the unlimited love❤️,part_6,7

0
2318

the unlimited love❤️,part_6,7
writer_nusrat
part_6

কম্বল নিয়ে টানাটানি করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পরেছি টেরই পায়নি৷ সকাল সকাল মুখে কিছু পরায় ঘুম ভেঙে গেলো আমার৷ ভালো করে চোখ ডলে তাকিয়ে দেখলাম উনি পানি ছিটে দিচ্ছেন আমার ওপর৷ এই লোকটার জন্য আমি শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারিনা৷

“একি আপনি আমার মুখে পানির ছিটে দিচ্ছেন কেনো”

“আমাকে ঘুমাতে না দিয়ে তুমি আরাম করে ঘুমাবে সেটা আমি কিছুতেই হতে দিবো না৷ কাল রাতে তোমার জন্যে শান্তিতে ঘুমাতে পারি নাই৷সম্পুর্ন কম্বল টেনে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলে৷আর এখন আরাম করে ঘুম হচ্ছে৷ ”

“এতই যখন ঠান্ডা লাগে আপনার তাহলে আপনার বাড়ি থেকেই কম্বল সাথে করে নিয়ে আসতে পারতেন৷”

“কেন কেন বাড়ি থেকে কম্বল নিয়ে আসতে যাবো কেন৷ তোমাদের বাড়িতে কী একটাই কম্বল আর নাই”৷

“উহু আছে৷ বাট আম্মু তো একটাই দিসেন”৷

সবার সাথে আনন্দ ফুর্তি করে,উনার সাথে ঝগরা মারামারি করে কেটে গেলো আরও দুইদিন আজ আমাকে আবার উনাদের বাড়িতে যেতে হবে৷ যদিও যেতে ইচ্ছে করছেনা৷ তবুও যেতেতো হবেই৷ মন খারাপ করে বসে আছি আমি আম্মু আর আব্বু এমন ভাবে আমাকে এডভাইস দিচ্ছেন যেনো মনে হচ্ছে এক বছরের বাচ্চাকে কথা বলা শেখাচ্ছেন৷ এটা করুনা ওটা করুনা,,অসহ্য৷

শশুড় বাড়িতে এসেছি আজ তিন দিন হলো৷ গতকাল আদিল আমায় বাসর রাতে চড় দেওয়ার জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাইসে৷ আমিও উনাকে ক্ষমা করে দিসি৷ তবে এই কথাও বলেছেন আমাকে বউ হিসেবে মানবে না৷ না মানলে নাই,, হুহ!!!!!

রুম গোছাচ্ছি এমন সময় আদিল এসে বললেন,, “শুনো আরুহি আজ আমার একজন ক্লাইন্ট এসেছেন আমাদের বাড়িতে৷ তাই তুমি নিচে যাবা না একদম৷ উনি আমাদের বিয়ে সম্পর্কে কিচ্ছু জানেননা৷ বিয়েতে মত ছিলোনা তাই কাউকে তেমন ইনভাইট করা হয়নি এখন যদি উনি জানতে পারেন আমি বিয়ে করেছি তাহলে খুব অভিমান করবে আমার উপর৷ খুব ভালো সম্পর্কতো উনার সাথে তাই৷ ”

“আমিও মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললাম যে আমি যাবোনা৷”

এক ঘন্টা যাবত ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছি৷ উনি সেই যে গেসিলেন এখনও আসেন নাই৷ পাশে তাকাতেই দেখলাম রুবা দাড়িয়ে আছে৷

“একি রুবা তুমি কখন আসলে৷”

“তুমি যখন গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলে তখন এসেছি৷ খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার তাইনা ভাবি”???

“কষ্ট, কষ্ট কেনো হবে৷”???

“এই যে ভাইয়া এত সময় ধরে সোহানি আপুর সাথে বসে বসে গল্প করছে”৷

“সোহানি!!সোহানি আবার কে”???(চিনেও না চেনার ভান করে)

“কেনো ভাবি তুমি জানোনা সোহানি আপু তো ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড৷”

“কিহ!!!সোহানি,ও কোথায় থেকে আসলো, আর উনি যে আমায় বললেন উনার নাকি একজন ক্লাইন্ট এসেছে”৷

“ভাইয়া তোমাকে মিথ্যা কথা বলেছে ভাবি৷ক্লাইন্ট আসলে বাবার সাথে মিট করতে আসতো”৷ কথাটা বলে রুবা ব্যালকনি থেকে নিজের রুমে চলে গেলো৷

“আচ্ছা তাহলে ইনিই হলেন উনার ক্লাইন্ট৷ যিনি আমাদের বিয়ের কথা শুনে অভিমান করবে৷ কচু করবে৷”

অনেক্ষন ধরে ভেবেই চলেছি এই সোহানিকে কী শাস্তি দেওয়া যায়”এই ফকিন্নিকে তো একটা না একটা শাস্তি দিতেই হবে৷
কি শাস্তি দেওয়া যায়?? হুম পেয়েছি”৷

“আস্তে আস্তে কিচেনে গেলাম৷ উকি দিয়ে দেখলাম মা কাপে চা ঢালছেন৷ হুম এটাই সুযোগ হাত ছাড়া করা যাবেনা৷ কিন্তু প্ল্যান সাকসেস করতে হলেতো আগে মাকে কিচেন থেকে বের করতে হবে কি যে করি৷ পাশে থাকাতেই দেখলাম একটা ফুলদানি পরে আছে মাটিতে৷ওটাকে তারাতাড়ি তুলে নিয়ে ছুড়ে মারলাম একটা স্টিলের চেয়ারে৷ স্টিল হওয়ায় খুব জোরেই শব্দ হয়েছে৷ মা তারাতাড়ি বেরিয়ে আসলেন কিচেন থেকে কিসের আওয়াজ হয়েছে দেখার জন্যে৷

“আমিও আর টাইম নষ্ট না করে ঢুকে গেলাম কিচেনে৷এখানে দুটো কাপে চা রাখা আছে৷ একটা আদিলের আরেকটা নিশ্চয়ই ওই ফকিন্নির জন্যে”৷

” নিজের বাড়ি চা নাই তাই আমার শশুড় বাড়িতে আসে চা খাওয়ার লাগি৷”

“তারাতাড়ি গুঁড়া মরিচের বৈয়াম থেকে এক চামচ মরিচ গুঁড়ো নিয়ে ঢেলে দিলাম একটা কাপে৷ তারপর ভালো করে মিক্স করে জলদি সবকিছু টিকটাক করে বেরিয়ে গেলাম কিচেন থেকে৷ আমি বের হওয়ার সাথে সাথে মাও চলে এলেন কিচেনে একটুর জন্যে বেচে গেছি”৷

মা চা নিয়ে উপরে যাচ্ছেন৷ আমিতো ভীষন ভয়ে আছি যদি মরিচের কাপটা আদিলের ভাগে যায় তাহলেতো সব শেষ হয়ে যাবে৷ মা চা টা দিয়ে সোহানির দিকে তাকিয়ে মুখ বাকিয়ে চলে গেলেন৷

আমি আস্তে আস্তে দরজার আড়ালে দাড়ালাম৷ তারপর দরজার ফাক থেকে দেখার চেষ্টা করলাম মরিচের কাপটা কার কাছে যায়৷দরজার ফাক থেকে ওই ফকিন্নির মুখটা দেখা যাচ্ছেনা, নাহলে দেখতাম কেমন বান্দরের চেহারা নিয়ে আমার বরকে পাগল করেছে৷

“একি কোন কাপে মরিচ মিশাইছিলাম সেটাইতে ভুলে গেছি”৷

কিছুক্ষণ পর আদিল একটা কাপ নিলেন তারপর মুখে দিয়ে সোহানির দিকে তাকিয়ে বললেন৷”চা টা খুব মজা হইসে খেয়ে দেখো”৷

কথাটা বলে উনি একটান দিয়ে সম্পুর্ণ কাপ খালি করে ফেলসেন৷ঠান্ডা ছিলো তাই সহজেই চা টা খেয়ে নিলেন”৷

উনার চা খাওয়া দেখে আমি একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লাম৷,,”যাক বাবা আল্লায় বাসাইছে৷ উনার ভাগে মরিচের কাপটা যায়নাই৷”

আদিলের দেখাদেখি সোহানিও একটান দিয়ে সব চা মুখে ঢেলে দিসে৷ সাথে সাথেই ওর চোখ লাল হয়ে উঠেছে ঝালে৷ হাত থেকে কাপটাও ঠাস করে ফ্লোরে ফেলে দিসে৷

“এমা আমার শাশুড়ী মায়ের এতো দামি কাপটা ওই ফকিন্নিটা ভেঙে দিলো”৷ ??

মা আওয়াজ শুনে তারাতাড়ি উপরেই দৌড়ে আসছেন দেখে আমিও সেখান থেকে পালিয়ে গেলাম৷

“বাবা গো বাবা আমি এখান থেকে যাই নইলে সবাই আমাকে সন্দেহ করবে”৷

মা সেই রুমে ঢুকার সাথে সাথেই আমি আবার চলে গেলাম দরজার চিপায়৷ আর শুনতে চেষ্টা করলাম কি হচ্ছে ভিতরে৷ মা এগিয়ে এসে বললেন,,” কি হচ্ছে এখানে”?

আদিলও বললো,,”সোহা কী হয়েছে তোমার,,শরীর খারাপ নাকি”???

“না আদি আমার শরীর একদম ঠিক আছে৷”

“তাহলে তুমি এমন করছো কেন”??

“আদি আমাকে কেউ মারার প্ল্যানিং করছে৷ তাই চায়ের সাথে মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিয়েছে যাতে আমি ঝালে মরে যাই”৷

ঝালের কারনে ভালো করে কথাও বলতে পারছেনা সোহানি৷

“এই মেয়ে এসব তুমি কি বলছো হ্যা,,ঝাল খেয়ে কেউ মরে নাকি৷ আর চায়ে মরিচের গুঁড়ো আসবে কোথায় থেকে আমি নিজের হাতে চা বানিয়েছি৷ বুয়াকে পর্যন্ত বানাতে দেই নাই আর তুমি বলছো তোমার চায়ের সাথে কেউ মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিয়েছে৷ আদিল তুমিতো চা টা খেয়েছো তোমার কি ঝাল লেগেছে”৷

“না মা”৷

“এই মেয়ে সব সময় এই বাড়িতে আসে আমাদের উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার জন্য৷ আজ বলেছে চায়ের সাথে মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিয়েছি আবার কাল বলবে বিষ মিশিয়ে দিয়েছি৷ আদিল এই মেয়েকে বলে দাও যাতে এই বাড়িতে আর না আসে৷ যত্তসব”,,,

কথাটা বলে মা রেগে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন৷

“আদিল আমি আর তোমাদের বাড়িতে আসবোনা”

“আচ্ছা আসিস না আমরা তোর জন্য কাদব নাকি ফকিন্নি,,হুহ!!!!”

“ঠিক আছে সোহা কাল না হয় ক্লাবেই দেখা হবে”৷

“ওকে বেবি বায়,লাভ ইউ”

“এই শাকচুন্নিটা আমার বরকে লাভ ইউ বলছে৷ মন তো চাচ্ছে একে লাত্তি মেরে উগান্ডায় পাঠিয়ে দেই”??

“লাভ ইউ টু৷ কথাটা বলে আদিল সোহানির কপালে একটা কিস করলো৷ দরজার ফাক থেকে এটুকুই দেখতে পেয়েছি আমি৷ চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছি সেদিকে৷”

“আদিল ওই ফকিন্নিকে কিস করলো আবার লাভ ইউ টু ও বললো৷ কই আমি যে তার বিয়ে করা বউ অথচ আমার হাত ধরে ওতো দেখেনা”৷

“মিস্টার আদিল খান,রেডি থাকেন আজ আপনার একদিন কী আমার যত দিন লাগে”৷

চলে এলাম সেখান থেকে এক বস্তা রাগ নিয়ে৷

চলবে,,,,,,,

the unlimited love❤️
part_7
writer nusrat

অনেক্ষন ধরে রুমে বসে আছি আর ভাবছি কি করা যায়৷ উনাকে তো কিছুতেই জিজ্ঞেস করা যাবেনা সোহানি কেন এসেছিল৷ নাহলে আবার আমায় সন্দেহ করবেন৷এসব ভাবনা ফেলে রেখে রুবার রুমে গেলাম৷

“গিয়ে দেখলাম রুবা টিভি দেখছে৷ টিভিতে তখন নাগিন সিরিয়াল চলছে৷ রুবা আমায় দেখে টিভি অফ করে দিলো”

“ভাবি কিছু বলবে”??

আমি হেলেদুলে রুবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম,,তারপর বললাম,,,

“আচ্ছা রুবা একটা সত্যি কথা বলোতো৷ আমি বেশি সুন্দর নাকি ঐ সোহানি”??

“না না ভাবি সোহানি আপুর চাইতে তুমি শত গুন সুন্দর৷ওয়েট তোমায় সোহানি আপুর পিক দেখাইতাসি”

রুবা ফোনে সোহানির পিক বের করে আমার সামনে ধরলো,,,

“এমা এটাতো দেখছি সাদা বান্দরনি৷ না আছে নাকের ডক না আছে মুখের ডক৷ আচ্ছা রুবা তোমার ভাই একে কেমনে পছন্দ করলো”???

“আমিও জানিনা ভাবি৷ ভাইয়া এতো মেয়ে রেখে কেন একেই ভালোবাসলো৷ তাছাড়া এখনতো বাড়িতে একটা সুন্দরী বউও আছে৷ তারপরও কেন এই মেয়ের পেছনে আছে সেটাই বুঝিনা৷”

আমি আর কিছুনা বলে চলে আসলাম নিজের রুমে৷ কিই বা বলবো ওকে৷

“রুমে আসতেই দেখলাম উনি সোফায় বসে আছেন৷”

“একি আপনি কখন এলেন৷ আর ক্লাইন্টে কি বললো”??

উনিও আমতা আমতা করে বললেন,”ওই ডিলের ব্যাপারেই ডিসকাস করতে আসছিলেন৷ আর তুমিই বা এত জিজ্ঞেস করছো কেন”??

উনার এমন মিথ্যা কথা শুনে কিছু বললাম না৷ মুখ ঘুরিয়ে নিলাম৷

ডিনারে বসেছি৷ হঠাৎই বাবাকে বলে উঠলাম,,”বাবা আজ একজন ক্লাইন্ট এসেছিলেন আমাদের বাড়িতে৷ মেইবি আদিলের সাথে দেখা করতে৷”

কথাটা শুনে আদিলের কাশি উঠে গেসে৷ কোনোরকমে পানি খেয়ে কাশিটা বন্ধ করলেন৷

“কী বলছো মামনী৷ ক্লাইন্ট এসেছিলো মানে৷ আজতো কোনো ক্লাইন্ট আসার কথা না৷ আর অফিসে না এসে বাড়িতে আসবে কেনো৷ আর আসলেও আমার সাথে দেখা না করে চলে গেলো কেনো”???

“সেটাতো জানিনা বাবা৷ এসবতো আদিল জানে৷ যেহেতো আদিল উনার সাথে মিট করেছেন”৷

আদিলের দিকে তাকাতেই দেখলাম উনি অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে৷

“আদিল কোন ক্লাইন্ট এসে ছিলো”???

আদিল কিছু বলছেনা মাথা নিচু করে আছে৷

“একি আদিল আমি তোমায় কিছু জিজ্ঞেস করছি বলছোনা কেন???(হাল্কা ধমক দিয়ে)”

আদিল তবু্ও কিছু বলছেনা দেখে রুবাই বলে উঠলো,, “আসলে বাবা আজ কোনো ক্লাইন্ট আসেনি৷ সোহানি আপু এসেছিলো আজ৷”

সোহানি আপুর কথা শুনে বাবা রেগে গেলেন৷ তারপর বললেন,,,

“তোমাকে একদিন নয়৷ অনেকদিন বলেছিলাম যেন এই সোহানি মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক না থাকে৷ তবুও কেনো??আর এখন তোমার বিয়ে হয়েছে বউ আছে৷ তাকে রেখে তুমি অন্য মেয়ের সাথে ছি ছি ছি৷”

মাও বললেন,,,,’শুনো আদিল নারীরা সবকিছু সহ্য করতে পারলেও নিজের স্বামীকে অন্য মেয়ের সাথে দেখলে কিছুতেই সহ্য করতে পারেনা৷”

আদিল খাবার রেখেই রেগে উঠে পরলেন৷ তারপর হনহনিয়ে রুমে চলে গেলেন৷

“আমি বেশ ভালো বুঝতে পারছি আজ আমার কপালে শনি,রবি, সোম,মঙ্গল সব আছে৷”

ডিনার করে ধিরে ধিরে রুমে ঢুকলাম৷ ঢুকার সাথে সাথে উনি আমাকে টান মেরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলেন৷ যেন আমারই অপেক্ষায় ছিলেন৷

“তুমি বাবার সামনে এসব বলতে গেলে কেনো হ্যা??(দাতে দাত চেপে)”

“আমি কি জানি নাকি আপনার সোহানি এসেছিলো৷ যদি আগে বলতেন তাহলে তো আমি আর বলতাম নাকি বাবাকে৷”

“আমি আর কিছু শুনতে চাইনা৷ আমার সামন থেকে চলে যাও তুমি৷(চিৎকার করে)”

“আমি কেন যাবো?আপনি আপানার কুকর্মের জন্য বকা খাইসেন এতে আমার দোষ কোথায়৷ সত্যিইতো আপনি আপনার বিয়ে করা বউ রেখে অন্য এক মেয়ের পিছনে ঘুরেন ছিহ”,,,

“ওহ জাস্ট সেটআপ৷ আগেও বলেছি আর এখনও বলছি আমার যা ইচ্ছে হবে তাই করবো৷ আর স্ত্রীর অধিকার একদম আমার সামনে দেখাতে আসবেনা৷ আমি একটা কেনো হাজারটা প্রেম করবো৷” অসহ্য,,,

উনার এসব কথা শুনে আমার চোখ থেকে অটোমেটিক পানি ঝরছে৷কোনো মেয়েরই নিজের স্বামীর মুখে এসব শুনতে ভালো লাগবেনা৷ আমি চোখের পানি মুছে খাটে গিয়ে শুয়ে পরলাম৷

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম উনি রুমে নেই নিশ্চয় গেস্ট রুমে গিয়ে শুয়েছেন৷

আমি আর দেড়ি না করে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম৷ কিচেনে গিয়ে দেখলাম মা কত্তো রকমের রান্না করছেন৷ কিছুই বুঝতে পারলাম না হঠাৎ এতো রান্না হচ্ছে কেনো তাও মা নিজে রান্না করছেন৷ তাই আর কৌতুহল না দমিয়ে বলেই ফেললাম,,,

“এতো রান্না কেন হচ্ছে গো মা৷ কেউ আসছে নাকি”?

“হুম আসছেতো বটেই৷”

“কে আসছে”???

“আসলে দেখে নিস৷ তার আগে ব্রেকফাস্ট করে নে”৷

আমিও বাধ্য মেয়ের মতো ব্রেকফাস্টটা করে নিলাম৷

সোফায় বসে আছি আর টিভি দেখছি

“হ্যালো এভরি ওয়ান”,,,

হঠাৎ খুব পরিচিত কন্ঠ শুনে চমকে উঠলাম আমি৷ তারপর সামনে যাকে দেখলাম তাকে দেখে ৪৪০ ভোল্টের শক খেলাম৷ আমার সামনে স্বয়ং আহিল দাঁড়িয়ে আছে৷প্রায় দুবছর পর দেখলাম৷ তাই ওকে দেখে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি৷ আর আহিলও আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে৷ হয়তো ভাবতে পারেনি আমি এখানে৷ আর আহিলই বা এখানে কেনো??

আহিল আমায় দেখে দৌড়ে ব্যাগ পত্র সোফায় রেখে এসে জড়িয়ে ধরলো৷ তারপর জিজ্ঞেস করলো,,

“একি রাহি তুই এখানে??হুয়াট এ সারপ্রাইজ”!!

আমিও আহিলকে ছাড়িয়ে বললাম,,

“সেম প্রশ্ন আমারও৷ তুই এখানে কি করছিস???আর এটাতো আমার শশুড় বাড়ি”৷

“এটা তোর শশুড় বাড়ি লাইক সিরিয়াসলি৷ আমি তো তোকে বিয়ে করিনি তাহলে এটা তোর শশুড় বাড়ি হলো কেমনে”???

“তোর ফাজলামি এখনো গেলোনা৷ তাছাড়াও আমি আদিলের বউ তুই বিয়ে করতে যাবি কেন??আচ্ছা এখন বল তুই এখানে কেন আর কেমনে কী”???

“আরে বাবা এটা আমার নিজের বাড়ি৷ আর মিস্টার আদিল খান যদি আপনার বর হয় তো আমি আপনার একমাত্র দেবরজী৷ বুঝলেন ভাবি৷”

“কিহ!!! তুই আদিলের ভাই৷ আমিতো জানতামই না৷ শুধু জানতাম উনার এক ভাই আছে তাও দেশের বাইরে থাকে৷৷ ”

“জী,,এখনতো বুঝলেন ভাবি৷”

“এই তুই এতোক্ষন ধরে আমায় ভাবি ভাবি আর আপনি আপনি করছিস কেনো”???৷

“এমা ভাবিকে কেউ নাম ধরে আর তুইতোকারি করে বলে নাকি৷ পাপ হয় পাপ”৷

“আচ্ছা তাই,,কথাটা বলে কয়েকটা কিল ঘুষি বসিয়ে দিলাম আহিলের পিঠে৷ আর আহিল খিলখিল করে হাসছে৷”

মাকে দারিয়ে তাকতে দেখে আহিলকে ছেড়ে দিলাম৷ মা এগিয়ে এসে বললেন,,,

“একি তোরা এমন মারামারি করছিলি কেনো৷ আর আহিল তুমিই বা কখন এলে৷আর দেখে মনে হচ্ছে অনেক আগের পরিচয় তোদের৷”

আহিল গলা ঝেরে বললো,,

” হ্যা মা আমি এখনি এসেছি৷ রাতের ফ্লাইট ছিলো তাই তারাতাড়ি চলে আসলাম৷আর হ্যা আমরা অনেক আগে থেকেই পরিচিত৷এক সাথে একই স্কুলে পরতাম,কলেজে পরতাম৷ বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলাম দুজন”

মাও খুশি হয়ে বললেন,,,

“যাক এটলাস্ট আমার রুহির একজন ফ্রেন্ড আসলো যার সাথে রুহি এখন মন খুলে কথা শেয়ার করতে পারবে৷ আহিল তুই এখন ফ্রেশ হয়ে নে৷আর রুহি মা আদিলকে গিয়ে বলতো ব্রেকফাস্ট করতে৷ আহিলের সাথে ব্রেকফাস্ট করবে বলে এখনো খায়নি৷ ”

“হ্যা মা ভাইয়া আর রুবাকে দেখছিনা তো??”

“ওরা উপরেই আছে৷ হয়তো এখনও জানেনি তুই এসে পরেছিস”

মায়ের কথা শুনে সিড়ির দিকে তাকাতেই দেখলাম উনি রাগী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন আর নিচে নামছেন৷

“এই লোকটা একটা দিনও আমার দিকে সুন্দর ভাবে তাকায় নাই,,হুহ!!!!

চলবে,,,,,

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here