The_Boss
Part : 7
Aarizona Ella
নাকের রক্ত মুছতে মুছতে মায়ার উপরের ঠোঁটে এক আঙ্গুল দিয়ে হাল্কা স্লাইড করতেই চমকে উঠেলো মায়া।।।
অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইলমাজ মায়ার দিকে।।।সেটা লক্ষ করতেই মায়া ইলমাজ থেকে দূরে সরে দাঁড়ালো।
বুঝতে পেরে হাল্কা গলা ঝেড়ে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসলো ইলমাজ।।
are u Alright now?(ইলমাজ)
জ্বী,,,i am fine..(মায়া)
দাঁড়িয়ে আছেন কেন?কিছুক্ষন মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।।
মানে?(মায়া)
বাংলা ভাষায় বলছি আমি।আপনি তো চলে যাচ্ছিলেন ? আর এখন না গিয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?(ইলমাজ)
শখ নেই দাঁড়িয়ে থাকার?আমি চলেই যাচ্ছিলাম কিন্তু আপনি।।।?(মায়া)
আমি কি?খুব নরম স্বরে জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।।
আপনি আমার ঠোঁ,,,,,,?(মায়া)
আমি তোমার কি?চেয়ার থেকে উঠে মায়ার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো ইলমাজ।।
ইলমাজ যতই মায়ার দিকে এগিয়ে আসছে ততই মায়ার হৃদস্পন্দন ক্রমশ বেড়েই চলছে আর মিনিট পর পর ঢোক গিলছে।।।।
বললে না যে আমি তোমার কি বলতে চেয়েছিলে?নেশাকাতর চাহনিতে তাকিয়ে আছে ইলমাজ মায়ার দিকে।
স্যার আপনি এদিকে এগিয়ে আসছেন কেন?আমি তো বলছিলাম আপনি আমার ঠোঁট ছুয়েছেন কেন?চোখ বন্ধ করে ভ্রু কুচকে একনাগার বলে ফেললো মায়া।?
ইলমাজ মায়ার একদম কাছে এসে দাঁড়ালো।।
আমি তোমার ঠোঁট ছুয়েছি কেন তাই জিজ্ঞেস করছিলে?(ইলমাজ)
,,,,,,,,,,মায়া চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।।
তোমার ঠোঁটে অনেক মায়া,,তাতে যে কেউ এটরেক্ট হবে,খুবি নেশাভরা কন্ঠে বলল ইলমাজ।
ইলমাজ এর কথা শুনে ৪৪০ ভোল্ট এর টাস্কি খেয়ে চোখ উল্টে তাকিয়ে আছে মায়া ইলমাজ এর দিকে।।।
ইলমাজ মায়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার পর কুটকুটিয়ে হেসে উঠলো।।ইলমাজ এর এমন হাসিতে বেকুব বনে গেলো মায়া।।
তুমি কি ভেবেছিলে?তোমাকে আমি এইসব বলবো? হহাহাহাহাহা।।যদি প্রশ্ন করো ঠোঁট ছুয়েছি কেন তাহলে বলবো ঠোঁটে তোমার ব্লাড লেগেছিলো, এমনিতে দেখতে তুমি পেত্নির মতো তার উপর ওভাবে রক্ত লেগে থাকাতে তোমাকে লেডি ভ্যাম্পায়ারের লাস্ট ভার্সন এর মতো লাগছিলো তাই নাপারতে আমাকে তোমার ঠোঁট ছুতে হয়েছে।।তা নাহলে আমার চয়েস ওতো খারাপ না।।একটা ভ্রু উপরে তুলে বললো ইলমাজ।
মায়া রেগে লাল টমেটো হয়ে আছে পারছে না যে ইলমাজের কতল করতে।।
ভ্যাম্পায়ারের লাস্ট ভার্সনের উপাধি যেহেতু পেয়েছি ইচ্ছা তো করছে সবার আগে আপনার রক্ত সব চুষে খেতে।।মনে মনে বলছে মায়া।।
বেশখ,,আমার রক্ত চোষার কথাই ভাবছেন তাই না? (ইলমাজ)
আবারো ৮৮০ ভোল্টের ঝটকা খেয়ে কাত হয়ে আছে মায়া।।রাগে হাতে হাত ঘষছে আর নাক ফুলিয়ে দাঁতে দাঁত খিলিয়ে ফুসছে।।
আর কিছু বলবেন নাকি আমার কাছ থেকে যেতেই ইচ্ছে করছে না আপনার??বাকা হেসে বললো ইলমাজ।।
গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে মায়া।।মুখ ভেংচি দিয়ে রাগে হন হন করতে করতে ইলমাজ এর ক্যাবিন থেকে বেরিয়ে গেলো মায়া।।
ইলমাজ নিজের কপালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে দরজার দিকে তাকিয়ে হাসছে।আর মায়ার ঠোঁট ছোয়ার কথা ভাবছে।।??
এদিকে মায়া এনির ক্যাবিনে গিয়ে রাগে ফুসতে ফুসতে চা খাচ্ছে আর ইলমাজ এর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে।।
হনুমান কি ভাবে নিজেকে??মিস্টার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড??নাকি হলিউডের টম ক্রুস??কি বলছিলো আমাকে???আমি লেডি ভ্যাম্পায়ারের লাস্ট ভার্সন??যদি আমি তাই হয় তবে আপনিও বাংলা সিনেমার ভিলেন ডিপজল এর লাস্ট ভার্সন ।।?
ডিপজলের নাম নিতেই স্তব্ধ হয়ে গেলো মায়া।।
না না,,ডিপজল তো কাইল্লা ভুত।।হনুমান তো কাইল্লা না।।এটা আগে ভাবি নি কেন??যায় হোক কাইল্লা না হলেও হনুমান আমার জীবনের খলনায়ক জিন্দেগী ত্যানা ত্যানা করে ফেলেছে আমার।।?নিজে নিজেই বলছে মায়া।।
এনির ক্যাবিনের বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলো ইলমাজ আর এনি।।মায়ার কথা শুনে এনির প্রায় অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা আর ইলমাজ মুখে হাত দিয়ে চাপা হাসছে।।এনি ইলমাজ এর দিকে চোখ বড় করে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভয়ের হাসি হাসছে।।
ইলমাজ ইশারায় এনিকে চুপ থাকার জন্য ইঙ্গিত করে তার ক্যাবিনে ফিরে গেলো।। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে ইলমাজ।।এনির সামনে থেকে সড়ে এসে হাসি লুকানোর চেষ্টা করছিলো ইলমাজ।।।
ইলমাজের পিছু পিছু এনিও তার ক্যাবিনের দিকে দৌড় দিলো।।এনিকে ক্যাবিনে আসতে দেখে ইলমাজ হাসি বন্ধ করে ফাইল হাতে নিয়ে চেক করতে লাগলো।।
কিছু বলবে এনি?গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।
না স্যার মানে বলছিলাম কি মিটিং এর কথা না বলেই চলে এলেন যে?ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো এনি।
হ্যাঁ মিটিং এর টাইম কাল সন্ধ্যায় ফিক্সড করে দাও আর অফিসের বাকি প্রেজেন্টেশগুলো তুমি হ্যান্ডেল করবে।।(ইলমাজ)
তাহলে স্যার মিটিংয়ে আপনি একা যাবেন?(এনি)
না,মিস মায়া কে জানিয়ে দিন কাল সন্ধ্যার ফ্লাইটে আমাদের সিলেট এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হবে।।(ইলমাজ)
কিন্তু স্যার যাওয়ার কথা তো ছিলো আমার।বিষ্মিত হয়ে বললো এনি।
ইদানীং খুব বেশি মুখ চলছে তোমার।। চোখ রাঙ্গিয়ে তাকালো এনির দিকে।।
ইলমাজের এমন চাহনি বিপদের সংকেত বুঝতে পেরে এনি ভয়ে চুপসে গেছে।।
আদার্স স্টাফ আমাদের নতুন ডিল নিয়ে ব্যাস্ত,তাৎক্ষনাক তার প্রেজেন্টেশন রেডী করতে হবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে।আর তুমি যদি আমার সাথে আসো তবে আমার ফিরতে ২ দিন লাগবে তার মানে একদিনের মধ্যে প্রেজেন্টেশন রেডী করা সম্ভব না,,আর অসম্ভব কে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের কাজ তোমার না।,সো বাকি আছেন আমাদের অতি পরিশ্রমী ম্যাডাম মিস মায়া,,তার আশায় যদি কোন ইম্পরট্যান্ট কাজ পেন্ডিংয়ে রাখা হয় তবে নিশ্চিত আমার কোম্পানি গোল্লায় যেতে কেউ থামাতে পারবে না।আর যদি তুমি না পারো তবে সমস্যা নেই,স্যালারি দিলে এমপ্লয়ের অভাব নেই।।চাইলে বলতে পারো।।ভ্রু কুচকে বললো ইলমাজ।।
না স্যার,আমি তা বোঝায় নি,মানে আমি তো আছি স্যার,সমস্যা নেই আমি নিউ প্রেজেন্টেশন রেডী করার জন্য নিজের জান ও দিয়ে দিবো।।ভয়ে ঢোক গিলতে গিলতে বললো এনি।
জান দেয়ার দরকার নেই,এ্যাফোর্ড আর হার্ডওয়ার্ক দিলেই হবে।।?(ইলমাজ)
জ্বী স্যার।।(এনি)
এভাবে মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে না থেকে যা বলেছি তা সেড়ে নাও।।কাজে গাফিলতি আর ধীরগতি আমার একদম অপছন্দ।।সেটা কি আর বলতে হবে?(ইলমাজ)
না,স্যার,আমি এক্ষুনি গিয়ে মায়াকে বলে দিচ্ছি যেনো রেডী থাকে।।(এনি)
তুমি এখনো দাঁড়িয়ে কথা বলছো,রক্ত রাঙ্গা চোখে এনির দিকে তাকালো ইলমাজ।।
আর কথা না বাড়িয়ে সোজা সেখান থেকে কেটে পড়লো এনি।
স্যার বলেছে আগামীকাল সন্ধ্যায় মিটিং এর জন্য সিলেট এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে হবে।(এনি)
তো আমি কি করবো??(মায়া)
তোমাকে স্যারের সাথে যেতে হবে।(এনি)
চা খাওয়ার সময় নাক মুখ থেকে চা বের হয়ে কাশতে শুরু করলো মায়া।।বেশ কিছুক্ষন কাশার পর থামলো মায়া।
কিন্তু আমি কেন?ন্যাকা কান্না করে জিজ্ঞেস করলো সে।
সেটা স্যার জানে।?আমি কি করে বলবো। (এনি)
কান্নামাখা মুখ বানিয়ে সোজা ইলমাজ এর ক্যাবিনে গেলো মায়া।
স্যার আসবো? (মায়া)
জ্বী আসুন।(ইলমাজ)
ইলমাজ এর টেবিলের সামনে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে মায়া।।।
কিছু বলবেন?নাকি শুধু আমার ক্যাবিনে আসার বাহানা খুজতে থাকেন?বাকা হেসে বললো ইলমাজ।
আ,,আমি কেন বাহানা খুজবো হুদাই।।একটা কথা জিজ্ঞেস করতে এসেছিলাম।।(মায়া)
জ্বী বলে ফেলুন।কান খোলা আছে আমার।।(ইলমাজ)
আমাকে কি আপনার সাথে সিলেট যেতে বলেছেন?(মায়া)
জ্বী আপনার সাথে হানিমুন করার শখ জেগেছে তো তাই।।?(ইলমাজ)
মায়ার রাগ চরম পর্যায়ে।।সে পারছে না ইলমাজকে জিন্দা দাফন করতে।।?।
চলবে।।
i am sorry?গতদিন গুলোর জন্য।।