The unlimited love?,Season_2,Part_12,13
Writer:Nusrat
Part_12
সামান্তা খেয়ে সব কিছু আবার আগের মতো করে রেখে দিয়েছে৷ যেনো সে খায়নি৷ কিচেন থেকে বেড়িয়ে দেখলো আদনান ডাইনিংয়ে বসে একমনে খেয়ে যাচ্ছে৷
একি ভাইয়া তো দেখছি খাবার খাচ্ছে? আর খাবার তো সব কিচেনেই ছিলো৷ তাহলে?
ওহ্ মাই গডন্যাস তার মানে আমি যখন খাওয়ায় মনোযোগ ছিলাম তখন ভাইয়া এখান থেকে খাবার নিয়েছে৷আর আমি বুঝতেই পারিনি৷ আবার খাওয়াও অলরেডি শুরু করে দিয়েছে৷
সামান্তা আর কিছু না ভেবে সিঁড়ি বেয়ে আস্তে আস্তে উপরে ওর রুমে চলে গেলো৷
আদনান একবার তাকিয়ে সেও খাওয়ায় মন দিলো৷
★★★★
বিকেলে ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে সামান্তা৷ বাতাসে তার চুল উড়ছে৷আজ সে চুল বাঁধার চেষ্টা করছেনা৷ দূর আকাশে লাল আভার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে৷ যেনো সে এই মুহুর্তেই লাল আভায় হারিয়ে যাবে৷
ছাঁদে কারও উপস্থিতি টের পেয়ে পিছনে তাকালো সামান্তা৷ আদনান পকেটে হাত গুজে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে আছে৷
দুইজন দু’দিকে মুখ করে ৷ একজন পূর্ব দিকে আরেকজন পশ্চিম দিকে৷
কিছুক্ষণ পর আদনানের মুঠোফোন বেজে উঠলো৷ তাকিয়ে দেখলো জুই কল করেছে৷ আদনান একটা মুচকি হাসি দিয়ে কল রিসিভ করলো৷ সামান্তা ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷তাই আদনানের মুচকি হাসি ওর চোখ এড়ায়নি৷
হ্যালো জুই কেমন আছো?যদিও আমি জানি তুমি ভালো আছো৷
.
হুম তুমি তো আমি ভালো আছি কী না মন্দ আছি সেটাও জানো দেখছি৷
.
হুম জানবো না তা কী করে হয়৷
.
আচ্ছা আদনান তুমি কী এটা আমার সাথে ঠিক করেছো? বিডিতে চলে গেছো আর একবারো বলোনি আমায়?আমার কতো ইচ্ছা ছিলো তুমি যখন যাবে তখন আমিও তোমার সাথে যাবো৷ তা আর হলো কই৷
.
একচুয়েলি জুই একটা কাজ পরে গিয়েছিলো৷ তাই তারাতাড়ি ফিরতে হলো আর তোমাকেও জানাতে পারিনি৷ আর আমার সাথে আসোনি তো কী হয়েছে এবার চলে আসো৷আমাদের বাসায় থাকবে তুমি যতদিন তোমার ইচ্ছা৷আর আমি নিজে তোমায় রিসিভ করতে যাবো৷
.
সত্যিই!!ঠিকাছে আমি এই কয়েকদিনের ভিতরেই আসার চেষ্টা করছি৷ ভালো থাকো কেমন??
কথাটা বলে জুই কল কেটে দিলো৷ আদনান সামান্তাকে জ্বালানোর জন্য ফোন কানে রেখে দিয়েছে আর বেবি জানু করছে৷
সামান্তা আর এক মুহুর্ত না দাঁড়িয়ে চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলো৷
আদনান সে দিকে তাকিয়ে একটু বাঁকা হাসলো৷
সামান্তা খানের জ্বলন হচ্ছে৷ জ্বলো আরো ভালো করে জ্বলো৷ জ্বলতে জ্বলতে শেষ হয়ে যাও৷ এখন কষ্ট লাগছে?? আমারো কষ্ট হতো বাট তুই বুঝিসনি৷ এবার দেখ কষ্ট কাকে বলে৷ এখন থেকে প্রতিনিয়ত কষ্টই পাবি তুই৷ কষ্টই হলো তোর একমাত্র সঙ্গী৷ আমার কথা বিশ্বাস না করার ফল এবার হারে হারে টের পাবি৷
★
রুমে এসে দরজা বন্ধ করে ওরনা একদিকে ফেলে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্না করছে সামান্তা৷
আদনান ভাইয়া এতো তারাতাড়ি চেঞ্জ হয়ে গেলো৷ আমেরিকায় গিয়ে গার্লফ্রেন্ডও পাতিয়ে ফেলেছে৷ ভাইয়া তো আমায় কথা দিয়েছিলো আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসবে না তাহলে আজ আমি যা শুনলাম সেগুলো কী ছিলো??এটা হতে পারেনা আদনান ভাইয়া শুধু আমার৷ তাছাড়াও মেয়েটা তো আমাদের বাসায়ই থাকবে৷ কী করবো আমি৷আমার সামনে ভাইয়া এই মেয়েটাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করবে৷ আর আমি বসে বসে দেখবো??ওহ্ গড এটা কী হওয়ারই ছিলো৷
আমি কেনো এখন কষ্ট পাচ্ছি৷ কম কষ্টতো ভাইয়াকে দেইনি৷ এখন বুঝতে পারছি ভাইয়া কতো কষ্ট পেয়েছিলো৷
আমি আর ভাবতে পারছিনা৷ মাথাটা ভালো মতনই ধরেছে৷ এখন আপাতত কড়া করে লিকারের চা খেতে হবে৷ বাকি কান্না না হয় রাত্রে কাঁদবো৷
সামান্তা কিচেনে চলে গেলো চা খাওয়ার জন্য৷ সেখানে আরুহি আর রিংকি দু’জনে বসে সবজী কাটছে৷ সামান্তাকে দেখে দু’জনেই চেয়ে রইলো ওর দিকে৷ চোখ কেমন ফোলে গেছে ওর৷ সামান্তা দু’জনের দিকে একবার তাকিয়ে ঠাস করে পাতিলটা বসিয়ে দিলো চুলায়৷ এরকম ঠাস ঠুস করে তাকের উপর থেকে চা পাতা নামাচ্ছে চিনি নামাচ্ছে৷ যেনো সব রাগ সে এসবের উপরে ঢালছে৷
সামান্তা আর ইউ ওকে??(আরুহি)
.
হ্যা মামনী আমি একদম ঠিকাছি৷ জাস্ট মাথা ব্যাথা করছিলো তাই চা বসিয়েছি৷ তোমরা কী চা খাবে??
.
না আমরা এখন খাবোনা রান্না বান্না শেষ করে তারপর আমরা খাবো৷ (রিংকি)
.
ওকেহ্৷
.
সামান্তা চা ছেকে কাপে নিতেই আদনানের আগমন৷
“মা চা হবে৷?
.
তোর কী হলো আজ এমন টাইমে চা চাইলি যে??
.
আসলে মা ভেবেছিলাম চা খাবো আর আজকের গোধুলি দেখবো তাই৷
.
সামান্তা বানিয়েছি ওর কাছ থেকে একটু নিয়ে নে৷
.
আমি কারও বানানোটা খাবো না৷ তোমরা যখন বিজি তাহলে আমিই বানিয়ে নিচ্ছি৷
.
আমারও টেকা পড়ে নাই কাউকে হুদাই চা বানিয়ে খাওয়াবো৷ কথাটা বলে সামান্তা একটা ভেঙচি কেটে চলে গেলো৷
অসভ্য মেয়ে৷
.
তা আদনান আজ তুই চা বানাচ্ছিস৷ পারবি তো?? (রিংকি)
.
কেনো ছোট আম্মু আমাকে কী তোমাদের কাছে অকর্মা মনে হয়৷ আমি চা বানাবো আর সবার জন্য৷ সবাই খেয়ে আমার প্রশংসা না করে পারবেনা বলে দিলাম৷
আদনান সবার জন্য বেশি করে দুধ দিয়ে চা বানালো৷ আদিলের মা,বাবা আদিল,আহিল,রিংকি,আরুহি আয়েশা সবার জন্য বানিয়েছে৷ আদিল আর আহিল তো অবাক চোখে আদনানকে দেখছে৷ যে গরম পানি পর্যন্ত করতে পারেনা সে নাকি চা বানিয়েছে৷ ব্যাপারটা হজম করতে বেশ সময় লাগছে তাদের কাছে৷
একি তোমরা আমাকে দেখছো কেনো?? পড়ে দেইখো, দেখার জন্য আরও সময় আছে৷আগে চা খাও নইলে ঠান্ডা হয়ে যাবে৷
.
আয়েশা মুখে চা দিয়ে বললো,,ভাইয়া তুমি খুব মজা করে হরলিক্স বানাও৷ মা তুমি এখন থেকে হরলিক্স বানাবে না ভাইয়া বানাবে৷ ভাইয়া খুব মজা করে হরলিক্স বানায়৷
আয়েশার কথা শুনে সবাই হেসে দিলো৷
“ওই আমি এটা চা বানিয়েছি হরলিক্স না৷
আদনানের দাদীও চা মুখে দিয়ে হেসে ফেললেন,,
দাদু ভাই এটাতো হরলিক্সই৷ এমন মিষ্টি আর দুধ দিয়েছো৷ যাইহোক তুমি প্রথম প্রথম বানিয়েছো তাই এমন হয়েছে পরেরবার ঠিক হবে৷
সামান্তা উপর থেকে সবাইকে দেখছে৷
সবাই কতো সুন্দর হাসছে মাতছে৷ শুধু মাত্র আমি ছাড়া৷ যদি আমি সেদিন ভাইয়াকে বিশ্বাস করতাম তাহলে হয়তো এই হাসি খুসির মাঝে আমিও উপস্থিত থাকতাম৷
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চলে গেলো সামান্তা৷
আদনান সবার দিকে একবার তাকিয়ে বললো,,
আমি তোমাদের একটা কথা বলতে চাই৷
হুম বলো শুনি( আদিল)
একচুয়েলি কাল আমার সব কলেজের ফ্রেন্ডরা আসছে৷ ওরাই আসতে চাইছে৷ এখন তোমাদের পারমিশন ছাড়া তো আমি ওদের আসতে বলতে পারিনা৷ যদি তোমরা বলো তাহলে আমি ওদের বলবো ওরা যাতে চলে আসে৷
.
আরে এটা তো ভালো কথা এটাতে আবার জিজ্ঞেস করার কী আছে৷ ওদের বলে দে ওরা যাতে চলে আসে আমি আর রিংকি সব খাবারের দিক সামলে নিবো৷(আরহি)
.
ঠিকাছে মা আমি এখুনি ওদের বলছি৷
?️?️??️?️
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখলাম সবাই অলরেডি খাওয়া শুরু করে দিয়েছে৷ আমি টেবিলে গিয়ে প্লেটে একটু জেলি আর দু’টো ব্রেড নিলাম৷ আপাতত এটা খেলেই পেট বরে যাবে৷ প্লেট নিয়ে সোফায় চলে গেলাম নাহলে আবার আদনান সাহেব খাবেন না৷
★★★★
সকাল ১২ঃ৪০ এর দিকে গেটের দিকে হইচই দেখে এগিয়ে গেলো সামান্তা৷ গেটে প্রায় ১৫-২০ জন ছেলে মেয়েরা দাঁড়িয়ে আছে৷
ওহ্ তাহলে এরাই হলো আদনান ভাইয়ার কলেজ ফ্রেন্ড৷ মশার পাল কোথাকার৷
আদনান ভাইয়া এগিয়ে গিয়ে ওদের সবাইকে বাড়িতে ঢুকালেন৷ ওরা সবাই এক এক করে সবার সাথে কুশল বিনিময় করছে৷ শুধু আমিই নিরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে যাচ্ছি৷
চলবে,,,,,,
The unlimited love?
Season_2
Part_13
Writer Nusrat
আদনানের এক ফ্রেন্ড জুবায়ের অনেক্ষন ধরে সামান্তাকে দেখছে৷ আর সেটা কেউ না ফলো না করলেও আদনান করছে৷ আদনান এগিয়ে গেলো জুবায়েরের দিকে৷
“হেই ব্রো ওদিকে কী দেখছিস?
.
“না আসলে,,আচ্ছা এই মেয়েটা কে রে ভাই? কী সুন্দর দেখতে৷ কী মায়াবী চেহারা৷ একটু পটিয়ে দেনা ভাই৷
.
“ওদিকে নজর দিস না৷ ওটা আমার জন্য বুক করা৷ তুই বরং অন্যদিকে নজর দে৷
.
“কীহ!!!ও তাহলে তোর,,
.
হ্যা যেটা বুঝেছিস সেটাই৷
.
কিছুক্ষন পর আয়েশা নিচে এলো৷এতো মানুষ দেখে তার চোখ ছানাবড়া৷
“এই যে তোমরা কী বিয়ে বাড়িতে এসেছো??
আয়েশার কথা শুনে সবাই আয়েশার দিকে তাকালো৷ আয়েশা মাথায় দুদিকে ঝুঁটি বেঁধেছে৷ মুখ ফুলিয়ে কোমড়ে দুই হাত দিয়ে কথাটা বললো সে৷
আদনানের ফ্রেন্ড মাহফুজ আয়েশার নমুনা দেখে দাঁত বেড় করে হেসে ফেললো৷
“এই যে দাঁত বেড় করছো কেনো?দাঁত ভেঙে দিবো৷
আয়েশার কথা শুনে মাহফুজ তারাতাড়ি তার মুখ বন্ধ করলো৷ আদনানের আরেকফ্রেন্ড আবির বলে উঠলো,,
“আরে ভাই দেখ দেখ কীরকম গরুর মতো শিং বেঁধেছে৷ পুরাই গরু লাগছে৷ একটা লেজ থাকলে আরও ভালো হতো৷
“আচ্ছা আমাকে মনে হয় গরুর মতো লাগছে আর তুমি যে কবুতরের মতো চুল খাঁড়া করেছো তাতে তোমায় বান্দরের মতো লাগছে৷ আয়েশার কথা শুনে আবির হেহে করে হেসে দিলো৷
“আচ্ছা খুকি জীবনেতো শুনিনি কবুতরের চুল আছে৷ তুমি কোথায় কবুতরের চুল দেখলে৷
.
“আমি দেখেছি বলেই বলেছি৷ এবার বলো তোমরা কী বিয়ে বাড়িতে এসেছো৷
.
না না আমরাতো বন্ধুর বাড়িতে এসেছি৷ বিয়ে বাড়ি কেনো আসবো৷
.
তাহলে চা খেয়ে চলে যাও৷বিয়ে বাড়িতে গেলে ভাত খেতে হয়৷
.
কেন গ তোমাদের বাড়িতে ভাত নেই৷ আমরাতো ভাত খেয়েই যাবো৷ তুম এতো কিপ্টু কেনো৷
.
ওটা কিপ্টু নয় কিপ্টা হবে৷
.
আরে আমিতো আদর করে কিপ্টু বললাম৷ আর তুমি তাহলে স্বীকার করছো যে তুমি কিপ্টা৷
.
আমি মোটেও কিপ্টা নই৷ তোমরা সবাই কিপ্টা৷ জানোনা কারও বাসায় গেলে চিপস, চকলেট নিয়ে যেতে হয়৷ এসব না নিয়েই খাম্বা গুলো চলে আসছে৷
.
ঠিকাছে এরপর তোমাদের বাসায় আসলে চিপস আর চকলেটের দোকান সহ নিয়ে আসবো৷ আর আমাদের যে ভাত খাওয়াবে ওটার জন্য খুঁটা দিয়ো না৷ তাহলে যে মনে অনেক বড় ধাক্কা লাগবে গ৷
.
আচ্ছা ঠিকাছে ঠিকাছে এতো করে যখন বলছো তাহলে আমি খুঁটা দিবোনা৷ কিন্তু হ্যা এটা মনে রাখবে যে আমি কত দয়ালু৷ তোমাদের মতো ভিখারিদের খাবার দিয়েছি৷ হুহ
.
আচ্ছা আচ্ছা মনে রাখবো৷ এখন তুমি আসতে পারো৷
আয়েশা চলে গেলো৷ আবির আদনানের দিকে তাকিয়ে বললো,,
ভাই তোর বোন শেষমেশ আমাদের ভিখারি বানিয়ে দিলো৷
আমি প্রত্যেকদিন ওর জ্বালানো সহ্য করি এবার তোরা একটু সহ্য কর৷ ও একটু বেশিই পাকনামি করে কিছু মনে করিসনা৷
★★★★★
আরুহি আর রিংকি সবাইকে ডেকে লাঞ্চ করার জন্য ডাইনিংয়ে নিয়ে গেলো৷ সামান্তা কিচেনেই দাঁড়িয়ে আছে৷ আরুহি ওকে আদনানদের সাথে বসতে বললো কিন্তু সামান্তা গেলোনা৷ চুলায় একটা পাতিল বসিয়ে দিয়ে পানি ঢাললো৷ নুডলস্ বানিয়ে খাবে সে৷
“একি সামান্তা তুমি ডাইনিংয়ে যাও লাঞ্চ করবেতো৷
.
না মামনী আমি লাঞ্চ করবোনা৷ আমার নুডলস্ খেতে খুব ইচ্ছে করছে তাই নুডলস্ই খাবো৷।
★
খাওয়ার মধ্যেই আদনানের মুঠোফোন বেজে উঠলো৷ জুই কল করেছে৷
“হ্যালো জুই৷
.
হ্যা আদনান তুমি একটু এয়ারপোর্টে আসতে পারবে৷
.
এয়ারপোর্টে!! কিন্তু কেনো৷
.
একচুয়েলি আমি বিডিতে চলে এসেছি৷ তুমিতো বলেছিলে আমাকে নিতে আসবে তাহলে আজ আসবেনা৷??
.
ঠিকাছে আমি আসছি৷
.
কী রে আদনান জুই কী বললো৷
.
ও বিডিতে চলে এসেছে৷ ওকে আনতে যেতে হবে৷ আমি খেয়েই চলে যাবো৷ বেশি সময় তো লাগেনা জাস্ট ২৫ মিনিট৷ তোরাও ওয়েট করিস ওকে দেখে তারপর যাবি৷
আদনান খাবারটা খেয়ে ওর বন্ধুদের রেখেই চলে গেলো৷সামান্তা কিচেন থেকে সব দেখছে৷ আর নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছে৷
কে এই জুই যার জন্য ভাইয়া উনার বন্ধুদের ফেলেও চলে গেলো৷ সেদিন তো এই মেয়েকেই জানু বেবি বলেছিলো৷ আর এই মেয়েইতো আমাদের বাড়িতে থাকবে এখন থেকে৷ভাইয়ার কী সত্যি এই মেয়ের সাথে এফেয়ার আছে৷
★★★★
সামান্তা বিকেলে ছাঁদে ওর ফুল গাছে পানি দিচ্ছে৷ আদনান ফুলের টব গুলো সামান্তার জন্য এনেছিলো৷ অনেকদিন ধরে যত্ন নেওয়া হয়না তবে আজ একটু যত্ন নেওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে তাই সে পানি দিচ্ছে৷ সামান্তা বার বার ছাঁদ থেকে নিচে উকিঁ দিয়ে দেখছে আদনান আসছে কী না৷ ১ ঘন্টা হতে চললো তবুও আসছেনা সে৷ সামান্তার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আদনান চলে এলো৷ সাথে জুইও আছে৷ সামান্তার চোখ ছলছল করছে৷
চলবে,,,,,