The_Beauty_Of_Love,26,27

1
2089

#The_Beauty_Of_Love,26,27
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_26
.
.
.
মিহু সারাদিন না খাওয়াই তারপর বাধা অবস্থায় থেকে দুটো থাপ্পর খেয়ে আর এত কিছু শুনে দুর্বল হয়ে গেছে,,, কোথাও বলতে পারছে না ঠিক মতো,,, তাই মাহিরের মুখে হাত বুলিয়ে আর মুচকি হাসে,,এর দাড়ায় মাহির বুঝে মিহু রাগ করেনি,,,কিন্তু দুর্বল হওয়ার কারণে মিহু অজ্ঞান হয়ে যায়,,, মাহির মিহুর এমন অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায়,,আর তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যায় মিহু কে,,,,,,,,,,,,,হসপিটালে গিয়ে মাহির চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে,, ডক্টর এসে একটা রুমে বেডে শুয়ে দেই,, মাহির তো মনে হচ্ছে পাগল হয়ে গেছে ডক্টর কেও মানে না চিল্লাচিল্লি করছে,,,,ডক্টর মিহুর চেক আপ করে মাহির কে বলে,,,

“মিস্টার মাহির শান্ত হন প্লিজ আপনার ওয়াইফের তেমন কিছু হয় নি,,,সারাদিন না খেয়ে আর মনে হয় কিছু জিনিসে একটু বেশি ভয় পেয়ে গেছে তাই জ্ঞান হারিয়ে,, একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে,,,,,

ডক্টরের কথা শুনে মাহির যেনো নিজের প্রাণ ফিরে পেলো,,,,তারপর ডক্টর কে বলে,,,

“ডক্টর আমি কি ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারি,,,

“হ্যাঁ অবশ্যই নিয়ে যেতে পারেন,, আর খেয়াল রাখবেন একটু,,,মনে হয় উনি আগেও অসুস্থ্য ছিলো,,,আর হয়তো আজ কিছু হয়েছে যা উনি সহ্য করতে পারে নি,,,,,

“জি ডক্টর আমি খেয়াল রাখবো,,,

এই বলে মিহু কে মাহির আবার কোলে নিয়ে চলে গেলো,,,বাড়ি তে গিয়ে বেডে শুয়ে দিয়ে,,মাহির ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে গেলো,,,বাড়ির কাজের লোকের মুখে মিহুর কথা শুনে মামনি দৌড়ে ওপরে আসে,,মাহির যখন মিহু কে নিয়ে আসে তখন উনি রুমে ছিলেন তাই দেখেননি,,,মামনি এসেই বলা শুরু করলো,,

“মাহির কি হোয়েছে মিহুর,,? মিহু অজ্ঞান হয়ে আছে কেনো,,,(ততক্ষনে মাহির বের করে উত্তর দেই)

“আম্মু চিন্তা করো না মিহু ঠিক আছে না খাওয়ার ফলে জ্ঞান হারিয়েছে একটু পরে ঠিক হয়ে যাবে,,,,(তোয়ালে তে মুখ মুছতে মুছতে বললো মাহির)

“ওহ অজ্ঞান হবেই তো এতো বলো ঠিক মতো খা কিন্তু উনি নাকি বেশি খেলে মোটি হয়ে যাবে,,,, তাই খাবেন,, আজ জ্ঞান ফারুক ওর একদিন কি আমার একদিন,,,(হালকা রেগে বললো)

“বেশি খেলে মোটি হয়ে যাবে মানে,,?(ব্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো মাহির)

“আর বলিস না তুই তো বাড়ি তে থাকিস না ঠিক মতো তাই জানিস না,, মিহু ডায়েট করছে,,,,সে নাকি মোটি হয়ে যাচ্ছে দিন দিন,,,

“ওহ করাচ্ছি ওর ডায়েট,,(রেগে)

“আচ্ছা আমি কিছু রান্না করি যায় মিহুর জ্ঞান ফিরলে বলবি আমাকে,,,

এই বলে মামনি নিচে চলে যায়,,মাহির মিহু মাথার কাছে বসে মিহুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে আর এক বৃষ্টি তে মিহুর দিকে তাকিয়ে আছে,, গালে পাঁচ আঙ্গুলের গাদ পোষ্ট বুঝা যাচ্ছে,,,,

“ইসস আমি থাপ্পর না মারলেও পারতাম,,কতো ব্যাথা পেয়েছে আমার জান পাখি টা,,ঠোঁটের কোনা ও কেটে গেছে কিন্তু সেখানে ডক্টর ওষুধ লাগিয়ে দিয়েছে,,,,আর কখনো এমন হবে না জান পাখি আমাকে মাপ করে দিও প্লিজ,,(এই বলে মিহু কপালে গালে কিস করলো মাহির )

মাহির উঠে নিচে গিয়ে আইস ব্যাগে আইস নিয়ে মিহুর কাছে যায় গিয়ে মিহুর গালে আইস এর ঠান্ডা দিতে লাগে,,,,,অনেক ক্ষন দেওয়ার পর মিহুর ঠান্ডা অনুভব করে কিছু,, তারপর আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে মাহির আইস লাগাচ্ছে,,,কিন্তু কেনো বুঝতে পারছে না মিহু,,, কিছু ঘণ্টা আগের কথা মনে পড়ে হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়ে মিহু,,, মিহু কে উঠতে দেখে মাহিরের মুখে হাসি ফুটে উঠে মিহু কে জড়িয়ে ধরে বলে,,

“থ্যাংকস আল্লাহ,, তোমার জ্ঞান ফিরছে,,ঠিক আছো তুমি এখন,,,,

মিহু কিছু না বলে মাহির কে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই,,,

“আরে তুমি কান্না করছো কেনো? কষ্ট হচ্ছে তোমার? কোথাও ব্যাথা লাগছে? বলো আমাকে কি হয়েছে,,

“আপনি খুব পঁচা আমাকে মেরেছেন,, আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম আপনি আমাকে ছেড়ে ওই জেরিন কে বিয়ে করবেন,,জানেন কতটা কষ্ট লাগছিলো আমার এমন কেনো করলেন আপনি,,(কান্না করে বললো)

“আরে এমন টা না করলে জেরিনের কারসাজি বের হতো কি করে,,আর আমি ওকে খুব ভালো করে চিনি নিজের ভুল কখনো শিকার করতো না জেরিন তাই এইসব করা,,,,,(মিহু জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে মাহির)

“কিন্তু আপনি এই সব জানলেন কি করে? আর হাবিব কে চিনলেন কি করে ?আর হাবিব কে পুলিশ নিয়ে গেলো কেনো ও কি করেছে?(কান্না করছে কিন্তু প্রশ্ন করতে ছারে না মিহু)

“আল্লাহ এতো প্রশ্ন,,আচ্ছা তুমি চুপ করো কান্না থামাও আমি বলছি,,,(এই বলে মিহুকে ভালো করে বসিয়ে চোখের পানি মুছে দিলো মাহির)

“হুম এখন বলেন,,

“তুমি নয়নের বাড়ি থেকে তোমার মামার বাড়ি তে চলে যাও তখন আমি একটা লোক রাখি তোমার ২৪ ঘণ্টার খবর দেওয়া র জন্য,,তখনি জানতে পারি এই ছেলের কথা আর সেদিন ই ধরে নিয়ে গিয়ে মারতে থাকি,,কিন্তু রাগের বসে ও বলে দিলো আমাদের গাড়ির ব্রেক ফেল ওই করেছিল,,,কিন্তু অ্যাকসিডেন্ট হাওয়ার পর জেরিন সেখানে থাকে আর আমাদের গাড়ি তে নিয়ে যায় কিন্তু তোমাকে মেইন রোডের মধ্যে ফেলে আমাকে নিয়ে হসপিটালে চলে যায়,,আর তোমাকে নয়ন পায়,,,এটা শুনে আমার অনেক রাগ উঠে ছিলো জেরিন কে মেরে ফেলার ইচ্ছা করছিলো কিন্তু জেরিন কিছু শিকার করতো না আমি জানি তাই মাথা ঠান্ডা করে ভাবী কি করা যায়,,তখনি এই প্ল্যান টা মাথায় আসলো,,কাল সন্ধ্যায় আমি জেরিনের কাছে যায় আর ওর সঙ্গে ভালোবাসার নাটক করি বিয়ে করবো বলি,, আর তোমাকে কিডন্যাপ করে আনি আজ,, বাকি টা তো তুমি দেখলেই সব,,,,,,,(তোতা পাখির মতো সব বলে দিলো মাহির)

মিহু মাহির কে জড়িয়ে ধরে বলে

“এমন আর করবেন নয়ত আমি মরে যাবো,,

” চুপ ছেরি আমার সামনে এই সব কখনো বলবি না আমি থাকতে তোর কিছু হবে না,,(এই বলে মিহু কে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মাহির)

“আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে নাও তারপর খাবে আম্মু বলেছে তুমি ঠিক হলে নিচে নিয়ে যেতে,,তুমি নিচে যেতে পারবে তো নাকি আমি ওপরে খাবার আনবো,,,(মাহির বললো)

“না আমি নিচে যাবো ঠিক আছি আমি,, ফ্রেশ হয়ে আসি ওয়েট,,,(কাপড় নিয়ে চলে গেলো ফ্রেশ হতে)

মিহু ফ্রেশ হচ্ছে আর ভাবছে,,

“উনি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসে,, আমি ভাবতেও পারি নি এই বদমেজাজি ছেলে আমাকে ভালবাসবে,,,আমি কত্তো লাকি তাই না মা এর মতো একটা শাশুড়ি পেয়েছি আর এমন একটা হাসব্যান্ড এর থেকে আর কি চায় একটা মেয়ের,,নিজেকে আর একা মনে হয় না আমারও সব আছে,,মামা আর মামী ও আমাকে এখন ভালো বাসে আগের মতো করে না,, (মিহু এইসব ভাবছিলো তখনি বাইরে থেকে মাহিরের ডাক)

“এতো সময় লাগছে কেনো ? বের হও,,

মিহু চুল মুছতে মুছতে বের হয়ে বলে,,

“হয়ে গেছে,,

মাহির মিহুর দিকে তাকিয়ে হা ভিজা চুল তার ওপর শাড়ি পড়েছে মিহু দেখতে অনেক সুন্দর আর আকর্ষণীয় লাগছে,,মাহির মিহুর কাছে গিয়ে এক পলকে তাকিয়ে আছে,,,

“চৌধূরী সাহেব চৌধূরী সাহেব কি দেখছেন চলেন নিচে আমার খুদা লাগছে,,,

মিহুর কোথায় মাহির হুস আসে,,ভালো করে তাকিয়ে দেখে মিহুর চুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে,,তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে চুল টাও ভালো করে মুখে নি মিহু,,মাহির মিহুর থেকে টায়োল টা নিয়ে মিহু কে বেডে বসিয়ে দিয়ে চুল মুছতে থাকে,, মিহু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মাহিরের দিকে,,এতো কেয়ার করে মাহির ওর,,,,তখন মাহির বলে,,

“তুমি শাড়ি পড়তে পারো নিজে?

“আগে পারতাম না তো মামনি শিখিয়ে দিয়েছেন,,

“ওহ (মন খারাপ করে)

“এমন মন খারাপ করে ওহ বলছেন কেনো?

“আমি ভেবেছিলাম আমি তোমাকে শাড়ি পরিয়ে দিবো,, তুমি শাড়ি পড়তে পারবে না তাই আমার কাছে পরিয়ে নিবে কিন্তু আমি তো এগুলা মিস করে ফেলছি তুমি আম্মুর কাছে শিখে নিয়েছো,,(মন করে বাচ্চা দের মতো ঠোঁট উল্টিয়ে বললো মাহির)

মাহির কে এতো লাগছে কি বলবো,,

“আচ্ছা পরের বার আপনার কাছে পরিয়ে নিবো ঠিক আছে,,(মুচকি হেসে)

“ঠিক আছে চলো এখন নিচে যায়,,

মাহির মিহু নিচে গেলো দেখে মামনি অনেক কিছু রান্না করেছে,,ওরা খেতে বসে,, মিহু সব খাবার একটু একটু করে নিলো আর একটা আপেল নিলো,, মাহির চুপ করে মিহুর কান্ড দেখছে,,খুব ভালো করে বুঝতে পারছে মিহু বেশি খাবে না তাই এমন করছে,,, মিহু তার খাবার নিয়ে যেই না খেতে যাবে তখনি মাহির মিহু প্লেট টা নিয়ে নিলো,,, মিহু অবাক হয়ে মাহিরের দিকে তাকালো,,

“কি হচ্ছে এগুলা দিন আমার খাবার আমার অনেক খুদা লাগছে,,,

“ওহ তুমি এগুলা খাবার খাচ্ছ?

“তা নইতো কি?

“এতো কম খাবারে কিছু হবে না ডক্টর বলেছে বেশি করে খেতে,,(এই বলে অন্য একটা প্লেট নিয়ে সব কিছু বেশি বেশি দিলো মাহির)

“আরে আরে করছেন কি এতো খাবার আমি খাবো না,,

“তো খাবে না কেনো?

“আমি ডায়েট করছি এতো খেলে মোটি হয়ে যাবো,,,(মন খারাপ করে)

“আণ্টি(এই বাড়ি তে কাজ করে এক মহিলা ওকে আণ্টি বলে মাহির,,ওকে ডাক দিল)

“জি বাবা বলো

“স্টোর রুমে একটা বেথ পরে আছে ওটা একটু এনে দিবে আণ্টি প্লিজ,,

“আচ্ছা এনে দিচ্ছি,,(এই বলে ওই মহিলা চলে গেলেন)

“আরে আরে বেথ কি করবেন আপনি,,(ভয় পেয়ে বললো মিহু)

“দেখোই না,,(মুচকি হেসে বলল মাহির)

তখনি ওই মহিলা বেথ নিয়ে মাহিরের হাতে দিলো,,,মাহির বেথ টা নিয়ে মাটি তে এক বারি দিলো আর মিহু ভয়ে কেঁপে উঠলো,,আবার এক বারি দিলো মাহির মাটি তে,,তার পর বললো,,

“কি যেনো বলেছিলে ডায়েট নাকি কি করছো তুমি?(বেথ টা মিহু সামনে ঘুরাতে ঘুরাতে বললো মাহির)

“কই ডায়েট কিসের ডায়েট দেখেন আমি খাচ্ছি এই তো সব খাচ্ছি হিহিহিহি,,(জোরপূর্বক হাসি দিয়ে মাহির যতো খাবার দিয়েছিল সব গোপাগোপ খেয়ে নিলো মিহু)

“দেখেন আমি খাবার শেষ করে দিয়েছি,, (খালি প্লেট মাহিরের সামনে ধরে)

“গুড গার্ল,,(মুচকি হেসে)

মিহু ওখান থেকে উঠে রুমে চলে গেলো,,এই দিকে মাহির আর মাহিরের আম্মুর হাসি দেখে কে মিহু যেতেই যোরে হেসে উঠলো দুই জনে,,যেনো এতো খন হাসি টা এতো খন খুব কষ্ট আটকিয়ে রেখেছিল,,,

“পাগলী মেয়ে একটা,,(এই বলে খাবার শেষ করে মাহির ও রুমে চলে গেলো)

“যাক আমার ছেলেটার মাথা থেকে সব ভুত উরে গেছে,,,আমি জানতাম মিহু পারবে সব ঠিক করতে,,,আমার বিশ্বাস ছিলো মিহুর ওপরে,,, আল্লাহ যেনো ওদের সারাজীবন হ্যাপি রাখে অনেক দোয়া করি,,,,,(এই বলে রুমে চলে গেলেন মাহিরের আম্মু)

এইদিকে মিহু,,

“সালা খচ্চর বজ্জাত ডেভিল শাকচুন্না,এই তোর ভালোবাসা,,ভালোবাসিস না ছাই,, বেথ নিয়ে ভয় দেখলো কেমন,,,আল্লাহ ভয়ে ভয়ে এতো খেয়েছি,,এখন যদি আমি মোটি হয়ে যায় তাহলে কে নিয়ে করবে আমাকে আল্লাহ,,এই না না আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে,,, কিন্তু মোটি হয়ে গেলে তো আর উনি লাইক করবে না,,তখন উনি বলবে আটার বস্তা কলেও নিবে না,,,খচ্চর বেডা তুই বজ্জাত এমন টা কেনো করিস,,, অ্যা অ্যা,,,(পেটে হাত দিয়ে বলছে মিহু,,আর কান্না করার চেষ্টা করছে,,চেষ্টা করছে বলছি কারণ তার কান্না এসেই না তবুও যোর করে কান্না করছে)

মাহির এতো খন সব শুনছিল দরজার কাছে দাঁড়িয়ে,,আর হাসতে হাসতে শেষ,,হাসি থামিয়ে মিহুর কাছে গিয়ে ধপাস করে বসে পরলো,, মিহু রাগ দেখিয়ে একটু সরে গেলো,, মাহির ও মিহুর আরো কাছ ঘেঁষে বসলো,, মিহু আবারো সরে যেতে নিবে ঠিক তখনই মাহির মিহুর কোমর চেপে ধরলো,,,,

“আমার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা ভুলেও করবে না,,তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবো না বুঝেছো,,,

“আপনি পঁচা আমাকে এতো এতো খাবার খাওয়ালেন এখন আমি মোটি হয়ে যাবো,,,

“বুঝো না কেনো তুমি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠনি,,,তিন মাস কোমায় ছিলে তাতে সেলাইন পানি ছাড়া কিছুই যাইনি তোমার পেটে,,তাই এখন তোমার শরীর দূর্বল বেশি বেশি খেতে হবে,,আর তুমি এমনি তে যা চিকন সারা জীবন বেশি খেলেও মোটা হবে না,(এটা টুরু কথা — লেখিকা?),,,,,

“যদি হয়ে যায় তো দেখতে খারাপ লাগবে তো,,

“লাগবে না তুমি এমনে যা কিউট মোটা হলে আরো কিউট লাগবে একদম গুলুগুলু,,আর আমিও তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না বুঝেছো,,,তুমি যেমন ই হও শুধু আমারই,,,,

?Tum Husn Pari Tum Jaane-Jahaan,❤️?
Tu Sabse Haseen Tum Sabse Jawaan?

কথা গুলা বলে মাহির এই দুই লাইন গান বলে উঠলো,,, মিহু বুঝে গেলো মিহু যেমন ই হক মাহিরের কাছে বেস্ট সে,,মুখে হাসি নিয়ে জড়িয়ে ধরলো মাহির কে,,,,,

“চলো ঘুমিয়ে পরি,,,

তারপর মিহু মাহির ঘুমিয়ে পড়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে,,,এখন তো একে অপরকে জড়িয়ে না ধরে তাদের ঘুম ই আসে না,, মিহু ছিলো না তখন মাহির ঘুমায়নি বললেই চলে সারাক্ষণ নেশা নিয়ে পরে থাকতো রাতে,,,আর মিহু তো একে বারে ঘুমিয়ে ছিলো,,এখন আর তাদের মধ্যে জটিলতা নেই শুধু ভালোবাসা,,,

পরের দিন সকালে,,,,

চলবে?

#The_Beauty_Of_Love
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_27
.
.
.
পরের দিন সকালে মিহুর আগে ঘুম ভেংগে যায়,,উঠে মাহির কে একটা কিস করে চলে যায় ফ্রেশ হতে,,ফ্রেশ হয়ে,,নিচে গিয়ে দেখে মামনি রান্না ঘরে মিহু ও রান্না ঘরে গিয়ে বলে,,

“তুমি রান্না ঘরে কি করো তোমার না রান্না ঘরে আসা বারণ,,,,(ব্রু কুচকে তাকিয়ে বললো)

“আরে আমি তো আসি ই না সকালে নাস্তা টা করছি শুধু এতে কিছু হবে না,,,

“অনেক হয়েছে এখন গিয়ে বসুন আমি বাকি টা করে নিচ্ছি,,,

“আরে তুই বস আমি করে নিচ্ছি তো,,,

“যাবে তুমি,,(চোখ গরম করে)

“যাচ্ছি যাচ্ছি,,তুই বাকি টা করে নিস,,

এই বলে মামনি বাইরে চলে গেলো,,আর মিহু শাড়ির আঁচল কোমরে গুজে চুল গুলো খোঁপা করে নাস্তা করতে লাগলো,,একদম পাক্কা গৃহিণীর মতো লাগছে মিহু কে,,,পরোটা করার জন্য আটা ঠিক করছে,,,

এই দিকে মাহির ঘুম থেকে উঠে পাসে মিহু কে খুঁজে কিন্তু পায়না,, মাহির ও উঠে যায় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৯ টা বাজে,,,তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে একে বারে অফিসের জন্য রেডি হয়ে আসে মাহির তারপর নিচে চলে যায়,,,,নিচে এসে দেখে ওর আম্মু বসে আছে,,

“গুড মর্নিং আম্মু,,

“গুড মর্নিং,,(মুচকি হেসে)

“আম্মু মিহু কই?

“রান্না ঘরে নাস্তা করছে,,

“আচ্ছা,,,(এই বলে বসে থাকে মাহির কিন্তু তার মিহুর কাছে যেতে খুব ইচ্ছা করছে,, আম্মুর জন্য যেতেও পারছে না,,কি বলে যাবে,,তখনি আবার বলে)

“আম্মু অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে তো,, মিহু কি রান্না করছে এখনও,, ওয়েট আমি দেখে আসছি,,(এই বলে রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো মাহির,এই দিকে মাহিরের আম্মু মুচকি মুচকি হাসছে)

মাহির রান্না ঘরের দরজার কাছে এসে দাড়িয়ে মিহুর কাজ দেখছে,,,

“ইসস একদম বউ বউ লাগছে আমার জান পাখি তাকে,, পিচ্ছি বউ আমার,,

মাহির দেখে মিহু সামনের ছোটো ছোটো চুল গুলো বার বার সরাচ্ছে,,বিরক্ত করছে সেই চুল গুলো,, মিহু বার বার হাতের পিচুন দিক দিয়ে কানের পিছনে দিচ্ছে,,,,অনেক মায়াবী লাগছে মিহু কে তারপর শাড়ি পরে আছে,,,মাহির আর না থাকতে পেরে মিহুর কাছে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মিহুকে মাহির,,, মিহু চমকে উঠে দেখে মাহির,,,,

“আরে এসব কি আমি কাজ করছি না দেখছেন তো আর এখনি আম্মু চলে আসবে,,ছাড়ুন আমাকে,,

“না আম্মু আসবে না আর তোমাকে অনেক কিউট লাগছে ,,(মিহুর গলায় মুখ ডুবিয়ে কিস করতে লাগে,,)

“অ্যা করছেন কি আমার রান্না করতে দেরি হচ্ছে,,

মিহু বকবক করেই যাচ্ছে আর মাহির তার কাজ করেই যাচ্ছে,,,

“দেখুন সরুন নইতো আমি ময়দা লাগিয়ে দিবো,,,

“লাগাও দেখি,,(এই বলে মাহির তার হাত দুটো মিহুর পেটে চলে যায়,,আর মিহু কেপে উঠে,,,)

মাহিরের এই রোমান্টিকতা বেড়েই যাচ্ছে,, মিহু ভাবে এমন করলে এই ছেলে থামবে না,, তাই মিহু সজোরে পায়ে এক প্যারা দেই,,আর মাহির পা ধরে দূরে চলে যায়,,,

“আআআআ মিহু ব্যাথা পেলাম তো,,

“ঠিক হইছে আর এমন করবেন,,(হেসে)

“রোমান্সের ৩৬ টা বাজিয়ে দিলে তুমি,,

মিহু হেসেই যাচ্ছে তখনি মামনি এসে বলে,,

” কি রে এতো যোরে চিৎকার করলি কেনো,,কি হয়েছে আর পায়ে ধরে দাড়িয়ে আছিস কেনো?

“ওহ কিছু না আম্মু পরে গেছিলাম একটু,,

“পাগল ছেলে আয় বসবি ,,

এই বলে মামনি চলে গেলো পিছনে মাহির ও গেলো কিন্তু পিছনে ঘুরে রাগী চোখে মিহু কে বললো,,

“দেখে নিবো তোমাকে রাতে,,

মাহিরের এমন কোথায় মিহু একটু ভয় পেয়ে গেলো,,কিন্তু পরে সামলে নিবে বলে নাস্তা রেডি করে সবাই কে খেতে দিলো,,,,,,,নাস্তা শেষ করে মাহির বললো,,

“তুমি রেডি হও নি যে ভার্সিটি যাবে না?

“না আজ আমি যাবো না আপনি যান,,

মাহির ও আর কিছু বললো না অফিসের জন্য চলে গেলো,,, মিহু ও সব গোছ গাছ করে রুমে চলে গেলো,,,,,রুমে গিয়ে বেড ঠিক করে রুম টা ঝাড়ু দিয়ে সব গুছিয়ে রাখলো,,,কিছু খন বসে থেকে আবার নিচে গেলো দুপুরের রান্না করার জন্য,,, কিন্তু কথা হচ্ছে এতো দিন থেকে মাহিরের সঙ্গে আছে কিন্তু মাহিরের পছন্দের খাবার কি কি তা যানে না,,আজ মিহুর খুব করে ইচ্ছা হইছে মাহিরের পছন্দের রান্না করে আজ অফিসে নিয়ে যাবে,,,,তাই দৌড়ে মামনির রুমে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো কি কি মাহির খেতে পছন্দ করে,,মামনি ও বললো,,উনি কি কি খেতে পছন্দ করে,, মিহুও গিয়ে রান্না করে নিলো ছোটো থেকেই রান্না টা ভালো পারে মিহু মামী তো মিহুকে দিয়েই রান্না করাতো আগে তাই পারে,,,,,একে একে সব রান্না শেষ করে প্যাক করে নিলো,,,,,তারপর রুমে গিয়ে গোসল করে একটা নীল রঙের গাড়ি পরে একটু সেজে গুজে নিচে চলে গেলো,,গিয়ে মামনির রুমে গিয়ে বললো,,,

“মামনি তুমি খেয়ে নিও আমি ওনাকে খাবার দিতে যাচ্ছি,,

“ঠিক আছে সাবধানে যাস,,

মামনির কাছে বিদায় নিয়ে চলে গেলো মিহু গাড়ি তে উঠে ড্রাইভার কাকা কে বললো মাহিরের অফিস নিয়ে যেতে,,, মিহু ফোন বার করে ভাবছে মাহির কে জানাবে কি না,, কিন্তু ভাবলো,,

“না জানাবো না ওনাকে সারপ্রাইজ দিবো আজ,,,

এই দিকে মাহির তার কাজ নিয়ে বিজি,,সকাল থেকেই কাজ করেই যাচ্ছে লাঞ্চ করার ও সময় হচ্ছে না তার,, রনি ও কাজের জন্য কিছু দিনের জন্য বাইরে গেছে তাই নতুন একটা পি এ রেখেছে মাহির,,,নতুন পি এ তাই কাজ একটু বেশি করতে হচ্ছে মাহির কে নইতো রনি থাকলে রনি সব সামলে নিত,,ধরতে গেলে মাহিরের আরেক হাত রনি,,সব কাজ সিক্রেট রনি কে বলে,,,,,মাহির কাজ করছে আর মিস রাফিয়া দাড়িয়ে আছে মাহিরের সামনে আর ভাবছে,,

“ওয়াও বস কত্তো কিউট হ্যান্ডসম রাফিয়া তুই আগের জব টা ছেরে ভালোই করেছিস নইতো এমন একটা কিউট স্যার পেটি না কত্তো কিউট স্যার,,,(মনে মনে ভাবছে আর যেনো চোখে মাহির কে গিলে খাচ্ছে)

তখনি মাহিরের কেবিনে মিহু প্রবেশ করে নক না করেই,,, মিহু কে দেখে রাফিয়া আর মাহির দুই জনেই তাকায়,, মিহু ও অবাক হয় রাফিয়া কে দেখে যে মাহিরের কেবিনে এই মেয়ে কি করে,,তখনি আবার ভাবে থাকতেই পারে এটা অফিস কতো জন কাজ করে,,,, মিহু কে দেখে মাহির কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাফিয়া বলে উঠে,,,

“এই মেয়ে কে তুমি কোনো মানার্স নেই কারো কেবিনে নক করে ঢুকতে হয় যানো না? আর কে তুমি আগে তো দেখিনি এই অফিসে,,,?

মেয়ে টার কথা শুনে মিহু চুপ করে দাড়িয়ে আছে কি বলবে বুঝতে পারছে না কিন্তু তাকে তো জবাব দিতেই হবে,,,এই ভেবে মিহু বলে,,

“তুমি কি নতুন আপু এই অফিসে?

“হ্যাঁ কেনো?(বিরক্ত হয়ে বলল রাফিয়া,)

“তাহলে তুমি জানবে কি করে আমি কে,,,

এই বলে মিহু কেবিনের ভিতরে চলে এলো,,,

“আরে আরে করছো কি এটা কি তোমার বাড়ি নাকি এমন ভাবে ভিতরে আসছো,,,(রেগে বললো রাফিয়া)

“মিস রাফিয়া স্টপ,, আর ও হচ্ছে মিসেস চৌধুরী,, মাহির চৌধুরীর ওয়াইফ মিহু চৌধুরী,,,আপনি নিউ তাই জানেন না,, আপনি এখন যেতে পারেন,,,(মাহির শান্ত হয়ে বললো)

এই দিকে রাফিয়ার মুখ দেখার মতো হয়েছে,, তার হ্যান্ডসম কিউট বস যে বিবাহিত হবে রাফিয়া ভাবতেও পারে নি এক বুক কষ্ট নিয়ে মিহু কে সরি বললো রাফিয়া,,

“সরি ম্যাম আমি আসলে বুঝতে পারিনি,,,

“ইটস ওকে আপু,,,(মুচকি হেসে)

রাফিয়া ও মুচকি হেসে চলে যায়,,,,,মাহির উঠে মিহুর কাছে এসে মিহু কে জড়িয়ে ধরে বলে,,

“কি ব্যাপার আমার বউ এতো সুন্দর করে রেডি হয়ে আমার অফিসে যে আজ,,,

“আপনাকে সারপ্রাইজ দিলাম কেমন হলো,,

“আমি সত্যি সারপ্রাইজ হইছি,,

“দেখুন আমি আপনার পছন্দের খাবার রান্না করে এনেছি,,,,,

“সত্যি কই দাও আমাকে,,আচ্ছা তুমি খাবার বার আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি,,,

এই বলে ফ্রেশ হতে চলে যায় মাহির ফ্রেশ হয়ে এসে,, দেখে অনেক খাবার সাজানো,,, সব মাহিরের পছন্দের,,, বিরিয়ানি,, ইলিশ মাছ, গরুর মাংস,,চিংরি মাছ,, আরো অনেক কিছু,,,মাহির মিহুর পাসে সোফায় বসে পড়ে ,,

“তুমি খেয়েছো?

“না আপনি খেয়েনিন তারপর আমি খাবো,,

“এসো আমি খাইয়ে দিচ্ছি,,,

তারপর মাহির মিহু কে খাইয়ে দিলো আর নিজেও খেলো,, মিহু নিজেকে অনেক লাকি মনে করছে যে এমন একটা হাসব্যান্ড পেয়েছে,,,এতো কেঁয়ার এতো ভালোবাসা,,,,,দুই জনে খায়া শেষ করে উঠে দাড়ালো,,,মাহির পিয়ন কে ডেকে সব পরিষ্কার করে নিতে বললো,,,,তখন মাহির বলে উঠে,,,

“চলো তোমাকে শপিংয়ে নিয়ে যায় আজ,,

“এখন? আপনার কাজ নেই আজ?

“না আজ তেমন কাজ নেই আর থাকলেও বাকিরা করে নিবে,,,,,

মিহু আর কিছু বলে না মাহিরের সঙ্গে শপিং মলে চলে যায় শপিং করতে,,,দুইজনে অনেক শপিং করে,,,,

“মিহু তুমি এখানে দেখো আমি একটু আসছি,,,

এই বলে চলে যাই মাহির,,,কিছু একটা কাজ করে চলে আসে আবার,,,,,

“কই গেছিলেন?

“কোথাও না এখন বলো হয়েছে তোমার শপিং করা নাকি আরো লাগবে,,,?

“না হয়েছে চলুন,,,

মাহির বিল প্লে করে মিহু কে নিয়ে বেরিয়ে পরে এখনও অনেক সময় আছে তাই মিহু কে নিয়ে একটা পার্ক যায়,,, সেখানে দুইজনে বসে গল্প করতে লাগে,,,তখনি মাহিরের চোখে পড়ে এক গোলাপ বিক্রেতার দিকে,,মাহির সে দিকেই দৌড়ে যায়,, মিহু কিছু বুঝলই না মাহির কই গেলো,,, সে তাকিয়েই আছে মাহিরের দিকে,, মাহির এক গচ্ছা গোলাপ নিয়ে মিহুর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে এটা দেখে মিহু বসা থেকে উঠে যায়,,,চারিদিকে তাকিয়ে দেখে কতো লোক ওদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,মাহিরের এমন করায় মিহুর হাত নিজে নিজে মুখে চলে যায় মিহু অবাক,,,তখন মাহির বলে উঠে,,,

“ভালোবাসি জান পাখি,, অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায়,, বিয়ে টা আমাদের চুক্তির হলেও তোমার সঙ্গে থাকতে থাকতে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলি,,,তোমাকে ছাড়া আমার একা থাকা এখন অসম্ভব,,,আমি তোমাকে চায় সারাজীবনের জন্য চায়,,,বলো আমার থাকবে তো সারাজীবন,, অনেক ভালোবাসি আমার এই পিচ্ছি বউ টাকে,,, আয় লাভ ইউ জান পাখি,,,

মিহু কান্নায় করে দেই ভাবতেও পারে নি মাহির এতো লোকের সামনে এমন করে প্রপোজ করবে তাকে,,, মিহু ও হাঁটু গেড়ে বসে মাহির কে জড়িয়ে ধরে আর কান্না করতে থাকে,,,,আর বলে,,

“আমিও ভালোবাসি আপনাকে,, কখনো ছেরে যাবো না সারাজীবন আপনার কাছে থাকবো,,,,

পার্কের সব লোক হাত তালি দিতে লাগে,,,মাহির মিহু কে উঠিয়ে চোখের পানি মুছে দেই,,,আর আবার জড়িয়ে ধরে,,, তারপর ওখানে আরো কিছু সময় পার করে চলে আসে বাড়িতে,,, মিহু কে বাড়ি তে রেখে মাহির একটা কাজে বাইরে যাই,,,,,,,,,, এই দিকে পার্ক এর সব কাহিনী দুর থেকে একজন দেখলো সে আর কেও না নয়ন ছিলো,,,,, নয়ন এই দিকে কি একটা কাজে এসেছিল তখনি মিহু আর মাহির কে দেখে,,, নয়নের একটু কষ্ট লাগে কিন্তু তার থেকে বেশি ভালো লাগে মিহু কত্তো হ্যাপি আর কতো ভালোবাসে মাহির,,, ওরা একে অপরকেই অনেক ভালো বাসে,,,,,, নয়ন এগুলা ভাবছিলো আর গাড়ি চালাচ্ছিল,,,তখন গাড়ির সামনে কে কেনো চলে আসে,,, নয়ন তাড়াতাড়ি বাইরে এসে দেখে কে ,, রাস্তার পরে থাকা বেক্তি কে দেখে অবাক হলো না নয়ন,,,(আপনারা নিশ্চয় বুঝে গেছেন এটা তিথি — লেখিকা)

হ্যাঁ এটা তিথি ই নয়ন এর গাড়ির সামনে এসে পড়েছে,,, নয়ন কাওকে গাড়ি তে ধাক্কা দিবে আর এটা তিথি না হলে কি মানায় হাহাহা,,,, নয়ন বলে উঠে,,,

“তোমার কি আমার গাড়ির সামনেই মরা লাগবে? অন্য গাড়ি পাও না?

“এই বেডা এই তুই আমাকে ইচ্ছা করে গাড়িতে ধাক্কা দিলী আমি দেখিনি ভেবেছিস,,,(রাস্তা থেকে উঠে ড্রেস ঝাড়তে ঝাড়তে)

“আমি যদি ইচ্ছা করে দিতাম তাহলে তুমি এতো খনে সোজা ওপরে চলে যেতে বুঝেছো,,,,,এখন বলো এই দিকে কি করতে এসেছো,,,

“আপনাকে বলতে যাবো কেনো আপনি কে,,(ভাব নিয়ে বললো)

“আমি কে? মনে করিয়ে দিবো আচ্ছা দেই,, দুই দিন আগে জার সঙ্গে তোমার বিয়ে ঠিক হল আমি সেই,,, তোমার হবু বর,,,বুঝেছো,,,

“তাতে কি বিয়ে তো আর হইনি,,,

“সেটাও হয়ে যাবে,,আচ্ছা আসো আমি তোমাকে বাড়ি তে দিয়ে আসি,,,,না করতে পারবে না নইতো আমি তোমার আব্বু কে বলে দিবো তুমি তোমার বয় ফ্রেন্ড এর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল,,,(শয়তানি হাসি দিয়ে বললো নয়ন)

“খুবি বজ্জাত তো আপনি,,(ব্রু কুচকে)

“এখন চলো,,

তিথি আর কিছু না বলে গাড়ি তে গিয়ে উঠে,,, নয়ন ও গিয়ে গাড়ি চালাতে লাগে,,, গাড়ি চালায় আর তিথির দিকে বার বার তাকায়,,,অনেক সুন্দর দেখতে তিথি নয়ন আজ ভালো করে তাকাচ্ছে তিথির দিকে,,,,

“আমার দিকে না তাকিয়ে গাড়ি চালান অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যাবে,,আমার মরার সখ নেই ওতো,,

“তাহলে মরতে কেনো এসেছিলে আমার গাড়ির সামনে,,

“ওটা এমনি এখন তাড়াতাড়ি চলুন তো,,,

নয়ন আর কিছু বলে না তিথি কে তার বাড়ি তে নামিয়ে দিয়ে যায়,,,,তারপর সেও বাড়ি তে চলে যায়,,,,,,,,,,,,,

এই দিকে মিহু রুমে বসে ফোন নিয়ে কি যেনো করছে,,করছে বললে ভুল হবে কি পড়ছে,,,,তখনি মাহির রুমে এসে কিন্তু মিহু মাহির কে দেখলো না সে ফোন কি পড়তেই ব্যাস্ত,,রুমে কেও প্রবেশ করেছে এটাও সে যানে না,,,মাহির রুমে এসে মিহুর দিকে তাকালো,,দেখ ফোন নিয়ে বিজি কিন্তু কিছু বললো না ফ্রেশ হতে চলে গেলো,,,,,মাহির একটা টি শার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরে বাইরে এলো,,,বাইরে এসেই তো অবাক মিহু কান্না করছে,,, মিহু কে কান্না করতে দেখে মাহিরের জান পাখি তাই উরে গেছে দৌড়ে মিহুর কাছে যায় আর বলে,,,

“কি হয়েছে তোমার তুমি কান্না করছো কেনো,,

“(কান্না করেই যাচ্ছে )

“বলো না কি হয়েছে এতো কান্না কেনো করছো,,

“(মিহু আরো জোড়ে কান্না করছে এবার)

মাহির কিছুতেই বুঝতে পারছে না মিহু কান্না কেনো করছে কি হলো এমন,,,,কিছুই বুঝতে পারছে না,,

চলবে?

(মিহু কেনো কান্না করছে আপনারা ও ভাবুন তো দেখি,,,কমেন্টে বলবেন কিন্তু,,,,,)

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here