#The_Beauty_Of_Love,24,25
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_24
.
.
মাহির উঠে কোলবালিশের মতো মিহু দেখেই যাচ্ছে,, মিহু ঘুমের ঘোরে একটু নড়ে উঠে,,এতে মাহির ভয় পেয়ে যায়,,ভাবে কোলবালিশ এমন ভাবে নড়ছে কেনো,,,মাহির আস্তে আস্তে হাত দিয়ে দেখে এটা কোলবালিশ না,, রুমের লাইট অফ হালকা আলোই একটু বুঝা যাচ্ছে,,,মাহির এবার কম্বল টা টেনে সরিয়ে দেয়,,,আর মিহু দেখে এক চিৎকার দেই,,,
মল”আআআআআআআআআআ,,,!!!!(মাহিরের এমন চিৎকারে মিহু ও ধরফড়িয়ে উঠে সেও ও এক চিৎকার দেই)
“আআআআআআআ!!!!!(মাহির বুঝতে পারে এটা মিহু তাই তাড়াতাড়ি মিহুর মুখ চেপে ধরে)
“তুমি এখানে কি করে আসলে,, আর এখানে কি করছো,,?
“উমমম উমমম
“কি উমমম উমমম করছো কথা বলতে পারো না অন্য সময় তো বকবক করেই যাও এখন কি হলো,,বলো এখানে কি করে আসলে তুমি,,(মাহির নিজের মতো বকবক করছে সে যে মিহুর মুখ চেপে আছে সে দিকে খেয়াল ই নেই)
মিহু চোঁখ দিয়ে ইশারায় হাত সরাতে বলে মাহির বুঝতে পারে তাই তাড়াতাড়ি মুখ ছেরে দেই,, মিহু হাফাতে থাকে,,,
“এখন বলো তুমি এখানে কি করছো? আর আসলেই বা কখন?
“চুপ করেন এটা আমারও বাড়ি আমারও রুম তাই আমি যখন খুশি তখন আসবো তাতে আপনার কি,,,(রেগে)
“আমি কি বলেছি নাকি তুমি আস্তে পারবে না,,
“বেশি বকবক করবেন না ঘুমাতে দিন তো,,,(এই বলে আবার কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল মিহু)
“মাহির হা করে তাকিয়ে আছে মিহুর দিকে,, মাহির ভেবেই পায়না মিহু করতে কি চায়ছে,, এক দিক দিয়ে অনেক খুশি ও মাহির কে মিহু তার কাছে ফিরে এসেছে,,,,মাহির মিহুর কম্বলের ভিতরে ঢুকে মিহু কে জড়িয়ে ধরে,, মিহু মাহির কে ছড়িয়ে দেই,,মাহির আবার জড়িয়ে ধরে,,এবার মিহু রেগে উঠে বসে বলে,,,
“সমস্যা কি এমন কেনো করছেন আপনি ,,দূরে থাকুন আমার থেকে ছুবেন না,,(এই বলে আবার শুয়ে পরলো)
মাহির মিহু কে আবার জড়িয়ে ধরে বলে,,
“একবার যখন আমার কাছে ফিরে এসেছ আমি আর কারো কথা শুনছি না আর কোথাও যেতেও দিবো না বেবি,,(গালে কিস করে)
“আমি কোথাও যাবো না আব্বু,,,
মিহুর কথা শুনে মাহির লাফিয়ে উঠে,, মিহু কেও সুয়া থেকে উঠিয়ে বলে,,
“আব্বু মানে,,,আমি তোমার আব্বু লাগি?(রেগে)
“এখন তো তাই ই লাগেন দেখি বেবি বললেন যে,,,
“আরে এই বেবি আর সেই বেবি এক নাকি,,(রেগে)
“আমার কাছে তো এক,, যারা ঢং করে বাবু বেবি বলে, মেয়েরা আম্মু ছেলেরা আব্বু,,,
“আল্লাহ কি লজিক ওকে আমি আর কখনো বলবো না আমার জান পাখি ই ঠিক আছে,,,(এই বলে মিহু জড়িয়ে ধরে আবার শুয়ে পরলো,,এটা দেখে মিহু কিছু বলতে যাবে তার আগেই মাহির বলে,,,)
“বেশি কথা বললে আরো অনেক কিছু শুরু করবো,,(এটা শুনে মিহু আর কিছু বলে না ঘুমিয়ে পড়ে),
পরের দিন সকালে নাস্তা করে মাহির মিহু কে ভার্সিটিতে রেখে যায়,,যদিও প্রথমে মিহু যেতে চায়নি কিন্তু মাহির যোর করে নিয়ে যায়,,, মিহু ভার্সিটি তে এসে দেখে তিথি মন খারাপ করে বসে আছে,, মিহু তিথির কাছে গিয়ে বলে,,
“কি হইছে তোর পেত্নীর মতো মুখ করে কেনো আছিস?
“মিহু কাল আমাকে দেখতে আসবে বিয়ের জন্য,,,,
“এতো জলদি (অবাক হয়ে)
“হুমম,,
“কি ভাবলি তুই?
“বিয়ে করবো,,(শান্ত হয়ে)
“ভেবে বলছিস তো?
“হুমম আব্বু আম্মু অনেক খুশি তাদের জন্য আমি সব করতে পারি,,,
“ঠিক আছে কাল আমিও আসি তোদের বাড়ি তে,,,
“ঠিক আছে আসিস,,,,
তারপরে আমরা ক্লাস করে বাড়িতে চলে যায়,,,
আহমেদ হাউস,,,
“আমি আর কতো বার বলবো আব্বু আমি এখন বিয়ে করতে চায় না,,,(রেগে বললো নয়ন)
“নয়ন তুমি বলেছিলে মিহু বিবাহিত হলে আমি যা বলব তাই শুনবে এখন কথার বাইরে যাচ্ছো কেনো?
“আব্বু প্লিজ আমাকে যোর করো না,,
“আমি তোমার কোনো কথা শুনছি না আর,, কাল রেডি থেকো আমরা মেয়ে দেখতে যাবো,,আমার কথার বাইরে গেলে তারপর দেখো আমি কি করি,,,,(এই বলে চলে গেলেন রুমে আরিফ আহমেদ)
নয়ন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না কিছুক্ষন ভেবে নয়ন ভাবলো সে যাবে,, মেয়ে দেখতে যাচ্ছে বিয়ে তো আর করতে না,,বলবে পছন্দ হইনি,,,
পরের দিন বিকেলে মিহু তিথির দেওয়া ঠিকানায় তিথির বাড়িতে চলে যায়,,সেখানে দেখে অনেক আয়োজন যেনো কোন রাজার পুত্র আসছে,,,তিথির আম্মু মিহু সঙ্গে কথা বলে তিথি আগেই বলে দিয়েছিল মিহু আসবে,,তিথির আম্মু তিথির রুমে দেখিয়ে দিলে,, মিহু সোজা তিথির রুমে চলে যায়,, দেখে তিথি রেডি হয়ে বসে আছে,,,অনেক সুন্দর লাগছে তিথি কে নীল শাড়ি তে,,,,কিছুক্ষন পরে খবর আসে ছেলের বাড়ির লোক এসে গেছে,,, মিহু তিথি কে নিয়ে তাদের কাছে যাই,,,তিথি কে তাদের সামনে সোফায় বসিয়ে দেই,,,এবার মিহু ছেলের দিকে তাকায়,, ছেলে কে দেখে তো অবাক,,এটা তো নয়ন,,
“নয়ন,,,(অবাক হয়ে)
নয়ন ও এবার মাথা তুলে তাকায় মিহু আর তিথি কে দেখে তো সেই অবাক,, নয়ন ভাবতেও পারে নি তিথি কে তার বাবা পছন্দ করবে আর মিহু ও সেখানে থাকবে,,,,,এই দিকে তিথি ও অবাক সেও ভাবতে পারেনি তাকে দেখতে এই ঝগড়ুটা ছেলেটা আসবে,,,
“মিহু তুমি কি আগে থেকে চিনো নয়ন কে?(প্রশ্ন করে বসলো তিথির আম্মু)
“জ্বি আণ্টি আমার অনেক ভালো ফ্রেন্ড,,,,
নয়ন তিথি মিহু আর কিছু বলে না চুপ থাকে,, নয়নের আব্বু বলে উঠে,,
“আমাদের মেয়ে অনেক পছন্দ হয়েছে,,, আমরা আজি আংটি পরিয়ে দিতে চায়,,,
“খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে না আব্বু,,,(আস্তে করে বলল নয়ন)
“না,,চুপ থাকো তুমি,,,
তিথি নয়নের ইচ্ছা না থাকার সর্তে ও তারা একে অপরকে আংটি পরিয়ে দিলো,,,তিথি উঠে রুমে চলে গেলো মিহু ও সঙ্গে গেলো,,
“তিথি তুই অনেক লাকি যে নয়ন কে জীবন সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছিস,, নয়ন অনেক ভালো ছেলে ,, তুই অনেক সুখী হবি,,,আমার থেকে নয়ন কে কেও ভালো করে চিনে না অনেক উপকার করেছে নয়ন আমাকে,,ওর মতো ছেলে দুটো নেই,,,,
তিথি চুপ করেই শুনলো মিহুর কথা গুলা কিছু বললো না,,, দেখতে গেলে নয়ন খারাপ না তিথির ও পছন্দ হইছে নয়ন কে,,,,,,সব কাজ শেষ করে মিহু বেরিয়ে পড়লো বাড়ির জন্যে,,,রাস্তায় দাড়িয়ে আছে সিএনজি এর জন্য তখনি নয়ন আসে ,, মিহু কে গাড়ি তে উঠতে বললে মিহু ও উঠে পড়ে,,,,
“তিথি তোমার কে হয় মিহু?
“আমার ফ্রেন্ড আমরা একি ভার্সিটি তে পড়ি,,
“এই ঝগড়ু টে মেয়ে তোমার ফ্রেন্ড?
“তোমরা কি একে অপরকে আগে থেকে চিনটা?(অবাক হয়ে)
“হুমম সুইসাইড করতে এসেছিল আমার গাড়ির সামনে,,,(একে একে সব খুলে বলে নয়ন মিহু কে)
সব শুনে মিহু হাসতে হাসতে শেষ,,
“তিথি অনেক বাচ্চা স্বভাবের তবে মন টা অনেক ভালো তুমি ওকে মন থেকে দেখো তুমিও বুঝতে পারবে তিথি কেমন,,,আর তুমিও ভালোবাসতে বাধ্য হবে,,,
“কিন্তু আমি যে অন্য একজন কে খুব ভালো বাসি,,(আনমনে বলে দিলো নয়ন)
“কে সে আর সেও কি তোমাকে ভালোবাসে?
“না সে অন্য কাউকে ভালোবাসে আর সে বিহাহিত,,,
“তাহলে তাকে আর মনে রেখো না নয়ন,,একটা বিবাহিত মেয়ে তার স্বামী কে অনেক ভালোবাসে তার স্বামীর জায়গা অন্য কাওকে দিতে পারবে না,,,একজনের জন্য জীবন থেমে থাকে না,,,,তুমি শুধু শুধু একটা মহৎ পিছে ঘুরে সময় নষ্ট করো না,,, তিথি অনেক ভালো ওকে একবার ভালোবেসে দেখো,,,,,,
নয়ন মিহু কে মাহিরের বাড়ির কাছে নামিয়ে দেই মিহু ও চলে যায়,,, নয়ন কে মিহুর কথা গুলা ভাবাচ্ছে,,,ঠিকই তো বলেছো মিহু,, মিহু মাহির কে ভালো বাসে তাহলে আমি কেনো ওর পিছনে ঘুরছি,,,জীবন তো আর থেকে থাকে না একজনের জন্য,,,আমার এগিয়ে যাওয়ায় ভালো,,,,,
মিহু বাড়িতে এসে দেখে মাহির এখনও বাড়ি তে আসে নি,,,,, মিহু আজ কের সব কিছু মামনি কে শুনতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো,,,,,,এই দিকে মাহির একটা রোড হাতে দাড়িয়ে আছে,,,চেয়ারে বাধা অবস্থায় হাবিব,,,সেদিন থেকেই হাবিব এখানে আছে ওকে ছারে নি,,,আর এখন তো ছাড়ার নাম ই উঠে না কারণ হাবিব রাগের বশে বলে দিয়েছে মাহিরের গাড়ির ব্রেক ফেল সে করেছিল,,,,,,মাহিরের এখন মনে হচ্ছে তাদের গাড়ি তো ঠিক ছিল তাহলে ব্রেক ফেল এর কারণে অ্যাকসিডেন্ট হইছিলো তাদের,,,হাবিব কে মেরে আদ মরা করে দিয়েছে,,,,মাহির বলে আর কি কি করেছিস বলে ফেল নইতো এখনি জান নিয়ে নিবো তোর,,,,হাবিব ভয়ে আবার বলে উঠে,,,
“এই কাজে শুধু আমি না একটা মেয়েও ছিলো আমি শুধু গাড়ি ব্রেক ফেল করেছিলাম,,,যেদিন আপনাদের অ্যাকসিডেন্ট হয় আমি ও বাইক নিয়ে পিছন পিছন যায়,,, দুর থেকে দেখি একটা মেয়ে আপনাকে আর মিহু কে গাড়ি তে নিয়ে চলে গেলো,,,কিন্তু পরে সে কি করেছে আমি যানি না,,,
“কে ছিল মেয়েটা?
“আমি চিনি না তবে দেখলে চিনতে পারবো,,,
মাহির ফোন থেকে একটা ছবি বার করে হাবিব কে দেখায় আর হাবিব বলে হ্যাঁ এই মেয়েটায়,,,মাহির কেনো জানি এর ছবি টাই দেখতে মন হলো,,কিন্তু এটা যে সত্যি হবে মাহির ভাবতেও পারে নি,,,মাহিরের রাগ যেনো সত্যম আকাশে উঠে গেছে ,,রাগে তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে,,,,,,,
চলবে?
#The_Beauty_Of_Love
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_25
.
.
.
মিহু চোঁখ খুলে চারি দিকে তাকিয়ে দেখে অন্ধকার রুমে,,, মিহু বুঝতে পারছে না কি হলো তার সঙ্গে আর এখানেই বা কি করে এলো সে,,, মিহু তো ভার্সিটি থেকে বাড়ি তে আসছিল তাহলে হঠাৎ এখানে এলো কি করে সে বুঝতে পারছে না,,, চেয়ারে বাধা অবস্থায় আছে মিহু রুম টা ঘুটঘুটে অন্ধকার,,, মিহু অন্ধকারে অনেক ভয় পায়,,ভয়ে মিহু কান্নায় করে দেই,,, কে বা কারা এখানে ওকে নিয়ে এসেছে মিহু যানে না,,, মনে প্রাণে শুধু মাহির কে ডাকছে,,,
“মাহির আপনি কই দেখুন না কারা যেনো আমাকে এখানে আটকিয়ে রেখেছে,,আমার অনেক ভয় করছে মাহির আমাকে নিয়ে যান এখান থেকে,,,আপনি তো জানেন আমি অন্ধকার কতটা ভয় পায়,,,নিয়ে যান না এখান থেকে আমাকে,,,,(মিহু কান্না করছে আর নিজে নিজে বলছে এই গুলো)
।।
গতকাল রাতে মাহির অনেক রাত করেই বাড়িতে ফিরে,,ততক্ষনে মিহু ঘুমিয়ে পড়েছিল,,, মাহিরের জন্যে ওয়েট করে করে এক সময় ঘুমিয়ে পরে মিহু,,,,মাহির রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে মিহুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে,,, মিহু গালে কপালে কিস করে নিজে নিজে বলে মাহির,,,
“কাল তোমার জন্য অনেক বড়ো সারপ্রাইজ আছে জান পাখি তুমি সহ্য করতে পারবে তো? কিন্তু তোমাকে যে সহ্য করতেই হবে জান পাখি,,,,
এই বলে মিহু কে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে মাহির,,,,,পরের দিন সকালে মাহির মিহু নিয়ে চলে গেলো ভার্সিটি তে নামিয়ে দিয়ে সে অফিসে যাবে,,, ভার্সিটির কাছে গাড়ি থামালে মিহু নামতে নিলেই মাহির মিহুর হাত ধরে কাছে নিয়ে যায়,, মিহু একটু অবাক হয় কারণ এমন টা আগে কোনো দিন করে নি আজ প্রথম,,,মাহির মিহুর কপালে কিস করে বলে,,,
“আজ তুমি একা বাড়ি তে চলে যেও আমি বা ড্রাইভার কেও আসবে না,,,
“কেনো
“কাজ আছে আমার,,
“ঠিক আছে,,(এই বলে মিহু চলে গেলো ভিতরে)
মাহির মিহুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেই মাহিরের এই হাসিতে যে লুকিয়ে আছে এক রহস্য,, কে জানে মাহিরের মাথায় কি চলে,,কিন্তু ভালো কিছু চলছে না এটা খুব বুঝা যাচ্ছে,,,মাহির গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো,,,এই দিকে মিহু ভার্সিটি তে এসে দেখে কেও আসে নি তিথি অধরা রোদ মাইশা কেও না কাওকে দেখতে পাচ্ছে না মিহু,,,,,তাই মিহুর মন টা একটু খারাপ হয়ে গেলো,,একা একা সব ক্লাস গুলা করে বেরিয়ে এলো মিহু,, দিন টা মিহু র খারাপ ই গেলো ধরতে গেলে কোনো ফ্রেন্ড আসে নি ভার্সিটি,,,একা একা কি ভালো লাগে,, মন খারাপ করে বাড়ির দিকে বেরিয়ে পরলো মিহু,,,,,কিছুটা পথ যাওয়ার পরে একটা সাদা রঙের গাড়ি এসে থামলো ওখান থেকে কিছু লোক বের হয়ে মিহু ক্লোরোফ্রম দিয়ে অজ্ঞান করে দিল তারপর গাড়ি তে তুলে নিলো,,,,,(লেখিকা— সবাই কালো গাড়িতে কিডন্যাপ হই আমি সাদা গাড়ি তে কিডন্যাপ করায় রিকড ভেঙে দিলাম হিহিহিহি ?)
লোক গুলা মিহু কে ধরে নিয়ে একটা রুমে চেয়ারে বেঁধে রাখে,,,রুম টা অন্ধকার করে চলে যায়,,,,,কিছু খন পরে মিহুর জ্ঞান ফিরে,,,,(তার পরের কাহিনী প্রথমে বলেছি)
মিহু কান্না করেই যাচ্ছে তার কেনো যানি মনে হচ্ছে তার মাহির কে সে আর দেখতে পারবে না,, এরা জারায় হক মিহু কে মেরে ফেলবে,,এমন হাজারো কথা ভাবছে মিহু আর কান্না করছে,,,,মনে মনে যতই উল্টা পাল্টা ভাবুক না কেনো মুখে ঠিক একটা কোথায় বলছে,,”আমার মাহির আসবে আমাকে বাঁচাতে আমার কিছু হতেই দিবে না”
হঠাৎ রুমের আলো জ্বলে উঠে,,, এতো খন অন্ধকারে থাকাই হঠাৎ আলো জলায় মিহু চোখ বন্ধ করে ফেলে,,, রুমে কারো আসার শব্দ পেয়ে আস্তে আস্তে মিহু চোখ টা খুলে,,, মাথা নিচু হয়ে ছিলো বলে রুমে প্রবেশকারী দের পা আগে দেখতে পাওয়া যায়,,,দেখে বুঝা যায় একটা ছেলে একটা মেয়ে,,, ছেলেটা ব্ল্যাক প্যান্ট পরে আছে আর মেয়ে টার শুধু হাই হিল ই দেখা যাচ্ছে আর খালি পা বুঝায় যাচ্ছে মডার্ন মেয়ে ছোটো ড্রেস পরে আছে,,,আস্তে আস্তে ওপরে তাকালো মিহু,,,,,ওপরের একটা মুখ দেখে মিহুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো,, খুশি তে বলেই দিলো,,
“আপনি এসেছেন দেখুন না কারা যেনো আমাকে বেঁধে রেখেছে,,, আমার অনেক ভয় করছিলো জানেন কিন্তু আমি জানতাম আপনি ঠিক আসবেন আমাকে বাঁচাতে,,, আমার হাতে অনেক বেথা লাগছে ছাড়িয়ে দিন না আমাকে এখান থেকে,,,,,(মিহু বলেই যাচ্ছে মাহির কে)
হ্যাঁ মাহির এসেছে,, মাহির কে দেখেই মিহু এসব বলছে,,, কিন্তু এতো বকবক করার পর ও যখন মাহির কোনো কোথায় বললো না আর না মিহু কে ছাড়ালো,, তখন মিহু একটু অবাক হয়ে ই মাহিরের দিকে তাকালো,,,মাহিরের দিকে তাকিয়ে পাসে থাকা মেয়েটার দিকে তাকালো মিহু,, পাশের মেয়ে টাকে দেখে মিহুর মুখ টা চুপসে গেলো,,,আস্তে করে বললো,,
“জেরিন,,,,,, মাহির এই মেয়ে এখানে কি করছে আর আপনি দাড়িয়ে আছেন কেনো আমাকে নিয়ে চলুন না এখান থেকে,,,,,
মিহু কথা বলছিলো তখনি যোরে একটা থাপ্পড় পরে মিহুর গালে,, মিহু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মাহিরের দিকে কারণ মাহির তাকে মেরেছে,,, মিহু ভাবতেও পারে নি মাহির মিহু মারবে আর কেনো মারলো সেটাও অজানা মিহুর,,, মিহু কাপা ঠোটে বলে ,,
“আ… আপনি আমাকে মা..মারলেন,,,(কান্না করে)
“হ্যাঁ মারলাম কেনো আগেও তো মেরেছি,,, তোকে তো মেরে ফেলায় উচিত ,,,(রেগে মিহুর মুখ চেপে ধরে বলে মাহির)
“কি হয়েছে আপনার এমন কেনো করবেন আমি কি ভুল করেছি,,,
“তোর সব থেকে বড় ভুল আমার মাহিরের জিবনে আশা,,,এক বছর পর ডিভোর্স হওয়ার কথা ছিল তা কি তুই ভুলে গেছিস নাকি এতো বড়ো বাড়ি টাকা দেখে সারাজীবন থেকে যাবি ভেবেছিস,,,,এই নে পেপার সাইন করে দে আর কিছু দিন পর মাহির আমার বিয়ে ,,,(জেরিন বলে উঠলো রেগে)
মিহু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে শুধু মাহিরের দিকে কেনো যানি মিহুর এই সব বিশ্বাস হোয়না,, কারণ তার মাহির এমন করতেই পারে না ,,,, মিহু এবার বলল,,
“আমি তোমার কাছে কিছু শুনতে চায় নি জেরিন ,,, মাহির আপনি বলুন এই সব সত্যি,,,
মিহুর এমন কোথায় জেরিন রেগে যায় আর অনেক যোরে একটা থাপ্পড় দেই মিহু কে,, প্রথমে মাহিরের থাপ্পর আর এখন জেরিনের থাপ্পর এ মিহুর ঠোঁট কেটে গলগল করে রক্ত পড়তে লাগে,,,,,,
“বেবি তুমি ওকে বলে দাও আমরা বিয়ে করছি,,,(মাহিরের হাত জড়িয়ে ধরে বললো জেরিন)
“ইয়াহ বেবি ,,,আর মিহু জেরিন আমি সত্যি বিয়ে করছি,,,
মিহু মাহিরের কাছে এমন শুনে চোখ থেকে পানি পরেই যাচ্ছে কিন্তু মুখে কোনো শব্দ করছে না ,, সে দেখছে শুধু,,,,,,,,,,,,এই দিকে মাহির ফোন টা নিয়ে কাকে যেনো একটা এসএমএস করে দিলো ,,, আর মিহুর কাছে গিয়ে মিহুর চুলের মুঠি ধরে বললো,,,
“জেরিন বেবি এই মেয়ে বেঁচে থাকলে তো আমার আম্মু কখনোই তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে দিবে না,,, তাহলে এই মেয়ে কে মেরে ফেলবো,,,(জেরিনের দিকে তাকিয়ে বললো মাহির,, মিহু চুপ করে চোখের পানি ফেলে সব দেখেই যাচ্ছে তার যে কিছু বলার শক্তি টুকুও নেই,,,,,,,)
“একদম আমার মনের কথা বলেছো বেশি,, এই মেয়ের বেঁচে থাকার কোনো দরকার নেই,,,আমি তো সেইদিন ই মারতে ছেয়েছিলাম কিন্তু কি করে বেঁচে গেছে কে জানে,,,(রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো জেরিন)
মাহির ব্যাকা হেসে জেরিন কে উদ্দেশে করে বললো,,
“আগেও মারার চেষ্টা করেছিলে মানে,, ?
“আরে বেবি,, যেদিন তোমাদের অ্যাকসিডেন্ট হই যেদিন ভাগ্য বসত আমি গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলাম,,,তোমার গাড়ির অ্যাকসিডেন্ট দেখে বের হয়ে আসি তোমাকে গাড়ি থেকে বের করে আমার গাড়ি তে তুলি,,,, কিন্তু একটু দূরে দেখি এই মেয়েও পরে আছে,,, তাই ওকেও আমার গাড়ি তে নিয়ে নি,, তারপর অনেক ক্ষন যাওয়ার পর মেইন রোডের মধ্যে এই মেয়েকে ফেলে দি,,, কোনো না কোনো এক গাড়ি এসে পিসে দিবে এই ভেবেছিলাম,,, ওখানে ওকে ফেলেই তোমাকে নিয়ে হসপিটালে চলে আসি,,, ভেবে ছিলাম এই মেয়েটা মরে গেছে কিন্তু কই থেকে নয়ন এসে বাঁচিয়ে দিয়েছে,,, নয়ত সেদিনই মরে যেতো এই মেয়ে,,,,,,(জেরিন গলগল করে সব বলে দিলো,, একবার ভাবলেও না পরে কি হবে তার সঙ্গে)
মাহির রাগে হাত মুঠি করে দাড়িয়ে আছে শরীর কাপছে তার রাগে,,,,,জেরিন আবার বলে,,
“কি হলো বেবি মেরে ফেলো ওকে বাঁচিয়ে রেখেছো কেনো এখনও,,,
এটা বলতেই মাহির সজোরে চার পাঁচ টা থাপ্পর বসিয়ে দিল জেরিনের গালে,,,যতক্ষণ না জেরিনের ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে ততক্ষণ মাহির জেরিন কে থাপ্পর মেরেছে,,, মিহুর যেই জায়গা কেটে রক্ত বের হইছে ঠিক সেই জাইগা জেরিনের কেটেছে,,,,, মিহু এখনও চুপ করে দেখছে সব,, কিছুই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে এখানে,,,,,,মাহির জেরিন কে থাপ্পড় দিয়ে বলে,,,
“তোর সাহস কি করে হই আমার জান পাখি কে থাপ্পর মারার,,,সাহস কি করে আমার জান পাখি কে মারার প্ল্যান করার,,,(আরো একটা থাপ্পর দিয়ে)
“এসব কি করছো মাহির আমাকে মারছ কেনো,,তুমি না বললে আমাকে বিয়ে করবে ,,(কান্না করে বললো জেরিন)
“ওটা তো একটা নাটক ছিলো তোর কুকীর্তি সামনে আনার জন্য,, সোজা ভাবে তো তুই শিকার করতি না,,,,,,,,কাল হাবিব কে তোর ছবি দেখিয়ে ছিলাম আর হাবিব বলে ছিলো তুই সেই মেয়ে যে আমাদের অ্যাকসিডেন্ট এর পরে নিয়ে গেছিলি,,,পরে আমি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি মেইন রোডের মধ্যে মিহু কে পেয়েচে নয়ন,,, তাহলে তুই যে এসব করেছিস আমি খুব ভালো করে বুঝি,,, আর কাল রাতে তোর কাছে যায় আর বলি তোকে আমি ভালোবাসি বিয়ে করতে চায়,,আর তুইও রাজি হয়ে গেলি,, করবি নায় বা কেনো এই দিন তার অপেক্ষায় যে তুই ছিলি,,,,, মিহু কে কিডন্যাপ আমি করিয়ে ছি আমি মিহু কে মারার কথা বললে তুই সব টা বলবি আমি আগেই জানতাম আর তাই করলি,,,,,,,,,
জেরিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো,,জেরিন না বুঝে না শুনে সব বলে দিয়েছে এখন কি করবে জেরিন বুঝতে পারছে না,,,জেরিন মাহির কে জড়িয়ে ধরে বলে,,
“মাহির আমি তোমাকে ভালোবাসি তাই এমন করেছি প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও আমি তোমাকে ভালোবাসি,,,,
“রনি ওনাদের ভিতরে নিয়ে এসো,,,(মাহির চিল্লিয়ে বলে)
রনি পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে আসে আর তাদের সঙ্গে হাবিব ও আছে,,,,,এতো খন সব শুনেছে পুলিশ জেরিনের কথা,,বাইরে থেকে,,,এসে হাবিব আর জেরিন কে নিয়ে চলে গেলো পুলিশ ,,,,,মাহির তাড়াতাড়ি মিহুর কাছে গিয়ে মিহুর বাঁধন খুলে দেই,,,খুলেই জড়িয়ে ধরে মিহু কে মাহির,,,আর চোখে মুখে অসংখ্য চুমু তে ভরিয়ে দেই মাহির মিহুকে,,,,,,, এতো খনে মিহু সব কিছু বুঝে গেছে,,,,,,মাহির মিহুর গালে আর ঠোটে হাত বুলিয়ে বলে,,
“খুব লেগেছে তাই না জান পাখি,, সরি গো বাট এটা যে আমার করতেই হতো,,আর কখনো কষ্ট দিব না তোমায়,,,,,,(গালে কিস করে)
মিহুর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আবার মাহির বলে উঠে,,,
“এই জান পাখি কিছু বলো না রাগ করেছো আমার ওপরে কিন্তু কি করবো বলো এইটা ছাড়া যে কোনো উপায় ছিল না আমার কাছে,,,
মিহু সারাদিন না খাওয়াই তারপর বাধা অবস্থায় থেকে দুটো থাপ্পর খেয়ে আর এত কিছু শুনে দুর্বল হয়ে গেছে,,, কোথাও বলতে পারছে না ঠিক মতো,,, তাই মাহিরের মুখে হাত বুলিয়ে আর মুচকি হাসে,,এর দাড়ায় মাহির বুঝে মিহু রাগ করেনি,,,কিন্তু দুর্বল হওয়ার কারণে মিহু অজ্ঞান হয়ে যায়,,, মাহির মিহুর এমন অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায়,,আর তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যায় মিহু কে,,,,,,,,,,,,,
চলবে?