ্ছি না আমার কপালের দোষ দিচ্ছি হয়তো এটা আমার কপালে লেখা ছিলো আপনার জাগায় হয়তো সৃষ্টি কর্তা অন্য কাউকেও দিতে পাতে তাই আমি এখন এগুলো কি মনে করছি না।
অবন্তীঃ আমরা ভালো বন্ধু হতে পারি না।
আমিঃ কখনো না।
অবন্তীঃ কেন?
আমিঃ আমি আপনাকে জতটা ভালো বাসি ঠিক ততোটাই ঘৃন্য করি হয়তো ঘৃণ্যর পরিমাণ না ভালোবাসার থেকেও বেরে গিয়েছে।
অবন্তীঃ আপনি আমার জন্য এতো কিছু কেন করছেন তাহলে? (আমি বুঝতে পরছি এগুলো রাব্বি বলছে ওকে সব)
আমিঃ আপনার জাগায় অন্য কেউ থাকলেও আমি এটা করতাম।
অবন্তীঃ তো আপনি এখন কি চান?
আমিঃ ভালোবাসা নামক এইসব খেলা থেকে দূরে থাকতে চাই।
অবন্তীঃ অন্য কাউকে ভালোবাসেন না কি আবার?
আমিঃ হ্যা।
অবন্তীঃ কে সে?
আমিঃ সেটা আর কেউ আমি নিজেই নিজেকে।
আর কিছু বলবেন?
অবন্তীঃ হ্যা
আমিঃ কি বলেন একটু তার তারি বলেন।
অবন্তীঃ আমাকে একটা শুযুক দেওয়া যায় না।
আমিঃ ভূল করলে তাকে শুযুক দেওয়া যায় চালাকি করলে তাকে দেওয়া যায় না।
ওকে ভালো থাকিয়েন।
অবন্তী কান্না করছে আমি শুনতে পাচ্ছিলাম কি আর করার আমি ফোনটা কেটে দিলাম আমি ভাবলাম হয়তো এটাই আমাদের সেষ কথা হয়তো আর কখনো কোন দিন দেখাও হবে না। কিন্তু না আমাদের আবার দেখা হয় ১০ বছর পর তখন কার তেমন কিছু হয়নি তাই এখানে বলিনি।

সমাপ্তি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here