THE_BOOK #পর্ব_৩

0
305

#THE_BOOK
#পর্ব_৩
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)

রা’দ আর অভিনব ঘড়ির দিকে তাকালো। এখনো দশ মিনিট বাকি বারোটা বাজতে। তাই বসে রইল। রাহুল আসেনি, পরবর্তি শো এর জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করতেছে। লাবন্য রা’দের দিকে তাকিয়ে বলল,”রা’দ তোর মুখটা এরকম শুকনো লাগছে কেন?? বাড়িতে আবার গন্ডগোল লেগেছে বুঝি??”

রা’দ কিছু বলার আগেই অভিনব বলল,”আমি তো তাই জিজ্ঞেস করলাম আমাকে বললো না। দেখ তোকে যদি কিছু বলে??”
পূর্ণাশা নিজের চেয়ার টেনে আরেকটু এগিয়ে এসে বসে বললো,”কি হয়েছে রা’দ বল না।”

রা’দ বিরক্ত হয়ে বলল,”আর বলিস না বাবা মা আবার বিয়ের জন্য বলতেছে। আমি আর এসব নিতে পারছি না।”
পূর্ণাশা চকিতে তাকিয়ে বলল,”বিয়ে??কার সাথে জাবিনের??”
অভিনব রা’দের দিকে তাকিয়ে বলল, “জাবিন!! ওই মেয়েটা যাকে ঈদের দিন তোদের বাড়িতে গিয়ে দেখেছিলাম??”
রা’দ মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যা বলতেই অভিনব বলল,”ভালোই তো। মেয়েটাকে দেখতে খুবই সুন্দর তোর সাথে মানাবে বেশ।”

রা’দ চোখ গরম করে তাকিয়ে বলল,”তাহলে তুই বিয়েটা কর না?? আমাকে কেন বলছিস।”
অভিনব নিজের থুতনিতে হাত রেখে চিন্তিত হয়ে বলল,”কিন্তু আমার ধর্ম আর জাবিনের ধর্ম তো এক না। মুসলিম এন্ড খ্রিস্টান। ওকে রিলিজন ডাজেন্ট ম্যাটার। কিন্তু জাবিন তো তোকে ভালোবাসে। তাহলে আমাকে কেন বিয়ে করবে??”
লাবন্য অভিনবের সাথে তাল মিলিয়ে বলল,”একজ্যাটলি তাই। দেখ আমার মনে হয় তোর বিয়েটা করা উচিৎ। জাবিন তোকে খুব ভালোবাসে। আমি সেটা বুঝতে পারছি।”

“রাখ তোর ভালোবাসা। এসব ভালোবাসা আমি বিশ্বাস করি না।”
রা’দের সাথে অভিনব ও তাল মিলিয়ে বলল, “ঠিকই বলেছিস মানুষের সাথে এসব ভালোবাসা টালোবাসা না করাই বেটার।এত থেকে জ্বিন পরি ও ভালো।”
পূর্ণাশা বলল,”দেখবি তোরাই একদিন এই ভালোবাসার জন্য পাগল হয়ে যাবি আর তখন পাবি না।”
অভিনব আর রা’দ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। পূর্ণাশার এই কথাগুলো শুনে খুব বিরক্ত লাগছে ওদের। ওখান থেকে ওরা চলে যেতেই লাবন্য বলে উঠলো,”এরা জিবনেও ঠিক হবে না।”
পূর্ণাশা হেসে বলল,”এদের জন্য জ্বিন পরী ঠিক হবে। বাই দা ওয়ে তোর প্রিতমের কি খবর ফোন করেছিল কি??”

“না ও করেনি। আমি টায়ার্ড তাই আমিও ফোন করিনি বাসায় গিয়ে ফোন করব।”

________________

“হ্যালো এভরিওয়ান আসসালামুয়ালাইকুম এবং শুভ রাত্রি। আপনাদের মাঝে আবার হাজির হলাম আমি রা’দ ইসলাম আর আমার সাথে আছে অভিনব। অনেক দিন পর আপনাদের সামনে আবার হাজির হয়েছি ভুত সম্পর্কে নতুন তথ্য নিয়ে। অশরীরী বা আত্মা যাই বলুন,তারা দেখতে কেমন হয়??
আমাদের রোজকার জিবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার কোন উত্তর হয় না। আমরা তা মনের ভুল বলে কাটিয়ে দেই। কিন্তু কখনো যদি ভেবে দেখি ওটা মনের ভুল নয় তাহলে ওটা কি?? কোনো অশিরি বা আত্মা??হয়তো সে এই মুহূর্তে আপনার পাশে আছে কিন্তু আপনি তা ফিল করতে পারছেন না কারণ সে আপনাকে ফিল করাতে চাইছে না। যদি সে তার উপস্থিতি আপনাকে ফিল করাতে চায় তবে আপনার ফিল হবে যে আপনার পাশে কেউ আছে। অদ্ভুত তাই না????”

অভিনব ও নিজের মাইক টেনে কথা বলতে লাগলো। ল্যান্ড ফোন অন করে সরাসরি কয়েকজনের সাথে কথা বলল। তারপর কয়েকজনের ই-মেইল পড়ে শোনালো। এভাবেই রাত দুটো বেজে গেলো। শো শেষ করে দুজনে বের হলো। পূর্ণাশা আর লাবন্য ওদের শো শুনছিল। রা’দ আর অভিনব বের হতেই ওদের কংগ্রাস জানালো। চারজনেই বেরিয়ে পড়লো। এতো রাতে তো আর রিকশা বা গাড়ি পাওয়া সম্ভব নয়। রা’দ ওর বাইকে করে লাবন্যকে ওর বাসায় পৌছে দেয় আর অভিনব পূর্ণাশাকে পৌঁছে দেয়।

চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে রুমটা অন্ধকার হলো কেন তা বুঝতে পারলো না লাবন্য। চারিদিকে চোখ বুলায়। খাট থেকে উঠে আসার চেষ্টা করছে কিন্তু ওর হাত পা অবশ হয়ে গেছে নড়াতেই পারছে না। কিন্তু হঠাৎ এমনটা হচ্ছে কেন??লাবন্য নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ওঠার চেষ্টা করতেছে কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এমন সময় ওর হাতে একটা হাত স্পর্শ করলো।ঠান্ডা হাতের ছোঁয়ায় লাবন্য কেঁপে উঠল। সাধারণ কোন মানুষের হাত তো এতো ঠান্ডা হওয়ার কথা নয়। তাহলে এই হাতের মালিক কি কোন মানুষ নয়?? ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসে লাবন্যর। হাত দুটো ক্রমাগত লাবন্যর শরীরে বিচরণ করে চলছে কিন্তু লাবন্য কিছু করতে পারছে না। এরকম ঠান্ডা স্পর্শ সহ্য করতেও পারছে না। হাতটা আস্তে আস্তে লাবন্যের পিঠে চলে গেল। লাবন্যর জামার চেইন অর্ধেক খোলার পরই লাবন্যর হুশ ফিরল সাথে শরীরের শক্তি ও ফিরে পেলো। লোকটার হাত থেকে ছোটার আপ্রাণ চেষ্টা করতেছে লাবন্য কিন্তু লোকটার শক্তির সাথে পেরে উঠছে না‌। লোকটার শক্তির কাছে ওর শক্তি ঠুনকো।লোকটা জোর করে ওকে বিছানায় চেপে ধরতেই লাবন্য চিৎকার করে উঠলো।

আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই। লাবন্য তাড়াতাড়ি বেডসুইচ চেপে লাইট জ্বালালো। পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে কাউকে দেখতে পেলো না। পিঠে হাত দিয়ে দেখলো জামার চেইন ঠিক আছে কি না??সব তো ঠিকই আছে তাহলে??এটা কি স্বপ্ন??হ্যা স্বপ্নই। কিন্তু এরকম অদ্ভুত স্বপ্ন দেখার কারণ কি?? ভয়ে কপাল থেকে ঘাম ঝরছে গলা শুকিয়ে গেছে তাই পাশের টেবিল থেকে পানি নিয়ে খেয়ে নিলো। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে লাবন্য। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো চারটা বাজে তারমানে এখন ভোর হবে। লাবন্য উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়।
এই ফ্ল্যাটে লাবন্য একাই থাকে। বাবা মা ঢাকার বাইরে থাকে। পড়াশোনার জন্য লাবন্য ঢাকায় হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতো আর এখন চাকরির জন্য একা একটা ফ্ল্যাটে থাকে। শুধু লাবন্য নয় অভিনব আর পূর্ণাশাও একা ফ্ল্যাটে থাকে। শুধু রা’দ ওর ফ্যামেলিসহ থাকে।
লাবন্য ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে খাটের উপর গুটিসুটি মেরে বসলো। ভাবতে লাগলো এই অদ্ভুত স্বপ্নের বিষয়ে।

সন্ধ্যায় লাবন্য অফিসে গিয়ে হাজির হয়। ওর আগেই পূর্ণাশা,রা’দ আর অভিনব এসে পড়েছে। লাবন্য গিয়ে ওদের পাশে বসতেই পূর্ণাশা বলল,”তোর চোখমুখ এমন লাগছে কেন??কোন সমস্যা??”

“ইয়াহ, কালকে খুব বাজে একটা স্বপ্ন দেখেছি।”
“তুইও বাজে স্বপ্ন দেখেছিস?? আমিও দেখেছি কিন্তু ওরা বিশ্বাসই করছে না।”
লাবন্য একটু নড়েচড়ে বসে বলল,”তুই ও??কি দেখেছিস??”
অভিনব দুষ্টু হেসে বলল,”কেউ একজন পূর্ণাশার উপর আক্রমণ করেছিল। ওর ঘাড় মটকে রক্ত খাওয়ার চেষ্টা করছিলো।”

বলেই অভিনব হাসতে লাগলো। পূর্ণাশা রাগন্বিত স্বরে বলল,”মজা করবি না একদম। এরকম স্বপ্ন আমি কখনোই দেখিনি। লাবন্য তুই কি দেখেছিস??”
লাবনীর আমতা আমতা করে বলল,”আমার উপর ও কেউ আক্রমণ করেছিল।”
“লাইক সিরিয়াসলি?? দুজনে এক স্বপ্ন এটা কিভাবে সম্ভব??”

অভিনব বলল,”তোরা চুপ থাক। সামান্য স্বপ্ন নিয়ে পড়েছিস ‌কই আমি তো কোন স্বপ্ন দেখিনি। তোরা এতো স্বপ্ন কোথা থেকে দেখিস। রা’দ তুই দেখেছিস??”
রা’দ গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিল। অভিনবের কথাটা ওর কানেই গেল না।অভিনব রা’দকে ধাক্কা মেরে বললো,”এই রা’দ!!”
রা’দ অভিনবের দিকে তাকিয়ে বলল,”হুম।”
“তুই কি কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছিস।”

“ন না তো।”

অভিনব লাবন্য আর পূর্ণাশাকে স্বপ্ন সম্পর্কে বিভিন্ন যুক্তি দিতে লাগল। রা’দ সেদিকে কান দিলো না। কারণ সত্যি কাল রাতে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখছে রা’দ। তবে সেটাকে দুঃস্বপ্ন বলা যায় না। সুঃস্বপ্ন বলা যেতে পারে। কিন্তু হঠাৎ এই স্বপ্ন দেখার মানে কি?? তাছাড়া সবাই অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেও অভিনব কেন দেখলো না??সবটাই কাকতালীয় ভেবে নিলো রা’দ।

এমন সময় সামির রায়হান আসলেন। ওনাকে দেখেই সবাই দাঁড়িয়ে পড়লো। অভিনব সামিরের সাথে হ্যান্ডসেক করে বলল,”হ্যালো স্যার কেমন আছেন??”

সামির খুশিমুখে বলল,”ভালো আছি। তোমরা কেমন আছো?? ইংল্যান্ডে কেমন কাটলো??”
রা’দ বলল,”ভালোই কিন্তু আপনার তো কালকে আসার কথা ছিল??”

“ওই আসলে শ্বশুর বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিলো তো তাই আসতে পারিনি। আচ্ছা চলো কাজে লেগে পরি। কতগুলো শো এর রেকর্ডিং এডিট করতে হবে।”

বলেই সামির চলে গেল। অভিনব বলল,”এখন কাজ করতে গেলে লেট হয়ে যাবে তো!! আমরা বইটা কখন পড়বো??”
রা’দ অভিনবের পিঠে চাপড় মেরে বলল, “সবাই একসাথে কাজ করলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।”

চারজন মিলে কাজে লেগে পড়লো। আজকে ওরা কোন শো করবে না। এডিটিং কম্পিলিট করা শো গুলো আপলোড দেওয়ার পর সবার কাজই শেষ। সামিরের কাছ থেকে ছুটিতে নিয়ে অফিসের বাইরে এলো। পূর্ণাশা বলল, “আমরা কোথায় বসে বইটা পড়বো??বড় কথা হলো বইটা কোথায় এখন??”
রা’দ বাইকে বসতে বসতে বলল,”বইটা অভিনবের কাছে আছে আর ওর ফ্ল্যাটে বসেই পড়ব।”
“অভিনবের ফ্ল্যাটে,,,!!” অভিনব পূর্ণাশাকে বলল,”নয়তো কার ফ্ল্যাটে??তুই আর লাবন্য তো তোদের ফ্ল্যাটে তো যেতে দিবি না ভয়ে তো কুঁকড়ে থাকবি।”
লাবন্য চোখ গরম করে বলল,”শোন ইংল্যান্ডে ভয় পেয়েছি বলে এই না যে বাংলাদেশে ও ভয় পাবো। আর যদি ভয় পেতাম তাহলে এই কাজ করতাম না।”

রা’দ ওদের থামিয়ে বলল,”তোরা থাম একটু এবার যেতে হবে তো??”

সবাই চুপ করে গেল। লাবন্য রা’দের বাইকে উঠে বসে আর পূর্ণাশা অভিনবের বাইকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিনবের বাসায় সবাই পৌঁছে গেলো। বাইক পার্ক করে লিফটে করে সপ্তম তলায় গেল। অভিনব চাবি দিয়ে দরজা খুলে লাইট জ্বালালো। সাথে সাথে পুরো রুম আলোকিত হয়ে যায়। বেশি বড় নয় অভিনবের ফ্ল্যাট। বেড রুম,ড্রয়িং রুম আর কিচেন। অভিনবের বাবা বেঁচে নেই মা আছে। তিনি ময়মনসিংহ থাকেন। অভিনব ও সেখানে থাকতো পড়াশোনা করার জন্য ঢাকায় আসে আর এখন চাকরির সুবাদে এখানেই থাকে। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে মায়ের সাথে দেখা করতে যায়। একটা কাজের মেয়ে আছে যে রান্না করে দেয় আর সন্ধ্যায় চলে যায়।
পূর্ণাশা আর লাবন্য অভিনবের বেডরুমে গিয়ে বসলো। পুরো রুমটাতে ওরা চোখ বুলায়।রুমের একপাশে টেবিল তার উপর কম্পিউটার সেট করা পাশে একটা ল্যাপটপ ও আছে। দেওয়ালে বড় একটা ফটোফ্রেম টানানো। তাতে যিশু খ্রিস্টের ছবি আর অন্যটাতে অভিনব আর ওর মায়ের ছবি।রুমটা একটু অগোছালো। অভিনব এসে খাওয়ার কথা বললে ওরা কেউ খেলো না সবাই অদ্ভুত বইটা পড়ার জন্য এক্সাইটেড হয়ে পরেছে। অভিনব বইটা এনে পূর্ণাশার হাতে দিলো। রা’দের ফোন আসায় ও কথা বলতেছে। পূর্ণাশা কিছু একটা ভেবে বইটা খুলে ফেলল। বইটা খুলে অবাক হয় পূর্ণাশা। কারণ বইটাতে কিছু লেখা নেই। সবগুলো পেইজ সাদা,পূর্ণাশা পাতা উল্টাতে লাগলো কিন্তু কোন লেখা পেলো না। পূর্ণাশা লাবন্যকে ডেকে বলল,”এখানে তো কিছুই লেখা নেই। তাহলে কি সবকিছু মিথ্যা??”
লাবন্য বলল,”আমার মনে হয় তাই হবে।এই বই পড়ে কেউ মারা যায়নি সবটাই ওখানকার মানুষের গুজব।”
রা’দ ফোন রেখে সবে মাত্র রুমে এসেছে ওদের কথা শুনে বলল,”বই না পড়েই বলছিস গুজব??”
পূর্ণাশা বলল,”কিন্তু এই বইতে তো কিছুই লেখা নেই।”
তখনই অভিনব নিজের ল্যাপটপ খুলে কিছু ছবি বের করে দেখিয়ে বলল,”এই দেখ এরা হলো ওই সব ব্যক্তি যারা এই বইটা পড়েছিলো। বই পড়ার আগে ওনারা এইসব ছবি তুলে ইন্টারনেটে আপলোড দেয়। কিন্তু বই পড়ার সময় কোন ভিডিও রেকর্ড করতে পারেনি। আর ওনাদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে অন্ধকার রুমে মোমবাতি জ্বালানো অবস্থায় বইটি সবাই পড়েছেন। তারমানে আমাদের ও ওভাবেই বইটা পড়তে হবে।”
লাবন্য আর পূর্ণাশা হা করে অভিনবের কথা গিলছিলো। রা’দ হেসে ওদের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল,”কি রে সবটা ক্লিয়ার হলো তো??”
পূর্ণাশা বলল,”হুম ‌কিন্তু তোরা এতকিছু জানিস আমাদের কেন বলিসনি??”
রা’দ কতগুলো মোমবাতি পূর্ণাশা আর লাবন্যর হাতে দিয়ে বলল,”এখন এসব বলার সময় নেই।”
চারজন মিলে পুরো রুমে মোমবাতি সেট করলো। মেঝেতে কাপড় বিছিয়ে সেখানে বসে পড়লো। ওদের মাঝখানে ছোট একটা টেবিল রাখলো তারপর ‘THE BOOK’ নামের বইটা রাখলো পাশে একটা বড় মোমবাতি রাখলো। অভিনব সব লাইট অফ করে দিলো। এখন রুমটা মোমবাতির আলোয় ঝকঝক করছে। লাবন্য বলল,”এতেও যদি দেখি বইতে কিছু লেখা নেই তাহলে??”
অভিনব বিরক্ত হয়ে বলল,”এতো কথা বলছিস কেন??আগে তো দেখি??”

লাবন্য আর কিছু বলল না। সবাই ভিষন এক্সাইটেড,বইটা পড়ার জন্য। মোমবাতির আলোতে বইটা জ্বলজ্বল করতেছে। রা’দ আস্তে করে বইটা টেনে নিজের কাছে নিলো। তারপর কাঁপা কাঁপা হাতে বইটা খুলতেই প্রথম পাতায় দেখল বড় বড় করে লেখা Welcome To The Book. পূর্ণাশা আর লাবন্য চমকে গেল লেখাটা দেখে। কারণ একটু আগেই তো বইয়ের প্রতিটা পাতা সাদা ছিল। মোমবাতির আলোতে লেখা হলো কিভাবে?? প্রশ্নগুলো ওদের মাথায় দলা পাকিয়ে আসছে। কিছু বলতে গেলে রা’দ ইশারায় ওদের থামিয়ে দিল। কারণ এখন সময় নষ্ট করা যাবে না।

চলবে,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here